চুয়াডাঙ্গায় বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা চত্বরে এসব অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্পের আওতায় এ অনুষ্ঠান হয়।

দিবস উপলক্ষে সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে। এতে নেতৃত্ব দেন পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী। পরে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন প্যানেল মেয়র রেজাউল করিম, মহিলা কাউন্সিলর সুলতান আরা রতœা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী বলেন, নারীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। পুরুষের পাশাপাশি নারীরার দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন। নারীদের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




মুজিববনগরে ১৬ ডিসেম্বরের প্রস্তুতি প্যারড মহড়া অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে ১৬ ডিসেম্বরের প্রস্তুতি প্যারড মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মাঠ চত্তরে  ১৬ ডিসেম্বরের প্রস্তুতি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মহড়ার নেতৃত্ব দেন মুজিবনগর থানার এস আই সুব্রত কুমার পাল, প্যারডে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার বাহিনি, বিএনসিসি,সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাত্রী বৃন্দ্র।

প্যারড পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনী। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রব,সিনিয়র মৎস্য অফিসার শহিদুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন, তথ্যসেবা অফিসার তানিয়া খন্দকার প্রমুখ।

-মুজিবনগর অফিস




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আবার মৃত্যু

মেহেরপুর সড়কে মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। ২ জন মৃত্যুবরন করার  একদিন পার না হতে   আবারও ঘটলো মৃত্যুর ঘটনা।

রবিবার বিকেলের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার চাঁদবিল গ্রামের মাইক্রোর ধাক্কায় আব্দুল লতিফ ৭০ নামের এ বৃদ্ধ নিহত হন।

নিহত আব্দুল লতিফ মেহেরপুর শহরের সাহাজি পাড়ার আহমদ আলীর ছেলে।

জানা গেছে আব্দুল লতিফ ঘটনার সময় চাঁদবিল থেকে সাইকেল যোগে মেহেরপুর ফেরার পথে একই দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী মাইক্রো বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে আব্দুল লতিফের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




গাংনীতে বিজয় দিবস পালনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের উত্তেজনা

বিজয় দিবস পালনকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

রবিবার সকাল ৮টার দিকে পৌর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা গাংনী বাজারে শহীদ রেজাউল চত্বরে পতাকা টাঙ্গানোর জন্য প্লাস্টিকের পাইপ পুততে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা এসে  পাশেই তারাও পাইপ পুতার প্রস্তুতি  নেয়। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয় বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে সকাল ১১ টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার আগেই পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করেন।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম বাবু সাংবাদিকদের জানান, প্রতিবছরই এখানে আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিজয় দিবস ও অন্যান্য দিবস পালন করে থাকি। এবছর বিজয় দিবসের আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন তার নিজ বাসভবনে ১০ থেকে ১৫জন লোকজন নিয়ে প্রস্তুতি সভা করে। সেখানে আমাদের জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি।

আনারুল ইসলাম বাবু আরও বলেন আমরা মুজিব সৈনিক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজনীতি করে আসছি। আমরা বিজয় দিবস পালন করবনা এটা হয়না। তাই জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কথা বলে আমরা পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিজয় দিবস পালনের প্রস্তুতি নিয়েছি। তারই ধারাবহিকতায় আমরা মঞ্চ পতাকা উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরই মধ্যে এমপি খোকনের লোকজন এসে আমাদের অনুষ্ঠান বানচাল করার উদ্দেশ্য উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরী করে।

গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, এর আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভায় তাদের ডাকলেও তারা আসেনি। এ কারণে এ বার তাদের ডাকা হয় নি। তবে উদ্ধুব্ধ পরিস্থিতি সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন ও জেলা আওয়ামীলীড়ের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেকের সাথে কথা বলে এর সমাধান করা হবে।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ  সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ ঘরের মধ্যে প্রস্তুতি সভা করেছে কিন্তু কাউকে ডাকেনি। যেটা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভুত। বিজয় দিবসের মত একটি অনুষ্ঠান অবশ্যাই পালন হবে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।




মেহেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

দেশব্যাপী কেন্দ্রঘোষিত কর্মসুচীর অংশ হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।
রবিবার সকালে মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন।

পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, ইলিয়াস হোসেন, আনছারুল হক,শেখ সাঈদ আহমেদ প্রমুখ।

সমাবেশে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহিম, আব্দুল আওয়াল, মনিরুজ্জামান গাড্ডু,ইনসারুল ইসলাম ইনসু, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, আবদুর রশিদ, জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভূট্টো, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওবায়দুল্লাহ সেন্টু, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান আখের, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি ইদ্রীস আলী দেওয়ান, দপ্তর সম্পাদক আবু সুফিয়ান হাবু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মোল্লা, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদর উদ্দিন বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী ফজলু খাঁন, হাবিব ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক আবু ইউসুফ মিরন, হাফিজুর রহমান হাপি, মেহেরপুর জেলা তাতীদলের সভাপতি আরজুল্লা বাবলু মাষ্টার, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদুল হক জাহিদ, সাধারন সম্পাদক কাওছার আলী, যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রোকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আজমুল হাসান মিন্টু, জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজিন, সহ-সভাপতি তৌফিক এলাহী সাকিল সগ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
-নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরে ফেন্সিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুরে গোয়েন্দা পুলিশের  মাদক বিরোধী অভিযানে ৬০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আবু আব্দুল্লাহ মুলন (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আবু আব্দুল্লাহ মুলন গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের আঃ বাকির ছেলে।

শনিবার রাতে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার দেবীপুর গ্রামের খেজমত আলীর বাঁশঝাড়ের সামনে পাকা রাস্তার পাশ থেকে ৬০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আবু আব্দুল্লাহ মুলন আটক করা হয়।

মেহেরপুর ডিবি পুলিশের ওসি রবিউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী থানাধীন দেবীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মোঃ খেজমত আলীর বাঁশঝাড়ের সামনে পাকা রাস্তার পাশ থেকে দেবীপুর গ্রামের আঃ বাকির ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আবু আব্দুল্লাহ মুলনকে ৬০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক হয়েছে।

এ বিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা করা হয়েছে।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




শামীমের ৩৬৫ কোটি টাকা, খালেদের ৩৪, সম্রাটের ‘তেমন নেই’

সা¤প্রতিক শুদ্ধি অভিযানের মধ্যে দুর্নীতির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার সম্পদ অবরুদ্ধ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে নগদ টাকার পরিমাণই বেশি। আদালতের নির্দেশে ১৬টি মামলায় অবরুদ্ধ করা টাকার পরিমাণ ৩৬২ কোটিও বেশি। আর সম্পদের পরিমাণ ৭৮ কোটি টাকার বেশি।

দুদক ও আদালত সূত্র জানায়, কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীমের (জি কে শামীম) সম্পদই সবচেয়ে বেশি। বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তাঁর প্রায় ৩২৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে প্রায় ৪১ কোটি টাকার। এরপরই আছে যুবলীগের আরেক নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সম্পদ। বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তাঁর ৩১ কোটি টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকার।

আরেক সাবেক যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সম্পদ বা নগদ টাকার পরিমাণ তেমন নেই বলে দুদক সূত্রে থেকে জানা গেছে।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শুদ্ধি অভিযান’ শুরু হওয়ার পর ওই মাসের শেষ দিকে সংশ্লিষ্টদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে এ পর্যন্ত ১৬টি মামলা করেছে সংস্থাটি। এসব মামলা হয়েছে ঠিকাদার জি কে শামীম, যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের সাবেক সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ও তাঁর ভাই রূপন ভূঁইয়া, অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান,

বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমান, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব ও এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ এবং যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমান ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলার পরপরই তাঁদের বিরুদ্ধে আরও নিবিড় তদন্ত শুরু করে দুদক। তদন্তের শুরুতেই তাঁদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন দুদক কর্মকর্তারা। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ব্যাংকে থাকা টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন।

সূত্র জানিয়েছে, তদন্তে এসব সম্পদের তথ্য পাওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংকের অর্থ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তদন্তে আরও সম্পদের তথ্য পাওয়া গেলেও সেগুলোর বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, মামলার অনুসন্ধান বা তদন্ত পর্যায়ে কর্মকর্তারা প্রয়োজনমতো ব্যবস্থা নেন। অবৈধ সম্পদের মালিকেরা যাতে অনুসন্ধান বা তদন্ত পর্যায়ে তাঁদের সম্পদ অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে না পারেন, সে জন্য আদালতের মাধ্যমে সেগুলো ক্রোক বা ফ্রিজ করা হয়। তিনি বলেন, ‘অবৈধ সম্পদের মালিকদের ওই সম্পদ ভোগ করতে না দেওয়ার জন্য আমাদের নীতিগত যে সিদ্ধান্ত তার বাস্তবায়নে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

অবরুদ্ধ হওয়া সম্পদের মধ্যে জি কে শামীমের সম্পদ সবচেয়ে বেশি
শুদ্ধি অভিযান শুরুর পরপরই গত ২০ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন জি কে শামীম। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে আলাদা মামলা করে র‌্যাব।
গ্রেপ্তারের সময় শামীমের কার্যালয় থেকে তাঁর মায়ের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআরের কাগজপত্র জব্দ করে। এ ছাড়া শামীমের কার্যালয়ে অভিযান চলার সময় নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবং ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সমপরিমাণ মার্কিন ডলারও জব্দ করে র‌্যাব।

এর এক মাস পর দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। মামলায় জি কে শামীমের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। একই মামলায় শামীমের মা আয়েশা আক্তারকেও আসামি করা হয়।

মামলার তদন্ত করতে গিয়ে শামীম ও তাঁর মায়ের আরও সম্পদের তথ্য আসে দুদকের হাতে। বিভিন্ন ব্যাংকে জমা পাওয়া যায় ৩২৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আর জায়গা-জমি-বাড়ি-ফ্ল্যাট মিলিয়ে ৪০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব সম্পদের দলিলমূল্য এটা হলেও বাজারমূল্য অনেক বেশি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন ওরফে সম্রাটকে গ্রেপ্তারের পর কাকরাইলে তাঁর কার্যালয়ে তাঁকে
সম্রাটের সম্পদ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের সম্পদের খুব বেশি তথ্য নেই কোথাও। এখন পর্যন্ত তাঁর স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন ব্যাংকে মাত্র ৮৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা পেয়ে তা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
গত ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর আবারও আলোচনায় আসে সম্রাটের নাম। তবে তাঁকে গ্রেপ্তারে গত ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। সহযোগী আরমানসহ সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছয় মাসের কারাদÐের পাশাপাশি সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়। মাদক পাওয়ায় আরমানকেও

ছয় মাসের কারাদÐ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তদন্তে খালেদের সম্পদ পাওয়া গেছে বেশি

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘ শুদ্ধি অভিযান’ শুরুর দিনই গ্রেপ্তার হন মহানগর যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তাঁর বিরুদ্ধেই অস্ত্র, মাদক ও অর্থ পাচার আইনে আলাদা মামলা করে র‌্যাব।

এর ৩৩ দিন পর ২১ অক্টোবর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খালেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। মামলায় খালেদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

তবে মামলার তদন্তে খালেদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্যাংকে খালেদের নামে পাওয়া ৩৯ কোটি ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া আনুমানিক ৩ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা হয়।

গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনামুল হক এবং তাঁর ভাই থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়ার স্থাবর কোনো সম্পদের তথ্য এখন পর্যন্ত পায়নি দুদক। তবে বিভিন্ন ব্যাংকে দুজনের জমা থাকা অর্থ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এনামুল হকের অবরুদ্ধ হওয়া টাকার পরিমাণ ১০ কোটি ৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। আর রূপন ভূঁইয়ার অবরুদ্ধ টাকার পরিমাণ ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার।

গত ২৩ অক্টোবর এ দুজনের বিরুদ্ধ মামলা করে দুদক। এনামুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেন সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। এই মামলায় এনামুলসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। মামলা এজাহারে বলা হয়, বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁকে অবৈধ অর্থ অর্জনে সহায়তা করেছেন ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনামুলের বন্ধু হিসেবে পরিচিত হারুন অর রশিদ। তাই এই তিনজনকে একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে, এনামুলের ভাই রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন দুদকের আরেক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। মামলার এজাহারে বলা হয়, রূপন ভূঁইয়া অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে নামে-বেনামে ১৪ কোটি ১২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল হক ও তাঁর ভাই রূপন ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেখান থেকে টাকা ও গয়না জব্দ করার পর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কর্মচারী আবুল কালাম ও এনামুলের বন্ধু হিসেবে পরিচিত হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। ওই অভিযানে সব মিলিয়ে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা, চার কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে র‌্যাব।

অভিযান শেষে র‌্যাব জানিয়েছিল, এনামুল হক ও রূপন ভূঁইয়া ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার। ওয়ান্ডারার্স ক্লাব থেকে ক্যাসিনোর টাকা এনে এনামুল বাসায় রাখতেন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ টাকা রাখার জায়গাও হতো না। তাই টাকা দিয়ে তিনি স্বর্ণালংকার কিনতেন।

অভিযান শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাসের মধ্যেও তাঁদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে ওই ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। সূত্রাপুর থানায় মানি লন্ডারিং ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি করে চারটি মামলা করে র‌্যাব। ওয়ারী থানায় দুটি অস্ত্র আইনে এবং গেন্ডারিয়ার থানায় মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা করা হয়।
অনলাইন জুয়া ও ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির শেষে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, ঢাকা, ৩ সেপ্টেম্বর।

সেলিম প্রধানের জব্দ হওয়া টাকা মাত্র ৫৪ লাখ
সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা সেলিম প্রধানের ব্যাংকে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। আদালতের আদেশ নিয়ে ওই অর্থ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাঁর স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়নি।

১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ পেয়ে সেলিমে বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। গত ২৭ অক্টোবর মামলাটি হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাঁকে নিয়ে তাঁর অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইনে তাঁকে ছয় মাসের কারাদÐ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা হয়।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলাদা দুটি মামলা হয়। গত ২৯ অক্টোবর মামলা দুটি করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় আনিসের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং সুমি রহমানের ১ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার তদন্তের অংশ হিসেব বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা আনিসের নামে ৫ কোটি ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গত ২৭ অক্টোবর মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
লোকমান হোসেনের মামলার তদন্ত পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তাঁর ২ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৪ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের শুরুর দিকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে লোকমানকে রাজধানীর মণিপুরিপাড়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাঁর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তেজগাঁও (ডিএমপি) থানায় মামলা করা হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩১ টাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৬ নভেম্বর মামলা করেন উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলার তদন্ত পর্যায়ে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তাঁর ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া আনুমানিক ২০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে।

চলমান শুদ্ধি অভিযানে গত ১১ অক্টোবর সিলেটের শ্রীমঙ্গল থেকে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন হাবিবুর রহমান মিজান। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা করা হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে ২৬ কোটি ১৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা রাজীবের ১ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাঁর একটি গাড়ি জব্দ করে দুদকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর দুটি গাড়ি আটক করে মোহাম্মদপুর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

চলমান শুদ্ধি অভিযানে গত ১৯ অক্টোবর রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তারেকুজ্জামান রাজীবকে। অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
সম্রাটের ‘ক্যাশিয়ার’ হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। বিভিন্ন ব্যাংকে তাঁর ২ কোটি ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাটের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরমানও। গ্রেপ্তারের সময় মদ্যপ ছিলেন আরমান। তাঁর কাছে মাদকও পাওয়া যায়। সে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদÐ দেন।
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

গত ১৩ নভেম্বর মামলাটি হয়। মামলার তদন্ত পর্যায়ে জাকিরের ব্যাংক হিসাবে পাওয়া যায় ৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮ হাজার টাকা। আদালতের নির্দেশে ওই টাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর ৩০ অক্টোবর ভোলা থেকে জাকিরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

সাড়ে ১৪ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শিক্ষা ভবনের টেন্ডারবাজির প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ২১ নভেম্বর হওয়া ওই মামলা করেন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।

মামলার তদন্ত পর্যায়ে কোনো ব্যাংকে তাঁর নামে জমা অর্থের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে প্রায় সাড়ে ১৪ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ পেয়ে আদালতের মাধ্যমে তা ক্রোক করা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অপসারিত কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক ওরফে সাঈদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদে অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান সরকার। ২০ নভেম্বর মামলাটি হয়।

মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তাঁর সম্পদ জব্দের আবেদন করেছে সংস্থাটি। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এটি আদালতের আদেশের অপেক্ষায় আছে। বিভিন্ন ব্যাংকে এখন পর্যন্ত তাঁর ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা জমা থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক।

কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ওরফে ফিরোজের ২ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। গত ৩০ অক্টোবর মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

সবশেষ পাওয়া তথ্যমতে, শফিকুল আলমের নামে ব্যাংকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জমা আছে। ওই টাকা অবরুদ্ধ করতে আদালতে আবেদন করেছে দুদক।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গায় গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে ঝলসে গেছে অন্তঃসত্ত¡া গৃহবধূর শরীর

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় বোয়ালিয়া গ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে ঝলছে গেছে অন্তঃসত্ত¡া গৃহবধূ শ্যামলী কর্মকারের (২৬) শরীর।

তকাল শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে রান্না করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

অগ্নিদগ্ধ শ্যামলী কর্মকারের স্বামী কুমারেশ কর্মকারের বাড়ি যশোর শহরে। তিনি আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া বাজারে আর আর এফ নামের এনজিও-তে চাকরি করেন।
চাকরিস্থলের পাশেই বড় বোয়ালিয়া গ্রামের অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে স্ত্রী শ্যামলীকে নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।

শ্যামলী কর্মকার ৪মাসের অন্তঃসত্ত¡া বলে প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার পাঁচকমলাপুরে আসছে মিজানুর রহমান আজাহারী

চুয়াডাঙ্গায় আসছেন এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় বক্তা, বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও পবিত্র কোরআন গবেষক শায়খ মিজানুর রহমান আল আজাহারী।

আগামী ১৬ ডিসেম্বর সোমবার আলমডাঙ্গার পাঁচকমলাপুর কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার ১৩তম ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে অংশ নেবেন তিনি।

তিনি কোরআন ও হাদিস থেকে প্রধান বক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবেন। মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান পাঁচকমলাপুর কওমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম)-এর প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিক।

পাঁচকমলাপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে বিশেষ বক্তা হিসেবে ওই দিন তাফসির পেশ করবেন বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ, মুফাচ্ছিরে কোরআন হযরত মাওলানা মুফতি আলী আকবর। মাহফিল উপলক্ষে মাদ্রাসার পাশ্ববর্তী বিশালাকার মাঠে প্যান্ডেল নির্মাণ ও মাঠ প্রস্তুতের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।

প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঁচকমলাপুর কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা।

এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও পরিচালক, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার অব সিঙ্গাপুর (বিডিচ্যাম)-এর প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব সাহিদুজ্জামান টরিকের আমন্ত্রণে চুয়াডাঙ্গায় আসছেন শায়খ মিজানুর রহমান আল আজাহারী।

-চিৎলা প্রতিনিধি




দরবেশপুর গ্রামে গরুর মাংসে আল্লাহ্ লেখা !

মেহেরপুর সদর উপজেলার দরবেশপুর গ্রামে গরুর মাংসে আল্লহ্ লেখা এই আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটেছে।
গতকাল শনিবার এই ঘটনাটি ঘটে দরবেশপুর গ্রামের আমিন মাস্টারের ছেলে শাহীনের বাড়ি।

তিনি জানান, বারাদী বাজার থেকে গরুর মাংস কিনে নিয়ে আসি পরিবারের সবাই মিলে খাবো বলে। আমার বোন মনোয়ারা মাংস গুলো পরিষ্কার করে রান্না করে। এ সময় তেমন কোনো কিছুই চোখে পড়েনি তার।

রান্না শেষে পরিবারের সবাই একসাথে খেতে বসি। আমি যখন মাংস খাচ্ছিলাম আমার বোন মনোয়ারা লক্ষ্য করলো এক খন্ড মাংসের গায়ে আল্লাহ্ লেখা দেখা যায় । সাথে সাথে আমাকে মাংস খেতে নিষেধ করে।

এটি দেখে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চমকে যায়। এবং প্রতিবেশীদের ডাক দিলে তারাও এটি দেখে চমকে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের লোকজন ভিড় জমায় দেখার জন্য।
আশেপাশের গ্রাম থেকে ও লোকজন আসে এই আশ্চর্য ঘটনা টি দেখার জন্য।

-নুরুল ইসলাম, বারাদী