মোনাখালী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় শিরোপা ঘরে তুলেছে মোনাখালী একাদশ

মোনাখালী ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় শিবপুর সমাজ কল্যান ক্লাবকে ২-১গোলে পরাজিত করে শিরোপা ঘরে তুলেছে মোনাখালী একাদশ।

প্রথম পুরুষ্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে একটি গরু এবং রানাস আপ দলকে দেওয়া হয়েছে একটি ছাগল। খেলার প্রথর্মাধে মোনাখালি একাদশের খেলোয়াড় লিখন ও যাদ্রি একটি করে গোল করে।

দ্বিতীয়ার্ধে শিবপুর একটি করে গোল করে। সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পুরুষ্কার পেয়েছেন মোনাখালী একাদশের রক্ষনভাগের খেলোয়ার দেলোয়ার হোসেন। সেরা দলনেতা হিসেবে পুরুষ্কার পেয়েছেন বিজয়ী দলের অধিনায়ক শরিফুল ইসলাম।

খেলা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোনাখালী ইউপে চেয়ারম্যান ও খেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি মফিজুর রহমান মফিজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওসমান গনি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর থানার ওসি আব্দুল হাসেম। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ী দলের হাতে প্রথম পুরুষ্কার একটি গরু ও রানাস আপ দলের হাতে একটি ছাগল তুলে দেওয়া হয়।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




গা-গ্রামের নারীদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তৈরী হয় কলাই ডালের বড়ি

গ্রামের নারীদের হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হয় কলাই ডালের বড়ি। তবে আগের মতো আর ব্যাপক হারে নেই। আসলে গ্রামে গ্রামে কমেছে বড়ি তৈরির উদ্দীপনা।

মাস কলাইয়ের ডাল ও চাল কুমড়ার সমন্বয়ে তৈরি এই খাদ্যপদটির জন্য নারীদের প্রস্তুতি দেখা যায় শীত মৌসুমের আরও দু’তিন মাস আগে থেকে। বড়ি প্রস্তুতের জন্যই অনেকে বাড়িতে চাল কুমড়ার চারা লাগান।

উৎপাদিত চাল কুমড়া সংরক্ষণ করে শীতের কোনো এক সুবিধাজনক সময়ে বাজার থেকে ঠিকরে কলাইয়ের ডাল সংগ্রহ করে গ্রামের নারীরা লেগে যান বড়ি তৈরির কাজে। এ যেন এক উৎসব। তৈরি করা বড়ি সংরক্ষণ করে রাখা যায় বছরজুড়ে। সারা বছরই বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায় এটি।

এখন শীত মৌসুম। বড়ি তৈরির অন্যতম সময়। আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার এরশাদপুর গ্রামে বড়ি তৈরি করতে দেখা গেলো গৃহবধূ শাবানা খাতুনকে। তিনি জানান, বড়ি দেওয়ার জন্যই বাড়িতে চাল কুমড়ার চারা লাগিয়ে ছিলেন। তাতে বেশ ফলনও হয়েছে। পরে বাজার থেকে তিন কেজি ঠিকরে কলাই ডাল সংগ্রহ করেন তিনি।

বড়ি দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, চাল কুমড়া ভালো করে কেচে মিহি করে নিতে হয়। অন্যদিকে ডাল ভিজিয়ে মিহি করে বাটতে হবে। পরে কুমড়া ও ডাল মিশিয়ে খামির তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে অনুপাত হবে দুই কেজি ঠিকরে কলাই ডাল ও আড়াই কেজি চাল কুমড়া।

কুমড়া ও ডালের খামির হয়ে গেলে শুকনা পরিষ্কার কাপড় রোদে বিছিয়ে বা টাঙিয়ে তার ওপর ছোট্ট ছোট্ট করে বড়ি দিতে হবে। শুকিয়ে মচমচে হয়ে গেলে সংরক্ষণ করে প্রয়োজন মতো রান্না করে খাওয়া সম্ভব যে কোনো সময়।

কুমারী গ্রামের ছবিরন জানায়, আগে বাড়ি-বাড়ি বড়ি তৈরির উৎসব হতো। কিন্তু এই যুগে নারীদের মধ্যে সেই উৎসাহ বা আগ্রহ দেখি না। আবার চাল কুমড়া প্রাপ্তিও দুঃসাধ্য। সব মিলিয়ে বড়ি দেওয়ার রেওয়াজ কমে যাচ্ছে। তারপরও গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে এ বছর বড়ি তৈরি করতে দেখা গেছে।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




শুক্রবারও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা রেকর্ড

শুক্রবারও মেহেরপুর সহ চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনি¤œ তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রীর উপরে থাকলেও অনুভ‚ত হচ্ছে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সারাদেশে চলছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। এ ধারা মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গাতে অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, তীব্র শীতে কষ্টে রয়েছে জেলার নি¤œ আয়ের মানুষেরা। শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা কাজে যেতে পারছেন না। শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই কষ্ট পাচ্ছেন বলে জানান কয়েকজন নিম্ন আয়ের মানুষ।

সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে চুয়াডাঙ্গার আকাশ। রাস্তায় চলাচল করা যানবাহনগুলো লাইট জালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। খেটে খাওয়া মানুষেরা পেটের তাগিদে শহরে ছুটে আসলেও তাদের কর্মসংস্থান হচ্ছে কম।এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।

আবহাওয়া অফিসের মতে, ভৌগলিক কারণে চুয়াডাঙ্গাতে বরাবরই শীতের সময় বেশি শীত এবং গরমের সময় বেশি গরম অনুভ‚ত হয়। তবে চলমান মৃদু শৈতপ্রবাহের কারণে জেলায় বেশি শীত অনুভ‚ত হচ্ছে। ইতিমধ্যে পরপর দুদিন (১৯ ও ২০ ডিসেম্বর) মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. রকিবুল হাসান বলেন, আগামী আরো দুই-একদিন শীতের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। আগামী ২৪-২৫ ডিসেম্বরের দিকে শৈতপ্রবাহের সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




অণ্বেষা! তুমি ফিরবে কবে?-এম. সোহেল রানা

অণ্বেষা! তুমি ফিরবে কবে তোমার পথ চেয়ে আজো বসে আছি
তোমার কি পড়ে না মনে তুমি আমি ছিলাম কত কাছাকাছি।
তোমার অপেক্ষায় আজো আমি একা একা কষ্টের প্রহরগুলো গুনি
অণ্বেষা! তোমার কি মনে কাটেনা আমাকে, সেই দিন-ক্ষণের কথা গুলি।

অণ্বেষা!
তুুমিতো কোন একদিন এসে বলতে পারতে আমি চলে এসেছি জান
সেদিন কি আমার ভালোবাসার দাম দিতে তোমার চলে যেত মান।
না আমি তোমাকে পশুর ন্যায় দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতে পারতাম
সে কেমন বিশ্বাস মোরা দু’জন দু’জনার মধ্যে স্থাপন করেছিলাম।

অণ্বেষা!
তুমি আসবে সেই দিন যেদিন আমি আর তোমাকে দেখতে পাবনা
যে দিন তোমার সাথে মনের অব্যক্ত কথা গুলো বলতে পারবনা,
শুনতে পাবনা মধুর বাণী, গুমরে গুমরে জ্বলে পুঁড়ে হাহাকার অন্তর
অপলোক দৃষ্টিতে চেয়ে কষ্টের গ্লানি শুধু দেহখানি পড়ে রবে নিথর।

অণে¦ষা! সে দিন তুমি খবর পেলেই এসো,
যে দিন আর তোমাকে ডাকতে পারবনা বলতে পারবনা হেসে
কষ্ট নিওনা এসে তুমি দু’দন্ড সময় কাটিও আমার লাশের পাশে বসে।
দুনিয়ায় দু’দিন মুছাফির হয়ে এসেছিলাম যে খালি হাতে
মৃত্যুর পথযাত্রী সেদিন মোর আমলনামা ছাড়া কিছুই যাবেনা সাথে।




ঘাসের ডগায় শিশির-গোলাম মোরশেদ চন্দন

ঘাসের ডগায় শিশির যেমন
রোদ পেলেই হাসে
আমার এ মন তোমায় পেলে
তেমন ভালোবাসে।
তেমন ভালোবাসে
বন্ধু তেমন ভালোবাসে।।

দূরে গেলে পাখা মেলে
উড়াল দিতে চাই
মন আমার কাছে
যেতে বলে যে হারাই
আকাশের মেঘের মত
মন আমার অবিরত
ওড়ে তোমার পাশে।।

ঝাউয়ের বনে যেমন বাতাস
শব্দ করে চলে
তুমি কাছে না থাকলে মন
প্রেম অনলে জ্বলে।

ফাগুন মাসে যেমন আসে
গাছেতে মুকুল
লাউয়ের ডগার মত মনটা
দোলাচ্ছে দ্যোদুল
শিমুলের ফুলে ফুলে
শালিকেরা প্রাণ খুলে
ডাকে যে উল্লাসে।




মাছরাঙা-মোয়াজ্জেম বিন আওয়াল

পুকুরটা হয় গোল
মাছ করে কলকল।
মাছরাঙা ধ্যান ধরে
মাছের নেশায়।

মাছ দুটি ধরা হলে
মাছরাঙা যায় গাছে,
এইভাবে খাবার খেয়ে
জীবন তাদের বাঁচে।




বন্ধু তোরে মনে পড়ে-সুস্মিতা জাফর

আকাশ ভরা ঘন কাল
গুচ্ছ মেঘের ভেলা;
বন্ধুবিহীন জীবন কাঁদায়
আজ এ বিকেল বেলা।

দখিণ হাওয়া শিষ দিয়েছে
ঘাস-পাতা-ধান জুড়ে;
আমরা দু’জন হাত ধরে সেই
হারিয়ে যেতাম দূরে।

জমিয়ে রাখা মনের কথা
গল্প দারুন হত;
স্মৃতিগুলো অতীত হয়ে
লুকায় ইচ্ছেমত।

হঠাৎ করে আজ এ দিনে
সেসব পড়ে মনে;
স্বপ্নপগুলো ডাক দিয়ে যায়
দিব্যি প্রতি ক্ষণে।




অবহেলা-অধম নুর ইসলাম

“হাসি মুখে থাকে শিশু
হাসিতে ভরা প্রাণ,
আনন্দে গায় এই শিশুরাই
আগামীর জয়-গান।

শিশুরা চায় আদর শিশুরা চায় ভালবাসা,
এই আদর ভালবাসা নিয়ে-
শিশুরা গড়ে স্বপ্নের বাসা।
শিশুদের ‘অবহেলা কখনো
করিওনা কেউ।

শিশুদের মুখে হাসি দেখে
ভুলে যাই-মনের দুঃখ,
থেমে যায় কান্নার ঢেউ।”




ডল -জুলফিকার আলী

হাসছে দেখ ছোট্ট সোনা
ঝুমঝুমিটা নিয়ে,
খেলনা ডল তাই অবাক চোখে
রয়েছে তাকিয়ে!

ঘুমাই না ডল খায় ও না সে
তাকিয়ে শুধু থাকে,
মজার মজার গল্প বলেও
হাসানো যায় না তাকে!

ছোট্ট সোনা নাম ধরে তার
ডাকে আয় বেবিডল,
না শুনে কথা একখানে
পড়ে রয় অবিচল!

ছোট্ট সোনা রাগ করেছে
ডলের ওপর ভীষণ,
রাগে চোটে চাঁদের দেশে
যাওয়ার নিল মিশন!




রবি শিশির ফড়িং – শরীফ সাথী

রাত অবধি ভোর গড়িয়ে
শীত শিশিরের দোল ছড়িয়ে
রোজ সকালে সবুজ পাতায়
সকল শিশির কণা হাসে,
ঘাসের ডগার এ ডাল সে ডাল
ছন্দ তুলে এ তাল সে তাল
নেচে গেয়ে ঘুরে বেড়ায়
ফড়িং এর দল অনায়াসে।
দূর আকাশের রবির হাসি
বললো সবুজ ভালোবাসি
ছুঁয়ে দিতে এলাম তাই,
ফড়িং সাথে খেলো খেলা
সবুজ ভূমি বসাও মেলা
বললো শিশির, গেলাম ভাই?