১৩৯ জনকে চাকরি দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ০৩টি পদে ১৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ০৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড
সমিতির নাম: পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
পদের বিবরণ
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
মেয়াদ: ০১ বছর
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা  brebhr.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি (১০০ কেবি) ও ৩০০-৮০ (৬০ কেবি) সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।
আবেদন ফি: আবেদনের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড সিমের মাধ্যমে ১-২ নং পদের জন্য ২২৩ টাকা, ৩ নং পদের জন্য ১১২ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে।
আবেদনের সময়: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: জাগোজবস ডটকম




অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার নিচ্ছে আরএফএল গ্রুপ

বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান আরএফএল গ্রুপে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার-এক্সপোর্ট সেলস’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: আরএফএল গ্রুপ
পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার-এক্সপোর্ট সেলস
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মার্কেটিংয়ে স্নাতকোত্তর/মার্কেটিংয়ে এমবিএ
অভিজ্ঞতা: ০২-০৪ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: পুরুষ
বয়স: ২৫-৩৫ বছর
কর্মস্থল: ঢাকা
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা jagojobs.com/sales-marketing/113122 এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ জানুয়ারি ২০২০
সূত্র: জাগোজবস ডটকম




প্রাণ গ্রুপে এজিএম পদে চাকরির সুযোগ

বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ গ্রুপে ‘এজিএম/জিএম-এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: প্রাণ গ্রুপ
পদের নাম: এজিএম/জিএম-এনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেফটি
শিক্ষাগত যোগ্যতা: পরিবেশ বিজ্ঞান/প্রকৌশলে স্নাতক
অভিজ্ঞতা: ০৮-১২ বছর
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে
চাকরির ধরন: ফুল টাইম
প্রার্থীর ধরন: পুরুষ
বয়স: নির্ধারিত নয়
কর্মস্থল: ঢাকা
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা jagojobs.com/jobs/113449 এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সূত্র: জাগোজবস ডটকম




বন অধিদফতরে ১৪৫ জনের চাকরি

বন অধিদফতরের ২০টি পদে ১৪৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: বন অধিদফতর
পদের বিবরণ
চাকরির ধরন: অস্থায়ী
বয়স: ০১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর
আবেদনপত্র সংগ্রহ: আগ্রহীরা www.bforest.gov.bd এর মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
আবেদনের ঠিকানা: প্রধান বন সংরক্ষক, বন অধিদফতর, বন ভবন, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭।
আবেদন ফি: ট্রেজারি চালান, ব্যাংক ড্রাফট অথবা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ১০০ টাকা পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সূত্র: জাগোজবস ডটকম




প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে এসএসসি পাসে চাকরি

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ‘নিরাপত্তা প্রহরী (গার্ড)’ পদে ৩০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী (গার্ড)
পদসংখ্যা: ৩০ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি/সমমান
শারীরিক যোগ্যতা: সুঠাম দেহের অধিকারী
দক্ষতা: বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার
চাকরির ধরন: স্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
বয়স: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৩২ বছর
আবেদনপত্র সংগ্রহ: আগ্রহীরা িি.িঢ়শন.মড়া.নফ এর মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
আবেদনের ঠিকানা: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয়, ৭১-৭২ প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ইস্কাটন, ঢাকা-১০০০।
আবেদন ফি: ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৫০ টাকা পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ৩০ জানুয়ারি ২০২০
সূত্র: জাগোজবস ডটকম




৫০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেবে ইস্টার্ন রিফাইনারি

দেশের একমাত্র জ্বালানি তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে ০৩টি পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ০৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড
পদের বিবরণ
চাকরির ধরন: অস্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
প্রশিক্ষণ: ০২ বছর
বেতন: ৫০,০০০-৫২,৫০০ টাকা
আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা erlb.teletalk.com.bd এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি (১০০ কেবি) ও ৩০০-৮০ (৬০ কেবি) সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।
আবেদন ফি: আবেদনের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড সিমের মাধ্যমে ১,৫০০ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ সন্ধ্যা ০৬টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: জাগোজবস ডটকম




এসএসসি পাসে মন্ত্রণালয়ে একাধিক চাকরি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি প্রকল্পে ০৩টি পদে ০৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ০৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়
প্রকল্পের নাম: সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসার্চ (সিইসিসিআর) প্রকল্প
পদের নাম: গাড়ি চালক

