ঢাকায় ১৬ জানুয়ারি মিলবে ফাইভজির অভিজ্ঞতা

দেশের মানুষ প্রথমবারের মতো পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা বা ফাইভজি অভিজ্ঞতা পেতে যাচ্ছেন আগামী বৃহস্পতিবার।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় এই সুযোগ করে দিচ্ছে মেলার টাইটানিয়াম সহযোগী হুয়াওয়ে।

তিন দিনের এ মেলায় দর্শনার্থীরা হুয়াওয়ের প্যাভিলিয়নে সরাসরি ফাইভজির গতির অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। হুয়াওয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, মেলায় আকর্ষণ হিসেবে আনা হয়েছে বিশেষ একটি রোবট, যাকে হাতের ইশারায় পরিচালনা করে খেলা যাবে ফুটবল।

হুয়াওয়ে আরও জানিয়েছে, মেলায় একটি প্লে-জোন থাকবে যেখানে সবাই ফাইভজি প্রযুক্তির মাধ্যমে রিয়েল টাইম ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি) উপভোগ করতে পারবেন।

উন্নত প্রযুক্তি এবং অডিও কিংবা ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতেই হুয়াওয়ের এই আয়োজন। থাকবে হুয়াওয়ের ফাইভজি স্মার্টফোনের অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ। মুঠোফোনও কেনা যাবে।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশে ফাইভজি সেবা পরীক্ষায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড।

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তারা বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় ফাইভজি প্রযুক্তি ও সেবাদাতা হিসেবে স্বীকৃত। ফাইভজির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় তারা বিগত ১০ বছরে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।

হুয়াওয়ে আরও জানায়, গত সপ্তাহ পর্যন্ত বিশ্বের ৩৪টি দেশে বাণিজ্যিকভাবে ৬১টি অপারেটর ফাইভজি চালু করেছে। তার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ অপারেটরকেই সেবা দিচ্ছে হুয়াওয়ে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলাটি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় উদ্বোধন করবেন। এ বছর মেলার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’।

মেপ্র/ আরপি




কেমন চলছে ফোল্ডেবল স্মার্টফোন?

বাজারে ভাঁজযোগ্য (ফোল্ডেবল) পর্দার স্মার্টফোন ছাড়ার জন্য গত বছর রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বছরের শুরুর দিকে বাজারে ছাড়ার কথা বললেও পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় স্যামসাং ও হুয়াওয়ে। এত দিন পর এসে সে স্মার্টফোনগুলো বিক্রির পরিমাণ নিয়ে মুখ খুললেন প্রতিষ্ঠান দুটির নির্বাহীরা।

এগিয়ে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোল্ড
স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের প্রেসিডেন্ট ইয়ং শোন গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় ১০ লাখ গ্যালাক্সি ফোল্ড বিক্রি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পরে স্মার্টফোনটির বিক্রির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা এবং বিক্রি হওয়া ইউনিটের সংখ্যা গুলিয়ে ফেলেছিলেন বলে স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে ভুল শুধরে দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত ‘কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শো (সিইএস) ২০২০’ প্রযুক্তি মেলায় সংবাদ সম্মেলনে স্যামসাংয়ের আইটি এবং মোবাইল কমিউনিকেশন বিভাগের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কোহ ডং জিন ভুলের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা ৪ থেকে ৫ লাখ গ্যালাক্সি ফোল্ড বিক্রি করেছি।’

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বিক্রি কম হলেও দাম অনুযায়ী গ্যালাক্সি ফোল্ডের বিক্রির পরিমাণ অভাবনীয় বলে জানান তিনি। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তুলনামূলক কম দামের ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে স্যামসাং।

মাসে এক লাখ হুয়াওয়ে মেট এক্স
বাজারে ছাড়ার পর মাসে প্রায় এক লাখ ফোল্ডেবল পর্দার ‘মেট এক্স’ স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হুয়াওয়ে। ফোনটি গত বছর নভেম্বরে চীনে প্রথম ছাড়া হয়।

