গাংনীতে জয়িতাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন উপলক্ষে মেহেরপুরের গাংনীতে জয়িতাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা শুরুর আগে মানব বন্ধন করেছে অনুষ্ঠানটির আয়োজক উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়।

পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক।

উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষযক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাজেদুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নুরজাহান বেগম, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সন্ধানী সংস্থার নির্বাহি পরিচালক মহাঃ আবু জাফর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

আলোচনা শেষে পাঁচজন জয়িতা এ উপজেলার চিৎলা গ্রামের মোঃ গোলাম ফারুকের স্ত্রী মোছাঃ লূৎফন্নাহার শিল্পী, পূর্ব মালসাদহ গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ আশরাফুন্নেছা, কাজিপুর গ্রামের কাজি আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী মোছাঃ পারভীন আকতার,

বামন্দী গ্রামের মৃত আঃ মজিদের স্ত্রী মোছাঃ রেহেনা খাতুন ও নিত্যানন্দপুর গ্রামের বেঞ্জামিন বিশ্বাসের স্ত্রী মিসেস যুথিকা বিশ্বাস এই পাঁচ জনের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি এম এ খালেক।

-গাংনী প্রতিনিধি




গাংনীতে জয়িতাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত॥

বেগম রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন উপলক্ষে মেহেরপুরের গাংনীতে জয়িতাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা শুরুর আগে মানব বন্ধন করেছে অনুষ্ঠানটির আয়োজক উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়।
পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক।
উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষযক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী থানার ভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাজেদুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নুরজাহান বেগম, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সন্ধানী সংস্থার নির্বাহি পরিচালক মহাঃ আবু জাফর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা শেষে পাঁচজন জয়িতা এ উপজেলার চিৎলা গ্রামের মোঃ গোলাম ফারুকের স্ত্রী মোছাঃ লূৎফন্নাহার শিল্পী, পূর্ব মালসাদহ গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ আশরাফুন্নেছা, কাজিপুর গ্রামের কাজি আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী মোছাঃ পারভীন আকতার, বামন্দী গ্রামের মৃত আঃ মজিদের স্ত্রী মোছাঃ রেহেনা খাতুন ও নিত্যানন্দপুর গ্রামের বেঞ্জামিন বিশ্বাসের স্ত্রী মিসেস যুথিকা বিশ্বাস এই পাঁচ জনের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি এম এ খালেক।

মেহেরপুর প্রতিনিধি:




দর্শনায় কেরু এ্যান্ড কো. নামে ট্রাকে করে বহন করছে মাদক

চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র ভারী শিল্প কারখানা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী। এ কোম্পানির প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি চিনি বিক্রি করেছে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি। সেই সুবাদে প্রতিদিন প্রায় কেরু এ্যান্ড কোম্পানির চিনি লোড হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টি ট্রাক। কিছু মাদক ব্যাবসায়ীর ড্রাইভার সাথে যোগসাজসে ঐ চিনি ভর্তি ট্রাকে করে ফেনসিডিল ও ইয়াবা পাচার হচ্ছে বলে একটি সুত্র বলেছে।

গত শনিবার রাত ৯ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়ান্দা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে দর্শনার জুবায়ের ও ইন্তাজকে চিনি ভর্তি ট্রাকসহ ১১০ বোতল ফেনসিডিল সহ তাদের কে আটক করে। ট্রাক ড্রাইভার পলাশ ট্রাকের জানালা লাফ দিয়ে পালিয়ে রক্ষা পায়। পুলিশ জানিয়েছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে জেলা গোয়ান্দা পুলিশের একটি চৌকস দল এস আই ইবনে খালিদ, এ এস আই বিজন কুমার সঙ্গীয় ফোর্সসহ রাত ৯ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সি এ্যান্ড বি পাড়ায় অভিযান চালান। এ সময় জীরননগর চুয়াডাঙ্গা সড়কের ছ,মিলের সামনে একটি চিনি ভর্তি ট্রাককে সিগনাল দেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলে দর্শনা শান্তি পাড়ার ট্রাক ড্রাইভার পলাশ সটকে পড়ে। আটক করা হয় দর্শনা আনোয়ারপুর হঠাৎ পাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে জুবায়ের হোসেন (৩৫) ও একই এলাকার হামিদ দারোয়ানের ছেলে ইন্তাজ(২৫) কে। চিনি ভর্তি ট্রাক তল্লাশি করে উদ্ধার করা হয় ভারতীয় ১১০ বোতল ফেনসিডিল।

