চুয়াডাঙ্গায় জমকালো আয়োজনে এশিয়ান টিভির সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে

জনপ্রিয় স্যাটেলাইট চ্যানেল “এশিয়ান টেলিভিশন”র ৭ম বর্ষপূর্তি শেষে অষ্টম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আজ ১৮ জানুয়ারি জমকালো আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন।

দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক শাহ আলম সনি’র সঞ্চালনায় এবং এশিয়ান টিভির চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জনাব আজাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার সূ্যোগ্য জেলা প্রশাষক জনাব নজরুল ইসলাম সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার জনাব জাহিদুল ইসলাম, ঐতিহ্যবাহী কেরু এন্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব জাহেদ আলী আনসারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব কলিমুল্লাহ, চুয়াডাঙ্গার নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মজিবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জনাব রাজিব হাসান কচি,বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির চুয়াডাঙ্গা ইউনিটের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক জনাব আজাদ মালিথা,চুয়াডাঙ্গা আদর্শ মহিলা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা) মাহমুদ কবির তপন।উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, অনুষ্ঠানে কেক কাটা আলোচনা সভা এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়, বর্নিল আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন




ঝিনাইদহে জাতীয় সঞ্চয় সপ্তাহের উদ্বোধন

‘অপচয় না করে সঞ্চয় কর, সমাজ ও দেশকে সমৃদ্ধ কর’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে জাতীয় সঞ্চয় সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।
জেলা সঞ্চয় অফিসের আয়োজন শনিবার সকালে শহরের এইচ এস এস সড়কের জেলা কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

জেলা সঞ্চয় অফিসের সহকারী পরিচালক ময়েন উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফ-উজ-জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আবুল বাশার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিনিয়োগকারী মনোরঞ্জন বিশ্বাস, জেলা সঞ্চয় অফিসের আবু সাঈদ প্রমুখ।

এসময় বক্তারা, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সরকারের বাজেট ঘাটতি পুরণে সকলকে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

 




দেশব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন

‘ধর্ষণসহ সকল নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমরা’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে দেশব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

শনিবার সকালে শহরের পায়রাচত্বরে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে জেলা মানবাধিকার ফোরাম। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানবাধিকার কর্মীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা মানবাধিকার ফোরামের সভাপতি আমিনুর রহমান টুকু, সাধারণ সম্পাদক শরিফা খাতুন, সাবেক উপাধ্যক্ষ এন এম শাহজালাল, মানবাধিকার কর্মী রুবেল হোসেন, অধ্যক্ষ সুব্রত মল্লিক, সাজেদুর রহমান ফেটু, সুরাইয়া পারভীন মলি, আশরাফুন্নাহার আশাসহ অন্যান্যরা।

বক্তারা, দেশব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে দোষিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান। সেই সাথে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

 




গাংনীর ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৮৯ সালের ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী

গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৪ সালের এসএসসি ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বন্ধু পুনর্মিলনী ২০২০ উনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সারাদিন ব্যাপী ভাটপাড়া ফুটবলমাঠে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বন্ধু পুনর্মিলী অনুষ্ঠান উদযাপন করেন উক্ত সনের ছাত্রছাত্রীবৃন্দরা। অনুষ্ঠানের আহবায়ক হেলাল উদ্দীনের পক্ষ থেকে বন্ধুদের মাঝে উপহার প্রদান করেন।

স্মৃতিচারণ মুলক বক্তব্য রাখেন আহবায়ক হেলাল উদ্দীনসহ অন্যান্য নানা কাজে নানা পেশায় কর্মরত বন্ধুদের নিয়ে স্বরচিত গান পরিবেশন করেন আবু হানিফ। হোমিও পেশায় নিয়োজিত বন্ধু ইয়ারুল ইসলাম ও ব্যাবসায়ি আরাফাত হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি প্রানোজ্জল হয়ে ওঠে।
এসময় উপস্থিত ১৯৮৯ সালের ছাত্র-ছাত্রীরা একত্রে মিলিত হয়ে আনন্দে উল্লাশে খোশ গল্প গানে আড্ডায় মেতে ওঠে।




মেহেরপুরের ভাষা সৈনিক নজির হোসেন বিশ্বাস আর নেই

মেহেরপুরের ভাষা সৈনিক নজির হোসেন বিশ্বাস ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

শনিবার দুপুর ১ টার সময় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে, ২ মেয়েসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে বসবাস করে আসছিলেন। কয়েকদিন আগে গুরতর অসুস্থ হলে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

মরহুমের বড় ছেলে আবদুল্লাহ মাসুদ জানান, বাদ মাগরিব জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ভাষা আন্দোলনের জন্য মিছিল মিটিং পোষ্টার লাগানোর অপরাধে মেহেরপুরের তৎকালীন সাত ছাত্রকে আটক করেছিল পুলিশ। পরবর্তিতে ওই সাত ছাত্রকে স্কুল থেকে রাজটিকিট দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন ভাষা সংগ্রাম কমিটির ছাত্ররা শহরে পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে শহরে আন্দোলন করেছিলেন। তাদের একজন মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের নজির হোসেন বিশ্বাস। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

এদিকে ভাষা সৈনিক নজির হোসেন বিশ্বাসের মৃত্যূতে গভির শোক ও পরিবারের প্রতিসমবেদনা জানিয়েছেন মেহেরপুর প্রতিদিন এর সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, প্রকাশক এম এ এস ইমন, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেলর আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, অরণী থিয়েটারের সভাপতি নিশান সাবেরসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

মেপ্র/ইএম




চোরাপথে আসা ভারতীয় ১ কেজি গাজা উদ্ধার

চোরাপথে আসা ভারতীয় ১ কেজি গাজা উদ্ধার করেছে মুজিবনগর সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা ।

শনিবার ভোরের দিকে বিজিবির একটি টহল দল এসব ফেনসিডিল উদ্ধার করে। মুজিবনগর সীমান্তে বিজিবির নায়েক আঙ্গুর ইসলাম জানান, রাতে বিজিবির টহল দল টহল শেষে ভোরের দিকে ফেরার পথে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে ।




চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে জমে উঠেছে খেজুর গুড়ের হাট

দেশের অন্যতম বড় খেজুর গুড়ের হাট বসে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে গাছিরা খেজুর গাছের রস থেকে গুড় তৈরি করে। ওই গুড় বিক্রি হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ গুড়ের হাটে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গুড় ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন গুড় কিনতে। সপ্তাহের শুক্র ও সোমবার হাট বসে এখানে।

চুয়াডাঙ্গার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় রয়েছে আড়াই লক্ষাধিক খেজুর গাছ। এ থেকে আড়াই হাজার মেট্রিকটন খেজুরের গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে কৃষি বিভাগের। শীত মৌসুমে গাছিরা এসব গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি শুরু করেন। গাছিদের উৎপাদিত সুস্বাদু খেজুরের গুড় বিক্রির জন্য নেয়া হয় সরোজগঞ্জ হাটে।

সরেজমিনে সরোজগঞ্জ গুড়ের হাটে দিয়ে দেখা যায় হাজার হাজার গুড়ের ভাড়। ব্যবসায়ীরা জানান, এবছর ১০/১২ কেজি ওজনের এক ভাড় গুড় বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। সপ্তাহের শুক্রবার ও সোমবার এখানে গুড়ের হাট বসে। প্রতি হাটে ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক গুড় বেচাকেনা হয় এ হাটে। এ হাটের গুড়ের মান বেশ ভালো, তুলনামূলকভাবে দামও কম। এ কারণে দূর-দূরান্ত থেকে ব্যাপারীরা এ হাটে আসেন গুড় কিনতে।
সিরাজগঞ্জ জেলার গুড় ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি ১৫-১৬ বছর ধরে সরোজগঞ্জের এ হাটে আসি গুড় কিনতে। সিরাজগঞ্জ জেলাতে চুয়াডাঙ্গার গুড়ের বিশেষ চাহিদা রয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ হাটের ইজারাদার জাহিদ হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গার খেজুরগুড়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ভেজালমুক্ত গুড় তৈরি হয় চুয়াডাঙ্গায়। এজন্য চুয়াডাঙ্গার খেজুর গুড়ের কদরও বেশি। এ হাট থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা ও দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার খেজুর গুড়।
তিনি আরো জানান, সরোজগঞ্জে সপ্তাহে অন্তত এক কোটি টাকার গুড় বেচাকেনা হয়ে থাকে। আগামি মার্চ মাস পর্যন্ত এ হাটে গুড় বিক্রি হবে।

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আলী হোসেন বলেন, সরোজগঞ্জের খেজুরের গুড়ের জন্যই খেজুরগাছের যত্ন নিয়ে থাকেন এলাকার চাষীরা। জেলায় উৎপাদিত গুড় সহজে এবং বেশি দামে সরোজগঞ্জের হাটে বিক্রি করতে পারে চাষীরা। সরোজগঞ্জের হাটের গুড় চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মেপ্র/আরজেএম

আরো পড়ুন –




মেহেরপুরে নতুন স্বেচছাসেবী সমাজ কল্যাণ মূলক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

মেহেরপুরে “গর্জে ওঠো মেহেরপুর” নামের আরো একটি স্বেচছাসেবী সমাজ কল্যাণ মূলক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে শুক্রবার বিকালে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক শেখ ফরিদ আহমেদ এবং মনারুল ইসলাম উপস্থিত থেকে সংগঠনের সুচনা করেন।
সংগঠনের সভাপতি হিসাবে মো: বিপ্লব রেজা, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো: রলিপ হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইচ্ছমিন নাইস, সাংগঠনিক সম্পাদক আফিপ, নারী বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রিফা খাতুনের নাম ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়াও সংগঠনের সদস্যবৃন্দ দের মধ্যে রয়েছেন আজিজুল হাকিম, মো: মাফুজ, লামিয়া ইসলাম যূথী, মিলি খাতুন, মীর লাবণী, জান্নাত আক্তার ডানা, মো: মিদুল হাসান, প্রজ্জল, মো: আল হেলাল অন্তর, জুবায়ের আল নোমান, মো: হাসানুজ্জামান বিজয়, আপন, মো: হাসান, সম্পা, মো: অনিক চৌধুরি, মো: নাফিজ ইকবাল, তালহা, রাজু, তামিম, মান্না, সাজিদ, আবিদ, জিহাদ, সাব্বির, রাফি, বিতণ, মো: মাসুম বিল্লাহ, মাইমুনা রহমান মুনা, মোছা: আন্নি, মোছা: শাহিন আফরোজ, ফারিহা ইয়াসমিন তিথি, মোছা: সুমাইয়া আক্তার, মোছা: বন্যা পারভীন, মহাসারা মুস্তারি মুনমুন, মোছা: ফাতেমা আক্তার, মাটিনা মন্ডল, ফারিয়া আফরিন,আকসা পারভীন, মো: রাহাত হাসান, মো: নাঈম ইসলাম সিয়াম, সাঈদ।

সংগঠনের নব গঠিত কমিটির সভাপতি জানান, সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- দরিদ্র শিশুদের বই-খাতা আর্থিক সহযোগিতা, নারী ও শিশুর অধিকার রক্ষা করা, প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, ব্লাড ডোনেট, বৃক্ষরোপণ, বস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি।




বিপাকে কাজী হায়াৎ

গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক কাজী হায়াৎ। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে ‘দাঙ্গা’, ‘ইতিহাস’, ‘অন্ধকার’সহ অর্ধশত সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। কাজের সম্মাননা হিসেবে পেয়েছেন আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সম্প্রতি তিনি তার ক্যারিয়ারের ৫০তম চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন সুপারস্টার শাকিব খানকে নিয়ে। তবে হঠাৎ বেফাঁস মন্তব্য করে রোষানলের শিকার হয়েছেন চলচ্চিত্রের এই ব্যক্তিত্ব।

সম্প্রতি মেকআপম্যান ও স্টিল ফটোগ্রাফারদের তিনি ‘চামচা’ বলে অভিহিত করেন। কাজী হায়াৎ একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, আমাদের বাংলা চলচ্চিত্র শিল্পের দুটি ডিপার্টমেন্ট ‘মেকআপম্যান’ ও ‘স্টিল ফটোগ্রাফার’। এদের যারা প্রধান থাকেন তারা সাধারণত নায়ক-নায়িকা, প্রযোজকদের মোসাহেবি করে, বাংলা কথায় চামচামি করে। যদিও ‘চামচামি’ বলার জন্য অনেকে আমার ওপর রাগ করতে পারেন। তাদের তো বিবেক আছে, ব্যক্তিত্ব আছে। তাদের ব্যক্তিত্বে আঘাত লাগে না চামচামি করতে? আমার পক্ষ থেকে আমি বলব, আমার বয়স ৭৩। ৫০তম ছবির কাজ চলছে। এখনই তো আমার বলার সময়। আমি ছাড়া বলার আর কেউ নেই।

কাজী হায়াতের এমন মন্তব্যে চটেছেন মেকআপম্যান ও স্টিল ফটোগ্রাফারদের অনেকেই। তারা ফেসবুকে প্রসঙ্গটি নিয়ে সমালোচনা করছেন। এ প্রসঙ্গে স্টিল ফটোগ্রাফার জিডি পিন্টু ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, গীবত আর দম্ভোক্তির কিছু অডিও। কী উদ্ভট উম্মত্ত অবিমৃষ‌্যকারিতায় দীর্ঘদিনের মধুর সম্পর্ক, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার নিকুঞ্জের সিংহদ্বারের খিলি এঁটে দেওয়া হলো। চলচ্চিত্রের অবহেলিত দুটি পেশাজীবী শিবিরে এখন শুধু ক্ষোভ। এখন থেকে তার কোনো ছবিতে স্থির চিত্রযন্ত্রের শাটারের শব্দ হবে না, ফ্ল্যাশও জ্বলবে না।




এসইও শিখুন: পর্ব ১

আউটসোর্সিংয়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) কাজ বেশ জনপ্রিয়। আগ্রহীদের জন্য ‘এসইও শিখুন’ নামে ধারবাহিক পর্ব শুরু হচ্ছে। প্রতি শুক্রবার প্রকাশিত হবে এসইও বিষয়ক পোস্ট।

এসইও কী এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সহজভাবে বলতে গেলে, মূলত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের কিছু নিয়মকানুন যা অনুসরণ বা প্রয়োগ করা হলে সার্চ ইঞ্জিন কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে এবং র‌্যাঙ্ক করে থাকে। বর্তমান বিশ্বে প্রতিযোগিতা এসইও ছাড়া সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর বা ট্রাফিক পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সাধারণত এসইও ছাড়া কোনো ওয়েবসাইটকেই সার্চ ইঞ্জিন র‌্যাঙ্কই করে না।

*ইংরেজি শব্দ এসইও (SEO) এর সম্পূর্ণ রূপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (search engine optimization) যা সার্চ ইঞ্জিনের কিছু সুনিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিত নিয়ম/পদ্ধতি বা মেথড। যে সকল নিয়মগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেজের প্রথম দিকে দেখাতে পারবেন। এসইআরপি (SERPs) তে প্রথম দিকে আপনার ওয়েবসাইটটিকে দেখানোই এসইও-এর মূল উদ্দেশ্য।

*সার্চ ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে মূলত ইউজারদের অনুসন্ধানের সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য আর এসইও (SEO) সেই তথ্যকে সার্চ ইঞ্জিন উপযোগী করে তুলে। এসইও এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি সার্চ ইঞ্জিনে ইউজাররা কী তথ্য খুঁজছে, কী ধরনের সমস্যার সমাধান চাচ্ছে, কী ধরনের শব্দ বা কিওয়ার্ড ব্যবহার করছে এবং কী ধরনের কনটেন্ট তারা চায়। এসইও এর মাধ্যমে আমরা সহজেই ইউজারদের এ সকল সমস্যার সমাধান দিতে পারি।

এসইও এর ইতিহাস:
আজকের এই এসইও অনেক পরিবর্তনের ফলাফল, যা আমরা মূলত গুগলের মাধ্যমে দেখতে পাই। ১৯৯১ সালে ৬ই আগস্ট টিম বার্নাস লির হাত ধরে প্রথম ওয়েবপেজ প্রকাশ করা হয়। এর কয়েক বছর পর ১৯৯৭ সালে প্রথম অফিশিয়ালি এসইও-এর যাত্রা শুরু হলেও ২০০১ সাল থেকে এসইও-এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে।

জেরি ইয়াং এবং ডেভিড ফিলো ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠাতা করেন। তার পাশাপাশি তারা ইয়াহু ডিরেক্টরি তৈরি করেন।

১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিনের হাত ধরে গুগল প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে গুগল সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং প্রধান। ইন্টারনেটে গুগল মোট সার্চের ৯০% এর চেয়েও বেশি গ্রাহক পেয়ে থাকে এবং এর পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন জনপ্রিয় পণ্য ও সেবা রয়েছে।

১৯৯৮ সালে গোটো ডটকম (Goto.com) স্পনসর লিংক এবং পেইড সার্চ চালু করে। যেখানে অরগানিক রেজাল্টে প্রথমে থাকার জন্য পেইড করার প্রয়োজন হতো। গোটো মূলত ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিনের সমর্থন নিয়ে কাজ করেছিল।
তারপর থেকে এ পর্যন্ত সার্চ ইঞ্জিনগুলো বিভিন্ন অ্যালগরিদম আপডেটের মাধ্যমে আজকের এ জায়গায় এসেছে। প্রতিযোগিতার দিক দিয়ে গুগল বর্তমানে সবার সেরা এবং মানসম্পন্ন সার্চ ইঞ্জিন।

সার্চ ইঞ্জিন বেসিক
সার্চ ইঞ্জিন মূলত একটি উত্তরদাতা যন্ত্র। এগুলো ইন্টারনেট থেকে লাখ লাখ কনটেন্ট পরিমার্জন/সন্নিবেশিত করে এবং এর মধ্য থেকে আবার হাজার হাজার ফ্যাক্টর দিয়ে মূল্যায়ন করার মাধ্যমে ঠিক করে কোনো তথ্যটি ইউজারের সার্চ অনুযায়ী সঠিক তা খুঁজে বের করে ইউজারের সামনে উপস্থাপন করে।

আর সার্চ ইঞ্জিন কাজটি করে থাকে ইন্টারনেটে যত তথ্য পাওয়া যায় (ওয়েব পেজ, ইমেজ, ভিডিও, পিডিএফ ইত্যাদি) তা ক্রলিং এবং ইনডেক্সিং এর মাধ্যমে। যে তথ্যটি ইউজারের জন্য বেশি উপযোগী তা র‍্যাঙ্কিং করে থাকে।