মেহেরপুরে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ওরিয়েন্টশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন উপলক্ষে মেহেরপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার দুপু্ের সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অলোক কুমার দাস।

শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশন প্রদর্শন করেন ডাঃ কে.এম ফয়সাল হারুন। সঞ্চলানা করেন জেলা ইপিআই কর্মকর্তা আব্দুস সালাম।

আগামী শনিবার দিনব্যাপী জেলার ৪৭৭ টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ২১ জন শিশুকে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ বয়সী ৫৯ হাজার ৬৭৫ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. অলোক কুমার বলেন, এক সময় ভিটামিন এ এর অভাবে শিশুরা রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতো। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর সেটা অনেকটা নিরাময় সম্ভব হয়েছে। তবে কোন অসুস্থ্য ও ৪ মাসের মধ্যে কেউ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেলে তাকে পুনরায় খাওয়ানো যাবেনা।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আজম, সাধারন সম্পাদক মাহাবুুব চাদু, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের উপদেষ্ঠা তুহিন আরণ্য, সভাপতি ফজলুল হক মন্টু সহ জেলার ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

মেপ্র/এমএফআর




ইরানে বিমান বিধ্বস্ত, ১৮০ আরোহীর সবাই নিহত

ইরানে ১৮০ জন যাত্রীসহ ভেঙে পড়ল বিমান। বুধবার এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে ইরানে। ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বিমানটি ১৮০ জন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল ইউক্রেনের এই বিমান। তেহরানের কাছেই ভেঙে পড়ে এই বিমান। জানা গিয়েছে তেহরানের ইমাম খোমেইনি বিমানবন্দর থেকে ওড়ে এই বোয়িং-৭৩৭ বিমানটি। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়েছে। আরোহীদের সকলেই নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

বিমানবন্দরের পরিচালক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বিমানটি ইউক্রেনের কিয়েভের দিকে যাচ্ছিল। তবে চলমান ইরান-যুক্তরাষ্ট সম্পর্কের কোন ইঙ্গিত আছে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

ইরানের সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র রেজা জাফরজাদে জানান, ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটিতে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্যে কর্মীবাহিনী পাঠানো হয়েছে। বিমানে ১৭০ জন যাত্রী রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিমানে ১৮০ জন যাত্রী ছিল বলে জানানো হয়েছে।

ইরানের জরুরি বিভাগের প্রধান পীরহোসেইন কৌলিভান্দ বলেন, বিমানে আগুন জ্বলছে। আমরা উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছি।

মেপ্র/অডে




দেদারছে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে মেহেরপুরের ইটভাটা গুলোতে

শীত মৌসুমেই ইটভাটা গুলোতে দেওয়া হয় আগুন। মেহেরপুরেও এর ব্যাতিক্রম হয়নি।  জেলায় শতাধিক ইটভাটা গুলোতে জ্বলছে দাওদাও করে আগুন। আর এই আগুন জ্বালাতে ব্যবহার হচ্ছে কাঠ।

প্রতি বছরেই লক্ষ লক্ষ মন কাঠ পুড়ে ছাই হচ্ছে ভাটার আগুনে। ইট ভাটা গুলোতে কয়লা ব্যবহার করার নির্দেশনা থাকলেও মানা হচ্ছে না। অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।

জেলায় জিকজাক ভাটাগুলোর মধ্যে ২টির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকলেও নবায়ন হয়েছে একটির। বাকিগুলোর আছে শুধু ট্রেড লাইসেন্স, নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র।

ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইনে (১৯৮৯ ও ২০০১) উল্লেখ আছে, আবাদি জমিতে কোন ইটভাটা তৈরি করা যাবে না ফিক্সড চিমনি ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও কাঠ পোড়ানো যাবে না।

