বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি মেহেরপুর জেলা শাখার কর্মবিরতি

জেলা প্রশাসন সহ মাঠ প্রশাসনে কর্মরত কর্মচারীদের (গ্রেড ১৩-১৬)পদবী পরিবর্তন এবং বেতন গ্রেড উন্নতি করনের দাবিতে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি বাকাসস মেহেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ৪ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।

বুধবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন চত্বরে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। বাকাসপের মেহেরপুর জেলার নেতা মিজানুর রহমান নিজাম, মাসুদ রানা তৌহিদুল ইসলাম, আজগর আলী সহঅন্যান্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

 

 

 

আরো পড়ুন –মুজিবনগরে সেই অসহায় মাকে শাড়ি কিনে দিলেন তথ্য আপা




রাতে নারীদের নিরাপত্তায় বেশি আলোকিত রাস্তা চিনিয়ে দেবে গুগল ম্যাপ

 

গুগল ম্যাপে আসছে নতুন ফিচার। গুগলের তরফে জানানো হয়েছে, রাতে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অনেক মহিলাই সমস্যায় পড়েন। তাদের সাহায্য করতে নতুন ফিচার আনছে গুগল ম্যাপ।

এই ফিচারের সাহায্যে গুগল ম্যাপের মাধ্যমে কোন রাস্তা রাতে বেশি আলোকিত তা বুঝতে পারবেন ব্যবহারকারী। এক্সডিএ ডেভেলপারদের হাতে তৈরি এই ফিচারে বলা হয়েছে, যারা গুগল ম্যাপ ব্যবহার করেন, তারা বেশি আলোকিত রাস্তায় একটি হলুদ রঙের উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন। যেমন রাস্তায় যানজট থাকলে লাল রং দেখা যায়, তেমনই আলোকিত রাস্তার ওপর হলুদ রঙের আস্তরণ দেখতে পাবেন ব্যবহারকারীরা।

সাধারণ অ্যাপ ট্র্যাক ডাউন করার সময় এবং গুগল ম্যাপের বেটা ভার্সনে এই সুবিধা পাওয়া যাবে এখন। এরপর এটি সাধারণ ব্যবহারকারীও অ্যাপে পাবেন। কিন্তু ভারত যেহেতু নারী সুরক্ষার দিক থেকে অন্যতম পিছিয়ে পড়া একটি রাষ্ট্র, তাই এখানেই এই ফিচার আগে চালু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

 

আরো পড়ুন –ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইলেক্ট্রনিক্স মিস্ত্রির মৃত্যু




ঠিকভাবে দৌড়াচ্ছেন তো? জানাবে স্মার্ট জুতা

ব্যায়ামের সময় সঠিক পদ্ধতিতে দৌড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই এবার প্রশিক্ষকের মতোই দৌড়ানোর কৌশল ঠিক আছে কি না জানাবে স্মার্ট জুতা।
ব্যবহারকারীর পায়ের নড়াচড়া শনাক্ত করতে জুতাটির সোলে বসানো হয়েছে সেন্সর, যা পায়ের বিভিন্ন অংশের কার্যক্রম শনাক্ত করে মনিটরে প্রদর্শন করে। জাপানের ফুটওয়্যার নির্মাতা ‘অসিকস’র তৈরি জুতাটি বাজারে আসবে ফেব্রুয়ারিতে।
সূত্র : ইন্টারনেট




‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’

রাহিতুল ইসলামের গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপে এই শর্টফিল্ম পরিচালনা করেছেন মাবরুর রশীদ বান্নাহ। ধ্রুব টিভি নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে তোলা এই শর্টফিল্ম এরই মধ্যে দেখা হয়েছে ২৩ লাখের বেশি।

‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ উপন্যাসটি একজন তরুণ সম্ভাবনায় ফ্রিল্যান্সারকে নিয়ে। ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিয়ে অনেক তরুণই নিজের ভাগ্য বদলেছেন। কিন্তু এ পেশার সামাজিক স্বীকৃতি নেই এখনো। সেরকম এক তরুণের গল্পই আছে এই বই ও শর্টফিল্মে। এই বইয়ে উঠে এসেছে সেই ফ্রিল্যান্সারের জীবন, সংগ্রাম ও প্রেমের গল্প।

‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প’ প্রধানত ফ্রিল্যান্সিং পেশার সামাজিক স্বীকৃতি নিয়ে আবর্তিত। সরকারি-বেসরকারি যে কোনো চাকরির চেয়ে আউটসোর্সিং পেশা হিসেবে ভালো। নিজের স্বাধীনতা রয়েছে। উপন্যাসটির গল্প কাল্পনিক নয়। এটি মাহাবুব নামের একজন ফ্রিল্যান্সারের জীবন থেকে নেয়া। শূন্য থেকে শুরু করা এই তরুণ কীভাবে এ পেশার আদর্শ হয়ে ওঠে, সেই দৃশ্যই আঁকা হয়েছে ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্পে’। গল্পের নায়ক মাহাবুবের জীবন-সংগ্রামের পাশাপাশি তার প্রেমের এক অন্তরঙ্গ বয়ান এ উপন্যাস।

