কিউট প্রথম বিভাগ হ্যান্ডবল লীগে হোটেল বাজার জয়ী

মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত কিউট প্রথম বিভাগ হ্যান্ডবল লীগে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে মেহেরপুর দুরন্ত হোটেল বাজার।
রবিবার দ্বিতীয় রাউন্ডে নিজেদের দ্বিতীয় খেলায় শিরোপা প্রত্যাশী দুরন্ত হোটেল বাজার ২৮-৫ গোলের বিশাল ব্যবধানে বিশ্বাস ক্রীড়াচক্রকে পরাজিত করে। খেলায় বিজয়ী দলের পক্ষে রাফিউল ৭ টি, মারুফ ৬টি, চপল ৬ টি, আবির ৬ টি এবং ইলিয়াস রায়হান ও অয়ন একটি করে গোল করেন। বিশ্বাস ক্রীড়া চক্রের পক্ষে লিমন ৪টি মামুন একটি গোল। এ জয়ের ফলে দুরন্ত হোটেল বাজার দুই খেলায় পূর্ণ ৬ পয়েন্টে শিরোপার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




মেহেরপুরে ফ্রী কম্পিউটার প্রশিক্ষন

মেহেরপুরে সম্পূর্ণ সরকারি ভাবে, মেহেরপুর জেলার সর্ববৃহত্তর কম্পিউটার ট্রেড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মেহেরপুর শহর সমাজসেবা কার্যালয়ে ২৯ তম ব্যাচে জানুয়ারী-২০২০ হতে জুন-২০২০ সেশনে ৬ (ছয়) মাস মেয়াদী কম্পিউটারে অফিস এ্যাপ্লিকেশন ও বিউটিফিকেশন কোর্সে ভর্তি ফরম বিতরণ ও ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আগ্রহ ছাত্র/ছাত্রীদের শহর সমাজসেবা কার্যালয় থেকে অফিস চলাকালীন ফরম সংগ্রহ করার জন্য অুনরোধ করা হলো। ফরম মূল্য-১০০/- (একশত) টাকা মাত্র। সম্পূর্ণ শিতাতপ নিয়ন্ত্রীত ও সিসি ক্যামেরায় আওতাভূক্ত এবং মাল্টিমিডিয়ায় ইংলিশ স্পোকেন প্রশিক্ষণ প্রদান। প্রশিক্ষণ শেষে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে সরকারি সনদ পত্র প্রদান করা হয়।
ভর্তি জন্য বিস্তারিত জানতে- এস এম রাসেল প্রধান কম্পিউটার প্রশিক্ষক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, টঈউ মল্লিক পাড়াস্থ্য শহর সমাজসেবা কার্যালয়, মেহেরপুর।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




মেহেরপুরে জলাতঙ্ক নির্মুলের লক্ষ্যে অবহিত করন সভা

২০২২ সালের মধ্যে দেশে থেকে জলাতঙ্ক নির্মুলের লক্ষ্যে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম ২০১৯ বাস্তবায়নে উপজেলা পর্যায়ে অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১ টার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে এ অবহিত করন সভার আয়োজন করে।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. শামীম আরা নাজনীন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা স্বাথ্য কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. এহসানুল কবির ডিএলও জাহাঙ্গির আলম, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজামান, বোরহান উদ্দিন।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




মেহেরপুর জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা

মেহেরপুর জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আতাউল গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিগত দিনের তামাক নিয়ন্ত্রণে যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা বর্ণনা করেন জেলা প্রশাসক।
সভাপতির মাধ্যমে মেহেরপুর ও গাংনী পৌরসভার তত্বাবধায়নে আগামী দিনে তামাক পণ্য বিপনন নিয়ন্ত্রণের লক্ষে তামাক পণ্য বিক্রয়কারীদের আলাদা ভাবে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা। বলা হয় পৌর এলাকায় লাইসেন্স ছাড়া কোন ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না তাই যদি তামাক পণ্য বিক্রয়কারীদের আলাদা লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসলে তারা ১৮ বছরের কম বয়সী কারো কাছে তামাক পণ্য বিক্রয় করতে বা বিক্রয় কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। তাহলে নতুন করে ধূমপায়ী তৈরি হবে না বা অনেকটা কম হবে। এছাড়াও বিজ্ঞাপন প্রদশর্ন করা কোম্পানীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিবে জেলা প্রশাসন।
এসময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. শামীম আরা নাজনীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) তৌফিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম আশ্রয় সমাজ উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক এমএ হাসান সুমন। এছাড়াও সকল সরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন

নিজস্ব প্রতিনিধি:




গাংনী তে জলাতঙ্ক নির্মুলে অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত

২০২২ সালের মধ্যে দেশে থেকে জলাতঙ্ক নির্মুলের লক্ষ্যে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম ২০১৯ বাস্তবায়নে উপজেলা পর্যায়ে অবহিত করন সভা অনুীষ্ঠত হয়েছে। আজ রবিবার বেলা ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোগ নিয়ন্ত্রন শাখা এ অবহিত করন সভার আয়োজন করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এম রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথী হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক। বিশেষ অতিথী ছিলেন, গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়ামিন।
এসময় গাংনী উপজেলার ৯ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,স্বাস্থ্য সহকারি ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এমডিভি সুপার ভাইজার মুক্তার উদ্্িদন ও একরামুদ্দিন । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এমটি ইপি আই আব্দুর রশিদ।
অবহিতকরন সভায় বক্তারা বলেন, জলাতঙ্ক হলো প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত ভাইরাস জনিত রোগ যাতে মৃত্যু অনিবার্য কিন্তু শতভাগ প্রতিরোধ যোগ্য। কুকুর নিধন নয় ,কুকুরের শরীরে জলাতঙ্ক ভ্যাকসিন প্রযোগের মাধ্যমে দেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মুল সম্ভব। বক্তারা আরো বলেন,শতকরা ৯০ ভাগ এর অধিক ক্ষেত্রে কুকুরের কামড়ে জলাতঙÍ সংত্রমিত হয়ে থাকে । এছাড়া বিড়াল,বেজি,বনবিড়াল,শিয়াল,খেকশিয়াল,বানর ইত্যাদি প্রাণীর কামড়ে বা আচড়ের মাধ্যমে মানুষের দেহে জলাতঙ্ক ছড়াতে পারে। জলাতঙ্ক বিষয়ে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
সে লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলার গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলায় কুকুরের শরীরে ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ দ্রত শুরু হবে বলে জানান তারা।

গাংনী প্রতিনিধি:




আলমডাঙ্গায় জলাতঙ্ক রোগ বিষয়ে অবহিতকরন সভা

আলমডাঙ্গা হারদী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স হারদীতে জলাতঙ্ক রোগ বিষয়ে অবহিতকরন সভা অনুষ্টিত হয়েছে।গতকাল সকাল ১০ টার দিকে হারদী হাসপাতেলর হলরুমে সভায় সভাপতিত্বে করেন,উপজেলা স্বাস্থ প,প,কর্মকর্তা ডাঃ হাদী জিয়াউদ্দিন আহম্মদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদীর গনু। তিনি বলেন জলাতঙ্ক রোগের কোন ঔষধ পৃথীবিতে আবিস্কার হয়নি। তবে জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করা অতিব জরুরি,আমরা সরকারি ভাবে পৌর সভার মাধ্যমে কুকুর নিধন অভিযান চালিয়ে প্রতিবছর শতাধিক কুকুর মারা হয়ে থাকে। তবে এখন পরিবেশ বিদগন কুকুর নিধনের বিরোধিতা করায়,আমরা আগে মানুষকে ভ্যাকক্সিন দিতাম,এখন কুকুরকে ভ্যাক্সিন দিচ্ছি।তিনি আরো বলেন আমরা ২০২২ সালের মধ্যে দেশ থেকে জলাতঙ্ক রোগ নির্মুল করব। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি কাউছার আহম্মেদ বাললু,ডাঃ সজিব,ডাঃ নাশরিন আক্তার। সিডিসি মহাখালি ঢাকার এমডিভি সুপার ভাইজার কে এম তাহমিদের উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু,উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃআব্দুল্লাহিল কাফি,উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা,ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু,আবু সাইদ পিন্টু,আবুল কালাম আজাদ,আব্দুস সালাম বিল্পব,প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু,সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম,প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব রাকিবুস সালেহীন,পৌর সভার কন্জারভেন্সি ইনস্পেক্টর আসাদুল ইসলাম প্রমুখ।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি:




কার্পাসডাঙ্গায় পুলিশ সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখে বাল্য বিবাহ পন্ড

জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা আদিবাসী পাড়ায় জাহিদুলের বাড়িতে বাল্য বিবাহ হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সাংবাদিক ও পুলিশ পৌঁছে গেলে তা ভেস্তে যায়।জানা গেছে বুইচিতলা গ্রামের প্রবাসী জিয়াউলের কন্যা নবম শ্রেনীর ছাত্রী নাজমীমের সাথে চাকুলিয়া গ্রামের আ:হামিদের ছেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিক্ষক চাঁদ আলীর বাল্য বিবাহ আদিবাসি পাড়ার জাহিদুলের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গার স্থানীয় সাংবাদিকরা সহ ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয় ভেস্তে যায় বাল্য বিবাহ।এ বিষয়ে জাহিদুলের স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে উভয় পরিবারের লোকজন জানান কোন বাল্য বিয়ে নই তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই বোন। দুজন দুই গ্রামে থাকে তাদের ভিতর বিয়ের কথাবার্তা চলছে বয়স হলে তারপর বিয়ে দেওয়া হবে এখন দুজন সহ তার আত্মীয়রা দেখার জন্য এসেছে। কে বা কারা মিথ্যা সংবাদ দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তবে গোপন সুত্রে জানা গেছে জাহিদুল প্রবাসে থাকার কারনে তার স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে আত্মীয় পরিচয়ে লোকজন নিয়ে আসে ও বাল্য বিবাহ দেয়। বাল্য বিবাহটি ভেস্তে যাওয়ায় সাংবাদিক সহ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল। এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ জলিল বলেন কোন অবস্থাতেই এলাকায় বাল্য বিবাহ হতে দেওয়া যাবেনা। এর কুফল সম্পর্কে সকলকে জানাতে হবে।

কার্পাসডাঙ্গা অফিস:




কুড়ুলগাছিতে শওকত আলীর মিথ্যা অভিযোগে বেকায়দায় রশিদ

জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মুনছুরের ছেলে সুদ ব্যাবসায়ী শওকত আলীর করা কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদে মিথ্যা অভিযোগে বেকায়দায় পড়েছে একই গ্রামের মৃত :জলিলের ছেলে রশীদ। শওকত আলীর সাথে রশিদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অশান্তি চলে আসছে। এ সুযোগে সুদ ব্যাবসায়ী শওকত আলী গ্রামে প্রচার চালায় সে রশিদের কাছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পাবে। সে দিচ্ছেনা। তারপর সুচুতুর শওকত আলী তার সুদ ব্যাবসার সহযোগীতাকারী জয়নালের ছেলে শফিকুল,সদর উদ্দীনের ছেলে খোকন,তিন কুড়ির ছেলে সাইফুলকে মিথ্যা স্বাক্ষী করে কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদে নালিশ করে বসে।
এ ঘটনায় রশিদ জানান, তার একটা ছেলে বিদেশে পাঠিয়ে সে চরম বেকায়দায় তার কোন কাজ কাম নেই। এর মধ্য শওকত তাকে নানান সময়ে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তিনি আরো জানান শওকতের হুমকির কারনে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে জানতে শওকতের সাথে কথা বললে তিনি জানান তিনি কাউকে হুমকি ধামকি দেননি। টাকা পাবেন বলেই তো ইউনিয়নে পরিষদে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো:এনামুল করিম ইনু জানান এ বিষয়ে একবার বসা হয়েছে সামনে আরেকটা তারিখ আছে বসার জন্য সেদিন স্বাক্ষীদের স্বাক্ষী নিয়ে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি:




মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচনের খসড়া প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ

মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের খসড়া প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
রবিবার মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের অফিসে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনের আব্দুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু।
১১ টি পদের বিপরীতে ১৪ জন প্রার্থীর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




দর্শনায় ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা:অর্থ লেনদেনে মিমাংসা

দীর্ঘদিন ধরেই বিনা পুজির ব্যবসা করছে এই ব্যাক্তি। যেমন ভিক্ষা করা একটি বিনা পুজির ব্যবসা তেমনি কোর্টে মামলা ঠুকে দেওয়া একটি বিনা পুজির মতই ব্যবসা। এ বিনা পুজির ব্যবসা করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে ৪টি গ্রামে বসবাস করেছে এই ব্যাক্তি। আবার বসবাসসূত্রে এসকল গ্রামগুলির প্রতিবেশীদের সাথে কারনে অকারনে কয়েক বছরের ব্যাবধানে ৪২ জনের বিরুদ্ধে কোর্টে বিভিন্ন ধরনের মামলা ঠুকেছে এই ব্যাক্তি। আসামী পক্ষ মান মর্যাদা হারানোর ভয়ে বিভিন্ন সময়ে আর্থিক লেনদেনে বেশ কয়েকটি মিমাংসাও করেছে। আরও অনেক মামলা খারিজ হয়েছে ও অনেক মামলা চলমান রয়েছে।

এমনই এক ব্যাক্তির খোজ পাওয়া গেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর গোরস্থান পাড়ায়। ফজল কানা বলেই তাকে সবাই এক নামে চেনে। এই ব্যাক্তির ২ চোখ অন্ধ হলেও প্রতিবেশী ও গ্রামবাসী তাকে দেখে বাঘের মতই ভয়পায়। আর ভয়পাওয়ার একমাত্র কারন ফজল কানার প্রধান অস্ত্র কারনে অকারনে মামলা ঠুকে দেওয়া। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, দির্ঘদিন ধরেই দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর রিফুজী কোলনী পাড়ায় বসবাস করে আসছিলো মৃত মজিবার রহমানের ছেলে ফজলুর রহমান ওরফে ফজল কানা (৬৫)। এসময় সে ভিক্ষা করে সংসার চালাতেন। সংসার জিবনে তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে। ভিক্ষা করার সুবাধে বছর পাঁচেক আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামে বসবাস শুরু করে। সেখানে কয়েক বছর বসবাস করে ঐ গ্রামের প্রতিবেশীসহ গ্রামের বিভিন্ন মানুষের সাথে বাধে দ্বন্দ। পরে গ্রামবাসী সকলে একজোট বেধে ফজল কানার ঘর ভেঙ্গে দোস্ত গ্রাম থেকে তুলে দেয়।

পরে দোস্ত গ্রাম থেকে পরিবার নিয়ে দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বচন্দ্রপুর গ্রামে এসে বসবাস শুরু করে। এসময় ঈশ্বচন্দ্রপুর গ্রামের তার প্রতিবেশীসহ আনুমানিক ২০ জনের নামে বিভিন্ন কারনে অকারনে কোর্টে মামলা দায়ের করার অভিযোগ পাওয়া যায় গ্রামবাসীর কাছে। এর মধ্যে মরজেম ফকিরের ছেলে খবির উদ্দিন, কাবা মন্ডলের ছেলে ইলাহি, মরজেম মন্ডলের ছেলে মাহাবুর, মুজামের হকের ছেলে ইমার আলী, ইমার আলীর ছেলে ইদ্রিস, কাছেদের ছেলে বদর উদ্দিন, মহির ছেলে শাহিন, লতিফ, আনছার, মোজাম্মেল হকের ছেলে মমিন, নঈমুদ্দিনের দুই ছেলে রহিম ও ইদ্রিস, আজিম মন্ডলের ছেলে হালিমসহ আনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কারনে অকারনে কোর্টে মামলা ঠুকে দেয়। এদের মধ্যে কাবা মন্ডলের ছেলে ইলাহির কাছ থেকে ২১হাজার টাকা ও মরজেম মন্ডলের ছেলে মাহাবুরের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়ে মিমাংসা করে।

