দর্শনায় বাল্য বিবাহ, যৌন হয়রানী, মাদক ও দুর্নীতি বিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ছেলের একুশ মেয়ের আঠারো এর নিচে বিয়ে নয় শ্লোগানকে সামনে রেখে বাল্য বিবাহ, যৌন হয়রানী, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় প্রতিনিধিদের ভুমিকা নিয়ে কিশোর-কিশোরীদের সাথে সংলাপ এবং মাদক, দুর্নীতি ও জঙ্গীবাদ বিরোধী আলোচনা সভা ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার রামনগর কিশোর-কিশোরী ক্লাবের উদ্যোগে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া পুষ্টিকর খাদ্য রান্না কিশোর কিশোরীদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক ক্যাম্প ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
রান্ন করা খাবারের পুষ্টিমান বজায় রেখে রান্না করা পদ্ধতি সর্ম্পকে প্রশিক্ষণ ও বনভোজন করা হয়।

সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফজলুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ।

বিশেষ অতিথি দর্শনা পৌর মেয়র রেজাউল ইসলাম, ওর্য়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ, সাংবাদিক হানিফ মন্ডল, সহ-সমন্বয়কারী মজিবর রহমান ও দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আওয়াল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইসরাইল হোসেন খান ও পিংকি রানী মন্ডল।

-দর্শনা প্রতিনিধি




দর্শনা কেরু চিনিকলে আখ ওজন করা নিয়ে বিরোধ, সড়ক অবরোধের চেষ্টা

গতকাল বুধবার দর্শনা কেরু চিনিকলের মিলগেটে আখ ওজন করা নিয়ে চাষী ও কতৃপক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও মতবিরোধের ঘটনা ঘটেছে।

ফলে মঙ্গলবার রাত ১২ টা থেকে বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত চাষীরা মিলের ডোঙায় আখ ফেলা থেকে বিরত থাকেন।

পুলিশ ও মিল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের নির্দেশে সকাল ৮টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত দুই সিপটে ১৬ ঘন্টা চিনিকলের মিলগেটে আখ ওজন করা যাবে।

কিন্তু ঐদিন বেশ কিছু আখচাষী রাত ১২টার পর পাওয়ার ট্রলার ভর্তি করে আখ নিয়ে আসেলে মিলের নিয়ম অনুযায়ী আখের গাড়ি ওজন না করে কর্তব্যরত কর্মচারীরা অফিস বন্ধ করে দেয়।

ফলে মিলে আসা চাষীরা মারমুখী হয়ে চিনিকল কতৃপক্ষকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও মিলে আখ সরবরাহ করবে না বলে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। এ জন্য ঐদিন রাত ১২টা থেকে পরদিন বেলা ১টা পর্যন্ত মিলে কোন চাষী আখ ওজন দেয়নি।

ফলে মিল এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আখ ভর্তি পাওয়ার ট্রলার এসে দর্শনা-মুজিব নগর সড়ক প্রায় বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করে। গতকাল বুধবার কতৃপক্ষ বাধ্য হয়ে পুলিশকে খবর দিলে দর্শনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাহবুব হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেন।

মঙ্গলবার রাতে আসা চাষী কুদ্দুস আলী যাদু মিয়া ও মসলেম মনডল সহ ১৫-২০জন বুধবার সাংবাদিকদের জানান, রাত ১২টার দিকে মাত্র ৫০টির মত আখের গাড়ি মিলগেটে থাকা অবস্থাই গেট বন্ধ করলে হট্টগোল বেধে যায়।

চাষীরা অভিযোগ করে বলেন চাষীরা সারা রাত গেটের বাইরে থেকে শীতে কষ্ট করবে আর মিলের বাবু-মশাইরা বাড়ি ঘুমাবে তা হবেনা, মিল গেট ১৬ ঘন্টা না ২৪ ঘন্টা খোলা রাখতে হবে, তা না হলে আমরা চাষীরা কেউ মিলে আখ সরবরাহ করবোনা।

মিলের জি এম (কৃষি) উত্তম কুমার কু-ু জানান, চিনি করপোরেশনের নির্দেশ মোতাবেক ১৬ ঘন্টার বেশি মিলগেট খুলে রাখার অনুমতি নেই। কর্মচারীরা সেটাই করেছে, চাষীরা জেনেও খামাখা চটে গেছেন।

চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: জাহেদ আলি আনছারী সাংবাদিকদের জানান, চাষীদের সুবিধার্থে মিলগেটে পুর্জি বাড়ানোর ফলে একটি ঘটনা ঘটেছিল, সমাধান হয়ে গেছে। মিলে চাষিদের আখ আসা শুরু হয়েছে।

-দর্শনা প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত

আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

গতকাল সন্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যলয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম, ১নং-ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোনাউল্লাহ, সম্পাদক কামাল হোসেন , ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি দীনেশ কুমার, সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম স্বপন।

যুবলীগ নেতা সাইফুর রহমান পিন্টুর উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান, সম্পাদক খন্দকার মজিবুল ইসলাম, ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি শহিদুল হক মোল্লা, সম্পাদক শাফায়েত আলী, ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি আসমান আলী, ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মহসীন কামাল প্রমুখ।

সভায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসুচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গা রুইথনপুরে আর পি এল ক্রিকেট লিগের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর স্কুল মাঠে এই লীগের আয়োজন করা হয়।

উক্ত খেলার ফাইনাল ম্যাচটি গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

উক্ত খেলায় যে দুটি দল অংশগ্রহণ করে লামিয়ার ট্রেডাস স্পোর্টিং ক্লাব ও বন্ধু স্পোর্টিং ক্লাব।

এই খেলায় লামিয়া ট্রেডার্স স্পোটিং ক্লাব ১৭ রানে বিজয়ী হয়।

উক্ত খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার আওয়ামী যুবলীগের কর্ণধর ও আহবায়ক জনাব নঈম হাসান জোয়াদ্দার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক জনাব জিল্লুর রহমান জিল্লু। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষকলীগের প্রচার সম্পাদক জনাব মহাসিন রেজা।

উপস্থিত ছিলেন চিৎলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক জনাব এন্তাজুল হক, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক জনাব রবিউল ইসলাম মল্লিক, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, শাহ আল ইমরান, হাসানুজ্জামান ছরোয়ার।

আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য শহিদুল ইসলাম, বুলবুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, আজিজুল হক, ইদু, আশাবুল প্রমুখ।

প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ণ দলের হাতে প্রথম পুরস্কার তুলে দেন।

ও বিশেষ অতিথি রানার আপ টিমের হাতে দ্বিতীয় পুরস্কার তুলে দেয়।

উক্ত খেলায় সভাপতি করেন রবিউল ইসলাম মল্লিক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রোকন ও ডাবলু।

-চিৎলা প্রতিনিধি




ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন ১৭ ডিসেম্বর

আগামী ১৭ ডিসেম্বের এই পাসপোর্ট সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে।

এরপর তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়। তাদের কারিগরি সহযোগিতায় এটি চালু হচ্ছে। দুই ক্যাটাগরির ই-পাসপোর্টে চার ধরনের ফি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এর মধ্যে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি জরুরি ও অতি জরুরি ই-পাসপোর্ট থাকছে।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডাসহ ১১৮টি দেশে ই-পাসপোর্ট চালু আছে। ১১৯ নম্বর দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২নং টার্মিনাল ইমিগ্রেশনে সাতটি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। এই ই-গেট দিয়ে দ্রুততম সময়ে ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন। এনআইডি ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সার্ভারের সঙ্গে ই-গেট সংযুক্ত থাকবে। সঠিক পাসপোর্টধারী ব্যক্তি ছাড়া এই গেট দিয়ে পার পাওয়া অসম্ভব।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, অনেক দিনের প্রত্যাশিত ই-পাসপোর্ট সেবা পেতে যাচ্ছেন নাগরিকরা। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। এদিন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হবে।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, ই-পাসপোর্ট একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ সংযুক্ত থাকবে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি) তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, যাতে পাসপোর্টধারীর পরিচয় নিশ্চিত করা যায়।

এ ছাড়া ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে।

ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণ করতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

সূত্র জানায়, জার্মানি থেকে এরইমধ্যে ই-পাসপোর্টের প্রিন্ট কপি দেশে চলে এসেছে। জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির চুক্তি অনুযায়ী ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বই জার্মানি থেকে প্রিন্ট করিয়ে সরবরাহ করবে। এরপর থেকে ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশে প্রিন্ট করা হবে। সে জন্য রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ওই কারখানা থেকে ই-পাসপোর্ট ছাপানো অব্যাহত থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ই-পাসপোর্ট সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। চার ধরনের ফির বিধান রেখে ই-পাসপোর্টের ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়ন করতে হবে না। এমনকি ছবি সংযোজন ও তা সত্যায়ন করারও দরকার হবে না। তবে পাসপোর্ট পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি লাগবে।

ই-পাসপোর্টের পৃষ্ঠাসংখ্যা, মেয়াদকাল, বিতরণের ধরন অনুসারে ভ্যাট ছাড়া সর্বনিম্ন ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ফি ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে পাসপোর্টের জরুরি ফি ভ্যাটসহ ৩ হাজার ৪৫০ টাকা এবং অতি জরুরি ফি ভ্যাটসহ ৬ হাজার ৯০০ টাকা।
সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি দুটিই চালু থাকবে।

নাগরিকরা যে ধরনের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবে, তাদের সেই পাসপোর্টই সরবরাহ করা হবে। পাসপোর্ট হবে ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার। নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বিতরণের পদ্ধতি তিন ধরনের। সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি। দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য সঠিক থাকলে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে।

জরুরিভাবে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য ঠিক থাকলে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়া হবে। অতি জরুরি পাসপোর্ট ৭২ ঘণ্টা বা ৩ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করে আবশ্যিকভাবে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে এবং সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৭ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা সাধারণ ও জরুরি পাসপোর্ট পেলেও তারা অতি জরুরি আবেদন করতে পারবেন না। সাধারণ আবেদনকারীকে ৫ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে ১০০ মার্কিন ডলার এবং জরুরি পাসপোর্ট পেতে ১৫০ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে।

একই পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট পেতে খরচ করতে হবে ১২৫ মার্কিন ডলার ও ১৭৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা। ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি ১৫০ মার্কিন ডলার এবং জরুরি ফি ২০০ মার্কিন ডলার।

একই পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিককে সাধারণ ফি বাবদ ১৭৫ মার্কিন ডলার এবং জরুরি পাসপোর্ট বাবদ ২২৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা দিতে হবে।
তবে বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফি কমানো হয়েছে।

বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিক বা শিক্ষার্থীদের ৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে সাধারণ আবেদনে ৩০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ক্ষেত্রে ৪৫ মার্কিন ডলার এবং ১০ বছর মেয়াদে ৫০ মার্কিন ডলার ও ৭৫ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে।

৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে এ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ বছরের জন্য ১৫০ ডলার ও ২০০ ডলার এবং ১০ বছরের জন্য ১৭৫ ডলার এবং ২২৫ ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা। তবে সাধারণ বসবাসকারী, শ্রমিক বা শিক্ষার্থীদের এসব ফির সঙ্গে দূতাবাস প্রদত্ত সারচার্জও যুক্ত হবে।

ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান জানান, ই-পাসপোর্ট নিয়ে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছি। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পরই ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




“আলোর পথে আমরা, সংগঠনের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের সহায়তা প্রদান

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি খোকসা গ্রামের “আলোর পথে আমরা” সংগঠনের পক্ষ থেকে, খোকসা গ্রামের মো: জমু খাঁ কে, তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য মোট ৬৭২০/= টাকা প্রদান করা হয়।
উক্ত অর্থ প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, আলোর পথে আমরা সংগঠনের, সম্মানিত সভাপতি মো: আরিফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো: আকাশ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক মো: সাকিল খাঁন, অর্থ সম্পাদক মো: মোবারক খাঁন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: তারিকুল ইসলাম, প্রচার সপমাদক মো: হামিম থান্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সাজিবুল ইসলাম, প্রধান পৃষ্ঠপোষক মো: জি. এস জুয়েল, উপদেষ্টা মো: সিদ্দিকুর রহমান, মো: আজিজুল হক, মো: শামছুজ্জোহা, মো: মহিবুল শেখ, মো: সাজ্জাদ খাঁন, মো: রাকিবুল ইসলাম (রুবেল) ও মো: মেহের খাঁন।
-নিজস্ব প্রতিনিধি




ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন ১৭ ডিসেম্বর

আগামী ১৭ ডিসেম্বের এই পাসপোর্ট সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে।
এরপর তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়। তাদের কারিগরি সহযোগিতায় এটি চালু হচ্ছে। দুই ক্যাটাগরির ই-পাসপোর্টে চার ধরনের ফি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি জরুরি ও অতি জরুরি ই-পাসপোর্ট থাকছে।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডাসহ ১১৮টি দেশে ই-পাসপোর্ট চালু আছে। ১১৯ নম্বর দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্টের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২নং টার্মিনাল ইমিগ্রেশনে সাতটি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। এই ই-গেট দিয়ে দ্রুততম সময়ে ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন। এনআইডি ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সার্ভারের সঙ্গে ই-গেট সংযুক্ত থাকবে। সঠিক পাসপোর্টধারী ব্যক্তি ছাড়া এই গেট দিয়ে পার পাওয়া অসম্ভব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানান, অনেক দিনের প্রত্যাশিত ই-পাসপোর্ট সেবা পেতে যাচ্ছেন নাগরিকরা। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। এদিন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের হাতে ই-পাসপোর্ট তুলে দেওয়া হবে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, ই-পাসপোর্ট একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট, যাতে একটি ইলেক্ট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ সংযুক্ত থাকবে। এই মাইক্রোপ্রসেসর চিপে পাসপোর্টধারীর বায়োগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক (ছবি, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি) তথ্য সংরক্ষণ করা হবে, যাতে পাসপোর্টধারীর পরিচয় নিশ্চিত করা যায়।
এ ছাড়া ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র পূরণ করতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী। অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার মা-বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
সূত্র জানায়, জার্মানি থেকে এরইমধ্যে ই-পাসপোর্টের প্রিন্ট কপি দেশে চলে এসেছে। জার্মানির ভেরিডোস কোম্পানির চুক্তি অনুযায়ী ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বই জার্মানি থেকে প্রিন্ট করিয়ে সরবরাহ করবে। এরপর থেকে ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশে প্রিন্ট করা হবে। সে জন্য রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। ওই কারখানা থেকে ই-পাসপোর্ট ছাপানো অব্যাহত থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ই-পাসপোর্ট সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। চার ধরনের ফির বিধান রেখে ই-পাসপোর্টের ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়ন করতে হবে না। এমনকি ছবি সংযোজন ও তা সত্যায়ন করারও দরকার হবে না। তবে পাসপোর্ট পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রের মূল কপি লাগবে।
ই-পাসপোর্টের পৃষ্ঠাসংখ্যা, মেয়াদকাল, বিতরণের ধরন অনুসারে ভ্যাট ছাড়া সর্বনিম্ন ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ফি ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে পাসপোর্টের জরুরি ফি ভ্যাটসহ ৩ হাজার ৪৫০ টাকা এবং অতি জরুরি ফি ভ্যাটসহ ৬ হাজার ৯০০ টাকা।
সূত্র জানায়, ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি দুটিই চালু থাকবে। নাগরিকরা যে ধরনের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবে, তাদের সেই পাসপোর্টই সরবরাহ করা হবে। পাসপোর্ট হবে ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার। নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট বিতরণের পদ্ধতি তিন ধরনের। সাধারণ, জরুরি ও অতি জরুরি। দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য সঠিক থাকলে পাসপোর্ট পাওয়া যাবে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে।
জরুরিভাবে পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে এবং অন্যান্য তথ্য ঠিক থাকলে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়া হবে। অতি জরুরি পাসপোর্ট ৭২ ঘণ্টা বা ৩ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে পাসপোর্টের আবেদনকারীকে নিজ উদ্যোগে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ সংগ্রহ করে আবশ্যিকভাবে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
তবে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে এবং সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে। ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৭ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫ হাজার ৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭ হাজার টাকা, জরুরি ফি ৯ হাজার টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২ হাজার টাকা।
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা সাধারণ ও জরুরি পাসপোর্ট পেলেও তারা অতি জরুরি আবেদন করতে পারবেন না। সাধারণ আবেদনকারীকে ৫ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে ১০০ মার্কিন ডলার এবং জরুরি পাসপোর্ট পেতে ১৫০ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে। একই পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট পেতে খরচ করতে হবে ১২৫ মার্কিন ডলার ও ১৭৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা। ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি ১৫০ মার্কিন ডলার এবং জরুরি ফি ২০০ মার্কিন ডলার। একই পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিককে সাধারণ ফি বাবদ ১৭৫ মার্কিন ডলার এবং জরুরি পাসপোর্ট বাবদ ২২৫ মার্কিন ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা দিতে হবে।
তবে বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য এই ফি কমানো হয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত শ্রমিক বা শিক্ষার্থীদের ৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে সাধারণ আবেদনে ৩০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ক্ষেত্রে ৪৫ মার্কিন ডলার এবং ১০ বছর মেয়াদে ৫০ মার্কিন ডলার ও ৭৫ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে। ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট পেতে এ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ বছরের জন্য ১৫০ ডলার ও ২০০ ডলার এবং ১০ বছরের জন্য ১৭৫ ডলার এবং ২২৫ ডলার বা সমমূল্যের মুদ্রা। তবে সাধারণ বসবাসকারী, শ্রমিক বা শিক্ষার্থীদের এসব ফির সঙ্গে দূতাবাস প্রদত্ত সারচার্জও যুক্ত হবে।
ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান জানান, ই-পাসপোর্ট নিয়ে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছি। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পরই ই-পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।

-নিজস্ব প্রতিবেদক




মেহেরপুরে কিউট প্রথম বিভাগ হ্যান্ডবল লীগে দুরন্ত হোটেল বাজার চ্যাম্পিয়ন

মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত কিউট প্রথম বিভাগ হ্যান্ডবল লীগ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কিউট প্রথম বিভাগ হ্যান্ডবল লীগ উপ কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ এহসানুল কবির আরিফের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম আতাউল হাকিম লাল মিয়া।
বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা ক্রিকেট কোচ হাসানুজ্জামান হিলন। প্রথম বিভাগ হ্যান্ডবল লীগে দুরন্ত হোটেল বাজারের রাফিউল সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন।
কিউট প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে দুরন্ত হোটেল বাজার চ্যাম্পিয়ন এবং বামনপাড়া সবুজ সংঘ রানার্সআপ এর গৌরব অর্জন করে।
-নিজস্ব প্রতিনিধি




জেলা প্রশাসকের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

মাদক মামলায় ২ বছর জেল খাটার পর বের হওয়ার সময় নতুন রিক্সা নিয়ে বাড়ি ফিরলেন সিয়াম উদ্দিন। সিয়ামকে পুর্নবাসন করার জন্য মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি এই উদ্যোগ গ্রহন করেন।
গতকাল বুধবার সকালে মেহেরপুর জেলা কারাগারের জেলগেটে তাকে ফুলের তোড়া এবং একটি নতুন রিক্সা তুলে দেয়া হয়। সিয়াম মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো: তৌফিক রহমান উপস্থিত থেকে সিয়ামের হাতে রিকশা তুলে দেন।
এ সময় জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী কাদের ফজলে রাব্বি, জেল সুপার এ কে এম কামরুজ্জামান, জেলার শরিফুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার মাসুদ রানা, সিয়ামের পিতা সদর উপজেলার শোলমারি গ্রামের সেকেন্দার আলী সহ জেলখানা এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কারামুক্তির পর সিয়াম নতুন রিক্সা পেয়ে বলেন, জীবনে আর কোন দিন খারাপ কাজ করবো না।
উল্লেখ্যে, ৯ গ্রাম হেরোইন রাখার দায়ে ২০১৮ সালের ১১সেপ্টেম্বর আদালত সিয়ামকে ২ বছরের সশ্রম কারাদ- দেন। জেলখানায় ভালো আচরণ করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ তার ৩ মাস ২৪ দিন সাজা মওকুফ করেন।
-নিজস্ব প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গায় ক্লিনিক মালিকসহ তিন জনের ৭ হাজার টাকা জরিমানা

আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমান আদালতে ২ জনকে সরকারি জায়গা- ফুটপাত দখল করে ব্যাবসার করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে, এবং আলমডাঙ্গার একটি অবৈধ ক্লিনিক মালিক কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ক্লিনিক সিলগালা করে দিয়েছে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিটন আলী স্থানীয় সরকার পৌর সভা আইনে আলমডাঙ্গা বাজারের মাছের বাজার, তহহাট, চালের বাজার, ফলের হাটে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যাবসা করার কারনে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করার অপরাধে গত এক সপ্তাহ আগে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে সরকারি জায়গা ছেড়ে দিতে সকলে আল্টিমেটাম দিয়ে আসে।
গতকাল এক সপ্তাহ শেষে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল এবং বাকি ব্যাবসায়িদের ফুটপাত ও সরকারি দখলকৃত জায়াগা ছেড়ে দিতে বলে যান।
গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: লিটন আলী সকাল ১০ টার দিকে বাজারে অভিযান চালান। এ সময় হলুদ পটির মীর ক্রোকারিজের মালিক সরকারি জায়গা ও ফুটপাত দখল করে ব্যাবসা করার অপরাধে স্থানীয় সরকার আইনে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান, বনিক সমিতির সম্পাদক মীর শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ ছাড়াও বাজারে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে সকলকে আবারও এক সপ্তাহ সময় দেন, এর মধ্যে সরকারি দখল কৃত জায়গা থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে বলেন। বেলা ১১ টার দিকে হারদী সততা ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে তাদের কোন বৈধ কাগজ পত্র না থানায় ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সহ ক্লিনিক সিলগালা করে দেন, এবং ক্লিনিক মালিক কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি