মেহেরপুরে তেল পাম্প মালিক সমিতির সাথে জেলা পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

মেহেরপুরে তেল পাম্প মালিক সমিতির সাথে জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি মতবিনিময় সভা করেছেন।
গতকাল বুধবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শেখ মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান সহ মেহেরপুর জেলার সকল তেল পাম্পের মালিকগণ।
-নিজস্ব প্রতিনিধি




দামুড়হুদার মোক্তারপুর ইট ভাটায় ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড

চুয়াডাঙ্গা জেলা দামুড়হুদা উপজেলার মোক্তারপুরে অবস্থিত রেড ব্রিকস নামের একটি ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে এক লক্ষ টাকা আদায় করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাব্বির আহমেদ এবং আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রেড ব্রিকস-২’কে লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা পরিচালনা এবং জ্বালানী হিসেবে কাঠ ব্যবহারের অপরাধে এক লক্ষ টাকা অর্থদ- প্রদান করে।
-কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি




জীবননগরে ফেন্সিডিলসহ শাহজালাল আটক

জীবননগরে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ শাহজালাল আটক হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার সময় জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলামের নির্দেশে জীবননগর থানার এস আই নাহিরুল, এ এস আই হাবিব সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিক্তিত্বে জীবননগর শহরে মদ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের খয়েরহুদা গ্রামের হাইস্কুল পাড়ার তারাচাঁন সরদারের ছেলে শাহজালাল (৪৫)’কে ১৮০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানায় একটি মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে।
-জীবননগর প্রতিনিধি

 




গাংনীতে একই মাঠ থেকে ৬টি সেচ পাম্প চুরি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়নের হাড়িয়াদহ গ্রামের একটি মাঠ থেকে ৬টি সেচ পাম্প (মটর) চুরি হয়েছে। ফলে মাঠের আবাদকৃত ক্ষেতে সেচ কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় হাড়িয়াদহ গ্রামের ভিটের মাঠ থেকে সেচ পাম্পগুলো চুরি হয়।

স্থানীয়রা জানান,হাড়িয়াদহ গ্রামের হাজী এরফান মালিথার ছেলে সোহরুদ্দীন,আফছার আলীর ছেলে আমজাদ আলী ভাষান,মৃত কলিমুদ্দীন শেখের ছেলে সাবুর আলী,মৃত দিদার মন্ডলের ছেলে আনছার আলী,মৃত কাবিল আলীর ছেলে ইকতার আলী ও মৃত ওমর আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলামের ভিটের মাঠে সেচ পাম্প রয়েছে।

তারা প্রতিরাতের ন্যায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে সেচ পাম্প বন্ধ করে বাড়ি আসে। পরের দিন বুধবার সকালে মাঠে গিয়ে দেখি প্রত্যেকের সেচ পাম্প চুরি হয়ে গেছে।

সেচ পাম্প মালিক কৃষক ইকতার আলী জানান,একই মাঠের ৬টি সেচ পাম্প চুরি হওয়ায় প্রায় তিন শতাধিক আবাদি জমিতে সেচ কাজ বন্ধ করা ছাড়া উপায় নেই। কারণ ধার-দেনা করে সবাই সেচ পাম্প ক্রয় করে মাঠের ক্ষেতে সেচ দিয়ে আসছিলাম।

-গাংনী প্রতিনিধি




চেতনার ফেরিওয়ালা

সংসার চালাতে নয়,স্বাধীন দেশের স্বাধীন পতাকা বিক্রি করি দেশকে ভালবেসে। পতাকাকে ভাল বেসে। পতাকার বহর ঘাঁড়ে থাকে তাই সকলেই ডাকে এই পতাকাওয়ালা। তখন গর্ব হয় আমি স্বাধীন দেশের সন্তান তাই আমি এক পতাকাওয়ালা।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করতে পারিনি ঠিকই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। জীবনের বিনিময়ে যারা এ দেশটাকে স্বাধীন করেছে,যাদের লাল রক্তে বাংলার জমিন লালে লাল হয়েছে, তাদের সম্মানেই পিঠে করে বয়ে বেড়াই লাল সুবুজের পতাকা। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পতাকা বিক্রি করতে আসা তিন পতাকা বিক্রেতার মধ্যেকার পতাকা বিক্রেতা মাদারি পুরের লাবলু মিয়ার সাথে আলাপ কালে কথাগুলো বলেন।

জানাযায়, লাবলু মিয়া (৪৫) মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলার নিলুখি ইউনিয়নের চর কামার কান্দি গ্রামের তারা মিয়া মাতব্বরের ছেলে। তার এক ছেলে, দুই মেয়ে । বড় মেয়ে ঢাকা বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী। মেহেরপুর জেলায় গাংনী বাজারে পতাকা বিক্রি করতে আসা লাবলু মিয়ার সাথে কথা হয় প্রতিবেদক অকতারুজ্জামানের ।

তিনি জানান, বছরে তিন টি বিশেষ দিনে পতাকা বিক্রি করেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস , ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এ তিন দিন স্বাধীন বাঙ্গালীর কাছে বেড়ে যায় লাল সবুজের পতাকার কদর। দেশের মাদারিপুর জেলায় পতাকা তৈরী করেন কারিগররা।

সেখান থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষ পতাকা বিক্রির জন্য পতাকা কাঁধে নিয়ে ছুটে চলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রায় পাঁচ রকম সাইজের পতাকা বেচা কেনা হয়। তার মধ্যে ৫ ফুট সাইজের পতাকার সম্মানী (মুল্য) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। সাড়ে ৩ ফুট সাইজের পতাকা ৮০ থেকে ৯০ টাকা,আড়াই ফুট সাইজের পতাকা ৪০ থেকে ৫০ টাকা,দেড় ফুট সাইজের ২০ থেকে ২৫ টাকা ও ১ ফুট সাইজের পতাকা বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ টাকায়। এছাড়াও শিশু কিশোরদের হাত পতাকা ১০ টাকায় বিক্রি করে থাকেন। পতাকার বহর কাঁধে দেখা মেলে আর এক পতাকা বিক্রেতার সাথে।

তার বাড়িও মাদারিপুর জেলায়। তিনি ১৬ বছর পতাকা বিক্রিতে নিয়োজিত। গত ৮ ডিসেম্বর পতাকা নিয়ে বের হয়েছেন বাড়ি থেকে। শহর থেকে গ্রামেও বিক্রি করছেন পতাকা। শিশু কিশোরদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে জানানো হচ্ছে স্বাধীনতার গৌরবউজ্জল ইতিহাস। তাদের কে প্রশ্ন করেন অনেক কিশোর ।

পতাকার রং ও নির্মাণ কৌশল নিয়েও প্রশ্ন করা হলে নতুন প্রজন্মকে জানায় পতাকার মাহত্ব্য। বছরে তিনবার পতাকা বিক্রি করে লাভ হয় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। একেকজন পতাকা বিক্রেতার পতাকা বিক্রি ছাড়াও আরো পেশা আছে। তবে সময় হলেই বেরিয়ে পড়েন পতাকা বিক্রির কাজে। বিক্রেতা সুমন জানায়, আমাদের অন্য পেশা থাকলেও পতাকার টানে ছুটে চলা গ্রাম থেকে গ্রামান্তর। পয়সা রোজগার নয়, পতাকার বহর কাঁধে নেবার মজাটায় আলাদা। পতাকা বিক্রি করি বলে সকলে ডাকে এই পতাকা ওয়ালা।

তখন অনেক গর্ব হয় আমি এক পতাকাওয়ালা। গাংনী বাজারের পতাকা ক্রয় করতে আসা সেন্টু জানায়, দামটা মুখ্য নয়,হাতের নাগালে পতাকা পাওয়াটাই খুব ভাল লাগছে। ১৬ ডিসেম্বর বাচ্চাদের হাতে পতাকা তুলে দেব বলেই পতাকা সংগ্রহ করে রাখলাম। পতাকা হাতে নিয়ে আমার ছেলে যাবে বিজয় দিবসের বিজয় র‌্যালীতৈ।

-আকতারুজ্জামান. গাংনী




চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদ পানে এক যুবকের মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদ পানে শরিফুল ইসলাম লাল্টু (৪৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত একটার দিকে মারা যান তিনি। নিহত লাল্টু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি আলমডাঙ্গার আইলহাস গ্রামের জাভেদ বিশ^াসের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, লাল্টু মঙ্গলবার রাতে মদ পান করে অচেতন অবস্থায় গ্রামের একটি মাঠে পড়ে ছিলো। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সৌরভ হোসেন জানান, লাল্টু আগে থেকেই মাদকাসক্ত ছিলো। মঙ্গলবার রাতে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে রাত একটার দিকে মারা যান তিনি।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




মেহেরপুরে তেল পাম্প মালিক সমিতির সাথে জেলা পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

মেহেরপুরে তেল পাম্প মালিক সমিতির সাথে জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি মতবিনিময় সভা করেছেন।

বুধবার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সার্কেল) শেখ মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ দারা খান সহ মেহেরপুর জেলার সকল তেল পাম্পের মালিকগন। -নিজস্ব প্রতিনিধি




মুজিবনগরে সরকারি ভাবে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রয়ের উদ্বোধন

মুজিবনগরে ৪৫ টাকা দরে সরকারি ভাবে পেঁয়াজ বিক্রয়ের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে দশটার সময় কেদারগন্জ বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভাঃপ্রাঃ) এম.এম আরাফাত হোসেন টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রয়ের শুভ উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপজেলা সহকারী পোগ্রামার শ্যাম ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

-মুজিবনগর অফিস




গাংনীতে দু’ব্যবসায়ীর অর্থদন্ড

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া ও রংমহল বাজারে অভিযান চালিয়ে দু’ ব্যবসীয়কে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান ভ্রাম্যমান আদলত পরিচালনা করে তেতুলবাড়িয়া বাজারের মুদিদোকানের মালিক ঐ গ্রামের মৃত জেহের আলির ছেলে রোহিদুল ইসলামকে ড্রা।।

লাইসেন্স ছাড়া ও মেয়াদুত্তির্ণ দ্রব্য রাখার দায়ে ২০ হাজার টাকা ও রংমহল গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আফরোজা বেগম কে ৫শ’টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।

এসময় কুষ্টিয়া জেলার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সেলিমুজ্জামান উপস্থিৎ ছিলেন।

-গাংনী প্রতিনিধি




চুয়াডাঙ্গার কুলপালায় জীবন বীমা কর্পোরেশনের মরনোত্তর বীমা দাবীর চেক প্রদান

একমাত্র রাষ্ট্রীয় জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক মরনোত্তর বীমা দাবির চেক প্রদান করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানাধীন কুলপালা পশ্চিম পাড়ার মরুহুম রাশিদুল ইসলামের অকাল মৃত্যুতে মরনোত্তর বীমা দাবীর এই চেক প্রদান করা হয়।

গত সোমবার বিকাল ৪ টায় কুলপালা গ্রামের পশ্চিম পাড়ায় জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান শেষে এই চেক প্রদান করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে চেকটি গ্রহণ করেন মরহুম রাশিদুলের স্ত্রী ইসমোতারা।

জানা যায়, ২০০৯ সালে রাশিদুল ইসলাম জীবন বীমা কর্পোরেশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখায় ১৮ বছর মেয়াদী একটি পলিসি করেন। এবং ৯ বছরে তিনি ৬২ হাজার টাকা জমা প্রদান করেছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে বীমাদাবির শর্ত অনুযায়ী জীবন বীমা কর্পোরেশন কর্তৃক বীমাদাবীর ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৪’শ ১ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করা হয়।

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বিপ্লব, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবন বীমা কর্পোরেশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার ডি. এম (ইনচার্জ) আমজাদ হোসেন, উন্নয়ন কর্মকর্তা মকলেচুর রহমান, গোকুলখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, রইসউদ্দিন মাস্টার, আক্তার উদ্দিন মাস্টার, তানজিলুর রহমান, আনারুল ইসলাম, জাহিদ হোসেনসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

-বারাদী প্রতিনিধি