গাংনীতে হতদরিদ্রদের ঘর বিত্তবানদের বরাতে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের গাড়াডোব গ্রামের বিভিন্ন বিত্তবানদেরকে টাকার বিনিময়ে হতদরিদ্রের ঘর করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তাছাড়াও কর্মসৃজন প্রকল্পেও অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছে এলাকার ভুক্তোভোগি দরিদ্র শ্রেনীর লোকজন।

এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো: ওসমান গনি একাধিকবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ ছাড়াও মাসিক আইন শৃংখলা মিটিং বিষয়টি তুলে ধরলেও এ বিষয়ে এখনও কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা যায়, হতদরিদ্রদের যাদের জমি আছে কিন্তু ঘর নাই বা ঘর করার সামর্থ্য নাই তাদের জন্য সরকার ঘর বরাদ্দ করেছেন। এই প্রকল্পের আওয়তায় গাড়াডোব গ্রামের মেম্বর ও বিএনপি নেতা ফিরোজ অর্থ ও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে বিত্তবান ও তার আত্মীয়দের পাইয়ে দিয়েছেন।

গাড়াডোব গ্রামের বিত্তশালী মৃত আবুল হোসেনের ছেলে ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম যার ঐ গ্রামে তেল ও সারের দোকান সহ নিজেস্ব ট্রাক্টর রয়েছে জমিও রয়েছে নিজের নামে। এলাকায় সে বিত্তবান হিসেবে পরিচিত। তার নামে হতদরিদ্রের ঘর বরাদ্দ হওয়ায় এলাকাবাসি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ঐ গ্রামের মাঠপাড়ার আলমের ছেলে আলমগীরকে ঘর দেওয়া হয়েছে। আলমগীরের নিজেস্ব ট্রাক্টর ছিল। তদরিদ্রের ঘর নিজের নামে নেওয়ার জন্য আগে থেকেই ট্রাক্টর বিক্রয় করে দিয়েছেন। অথচ তার বাবা-মা এর নামেও এর আগে বয়স্কভাতা সহ সৌর বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র তারা বিএনপি করে বলে রাজনৈতীক বিবেচনা করে বিএনপি নেতা চেয়ারম্যন আখেরুজ্জামান তাকে হতদরিদ্রের ঘর দিয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

ফিরোজ মেম্বরের চাচাতো ভাই আবুল হোসেন ঐ মহল্লার প্রধান মাতব্বর সে বেশ স্বচ্ছল তাকেও হতদরিদ্রদের ঘর বরাদ্দ দিয়েছে চেয়ারম্যান ও মেম্বর। এখানে স্বজন প্রীতি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এছাড়াও ফিরোজ মেম্বরের ভাইরাভাই বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল রউফের ছেলে মাহাতাবকে হতদরিদ্রের আওতায় নাম দিয়ে ঘর বরাদ্দ দেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, তাদের যে বাড়ি আছে তার গেটের দামে ঐরকম বাড়ি হয়ে যাবে। তাছাড়াও মাহাতাবের দু ভাই সিংগাপুরে থাকে।

ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান একজন বিএনপি নেতা বলেই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উদ্দেশ্য তা কখনও সফল হতে দেবেনা বলেই ঘোষণা দিয়ে তারা হতদরিদ্রদের বরাদ্দকৃত ঘর বিএনপি সমর্থিত এবং নাশকতার মামলার আসামীদেরকে অর্থের বিনিময়ে বিত্তবানদের দিয়ে শেখ হাসিনার স্বপ্নকে ধুলিস্যাত করছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গনি।

তিনি বলেন গাড়াডোব জলিবিল পাড়ার বিএনপি নেতা স্বপনের নামে বন্ধু চুলার ডিলারশিপ রয়েছে এছাড়াও নিজেস্ব টিভিএস আরটিআর গাড়ি রয়েছে সে কিভাবে হতদরিদ্রদের ঘর পাই।

এছাড়াও কর্মসৃজনে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। তারা জানান কর্মসৃজনে মেম্বর ফিরোজুল ইসলাম ও চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান মিলে লুটপাট করে খাচ্ছে। যেখানে ৬০ জন শ্রমীক লাগে সেখানে তারা দুজন মিলে ৩৫ জন শ্রমীক দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। তাছাড়া ৪০ দিনের কাজ ৩৫ দিনে শেষ করারও নজির তাদের রয়েছে। ৪০ দিনের কাজ ৩৫ দিনে করলেও তারা ৪০ দিনের কাজের বিল উত্তোলন করে বাকি টাকা আত্মসাত করে থাকে।

আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গনি বলেন, এ ধরণের অনিয়ম তারা এর আগেও করেছে এখনও করছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তারা দুজন মিলে আজীবন অনিয়ম দূর্নীতি করে যাবে।

কর্মসৃজন প্রকল্পে সরকারি চাকুরিজীবীও, চৌকিদার সহ নিজেস্ব ক্যাডার বাহিনীর নাম দিয়ে কর্মসৃজনের টাকা আত্মসাত করে আসছে।
এসকল অনিয়মের কথা এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমানের কাছে জানিয়েছেন বলে ওসমান গনি সাংবাদিকদের জানান। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান তাদেরকে এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান ওসমান গনি।

এদিকে গাড়াডোব গ্রামবাসিদের একাংশ উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ খালেকের সাথে দেখা করে এ ধরনের অনিয়ম ও আত্মসাতের বিষয়ে জানান।

উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ খালেক তাদের আস্বস্ত করেন এবং অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

মেপ্র/ইএম




গাংনীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

গাংনীর বাঁশবাড়ীয়াতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি আনিচুর জামান লুইচের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তার এই নিয়োগ বানিজ্য ও দূনীতির কবল থেকে বিদ্যালয়টিকে বাচানোর জন্য উপজেলা নিবাহী অফিসারের নিকট দূূনীতির কবল থেকে বাঁচানোর জন্য আবেদন করলেন প্রধান শিক্ষক।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক মোছা: নাজমুন্নাহার (মুক্ত)।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আনিসুজামান লুইচ, বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন এবং নিয়োগের কোন কাগজপত্র সঠিকভাবে যাছাই-বাছাই করছে না। সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত না নিয়ে প্রধান শিক্ষককে কোন প্রকার না জানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিদ্যালয়ে নিয়ে এসে শিক্ষক-শিক্ষিকা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল হলেই একজন করে নতুন শিক্ষকের আগমন ঘটে। যা খুবই বির্বতকর।

তাছাড়া বিদ্যালয়ের আয়-ব্যায়ের কোন হিসেব দেয়না। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রেজুলেশন খাতা বাড়ি নিয়ে রাখে। বিদ্যালয়ের হাজিরা স্বাক্ষরও তিনি নিয়ে রেখেছেন কোন শিক্ষকের হাজিরা খাতাও নেই। নিজের ইচ্ছামত বিদ্যালয়টি নিয়ে খেলছে, এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্তু উনার সে বিষয়ে মাথা ব্যথা নেই।

প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য একটি গাড়ী ক্রয় করার জন্য টাকা তুলা হলেও সে টাকা গায়েব। তাহলে কি হচ্ছে বিষয়টি বুজতে না পেরে গত কয়েকদিন আগে আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে চিঠি দিয়ে বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভায় মিটিং কল করি। কিন্ত তারা অজানা কারণে কেউ হাজির হলেন না। তাদের ফোনেও যোগাযোগ করে কোন প্রকার ব্যবস্থা হল না।

ফলে বাধ্য হয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবার অভিযোগ করি। এবং সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার বাবার দেওয়া জমিতে বিদ্যালয়টি হচ্ছে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না করে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতেও চাপ দিচ্ছে। বিষয়টি গ্রাম-বাসীর সাথে আলোচনা শেষে আমরা তালা মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এদিকে সহকারী শিক্ষক শারমীন জানান, তাকে প্রথমে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে আবারো সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আরো এক লক্ষ টাকা জরুরীভাবে দিতে বলে। তিনি অভিযোগ করেন পরে একজনের নিকট ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও জানেনা। কিভাবে নিয়োগ হল, কোথায় থেকে নিয়োগ হল কেউই জানেনা। তাই নিয়োগ-বানিজ্যে অতিষ্ট হয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অভিযোগ করছেন বলে জানান।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ আনিসুজ্জামান (লুইস) সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান আমি ঢাকায় আছি গাংনী আসার পরে কথা হবে সংবাদটি না লেখার জন্য বার বার অনুরোধ করেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের নিকট একটি অভিযোগ করা হয়েছে বিদ্যালয় কতিপক্ষের নিকট থেকে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে তদন্তের জন্য শিক্ষা অফিসারের উপর দায়িত্ব দিয়েছি।

মেপ্র/ইএম




মেহেরপুরের দরবেশপুরে জোড়া খুনের মামলায় আরো এক আসামি আটক

মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের রোকন ও হাসান নামের দুই চাচাত ভাই হত্যা মামলায় মতিউর রহমান নামের আরো এক আসামিকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালের দিকে মেহেরপুর সদর থানার এস.আই আহসান হাবীব মতিউর রহমানকে আটক করেন। মতিউর রহমান নতুন দরবেশপুর গ্রামের ওয়াদত আলীর ছেলে।

২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার নতুন দরবেশপুর গ্রামে রোকন ও তার চাচাত ভাই হাসান কে শোলমারী বিলে মাছ পাহারা দেওয়ার সময় কুপিয়ে নিরর্মম ভাবে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা মেহেরপুর সদর থানার এস আই আহসান হাবীব মোট ১০ জন আসামিকে আটক করেছেন।

আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই মামলার সর্বশেষ আটক মতিউর রহমানকে গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মেপ্র/ইএম




গাংনীতে পুকুরে ডুবে শিশু কন্যার মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কুঞ্জনগর গ্রামে পুকুরে ডুবে মিষ্টি খাতুন (০৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে এঘটনা ঘটে। মিষ্টি খাতুন ওই গ্রামের আলসাধু চালক ইমদাদুল হকের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানানা, মিষ্টি খাতুন খেলতে খেলতে পরিবারের চোখ ফাকি দিয়ে বাড়ির পাশর্^বর্তী একটি পুকুর ধারে যায়। দুপুরের দিকে কোন এক সময়ে পুকুরে পড়ে যায়।

পরে বিকেল চারটার দিকে পরিবারের লোকজন খোজাখুজির এক পর্যায়ে পুকুরে ভাসমান লাশ দেখতে পায়। পরে ঘটনাস্থলে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবায়দুর রহমান গিয়ে লাশ উদ্ধারের নির্দেশ দেন।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবায়দুর রহমান জানান, শিশু কন্যা হারিয়েছে এমন সংবাদে গেলেও ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পুকুরে শিশুটির লাশ ভাসমান। মরদেহ উদ্ধার করে কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

 




হরিনাকুন্ডুর ভাতুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠিত

হরিনাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২০ সালের এস.এস.সি শিক্ষার্থীদের বিদায় ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকাল ১১ টায় ভাতুড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠের উন্মুক্ত মঞ্চে এ বিদায় ও বরণ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে স্কুলের সভাপতি মহিউদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হরিনাকুন্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হুসাইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী ইউনুস আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৫নং কাপাশহাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফতদৌলা ঝন্টু, ৬নং ফলসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক শাহানুর আলম, সহকারী শিক্ষক আশরাফ আলী প্রমুখ।

পবিত্র কোরআন তেলোয়াত ও গীতাপাঠের মাধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করে। বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ ও অত্র স্কুলের সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র বিশ্বাস। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

মেপ্র/ আরপি




কালীগঞ্জে প্রতিবন্ধি ধর্ষনের দায়ে যুবক গ্রেফতার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জলকার মাজদিয়া গ্রামে বুধবার দুপুরে ২৪ বছরের স্বামী পরিত্যক্তা এক প্রতিবন্ধি নারী ধর্ষিত হয়েছে।

এ ঘটনায় ধর্ষক আলামিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আলামিন একই গ্রামের তরকারী বিক্রেতা নরুন্নবীর ছেলে।

সুবর্নাসরা পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই সাকিল খান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্বামী পরিত্যক্তা মাঠে ছাগল চরাতে যায়। এ সময় আলামিনও মাঠে ছিল। মাঠে একা পেয়ে তাকে ধর্ষন করে পালিয়ে যায় ধর্ষক দুই সন্তানের জনক আলামিন।

খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলার সোনালীডাঙ্গা গ্রাম থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ধর্ষক আলামিনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ আরো জানায়, ধর্ষিত ওই নারীর বিয়ের পর সন্তান প্রসব করতে গিয়ে অঙ্গহানী ঘটে। এরপর তার স্বামী তালাক দেয়।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে এ.এস.আই সাকিল খান জানান।

মেপ্র/ আরপি




ঝিনাইদহে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম

ঝিনাইদহে আশরাফুল ইসলাম নামের এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা।

বুধবার সকালে সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের চোরকোল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আশরাফুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে ও মধুহাটি ইউপি সদস্য। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, চোরকোল গ্রামের ডালিমের বাড়ির সামনে হতে গফফারের বাড়ি পর্যন্ত লোক চলাচলের জন্য একটি কাচা রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। ওই গ্রামের কায়েমের নেতৃত্বে রাস্তার পাশে পুকুর কেটে ট্রাক্টর গাড়িতে করে ওই রাস্তা দিয়ে মাটি বহন করছে। যে কারণে নতুন রাস্তাটি মাটি ভেঙে চুরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এ ঘটনার মঙ্গলবার প্রতিবাদ করায় বুধবার সকালে চোরকোল বাজারে হুজুর আলীর চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ওই গ্রামের গোলজার হোসেন, কায়েম আলী, ইসটালিংসহ বেশ কয়েকজন লোক তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

এসময় তার আত্ম চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাজু আহমেদ মধুহাটি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুল ইসলামের উপর অতর্কিত হামালার তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে দোষিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মঈন উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেপ্র/ আরপি




ঝিনাইদহে সাদা এলইডি লাইট বন্ধে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান

ঝিনাইদহে ও শৈলকুপায় ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলে সাদা এলইডি লাইট ব্যবহার বন্ধে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।এসময় তিন শতাধিক ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল থেকে এলইডি লাইট খুলে নেওয়া হয়।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সালাহ উদ্দিন, গৌরাঙ্গপালসহ অন্যান্য ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা।

ট্রাফিক সার্জেন্ট কনক হালদার জানান, রাতে শহরের বিভিন্ন সড়কে ইজিবাইকে এলইডি লাইট লাগিয়ে চলাচল করে। এতে সাধারণ মানুষ ও পথচারীরা লাইটের আলোর কারণে দুর্ঘটনায় পড়ে। আইনগত নিষিদ্ধ এই এলইডি লাইট বন্ধে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেছে। শহর থেকে প্রায় দুই শতাধিক ইজিবাইজ ও মোটরসাইকেল থেকে লাইট অপসারণ করা হয়েছে। তিনি জানান, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অপর একটি অভিযানে বুধবার দুপুরে জেলার শৈলকুপা উপজেলায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ঝিনাইদহের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কাজী হাসানুজ্জামান। শৈলকুপা পৌর এলাকার কবিরপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও প্রধান প্রধান সড়কে দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।

ঝিনাইদহের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কাজী হাসানুজ্জামান জানান, জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানের নির্দেশনা মোতাবেক জেলাব্যাপী এ অভিযান চলমান রয়েছে।

অভিযানে অংশ নেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাজহারুল ইসলাম, টিআই নুরুল ইসলাম, ইমরান হোসেন, সাদ্দাম হোসেন ও শৈলকুপা থানার পুলিশের এসআই হারুন অর রশিদ চৌধুরী।

মেপ্র/ আরপি




আলমডাঙ্গায় ৩ জুয়াড়িকে কারাদন্ড ও ৩ ফল ব্যবসায়ীকে জরিমানা

আলমডাঙ্গায় পৃথক পৃথকভাবে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে ৩ জুয়াড়িকে কারাদন্ড ও ফুটপথে ব্যবসা করার অপরাধে ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে।

বুধবার আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিটন আলী, মুন্সিগঞ্জ ও আলমডাঙ্গা আট কপাটে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিটন আলী আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমানের সহযোগীতায় মুন্সিগঞ্জ মদনবাবুর মোড়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩ ফল ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে।

মদনবাবুর মোড়ের সুমনা ষ্টোরের মালিক নাজমুল হাসানকে ২ হাজার, হাসিব ষ্টোরের হাসিব আলীকে ২ হাজার ও হাসিবুল ইসলামকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এসময় মদনবাবুর মোড়ে, সোনাতনপুর হাসপাতাল মোড়ের সকল দোকানের সামনে বাড়তি টিনের চাল ৩ দিনের মধ্যে সরানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

অপর দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আলমডাঙ্গা আট কপাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ জুয়াড়ীকে জুয়া খেলা অবস্থায় আটক করে।

আটককৃতরা হলো- হাউসপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে নাসির উদ্দিন(৪০), একই গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে হাসিবুল(৩৫) ও কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে ওসমান গনি(৫০)কে জুয়া খেলার নগদ ১৫শ ৯০ টাকাসহ আটক করে।

ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বংগীয় প্রকাশ্যে জুয়া আইন ২০০৯ এর ৪ ধারা মোতাবেক ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
এসময় আলমডাঙ্গা থানার এস.আই আশিকুল ইসলাম, এ.এস.আই হামিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

মেপ্র/ আরপি




গাংনী পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিক্ষোভ, কর্মবিরতী

গাংনী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কান্সিলর বাবলুর রহমানের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিতর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট করে পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বুধবার দুপুরে গাংনী পৌরসভার গেটে পৌর কর্মকর্তা কর্মচারিরা এ কর্মসূচী পালন করেন।

এ সময় পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের সামনে আন্দোলনরত কর্মকর্তা কর্মচারিরা কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শ্লোগান দিলে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল বদরুল ইসলাম বুদু ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নবিরুদ্দিন প্রতিবাদ করেন।

মেহেরপুরের গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম সকলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন আমার কোন প্রকার দূর্নীতি যদি কেউ প্রমান করতে পারে তাহলে সাথে সাথে আমি আমার চেয়ার ছেড়ে দেব। এক পর্যায়ে কাউন্সিলররা মেয়র আশরাফুল ইসলামকে দায়ি করে অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন মেয়রের ইন্ধনে পৌর কর্মচারিরা আমাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শ্লোগান দিয়েছে।

এ নিয়ে পৌর পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারি ও কাউন্সিলরদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। কাউন্সিলররা আন্দোলনের বিষয়ে পৌর মেয়রকে দায়ি করলে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম কাউন্সিলরদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তাদের বারবার মাসিক মিটিংএ ডাকলে তারা আসেননা। এদিকে কাউন্সিলররা অভিযোগ করে বলেন আজকে মাসিক মিটিং ছিল বলে এসেছি। কিন্তু মেয়র আশরাফুল ইসলাম মাসিক মিটিং বানচাল করার জন্য কর্মচারিদের ইন্ধন দিয়ে তাদেরকে দিয়ে অহেতুক আন্দোলন করাচ্ছেন।

এদিকে কাউন্সিলরদের অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন আমার পৌর সভায় কোন প্রকার দূর্নীতি মেনে নেবনা আমি নিজেও তা করবনা। মেয়রের কথার প্রতিবাদ করে কাউন্সিলররা তার দূর্নীতির কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

এ সময় ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নবিরুদ্দিন,৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বদরুল ইসলাম বুদু, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহিদুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইনামুল হক, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান,৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আছেল উদ্দিন, ১,২,ও ৩ নং ওয়ার্ড এর মহিলা কাউন্সিলর ফিরোজা বেগম উপস্থিৎ থেকে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামের নিয়োগ বানিজ্য নিয়ে দূর্নীতির কথা তুলে ধরে বলেন পৌর সভায় লোক নিয়োগ দেওয়া বলে অনেকের সাথে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
কাউন্সিলর ইনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন আমার ভাইয়ের ছেলেকে চাকুরি দেবে বলে প্রায় ৮লক্ষ টাকা নিয়েছে অথচ এখন পর্যন্ত কোন চাকুরি দেয়নি।

এছাড়া ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন, আমার ওয়ার্ডের বাহাদুর নামের এক বাসিন্দার মেয়েকে চাকুরি দেবে বলে অনেক আগে টাকা নিয়েছে অথচ চাকুরিতো দুরের কথা সেই টাকা চাইতে গেলে ভুক্তোভোগিকে আজকাল করে হয়রানি দিচ্ছে। পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য নিয়ে আরও অভিযোগ রয়েছে বলে কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন। তারা মেয়রের দূর্নীতির বিষয়ে প্রমাণ সহ সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন।

৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সহিদুল ইসলাম বলেন, পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম মেয়র হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সেজে আছে। আগে মেয়র আশরাফুল ইসলাম বিএনপি’র অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। স্বতন্ত্র ভাবে পৌর ভোট করে পাশ করার পর তিনি আওয়ামী লীগ সেজে যুবলীগের নেতা দাবি করছেন।

এ ধরণের নানান অভিযোগ চলাকালে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম সে স্থান ত্যাগ করেন। পরে কাউন্সিলররা পৌরসভার সেবা দেওয়ার নামে যে অর্থ আদায় করা হয় তা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করেছে বলে তারা অভিযোগ করেন।

কাউন্সিলর আছেল উদ্দিন বলেন ব্রিটিশরা যেমন নীল চাষ করত পৌরবাসিদের সেবার নামে যে কর আদায় করা হয় তা সেই নীল চাষের মতোই। পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম নীল করদের মতো আচরণ করছে।

এ বিষয়ে কাউন্সিলররা উর্দ্ধতন মহলে জানাবেন এবং এর একটি সুরুহা দাবি করবেন বলে জানিয়েছেন।

মেপ্র/ইএম