এসকল ভাটায় প্রতি মৌসুমে গড়ে ৯০ লাখ মন কাঠ পোড়ানো হয়। এসব জ্বালানী কাঠ আসে সংরক্ষিত বা গৃস্থালীর বাগান থেকে। এইভাবে কাঠ পোড়ানো থামানো না যায় তবে একদিকে যেমন জ্বালানী কাঠের সংকট দেখা দিবে অন্য দিকে কালো ধোয়ায় পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।

আবাসিক এলাকার সাথেই এসকল ইটভাটা স্থাপন করাই পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে আবাদী জমি, উজাড় হচ্ছে গাছ পালা, ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি।

জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ব্যারেল চিমনি দিয়ে ইটভাটা চালু করতে না পারলেও ফিক্সড চিমনীর ইট ভাটায় অবাধে পুড়ছে কাঠ। সেই সাথে কাঁদামাটিতে পিচ রাস্তাগুলোও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

ভাটা মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, এ বছরে হিসেবে ৫০টির মতো ইটভাটা চালু রয়েছে। কোন ভাটারই পরিবেশগত কোন ছাড়পত্র নেই।

বুড়িপোতা ইউপি সদস্য ওয়াসিম আলী বলেন, একটি ইটভাটা তৈরি করতে কমপক্ষে ৭/৮ একর জমির প্রয়োজন হয়। অনেক সময় মাটির প্রয়োজন হলে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে আবাদি জমির উপরের এক থেকে দেড়-দুই ফিট মাটি কেটে ইট তৈরির জন্য সংরক্ষণ ও ব্যবহার করা হয়। এতে ফসলী জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়।

এছাড়াও ভৈরবের মাটি অনেক অসাধু লোক রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে ভাটায় ব্যবহার করছে।

তেরোঘরিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদ বলেন, আমাদের গ্রামের রাস্তার পাশে পুকুর করে দেওয়ার কথা বলে স্কেবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে অনেক সময় পাশের জমির অংশও ভেঙ্গে পড়েছে ফলে সেই জমির মালিক ও পুকুর করে মাটি দিতে বাধ্য হয়।

আবার ট্রাক্টর ট্রলিতে মাটি বহন করে ভাটায় নিয়ে আসার সময় রাস্তায় মাটি পড়ে সাধারণ মানুষ দূর্ভোগের মধ্যে পড়ে। একটু ভারি কুয়াশা বা হাল্কা বৃষ্টিতে পাকা সড়কগুলো মরণ ফাদে পরিনত হয়।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক দেলোয়ার রহমান বলেন, ইটভাটায় নির্গত কালো ধোয়ায় মানুষের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ক্যান্সারসহ নানা রোগের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত কার্বণ-ডাই অক্সাইডের কারণে ফসল ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়।

জেলা ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামূল হক জানান, কোনো কোনো ভাটা মালিকরা কাঠ পোড়ায় কাঠের সহজ প্রাপ্যতায়। এবার কয়লা দিয়েও ইট পোড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া কয়লা ব্যবহারের কারিগরের অভাব অন্যতম।

পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া উপপরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান জানান, মেহেরপুর জেলায় দুইটা জিকজাক ভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকলেও হালনাগাদ আছে একটির। বর্তমানে ১২০ ফিট চিমনিরও কোন অনুমোদন নেই। তবে কোন ভাটাতেই কাঠপোড়াতে দিবো না ,খুব শিঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা এ পর্যন্ত ৪২ টি ব্যারেল চিমনীর ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছি। ইটভাটায় কাঠের ব্যবহারের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ ব্যপারে জেলা প্রশাসকের নিদের্শে আমরা পদক্ষেপ নিবো।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, আপনারা জানেন ইতোমধ্যে যেগুলো ব্যারেল চিমনির প্রস্তুতি নিয়েছিলো সেগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যেসব ইটভাটায় কাঠ ব্যবহার করছে আমরা তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

মেপ্র/ইএম




ইরাকে দুই মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলা (ভিডিওসহ)

ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ‘আইন আল-আসাদ’ এবং ‘ইরবিল’ এর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)।

আজ বুধবার ভোররাতে এক বিবৃতিতে আইআরজিসি জানিয়েছে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলাইমানির ওপর আগ্রাসী মার্কিন সেনাদের সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক হামলার কঠোর জবাব দিতে ইরাকে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। পশ্চিম ইরাকের মার্কিন বিমান ঘাঁটি আইন আল-আসাদ এবং উত্তরের ইরবিল ঘাঁটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানায় আইআরজিসি। আইন আল-আসাদের হামলার এক ঘণ্টার ব্যবধানে উত্তরের ইরবিল ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। পেন্টাগন এই হামলার কথা নিশ্চিত করেছে। তবে এখন পর্যন্ত হামলার ফলাফল সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যার কাপুরুষোচিত পদক্ষেপের ‘কঠোর প্রতিশোধ’ নেয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। আজ (বুধবার) ভোররাতে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন বিমানঘাঁটি ‘আইন আল-আসাদ’র ওপর ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করে ঘাঁটিটিতে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

অভিযানটির নাম দেয়া হয়েছে ‘শহীদ সোলাইমানি’ এবং এই অভিযানের মাধ্যমে যে ‘মহান বিজয়’ অর্জিত হয়েছে সেজন্য বিবৃতিতে ইরানের মুসলিম জাতিকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, তাদের ঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।

ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় ইরবিল শহরের মার্কিন ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, ইরাকের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল তাদের সংবাদদাতাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইরবিল বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। হামলার পর ওই বিমানবন্দরের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আইআরজিসি’র বিবৃতিতে ‘বড় শয়তান’, ‘রক্তপিপাসু’ ও ‘দাম্ভিক’ যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলা হয়েছে, যদি আবার কোনো ‘শয়তানি’ করা হয় কিংবা কোনো আগ্রাসন বা উসকানি চালানোর চেষ্টা করা হয় তাহলে ওয়াশিংটনকে এর চেয়ে ‘বেদনাদায়ক’ ও ‘বিপর্যয়কর’ জবাব দেয়া হবে।

একইসঙ্গে বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব মিত্র দেশ তাদের ঘাঁটিগুলোকে এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের হাতে তুলে দিয়েছে তাদের প্রতিও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যে দেশের ভূমি থেকেই ইরানের ওপর হামলা চালানো হবে সেই দেশেরে ওপরও আক্রমণ চালানো হবে।

সূত্র : পার্স টুডে, এপি, আইআরআইবি




গেইম খেলে ৯ হাজার ডলার আয়

আজিয়াটা গেম হিরো টুর্নামেন্টের প্রথম আসরে সাফল্য অর্জন করল বাংলাদেশি চার তরুণ। এই টুর্নামেন্টে তৃতীয়স্থান অর্জন করে ৯ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার পেয়েছে চার সদস্যের বাংলাদেশি এই গেইমার টিম— ‘অন ফায়ার সায়ানাইড’।

টিমের সদস্যরা হলেন—মুহাম্মদ নাজমুস সাকিব, খাজা কুতুব উদ্দিন, মাহমুদুল হাসান আসিফ এবং রেফাত আহমেদ রনি। আঞ্চলিক এ ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্টটির আয়োজন করেছে এশিয়ান টেলিকম জায়ান্ট আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এ গেইমিং ইভেন্টটিতে অংশগ্রহণ করতে এশিয়ায় আজিয়াটার চার অপারেটিং প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের রবি আজিয়াটা, মালয়েশিয়ার বুস্ট, কম্বোডিয়ার স্মার্ট আজিয়াটা এবং ইন্দোনেশিয়ার এক্সএল আজিয়াটার মোট ১২টি দল ৪৮ জন গেইমার নিয়ে অংশগ্রহণ করে।

মালয়েশিয়ায় আজিয়াটা গেম হিরোর চূড়ান্ত পর্বে প্রতিটি দেশের শীর্ষ তিনটি দল অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, যার প্রতিটি টিমে চার জন করে গেইমার ছিল। বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব বাকি দুটি দল হচ্ছে বাংলা ইউনিটি এবং টিম ইনক্রেডিবল।

প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গেইমারদের ফ্রি ফায়ার নামে একটি আকর্ষণীয় গেইম খেলতে হয়। চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার আগে টিমগুলোকে গেম হিরোর বাংলাদেশ পর্বের ফাইনালে জিততে হয়েছে।




ভারতে হুয়াওয়ের ৫জি চালুতে সবুজ সংকেত

যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক প্রচারণায় বেশ বিপদে রয়েছে চীনের প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বিগত বছর এই প্রতিষ্ঠানের জন্য ছিলো দারুণ অশুভ। কিন্তু নতুন বছর শুরুর আগেই ভাল বার্তা পায় প্রতিষ্ঠানটি। ভারতে হুয়াওয়ের ৫জি চালুতে সবুজ সংকেত প্রদান করেছেন দেশটির প্রযুক্তি ও যোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রী রবি শংকর।

দিল্লির এক অনুষ্ঠানে রবি শংকর জানান, ‘ট্রায়েল ভিত্তিতে ৫জি চালুর জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি আমরা।

এদিকে হুয়াওয়ের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, চীনের এই প্রতিষ্ঠানের সহায়তা গোপন তথ্য চুরি করবে বেইজিং। আর সে কারণেই হুয়াওয়ের সঙ্গে নিজ বন্ধু রাষ্ট্রদের সম্পর্ক না রাখার জন্যও উৎসাহিত করছে দেশটি।

এদিকে ভারতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ভারতে নিযুক্ত হুয়াওয়ের সিইও বলেন, আমাদের উপর নিয়মিত আস্থা রাখার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ। আমরা বিশ্বাস করি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও তার মান সম্পন্ন ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে ভারতের টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা যুক্ত হতে পারব।




সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করে টাইপিং!

কিবোর্ড ছাড়া কেবল সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করে এখন থেকে টাইপ করা যাবে! বিস্ময়কর এমন এক তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি স্যামসাং। জানা যায়, ২০১২ সালে শুরু করা সি-ল্যাব প্রকল্পের আওতায় নতুন এক উদ্ভাবন সেলফি-টাইপ।

বিগত কয়েক বছর ধরেই সিইএস (কনসিউমার ইলেকট্রনিক শো) ইভেন্টে বিভিন্ন সি-ল্যাব প্রোজেক্ট গোটা বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করে আসছে স্যামসাং। সম্প্রতি সেলফি-টাইপ নামের এমনই একই প্রোজেক্ট সামনে এসেছে। নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফোনের সেলফি ক্যামেরা ব্যবহার করে টাইপ করা যাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্মার্টফোনের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে গ্রাহকের আঙুলের নড়াচড়া অনুসারে টাইপ করে নেবে স্মার্টফোন। এই পদ্ধতিতে কোয়ার্টি কিবোর্ডের মাধ্যমে টাইপ করা যাবে। স্যামসাং জানিয়েছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে আলাদা হার্ডওয়্যারের প্রয়োজন হবে না। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এমনকি ল্যাপটপের সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে কাজ করবে সেলফি-টাইপ।

সেলফি টাইপ ছাড়াও নতুন দশকের শুরুতে সিইএস ইভেন্টে আরো একগুচ্ছ নতুন প্রযুক্তি আনবে স্যামসাং। এর মধ্যে অন্যতম ‘বিকন’ ও ‘সানিসাইড’ এর মতো প্রোজেক্টগুলি। চুল ঝরা কমাতে কাজে লাগবে ‘বিকন’। অন্যদিকে ‘সানিসাইড’ প্রোজেক্টে কৃত্রিম উপায়ে সূর্যের আলো তৈরি করা হতে পারে।