হুয়াওয়ের ফোল্ডেবল স্মার্টফোন বিক্রির সংখ্যাটি প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোল্ডের চেয়ে বেশ কম। সেপ্টেম্বরে বাজারে আসে গ্যালাক্সি ফোল্ড।

গত বছর ফোল্ডেবল ফোন বাজারে আনার ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল হুয়াওয়ে ও স্যামসাং। তবে গ্যালাক্সি ফোল্ড অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে ক্রেতাদের নজর কাড়ে। এ ছাড়া ফোল্ডেবল ফোনের মধ্যে গত বছর মাইক্রোসফটের ডুয়ো এবং মটোরোলার রেজর বাজারে আনা হয়।

২০১৯ সালের জুলাইয়ে বাজারে আনার ঘোষণা দিলেও মেট এক্সের ফোল্ডেবল পর্দাটি আরও উন্নত করতে বাজারে ছাড়ার দিন-তারিখ পিছিয়ে দিয়েছিল হুয়াওয়ে। পরে গত বছরের নভেম্বরে চীনের বাজারে ছাড়া হয় মেট এক্স।

মেপ্র/ আরপি




চার যাত্রী নিয়ে উড়বে ফ্লাইং ট্যাক্সি

আকাশপথে যাত্রী বহন করতে অ্যাপে ডিজিটাল পরিবহন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উবারের জন্য উড়ুক্কু ট্যাক্সি বানাচ্ছে হুন্দাই মোটরস। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে চলমান কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকস শো (সিইএস) ২০২০ প্রযুক্তি প্রদর্শনীর এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে হুন্দাই।

এ সময় ‘এসএ-ওয়ান’ নামের একটি চার আসনের উড়ুক্কু যানের মডেল সামনে আনে গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি।

চুক্তি অনুযায়ী উড়ুক্কু যানগুলো নির্মাণের দায়িত্ব হুন্দাইয়ের ওপর। অন্যদিকে আকাশপথ নির্ধারণ ও আকাশপথে রাইড ভাগাভাগির নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা দেওয়ার কাজটি করবে উবার। তবে উড়ুক্কু ট্যাক্সির উড্ডয়ন এবং অবতরণের জন্য বিশেষ অবকাঠামো নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করবে দুটি প্রতিষ্ঠানই।

উবার এলিভেট প্রকল্পের প্রধান এরিক অ্যালিসন বলেন, ‘হুন্দাই হলো বৈশ্বিক পর্যায়ে গাড়ি উৎপাদনে অভিজ্ঞ আমাদের প্রথম অংশীদার।’ বর্তমানের অ্যারোস্পেস শিল্পে উবারের জন্য উচ্চ মানসম্পন্ন, নির্ভরযোগ্য উড়ুক্কু যান তৈরির ক্ষেত্রে হুন্দাই উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান বলে জানান তিনি।

ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ মাইল গতিতে ছুটতে পারবে এই উড়ুক্কু ট্যাক্সি। মাটি থেকে প্রায় দুই হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ে যাবে। টানা সর্বোচ্চ ৬০ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক এই ট্যাক্সি। তাদের দাবি, এর ব্যাটারি চার্জ হতে সময় লাগবে পাঁচ থেকে সাত মিনিট।

এতে হেলিকপ্টারের মতো বড় পাখার বদলে আকারে ছোট রোটর ব্যবহৃত হবে। ট্যাক্সি পরিচালনায় একজন পাইলট থাকবেন বলে উবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

মেপ্র/ আরপি




আলো দিয়ে চলবে ইন্টারনেট!

যখন এই আলোগুলো চালু হয়, তখন শুধু ঘরটিই উজ্জ্বল হয় না, তথ্যও প্রচার হয়। বার্লিনের ফ্রাউনহফার হাইনরিশ হারৎস ইন্সটিটিউটের এই গবেষকরা আলো ব্যবহার করে তারহীন তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছেন। এই প্রযুক্তি ‘লাইফাই’ নামে পরিচিত। ইংরেজি ‘লাইট ফেডালিটি’ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ এটি।

এলইডি ল্যাম্পের মাধ্যমে কাজ করে লাইফাই। এলইডি বাতি অত্যন্ত দ্রুত বন্ধ ও চালু করা যায়। রিসিভার ডিভাইসে থাকা সেন্সরগুলো সিগন্যাল গ্রহণ করে। সিগন্যাল ট্রান্সমিটারের গতিও অনেক।

লাইফাই অত্যন্ত বিস্তৃত স্পেকট্রাম ব্যবহার করে যা ইতিবাচক ব্যাপার। আমাদের সিলিং লাইট থেকে তারহীন প্রযুক্তিতে তথ্যও দ্রুত সরবরাহ করা যায়৷ কিন্তু এটা কি আমাদের দৃষ্টিশক্তির জন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে?

ফ্রাউনহফার হাইনরিশ হারৎস ইন্সটিটিউটের আনাগ্নোস্টিস পারাস্কেভোপিওস বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে এটা কি সারাক্ষণ মিটমিট করে জ্বলে? উত্তর হচ্ছে না, যা এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি। এক্ষেত্রে খুব চমৎকার সামঞ্জস্য আনা হয়েছে। সেটা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে চোখের পক্ষে সনাক্ত করা সম্ভব না হয়৷

এখানে জ্বলতে থাকা সবুজ আলোগুলো শুধু ডিজাইন উপকরণ হিসেবে কাজ করছে। বার্লিনের বিজ্ঞানীরা এই ডিভাইসগুলো সম্প্রতি তৈরি করেছেন। সবুজ আলো দেখলে বোঝা যায় যে এগুলো কাজ করছে।

এই অপটিক্যাল তারহীন ব্যবস্থা কাজ করার ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হচ্ছে- তথ্যে প্রেরণ আর গ্রহণ করার যন্ত্রের মধ্যে ভিজ্যুয়াল সংযোগ থাকতে হবে। আলোর সূত্র যদি বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে সিগন্যাল পাওয়া যাবে না। তথ্য সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

উনহফার হাইনরিশ হারৎস ইন্সটিটিউটের আনাগ্নোস্টিস পারাস্কেভোপিওস বলেন, অপটিক্যাল ডেটা কানেকশনের একটি সুবিধা হচ্ছে এটাকে সহজেই এক ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায়। এজন্য আমার শুধু জানালার পর্দা নামিয়ে ফেলতে হবে।

আর তখন এই ব্যবস্থায় সরবরাহ করা সব তথ্য ঘরের মধ্যেই থেকে যাবে। রেডিও লিংকের সঙ্গে তুলনা করলে এটা একটা বড় সুবিধা। কারণ অন্য ব্যবস্থায় ঘরের বাইরে থাকা ডিভাইসও একই তথ্য গ্রহণ করার সুযোগ থেকে যায়।

 

তথ্য সরবরাহের এই ব্যবস্থায় বাইরে থেকে বিঘ্ন ঘটানোও সম্ভব নয়। আলোভিত্তিক এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা ইতোমধ্যে গাড়ি নির্মাতাদের সঙ্গে একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন এই প্রযুক্তির রিসিভার হচ্ছে এই বাক্সটি।

পাশাপাশি অন্যান্য লাইফাই ডিভাইসগুলোকে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে সেগুলোর অন্তত একটি সবসময় রিসিভারের দৃষ্টিসীমার মধ্যে থাকে। ফলে রোবটটি সার্বক্ষণিক নড়াচড়ার মধ্যে থাকলেও তথ্য সরবরাহ কোনো বিঘ্ন ঘটছে না। আর এই প্রকল্পের জন্য এটা এক বড় সাফল্য।

আনাগ্নোস্টিস বলেন, আমার মত হচ্ছে, এই প্রযুক্তি প্রথমে একটি শিল্পখাতে প্রয়োগ করা উচিত। কেননা সেখানেই এটির সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রয়েছে।

এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট কিছু চাহিদা পূরণ করতে পারি এবং একইসঙ্গে এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের আরো সুযোগ রয়েছে।
পরবর্তীতে আলোর মাধ্যমে তথ্য সরবরাহের এই ব্যবস্থা আমাদের নিত্যদিনের কাজকর্মেও ব্যবহার করা যাবে। যেমন মিউজিয়াম এবং গণপরিবহনে এটা কাজে লাগতে পারে।

বিশেষ করে এমন পরিবেশে যেখানে একসঙ্গে অনেক মানুষ রয়েছে কিংবা যেখানে সাধারণ তারহীন প্রযুক্তি ব্যবহারে জটিলতা রয়েছে। তবে, সেসবের আগে বেশি কিছু সমস্যাও সমাধান করতে হবে।

গবেষকরা আগামী তিন বছরের মধ্যে এসব সমস্যা সমাধানের আশা করছেন। আর তখন নিত্যদিনে ব্যবহার করা যাবে লাইফাই।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

মেপ্র/ আরপি




আসছে ওয়াকিটকি স্মার্টফোন

ওয়াকিটকির (দ্বিমুখী বেতার যন্ত্র) আদলে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দ্রুত কথা বলার সুযোগ দিতে নতুন প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে আনছে মাইক্রোসফট ও স্যামসাং। স্বাস্থ্যসেবা, বিপণন, উৎপাদন এবং পণ্য সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের দ্রুত ও নিরাপদে কথা বলার সুযোগ দিতে জোটও বেঁধেছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

‘গ্যালাক্সি এক্সকাভার প্রো’ মডেলের স্মার্টফোনটি কাজে লাগিয়ে মোবাইল নম্বরে কল না করেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ মিলবে। এ জন্য ‘পুশ টু টক’ ফিচারও রয়েছে স্মার্টফোনটিতে।

মাইক্রোসফটের বার্তাবিনিময়ের অ্যাপ ‘টিমস’-এর কারিগরি সহায়তায় চলা ফিচারটিতে ক্লিক করলেই আগে থেকে নির্দিষ্ট করা এক বা একাধিক ব্যক্তির স্মার্টফোনে রিং বাজবে। কল রিসিভ করলেই নিজেদের মধ্যে কথা বলার সুযোগ পাবেন তাঁরা। ফলে কাজের সময় একাধিক কর্মীর সঙ্গে আলাদাভাবে কল করতে হবে না।

পানি, ধুলা, লবণ বা আর্দ্রতা প্রতিরোধক ৬.৩ ইঞ্চি স্ক্রিনের স্মার্টফোনটি অল্প কিছু দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বাজারজাত করা হবে। দাম পড়বে ৪৯৯ ডলার।

সূত্র : ইন্টারনেট

মেপ্র/ আরপি




৭৭ ডলারে ১২৮ জিবির ফোন আলিএক্সপ্রেসে!

ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি বিশ্ব ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম আলিএক্সপ্রেস। ক্রেতাদের জন্য নানা সময় নানা ধরনের অফার দিয়ে থাকে এই প্ল্যাটফর্মটি।

এবার এই প্রতিষ্ঠানটি স্যান্টিন মিক্স টু নামের একটি ফোন অফার দিয়ে বিক্রি করছে। অনলাইনে এই ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ৭৭ ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ছয় হাজার পাঁচশ ৩০ টাকা।

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকরাডার বলছে, ৭৭ ডলারে যে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে তার র‌্যাম রয়েছে চার জিবি। সেই সঙ্গে থাকছে ১২৮ জিবি স্টোরেজ। ছয় ইঞ্চি স্ক্রিনের সঙ্গে থাকছে চার হাজার এমএএইচের ব্যাটারি।

এছাড়াও ২১ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরারও থাকছে ফোনটিতে। ডিভাইসটিতে রয়েছে দু’টি ন্যানো সিম কার্ডের ধারণ ক্ষমতা। রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরও।

মেপ্র/ আরপি




নিজেই বার্তা মুছে ফেলবে হোয়াটসঅ্যাপ

বিনিময় করা বার্তা নির্দিষ্ট সময় পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলতে ‘ডিলিট মেসেজ’ ফিচার চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফিচারটি কাজে লাগিয়ে কতক্ষণ পর বার্তাগুলো মুছে ফেলতে হবে তাও নির্দিষ্ট করা যাবে।

ফলে বিভিন্ন গ্রুপের প্রশাসকরা নির্দিষ্ট সময় পর সদস্যদের বিনিময় করা বার্তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলতে পারবেন।

বর্তমানে ‘ডিলিট ফর এভরিওয়ান’ ফিচারের আওতায় ব্যবহারকারীদের পাঠানো বার্তা ফেরত পাওয়ার সুযোগ মিললেও মুছে ফেলা বার্তাগুলো উদ্ধার করা যাবে না।

এ ফিচারের পাশাপাশি শিগগিরই ব্যবহারকারীদের স্ট্যাটাসে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। ফিচারটি চালু হলে ব্যবহারকারীদের বিনিময় করা পোস্টের পাশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেখানো হবে।

সূত্র : ইন্টারনেট

মেপ্র/ আরপি




হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিতে টিকটক অ্যাকাউন্ট!

কারিগরি ত্রুটি কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের অজান্তেই তাদের টিকটক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে হ্যাকাররা। এ জন্য বড় ধরনের সাইবার হামলা চালানোরও প্রয়োজন নেই। ক্ষতিকর লিংকযুক্ত বার্তায় ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় হ্যাকারদের দখলে। ফলে গোপনে ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা ভিডিওগুলো মুছে ফেলার পাশাপাশি নতুন ভিডিওও প্রকাশ করা সম্ভব—জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান চেক পয়েন্ট।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে টিকটক দাবি করছে, ত্রুটিগুলোর সমাধান করেই সর্বশেষ সংস্করণের অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে।

সম্প্রতি তথ্য ফাঁসের অভিযোগে নিজেদের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের টিকটক অ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র : ইন্টারনেট

মেপ্র/ আরপি




সেলফি ক্যামেরা দিয়ে টাইপিং স্যামসাংয়ের স্মার্টফোনে!

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে স্মার্টফোনের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর আঙুলের নড়াচড়া বুঝে নিয়ে টাইপিংয়ের কাজ করে দেবে স্মার্টফোন! সেলফিটাইপ নামে এমনই একটি প্রোজেক্ট সামনে এনেছে স্যামসাং।

নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফোনের সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করে টাইপ করা যাবে। এ পদ্ধতিতে কিউডব্লিউইআরটিওয়াই কিবোর্ডের মাধ্যমে টাইপ করা যাবে।

স্যামসাং জানিয়েছে, সেলফিটাইপ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে আলাদা হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হবে না। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এমনকি ল্যাপটপের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে কাজ করবে সেলফিটাইপ।

২০১২ সালে প্রথম সি-ল্যাব শুরু করেছিল স্যামসাং। এর ফলে কম্পানির কর্মীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন এমন যে কোনো প্রজেক্টে তারা কাজ করতে পারেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই কনজিউমার ইলেকট্রনিক শো (সিইএস) ইভেন্টে বিভিন্ন সি-ল্যাব প্রোজেক্ট গোটা বিশ্বের সামনে আনছে দক্ষিণ কোরিয়ার এ কম্পানি।

সেলফিটাইপ ছাড়াও ২০২০ সা

লের সিইএস ইভেন্টে আরও একগুচ্ছ নতুন প্রযুক্তি আনবে স্যামসাং। এর মধ্যে অন্যতম হলো চুল ঝরা কমাতে ব্যবহার করার জন্য ‘বিকন’ এবং কৃত্রিম উপায়ে সূর্যের আলো তৈরি করতে পারে এমন প্রযুক্তি ‘সানিসাইড’ প্রোজেক্ট।

এছাড়াও স্যাসসাং একটি নতুন সেন্সর চালু করবে। নতুন এই সেন্সর ব্যবহার করে অতিবেগুনী রশ্মি মাপা যাবে। ওয়্যারেবেল ডিভাইসে এই সেন্সর ব্যবহার হতে পারে। এর ফলে অতিবেগুনী রশ্মি থেকে বিকিরণ থেকে দূরে থাকা যাবে।

সূত্র: এনডিটিভি

মেপ্র/ আরপি




কলব্যাক করলেই বিপদ যে নম্বরে!

আপনি হয়তো প্রায়ই মোবাইল ফোনে অজানা নম্বর থেকে মিসডকল আসলে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে কলব্যাক করেন। কিন্তু এর ফলে আপনি যে কতবড় বিপদে পড়তে পারেন তা কি আপনার জানা আছে! যেই নম্বর থেকে কলটি আসলো তার কোড যদি হয় +২২৬ অথবা +২৩২ এমন কোনো নম্বর, তাহলে আর আপনার রক্ষা নেই।

এমন নম্বরে আপনি কল ব্যাক করে দেখলেন কেউ একজন কল রিসিভ করেছে, কিন্তু কোনো কথা বলছে না। আর আপনিও হয়তো বিরক্ত হয়ে লাইন কেটে দিলেন। আর এভাবেই আপনি পড়ে গেলেন এক মহা বিপদের ফাঁদে। কারণ এরপর আপনার প্রিপেইড অ্যাকাউন্ট চেক করলে দেখবেন যে ব্যাল্যান্স পুরো শেষ, এক পয়সাও নেই!

এরকম ঘটনা আজকাল প্রায়ই হচ্ছে। আর এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নতুন এক প্রতারণার ফাঁদ। একটা প্রযুক্তি আছে যার নাম ‘ওয়ান রিং স্ক্যাম’।

এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম বিষয়ক সংস্থা এফএফসিতে একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যিনি কল করছেন, তিনি অটোমেটিক ডায়াল অপশন ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আন্দাজে একের পর এক নম্বরে ডায়াল করা হয়। এবং রিং বাজলেই কেটে যায় ফোন। আর স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন ধাঁচের নম্বর থেকে কল এলে তা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হতেই পারে কারও কাছে।

আরো বলা হয়, তবে যখনই আপনি কলব্যাক করছেন, তখনই উচ্চ রেটের আন্তর্জাতিক হটলাইনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে আপনাকে। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের কোনো সাইটের সঙ্গে সংযোগ ঘটে। কলব্যাক করার পর তা অন্যপাশ থেকে তা রিসিভ হবে ঠিকই। তবে হয় বিশেষ কোনো মিউজিক শুনতে পাবেন অথবা কোনো শব্দই পাবেন না। এসব কল রিসিভ হওয়া মাত্রই শুধু হাইরেটে অর্থ কাটবে তাই নয়, যতক্ষণ আপনি অপেক্ষায় থাকবেন আপনার অ্যাকাউন্ট খালি হতেই থাকবে।

অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, আফ্রিকা ভিত্তিক কয়েকটি দল এসব কলের মাধ্যমে ফোনের অর্থ ও স্টোরেজ থেকে ডেটা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই মোবাইল ফোন বাবহারকারীদের এই ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। ভুলেও কলব্যাক করা যাবে না অপরিচিত এই ধরণের নম্বরে।
সূত্র: সিএনএন

মেপ্র/ আরপি