বিজয় দিবসে মেহেরপুরে যুবলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন

মেহেরপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন  যুবলীগ।

সোমবার সকালে মেহেরপুরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল এর নেতৃত্বে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন,  শহর যুবলীগের সভাপতি শেখ কামাল, কৃষকলীগের সভাপতি জাফর ইকবাল, জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি একে আজাদ সাগর সহ নেতাকর্মীরা।

-নিজস্ব প্রতিনিধি

 

 




আমঝুপিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।  সেমবার ভোরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালীর মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন চুন্নু, আরো উপস্থিত ছিলেন আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুতয়ার রহমান ও সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, ইউপি সদস্য আলফাজ হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মন্টু, ৮নং ওয়ার্ডের আওলাদ হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মহাবুল হোসেন, জাকির হোসেন, আতিয়ার রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন: মুজিবনগরে বিজয় দিবসের সকল কর্মসূচি বয়কট করেছে সাংবাদিকরা 

র‌্যালী:

দলীয় কার্যালয় থেকে বিজয় র‌্যালি নিয়ে আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পন করেন।  মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন চুন্নু, আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মদ আলী, আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:মেহেরপুরে মহান বিজয় দিবস পালন শুরু

জাতীয় পতাকা উত্তোলন :
আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদে পতাকা উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন চুন্নু, আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আহম্মদ আলি, আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, এ আর বি কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, আমঝুপি আলিম মাদরাসায় অধ্যক্ষ মাহবুব উল আলম,  আমঝুপি বিএডিসি খামারে জিয়া উদ্দিনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।




মুজিবনগরে বিজয় দিবসের সকল কর্মসূচি বয়কট করেছে সাংবাদিকরা

মুজিবনগরে বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগের আগে মুজিবনগর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সৃৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পন করায় লাঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে উপজেলার সকল সাংবাদিকদের।

মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস সাংবাদিকদের সাথে শতশত জনতার সামনে আশালীন আচরণ করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের আগে ফুল দেয়ার সাহস তোদের কে দিয়েছে। এসময় সাংবাদিক শফি কিছূ বলতে চাইলে তিনি বলেন তুই কে? যদি ফুল দেওয়ার এতই ইচ্ছে থাকে তবে আওয়ামীলীগের ব্যানারে এসে ফুল দে।
আরো পড়ুন মেহেরপুরে মহান বিজয় দিবস পালন শুরু

ঘটনার বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী ওমর ফারুক প্রিন্স বলেন, যে কোন জাতীয় অনুষ্ঠানে ফুল দেয়ার অধিকার আমাদের সকলের আছে। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান আমাদের সাথে এরকম আচরণ করায় আমরা সাংবাদিকরা লজ্জিত। যে কারণে আমাদের সহকর্মীদের সম্মান রক্ষার্থে  বিজয় দিবসের সকল অনুষ্ঠান বয়কট করেছি।

আরো পড়ুন:মেহেরপুরে মহান বিজয় দিবস পালন শুরু

উল্লেক্ষ, আজ সোমবার সকালে বিজয় দিবস নিউজ সংগ্রহ করতে কোন রকম ব্যাঘাত না ঘটে সে লক্ষে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরে মুজিবনগর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। সাথে সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস সাংবাদিকদের সাথে এ ধরণের অশালীন আচরণ করেন। এ ঘটনার পর থেকে বিজয় দিবসের সকল কর্মসূচি বয়কট করে মুজিবনগরের সাংবাদিকরা সকল কর্মসূচী বয়কট করে স্মৃতিসৌধে অবস্থান নেয়।
আরো পড়ুন:আমঝুপিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

-মুজিবনগর অফিস




মেহেরপুরে মহান বিজয় দিবস পালন শুরু

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্ম সূচীর মধ্যে দিয়ে যথাযোগ্য মর্য৪াদায় ৪৮ তম মহান বিজয় দিবস পালন শুরু হয়েছে।
ভোরে মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে ৩১ বার তপোধ্বনীর মধ্যে দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। পরে সূর্য়োদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

পতাকা উত্তোলন শেষে মেহেরপুর সরকারি কলেজের মোড়ের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি জেলা প্রশাসনের পক্ষে, পুলিশ ‍সুপার এস এম মুরাদ আলী পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে, এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রধান, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

পরে সকাল সাড়ে ৮টায় মেহেরপুর জেলা ষ্টেডিয়ামমাঠে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চা প্রদর্শনীতে পুলিশ, আনছার, স্কাউট, বিএনিসিসি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে।

নিজস্ব প্রতিনিধি




আজ মহান বিজয় দিবস

আজ মহান বিজয় দিবস। এ দিনটি হচ্ছে বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

জাতি সশ্রদ্ধ বেদনায় স্মরণ করবে দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে প্রাণ উৎসর্গ করা বীর সন্তানদের। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনতার ঢল নামবে। শ্রদ্ধার সঙ্গে তারা শহীদের উদ্দেশে নিবেদন করবেন পুষ্পাঞ্জলি। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সব প্রান্তের মানুষ অংশ নেবে বিজয় দিবসে। বঙ্গবন্ধুর বজ্র নিনাদ ভাষণ আর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের জাগরণী গানে আকাশ-বাতাস হবে মুখরিত।

যে অস্ত্র দিয়ে বর্বর পাকবাহিনী দীর্ঘ নয় মাস ত্রিশ লাখ বাঙালিকে হত্যা করেছে, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে সেই অস্ত্র পায়ের কাছে নামিয়ে রেখে এক রাশ হতাশা এবং অপমানের গ্লানি নিয়ে লড়াকু বাঙালির কাছে পরাজয় মেনে নেয় তারা। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালিত হয়ে আসছে।

বিজয়ের ৪৮ বছর পেরিয়ে এবার ৪৯তম বিজয় দিবস। এবারের বিজয় দিবস এসেছে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং এর পরের বছর ২০২১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবে বাংলাদেশ।
বিজয় দিবস সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় করা হবে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানা গুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। সংবাদপত্র বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। বেতার ও টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এদিন বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগ পাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।

আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্যবীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুনের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলীদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই।

অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরন্ময় হাতিয়ার। সাত মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে এক যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরো দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’ এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেয়ার সময় আসন্ন।

পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন যজ্ঞ। বাতাসে লাশে গন্ধ বারুদে বারুদে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন এক প্রেতপুরী। আকাশে শকুনের উদ্যত থাবা, নিচে বিপন্ন মানুষের বিলাপ। হায় বাংলাদেশ। একি বাংলাদেশ। এ যেন এক জ্বলন্ত শশ্মান। কিন্তু ঠিকই হাড়ের খুলীরা একদিন পাললিক হয়।

মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরো শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালি। ইতোমধ্যেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালির ভাগ্য যুদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যুদ্ধের।

অবশেষে নয় মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। এলো হাজার বছরের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সূচিত হলো মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর লাখ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




গাংনীতে সমঝোতায় একই স্থানে পৃথক সমাবেশ

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে বাসস্ট্যান্ড বাজারে শহীদ রেজাউল চত্বরে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম এসে পরিস্থিতি শান্ত করলেও দু’পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ থাকে।

শান্তি শৃংখলার মধ্যে দিয়ে বিজয় দিবসটি যাতে পালন করা যায় সে লক্ষ্যে দুপুরে জেলা প্রশাসক মোঃ আতাউল গণি ও পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমানের কার্যালয়ে আসেন।

তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক নিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

আরো পড়ুন:গাংনীতে বিজয় দিবস পালনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের উত্তেজনা
আলোচনায় দু’পক্ষের সম্মতিতে একই স্থানে পৃথক সময়ে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা করতে একমত পোষন করেন।

ফলে ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা করার পর পৌর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় সাবেক এমপি মোঃ মকবুল হোসেন, গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান, সাবেক মেয়র আহম্মেদ আলি সহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিৎ ছিলেন।

-গাংনী প্রতিনিধি




মেহেরপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে নৌকাবাইচ খেলা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে নৌকাবাইচ খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রবিবার বিকালে যাদবপুর-গোভিপুর সংলগ্ন ভৈরব নদে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ৫টি দল অংশগ্রহন করেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন নৌকাবাইচ খেলায় জয়লাভ করে। খেলা শেষে বিজয়ী দলের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম সহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা গন।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




চুয়াডাঙ্গায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

চুয়াডাঙ্গায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। জেলার এসএসসি ৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অলাভজনক সংগঠন ‘সাক্ষাৎ ফাউন্ডেশন’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। রবিবার দুপুরে সংগঠনের মাছপট্টির কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সউদ কবীর মালিক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক আব্দুল মুহিত, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্মৃতিকণা বিশ^াস ও দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে ২০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




চুয়াডাঙ্গায় তিনটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকা থেকে বোমা সদৃশ তিনটি বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার বেলা ১১টার দিকে কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো বোমা সদৃশ তিনটি কৌটা উদ্ধার করা হয়।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, রবিবার সকালে মুন্সিগঞ্জ তমালতলার মাঠে বোমা সদৃশ তিনটি কৌটা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।

পরে পুলিম ঘটনাস্থলে পৌছে সেগুলো উদ্ধার করে। বর্তমানে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করার জন্য পানি ভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




চুয়াডাঙ্গায় পিকআপ চাপায় এক বৃদ্ধ পথচারী নিহত

চুয়াডাঙ্গার শহরতলী দৌলাৎদিয়াড় গ্রামের পিকআপের চাপায় রবিউল ইসলাম (৬০) নামের এক বৃদ্ধ পথচারী নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রবিউল ইসলাম দৌলাৎদিয়াড় বঙ্গজপাড়ার মৃত আওলাদ মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে রবিউল ইসলাম বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলো।

এসময় দ্রæতগামির একটি পিকআপ তাকে ধাক্কা দিলে তিনি মারাত্মক আহত হন। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। পরে সকাল ১০টায় মারা যান তিনি।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি