উল্টে গেল হাতি-লতিফা আক্তার লিলি

গোল্লাছুট খেলতে গিয়ে
উল্টে গেল হাতি।
ছুটে এলো তুলতে তাকে
কচ্ছপের নাতি।
ওরে বাবা ভীষণ ভারী
তুলি কেমন করে
তাই না শুনে হাতি আবার
কাঁদতে থাকে জোরে
সিংহ, ভাল্লুক, জিরাফ, খরগোশ
শিয়াল দেয় হাক
কেমন করে পড়ে গেল
হচ্ছে ভীষণ রাগ।




উল্টে গেল হাতি-লতিফা আক্তার লিলি

গোল্লাছুট খেলতে গিয়ে
উল্টে গেল হাতি।
ছুটে এলো তুলতে তাকে
কচ্ছপের নাতি।
ওরে বাবা ভীষণ ভারী
তুলি কেমন করে
তাই না শুনে হাতি আবার
কাঁদতে থাকে জোরে
সিংহ, ভাল্লুক, জিরাফ, খরগোশ
শিয়াল দেয় হাক
কেমন করে পড়ে গেল
হচ্ছে ভীষণ রাগ।




রুয়েটে ভর্তি হলো গাংনীর মেয়ে সাদিয়া আফরিন আশা

গাংনীর শিক্ষক দম্পতি মো: আসাদুল হক ও মোছা: শাহিনা আক্তারের মেয়ে সাদিয়া আফরিন আশা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছে।

সাদিয়া আফরিন আশা ২০১৭ সালে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এস এস সি ও ২০১৯ সালে গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে এ প্লাস নিয়ে পাস করে রুয়েট এ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েছে। সে সকলের দোয়া প্রার্থী।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই। শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আগামী রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় আর্মি স্টেডিয়ামেই নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজার পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

স্যার ফজলে হাসান আবেদের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত

ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাবনা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটা বাদ দিয়ে তিনি লন্ডনের চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউনট্যান্টসে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে তিনি তাঁর প্রফেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন।
শিক্ষাজীবন শেষে দেশে ফিরে এসে ফজলে হাসান আবেদ শেল অয়েল কোম্পানিতে যোগ দেন এবং দ্রুত পদোন্নতি লাভ করে ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। শেল অয়েল কোম্পানিতে কর্মরত থাকাকালে ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এ সময় তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ‘হেল্প’ নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত মনপুরা দ্বীপের অধিবাসীদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। সেখানে তাঁরা ব্যাপক ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে হাসান আবেদ ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়, তহবিল সংগ্রহ ও জনমত গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

একাত্তর সালের ডিসেম্বর মাসে ফজলে হাসান আবেদ সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এ সময় তিনি তাঁর লন্ডনের ফ্ল্যাট বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে ত্রাণকাজ শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল শাল্লা এলাকায় কাজ শুরু করেন। এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায়ই তিনি ব্র্যাক গড়ে তোলেন। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে তাঁর দীর্ঘ অভিযাত্রার সূচনা ঘটে। দরিদ্র মানুষ যাতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে নিজেরাই নিজেদের ভাগ্যনিয়ন্তা হয়ে উঠতে পারে, সেই লক্ষ্যে তিনি তাঁর কর্মসূচি পরিচালনা করেন।
চার দশকের মধ্যে তিনি তাঁর অভূতপূর্ব নেতৃত্বের মাধ্যমে কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঘটান। ব্র্যাক পরিণত হয় বিশ্বের সর্ববৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায়।

বর্তমানে বিশ্বের ১২টি দেশে ব্র্যাকের লক্ষাধিক কর্মী প্রায় তেরো কোটি মানুষের জীবনে উন্নয়নে নিরলস কাজ কাজ করে যাচ্ছে। ফজলে হাসান আবেদের সুযোগ্য নেতৃত্বই অজস্র প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ব্র্যাকের অনন্য সাধারণ এই অর্জনকে সম্ভব করে তুলেছে।
বস্তুত প্রতিষ্ঠাতার স্বাপ্নিক দূরদৃষ্টি, অদম্য সাহস এবং গতিশীলতা ব্র্যাকের ক্রম অগ্রযাত্রা, নব নব নিরীক্ষা ও সম্প্রসারণের নিরন্তর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে গেছে। ফলে দেশ-বিদেশে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার
ফজলে হাসান আবেদ সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁর অনন্য সাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বিশ্ব জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান এবং বিশ্বব্যাপী দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ফজলে হাসান আবেদ ২০১৬ সালে ‘টমাস ফ্রান্সিস জুনিয়র মেডেল অব গ্লোবাল পাবলিক হেলথ’ পদক লাভ করেন। খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালে ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রাইজ’ লাভ করেন। ২০১৩ সালে তিনি হাঙ্গেরির ‘সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি’ (সিইইউ) থেকে ‘ওপেন সোসাইটি প্রাইজ’ লাভ করেন। ২০১১ সালে তিনি কাতার ফাউন্ডেশন প্রবর্তিত শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘ওয়াইজ প্রাইজ’ লাভ করেন। ২০১০ সালে দারিদ্র্য-বিমোচনে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি যুক্তরাজ্যের অন্যতম সর্বোচ্চ সম্মানজনক উপাধি ‘নাইটহুড’ লাভ করেন।

এ ছাড়া তিনি ডেভিড রকফেলার ব্রিজিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেনশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০০৭), হেনরি আর ক্রাভিস প্রাইজ ইন লিডারশিপ (২০০৭), দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) প্রদত্ত আজীবন সম্মাননা (২০০৭), গেটস্ অ্যাওয়ার্ড ফর গ্লোবাল হেলথ (২০০৪), মানব উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ইউএনডিপি মাহবুবুল হক অ্যাওয়ার্ড (২০০৪), গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০০৩), দ্য শোয়াব ফাউন্ডেশন সোশ্যাল এনট্রাপ্রেনিওরশিপ অ্যাওয়ার্ড (২০০২), ওলফ পামে অ্যাওয়ার্ড (২০০১), ইউনিসেফ মরিস পেট অ্যাওয়ার্ড (১৯৯২), অ্যালানশন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার (১৯৯০), ইউনেসকো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫) এবং র্যামন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফর কমিউনিটি লিডারশিপ (১৯৮০) লাভ করেন।

মানবিক ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য ব্র্যাক বিশ্বের সর্ববৃহৎ পুরস্কার কনরাড এন হিলটন হিউম্যানিট্যারিয়ান অ্যাওয়ার্ড (২০০৮) এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ (২০০৭) অর্জন করেছে।

স্বীকৃতি
অশোকা ফজলে হাসান আবেদকে অন্যতম ‘গ্লোবাল গ্রেট’ স্বীকৃতিতে ভূষিত করেছে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের ‘গ্লোবাল অ্যাকাডেমি ফর সোশ্যাল এনট্রাপ্রেনিওরশিপ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ২০১০ সালে জাতিসংঘের মহাপরিচালক বান কি মুন ফজলে হাসান আবেদকে বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ‘স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গে’র একজন হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।

সম্মানসূচক ডিগ্রি
ফজলে হাসান আবেদ বিশ্বের নানা প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি (২০১৪), যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি (২০১২), যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব লজ (২০১০), যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব লেটার্স (২০০৯), যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব লজ (২০০৮), যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট অব হিউম্যান লেটার্স (২০০৭), যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর ইন এডুকেশন (২০০৩), কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টর অব লজ (১৯৯৪) উল্লেখযোগ্য।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরে তিব্রশীতে জনজীবন বিপর্যস্ত-বেড়েছে গরম কাপড়ের চাহিদা

মেহেরপুর সহ সারা দেশে গত বুধবার থেকে হঠাৎ করেই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড বরা হয়েছে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায় ৭.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আজ শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গায়। তিব্রশীতে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। বিশেষ করে খেটে মানুষরা পড়েছে বেশি বিপদে। তিব্রশীতে কাজ না থাকায় বিপদে পড়েছে দিন-মজুরাও।

গ্রাম-গঞ্জ থেকে কাজের সন্ধানে মেহেরপুরে আসা দিন মজুরের সংখ্যাও ছিল অনেক কম। এদের মধ্যে হাসেম, জয়নাল, ইজারুল নামের দিন মজুরের সাথে কথা বলে যানা যায় বেশি শীতের কারনে কজে আসতে পারেনি অনেকেই। তাছাড়া কাজও খুব একটা নেই।

এদিকে শীতের পকোপ থেকে রেহাই পেতে গরম কাপড় কিনতে ভিড় জমাচ্ছে দোকান গুলোতে। শুক্রবার মেহেরপুর গরুর হাট সংলগ্ন পুরাতন কাপড়ের দোকনগুলো উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। নিম্ন-মধ্যবিত্তরা এই সব পুরা তন কাপড়ের দোকান থেকে সংগ্রহ করছে মোটা কাপড়ের পোশাক।

এছাড়াও গ্রাম ও শহরের অলিগলিতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায় অনেককেই। মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে গরিব মানুষদের দেওয়া হচ্ছে কম্বল।

এদিকে হঠাৎ করে শীতের তিব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। গত দুই দিনে প্রায় শ-খানেক রোগী ভর্তি হয়েছে আবহাওয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে।

মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গার আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, শীতের তিব্রতা আরও বেশি হতে পারে। এছাড়াও চলতি মাসেই একটি শৈত প্রবাহ হওয়ার আশঙ্খা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক আতাউল গনি জানান, আমরা ইতি মধ্যে অসহায় গরিবদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছি। আমাদের কাছে এখনো পর্যাপ্ত কম্বল সংরক্ষিত আছে। সেগুলো বিতরণ করা হবে।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলন শুরু কিছুক্ষণ পর

আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলন শুরু কিছুক্ষণ পর। সম্মেলনের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হয়েছেন নেতাকর্মীরা। সম্মেলনে বিকেল ৩টার দিকে আসবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকেই বর্ণিল সাজে উপস্থিত হয়েছেন সম্মেলনস্থলে। প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ।

আজ শুক্রবার সম্মেলনস্থলে দেখা যায়, হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সম্মেলন উপলক্ষে জমায়েত হয়েছেন। তাদের জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে সম্মেলনস্থল। বর্ণিল সাজে সেজেছে পদ্মা সেতু, নৌকা, স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ডামি সজ্জিত মঞ্চ।

সম্মেলনে অংশ নিতে আসা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা রাজধানীর রমনা পার্ক এলাকায়ও ভিড় জমিয়েছেন। একইসঙ্গে সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিশুপার্ক সংলগ্ন গেটেও অবস্থান নিয়েছেন তারা।

সম্মেলন ঘিরে এবং প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে মৎস্য ভবন এলাকা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নিয়েছেন। একইসঙ্গে মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ এলাকা পর্যন্ত যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।




নিয়ম বহির্ভূতভাবে করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮টি গাছ কর্তনের অভিযোগ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের করমদি মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের ৮টি গাছ কর্তন করা হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর রাত থেকে বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ঐ গাছগুলো কাটা হয় বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা রাতের আঁধার থেকে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের মধ্যে গাছ কাটার বিষয়টি কে স্বাভাবিক ভাবে দেখছেন না। স্থানীয়দের অনেকে জানান, বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে অনেক নিয়ম মেনে তবেই গাছ কাটতে হয়। এখানে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধান শিক্ষক সে নিয়মকে উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের গাছ কর্তন করেছেন।

তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আলম হুসাইন বলেন, বিদ্যালয়ের গাছ বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে কাটা হয়েছে। আর আমরা লোকচক্ষুর অন্তরালে গাছ কাটিনাই। আমরা আমাদের সুবিধা মতো সময়ে গাছ কেটেছি সকলেই জানে।

প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষের শিক্ষার্থীদের বসার অসুবিধা হওয়ায় অনেক গুলো বেঞ্চের প্রয়োজন হওয়ায় এই গাছ কাটতে হয়েছে তাছাড়া গাছগুলোর বয়সও অনেক। তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি লাইলা আরজুমান বানু শিলা জানান, সিমানা প্রাচির করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে।

সুত্রমতে বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে পরিবেশ মন্ত্রাণলয়ের অনুমোদন নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের রেজুলেশন করে গাছ কাটতে হয়।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আলম হুসাইন সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের জমির নিজেস্ব গাছ আমরা কেটেছি এখানে উপর মহলের কোন অনুমতির প্রয়োজন হয়না। শুধুমাত্র পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি সাপেক্ষে বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে গাছ কাটার নিয়ম আছে।

তবে রেজুলেশন দেখতে চাইলে তিনি বলেন, রেজুলেশন করা হয়েছে খাতাটি তার বাসায় রয়েছে পরে দেখানো যেতে পারে। পরে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন আসলে রেজুলেশন খাতাটি বিদ্যালয়েই রয়েছে আমার জানা ছিলনা পরে রেজুলেশন খাতা দেখানো যাবে। স্থানীয় অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গাছগুলো ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা হতে পারে।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি লাইলা আরজুমান বানু শিলা জানান, লিখিত ভাবে প্রধান শিক্ষক আমাকে জানায়নি। তবে মৌখিকভাবে জানিয়েছিল। আমি তাকে নিয়মের মধ্যে থেকে যেটা হয় সেভাবে কাজ করতে বলেছি। সভাপতি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষককে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিধিমোতাবেক যেটা হয় সেভাবে গাছ কাটতে হবে। বিধির বাইরে গেলে আমি সেটা মেনে নেবনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতির দায় দিয়ে কোন গাছ কাটা যাবেনা। বিদ্যালয়ের গাছ কাটতে হলে অবশ্যই এর একটি নিয়ম আছে বিধি আছে সে বিধি মোতাবেক গাছ কাটতে হবে। তিনি বলেন সেখানে ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-নিজস্ব প্রতিবেদক




গাংনী থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দু মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। এরা হচ্ছে- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর গ্রামের মাসুদ রেজার ছেলে মনোয়ার(২৭) ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে জসিম(২৫)।

বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে বামন্দি পুলিশ ক্যাম্পের একটি টীম এদেরকে মথুরাপুর রাস্তা থেকে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার করা হয় ১৩ বোতল ফেনসিডিল।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত দুজন ফেনসিডিল নিয়ে আসছে মর্মে সংবাদ পেয়ে বামন্দি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ বরকত ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
-গাংনী প্রতিনিধি




নতুন কমিটি না হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে

কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনার ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও মেহেরপুর সরকারি কলেজ ও মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়নি। এছাড়া গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদও শেষ হয়েছে।

ফলে সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আসছে না বলে মন্তব্য করেছে ছাত্রলীগ নেতারা। তবে চলতি মাসেই নতুন কমিটির দেওয়ার আশ্বাস দিলেন জেলা কমিটির সভাপতি-সম্পাদক।

জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে ২২ তারিখে মেহেরপুর সরকারি কলেজ ও একই মাসের ৩০ তারিখে মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে জেলা ছাত্রলীগ।

কলেজ ছাত্রলীগকে আরও গতিশীল ও সুসংগঠিত করার জন্য নতুন কমিটির বিকল্প নেই বলে মনে করছেন কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা।
মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আদিপ হোসেন আসিফ বলেন, কমিটি ছাড়া সংগঠন সঠিকভাবে চলতে পারে না। মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে কয়েক মাস আগেই। এখনো নতুন কমিটি দেওয়া হয়নি। দলকে আরও গতিশীল করতে নতুন কমিটির বিকল্প নেই।

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী দুলাল মাহমুদ বলেন, কমিটি না থাকায় আমরা কোন রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করতে পারি না। প্রোগ্রাম করতে গেলে সকলের অংশগ্রহন হয়না। বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে যায়। আমরা চাই আমরা একটি শিকলে আবদ্ধ থাকতে। সে জন্য প্রয়োজন কমিটি। আমরা জেলা কমিটির কাছে আহবান জানাচ্ছি যত তাড়াদাড়ি সম্ভব সকল মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি নতুন করে দেওয়া হোক।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ছাত্রলীগ নেতা জানিয়েছেন, কলেজ শাখা কমিটির জন্য আদিপ হোসেন আসিফ ছাড়া কাউকেই সভাপতি পদে প্রাথর্ িদেওয়া হয়নি। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে অনেকেই প্রার্থী হয়েছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির জামান মৃদুল এ বিষয়ে বলেন, মেয়াদ শেষ হওয়া সকল কমিটি চলতি মাসেই দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গাংনী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, এই কমিটির মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কমিটির সাথে আলোচনা করে গাংনীতেও নতুন কমিটি দেওয়া হবে। আগামী জানুয়ারী মাসের প্রথম থেকেই আশা করছি সব ইউনিটে নতুন কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন বলেন, আপনারা জানেন কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। আগের সভাপতি-সম্পাদককে বহিষ্কার করা হয়েছে। এজন্য আমাদের বেশ কয়েকটি মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দেওয়া হয়নি। আমরা বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে যোগাযোগ করেছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলনের পরেই সবকটি মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটিতে নতুন কমিটি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজ ও মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের জীবন-বৃত্তান্ত নেওয়া হয়েছে। এগুলো যাচাই বাছাই করে স্থানীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হবে।

-মর্তুজা ফারুক রুপক




মেহেরপুরে ট্রাফিক পুলিশের দুই জনের পদোন্নতি লাভ

মেহেরপুর ট্রাফিক পুলিশের এক কনষ্টেবল কামাল হোসেন ও এটিএসআই উত্তম ‍কুমার পদোন্নতি লাভ করেছেন।

কনষ্টেবল কামাল হোসেন এটিএসআই পদে ও উত্তম কুমার টিএসআই পদে পদোন্নতি লাভ করেছেন। তাঁরা পদোন্নতি লাভ করায় তাদের পুলিশ সুপার ‍দুইজনকে কে র‍্যাংক ব্যাজ পরানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কক্ষে পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী তাদের দুইজনকে পদোন্নতির ব্যাজ পরিয়ে দেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
-নিজস্ব প্রতিনিধি