সম্মাননা স্বীকৃতি পেলো সাংবাদিক এ সিদ্দিকি শাহিন

মেহেরপুর প্রতিদিনের গাংনী প্রতিনিধি এ সিদ্দিকি শাহিন ‘আলোর পথে আমরা’ সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা পেয়েছেন।

শুক্রবার বিকালে সংঘঠনের পক্ষ থেকে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

তার এই সম্মননা প্রাপ্তিতে মেহেরপুর প্রতিদিনের পক্ষ থেকে সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, প্রকাশক এম.এ.এস ইমন, যুগ্ম সম্পাদক আল-আমীন, চীফ রির্পোটার মর্তুজা ফারুক রুপক, স্টাফ রির্পোটার পারভেজ, পিয়াল, ওবায়দুল, শাকিল সহ মেহেরপুর পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে অভিন্দন জানানো হয়।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




সপ্তাহের সেরা কন্টেন্ট নির্মাতা শিক্ষক নরুন নাহার

ডিজিটাল কন্টেন্টে এ সপ্তাহে সেরা হয়েছে মেহেরপুর সদর উপজেলার কাঠাল পুতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নুরুন নাহার।

প্রধান মন্ত্রির কার্যালয়ের এ২আই প্রকল্পের অধিনে পরিচালিত শিক্ষা বিভাগের জনপ্রিয় ওয়েব পোটাল শিক্ষাক বাতায়ন নিয়োমিত কন্টেন্ট আপলোড করেন শিক্ষক নুরুন নাহার।

চলতি সপ্তাহে তিনি শিক্ষকদের মধ্যে সেরা কন্টেন্ট নির্মাতা হিসেবে নির্বাচন হয়েছেন।

শিক্ষক নরুন নাহার ৪র্থ শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে কন্টেন্ট তৈরি করেন এবং ২০১৫ সাল থেকে এই কন্টেন্ট আপলোড করেন।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




গাংনীর পল্লীতে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার স্কুল ছাত্রী

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শালদহ গ্রামের এস এ আর বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
২০১৯ সালের জেএসসি পরীক্ষার্থী ঐ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম যৌন হয়রানি করে বলে এলাকায় গুঞ্জন ওঠে। পরে এর সত্যতাও পাওয়া যায়।

যৌন হয়রানির শিকার ঐ ছাত্রীর বাবাকে হুমকি ধামকিও দেয় প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম।

ভুক্তোভুগি ছাত্রীর বাবা একজন গরীব দিনমজুর। সে শালদহ গ্রামের বাসিন্দা।

প্রথম দিকে মেয়েটির বাবা এর প্রতিবাদ করলেও হুমকির পর থেকে সে আর মুখ খুলতে চাননি।

তবে ভুক্তোভোগি ছাত্রী জানায়, প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম জেএসসি পরীক্ষায় রেজিষ্ট্রেশন পত্রে তার ছবি ভুল হওয়ায়। সে ঐ ছাত্রীর বাড়িতে দুপুরের দিকে আসে। সে সময় ঐ ছাত্রী বাড়ি পরিষ্কারের কাজে ব্যাস্ত ছিল। তার মা দোকানে সদায় করতে গিয়েছিল। সে সময় বাড়িতে আর কেউ ছিলনা। বাড়ি ফাঁকা দেখে প্রধান শিক্ষক ছাত্রীর ঘরে উঠে পড়ে।

এসময় ঐ ছাত্রী তাকে জিজ্ঞাসা করলে শিক্ষক বলে তোমার ছবি ভুল হয়েছে। এসব কথা বলে এক সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিলে। ঐ ছাত্রী তাকে তিরস্কার করে এবং বলে আমি চিৎকার করব। এসময় ঐ শিক্ষক ঘরের বাইরে চলে আসে এবং ঐ ছাত্রীকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কিছু টাকা দিতে গেলে ঐ ছাত্রী তা প্রত্যাক্ষান করে।

এদিকে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে, প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকদের হাত করে ছাত্রীর বাবাকে হুমকি ধামকি দেয় বলে জানা যায়।

তবে কেউ কেউ জানিয়েছেন, ঐ ছাত্রীর বাবাকে কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছে।

জানতে চাইলে ঐ ছাত্রীর বাবা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গরীব মানুষ আমার মেয়ে ভাল আছে। তাছাড়া তেমন কিছুই হয়নি। মেয়েকে বিদ্যালয়ে না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়ের বয়স হয়েছে তার বিয়ে দিতে হবে। তাছাড়া গরীব মানুষের মেয়ে লেখা পড়া চালানো সম্ভব না। তাই মেয়েকে বিদ্যালয়ে আর পাঠাবনা।

মেয়ের বাল্য বিয়ে দিলে জেলা জরিমানা হতে পারে এমন কথা বললে তিনি বলেন মেয়েকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করব। কিন্তু ঐ বিদ্যালয়ে পাঠাবনা।
এদিকে প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে অনেকে জানান।

জানতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ একেবার মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব মিথ্যা কথা রটানো হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এলাকায় আমার কিছু প্রতিপক্ষ রয়েছে তারা আমার বিরুদ্ধে এ সব অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারা এবং কেনই বা অপপ্রচার চালাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মোবাইলে না বলে সরাসরি বলবেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

-গাংনী প্রতিনিধি




গাংনীর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ইটভাটা মালিকদের নোটিশ প্রদান

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা মালিকদের নোটিশ প্রদান করেন। ইটের কাজে জন্য মাটি পরিবহনের সময় সরকারী রাস্তাতে মাটি পড়ার কারণে জন সাধারনের চলাচলের ক্ষেত্রে জনদূর্ভোগ ও জন নিরাপত্তা হীনতা সৃষ্টি হচ্ছে।

যাহা ফৌজদারী কার্যবিধি -১৮৯৮ এর- ১৩৩ ধারা মোতাবেক অপরাধ।

গাংনী উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার ব্যবহারের করে থাকেন ইটভাটা মালিকরা। মাটি পরিবহনের জন্য ট্রাকটর ব্যবহার করে থাকে সে সময় রাস্তার উপর পড়া মাটি। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় চলাফেরা জন দূর্ভোগের মাত্র আরো বেড়ে যায়।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১১.৩০মি সময় গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভৃমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ানুর রহমান ও গাংনী থানা পুলিশের এস আই হাবিব, সহ বাঁশবাড়ীয়া ও চিৎলা রাস্তার পার্শ্বে ভাই ভাই ব্রিকস, আনারুল ব্রিকস অভিযান চালান ও নোটিশ প্রদান করেন।

এবং ভাটামালিকদের রাস্তা পরিস্কার রাখিবার জন্য অনুরোধ করেন।

-আল-আমীন, গাংনী




করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গাছ কর্তনে মিথ্যাচার করেছেন প্রধান শিক্ষক আলম হুসাইন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাঝারি থেকে বড় সাইজের ৮টি গাছ কর্তন করেন। গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ তিনদিন ধরে তিনি মোট ৮টি গাছ কর্তন করেন।

গাছ কাটার ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মুহাঃ আলম হুসাইন কোন প্রকার নিয়ম কানুন না মেনে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের ইচ্ছায় তিনি গাছ গুলো কাটেন।

এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মিটিং করে রেজুলেশন খাতায় সকলের স্বাক্ষর করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান। অথচ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি লাইলা আরজুমান শিলা সাংবাদিকদের জানান, প্রধান শিক্ষক মৌখিকভাবে গাছ কাটার বিষয়ে জানিয়েছিল।

কিন্তু সভাপতি প্রধান শিক্ষককে নিয়মের বাইরে কোন কিছু করা যাবেনা বলে জানিয়ে দেন। এদিকে প্রধান শিক্ষক আলম হুসাইন সভাপতিকে বোঝাতে সক্ষম হন বিদ্যালয়ের গাছ বিদ্যালয়ের কাজে ব্যবহার হবে এতে কোন অসুবিধা হবেনা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বসার জন্য বেঞ্চ দরকার তাই গাছগুলি কাটতে হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক মুহাঃ আলম হুসাইন সাংবাদিকদের জানালেও বিদ্যালয়ের সভাপতি সাংবাদিকদের জানান, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর করবে বলে সে গাছ কাটতে চায়। তবে সভাপতি প্রধান শিক্ষককে আইন বা নিয়মের বাইরে কোন কিছু না করার জন্য বার বার শতর্ক করেন।

এদিকে প্রধান শিক্ষকের নিকট রেজুলেশন খাতা দেখতে চাইলে তিনি প্রথমে বলেন রেজুলেশন খাতা তার বাসায় আছে পরে দেখানো যেতে পারে। পরে আবারও দেখতে চাইলে তিনি বলেন বিদ্যালয়ে আছে। আসলে রেজুলেশনে সভাপতির কোন স্বাক্ষরই নেই।

কারণ সভাপতি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি গাছ কাটার বিষয়ে কোন রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেননি। তাছাড়া তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। কিভাবে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করবেন। এ ধরণের মিথ্যাচার করে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিয়মের কথা বলে বেড়াচ্ছেন।

তারপরও প্রধান শিক্ষক মুহাঃ আলম হুসাইন প্রচলিত নিয়মকে তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছাতে বিদ্যালয়ের বড় বড় গাছ কেটে হজম করেছেন।
স্থানীয় অনেকেই জানান, শিক্ষক মুহাঃ আলম হুসাইন দীর্ঘদিন জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তিনি বিএনপি জোট সরকারের আমলে কাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন।

পরে আর চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হতে পেরে করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উৎকোচ দিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন বলে জানা যায়। তার এ নিয়োগ নিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মুরাদ আলী বিরোধীতাও করেন যা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।

এলাকাবাসি প্রধান শিক্ষক মুহাঃ আলম হুসাইনের মিথ্যাচারের বিষয়ে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

এদিকে গাছ কর্তনের বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান জানান, সভাপতির কাঁধে ভর দিয়ে নিয়ম ভাঙ্গা যাবেনা। তাছাড়া আইন অমান্য করে গাছ কাটা হলে আমরা এর ব্যবস্থা গ্রহন করব।

-এ সিদ্দিকী শাহীন, গাংনী




আইএফআইসি ব্যাংকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইএফআইসি ব্যাংক। ডিরেক্ট সেলস এজেন্ট (লায়াবিলিটি বিজনেস/ হোম অ্যান্ড মর্টগেজ লোন বিজনেস) পদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে নিয়োগদাতারা মাহাদী এন্টারপ্রাইজের অধীনে থাকবেন।

যোগ্যতাস্নাতক পাস করা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বয়স অনূর্ধ্ব-৩২ বছর হতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় এই নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

বেতন:

নিয়োগপ্রাপ্তরা বেতন পাবেন প্রতি মাসে ১৭ হাজার টাকা। তবে এটি অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করবে।

আবেদন প্রক্রিয়া:

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবসের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের সময়সীমা

আগামী ৯ জানুয়ারি-২০২০ পর্যন্ত পদটির জন্য আবদেন করা যাবে।

সূত্র: ব্যাকের ওয়েবসাইট

বিস্তারিত জানতে নিচের বিজ্ঞাপনটি পড়ুন

Job Market

আরো চাকরি খবর জানতে পড়ুন:

প্রাণ গ্রুপে সেলসে এসএসসি পাসে চাকরি

এসএসসি পাসেই সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ

৫২ জনকে নিয়োগ দেবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ

 




স্বপ্নে দেখে গাছের বিয়ে দিলেন এক নারী!

নানা রঙের কাগজ ও সামিয়ানা দিয়ে সাজানো হয়েছে বাড়ি। চলছে নাচ-গান। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনে ভর্তি বাড়িতে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বর-কনেকে সাজানো হয়েছে বিয়ের পোষাকে। তবে এখানে কোনো মানুষের বিয়ে হচ্ছেনা; দুটো গাছকে দেওয়া হচ্ছে বিয়ে!

ঘটা করে ব্যতিক্রমী এমন বিয়ে হয়েছে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামে। ওই গ্রামের দরগাতলা পাড়ার নবীছউদ্দীন বিশ্বাসের স্ত্রী মোমেনা খাতুনের স্বপ্নপূরণ করতেই এই বিয়ের অনুষ্ঠান।

মোমেনা খাতুন বলেন, ‘‘এক বছর আগে স্বপ্নে আমাকে ওই দু’টো গাছকে বিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই গাছ দু’টোর বিয়ে দিয়ে আমার স্বপ্নপূরণ করলাম।”

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার দুপুর থেকে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মোমেনা বেগমের স্বপ্নপূরণ। প্রথম দিন হয় গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। ওই দিন তার বাড়ির আঙিনার বট ও অশ্বথ (পাকুর) গাছকে প্রথমে হলুদ মাখানো হয়। এরপর তাদের গোসল করানো হয়। পরদিন হয় ক্ষীর খাওয়ানো অনুষ্ঠান। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। বট গাছকে পুরুষ ও পাকুর গাছকে নারী রূপে ধরা হয়। গাছের চারপাশ রঙিন কাগজ ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়। টানানো হয় সামিয়ানা। বট গাছে জড়ানো হয় লুঙ্গি, আর পাকুর গাছে শাড়ি। ধুপ, আগরবাতি ও মোমবাতি জ্বালানো হয়। গাছের গোড়ায় রাখা হয় বিভিন্ন ফল।

গাছ দুটোকে বিয়ে পড়িয়েছেন একই গ্রামের মানোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি একটি ব্যতিক্রর্মী বিয়ে পড়ালাম। বিয়েতে সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। কিছু নিয়ম কানুন মেনে বিয়ে পড়িয়েছি।”

অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য গত শুক্রবার একটি খাসি জবাই করা হয়। সকাল থেকে শুরু হয় রান্নার আয়োজন। দুপুরের আগেই শেষ হয় রান্না। বিয়েতে আত্মীয় স্বজন ও গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষকে দাওয়াত দেওয়া হয়।

দুপুরে শতাধিক নারী-পুরুষদের খাবার দেওয়া হয়। অতিথিদের খাওয়ানো হয় খাসির মাংস, সাদা ভাত, মুসুর ডাল, সবজি ও মুরগির মাংস।

বিয়ের দাওয়াত খেতে আসা বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, ‘‘আমি একজন বাঁশি বাদক। অনেক জায়গায় অনুষ্ঠানে গিয়েছি, কিন্তু এমন বিয়ে প্রথম দেখলাম। মোমেনা খালা বিয়ের দাওয়াত দিয়েছিল। গ্রামের সবাই মিলে বিয়ের দাওয়াত খেয়েছি।’’

জরিনা খাতুন নামে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘‘বয়স অনেক হলেও এমন বিয়ের কখনও দেখিনি। শখ করে বিয়ের আয়োজন করেছে তারা। অনুষ্ঠান দেখে খুব ভাল লেগেছে।’’

আরো পড়ুন: মুজিবনগরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

বিয়ের আয়োজক মোমেনা খাতুন জানান, স্বপ্নে তাকে যখন বিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় তখন তার আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। তাই তখন কিছুই করতে পারেননি। তবে কয়েকদিন পর তার স্বামীও একই স্বপ্ন দেখেন বলে দাবি করেন তিনি।

মোমেনা জানান, এরপর বিষয়টি পরিবার ও প্রতিবেশীদের জানানো হলে তখন সবাই আলোচনা করে বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। বিয়ের আয়োজনের জন্য টাকাও তোলা হয়। বিয়ের জন্য সকল কেনা কাটা করা হয়। ছেলে-মেয়ের শাড়ি, লুঙ্গি, সাজ সজ্জার উপকরণ, বাজারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হয়।

তিনি আরও জানান, ‘‘বাড়ির পাশে একটি খেজুর গাছ ছিল। সেই খেজুর গাছের মধ্যে বট ও পাকুর গাছ জন্ম নেয়। পরে খেজুর গাছটি মারা যায়।’’

আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘‘এ ধরনের বিয়ের আয়োজনের কথা প্রথম শুনলাম। গ্রামের মানুষ কুসংস্কার থেকে এ ধরনের আয়োজন করেছে।’’

আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি গ্রামের মাওলানা নাসির উদ্দিন বলেন, ‘‘ধর্মের ওপর বিশ্বাস না থাকার কারণে এ বিয়ের আয়োজন করেছে। ইসলাম ধর্মে যার কোনো বিধান নেই। কুসংস্কার থেকে এমনটি হয়েছে।’’

আলমডাঙ্গা ডাউকি ইউনিয়ানের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার বদর উদ্দিন জানান, প্রথমে আমি মনে করি নবীছদ্দিন বিশ্বাসের নাতির বিয়ে হচ্ছে। কারণ বাড়িতে গান বাজনা, আনন্দ দেখে মনে হচ্ছিল বড় আয়োজন করে বিয়ে হচ্ছে। পরে জানতে পারি বট ও পাকুর গাছের বিয়ে হয়েছে।

-এ.এইচ কামরুল, চুয়াডাঙ্গা




মেহেরপুরে সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলোতে হরবছরই কমছে শিক্ষার্থী

একদশক আগেও মেহেরপুরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলান হতোনা। বর্তমানে তার বিপরিত চিত্র দেখা যাচ্ছে।

জেলা শহরের শত বছরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে বর্তমানে কাগজে কলমে প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় থেকে দুশো। কিন্তু কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই উপস্থিতির সংখ্যা একশ অতিক্রম করতে দেখা যাচ্ছেনা।

প্রতি বছরেই শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলোর প্রতি বিমুখ হচ্ছে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকগণ। অথচ কেজি স্কুলগুলোতে আসনের চেয়ে বেশী শিক্ষার্থী দেখা যায়।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা গেছে শহরের বিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (বয়েজ মক্তব) তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থী ১৬০ জন। গড়ে প্রতি ক্লাসে মাত্র ৩২ জন হলেও প্রতিদিন উপস্থিতি একশ পার হতে দেখা যায়না। প্রতিবছরই স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ২০০০ সালে এই স্কুলটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮শ।

শহরের শতবছরের এস এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (শ্রীল মেমোরিয়াল স্কুল) বর্তমানে শিক্ষার্থী ১৮৬ জন। এখানেও উপস্থিতি দেখা যায় একশ অতিক্রম করছে না। এই বিদ্যালয়ে ২০০০ সালে শিক্ষার্থী ছিল প্রায় ৬শ। এখানেও প্রতিবছরই লাগাতার শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে।

শহরের বড় বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী ১৬৭ জন। এই বিদ্যালয়টিতে উপস্থিতি একশ অতিক্রম করতে দেখা যায়। এই বিদ্যালয়েও ২০০০ সালে ৫শ শিক্ষার্থী ছিল।
শহরের তিনটি কেজি স্কুল সরেজমিনে দেখা যায় কোন স্কুলেই শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলান হচ্ছেনা।

শহরের প্রাণকেন্দ্রে জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এণ্ড কলেজ নামের কেজি স্কুলটিতে আসন সংখ্যা ৫৫০। এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬শ। এই কেজি স্কুলটিতে ভর্তি হতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশী। এখানে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারলে ভর্তি নেয়া হয়না।

শহরের হোটেল বাজারে গ্লোরিয়াস প্রি-ক্যাডেট একাডেমি ও মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে দেখা যায় দুটি স্কুলেই শিক্ষার্থী ৪শ জন করে।

এলাকায় শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রতি বছর যেমন বেড়েছে, তেমনি আগ্রহও বেড়েছে শিক্ষায়। সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলোর শিক্ষকদের অভিযোগ, সরকারি স্কুল থেকে ঢিল ছুড়লে কেজি স্কুলগুলোতে পড়ে। কেজি স্কুলগুলোতে ভালোমানের কথা বলে প্রতি বছরই শিশুদের সেখানে আকৃষ্ট করা হচ্ছে। আর তাতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সরকারি স্কুল গুলোর শিক্ষকগণ।

বিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া পারভিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর অনেক ব্যর্থতা আছে স্বীকার করে বলেন-, মাত্র কয়েকশ গজ দূরেই কেজি স্কুল থাকায় আমাদের প্রতিষ্ঠানে যাদের ভর্তি হওয়ার কথা, তারা সেখানে চলে যাচ্ছে। আমরা তো অন্য প্রতিষ্ঠান উঠিয়ে দিতে পারি না।

জেলার শিক্ষাবিদগণ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক সংখ্যাও বাড়াতে হবে। তাহলে বিকল্প প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমবে।

কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর লাগামহীন বাণিজ্য বন্ধ করে নির্ধারিত নিয়ম-শৃংখলার মধ্যে নিয়ে আসতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়ার মান বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে।

শূন্যপদে নিয়োগসহ শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যালয়ে শিশুদের ধরে রাখার মতো আনন্দঘন সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দিতে হবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ডেভেলপার এসোসিয়েশন মেহেরপুরের সহ সভাপতি জানে আলম বলেন, প্রয়োজনের তাগিদেই কেজি স্কুল গড়ে উঠেছে। সরকারি সউলগুলো থেকে বই খাতা, টিফিনসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়েও শিক্ষার্থী ধরে রাখতে পারছে না। প্রয়োজনের তাগিদেই অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের কেজি স্কুলগুলোতে পড়াতে আগ্রহী।

তবে কিছু কেজি স্কুল আছে যেখানে অষ্টম শ্রেণিপাশ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের দায়ীত্ব পালন করছে। আবার পরিচালকও সমমানের। জানে আলমও এসব শিক্ষক ও পরিচালকদের লাগাম টানার পক্ষে মতামত প্রকাশ করে আরও বলেন জেরায় ৭৭টি কেজি স্কুল আছে। তারমধ্যে ৫৫টি তাদের এসোসিয়েশন ভুক্ত। সরকারি বিভিন্ন কাজে কেজি স্কুলগুলোর শিক্ষকদের দিয়ে করানো হচ্ছে।

সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আপিল উদ্দিনের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানকে জোর করে তুলে দেয়া যায় না। তবে নতুন করে যেন কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে নজরদারির চেষ্টা করছি। সারাদেশেই সরকারি প্রাথমিকের আশপাশে অসংখ্য কেজি স্কুল আছে। যেসব প্রতিষ্ঠানের কারণে সরকারি স্কুলকে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। আইন করে এসব বন্ধ করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেছেন- দেশে বেপরোয়াভাবে গড়ে ওঠা কেজি স্কুলগুলোর লাগাম টানা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে ২০১১ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিবন্ধন বিধিমালা জারি করে। এতে স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্পাসের বিষয়ও উল্লেখ করা হয়।

সেই সঙ্গে গ্রন্থাগার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, টয়লেট ব্যবস্থা, অভিজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ, ইংরেজি ভাষা ও তথ্যপ্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ, চিকিৎসা, খেলাধুলা সামগ্রী, শিক্ষাসফর, বনভোজন, জাতীয় দিবস পালনসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়। এসব নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই গত দুই দশকে গড়ে উঠেছে একের পর এক কেজি স্কুল। শুধুমাত্র মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এণ্ড কলেজ অনুমোদিত।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু জানিয়েছেন- কেজি স্কুলগুলোর নেই কোনো নিবন্ধন, নেই বিধিমালা মানার প্রবণতা। অভিভাবকদের মানসম্মত শিক্ষার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুদের কেজি স্কুলগুলো শিক্ষার্থী ভাগিয়ে নেয়ায় অভিযোগ অস্বীকার করা যাবেনা। এতে শিক্ষার মানও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

প্রথম শ্রেণিতে পড়ার আগেই প্লে, নার্সারি ও কেজি মিলে তিন বছর কাটাতে হয় শিশুদের। মোটা অঙ্কের ভর্তি ফিসহ নানা ধরনের চার্জ পরিশোধ করে ভর্তি হওয়াসহ কয়েক ডজন বই খাতা কিনতে হয়। ‘ক্লাস টেস্ট’ ছাড়াও সারা বছরে সাত-আটবার পরীক্ষার নামে ফি আদায় করা হয়। এত সব পরীক্ষার চাপে শিশুমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে থাকে।

-বিশেষ প্রতিবেদক




মেহেরপুরে পৃথক পৃথক অভিযানে তিন মাদক ব্যাবসায়ী আটক

মেহেপুরের মুজিবনগর উপজেলার ঢোলমারি গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম গাজা সহ শহিদুল শেখ(৩৫) নামক এক মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টার দিকে ঢোলমারি ছাকিনস্থ হরেনের বটগাছ তলার নিছ থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক শহিদুল শেখ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার থানার জগতনাথপুর গ্রামের নিয়াকত আলীর ছেলে।
অপর দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী বাজার থেকে ২০০ গ্রাম গাজা সহ পাটকেল পতা গ্রামের জান্টুর ছেলে রনি পোদ্দার(২০) কে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের অপর একটি টিম।
পরে বিকাল ৫ টার দিকে করমদি গ্রাম থেকে ১০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ইবরুল(৫০) কে আটক করে ডিবির অপর এক টি টিম। এ ব্যাপারে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




ঝিনাইদহ ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়েরের চেয়ে নিষ্পত্তি বেড়েছে

ঝিনাইদহ ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালে আপস ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির হার ২০১৯ সালে বেড়েছে বহুগুণে।

২০১৯ সালে মামলা নিষ্পত্তির হার ৩২৪ শতাংশ। যা আগের বছরের তুলনায় ১১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের ১১ মাসে মামলা দায়ের হয়েছে তিনশত পঁচানব্বই (৩৯৫) এবং নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ১৬৭টি। মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যা অভাবনীয় সাফল্য।

গত বছরের শেষে ওই ভূমি জরিপ ট্রাইব্যুনালের মামলা নিষ্পত্তির পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিচারক মো. তাজুল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর মাত্র ২০১৯ সালের ১১ মাসে প্রায় ১২ শতাধিক মামলা নিষ্পত্তি করেন।

যার মধ্যে ৬৮০টি মামলা ছিল পুরনো। যেগুলো ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সালে দায়ের হওয়া। এগুলোকে তিনি অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তি করেন।

এ সময় তাকে মিস মামলাসহ প্রায় দেড় হাজার সাক্ষীর সাক্ষ্য নিতে হয়। বিকল্পবিরোধ ও আপসের মাধ্যমে ১১ মাসে শতাধিক ভূমি জরিপ মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে ভূমি জরিপ মামলার সঙ্গে অনেকের আরো দেওয়ানি মোকদ্দমা রয়েছে।

অনেক ল্যান্ড সার্ভে মামলা তিনি দায়েরের মাত্র ছয়মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করেছেন। তাজুল ইসলাম ইতোপূর্বে খুলনা, ঢাকা, মেহেরপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সারাদেশের ৪২টি জেলার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মোট তিন লাখ তিন হাজার ৩৫টি মামলা। এসব ট্রাইব্যুনালের মধ্যে ঝিনাইদহে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের মাস ওয়ারি নিষ্পত্তির হিসাব গড়ে প্রায় শতাধিক।

যেমন- জানুয়ারি মাসে ১১৫টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ৭৩টি, মার্চ মাসে ৮৬টি, এপ্রিলে ৮৭টি, মে মাসে ১১৫টি, জুন মাসে ৯৬টি, জুলাই মাসে ১২৫টি, আগস্ট মাসে ৮৪টি, সেপ্টেম্বর মাসে ১১৫টি, অক্টোবর মাসে ১৪৩টি এবং নভেম্বর মাসে ১১৬টি এবং ডিসেম্বর মাসে ১ দিনে চারটি ও অন্যান্য মামলাসহ ১২ শতাধিক টিএলএসটি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন বিচারক তাজুল ইসলাম।

তাছাড়া সারা দেশের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গুলোর চেয়ে ঝিনাইদহ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে আপোষের মাধ্যমে নিষ্পত্তির হার তুলনামূলক বেশি। বর্তমানে ১৯৩৮ টিএলএসটি মামলা আছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামের একটি ভূমি জরিপ মামলা নং ৯৫৮/২০১৬ মামলার বাদী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কেসটি বিচারক নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিবাদীদের সঙ্গে আপোষ করে দেন। আমি এই আদালতে ২০১৬ সালে মামলার জন্য আসি এবং বেশ কয়েকটি তারিখ চলে যায়।

এই বিচারক এসে চার-পাঁচটি তারিখের মধ্যেই আদালত আমাদের মামলাটি আপস করে দেন। আমি আপসের মাধ্যমে আমার দাবিকৃত জমি বুঝে পেয়েছি।’এজন্য তিনি বিচারক, আইনজীবীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ঝিনাইদহ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের এজিপি বেগম দীল আফরোজ বলেন, ভূমি সংক্রান্ত বিবাদ যত নিষ্পত্তি হবে তত সমাজে শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠিত হবে। সারাদেশের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের চেয়ে ঝিনাইদহে মামলা নিষ্পত্তির হার তুলনামূলকভাবে বেশি।

ঝিনাইদহ জেলার সরকারি কৌসুলি জিপি বিকাশ কুমার ঘোষ বলেন বলেন, ‘সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলে উন্নয়ন টেকসই হয়। সারাদেশের চেয়ে ঝিনাইদহে মামলা নিষ্পত্তির হার অত্যন্ত সন্তোষজনক।’