মেহেরপুরে শিশু প্রতিযোগীতা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর সদর উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় শিশু প্রতিযোগীতা ও পুরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার সম্মেলন কক্ষে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগীতায় সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহন করে। প্রতিযোগীতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শাফিনাজ আরা ইরানি, ফৌজিয়া আফরোজ তুলি ও উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমীক সুপারভাইজার আনারুল ইসলাম।

পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার তুলে দেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আপিল উদ্দীন।

মেপ্র/এমএফআর




চুয়াডাঙ্গায় শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রচারাভিযান শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন

চুয়াডাঙ্গায় শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রচারাভিযান শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বেসরকারি সংস্থা আত্মবিশ্বাসের সভাকক্ষে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল, রূপান্তর ও আত্মবিশ্বাসের আয়োজনে এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রচারাভিযান বিষয়ক জেলা অ্যাডভোকেসি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক আকরামুল হক বিশ্বাস, রূপান্তরের কো-অর্ডিনেটর অসীম আনন্দ দাস, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি।

মেপ্র/এমইএম




গাংনীতে উপজেলা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী ও রাজাকারপুত্র কমিটিতে পদ পেয়েছে

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় নবগঠিত ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারি মাদকসেবী ও বিএনপি জামাত ও রাজাকারপুত্রদের নিয়ে গঠনকৃত কমিটি বাতিলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী উপজেলার শহিদ মিনার চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা ও পদ বঞ্চিত উপজেলা ছাত্রলীগ । সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাংনী পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি ইমরান হাবিব।

সংবাদ সম্মেলনে গাংনীতে বিএনপি জামাত থেকে অনুপ্রবেশকারি এবং রাজাকার পুত্রকে উপজেলা ছাত্র লীগের কমিটিতে পদ দেয়া হয়েছে মর্মে অভিযোগ করে ইমরান হাবিব বলেন, সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের মিলন মেলা ঘটিয়ে সম্মেলন সফল করার জন্য সকল প্রকার প্রস্ততুতি সম্পন্ন করেন। জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সম্মতিতে দিন ক্ষণ নির্ধারণ হয়েছিল। তখন একটি অশুভ চক্র হঠাৎকরে এ সমম্মেলন স্থগীত করে দেয়।

বর্তমান সরকার যেখানে দেশকে মাদক,দুর্নীতি,অনুপ্রবেশ কারি,হাইব্রেড,রাজাকার ও ফ্রিডমপ্রার্টির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে দেশকে ঢেলে সাজাচ্ছেন। তখন আমরাও অনেক আশাবাদি ছিলাম গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতাদের উপস্থিতিতে  র্নীতিবাজ,মাদকাসক্ত,রাজাকার ও ফ্রিডমপার্টি মুক্ত যোগ্য নেতা নির্বাচিত হবে।

কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাবেক ছাত্রনেতাদের ঢাকায় মিলন মেলা সফল করার লক্ষে গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীরা যখন ব্যাস্ত তখন সম্পুর্ন অগঠনতান্ত্রিক ভাবে অর্থের বিনিময়ে রাতের আধারে ঢাকায় বসে বাংদেশ ছাত্রলীগের মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুলএ্কটি পকেট কমিটির অনুমোদন দেয়।

পকেট কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু,পিতা জমিরুদ্দীন গ্রাম শিশিরপাড়া। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন চিহ্ণত রাজাকার হিসেবে কাজ করেছেন। হত্যা,ধর্ষন,অগ্নীসংযোগ থেকে শুরু করে মানবতা বিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন। যার স্বাক্ষি হিসেবে এখনও জীবীত মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমান আছেন।

তিনি অরো বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসম্প্রদায়িক শক্তির উপর ভিত্তি করে ১৯৪৮ সালের ৪ ঠা জানুয়ারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর খুনী পরিবারের উত্তরাধীকারীরা জায়গা পাওয়ায় গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সৈনিকেরা মেনে নিতে না পারায় উক্ত কমিটি প্রকাশ করার পর থেকেই প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছেন ছাত্রলীগের নেতা-কজর্মীরা।

নবগঠিত কমিটি বাতিল করে গঠনতান্ত্রিক ভাবে কাউন্সিলর ডেলিগেট,নির্বাচন না করা পর্যন্ত পদ বঞ্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

এসময় স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারি,আমারত উল্লাহ,মোজাম্মেল হক,নিজামুল হক,তাহাজ উদ্দিন পাতান আলী ও গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের সংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চুয়াডাঙ্গায় সংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সম্মেলন কেন্দ্রে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন।

অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি।

কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আউলিয়ার রহমান।

কর্মশালায় জানানো হয়, আগামী ১১ জানুয়ারি জেলার ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ১৫ হাজার ৮৩২ শিশু এবং এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী এক লাখ ১৯ হাজার ১৯৭ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

মেপ্র/এমইএম




বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জোহরপুর সাতরশিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। গুলিতে আহত হয়েছেন আরো দুজন। গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দশরশিয়া গ্রামের শফিকুলের ছেলে সুমন (২০) ও এনামুল সরকারের টোলার বুদ্ধুর ছেলে সেলিম (২১)। এর আগে ২০০৮ সালে পদ্মার জলসীমায় অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ’র গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন নিহত সেলিমের বাবা বুদ্ধু।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গুলিবিদ্ধ দুজনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি ও আরেকজন ভারতীয় নাগরিক। তারা রাজশাহীতে অজ্ঞাত কোনো ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার জোহরপুর সাতরশিয়া সীমান্তপথে গরু আনতে ভারতের দিকে যাচ্ছিলেন কয়েকজন বাংলাদেশি রাখাল। তারা ভারতীয় সীমান্তের প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে টিকলিচর নামক এলাকায় পৌঁছালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার চাঁদনিচক বিএসএফ ফাঁড়ির সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বাংলাদেশি রাখাল নিহত হন।

এদিকে, বিএসএফ সদস্যরা রাতেই জিরো লাইনের কাছাকাছি এলাকায় মরদেহগুলো ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে গভীর রাতে সবার অগোচরে মরদেহগুলো পদ্মার চর এলাকায় পুঁতে ফেলা হয়। সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে কেউ মারা গেলে আইনি ঝামেলা এড়াতে এভাবেই গোপনে মরদেহ পদ্মার চরে পুঁতে ফেলা হয় বলে জানা গেছে।

কালের কণ্ঠ




প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান রাহুল গান্ধীকে দীপিকা

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে ভারত। সমাজের প্রায় সব স্তরের মানুষ প্রতিবাদে ফুঁসছে। বলিউড তারকারাও অন্তর্জালে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোনও।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঐশী ঘোষ, কানহাইয়া কুমারের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে দীপিকাকে। এসবেরই মাঝেই ভাইরাল হয়েছে দীপিকার একটি পুরোনো সাক্ষাৎকারের ভিডিও, যেখানে তিনি রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন।

ডিডি নিউজকে দেওয়া দীপিকার ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি অনেক পুরোনো। যেখানে দীপিকাকে স্পষ্ট বলতে শোনা গেছে, ‘আমি যদিও রাজনীতির বিশেষ কিছুই বুঝি না। তবে টিভিতে যেটুকু দেখছি, তাতে আমার মনে হয়েছে রাহুল গান্ধী যা কিছুই করছেন, তাতে তিনি যুবসমাজের কাছে একটা উদাহরণ। আশা করি, ওনাকে একদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে পাব।’

গত মঙ্গলবার দীপিকা কানহাইয়া কুমার ও ঐশী ঘোষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে দাঁড়ান। অনেকে তাঁর প্রশংসা করলেও ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। অনেকে তাঁর সিনেমা বয়কটের কথাও বলেন।

একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলা প্রসঙ্গে দীপিকা বলেন, ‘আমার গর্ব হচ্ছে যে আমরা ভয় পাই না। আমরা আমাদের নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করছি, দেশের জন্য কথা বলছি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যেটাই হোক না কেন, আমার এটা ভেবেই ভালো লাগছে যে মানুষ রাস্তায় নামছে এবং নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করছে। আমার মনে হয় এটা খুব দরকার ছিল। যদি সমাজে আমরা কিছু পরিবর্তন আনতে চাই, তাহলে মুখ তো খুলতেই হবে।’

এর আগে স্পটবয় ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ খোলেন সুনীল শেঠি। তিনি বলেন, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যা হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিজেপি, কংগ্রেস, এনসিপি যে দলের সঙ্গেই যুক্ত থাকুন না কেন, শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে হামলা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। মুখোশ পরে ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা, এটা পুরুষোচিত কাজ নয় বলে প্রশ্ন তোলেন সুনীল শেঠি।

হিন্দু, মুসলিম, শিখসহ সবাই যাতে একসঙ্গে ভারতে বসবাস করতে পারেন, সেই আবহাওয়া তৈরি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সুনীল শেঠি।

সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বলিউড তারকারা—দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত রোববারের হামলার প্রতিবাদে ঝড় উঠেছে অন্তর্জালেও। শাবানা আজমি থেকে স্বরা ভাস্কর, তাপসী পান্নু, অনিল কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন, অনুরাগ কাশ্যপ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন।




ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো বন্ধ করতে হবে

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় জেলায় এবছর ব্যারেল চিমনির ইটভাটা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু ফিক্সড চিমনিগুলোতে কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। আর এই কাঠ সংগ্রহ করতে উজাড় হচ্ছে বন জঙ্গল, কাটা হচ্ছে গাছপালা। ফলে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৬ ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, অন্য যে কোন আইনে যাই বলা থাক না কেন কোনভাবেই ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো যাবে না। এই ধারা লঙ্ঘন করলে তিন বছরের জেল অথবা তিন লক্ষ টাকা জরিমানা এবং উভয়দন্ডও হতে পারে।

এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ইটভাটা মালিকরা দেদারছে কাঠ পোড়াছে। যার পরিমাণ হিসেবের বাইরে। এভাবে চলতে থাকলে বন উজাড় হবে। পরিবেশ বিপন্ন হবে।

ব্যারেল চিমনির ইটভাটা গুলোকে যেমনভাবে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করে বন্ধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উচিৎ হবে একই ভাবে ইটভাটায় কাঠ যাতে না পোড়ানো হয় সেক্ষেত্রে কঠোরতা অবলম্বন করা। তা না হলে একই ঘটনায় দুই নীতি মানার মত অবস্থা তৈরি হবে।

এতে সাধারণ মানুষ প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারাবে। জেলা প্রশাসন পরিবেশ বিপন্নের হাত থেকে এলাকাকে মুক্ত করবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।




বিতর্কিত হয়ে উঠছে-মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই

গৌরব গাঁথা মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বর্ণ উজ্বল ইতিহাস আমাদের অহংকার। দেশের এই স্বাধীনতা অর্জনে যারা জীবন বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল, সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন আজো যাচাই-বাছাই নামক হয়রানীর আর্বতে ঘুরপাক খাচ্ছে। বার বার এই অসম্মান জনক প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে।

রাজনৈতিক কারনে দেশে অসংখ্যবার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পূনঃ পূনঃ যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছে। জানা যায়, ১৯৮৭- সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কোন কোন মুক্তিযোদ্ধাকে প্রায় ৭-৮ বার যাচাই-বাছাইয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

১৯৮৭-৯৪ সালে ২ বার তালিকা প্রণয়নের সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রথম তথ্য প্রমানাদি দিতে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বৃহৎ কর্মসূচীর আওতায় ব্যাপক যাচাই-বাছাই ও মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করা শুরু হয়।

দীর্ঘদিন ধরে পর্যায়ে-পর্যায়ে এবং স্তরে- স্তরে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলে। প্রথম পর্যায়ে কারো সর্ম্পকে নূন্যতম অভিযোগ জানালে পরবর্তী পর্যায়ে পূনরায় তার যাচাই-বাছাই হয়েছে। কয়েক পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে উপজেলা ভিত্তিক খচড়া তালিকা প্রণীত হয়েছে। খসড়া তালিকার উপর চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে তালিকাটি মুক্তিবার্তা পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে।

তালিকা প্রকাশের পরে কারো সর্ম্পকে কোন অভিযোগ আনিত হলে তা পূনঃ যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। অতঃপর চূড়ান্ত তালিকাটি প্রকাশিত হয়েছে লাল মুক্তিবার্তা নামে, যা ব্যাপক গ্রহনযোগ্যতা পেয়ে সমাদৃত হয়েছে, এবং চলমান আছে।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, এছাড়াও লাল বই-তে অর্ন্তভূক্ত থাকা মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৯৮-২০০০ সালে যখন কল্যান ট্রাস্টের ভাতার জন্যে আবেদন করেছিলেন, তখন নীতিমালা অনুযায়ী স্ব-স্ব জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তাদেরকে পৃথক তদন্ত এবং যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়েছিল। এখানেই শেষ নয় সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে একই মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পূনরায় যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি করা হয়। ২০০২ সালে সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জাতীয় পর্যায়ে গঠিত “যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি” আবারো যাচাই-বাছাই করেন।।

একজন সাবেক কমান্ডার জানালেন, লাল মুক্তিবার্তাভূক্ত এসকল মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা সরকারী চাকুরী করেছেন, তাদেরকে পৃথকভাবে আরো দুইবার যাচাই-বাছাই হতে হয়েছে। প্রথমতঃ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকুরীতে প্রবেশকালীন, দ্বিতীয়তঃ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে চাকুরীর সময়কাল ১ বছর বৃদ্ধিকালীন।

এছাড়া ২০০৫ সালে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকায় (গেজেট) অর্ন্তভূক্ত হয়েছে, তাদেরকেও যথাযথ প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই হয়েই তালিকাভূক্ত হতে হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গঠিত যাচাই-বাছাই কমিটি উপযুক্ত তথ্য- প্রমানাদি পর্যবেক্ষণ এবং যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেছেন। এতো কিছুর পরেও থেমে থাকেনি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই।

২০১৬-১৭ সালে অনলাইনে নতুন আবেদনকারীদের পাশাপাশি পূর্ব তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই যাচাই-বাছাইয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। দিতে হয়েছিল নিজের স্বপক্ষে যথাযথ প্রমানাদি।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধারা জানান, নতুন আবেদনকারীদের যাচাই-বাছাই হতেই পারে। কিন্তু তাই বলে তথাকথিত অভিযোগের দোহাই দিয়ে সেই সকল মুক্তিযোদ্ধাদেরকে কেন? যারা ইতিপূর্বে বহুবার বহুভাবে পূনঃ পূনঃ যাচাই-বাছাই শেষে দীর্ঘকাল যাবৎ একাধিক তালিকাভূক্ত আছেন।

সচেতন মুক্তিযোদ্ধা মহল আরো জানান, বহুদিন ধরেই কিছু প্রতিহিংসা পরায়ন মানুষ সুযোগ পেলেই কারো না কারো সর্ম্পকে মনগড়া অভিযোগ দিয়ে আসছে। আর এই প্রবণতা দেশের মধ্যে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সব চেয়ে বেশী বলে জানা যায়। রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও ব্যাক্তিগত রেষারেষি, দলাদলি, শক্রতা এবং প্রতিহিংসা বশতঃ এসব অভিযোগ হয়ে আসছে। মনগড়া এসকল অভিযোগের স্বপক্ষে থাকে না কোন তথ্য -প্রমান কিংবা ব্যাখ্যা।

নীতিমালা মোতাবেক এসব অভিযোগের গ্রহনযোগ্যতা না থাকা স্বত্বেও একেক সময় একেক ধরনের প্রভাবশালীর প্রভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে পড়ে। তবে মুক্তিযোদ্ধারা দাবী করেন কর্তৃপক্ষগণ যদি ভিত্তিহীন ও তথাকথিত এসব অভিযোগকে আমলে নেওয়া বন্ধ না করেন, তবে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা ভূলুন্ঠিত হতেই থাকবে এবং যুগ যুগ ধরে চলতেই থাকবে যাচাই-বাছাই। বির্তকিত থেকে আরো বির্তকিত হয়ে উঠবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম।

লেখকঃ মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক




পূনর্বাসন দূরের কথা জোটেনি একটি কম্বলও

মুজিবনগরে জমি নাই ঘর নাই বাঁশ তলায় বসবাস করা বৃদ্ধ মা ও তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূনর্বাসন করে দেবার কথা থাকলেও ঘর তৈরি তো দূরের কথা।

পূনর্বাসন হিসাবে একটি সরকারী কম্বলও পাইনি অসহায় পরিবার। এমনকি অসহায় পরিবারের করুন কাহীনি দেখতেও যায়নি উপজেলা প্রশাসনের কেউই।
জানা গেছে, এ বছর শীতের শুরুতে মুজিবনগর উপজেলায় অসহায় ও দুস্থদের জন্য কম্বল বরাদ্ধ দেয় সরকার।

সেই কম্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরীবদের মাঝে বিতরণ করেছেন। কিন্তু একটি ডোবার পাশে বাশের মাঁচা ও উপরে বস্তা দিয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় ঘর বানিয়ে বসবাস করা সেই অসহায় পরিবারের ভাগ্যে জোটেনি একটিও কম্বল।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, আমাদের মনে হয় না এদের মত অসহায় ব্যাক্তি আর আছে কিনা। শুনেছি গরীবদের জন্য সরকার বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে আসছে। কিন্তু আমাদের চোখের সামনে দুইজন মানুষ কত কষ্টে জীবন যাবন করছে তবুও এদের পাশে দাড়ানোর জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না।

শুনেছি ইউএনও নাকি গরীবদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে শীতের কম্বল দিয়ে আসছে। কিন্তু আমরা কোনদিন উপজেলা থেকে কোন মানুষকে এদের কাছে আসতেও দেখিনি।

উল্যেখ্য, গত ২ মাস আগে ঘর নেই জমি নেই, ডোবার পাশে জীর্ণ ঘরে স্থানে বৃদ্ধা মা ও প্রতিবন্ধী ছেলের বসবাস শীর্ষক অসহায় ব্যাক্তিদের নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত নিউজে তুলে ধরা হয়, দুই ভাই নিজের সংসার ও একমাত্র বোন স্বামীর সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ছোট ভাই খুদির সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে নিঃস্ব হলেও প্রতিবন্ধী হয়ে জীবনাযাপন করছেন। অসহায় ভাই-বোনরা খোঁজ না নিলেও তাঁকে ছাড়তে পারেনি মমতাময়ী মা হালিমা খাতুন। ছেলের চিকিৎসার জন্য জমি জিরাত বিক্রি করেও ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি অসহায় মা। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে অবশেষে ঠাঁই হয়েছে একটি নোংরা ডোবার পাাশে।

নিচে বাঁশের মাঁচা ও উপরে বস্তা দিয়ে জীর্ণ ঘর বানিয়ে সেখানে বসবাস করছেন বৃদ্ধা মা ও ছেলে। অসহায় এ গল্পটি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার নাজিরা কোনা গ্রামে। শায়েস্তা খাঁন নামের এক জনের করুণায় মা ও ছেলের ঠাই হয়েছে সেখানে। সরকারী ভাবে অসহায়দের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় পূনর্বাসন করা হচ্ছে। কিন্তু অসহায় এই বৃদ্ধা ও তার প্রতিবন্ধী ছেলের ভাগ্যে জোটেনি তেমন কিছুই। সমাজসেবা অধিদফতর কর্তিক বয়স্ক ভাতার কার্ডের টাকা ও প্রতিবেশিদের সাহায্যের টাকায় কোনরকম খেয়ে দেয়ে দিন কেটে যাচ্ছে তাদের।

মেপ্র/এমইএম




চুয়াডাঙ্গায় মাসব্যাপি বস্ত্র ও হস্তশিল্প মেলা শুরু

চুয়াডাঙ্গায় মাসব্যাপি বস্ত্র ও হস্তশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা টাউন ক্লাব মাঠে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের, পরিচালক মোবারক উল্লাহ ডাবলু, আলহাজ্জ্ব জয়নাল আবেদীন, দেলোয়ার উদ্দিন জোয়ার্দ্দার দুলু, চুয়াডাঙ্গা সমবায় নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান জোয়ার্দ্দার মিজাইল, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) লুৎফুল কবীর, ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর আহসান হাবিবসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

ঢাকার মিরপুরের গণচেতনার আয়োজনে অনুষ্ঠিত বস্ত্র ও হস্ত শিল্পমেলার পরিচালক মোবারকউল্লাহ ডাবলু বলেন, চুয়াডাঙ্গায় ৪র্থ বারের মত এ মেলার আয়োজন করা করা হচ্ছে।

মেলায় পোশাক, গৃহস্থালী, সাজসজ্জা, খাবারসহ বিভিন্ন স্টলসহ দর্শকদের বাড়তি বিনোদনের জন্য থাকছে মিনি ট্রেন, টাইটানিক নৌকা, নাগরদোলা, ম্যাজিক চেয়ার।

মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে। মেলার উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন।

মেপ্র/ আরপি