গোয়েন্দা পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা জানান উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল দর্শনা শান্তি পাড়ার মাদক ব্যাবসায়ীর গডফাদার সোহাগ ওরফে ঘটুর। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্র্যব্য নিয়ন্ত্রন আইনে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এ দিকে কেরু এ্যান্ড কোম্পানির গাফিলতির কারনে এ সব মাদক পাচার হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সুত্র। এ ব্যাপারে কেরি এ্য্ডা কোস্পানীর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক দৃষ্টি দিলে এ সব মাদক ব্যাবসায়ীরা ছাড় পাবে না বলে আশা করছে সাধারন মানুষ।

দর্শনা প্রাতনিধি:




আলমডাঙ্গায় কলেজপাড়া একাদশ আয়োজনে ক্রীকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

আলমডাঙ্গায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কলেজপাড়া একাদশ কতৃক আয়োজিত মাসব্যাপি ১৬ দলের ক্রীকেট টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্টানের প্রধান অতিথি এ্যাডিশনাল আইজিপি মীর শহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন খেলাধুলা স্বাস্থ ও মনকে সুস্থ রাখে। আর সুস্থ দেহ সুস্থ মনের মানুষ কখনও বিপথে পরিচালিত হয়না। তিনি বলেন আমি জার্মানে গিয়েছিলাম, সেখানে কয়েকটি প্রতিষ্টানে দেখলাম জার্মান ভাষায় লেখা আছে সুস্থ দেহ সুস্থ মন রাখতে হবে,আমি আলমডাঙ্গার সন্তান হিসেবে চাইব এখানকার যুব সমাজ যেন বিপথে না যায়। পুলিশ বিভাগকে বলা আছে তারা মাদকের সাথে কোন আপোষ করবে না,খুলনার ডিআইজি এখানে যে ওসিকে পোষ্টিং দিয়েছে তার একটা টাকাও লাগেনি,তাহলে তারা কেন মানুষের কাছে হয়রানি করে টাকা নেবে। আমরা যে বেতন পাই তাতে আমাদের সংসার চলে যায়,পুলিশ ঘুষ খায় কথাটা প্রচলিত আছে কিন্তু এখন আর আগের যুগ নেই। পুলিশ এখন আধুনিক পুলিশে পরিনত হয়েছে। আমি এই মাটির সন্তান হিসেবে কিছু কাজ করতে চাই, কিন্তু আমাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে হবে। সংসদ সদস্যের সাথে আলাপ করে আসেন আমি যদি কোন কাজ করতে পারি নিজেকে ধন্য মনে করব। উদ্বোধনি সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মীর শফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন,ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সালমুন আহম্মেদ ডন,সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষিবিদ গোলাম সরোয়ার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন,সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক,সমীর কুমার দে,প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু,সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম,সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মহিতুর রহমান, আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন প্রমুখ। গতকাল উদ্বোধনি খেলায় নাগদা একাদশ বনাম কলেজপাড়া জুনিয়র একাদশ।

আলমাডাঙ্গা প্রতিনিধি:




গাংনীতে তহ বাজারে খাজনা আদায়ের নামে নৈরাজ্যের অভিযোগ

গাংনী তহ বাজারে খাজনার নামে চলছে চাঁদাবাজির নৈরাজ্য। এতে ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তাছাড়াও খাজনার রশীদও তাদের দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন খাজনার রশীদ চাইতে গেলে ইজারাদারদের হুমকিধামকি শুনতে হয়।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, খাজনার রশীদতো দেবেই না আবার রশীদের জন্য কথা বললেই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপরও ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই খাজনা দিয়ে আসছে। এদিকে খাজনার মাত্রাও অতিরিক্ত বলে তারা অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা জানান, এখানেপাকা দোকান ঘর রয়েছে ১৩টি আগে একই জায়গার উপর দোকান ঘর ছিল ১০টি। বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম ১০টি ঘরের জায়গায় ১৩টি ঘর নির্মান করেছেন আগের দোকান ঘর ছিল ১০/১২ ফুট এখন তা ছোট করে করা হয়েছে ৮/১২ ফুট। ঘরগুলিও আগের চেয়ে ছোট হয়েছে এবং এই ছোট ঘরে সকল ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে প্রতি ঘর বাবদ ১লক্ষ টাকা সিকিউরিটি নিয়েছে মাসিক ২শ’ টাকা করে ভাড়া। এতেও ব্যবসায়ীদের তেমন কোন আপত্তিনা থাকলেও মেয়র আশরাফুল ইসলামের নির্দেশে ভাড়া বাদেও প্রতিদিন দোকান ঘরপ্রতি ৩০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। ফলে মাসে খাজনা সহ ভাড়া পড়ছে ১১শ’ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলেন এখানে ব্যবসায়ীদের কাছে খাজনার নামে রিতিমত চাঁদাবাজির নৈরাজ্য চলছে।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগকরেন পাকা দোকান এর আগেও আমরা চুক্তিপত্র’র মাধ্যমে ভাড়া নিয়েছিলাম তখন থেকে বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম আসার আগ পর্যন্ত কোন দিন মাসিক ভাড়া ছাড়া খাজনার নামে অতিরিক্ত টাকা তারা দাবি করেনি। অথচ এখন সিকিউরিটিও বেশি আবার দোকান ঘর ভাড়ার সাথে অতিরিক্ত খাজনাও তারা জোর করে আদায় করছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন এটা রিতিমত খাজনার নামে চাঁদাবাজির নৈরাজ্য চলছে । দোকান ঘরের একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৮৪ সালে গাংনী উপজেলা পরিষদ থেকে গাংনী তহ বাজারে ১০টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। তৎকালিন সময় ১২ হাজার টাকা এককালিন ও মাসিক ২শ’ টাকা হারে পাকা দোকান ঘরে ব্যবসা করে আসছে ব্যবসায়ীরা। সে সময় পর থেকে গাংনী পৌরসভার অন্তুর্ভুক্ত হলে প্রথমের মেয়র হিসেবে দ্বায়িত্ব পান প্রয়াত আমিরুল ইসলাম পরে সাবেক মেয়র আহম্মেদ আলি। তারা কোন দিন নতুন করে ভাড়া বাড়ায়নি এমনকি ভাড়া ছাড়া অতিরিক্ত খাজনাও গ্রহন করেননি। অথচ বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম আসার পর থেকে গাংনী তহ বাজারে ব্যবসায়ীরা খাজানার নামে চাঁদা আদায়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা যদি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে যাই তাহলে তারা আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ নিয়ম গুলি কে করেছে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন মেয়র করেছে তাই মানতে হবে।
ব্যবসায়ীরা জানান, লক্ষ টাকা খাজনা দিয়ে দোকান ঘর নিয়েছি মাসিক ভাড়াও দেয়া হয় তারপরও কেন আমাদের দোকান ঘর থেকে খাজনা দিতে হবে? এমন ভাবেই তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

কার কথাতে ইজারাদাররা চুক্তি ভিত্তিক দোকানের খাজনা আদায় করে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন মেয়র আশরাফুল ইসলামের কথাতে তারা আমাদের কাছে খাজনা দাবি করে তাও আবার বিনা রশীদে।

ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু আমাদের সাথেই অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করেনা ইজারাদারদের লোকজন মেয়র আশরাফুল ইসলামের কথা মতো বিনা রশীদে মাছ ব্যবয়ায়ীদের একটি কড়াই প্রতি ৬০ টাকা করে আদায় করে। একটি কড়াইতে যদি ২ কেজি মাছও থাকে তারপরও তাকে ৬০ টাকা খাজনা দেওয়া লাগে। যদি ২টি মাছের তাওয়া থাকে তাহলে ৬০ টাকা হিসেবে ১শ’২০ টাকা দিতে হয়। এতে মাছ ব্যবসায়ীরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই বিনা রশীদে খাজনা দিয়ে থাকেন। অথচ এর আগে একজন ব্যবসায়ী প্রতি ৪০ টাকা করে দিত এক্ষেত্রে একাধিক তাওয়া থাকলেও অতিরিক্ত খাজনা দেওয়া লাগেনি। এখন না দিলে সেখানে ব্যবসা করা যাবে না।

মুরগি ব্যবসায়ীরাও বর্তমান ইজারাদারদের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এখানে মুরগীর ব্যবসার জন্য আলাদা জায়গা করে দিয়েছে অথচা সেখানে না গিয়েও ঐ স্থানের বাইরে নিজেস্ব সাইকেলে একটি খাচি নিয়ে ব্যবসা করলে ওসাইকেল প্রতি ৪০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। এদিকে যারা মুরগির ঘরে ব্যবসা করেন তাদের খাজনা ধার্য করা হয়েছে ৮০ টাকা। খাজনার বাইরেও তাদের পানি ও ঝাড়– দেওয়া বাবদ ২০ টাকা করে দিতে হয়। একজন মুরগী ব্যবসায়ীর নিকট থেকে সব মিলিয়ে ১শ’ টাকা করে খাজনা আদায় করেন ইজারাদারের লোকজন। ব্যবসায়ীরা জানান, ইজারাদাররা যেহেত ুব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টাকা নেন হাট পরিচ্ছন্ন রাখার দ্বায়িত্বও তাদের ঐ টাকার ভিতর থেকেই করতে হবে। এখানেও তারা জোর করে টাকা আদায় করে নেয়।

নির্ধারিত ৮০ টাকার বাইরে অতিরিক্ত টাকা তাদের না দিলেতারা তো এখানে কাজ করবে না তাহলে তাদের টাকা কেন দেন। এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যবসায়ীরা বলেন এটা মেয়রের নির্দেশ। আমাদের সাথে টাকা নিয়ে পানি ও ঝাড়–রদ্বায়িত্বে যারা রয়েছে তাদেরকে মেয়র আশরাফুল ইসলাম বেতন দেন। এরপরও হাটের দিন অতিরিক্ত কয়েকজন পানি দেওয়া বাবদ টাকা নিয়ে যায়।

মাংসের বাজারের ব্যবসায়ীদেরও একই অভিযোগ। তারাজানান, প্রতিটি গরুতে পৌরট্যাক্স দেওয়ালাগে ৫০ টাকা করে খাজনা দেওয়া লাগে ৫০ টাকা পানি বাবদ ও সুইপার বাবদ দেওয়া লাগে ৪০ টাকা করে। ফলে প্রতিটি গরুতে ১শ’৪০ টাকা করে দিতে বাধ্য করা হয়।
গাংনীর তরকারি বাজারে খাজনার নামেই জারা দার সাহাজুল ইসলাম মেয়র আশরাফুলই সলামের নির্দেশে ইজারার নামে বিনা রশীদে চাঁদাবাজির নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, পাকা দোকানে যারা চুক্তি করে ব্যবসা করছেন তাদের অতিরিক্ত খাজনা দিতে নিষেধ করা হয়েছে তারপরও তারা খাজনা দেয় দোকান বন্ধ করে দেবে এই ভয়ে। এবিষয়ে তাদের বাজার কমিটির পক্ষ থেকে অভয় দেওয়া হয়েছে তারপরও তারা ভয় পেলে আমাদের কিছ ুকরার থাকে না।

জানতে চাওয়া হলে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গাংনী বাজারে ১লক্ষ টাকাতে মাসিক ২শ’ টাকা দিয়ে কোন জায়গায় পাকা দোকান ঘর পাওয়া যাবে না। নাম মাত্র ভাড়া দিয়ে খাজনা দেবেনা কেন। হাটের ভিতর ব্যবসা করতে হলে সকলকেই খাজনা দিতে হবে। এতে যদি তাদের পড়তা না হয় তাহলে ঘর ছেড়ে দিয়ে চলে যাক।

খাজনার রশীদ প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন সবজি হাটে একজন ব্যবসায়ী নানান রকম সবজি নিয়ে বসে তাদের সবজির প্রকারভেদে আলাদা খাজনা করতে হবে তার জন্য আলাদা আলাদা রশীদ করতে হবে এটা কোন জায়গায় কার হয় না তাছাড়া কোন হাটেই রশীদ দিয়ে খাজনা আদায় করা হয় না।
এক প্রশ্নের জবাবে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, খাজনার আদায়ের কারণে পণ্যের দাম অতিরিক্ত হয় না ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে।
তিনি বলেন,খাজনা নেওয়া হবে না ব্যবসায়ীরা যদি প্রতিটি পণ্যে ২ থেকে ৫ টাকা কেজি প্রতি লাভ রেখে ব্যবসা করে। তহ বাজারে ব্যবসায়ীরা একেক টি পণ্য দ্বিগুণ মুনাফায় বিক্রি করে যে কারণে পণ্যের দাম অতিরিক্ত হয়ে যায়।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন, হাট বাজারের খাজনা রশীদের মাধ্যমেই তুলতে হয়। রশীদ ছাড়া খাজনা তোলার বিষয়টি খতিয়ে দেখে এ ব্যপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সিদ্দিকী শাহীন,গাংনী

 




মেহেরপুর জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির সভা

মেহেরপুর জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আতাউল গনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিগত দিনের তামাক নিয়ন্ত্রণে যে সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা বর্ণনা করেন জেলা প্রশাসক। সভাপতির মাধ্যমে মেহেরপুর ও গাংনী পৌরসভার তত্বাবধায়নে আগামী দিনে তামাক পণ্য বিপনন নিয়ন্ত্রণের লক্ষে তামাক পণ্য বিক্রয়কারীদের আলাদা ভাবে ট্রেড লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা। বলা হয় পৌর এলাকায় লাইসেন্স ছাড়া কোন ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব না তাই যদি তামাক পণ্য বিক্রয়কারীদের আলাদা লাইসেন্সের আওতায় নিয়ে আসলে তারা ১৮ বছরের কম বয়সী কারো কাছে তামাক পণ্য বিক্রয় করতে বা বিক্রয় কাজে ব্যবহার করতে পারবে না।

তাহলে নতুন করে ধূমপায়ী তৈরি হবে না বা অনেকটা কম হবে। এছাড়াও বিজ্ঞাপন প্রদশর্ন করা কোম্পানীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিবে জেলা প্রশাসন। এসময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. শামীম আরা নাজনীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপপরিচালক (স্থানীয় সরকার) তৌফিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম আশ্রয় সমাজ উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক এমএ হাসান সুমন। এছাড়াও সকল সরকারী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




ফেসবুকে ভুয়া আইডি খুলে অপপ্রচার-থানায় ডায়রী

মেহেরপুর পৌরভার ৭ নং ওয়ার্ডের রদরুদ্দোজার ছেলে নাগরিক ঐক্য মেহেরপুর এর জেলা আহবায়ক মনিরুজ্জামান সোহেল এর মোবাইল নাম্বার হ্যাক করে “ক্রাইম ক্রাইম” নামে ফেসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মনিরুজ্জামান সোহেল মেহেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছে, যার নং ৩২৩।

এ ব্যাপারে সোহেল জানান, আমার ব্যাক্তিগত সম্মানকে হেই প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে কে বা কারা ভুয়া আইডি খুলে বিভিন্ন অপপ্রচার করছে। আমি এ ঘটনার তিব্র দিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মানববন্ধন

মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলার গেটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মানববন্ধনে উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেম, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন,উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, তথ্যসেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স , মুজিবনগর উপজেলার দুর্নীতিবিরোধী কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাকের আলী প্রমুখ অংশ নেন।

-গাংনী  প্রতিনিধি




মুজিবনগরে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত

মুজিবনগরে র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে।সোমবার সকাল এগারোটার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাসের নেতৃত্বে র‌্যালীটি শহরের মেন মেন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়।

উক্ত র‌্যালীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভাঃপ্রাঃ)এম.এম আরাফাত হোসেন,

মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেম, ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন,উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান, সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রব, তথ্যসেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্সসহ উপজেলার সকল কর্মকর্তারা অংশ নেন।

র‌্যালী শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভাঃপ্রাঃ) এম.এম আরাফাত হোসেনের সভপতিত্বে পরিষদ মিলনয়াতনে বেগম রোকেয়া দিবসের আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত আলোচনা সভায় বেগম রোকেয়া দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম।

-মুজিবনগর অফিস




গাংনীতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানব বন্ধন শেষে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক। উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সন্ধানী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মহাঃ আবু জাফর এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইয়ানুর রহমান, গাংনী থানার ভার-প্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাজেদুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নুরজাহান বেগম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ খালেক বলেন, দূর্নীতি একটা দেশকে পিছিয়ে দেয়। তাই আমাদের সকলকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তিনি বলেন দূর্নীতি যদি আমিও করি আপনারা আমাকে ধরবেন আমি আপনাদের স্বাগত জানাব। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশকে অনেক উন্নয়নের দিকে নিয়ে গেছে। আর এটা একমাত্র দূর্নীতির বিরোধী অবস্থান নেওয়ার কারণে হয়েছে।

আলোচনা সভায় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মহা: আবু জাফর বলেন, আগে নিজে সঠিক হোন দেখবেন দেশটা এমনিতেই ঠিক হয়ে গেছে দুর্নীতি মুক্ত হয়ে গেছে এবং দেশ উন্নয়নের দিকে চলে যাচ্ছে। তিনি আহবান করেন বর্তমান সরকার বড় বড় রাঘব বোয়ালদেরও ছাড় দিচ্ছেনা তাইতো আমাদের বাংলাদেশ আগের চাইতে অনেক উন্নয়ন লাভ করেছে। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

-গাংনী প্রতিনিধি