এই উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আফরান নিশো ও তানজিন তিশা অভিনীত শর্টফিল্মটি দর্শক মহলে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ইউটিউবে এই শর্টফিল্মের ব্যাপারে ভক্তরা ইতিবাচক প্রশংসা করেছেন। সবার অপেক্ষা এই শর্টফিল্মের দ্বিতীয় সিজনের জন্য। সবার প্রশ্ন কবে আসবে ‘আউটসোর্সিং ও ভালোবাসার গল্প ২’।

 

আরো পড়ুন-চুয়াডাঙ্গায় গাঁজাসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক




এবার ‘ভুয়া ছবি’ লুকিয়ে ফেলবে ইনস্টাগ্রাম

ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা ‘ভুয়া ছবি’ লুকিয়ে ফেলবে ইনস্টাগ্রাম। ফলে অন্য ব্যবহারকারীরা ‘এক্সপ্লোর’ ও ‘হ্যাশট্যাগ’ পেজে ছবিগুলো দেখতে পারবে না।
সফটওয়্যার বা অন্য কোনো মাধ্যমে অতিরঞ্জিত করা ছবিগুলোর সত্যতা যাচাই করতে বিভিন্ন প্রযুক্তি বা প্রতিষ্ঠানেরও সহায়তা নেবে ছবি বিনিময়ের সেবাটি। ভুয়া ছবির হাত থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করতেই এ উদ্যোগ।
এর আগে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে নিজেদের ‘অভিযোগ’ পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে ইনস্টাগ্রাম।
সূত্র : ইন্টারনেট




চোখের স্মার্টলেন্সেই স্মার্টফোনের বার্তা!

শখের বসে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন অনেকেই। ভবিষ্যতে এই লেন্স কাজে লাগিয়ে দৃশ্য দেখার পাশাপাশি স্মার্টফোনের বার্তা চোখের সামনেই পড়া যাবে। অর্থাৎ চলতি পথে পকেট থেকে স্মার্টফোন বের না করেই বার্তাগুলো পড়া যাবে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্টলেন্স তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত মোজো ভিশন।
তাদের দাবি, স্মার্টলেন্সটি কাজে লাগিয়ে চাইলে অনলাইন থেকে আবহাওয়ার হালনাগাদ তথ্য, এমনকি আশপাশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁর তথ্যও জানা সম্ভব। সাধারণ লেন্সের আদলে চোখে পরা যাবে বিশেষ ধরনের স্মার্টলেন্সটি। চোখের মণি বিশেষ ভঙ্গিতে নাড়িয়ে লেন্সটি চালু বা বন্ধ করতে হবে।
সূত্র : ইন্টারনেট




জীবননগরে দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জীবননগর উপজেলার হাসাদহ খাপাড়ায় দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী জালাল উদ্দিন (৬৫) নিহত হন।

তিনি উপজেলার সুটিয়া গ্রামের মৃধাপাড়ার মৃত সাজেদুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে জালাল উদ্দিন বাইসাইকেলযোগে মাঠে যাচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়।

তিনি বাইসাইকেল থেকে পিচ রাস্তায় উপর পড়ে মারাত্মক জখম হন। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থ সারথী পাল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় জালাল উদ্দিনের মাথায় আঘাত লাগার ফলে তার কান এবং নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় মৃত্যু হয়েছে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

 




আলমডাঙ্গায় ভোক্তাধিকার সংরক্ষণ আইনে আরজু ফুডে জরিমানা

আলমডাঙ্গা উপজেলার পৌর এলকার পশুহাট রোডের আরজু ফুড বেকারীতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ক্যামিকেল ব্যবহারের দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা আদায় করেছে।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর এলকায় আরজু ফুড বেকারীতে দীর্ঘ দিন ধরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ও খাবার তৈরিতে ক্যামিকেল ব্যবহার করে আসছিল। এ অভিযোগে ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি দল অভিযান চালায় বেকারিতে।

এ সময় বেকারীর মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন বেকারি মালিক আলিম মিয়া।

চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন।

মেপ্র/ আরপি




চুয়াডাঙ্গায় গাঁজাসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক

দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রাম থেকে ৬ কেজি গাঁজাসহ মর্জিনা খাতুন (৪২) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত মর্জিনা খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের মৃত দীন মোহাম্মাদের স্ত্রী।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামে মর্জিনা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায়।

এসময় নিজ বাড়িতে বাক্সে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৬ পুটলা গাঁজা উদ্ধার করে তারা। যার ওজন প্রায় ৬ কেজি। উদ্ধারকৃত গাঁজার মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

গাঁজাসহ আটক নারীকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মেপ্র/ আরপি




বাঁচানো যায়নি শিশু জান্নাতুলকে

ডাক্তার বললেন, মেডিকেলে নিয়ে যান- বাবা ভাড়া জোগাড় করতে করতেই মারা গেল শিশুটি। ২৪ ঘন্টা ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টার পরও মৃত্যুর কাছে হার মানতে হলো শিশুটিকে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে শিশুটি মারা যায়। শিশুটি মারা যাওয়ার খবরে তাকে এক নজর দেখতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি গ্রামে শতশত মানুষের ঢল নামে। এর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটিকে রাজশাহী মেডিক্যালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

কিন্তু রাজশাহী যাওয়ার মত টাকা শিশুটির বাবার কাছে না থাকায় শিশুটিকে বাড়িতে নেওয়া হয়। অর্থ জোগাড় করার প্রস্তুতির এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে মায়ের কোলেই নিথর হয়ে পড়ে শিশু জান্নাতুল।

শিশু জান্নাতুলের মৃত্যুর পর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গ্রামজুড়ে। অনেকে শিশুটির মৃত্যুর জন্য বেসরকারী ক্লিনিক উপশম নাসিং হোমের চিকিৎসক ও আয়াদের অবহেলাকে দায়ী করে তাদের শাস্তির দাবি তুলেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের মুদি দোকানী আবদুল হালিমের স্ত্রী জিনিয়া খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের সদস্যরা রোববার বিকালে তাকে শহরের উপশম নাসিং হোমে ভর্তি করান।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে জিনিয়া নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। পরিবারের সদস্যরা শিশুটির নাম দেন জান্নাতুল। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ক্লিনিকটির নার্স আয়াদের পক্ষ থেকে জানানো হয় মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেছে প্রস্যুতি জিনিয়া। এরপর মৃত ভেবেই তাকে ফেলে রাখা হয় ক্লিনিকের একটি রুমের মেঝেতে।

এমন অভিযোগ এনে শিশুটির বাবা আব্দুল হালিম জানান, মৃত কন্যা সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবরে আমরা যখন দাফন কাফনের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি। তখনই আমার স্ত্রী (জিনিয়া) তার কন্যাকে শেষ বারের মত দেখতে চাই। কিন্তু ক্লিনিকটির আয়ারা শিশুটির গলাচেপে উঁচু করে আমাদের বলেন এই দেখেন মৃত বাচ্চা।

তারপরও আমার স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কোলে নিতেই নড়ে উঠে আমার সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যা। এ সময় আমরা চিৎকার দিয়ে উঠলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে শিশুকে অক্সিজেন দেন। এরপর অবস্থা বেগতিক দেখে জান্নাতুলকে গোপনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন।’ তাদের কথামত সোমবার সকালে আমরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডের উপশম নাসিং হোম কর্তৃপক্ষের এমন কান্ডজ্ঞানহীন খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে শহরজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে শিশুটিকে দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভীড় জমান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন জানান, ‘নির্ধারিত সময়ের আগেই শিশুটি জন্ম নিয়েছে। তাছাড়া নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত ছিল শিশুটি। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে ইনকিউবেটরের মধ্যে রেখে প্রাণপণ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু কিছুতেই শিশুটির উন্নতি না হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে পাঠানোর পরামর্শ দিই। দুপুরে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন।

শিশু জান্নাতুলের বড় চাচা বরকত আলী জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে রাজশাহী মেডিক্যালে রেফার্ড করলেও আমাদের হাতে রাজশাহী যাওয়ার মত কোন টাকা পয়সা ছিলনা। এজন্য আমরা দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে শিশুকে বাড়িতে নিয়ে আসি। এরপর টাকা জোগাড় করার প্রস্তুতি নিতে থাকি। কিন্তু এরই এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে মায়ের কোলেই নিথর হয়ে পড়ে শিশু জান্নাতুল।

শিশুটির মৃত্যুর খবরে দুুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় শিশুর মা জিনিয়া খাতুন প্রলাপ বকছেন। তিনি তার শিশু কন্যার মৃত্যুর জন্য উপশম নাসিং হোমের চিকিৎসক ডা. জিন্নাতুল আরা, ক্লিনিকটির নার্স ও আয়াদের অবহেলাকে দায়ী করেন।

অভিযোগ আনেন জীবিত থাকা অবস্থায় আমার সন্তানকে মৃত ঘোষনা দিয়ে তাকে তীব্র ঠান্ডার মধ্যে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। আমি শেষ বারের মত দেখতে না চাইলে জীবিত অবস্থায় হয়ত..!

এ ব্যাপারে ডা. জিন্নাতুল আরা বলেন, ‘শিশুটি যখন ভুমিষ্ঠ হয় একেবারেই শ্বাস-প্রশ্বাস ছিল না। নাভির কাছে কেবল ঢিবঢিব শব্দ ছিল। চার ঘণ্টা অক্সিজেন দেয়ার পর সে কিছুটা সুস্থ্য হলে আমরা (সোমবার) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই।

তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিশুটিকে চিকিৎসা দিতে আমরা স্বাধ্যমত চেষ্টা করেছি। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এ.এস.এম মারুফ হাসান জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।

মেপ্র/ আরপি