একই গ্রামের মুজামের ছেলে ইমান আলী জানায় ফজল কানা তার স্ত্রীকে বটি দিয়ে কোপ মারে আমরা ঠেকাতে গেলে সে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করলে আমরা তার কথার প্রতিবাদ করায় সে তার স্ত্রীকে নিয়ে আমার বিুদ্ধে কোর্টে মামলা করে। পরে গ্রামের কাউন্সিলরসহ মন্ডল মাতব্বাররা একজোট হয়ে ফজল কানাকে গ্রাম থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পরে ফজল কানা একই পৌর এলাকার আজিমপুর গ্রামে আশ্রয় নিয়ে বসবাস শুরু করে। এখানেও একই ভাবে দর্শনা পৌরসভার দুই পৌর কাউন্সিলরসহ ৫ জনের নামে কোর্টে মিথ্যা মামলা করে। এর মধ্যে সাবেক কাউন্সিলর ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে কবির, শহর আলী মোল্লার ছেলে বর্তমান কাউন্সিলর রবিউল হক সুমন, মজিবর রহমানের ছেলে কুটি, ইদ্রিস আলী মিয়ার ছেলে খোকন ও বন্দর ব্যাপারীর ছেলে জলিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা কারন দেখিয়ে কোর্টে মামলা করে। পরে আজিমপুর থেকেও তাকে একই ভাবে বিতাড়িত করে গ্রামবাসী। পরে আজিমপুর থেকে বর্তমানে দর্শনা পৌরসভার পরানপুর গ্রামের গোরস্থান পাড়ায় বসবাস করছে।

এখানেও একই ভাবে কয়েকবছরের মধ্যে প্রায় ২২ জনের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা ঠুকেছে। এর মধ্যে পরানপুর গ্রামের সমশের আলীর ছেলে রবিউলের বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা করে। পরে মান-সন্মান বাচাতে ১লক্ষ টাকায় মিমাংসা করে ফজল কানা। প্রতিবেশী মৃত কুদরত আলীর ছেলে ভ্যান চালক হাবিবুরের বিরুদ্ধে কোর্টে মিথ্যা মামলা করে তার কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা নিয়ে আপোষ করে। এছাড়া মৃত খেদের আলীর ছেলে আমজাদ, আমজাদের ছেলে পিন্টু, সাহাদতের মেয়ে হাজেরা ও ছেলে ইছা, এনামুলের মেয়ে পিংকি, আনু মিয়ার ছেলে মুনতাজ, মৃত মজিদের ছেলে ধনু মিয়া, কপিল মন্ডলের ছেলে রেজাউল, রেজাউলের ছেলে আলো, বাদলের ছেলে ইস্্রাফিল, মৃত নুর বক্সের ছেলে মব্বত, ইলাহীর ছেলে ইছাহাক, আজির বক্সের ছেলে সাবেক কাউন্সিলর লৎফর, শামসুদ্দিনের ছেলে বর্তমান কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, নজরুলের ছেলে শান্ত, রহেদ আলীর ছেলে তোফা, জাবেদের ছেলে তমছের উদ্দিনের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ঠুকেছে কোর্টে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, ফজল কানা তার পারিবারিক কোলহের জন্য বিভিন্ন সময়ে গ্রামে সালিসের ডাক দেয় পরে তার মন মত সালিসের রায় না হলে ঐ সালিসে যারা উপস্থিত থাকে তাদের বিরুদ্ধে গোপনে কোর্টে মিথ্যা মামলা করে আসে। আবার তার পরিবারের কাউকে যদি মারধর করে প্রতিবেশী কেউ যদি ঠেকাতে যায় তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকে দিয়ে টাকা হাতানোর পায়তারা করে। এছাড়া তার বড় ছেলে শরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ করে গ্রামবাসী। এছাড়া অভিযোগ করে শরিফের কাছে একটি খেলনার পিস্তল ও একটি হ্যান্ডকাপ রয়েছে যা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রশাষনের নাম ভাঙ্গিয়ে ছিনতায় করে বলে জানায় এলাকাবাসী। এছাড়া শরিফের নির্যাতনের শিকারে তার স্ত্রী শরিফের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার আপন আত্মিয়দের বিরুদ্ধে নিজের ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে বাদি করে আদালতে বিভিন্ন রকমের মিথ্যা মামলা করে হয়রানি ও প্রতারনার জাল বিস্তার করছে প্রতি নিয়ত।

দর্শনা প্রতিনিধি: