ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের মানব বন্ধন।

মেহেরপুর প্রতিদিনঃ গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির বিরুদ্ধে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বেলা ১১টার সময় উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে আয়োজিত মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবিব, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসিব মাহমুদ, ছাত্রলীগ নেতা জিবন আকবর।

মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মুন্তাছির জামান মৃদুল একজন নেশাগ্রস্থ মানুষ। অর্থের বিনিময়ে রাজাকারের সন্তান ও স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তানদের উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সিলেকশন করেছে। এই কমিটি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার অন্তরায়।

বক্তারা বলেন ঘোষিত কমিটিকে বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগ পরিবার থেকে ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতাদের দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে।

ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা এ নিয়ে সাতদিন ধরে ঘোষিত কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। আগামী রবিবারও কর্মসুচি ঘোষনা করেন।




মুজিবনগরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে আনন্দ শোভাযাত্রা

মুজিবনগরে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঢাকের তালে তালে পরিষদ চত্বর থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনীর নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মুজিবনগর সৃতিসৌধে গিয়ে পুনরায় পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

এ সময় মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেম সহ উপজেলার সকল কর্মকর্তাবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিরা উক্ত শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেন।
আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক স্থিরচিত্র প্রদর্শনী ও বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।




মুজিবনগরে ক্রিয়েটিভ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কম্বল বিতরন

দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবো মানুষের মত মানুষ হবো এই শ্লোগানে মুজিবনগর শীতার্থ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করেছে ক্রিয়েটিভ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে কেদারগন্জ বাজার প্রাঙ্গনে ২৫০ জন মানুষের মাঝে এ সকল কম্বল বিতরন করা হয়।

ক্রিয়েটিভ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াজেদ আলী খান এর সভাপতিত্বে উক্ত কম্বল বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনী। সংগঠনটির সাধারন সম্পাদক জাহিদ হাসান রাজীবের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেম।

এ সময় জেলা পরিষদ সদস্য আজিমুল বারী মুকুল, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক পালু,বিশিষ্ঠ সমাজসেবক হাসানুজ্জামান লাল্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




জানো আজ কাল – হাসিনা হারভীয়া

জানো আজ কাল বুকের ভিতরটাই
কেনো জানি খুব, খুব ব্যথা করে
কোথায় যেনো একটা কষ্ট নীরবে কাঁদায়
জানো খুব যন্রনা হয় বুকের ভিতর টাই

যখন খুব কষ্ট হয়, তোমাকে আকড়ে ধরে
তোমার বুকে মুখ লুকাতে ইচ্ছে করে
তাই তো আমি বার বার ছুটে যায়
তোমার হৃদয় নীড়ে অন্তর জমিনে

জানো যখন তোমাকে আকড়ে ধরে
তোমার বুকে আমি মুখ লুকাই
তুমি যখন তোমার সমস্ত ভালোবাসা গুলো
আমাকে উজার করে দাও তখন
আমার সমস্ত কষ্টগুলো কোথায় যেনো
হারিয়ে যায় দুরে বহুদুরে

জানো যখন অভিমান গুলো অন্তরে
বাসাবাঁধে তখন হৃদয় দিয়ে কাব্য লিখি
তুমি যখন কষ্ট দাও আমায়
আমার হৃদয় প্রান্তরে বেদনায়
অশ্রুঝরে নীরবে দুচোখে তখন
মনটা হয়ে পড়ে দিশেহারা আর একাকীত্ব

আমি যেদিন চিরো তরে হারিয়ে যাবো
সেদিন হয়তো তুমি বুঝবে আমি
তোমাকে কতটা ভালোবেসেছি
সেদিন কিন্ত আমি আর ফিরে আসবো না

সেদিন আমি ধ্রবতারা হয়ে জ্বলব
হাজার তারার মাঝে আমায় খুজে দেখো
হাজার তারার ভিড়ে
তোমাকে ছেড়ে থাকার কথা ভাবলেই
কেনো জানি বুকের ভিতরটাই
খুব ব্যথা করে, খুব যন্ত্রনা হয়

জানো টুকরো টুকরো কষ্টগুলো
আজ কাল খুব চোখে অশ্রু ঝরায়।




তুমি – ভালোবাসার রেণু — মাহবুবা করিম

প্রিয় শত্রুর ঠোঁটকেও
আমি সুন্দর বলতে কার্পণ্য করি না।
বুকের এভারেষ্ট-নিতম্ব !
তাও-তো বিস্ময়ে আড় চোখে দেখি।
তন্দ্রার ভেতরে-বাইরে তুলি নৃত্যের ঝড়।

তুমি– তুমিতো খঞ্জর বিঁধিয়ে
হৃদে আসন পেতেছো কতকাল।
তোমারে দেখি কী কৌশলে-স্নানঘরে
সে কথা লিখি না কবিতায়।

পাছে জেনে যায়।
জেনে যায় লোকে।
প্রেমিকের বাড়ে কোলাহল।




বাবা যেন বেওয়ারিশ লাশ – রাকিবুল ইসলাম কবি

জায়গা জমি বড্ড আপন
ছেলে মেয়ের কাছে,
ভাগা ভাগির নাইরে দেরি
লাশটা বাবার পাছে।

দাফন বাবার পরে হবে
হিসেবটা নাও সেরে,
মৃত্যুর পরেও যাচ্ছে বাবা
বারে বারে হেরে।

মসজিদেরই সামনে শুয়ে
নিথর বাবার দেহ,
যাদের জন্য রক্ত পানি
দেখলো নারে কেহ।

বাবা বুঝি কোন সময়
দিয়ে ছিল খেতে,
খবর শুনে তাই কুকুরের
হয়নি দেরি যেতে।

রাত জাগিয়া দেয় পাহারা
পারেনি তো সইতে,
বন্দী তোদের মনুষ্যত্ব
বুঝি কেবল বইতে।

বলছে কেঁদে বাবারই লাশ
কবে দিবি মাটি,
আমার জন্য অপেক্ষাতে
চার পায়ার ঐ খাটি।

থাকবে পড়ে ধন সম্পত্তি
অট্টালিকা ঘর,
লাশে আমার দিচ্ছে বলে
দুনিয়ার সব পর।

হায়রে ছেলে হায়রে মেয়ে
পশুর চেয়েও বোকা,
প্রভু ওদের মাফ করে দাও
ভালো থাকিস খুকি-খোকা।




ভালবাসার কথা – ফারুক রাজু

আমি অনেক ভালো আছি,
তুমি ও থাকো অনেক ভালো ।
নীল আকাশের ঠিকানায় থ
রোজ একটা চিঠি লিখো ।

আমার মনে, আমার অন্তরে
আছো তুমি রিদয় জুড়ে থ
দিও না অবহেলায় ঠেলে ,
রেখো পুষে তোমার অন্তরে ।

রেখো আমায়, ঝিনুক যেমন থ
খোলসের আবরণে, রাখে মুক্তা ।
আমার ভালবাসার ছোয়া,
যাবে তোমার স্পর্শ করে ।
তুমি আছো , তুমি থাকবে থ
আমার এই মন মাঝারে ।




সর্ষে ফুলের হাসি – জুলফিকার আলী

মাঠ ভরেছে হলুদ ফুলে
শীতকাল ভালবাসি,
সকালবেলায় হিম কুয়াশায়
সর্ষে ফুলের হাসি।

মাঠে মাঠে শিশির ছোঁয়ায়
সর্ষে ফুলের রঙে,
শীত প্রকৃতি হেসে ওঠে
আমার সোনার বঙ্গে।

সর্ষে বনে মধু নিতে
মৌমাছি দল ছোটে,
ক্ষেতজুড়ে খুশিতে ওড়ে
দলে দলে জোটে।

ক্ষেতের আলে শীতের কালে
সর্ষের ভুয়ে ভুয়ে,
মাঠের সৌন্দর্য বাড়িয়ে
হৃদয়ে যায় ছুঁয়ে।




সত্যিই কি বেঁচে আছি – লতিফা আক্তার লিলি

প্রতিটা দিন এক একটা মৃত্যু দিন
একটা একটা স্বপ্ন হেরে যাচ্ছে
টাকার কাছে—
আর নিস্পাপ মুখটার
অন্তরালে মুখটিপে হাসছে নর্দামার কীট,
ধর্ষিত আর ধর্ষণকারী পাশাপাশি
তবুও ধর্ষিতার চিৎকার শুধু ধর্ষণককারীর কান পর্যন্ত,
আমরা মুখ ও বধির
কিছু শুনি না
বুঝতে চেষ্টা করি না
ন্যায়বিচার আজ কালো চশমা পরা।
আর আমি শুধু হাসি
কারন হাসলে যে হৃদয় ভালো থাকে।
কিন্তু আমিই ভুলে গেছি
নিশ্বাস বন্ধ আজ আমার বিষাক্ত বাতাসে।।




প্রেমের ছবি – আরিফুল ইসলাম সাকিব

মনের মাঝে প্রেমের ছবি
প্রেম-আবেগে এঁকে যাই,
চক্ষু বুজলে হৃদয়মাঝে
তোমায় শুধু দেখতে পাই।

স্বপ্নমাঝে আসো তুমি
জাগলে পরেই হও উধাও,
মায়াবিনী মন শিকারি
মনটা তোমার আমায় দাও।

প্রথম দেখায় ভালো লাগায়
মনটা আমার পড়ে রয়,
বুকের ভেতর গুনগুনিয়ে
ভালোবাসি তোমায় কয়।

দেখলে তোমায় রূপের শোভায়
ব্যাকুল হয়ে চেয়ে রই,
প্রেমভাবনায় ডুবে মরি
সুখসায়রে উদাস হই।