পরিবারে সচেতনতা প্রতিরোধ হবে ক্যানসার

ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই ক্যানসার প্রতিরোধে। এর পাশাপাশি পারিবারিকভাবে সচেতন হওয়ার গুরুত্বও অপরিসীম। পারিবারিক সচেতনতা থেকে অনেক ধরনের ক্যানসারই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

• হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস যকৃতের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। স্বামী বা স্ত্রীর হেপাটাইটিস বি বা সি পজিটিভ হলে অবশ্যই অপরজনকে পরীক্ষা করাতে হবে। হেপাটাইটিস বি-এর টিকা নেওয়া না থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরিবারের সবাই তা নিতে হবে।

• ধূমপান সব সময়ই বর্জনীয়। বিশেষত ঘরোয়া পরিবেশে কিংবা পারিবারিক বা বন্ধুদের আড্ডায় ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবারে ছোট শিশু বা গর্ভবতী নারী থাকলে তো ধূমপান করাই যাবে না। মনে রাখতে হবে, পরোক্ষ ধূমপানে ফুসফুস, স্তন, গলা, কিডনি, পাকস্থলীর ক্যানসার, শিশুর ব্লাড ক্যানসার ও মস্তিষ্কে টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে।

• বাল্যবিবাহ জরায়ুমুখ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বাল্যবিবাহকে ‘না’ বলুন।

• হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস জরায়ুমুখ ক্যানসারের অন্যতম কারণ। মুখের ও পায়ুপথের ক্যানসারেরও কারণ এটি। অনিরাপদ যৌনসংসর্গ, বহুগামিতা ইত্যাদি কারণে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। তাই পারিবারিক মূল্যবোধের চর্চা জরুরি। মেয়েশিশুদের এইচপিভি টিকা দিন।

বেশি করে রঙিন শাকসবজি, তাজা ফলমূল, আঁশযুক্ত খাবার ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।
ধূমপান সব সময়ই বর্জনীয়।

• নিকটাত্মীয় কারও স্তন, ডিম্বাশয় বা কোলন ক্যানসার হয়ে থাকলে বংশগতভাবে এর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত স্ক্রিনিং করুন।

• পরিবারের প্রবীণ সদস্যটির অনেক ছোট ছোট উপসর্গ উপেক্ষা করা হয়। যেমন পেটব্যথা বা গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, দীর্ঘমেয়াদি কাশি, অরুচি, ওজন কমে যাওয়া, শরীরে বা হাড়ে ব্যথা ইত্যাদি। বার্ধক্যজনিত উপসর্গ মনে করা হয় এসব সমস্যাকে। কিন্তু এগুলোও হতে পারে ক্যানসারের লক্ষণ। কাজেই এসব উপসর্গ দেখা গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

• নারীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গের কথা গোপন রাখেন। লজ্জা, অবহেলার কারণে এমনটা করেন তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এসব কারণে নারীদের একেবারে শেষ পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত হয়। একই কারণে অন্য কোনো রোগের ক্ষেত্রেও সময়ানুযায়ী সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন তাঁরা। কাজেই পরিবারের নারী সদস্যটি যেন নির্দ্বিধায় তাঁর সব সমস্যার কথা বলতে পারেন, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

• পরিবারে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। বেশি করে রঙিন শাকসবজি, তাজা ফলমূল, আঁশযুক্ত খাবার ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক।

লেখক: মেডিসিন ও ক্যানসার বিশেষজ্ঞ, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

 

 

সূত্র- প্র্রথম আলো




মেহেরপুর জেলা কমিউনিটি ক্লাবের মিলনমেলা সম্পন্ন

মেহেরপুর কমিউনিটি ক্লাবের মিলনমেলা। গতকাল শুক্রবার দিন ব্যাপী ১২’শ মেহেরপুরিয়ানদের মনমাতানো নানা আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মত।

তিন উপজেলার তিন দলের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, র‌্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সব শেষে হয় পুরুষ্কার বিতরণী।

এর আগে মেহেরপুর কমিউনিটি ক্লাবের সকল সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এস ইমন।

এ সময় এম.এ.এস ইমন বলেন, মেহেরপুর মোদের অহংকার, একতা মোদের অঙ্গিকার, এই স্লোগানে যাত্রা শুরু করেছে মেহেরপুর কমিউনিটি ক্লাব। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মেহেরপুরবাসীর সুখে দুখে পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর ২ আসনের সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আব্দুস সালাম, কর্নেল সামস, রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ।

সাংসদ সাহিদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, মেহেরপুর বাসীর জন্য অতন্ত্য আনন্দের বিষয় যে, মেহেরপুর বাসী আজ একই সুতোই গাঁথা। ঢাকার বুকে দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে এই সংগঠনটি।

মেহেরপুর কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি সেলিম আহমেদ বলেন, মেহেরপুর কমিউনিটি ক্লাব একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। মেহেরপুরবাসীর সুখে দুখে পাশে থাকার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞা বদ্ধ। আজ শুক্রবার আমরা প্রথমবারের মত মিলন মেলার আয়োজন করেছি।

পরে অতিথি শিল্পীদের নিয়ে মন মাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম বারের মিলন মেলা।

মেপ্র/ইএম




মেহেরপুরের পাটকেলপোতায় ২৫ গ্রাম গাঁজাসহ আটক ১

মেহেরপুর সদরের বারাদি পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৫ গ্রাম গাঁজাসহ রফিকুল ইসলাম রফিক (৪২) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে বারাদি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস.আই আব্বাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটকেল পোতা মোড়ে অভিযান চালিয়ে ২৫ গ্রাম গাঁজাসহ পাটকেলপোতা গ্রামের মৃত গফুরের ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিককে আটক করে।

গতকালই বারাদি ক্যাম্পের পুলিশ গাঁজাসহ গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল কে মাদক মামলা দিয়ে মেহেরপুর থানায় প্রেরণ করেন।

মেপ্র/ইএম




ইসলামী যুব আন্দোলন মেহেরপুর জেলা কমিটি গঠন

ইসলামী যুব আন্দোলনের মেহেরপুর জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর সদর উপজেলার নুরপুর কওমী মাদ্রাসা মসজিদে হাফেজ মাওলানা মুফতি শাহ হুজাইফা কে সভাপতি ও মাওলানা মো: আরিফুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা মো: খাদেমুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক।

কমিটির অন্যান্য নির্বাচিতরা হলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হাছান, অর্থ সম্পাদক মো: আব্বাস খাঁন, প্রচার সম্পাদক মো: আহাম্মেদ আলী, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক মো: ফিরোজ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো: ওমর ফারুক, দফতর সম্পাদক মো: আমিনুল ইসলাম।




আলমডাঙ্গায় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গোবিন্দপুর এশিয়া একাদশ

আলমডাঙ্গায় কলেজপাড়া একাদশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ১৬ দলের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় কলেজপাড়া একাদশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গোবিন্দপুর এশিয়া একাদশ।

প্রধান অতিথি থেকে টুর্নামেন্টের পুরষ্কার বিতরণ করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কলিম উল্লাহ, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবীদ গোলাম ছরোয়ার মিঠু, সহকারী অধ্যাপক আবু মোনায়েম, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামীম রেজা।

মাসুদ রানা তুহিনের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মীর আসাদুজ্জামান উজ্জ্বল, হাশেম রেজা, সোয়েবুজ্জামান সোহেল, জুয়েল, আরিফুল ইসলাম, সেলিম, প্রিন্স, মাসুম, জুয়েল আহমেদ, জহির, সোহাগ, হিল্লোল প্রমুখ।

গতকালের ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করে কলেজপাড়া একাদশ ও গোবিন্দপুর এশিয়া একাদশ। খেলায় কলেজপাড়া একাদশকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া একাদশ জয়ী হয়।

ম্যাচ অব দ্যা ম্যানের পুরষ্কার লাভ করেন এশিয়া একাদশের জামিরুল ও ম্যান অব দ্যা সিরিজের পুরষ্কার লাভ করেন কলেজপাড়া একাদশের মানিক। সেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কলেজপাড়ার সোয়ান।

রানার আপ দলকে ৮ হাজার টাকার প্রাইজমানি ও বিজয়ি দলকে এসবি প্রধান মীর শহিদুল ইসলামের পক্ষ থেকে ১৫ হাজার টাকার প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।

এছাড়া কলেজপাড়া একাদশের অধিনায়কত্ব করেন সেলিম এবং এশিয়া একাদশের অধিনায়কত্ব করেন রায়হান।

মেপ্র/ইএম




“গর্জে ওঠো মেহেরপুর” নামের সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

মেহেরপুরে “গর্জে ওঠো মেহেরপুর” নামের আরো একটি স্বেচছাসেবী সমাজ কল্যাণ মূলক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে শুক্রবার বিকালে এই সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক শেখ ফরিদ আহমেদ এবং মনারুল ইসলাম উপস্থিত থেকে সংগঠনের সুচনা করেন।

সংগঠনের সভাপতি হিসাবে মো: বিপ্লব রেজা, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো: রলিপ হাসান, সহ-সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইচ্ছমিন নাইস, সাংগঠনিক সম্পাদক আফিপ, নারী বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রিফা খাতুনের নাম ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়াও সংগঠনের সদস্যবৃন্দ দের মধ্যে রয়েছেন আজিজুল হাকিম, মো: মাফুজ, লামিয়া ইসলাম যূথী, মিলি খাতুন, মীর লাবণী, জান্নাত আক্তার ডানা, মো: মিদুল হাসান, প্রজ্জল, মো: আল হেলাল অন্তর, জুবায়ের আল নোমান, মো: হাসানুজ্জামান বিজয়, আপন, মো: হাসান, সম্পা, মো: অনিক চৌধুরি, মো: নাফিজ ইকবাল, তালহা, রাজু, তামিম, মান্না, সাজিদ, আবিদ, জিহাদ, সাব্বির, রাফি, বিতণ, মো: মাসুম বিল্লাহ, মাইমুনা রহমান মুনা, মোছা: আন্নি, মোছা: শাহিন আফরোজ, ফারিহা ইয়াসমিন তিথি, মোছা: সুমাইয়া আক্তার, মোছা: বন্যা পারভীন, মহাসারা মুস্তারি মুনমুন, মোছা: ফাতেমা আক্তার, মাটিনা মন্ডল, ফারিয়া আফরিন,আকসা পারভীন, মো: রাহাত হাসান, মো: নাঈম ইসলাম সিয়াম, সাঈদ।

সংগঠনের নব গঠিত কমিটির সভাপতি জানান, সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- দরিদ্র শিশুদের বই-খাতা আর্থিক সহযোগিতা, নারী ও শিশুর অধিকার রক্ষা করা, প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, ব্লাড ডোনেট, বৃক্ষরোপণ, বস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি।

মেপ্র/ইএম




বৃদ্ধাশ্রম- রাকিবুল ইসলাম কবি

দশমাস তোরে গর্ভে ধরে
কী পাপ করেছি ?
তুই যে ছিলি সাত রাজার ধন
কত তাসবি পড়েছি!

না খেয়ে যে কত দিবস
জুগিয়েছি টাকা,
আদর,স্নেহ, ভালোবাসা
সব কী ছিল ফাঁকা ?

নিজের হাতে খোকা যখন
পারতিস না রে খেতে,
আমায় ভুলে এখন থাকিস
যোগ বিয়োগে মেতে।

আমি এখন সুখেই আছি
বাড়ি বৃদ্ধাশ্রম,
সুখে থাক বাবা অট্টালিকায়
হয়না যেন ভ্রম।

শীতের রাতে যখন খোকা
থাকতো বুকের পরে,
সেই বুকেরি ব্যথায় কেন
অশ্রু এখন ঝরে ?

বাবা আমি সুখেই আছি
কাঁদে না আর মন,
কবে যে তুই বৃদ্ধ হবি
ভাবি সারাক্ষণ।

পাশে একটু জায়গা আছে
তোরি জন্য রাখা,
বাঁচায় যদি রাখে দয়াল
হবে হেথায় দেখা।

তৃষা, সুচি বলে বাবাক
দাদা-দাদি কোথায়,
দীর্ঘ নিঃস্বাস শিপুর বুকে
কাঁদে করুন ব্যথায়।

শিপু-সুজাতা বৃদ্ধ এখন
পারেনা তো চলতে,
পাথর চাপা কষ্ট বুকে
তাও পারেনা বলতে।

বছর ত্রিশ পরে পেল
মায়ের কাছে ঠায়,
চোখাচোখি হয়না কথা
শুধুই যে বিস্ময়।




মাঝে মাঝে মন চায়- হাসিনা হারভীয়া

মাঝে মাঝে মন চায় দূরে কোথাও হারিয়ে যাই,
সাগরের পথ ধরে সেখানে থাকবে শুধু-
সবুজে সবুজে ঘেরা পৃথিবী,
যে পৃথিবী আমার দিকেই চেয়ে থাকবে আর শিশির জলে
ঘাসের উপর বিন্দু বিন্দু ফোটা গুলো হাসবে।

আকাশে পাখিরা ডানা মেলে উড়ে যাবে.
মাঝে মাঝে মন চায় বলতে মেঘেদের
আমারো মন চায় ভেসে যেতে মেঘ হয়ে!
নীল আকাশে দিগন্তের হাত ধরে,
আমি বুঝিনা ভালোবাসার গভীরতা কতটা?
তবুও ভালোবাসতে মন চায় সবুজ পৃথিবীকে।

আমার হারিয়ে যেতে মন চায়,
সোনালী ফসল গুলো বুকে করে নৌকার পাল ধরে
মন বারবার চায় দূরে কোথাও হারিয়ে যাই।
এই মন চায় নদীর কুলে কুলে সেথায়।




শীত সময়ে- জুলফিকার আলী

শীত সময়ে ঘরে ঘরে
পিঠাপুলির আমেজে,
বাঁধাকপি, ফুলকপি আর
সবজি কত নামে যে।

ধনেপাতা, বরবটি, শিম
রান্নায় এমন পর্বটি,
শীতে এসব সবজি বাড়ায়
পৌষ-মাঘের গর্বটি।

মাঠজুড়ে যে টমেটো আর
আছে মটরশুঁটি যে,
সর্ষেবনে মৌমাছি আজ
নিচ্ছে মধু লুটি যে।

খেজুর রস আর গাছেতে কুল
ভরা সেই পুষ্টিতে,
শীতের সময় এসব খাব
আনন্দ আর তুষ্টিতে।




বন্ধু- গোলাম মোর্শেদ চন্দন

যে চোখেতে আলো দেখি
দেখি অন্ধকার।
সেই চোখেই তোমায় দেখে
হলাম একাকার।
বন্ধু তুমি বন্ধু হবে
বন্ধু যে আমার।।

আমার বন্ধু ইস্কুলে যায়
আমি ঘরে বন্দি।
অপেক্ষাতে সারাটা দিন
দিলাম জবানবন্দি।
এমন বন্ধু ক’জনে পায়
হয় সে নিরাকার।।

আকারে সে যতোই কাছে
নিরাকারে বেশি।
মাঝখানে এক অতল নদী
বড়োই এলোকেশী।।

এলোকেশী সময়গুলো
ডাক দিলে আমায়।
বলছি আবার আসলে ফিরে
কি দিবো তোমায়?
তোমার আমার ভালোবাসা
নয় তো হারাবার।।