গাংনীতে সরকারি ভাবে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু

মেহেরপুরের গাংনীতে সরকারিভাবে ৪৫ টাকা কেজি দরে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রয়ের  উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার সকাল দশটার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক এবং উপজেলা নিবর্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রয়ের শুভ উদ্বোধন করেন।

এসময় গাংনী থানার থানার ওসি ওবাইদুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন সহ স্থানীয় নেতা কর্মী ও সকল শ্রেনী পেশার জনগণ উপস্থিৎ ছিলেন।

-গাংনী প্রতিনিধি




স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে “ওয়াশ ইন হেলথ” প্রকল্প

“শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ” এই ¯স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০০ সাল থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালিত হয়ে আসছে।

বর্তমানে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা, পুষ্টি, শিশুর যতœ, গর্ভকালীন ও গর্ভ পরবর্তী সেবাসহ ২৭ ধরনের ঔষধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয় কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে। এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতি ছয় হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে।

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় প্রায় তিন লক্ষ গ্রামীন জনগোষ্ঠিকে সেবা দানের জন্য রয়েছে ৩৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক। সরকারীভাবে প্রতিষ্ঠিত ক্লিনিকগুলো দুই কক্ষ বিশিষ্ট ও স্বল্প পরিসরে অবস্থিত।

দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অবকাঠামোগত দূর্বলতা, সংস্কারের অভাব এবং পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনার অনুপোযুক্ত হওয়ার ফলে সেবা প্রদান ও গ্রহনে বাধা হয়ে দাড়ায়।

নিরাপদ খাবার পানি, টয়লেট সুবিধা ও  হাত ধোয়ার সুযোগ না থাকায়, প্রায়ই সেবা নিতে আসা রোগীদের বিশেষ করে গর্ভবতী, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী রোগীদের অসুবিধায় পড়তে হয়।

উপজেলার ৩৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ২৯টি ক্লিনিকে এ অবস্থার পরিবর্তন এনেছে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক বাস্তবায়িত এলজিআই লেড ‘ওয়াশ ইন হেল্থ’ প্রকল্প।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতা প্রদান করে আসছে বেসরকারি আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা ওয়াটার এইড ও জাতীয় উন্নয়ন সংস্থা ‘এসকেএস’ ফাউন্ডেশন।

উক্ত প্রকল্পের আওতায় ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিরাপদ খাবার পানির জন্য স্থাপন করা হয়েছে নলকুপ, পুরুষ ও নারীদের জন্য চলমান পানির ব্যবস্থাযুক্ত পৃথক টয়লেট, রোগী ও সেবাদানকারীদের হাত ধোয়ার সুবিধার জন্য বেসিন এবং গর্ভবতী, প্রতিবন্ধী  ও বয়স্ক রোগীদের  ক্লিনিকে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে র‌্যাম্প।

দূর-দুরান্ত থেকে আসা সেবা গ্রহীতাদের বসার ব্যবস্থাও যুক্ত করা হয়েছে সংস্কারকৃত ক্লিনিকগুলোতে।

ইউনিয়ন পরিষদের এই প্রকল্পে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সেবার মান বাড়াতে উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রদান করা হয়েছে হুইল চেয়ার। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ বৃদ্ধি করা হয়েছে নিয়মিত তদারকী এবং স্বাস্থ্য-পুষ্টির সাথে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে সেবা দানকারী কর্মীদের।

পাশাপাশি, দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে উক্ত ক্লিনিকগুলো পরিচালনা কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানকারী কমিউনিটি গ্রæপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রæপের সদস্যদের।

গাড়াডোব কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি ফাহমিদা খাতুন জানান সংস্কারের পূর্বের বছরে সেবা গ্রহিতার সংখ্যা ছিল ৬০২৮জন এবং সংস্কারের পর তা বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬৭৭ জন। বর্ধিত রোগীর তুলনায় সরবরাহকৃত ঔষধের সামঞ্জস্য না থাকায় সেবা নিতে আসা সকল রোগীকে রেজিস্টারভুক্ত করা সম্ভব হয়না।

সানঘাট গ্রামের বাসিন্দা সাবানা খাতুন বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের বর্তমান পরিবেশ খুবই সুন্দর বিশেষ করে খাবার পানি, টয়লেটের ব্যবস্থা, বসার জায়গা সবই আছে কিন্তু ঔষধ পাওয়া যায় না মাসের অর্ধেক দিন। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ ঔষধ বাড়িয়ে দিলি আমারা গরীব মানুষগুলা বাঁচি।

কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা বলেন, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সংস্কার ও ওয়াশ পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে এসডিজি-৬ লক্ষ্য অর্জনে প্রকল্পটি অবদান রেখেছে অত্র ইউনিয়নসহ গাংনী উপজেলাবাসীর জন্য।

আমি বিশ্বাস করি, যথাযথ কারিগরী ও আর্থিক সহযোগিতা পেলে এই রকম আরও অনেক উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে ইউনিয়ন পরিষদ।

এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, ক্লিনিকগুলোর ওয়াশ রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা তহবিল গঠন করা হয়েছে কমিউনিটি গ্রæপের সহযোগিতায়। টেকসই উন্নয়নে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন সরকারী নীতিমালার বাস্তবায়ন, ইউনিয়ন পরিষদের নজরদারী ও পর্যাপ্ত সরকারী বরাদ্দ।

জেলা প্রশাসক আতাউল গনি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবা দেশের সকল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই কমিউনিটি ক্লিনিক করেছেন।

তবে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মানের দিক থেকে মেহেরপুর জেলার সরকারী-বেসরকারি সংস্থা, স্থানীয় সরকার ও সাধারণ জনগনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় পরিচালিত উক্ত প্রকল্পটি একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হিসাবে গাংনী উপজেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আক্তারুজ্জামান, গাংনী




মুজিবনগরে মানবাধিকার দিবস পালিত

মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুন্যর অগ্রযাত্রা’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে মুজিবনগরে র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে মানবাধিকার দিবস।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষে পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভাঃপ্রাঃ) এম.এম আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

উক্ত র‌্যালিতে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার শহিদুল

ইসলাম,আইসিটি অফিসার শ্যাম ঘোষ, তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকারসহ উপজেলা সকল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভাঃপ্রাঃ) এম.এম আরাফাত হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনয়াতনে মানবাধিকার দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

-গাংনী প্রতিনিধি




তোজাম্মেল সভাপতি মাহাবুব চান্দু সম্পাদক

মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে তোজাম্মেল আযম (যুগান্তর) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মাহাবুব চান্দু (ইত্তেফাক) নির্বাচিত হয়েছে। ১১টি পদের বিপরিতে প্রতিদ্ব›িদ্ব না থাকায় নির্বাচন কমিশনার মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু মঙ্গলবার তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

নির্বাচিত অন্যরা হলো সহ-সভাপতি নাসের চৌধরী (টাইমস বার্তা), যুগ্ম সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান (মানবজমিন/বাংলাটিভি), অর্থ-সম্পাদক দিলরুবা খাতুন (বাসস ও প্রতিদিনের সংবাদ), গণযোগাযোগ সম্পাদক এ সিদ্দিকী শাহীন (দিনের খবর) ও দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা (আমাদের অর্থনীতি)। নির্বাহী সদস্যগণ হলো মুহাম্মদ মহসীন (মাটির ডাক), মিজানুর রহমান (আমার সংবাদ), হারুন অর রশিদ রবি (দৈনিক দিনকাল) ও শাকিল রেজা (দৈনিক অধিকার)।

মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তৌহিদ মোর্শেদ অতুল, মেহেরপুর প্রতিদিন এর প্রকাশক এমএএস ইমন, সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, চীফ রিপোর্টার মর্তুজা ফারুক রুপক, গাংনী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




নচিকেতা গাইবেন মাসুদ অরুণের লেখা বিএনপির রণ সংগীত!

ভারতের জনপ্রিয় বাংলা ভাষার সংগীতশিল্পী নচিকেতা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণের লেখা রণসংগীত গাইবেন । মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ নিজেই সোমবার এ তথ্য জানান।

মাসুদ অরুণ বলেন, জাতীয়তাবাদী দল আগামী দিনের আন্দোলন সফল করতে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে সাংস্কৃতিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরই রাজধানীতে রণসংগীতের ক্যাসেটের মোড়ক উন্মোচন করা হবে বলেও তিনি জানান।

অরুণ জানান, রণসংগীতের শুরুটা হবে এভাবে, জাগো বাহে, জাগো বাহে, বাতাসে বারুদের গন্ধ, মিছিলের ডাক শুনতে কি পাও। শিগগিরই গানটি নচিকেতার কণ্ঠে রেকর্ড করা হবে। এখন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।

অরুণ বলেন, যে রণসংগীত তৈরি করা হচ্ছে তা শুধু এখনই নয়। ভবিষ্যতে দেশে দেশে এ রণসংগীত মানুষকে উজ্জীবিত করবে। যেভাবে জিয়াউর রহমান দেশের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
-নিজস্ব প্রতিনিধি




স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে  কি মেহেরপুর ?

মেহেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা গুলো স্বর্ণ চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে চোরাকারবারীরা, মাঝে মাঝে বহনকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও গডফাদাররা পর্দার আড়ালে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করছে চোরাকারবারী।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলার কাজীপুর, তেতুলবাড়িয়া, বুড়িপোতা, আনন্দবাস সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চালান করে থাকে চোরাকারবারীরা। ইতিমধ্যে বিজিবি’র হাতে বেশ কয়েক দফা স্বর্ণের বার ধরা পড়লেও অধরা থেকে যায় মুল হোতারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তেতুলবাড়ীয়া গ্রামের একজন জানান, সীমান্ত থেকে প্রথমে তেতুলবাড়ীয়া সহ নিরাপদ কয়েকটি রুটে প্রথমে নেওয়া হয়। তারপর এ গুলো গাংনী হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাচারকরা হয়।

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের কলোনিপাড়ার আক্কেল আলীর ছেলে আবু তাহের স্বর্ণ পাচার করার সময় ঢাকার দারুস-সালাম পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সাথে থাকা একই গ্রামের তাহেরের মামা আব্দুর রউফ এর ছেলে আব্দুল আওয়াল নামের আরেক পাচারকারী পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় ঢাকার দারুস-সালাম থানায় তাহের ও আওয়াল এর নামে একটি স্বর্ণ পাচারকারী নামে মামলা দায়ের করা হয়, যার নাম্বার ১৬/ ২০১৯। বর্তমানে তাহের ঢাকার

অন্ধকার জেলে বন্দি থাকলেও পালিয়ে বেড়াচ্ছে আওয়াল।
মেহেরপুরের গাংনী থানায় আওয়ালকে আটক করার জন্য চিঠি দিলেও অজ্ঞাত কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়নি পুলিশ।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।

ঢাকা দারুস-সালাম থানার ওসি আসলাম বলেন, আমার স্বর্ণ পাচার করার সময় মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের আবু তাহের নামের একজনকে আটক করি। এসময় আওয়াল নামের আরও একজন আসামী পালিয়ে যায়।

আওয়ালকে আটক করার জন্য গাংনী থানায় চিঠি পাঠানো হলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে গাংনী থানা ব্যবস্থা না গ্রহন করে আমরা আমাদের মত করে আসামী ধরে আনার ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

গাংনীর সাহারবাটি গ্রামের কলনিপাড়ার আবু তাহেরের পিতার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলে মাঠে কাজ করে খাই সে স্বর্ণ চালানের বিষয়ে কিছুই জানেনা। মাঝে মাঝে তার মামা আওয়াল তাকে কিছু টাকা দেবে বলে ঢাকায় নিয়ে যেতো।

তিনি আরও বলেন, আওয়াল ও তাহের এরা শুধু মাত্র টাকার বিনিময়ে বহন করে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেয়।
এছাড়াও তিনি বলেন, এই ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদের মধ্যে কেই ক্ষমতাবান নেতা বা টাকাওয়ালা ব্যবসায়ী।

আওয়ালের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাংবাদিকের সাথে দেখা করবে না বলে জানায় তার স্ত্রী। আওয়ালের ফোন নাম্বার চাওয়া হলে তার স্ত্রী একটি ভুল নাম্বার দেন।

পরবর্তিতে আওয়ালের চাচাতো ভাই সহিবুল ইসলাম এর মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়। তাতে কাজ না হলে আওয়ালের ভগ্নিপতি মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল মালেক নিউজ না করার জন্য সাংবাদিকদের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।

টাকার প্রস্তাবে রাজি না হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পদের পরিচয়ে শ্যামপুর গ্রামের সাইদুর রহমান পেশায় হোমিও চিকিৎসক মেহেরপুর জেলা পরিষদের সামনে সাংবাদিকদের ডেকে সমঝোতার চেষ্টা করে এবং সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য চাপ দেয়।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাধ্যমে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়া হয়। সেই সাথে বলা হয়, এসব নিউজ করে লাভ নেই, এখানে বড় বড় রাঘববোয়ালরা জড়িত। টাকা পয়সা দিয়ে সব ম্যানেজ করা হয়ে যাবে।

গোপন সুত্র থেকে জানা যায়, প্রতি চালানে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয় বহনকারীদের। এর ভিতর থেকে কেউ পুলিশের হাতে ধরা পড়লে পরবর্তিতে অন্য কাউকে দিয়ে বহন করা হয়। এভাবেই চলতে থাকে স্বর্ণ চোরা চালান।

টাকার লোভে অনেকেই এই চোরাকারবারীর সঙ্গে জড়িয়ে পুলিশের হাতে ধরা পরে একুল ওকুল দুই কুলই হারাচ্ছে। কিন্তু মুল হোতারা প্রভাবশালি হওয়ায় ধরা ছোয়ার বাইরে থাকছে।

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী বলেন, স্বর্ণ চোরাচালান কোন রিপোর্ট আমার কাছে আসেনি। এ ধরনের কোন ঘটনা যদি মেহেরপুরে হয়ে থাকে তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ালের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। যদি ঘটনার সত্যতা থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল আমিন- মর্তুজা ফারুক রুপক




মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সহ বিভিন্ন স্থানে দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

গণস্বাক্ষর অভিযান, মানববন্ধন এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে গতকাল সোমবার এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসূল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুদুল আলম, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খান, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সদস্য নুরুল আহমেদ প্রমুখ।

এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের কক্ষে জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি গণস্বাক্ষর করে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান এর সূচনা করেন।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইবাদত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো: তৌফিক রহমান জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সহ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য বৃন্দ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

গাংনী প্রতিনিধি জানান, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানব বন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক।

উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সন্ধানী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মহাম্মদ আবু জাফর এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভূমি কর্মকর্তা মো: ইয়ানুর রহমান, গাংনী থানার ভার-প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাজেদুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নুরজাহান বেগম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, দুর্নীতি একটা দেশকে পিছিয়ে দেয়। তাই আমাদের সকলকে দুর্নীতি বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তিনি বলেন দুর্নীতি যদি আমিও করি আপনারা আমাকে ধরবেন আমি আপনাদের স্বাগত জানাব। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে অনেক উন্নয়নের দিকে নিয়ে গেছে। আর এটা একমাত্র দুর্নীতির বিরোধী অবস্থান নেওয়ার কারণে হয়েছে।

আলোচনা সভায় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মহাম্মদ আবু জাফর বলেন, আগে নিজে সঠিক হোন দেখবেন দেশটা এমনিতেই ঠিক হয়ে গেছে দুর্নীতি মুক্ত হয়ে গেছে এবং দেশ উন্নয়নের দিকে চলে যাচ্ছে। তিনি আহŸান করেন বর্তমান সরকার বড় বড় রাঘব বোয়ালদেরও ছাড় দিচ্ছেনা তাইতো আমাদের বাংলাদেশ আগের চাইতে অনেক উন্নয়ন লাভ করেছে।

এ সময় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবনগর অফিস জানিয়েছে, “আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাত্মবদ্ধ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকাল দশটার দিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার গেটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধনে উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেম, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, তথ্যসেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স, মুজিবনগর উপজেলার দুর্নীতি বিরোধী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাকের আলী প্রমুখ অংশ নেন।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা দুর্নীতি দমন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান।
প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ ও পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগ আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।

গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি দুর্নীতি বিরোধী র‌্যালী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে সভা অনুষ্টিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিটন আলী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। তিনি বলেন সমাজ থেকে দুর্নীতি রোধ করতে হলে আমাদের নিজেদের আগে সৎ হতে হবে, কেন দুর্নীতির সাথে আপোষ করা যাবে না। কোন দুর্নীতি বাজদের সহায়তা করা যাবেনা। আজ সকলে শপথ নেন নিজে দুর্নীতি করব না, অন্যকে দুর্নীতি করতে দেব না।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান, মনিরুজ্জামান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিসুজ্জান। দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি ও প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টুুর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী, সদস্য সাইদ মো: হিরন, ডাক্তার সামসুজ্জোহা শাবু শিক্ষক আলী কদর প্রমুখ।

-প্রতিদিন ডেস্ক




মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সহ বিভিন্ন স্থানে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত

বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, জয়িতাদের সংবর্ধনা এবং আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকালে মেহেরপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক একেএম শফিউল আযমের সভাপতিত্বে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত জয়িতাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসূল, সিভিল সার্জন ডাক্তার শামীম আরা নাজনীন, মেহেরপুর জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শামীম আরা হিরা, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খান, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, কবি নজরুল শিক্ষা মন্দিরের প্রধান শিক্ষক সানজিদা ইসলাম।

মীর দানিয়েল হোসেন ও সুবর্ণা মাহজাবীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জয়িতা এলিজাবেথ খান, যমুনা খাতুন প্রমুখ।

পরে মেহেরপুর জেলা পর্যায়ে ৫ জন এবং সদর উপজেলা পর্যায়ে ৫ জন জয়িতাকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এতে জেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী মেহেরপুর সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের মমতাজ খাতুন, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী গাংনীর পূর্ব মালশাদহের আশরাফুন্নেসা, সফল জননী গাংনী কাজিপুর গ্রামের পারভিন আক্তার, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা বা মন্দির রেহেনা খাতুন, এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় মুজিবনগরের ভবেরপাড়া এলিজাবেখ খা কে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

একই সাথে মেহেরপুর সদর উপজেলা পর্যায়ে মমতাজ খাতুন, নাজমুন্নেসা, আনোয়ারা খাতুন, রেহেনা খাতুন এবং নুরুন্নাহার কে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এর আগে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনির নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক চত্বর থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক হয়ে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।

শোভাযাত্রা অন্যদের মধ্যে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এস এম শফিউল আজম সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী প্রতিনিধি জানান, বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন উপলক্ষে মেহেরপুরের গাংনীতে জয়িতাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা শুরুর আগে মানব বন্ধন করেছে অনুষ্ঠানটির আয়োজক উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়।

পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক।

উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষযক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাজেদুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নুরজাহান বেগম, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সন্ধানী সংস্থার নির্বাহি পরিচালক মহাম্মদ আবু জাফর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

আলোচনা শেষে পাঁচজন জয়িতা এ উপজেলার চিৎলা গ্রামের মো: গোলাম ফারুকের স্ত্রী মোছা: লূৎফন্নাহার শিল্পী, পূর্ব মালসাদহ গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী মোছা: আশরাফুন্নেছা, কাজিপুর গ্রামের কাজি আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী মোছা: পারভীন আকতার, বামন্দী গ্রামের মৃত আব্দাল মজিদের স্ত্রী মোছা: রেহেনা খাতুন ও নিত্যানন্দপুর গ্রামের বেঞ্জামিন বিশ্বাসের স্ত্রী মিসেস যুথিকা বিশ্বাস এই পাঁচ জনের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি এম এ খালেক।

মুজিবনগর অফিস জানিয়েছে, মুজিবনগরে র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকাল এগারোটার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসের নেতৃত্বে র‌্যালীটি শহরের মেন মেন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

উক্ত র‌্যালীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভাঃপ্রাঃ) এম.এম আরাফাত হোসেন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেম, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান, সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রব, তথ্যসেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্সসহ উপজেলার সকল কর্মকর্তারা অংশ নেন।

র‌্যালী শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভাঃপ্রাঃ) এম.এম আরাফাত হোসেনের সভপতিত্বে পরিষদ মিলনয়াতনে বেগম রোকেয়া দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় বেগম রোকেয়া দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও বিষয়ক অফিসের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে।

গতকাল সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্তর থেকে একটি র‌্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে সভা অনুষ্টিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লিটন আলী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। তিনি বলেন বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের পথিকৃত, তিনি নরীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে আজীবন সংগ্রাম করেছেন, মুসলিম সমভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নিয়েও বেগম রোকেয়া সব বাধা উপেক্ষা করে নারীদের জন্য কাজ করে গেছেন।

সভায় ৫ জন নারীকে জয়িতা পুরস্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি। এরা হল, জেহালা ইউনিয়নের রোয়াকুলি গ্রামের ছাহেরা খাতুন, আলমডাঙ্গা পুরাতন বাজারের অর্পনা রানী সাহা, ডাউকি ইউনিয়নের বক্সিপুর গ্রামের শ্রীমতি রিতা রানী দত্ত, হাটবোয়ালিয়া গ্রামের ছালমা খাতুন খাতুন, কালিদাশপুর গ্রামের রেহানা খাতুন। প্রত্যেক কে ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়েছে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা।

কলেজিয়েট স্কুলের উপাধক্ষ শামিম রেজার উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিআরডিবি কর্মকর্তা সায়লা সারমিন, আইসিটি কর্মকর্তা সিন্ধা দাস, ফাতেমা আক্তার, ছালমা খাতুন প্রমুখ।

-প্রতিদিন ডেস্ক




সৌদিতে বন্দি ১৭ জনের খাবার ও দেশে ফেরতের ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস

সৌদি আরবে ২ মাস প্রায় অনাহারে বন্দি গাংনীর ১৭ শ্রমিকের খাবারের ব্যাবস্থা, তাদের কাজ অথবা দেশে ফেরার ব্যাবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনার শীপ কতৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা(সচিব) মো: আলকামা সিদ্দিকীর নির্দেশে সৌদির বাংলাদেশ দূতাবাস এ পদক্ষেপ নেয়।

মো: আলকামা সিদ্দিকী জানান, মেহেরপুর প্রতিদিন নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদ দেখে আমি তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের রিয়াদ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছিলাম। কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ তারা অতিদ্রæত ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমাকে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বিদেশের মাটিতে মেহেরপুর-গাংনীর কেউ কোন ধরনের সমস্যায় পড়লে আমাকে জানালে হয়তো কোন সহায়তা করা যাবে।

ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ১৭ জন শ্রমিক সৌদিতে পাড়ি জমায়। জমি জায়গা বিক্রি করে শেষ সম্বল টুকু আদম দালালের হাতে তুলে দিলেও কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে ১৭ জন অসহায় শ্রমিক।

আদম দালালর খপ্পরে পড়ে প্রতারনার শিকার হয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন পার করছে এই সব শ্রমিক।
এদের মধ্যে অনেককেই বাড়ি থেকে টাকা পাঠিয়ে বাড়ি ফেরত আনা হলেও বন্দি রয়েছে ১৭ জন। বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য আদম দালাল নাহিদের কাছে ধর্ণা দিলেও কোন লাভ হয়নি।

জানা গেছে, ক্লিনারের কথা বলে প্রতিজনের নিকট থেকে ৬ লাখ টাকা করে নিয়ে সৌদি আরবে পাঠিয়েছেন আদম দালাল নাহিদ। গাংনী উপজেলার হিজল বাড়িয়া গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে নাহিদ।
নাহিদ বিভিন্নভাবে এলাকার সাধারণ মানুষকে ফুসলিয়ে ভুয়া ভিসায় সৌদিতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতারণার শিকারে অনেকেই সর্ব শান্ত হয়েছে জানা গেছে।

প্রতারণার শিকার হওয়ার স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, সৌদি আরবে যাওয়ার দশ দিন পর মোবাইল ফোনে খবর আসে তাদেরকে এয়ারপোর্ট থেকে কেউ রিসিভ করতে আসেনি একদিন পর তারা নিজেরাই উদ্দেশ্য বিহীন ভাবে এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে পড়ে।

পরে আদম দালাল তাদের ভূয়া কোম্পানির ভিসা দিয়েছে বলে জানতে পারে। যে কোম্পানির ভিসা দেওয়া হয়েছে সেই নামের নাকি কোন কোম্পানি সেখানে নেই। কোম্পানির কোন ঠিকানা বা কোন কাজ না পেয়ে গত দুই মাস যাবৎ অনাহারে অর্ধাহারে কোন রকম বেঁচে আছে তারা।

আজ কাল করে ২মাস যাবৎ একটি ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছে কোন খাবার ও দেওয়া হচ্ছেনা। যারা সৌদিতে আটকা পড়ে আছে তারা হলো, গাংনী উপজেলার হিজল বাড়িয়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে উজ্জল হোসেন, মহিরুদ্দিনের ছেলে ইলিয়াস হোসেন, আব্দুর রহমানের ছেলে টুকু, রশিদ শেখের ছেলে রুবেল হোসেন, কিয়ম মোল্লার ছেলে শফি, একই উপজেলার কালী গাংনী গ্রামের ইয়ার বক্সের ছেলে নিফাজ উদ্দিন, জামাল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলাম,

চায়নার ছেলে সোহান, জফের আলীর ছেলে মাহবুল ইসলাম, মেহেরপুর সদরের বামুন পাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে সুমন হোসেন, সুরাত আলীর ছেলে জাকিরুল ইসলাম, দৌওলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে জীবন আহমেদ, হজরত আলীর ছেলে এনামুল হক।

নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুর হিজুলীতে জমি নিয়ে বিরোধ, পনের দিন গৃহবন্দী একটি পরিবার

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের হিজুলী গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে একটি পরিবারকে।

গ্রামবাসী সুত্রে ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ যাবৎ হিজুলী গ্রামের মরহুম খবির মালিথার ছেলে সবজান আলীর বসত বাড়ীর চারিদিকে বাঁশের বেড়া ও বিভিন্ন কাটা দিয়ে ঘিরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে সবজানের সহোদর পাঁচ ভাই।

পিতার জমির অংশের সকলেই দশ শতক করে ভাগ পেলেও সবজানের অংশে বার শতক জমি আছে বলে দাবী ভাইদের । অতিরিক্ত দুই শতক জায়গা ফেরৎ পাওয়ার জন্য পাঁচ ভাই মিলে তাদের জমির সীমানায় বাঁশের বেড়া ও বিভিন্ন কাটা দিয়ে ঘিরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথটি অবরুদ্ধ করে দিয়েছে।

সবজান আলীর কলেজ পড়–য়া মেয়ে মরিয়ম খাতুন বলেন, এভাবে যাতায়াতের পথ অবরুদ্ধ করে রাখার কারণে আমরা কেউই বাড়ি থেকে বের হতে পারছিনা, এমনকি আমি আমার ২য় বর্ষের টেষ্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি।

শবজানের স্ত্রী বলেন, শ্বশুরের জমির অংশ রাস্তার জন্য সকলেই আট হাত বাদ রেখে দশ শতক করে ভাগ পেয়েছি। শ্বশুরের দান করা অতিরিক্ত দুই শতক জমি আমাদের নামে রেজিষ্ট্রি আছে। কিন্তু ঐ দুই শতক জমি আছে রমজান ও নিয়াজের জমির অংশে। তারা জোর পূর্বক ঐ দুই শতক জমি আমাদের কাছ থেকে দখল রেজিষ্ট্রি নিতে চাই।

আমরা জমি দিতে না চাইলে সবাই মিলে ষড়যন্ত্র করে আমাদের চলাচলের পথটি আটকিয়ে দেয়। চলাচলের একমাত্র পথটি অবরুদ্ধ করায় গরু, ছাগল, হাঁস মুরগী নিয়ে আমরা কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।
সবজান আলীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সবজানের পিতা মরহুম খবির মালিথা তাকে বসত বাড়ীর একটি জমি দান করে গেছেন।

প্রায় ৩০ বছরের বেশি সবজান আলী তার ঐ জমিতে বসবাস করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে সবজানের ৫ ভাই নিহাজ আলী, বাবুর আলী, রমজান আলী, কামাল হোসেন ও জামাল হোসেন তার বাড়ীর সামনে চলাচলের রাস্তায় বাঁশের চটা ও বিভিন্ন কাটা জাতীয় ডালপালা দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বর্তমানে তার বাড়ীর গরু ছাগল বের করা সহ তার পরিবারের সদস্যদের চলাচলের পথ সম্পূর্ন বন্ধ হয়ে আছে।

এ বিষয়ে তিনি মেহেরপুর জেলা নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট আদালতে পাঁচ ভাইকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৩৪৬/১৯ তারিখ ০১/১২/১৯ । রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছে গ্রামবাসী।

-বারাদী প্রতিনিধি