মেহেরপুরে অঙ্কুর এর শীতবস্ত্র বিতরণ ও পিঠা উৎসব

মেহেরপুরের শিশু সংগঠন অঙ্কুর ’র উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ও পিঠা উৎসবের মধ্যে দিয়ে ৩০ জন অসহায় শিশুর মুখে হাসি ফুটালো অংকুর সংগঠক ।

সিনিয়র সংগঠক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র মো: মাহফুজুর রহমান রিটন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠক শোয়েব রহমান দূরন্ত, মেহেরপুর প্রতিদিন’র সাহিত্য সম্পাদক সুখী ইসলাম সাংবাাদিক মুজাহিদ মুন্না, সংগঠক ডা: সামিতা সাদেক খান, আব্দুল আলিম ।

জাবির আল সাবার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অঙ্কুর’র সভাপতি মো: নাছিম রানা বাঁধন ও অংকুরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ রহমান শাফী, জ্যোতি, আখি , উল্লাস, সাকিব, তিথি, গালিব, মহতি, সাজু, হিমেল, রিওন, সুমন, নিলয়, মিলন, পারভেজ, দীপ।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন হিরন, ফাহামি, হিজল সহ উপস্থিত ছিলেন অংকুরের অন্যান্য সদস্যরা।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




গাংনীতে গাঁজাসহ মহিলা আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে ১ কেজি গাঁজাসহ কোহিনুর বেগম (৪২) নামের এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত কোহিনুর বেগম কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের শুকচাঁদ মন্ডলের মেয়ে।

শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামের বুড়িপোতাপাড়া এলাকা থেকে কোহিনুর বেগমকে আটক করে স্থানীয় পীরতলা ক্যাম্প পুলিশ।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান,কাজীপুর বুড়িপোতা এলাকায় মাদক পাঁচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় পীরতলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই অজয় কুমার কুন্ডু ও সহকারী এএসআই আহমেদ আলী সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় কোহিনুর বেগমকে আটক করা হয়। পরে তার কাছে থাকা ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হবে।
– গাংনী প্রতিনিধি




মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মেহেরপুরে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত

মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মেহেরপুরে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর-২আসনের সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, জেলা পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ মগবুল হোসেন,

জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আতাউল হাকিম লাল মিয়া, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন,

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম, গাংনী নির্বাহী অফিসার দিলারা খাতুন, মুজিবনগর নির্বাহী অফিসার উসমান গনি, জেলা পরিষদ সদস্য শামীম আরা হীরা, সহ সহকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগন।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




মেয়ে হত্যার বিচার চেয়ে আজও কাঁদছেন বাবা

মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রামের বিল্লাল হোসেন এর বড় মেয়ে অনিতা খাতুন। পারিবারিক রীতি নীতি মেনেই ২০১৪ সালের ২৮আগষ্ট বিয়ে হয় একই উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে কলিমুদ্দিন ওরফে কালু’র সাথে।

বিয়ের সময় কোন দাবি দাওয়া না থাকলেও পরবর্তিতে বিভিন্ন দাবি নিয়ে অনিতার উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে কালু। নির্যাতনের নতুন মাত্রা যোগ করতে কালু’র সাথে যুক্ত হয় তার মা উনজিলা খাতুন।

অসহ্য যন্ত্রনা সইতে না পেরে মাঝে মধ্যেই অনিতা চলে আসতো তার বাপের বাড়ি। পরে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যেতো কালু ও তার পরিবার।
এরই মধ্যে কালু-অনিতার দাম্পত্য জীবনে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। এর পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে অনিতার উপর অনামানবিক নির্যাতন শুরু করে কালু সহ তার পরিবার।

অভিমান করে অনিতা আবারও তার বাপের বাড়ি চলে আসে। আর ফিরে যাবে না বলে জানিয়ে কালুকে। কিন্তু কয়েকমাস পর ব্রাক অফিসের মাধ্যমে সমোঝতা করে অনিতাকে পুনরায় ফিরে নিয়ে আসে কালু।
এর পরেই ঘটে অঘটন। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর অনিতাকে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কালু সহ তার পরিবারের লোকজন।

কান্না জড়িত কন্ঠে এভাবেই ঘটনার বর্ননা দেন নিহত অনিতার পিতা বিল্লাল হোসেন।
এ ঘটনায় নিম্ন আদালতে বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আসামীরা হলেন, কলিমুদ্দিন কালু(৩০), উনজিলা খাতুন(৪৫), আমজাদ হোসেন(৫২), মসলি খাতুন(২৫), সোনিয়া খাতুন(২৬) এবং ওয়াসিম(২৭)।

এ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় মুজিবনগর থানার এসআই আবু হুসাইনকে। অনিতা আত্মহত্যা করেছে মর্মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
কিন্তু জেলা সিভিল সার্জন থেকে ময়না তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে অনিতার মৃত্যু হয়েছে মাথায় আঘাত লেগে। তাই বাদী বিল্লাল হোসেন নিম্ন আদালতে নারাজী দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের দারস্ত হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রাফিজুল ইসলাম পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেন। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআই ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসানকে। গত ২৭ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে এই মামলার দিন ছিল।

সেখানে তদন্তকারী অফিসার মেহেদী হাসান আত্মহত্যা মর্মে চার্জশিট দাখিল করেন।
পুনরায় বাদী বিল্লাল হোসেন নারাজী দেয়। পরে বিচারক রাফিজুল ইসলাম আগামী জানুয়ারী মাসের ৭ তারিখে এই মামলার তৃতীয় দিন ধার্য করেন।

এ ঘটনায় মুজিবনগর থানার ওসি আব্দুল হাসেম বলেন, জেলা সিভিল সার্জন ময়না তদন্তের যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটাও সঠিক, আমরা যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছিলাম সেটাও সঠিক। আমরা অতি সুক্ষ তদন্ত করে যা পেয়েছি সেটা হলো, অনিতা গলাই ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সে সময় তার মৃত্যু হয়নি।

আশে পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে যে গাড়িতে করে তাকে নেওয়া হচ্ছিলো সে গাড়িটি দুর্ঘনায় পড়ে। এতে অনিতার মাথায় আঘাত লাগে। মূলত এ কারনেই তার মৃত্যু হয়।

-মর্তুজা ফারুক রুপক




তোমায় মনে পড়ে -রাব্বি পারভেজ

তোমায় মনে পড়ে
শিশির ভেজা ভোরে,
তোমায় মনে পড়ে
ব্যস্ত দুপুরে।

তোমায় মনে পড়ে
পড়ন্ত বিকালের আদলে।
তোমায় মনে পড়ে
সন্ধ্যার আঁধারে।
তোমায় মনে পড়ে
একলা নিশিতে।




অণ্বেষা! তুমি ফিরবে কবে? -এম. সোহেল রানা

অণ্বেষা! তুমি ফিরবে কবে তোমার পথ চেয়ে আজো বসে আছি
তোমার কি পড়ে না মনে তুমি আমি ছিলাম কত কাছাকাছি।
তোমার অপেক্ষায় আজো আমি একা একা কষ্টের প্রহরগুলো গুনি
অণ্বেষা! তোমার কি মনে কাটেনা আমাকে, সেই দিন-ক্ষণের কথা গুলি।

অণ্বেষা!
তুুমিতো কোন একদিন এসে বলতে পারতে আমি চলে এসেছি জান
সেদিন কি আমার ভালোবাসার দাম দিতে তোমার চলে যেত মান।
না আমি তোমাকে পশুর ন্যায় দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতে পারতাম
সে কেমন বিশ্বাস মোরা দু’জন দু’জনার মধ্যে স্থাপন করেছিলাম।

অণ্বেষা!
তুমি আসবে সেই দিন যেদিন আমি আর তোমাকে দেখতে পাবনা
যে দিন তোমার সাথে মনের অব্যক্ত কথা গুলো বলতে পারবনা,
শুনতে পাবনা মধুর বাণী, গুমরে গুমরে জ্বলে পুঁড়ে হাহাকার অন্তর
অপলোক দৃষ্টিতে চেয়ে কষ্টের গ্লানি শুধু দেহখানি পড়ে রবে নিথর।

অণ্বেষা! সে দিন তুমি খবর পেলেই এসো,
যে দিন আর তোমাকে ডাকতে পারবনা বলতে পারবনা হেসে
কষ্ট নিওনা এসে তুমি দু’দন্ড সময় কাটিও আমার লাশের পাশে বসে।
দুনিয়ায় দু’দিন মুছাফির হয়ে এসেছিলাম যে খালি হাতে
মৃত্যুর পথযাত্রী সেদিন মোর আমলনামা ছাড়া কিছুই যাবেনা সাথে।




ঘাসের ডগায় শিশির -গোলাম মোরশেদ চন্দন

ঘাসের ডগায় শিশির যেমন
রোদ পেলেই হাসে
আমার এ মন তোমায় পেলে
তেমন ভালোবাসে।
তেমন ভালোবাসে
বন্ধু তেমন ভালোবাসে।।

দূরে গেলে পাখা মেলে
উড়াল দিতে চাই
মন আমার কাছে
যেতে বলে যে হারাই
আকাশের মেঘের মত
মন আমার অবিরত
ওড়ে তোমার পাশে।।

ঝাউয়ের বনে যেমন বাতাস
শব্দ করে চলে
তুমি কাছে না থাকলে মন
প্রেম অনলে জ্বলে।

ফাগুন মাসে যেমন আসে
গাছেতে মুকুল
লাউয়ের ডগার মত মনটা
দোলাচ্ছে দ্যোদুল
শিমুলের ফুলে ফুলে
শালিকেরা প্রাণ খুলে
ডাকে যে উল্লাসে।




হেমন্তের শেষে -হাসিনা হারভীয়া

হেমন্তের শেষে শিশির ভেজা ভোরে
রাঙা মাটির পথটা আমি ধরে..
যদি পেতাম দেখা তোমার ওই মুখটা
দুর আকাশ থেকে এসে ধরা দিতো সুখটা
ভরে যেতো খুশিতে আমার বুকটা..

আমি কোথায় গেলে পাবো তারে
খুঁজে ফিরি আমি যারে..
আমি কুয়াশা চাঁদরে হিমেল অবয়বে
নিরুত্তর নিরব অভিমানী..
আমি দুরে গেলে ও আমায় খুজবে না কেউ
সেটা ও যে আমি জানি..

আমি সব সীমান্ত পেরিয়ে সব কিছু হারিয়ে
আবারো তোমার কাছে ফিরে আসতে পারি..
আমি তোমার চোখের ওই দৃষ্টিতে
বার বার মরে যেতে পারি এই সৃষ্টিতে..

হারিয়ে যাও যদি তুমি হাজার লোকের ভীড়ে
আমি খঁজে ফিরে রাখবো তোমায় আমার
হৃদয় নীড়ে..

দেবো না তোমায় কভু হারাতে রাখবো
তোমায় খুব যতনে.. আমার মনের ঘরে
তোমায় শুধু ধরে..
রাঙা মাটির পথটি ধরে যাবো মোরা
অনেক দুরে..




মায়ের অশ্রু ঝরে -জুলফিকার আলী

বাজল বাঁশি সবার প্রাণে বিজয়ের সুর মাখা,
যুদ্ধ জয়ে উড়ায় নিশান বাংলারই পতাকা।
বুকের তাজা রক্ত ঢেলে যুদ্ধে সোনার ছেলে,
কিশোর বয়স পার করল নাহি হেসে খেলে।

বাংলা মায়ের জন্য তারা জীবন করল দান,
ভাই হারাল কত যে বোন হারায় মা সন্তান।
খেলার বয়স হয় না খেলা মায়ের অশ্রু ঝরে,
আমার খোকা যুদ্ধে গিয়ে আর এলো না ঘরে।

উদাস মনে পথের পানেচেয়ে আছেন মাতা,
ধর্ষিতা বোন বাঙালিদের ইতিহাসের পাতা।
লাল-সবুজের বিজয় নিশান বাংলা আনে জিতে,
হায়েনা দল পালায় শেষে জয়ের বিপরীতে।




এগিয়ে চলেছি সামনের দিকে -ইয়াদুল মোমিন

সেদিন গেছে চলে
বর্তমানকে সামনে নিয়ে
এগিয়ে চলেছি ভবিষ্যৎপানে
কিছু পাব কি পাব না…
তবুও সামনের পানে এগিয়ে চলেছি।
চারদিক ক্রমশই অন্ধকারে
পরিণত হতে যাচ্ছে
তবুও এগিয়ে চলেছি ভবিষ্যৎপানে
কিছু পাবো কি পাবো না…
তবুও সামনের পানে এগিয়ে চলেছি।

পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ
সবদিকে অন্ধকার
এগিয়ে চলেছি নিভু নিভু
মশাল নিয়ে
এগিয়ে চলেছি ভবিষ্যৎপানে
কিছু পাবো কি পাবো না…
তবুও সামনের পানে এগিয়ে চলেছি।

হয়ত কিছুই হবে না
হয়ত কিছুই পাবো না
তবুও মশাল জ্বলবে
অন্ধকারকে ভেদ করতে,
আমি পারি বা না পারি
তাতেই আমার কিছ্
ুআসবে যাবে না।

অন্ধকারের যাত্রীরা
মশাল দেখে পিছু হটবেই..
কিছু পাবো কি পাবো না
তবুও সামনে পানে এগিয়ে চলেছি
….. চলবো।