পদসংখ্যা: ০৩ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি

অভিজ্ঞতা: হালকা ও ভারি যান চালানোর লাইসেন্স

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
পদের নাম: অফিস সাপোর্টিং স্টাফ (এমএলএসএস)
পদসংখ্যা: ০২ জন

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি
অভিজ্ঞতা: ০৩ বছর

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা
পদের নাম: সিকিউরিটি গার্ড
পদসংখ্যা: ০২ জন
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি
অভিজ্ঞতা: ০৩ বছর
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা
চাকরির ধরন: অস্থায়ী
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ
বয়স: ১৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ১৮-৩০ বছর
আবেদনের ঠিকানা: প্রকল্প পরিচালক, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসার্চ (সিইসিসিআর) প্রকল্প, পরিবেশ ভবন, কক্ষ নং ৪১২, চতুর্থ তলা, ই-১৬, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭।
আবেদন ফি: পে-অর্ডারের মাধ্যমে ১০০ টাকা পাঠাতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
সূত্র: জাগোজবস ডটকম




সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্সিং পেশা

বাংলাদেশের চাকুরীর বাজার খুবই নাজুক অবস্থায় আছে, যেখানে ৪৭% শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেকার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে সারা দেশে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার বেকার আছেন।

বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত “বাংলাদেশ স্কিলস ফর টুমরোস জবস” প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের কলেজগুলো থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা ৭০ শতাংশ বেকার থাকে। যেখানে পর্যাপ্ত চাকুরীর ক্ষেত্র তৈরি হয় না, সেখানে বিকল্প পেশা হিসাবে সম্মানজনক অবস্থায় আছে ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্তপেশা।

ফ্রিল্যান্সিং খাতে বাংলাদেশ বেশ ভাল অবস্থানে আছে, বিশ্বে বাংলাদেশের দক্ষ পেশাদারদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে শত কোটি টাকার। হিসেব মতে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সার আছে ৫ লক্ষাধিক।

ফ্রিল্যান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি পেশার ধরণ। আমরা সাধারণত মনে করি দুই ধরণের পেশা, চাকুরী বা ব্যবসা। কিন্তু আরেক ধরণের পেশা আছে, যার নাম আমাদের জানা ছিল না, সাম্প্রতিক জনপ্রিয়তা পাওয়া পেশা। যেমন ইমারত নির্মাণকর্মী বা রাজমিস্ত্রির পেশাকে আপনি কি বলবেন? চাকুরী নাকি ব্যবসা? একই ভাবে রিক্সাচালক, ইলেক্ট্রিশিয়ান, নাপিত, ধোপা। যারা প্রোজেক্ট ভিত্তিক কাজ করে এর মধ্যে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, সাংবাদিক, ঠিকাদার ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং হল কোন প্রতিষ্ঠানে পার্মানেন্ট চুক্তিবদ্ধ না হয়ে বরং প্রোজেক্ট ভিত্তিক কাজ করা। ফ্রিল্যান্সিং করে আসছে মানুষ শত বছর ধরে। একটি রিক্সাচালকও ফ্রিল্যান্সার বা মুক্তপেশাজীবী। যাদের কাজের স্বাধীনতা আছে, ইচ্ছা হলে চালাবে, ইচ্ছা না হলে চালাবে না।

ফ্রিল্যান্সাররা মূলত কোন একটি কাজের উপরে বিশেষভাবে দক্ষতা অর্জন করে এবং এদেরকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাসিক বেতন দিয়ে রাখা সম্ভব নয় বা কেউ রাখে না। যেমন নাপিত বা ডাক্তার বা উকিল, নাপিতকে বেতন দিয়ে না রেখে যখন লাগবে তাকে কাজে লাগানো এবং সেই মোতাবেক পরিশোধ করা ভাল।

ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের পরিমানও বেশি। যেমন মেহেরপুরের একটি অটোরিক্সা চালক কমপক্ষে ২০-৩০ হাজার টাকা মাসিক আয় করেন, যেটা তাঁর যোগ্যতা এবং স্বাভাবিক বেতনের থেকে কয়েক গুণ বেশি। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ওয়েব ডেভেলপার বা ঠিকাদারের কথা নাই বা বললাম।

তাহলে আউটসোর্সিং কি?
মনে করেন আপনাকে আমঝুপি থেকে মেহেরপুরে যেতে হবে, নিজের পরিবহন নাই। আপনি রহিম নামের একজন রিক্সাচালককে ভাড়া করলেন। এখানে রহিম হল ফ্রিল্যান্সার, আর আপনার যেহেতু গাড়ি নাই, আপনি রহিমের সার্ভিসটি আউটসোর্স করলেন। মানে ক্লাইন্ট করে আউটসোর্সিং আর ফ্রিল্যান্সার করে ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সার হতে কি কি লাগে?
ফ্রিল্যান্সারদের মূল বিনিয়োগ হচ্ছে তাঁদের দক্ষতা। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা ওয়েব ডেভেলপার বা গ্রাফিক ডিজাইনার বা মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে হলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করা পর্যন্ত ধৈর্যশীল হতে হবে। কাজ বুঝার বা কাজ করার মত ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ফ্রিল্যান্সার হওয়া যেমন কঠিন, তেমন একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের আয়ও কম নয়। কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্যশীল হওয়া, নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হওয়া, শেখার ইচ্ছা প্রবল থাকা।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন?
আমি মূলত অনলাইন প্রোফেশনাল হওয়া বা অনলাইনের কাজ গুলোর কথাই বলছি। কোন ভাবে ভেবে নেবেন না আমরা অনলাইনে কাজ করি, অনলাইন হল আমাদের শুধুই কাজ পাওয়ার মাধ্যম মাত্র।

মনে করেন আপনি একটি ইকমার্স ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি টি-শার্টের অর্ডার দিলেন, ওনারা আপনাকে প্রোডাক্ট সুন্দরবন কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিল। এখানে ইকমার্স অনলাইনের মাধ্যমে একটি অর্ডার বা ক্লাইন্ট পেল, বাকি কাজ গুলো স্বাভাবিক। আমরাও অনলাইনের মধ্যে কাজ পায়, বাকি কাজ গুলো স্বাভাবিক ভাবেই করতে হয়।

আগে আপনি ঠিক করুন আপনার কি ধরণের কাজ করতে ভাল লাগে। যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাকাউন্টিং, এইচআরএম ইত্যাদি, প্রয়োজনের গুগলে সার্চ করে দেখে নিন কি কি কাজ অনলাইনে পাওয়া যায়। তার উপরে ভিত্তি করে আপনি স্থির করুন আপনি কোন কাজে ভাল বা আপনার জন্য কোন কাজটা ভাল হবে।

সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ বা সফল ফ্রিল্যান্সারের সাথে আলাপ করতে পারেন। নির্বাচিত বিষয় নিয়ে ইউটিউবে বা গুগলে সার্চ করুন। অনেক ইউটিউব চ্যানেল পাবেন যারা টিউটোরিয়াল দিচ্ছে বা অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা অনলাইন কোর্স দিচ্ছে। যেমন ইশিখন, টেন মিনিট স্কুল ইত্যাদি।

মেহেরপুরে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং দেয় এবং আমঝুপিতে অল্টারনেটিভ স্কুল নামের একটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং দেয়। যারা ঢাকাতে আছেন বা অন্য জেলাতে আছেন খোঁজ নিয়ে দেখুন উক্ত এলাকাতে ট্রেনিং দেয় এমন প্রতিষ্ঠান থাকতে পারে, না থাকলে অনলাইন কোর্স করুন।

যেহেতু অনেক কিছু শিখতে হয় আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কোন এক্সপার্ট বা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথায় বলব। সঠিক দিক নির্দেশনা, মোটিভেশন এবং শাসন পাবেন। আর নতুনদের জন্য শুধু অনলাইন থেকে শিখতে বেশ কঠিন হতে পারে।

কাজ শিখে কাজ পাবেন কোথায়?
অনলাইনে এই জাতীয় কাজের অনেকগুলো ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস আছে। যেখানে যে ক্লাইন্টের বা কোম্পানির কাজ আউটসোর্স করা লাগে, তাঁরা মার্কেটপ্লেস গুলোতে জব পোস্ট করে রেখে দেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা উক্ত জবে এপ্লিকেশন করেন।

ক্লাইন্টের পছন্দ হলে ক্লাইন্ট আপনাকে হায়ার করবেন। কাজ করাবেন এবং উক্ত মার্কেটপ্লেসেই আপনাকে আপনার পারিশ্রমিক হিসাবে টাকা বা ডলার দিয়ে দেবেন।

উক্ত টাকা বা ডলার আপনি বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকে উত্তোলন করতে পারবেন, আপনার নিজের ক্রেডিট কার্ড বা পেপ্যাল থাকা বাধ্যতামূলক না। আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ফাইবার, পিপল পার আওয়ার, গুরু, বাংলাদেশী বিল্যান্সার জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলোর অন্যতম।

আমি কেন ফ্রিল্যান্সিং পেশা বেছে নিলাম?
আমার ছোটবেলা থেকে আইটির প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল। পারিবারিক চাপে বিবিএ এবং এমবিএ করলেও আইটিতে কিছু একটা করার প্রবল ইচ্ছা ছিল আমার।

২০০৯ সালের ঢাকা থাকাকালীন সময়ে আমি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করি। ফ্রিল্যান্সিং ভাল লাগায়, কর্পোরেট চাকুরী ছেড়ে আমি ফ্রিল্যান্সিং-এই মন দেই, পরে ২০১০ সালে ঢাকা থেকে মেহেরপুরে চলে আসি। ফ্রিল্যান্সিং-এ স্বাধীনতা, স্বাভাবিক চাকুরীর থেকে বেশি আয়ের সুবিধা, নতুন কিছু করার সুবিধা, বিদেশি ক্লাইন্টদের বন্ধুত্বসুলভ আচরণের কারণে ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসাবে বেছে নেই।

ফ্রিল্যান্সিং-এ মেহেরপুর
পার্শ্ববর্তী জেলার থেকে মেহেরপুরের ফ্রিল্যান্সিং খাতটি খুবই নাজুক অবস্থানে আছে। আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে সার্চ করে দেখা যায়, ১০২ জন নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার আছে, যার মধ্যে ১৭ জন ফ্রিল্যান্সার আয় করতে পেরেছে, ৬-৭ জন ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন।

ফ্রিল্যান্সার ডট কমে সার্চ করে দেখা যায় ৪৯৫ জন (কম-বেশি হতে পারে) ফ্রিল্যান্সার হিসাবে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু আয় করতে পেরেছেন মাত্র ৩২ জন। যার মধ্যে ৭-৮ জন ক্যারিয়ার হিসাবে ফ্রিল্যান্সিংকে বেছে নিয়েছেন।

যেখানে অন্য পেশার থেকে স্বাধীনতা বেশি, চাকুরীজীবী বা ছাত্র বা গৃহিণীরাও ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন, এবং মেহেরপুরে যেহেতু পর্যাপ্ত চাকুরীর ক্ষেত্র নাই, সেখানে এই পরিসংখ্যান কোন ভাবেই আশার আলো দেখায় না। বাংলাদেশে অনেক জেলায় আছে যারা এই সুযোগ গুলোকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের এগিয়ে নিচ্ছেন, আয়ও করছেন বৈদেশিক মুদ্রা। মেহেরপুরে এই সম্ভাবনাময় খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান করা সম্ভব।

লেখকঃ প্রধান নির্বাহী, ইউনিক সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি- বাংলাদেশ




তিন উপজেলার দুটিতে নেই সাব-রেজিস্ট্রার, দুর্ভোগে মেহেরপুরবাসী

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার বদলি হয়েছেন গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর। মুজিবনগর উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার নেই এক বছর ধরে। আর ১৪ ডিসেম্বর জেলা রেজিস্ট্রার অবসরে গেছেন। এ পদটিও শূন্য। শুধুমাত্র সদর উপজেলায় রয়েছেন একজন সাব-রেজিস্ট্রার। তিনি সদর ও মুজিবনগর উপজেলা অফিস সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

শূন্য পদের ফলে গাংনী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সকল কার্যক্রম স্থবির। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জমি কেনাবেচনা ও জরুরী কাজে দলিল উত্তোলন করতে আসা লোকজন। অতিরিক্ত দায়িত্ব কিংবা শূন্য পদ পূরণ না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এখানকার মানুষগুলো। শূন্য পদ পূরণ সাপেক্ষে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে এখন মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন হাজারও ভুক্তভোগী মানুষ।

এদিকে, বেকার সময় পার করছেন দলিল লেখক ও তাদের সহকারীসহ দুই শতাধিক মানুষ।
গাংনী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভৌগলিক দিক থেকে গাংনী উপজেলা মেহেরপুর জেলার অর্ধেক। জনসংখ্যাও এখানে বেশি। ফলে জমি কেনাবেচনার পরিমাণও অনেক। প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়ে থাকে। সর্বশেষ সাব-রেজিস্ট্রার ২৯ ডিসেম্বর বদলি অবস্থায় ৯ হাজার ৯৭৪টি দলিল ভলিউম রেজিস্ট্রির প্রক্রিয়ায় ছিল। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ভলিউম হয়েছে। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরের অভাবে সেগুলো মলিকদের দিতে পারছে না।

একইভাবে আরও ৬ হাজার ৯৭৪টি দলিল ভলিউম রেজিস্ট্রিারে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার দলিল হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন দলিল মালিকরা।

জমি ক্রেতা পুর্ব মালসাদহ গ্রামের মুক্তার হোসেন বলেন, আমি এক প্রবাসীর কাছ থেকে দেড় বিঘা জমি কিনে রেজিস্ট্রির দিনক্ষণ ঠিক করি। এখন সেই প্রবাসী আবারও বিদেশ চলে যাচ্ছে। এখন জমি রেজিস্ট্রি না হলে আমার জমির মালিকানা অনিশ্চিত। এ অবস্থায় আমার দুশ্চিন্তার সীমা নেই।

গাংনী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, রেজিস্ট্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমরা ৭০ জন মুহুরী ও ১৫০ জন সহকারী বেকার সময় কাটাচ্ছি। অপরদিকে, ডিসেম্বর মাসে আমাদের সনদ নবায়ন হয়নি। জেলা রেজিস্ট্রার না থাকায় আমাদের দুর্ভোগের কথা বলার জায়গাও নেই।

গাংনী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের টিসি মহরার আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রতিদিনই দলিল নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন দলিল মালিকরা। সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় আমাদের সকল কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। মানুষের নানা মন্তব্য ও গালমন্দও শুনতে হচ্ছে।

এদিকে, মুজিবনগর ও সদর উপজেলা অফিস সামলাচ্ছেন সাব-রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলাম। সদর উপজেলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রতি বুধবার তিনি মুজিবনগরে জমি রেজিস্ট্রি করেন। এতে সদর ও মুজিবনগর উপজেলার মানুষও ভোগান্তিতে রয়েছেন। সময় মতো দলিল রেজিস্ট্রি ও দলিলের নকল না পেয়ে জরুরী কাজ আটকে যাচ্ছে অনেকের।

২০১৩ সাল থেকে মুজিবনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের স্থায়ী কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখানে প্রতি সপ্তাহে ৬০-৭০টি দলিল রেজিস্ট্রি হয়। ২০১৫ সাল থেকে সাব-রেজিস্ট্রার সাদিকুল ইসলাম তালুকদার ২০১৮ সাল পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। তারপর থেকেই এ পদটি ফাঁকা।

সাব-রেজিস্ট্রার পদায়ন ও বদলি হয় আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় থেকে। তাই এ সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ের সুনজর ছাড়া ভোগান্তি লাঘব সম্ভব নয় বলে মনে করেন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সংশ্লিষ্টরা।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, সরকারের কাছে জানানো হচ্ছে। আশা করছি আমাদের এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে দ্রুত শূন্য পদে সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেবেন সরকার।




মেহেরপুরের সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক মুজাহিদ ও শিক্ষা অফিসার আহত

মেহেরপুর নিউজ এর যুগ্ম বার্তা সম্পাদক ও মানবকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি এস.এম মুজাহিদ আল মুন্না ও গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে।

মোটরসাইকেল যোগে গাংনী থেকে মেহেরপুর আসার পথে, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর বন বিভাগের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।