এছাড়াও স্যামসাং একটি নতুন সেন্সর লঞ্চ করবে। নতুন এই সেন্সর ব্যবহার করে অতিবেগুনী রশ্মি মাপা যাবে। ওয়্যারেবেল ডিভাইসে এই সেন্সর ব্যবহার কতে পারে। এর ফলে অতিবেগুনী রশ্মি বিকিরণ থেকে দূরে থাকা যাবে।




গাংনীতে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে বিরোধ নিস্পত্তি হওয়া দরকার

গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি নিয়ে নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের দানা বেধেছে। সেই ক্ষোভ থেকে জেলার শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে কটুক্তি সহ তার কুশপুতুল দাহ করা হয়েছে। রাজনৈতিক আন্দোলনের নানা রকম কর্মসূচী থাকতেই পারে।

পদবঞ্চিত হয়ে দলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মসূচি কতটুকু রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে তা অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত। রাজ পথে এ ধরণের আন্দোলনের পূর্বে শীর্ষ নেতাদের সাথে দফায় দফায় সংলাপ ও সমোঝতার একটি পরিবেশ তৈরি করার প্রয়োজন ছিলো।

অপর দিকে উপজেলার মত একটি ইউনিটের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে জেলার শীর্ষ নেতাদেরও সাংগঠনিক নেতা কর্মীদের প্রাধান্য দেওয়া উচিত ছিলো।

মন গড়া বা নিজস্ব অনুগতদের কমিটিতে দায়িত্ব দিয়ে সাংগঠনিক ভাবে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছেন। যা তেকে কেবল দলীয় বিভেদ, কোন্দল সৃষ্টি হতে পারে। ফলে দলকে সুসংগঠিত করতে হলে অবশ্যই বিষয় গুলো কে গুরুত্ব সহকারে প্রাধান্য দিতে হবে। গাংনীতে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ নিস্পত্তি করতে হবে।

মেপ্র/ইএম




দখল আর দুষণে ঝিনাইদহের নদ-নদীগুলো এখন মরা খাল

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহ। জেলার ৬ টি উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে ১২ টি নদ-নদী। কিন্তু খননের অভাব আর দখলদারদের কারণে নদীগুলো পরিণত হয়েছে মরা খালে।

এখন আর যৌবন নেই নদ নদীগুলোতে। পাওয়া যায়না দেশীয় প্রজাতির মাছ। শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকেনা। সেখানে চাষ করা হয় ধান, পাট, সরিষাসহ নানা ফসলের।

এই সুযোগে নদীর পাড়ের জায়গা দখল করতে ব্যস্ত দখলদাররা। ঝিনাইদহে নদীর জায়গা দখল করে গড়ে উঠছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।

জানা যায়, ঝিনাইদহের উপর দিয়ে বয়ে গেছে নবগঙ্গা, চিত্রা, কুমার, বেগবতি, গড়াই, ইছামতি, ডাকুয়া, কপোতাক্ষ, কালীগঙ্গা, কোদলা, বুড়ী ও ফটকী নদ-নদী। যার মোট আয়তন ১ হাজার ৬’শ ৪১ দশমিক ৭৫ হেক্টর।

ঝিনাইদহ শহরের বুকচিরে বয়ে যাওয়া নবগঙ্গা নদী। বিভিন্ন স্থানে নদীর জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ড্রেনের ময়লা আবর্জনা গিয়ে পড়ছে নদীতে।

এসব কারণে একদিকে যেমন কমছে নদীর প্রশস্ততা, সেই সঙ্গে মাছসহ জলজ প্রাণী ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। তাই দ্রুত সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি স্থানীয়দের।

ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চন নগর এলাকার ষাটোর্ধ রাশেদ মালিতা বলেন, ছোটকালে দেখেছি নবগঙ্গা নদীতে বড় বড় নৌকা আসত। ধোপাঘাটা ব্রীজ এলাকায় নৌকা নোঙর করে ব্যবসায়ীরা ঝিনাইদহ শহরে আসতো।

কিন্ত সেই নদীতে এখন ডিঙ্গি নৌকাও চলে না। বর্ষা মৌসুমে একটু পানি থাকলেও শীত মৌসুমে পানি থাকে না। হেটেই নদী পার হওয়া যায়।

একই এলাকার পার্থ মল্লিক নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, দখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করে নদী খনন করা হলে নদীগুলো তার নাব্যতা ফিরে পেত। এ জন্য জেলা প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

ঝিনাইদহ পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নদী রক্ষা কমিটির নেতা মিজানুর রহমান বলেন, জেলার সবগুলো নদীই এখন দখলদারদের দখলে।

এ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য আমরা প্রশাসনকে বার বার তাগাদা দিচ্ছি। তাদের সাথে মিটিং করছি, স্মারকলিপি দিচ্ছি। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে আজ পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন দখলদারদের উচ্ছেদের ব্যাপারে কোন প্রদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহে নদীগুলো দখলমুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, নবগঙ্গা নদীর উৎসমুখ চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে আসা এ নদীটির মুখ বন্ধ হয়ে আছে বহুবছর ধরে।

এবার চুয়াডাঙ্গা জেলাকে অনুরোধ করা হয়েছে উৎস্যমুখ খনন করার জন্য। সেখানকার জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন উৎসমুখ খনন করার জন্য মন্ত্রনালয়ে প্রস্তবনা পাঠিয়েছেন।

সেখানে খনন করা হলে চিত্রা, বেগবতি আর নবগঙ্গা কিছুটা হলেও পানি পাবে। এছাড়াও যেসব স্থানে অবৈধ দখলদার রয়েছে সেখানে দ্রুতই অভিযান চালিয়ে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।




আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের ৭ দিন পর বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের ৭ দিন পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে আনোয়ারা খাতুন ওরফে ভুলি (৮০) নামে এক বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে লাশের দুর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশিরা লাশ দেখে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

উপজেলার পৌর এলাকার হাউসপুর গ্রামের মৃত ভোলাই শেখের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন ওরফে ভুলি (৮০) দীর্ঘদিন মনোয়ারের পাড়ে মেয়ের একটুরা জমিতে একটি ভাঙ্গা টিনের ঘরে একাই বসবাস করে আসছিল।

একটু দুরেই তার ছেলে আজিজুল বসবাস করে। আনোয়ারা নিয়মিত তার ছেলের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে আসে। গত ১লা জানুয়ারী বুধবার ছেলের বাসা থেকে খেয়ে আসার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

খোঁজ না পেয়ে বৃদ্ধার মেয়ে ফুলঝুড়ি ছুটে আসে । পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বৃদ্ধার নিখোঁজের সংবাদের ওপর ভিত্তি করে এলাকায় মাইকিন করা হয়। এরপর ও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকদের মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ, স্মারকলিপি পেশ

৭ জানুয়ারী দুপুরের দিকে পুকুর পানি ছেঁচা শুরু করলে বৃদ্ধার লাশ দেখা যায়। এ ঘটনা এক শিশুর নজরে পড়লে সে প্রতিবেশিদের ডেকে দেখায়। পুকুর থেকে পঁচাগন্ধ পেয়ে প্রতিবেশিরা গিয়ে দেখতে পায় লাশ পড়ে আছে। প

রবর্তিতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে আলমডাঙ্গা থানার এসআই আশিক ও এসআই নাঈম লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় আমছার মন্ডল জানান, মৃত বৃদ্ধা আনোয়ারা (ভুলি) ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করত। সন্ধ্যা লাগার আগেই সে চোখে আর তেমন দেখতে পেত না।

গত বুধবার ১লা জানুয়ারি রাতে তাকে পাওয়া না গেলে সকলেই খোঁজ করে । তার মেয়ে এসে ও অনেক খোঁজা-খুঁজি করে। পরের দিন বৃদ্ধার নিখোঁজের সংবাদের মাইকেও করতে দেখেন।

মেপ্র/ইএম