মেহেরপুর মটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও মাইক্রো মালিক সমিতির মধ্যে মতবিনিময় সভা

মেহেরপুর মটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও মাইক্রো মালিক সমিতির সদস্যদের মধ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে শহরের গরুর হাট প্রাঙ্গনে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন অফিস কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মাইক্রো মালিক সমিতির আহবায়ক ও জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নে কার্যকারী সভাপতি সৈয়দ সোহেল। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান।

জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বকুলের সঞ্চালানায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ সাধারণ সম্পাদক এরশাদ আলী, মাইক্রো মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য রতন, রানা প্রমুখ।

এসময় মটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও মাইক্রো মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটির সকল সদসরা উপস্থিত ছিলেন।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




জীবননগর প্রেসক্লাবের প্রয়াত সভাপতির স্মরণে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল

সত্যের ফুল ফুটুক কলমে’ স্লোগান দিয়ে জীবননগর প্রেসক্লাবের প্রয়াত সভাপতি আনোয়ারুল কবির এর স্মরণে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান আয়োজন করে দর্শনা প্রেসক্লাব।

গত ১৭ই নভেম্বর জীবননগর প্রেস ক্লাবের একাধিক বারের নির্বাচিত সভাপতি আনোয়ারুল কবির নিজ বাড়ি ধোপাখালী গ্রামে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে সেই সময় পরিবারের সদস্যরা তাকে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

তার মৃত্যতে শোক প্রকাশ করে দোয়া অনুষ্ঠান করে দর্শনা প্রেসক্লাব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরুর সভাপতিত্বে দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আওয়াল হোসেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন মো: কামরুজ্জামান যুদ্ধ, মো: মনিরুজ্জামান সুমন, ইকরামুল হক পিপুল, হারুন আর রশিদ রাজু, চঞ্চল মাহমুদ, এস এম ওসমান, রাহিব আহম্মেদ মল্লিক, মেহেদী হাসান, শহিদুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, নুরুল আলম বাকু, আহসান হাবিব মামুন, মঞ্জুর আহমেদ, নজরুল ইসলাম, সাব্বির আলিম, হানিফ মন্ডল, মাহমুদ হাসান রনি, অহিমুদ্দিন, তারিখ হাসান, ইয়াসিন আরাফাত মিলন, ইমতিয়াজ আহমেদ রয়েল, ফরহাদ হোসেন সহ সকল সাংবাদিক বৃন্দ ও পএিকা বিতরণ কর্মীগণ।

মিলাদ মাহফিলে দোয়া করেন কেরুজ জামে মসজিদের পেশ ইমাম নেছার উদ্দিন।

-দর্শনা প্রতিনিধি




মেহেরপুরে কিউট প্রথম বিভাগ হ্যান্ডবল লীগে ড্র

মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত কিউট প্রথম বিভাগ ফুটবল লীগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বামনপাড়া বটতলা একাদশ ও বামন পাড়া সবুজ সংঘ একাদশের মধ্যকার খেলাটি ড্র হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে মেহেরপুর স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় রাউন্ডে তৃতীয় খেলায় অংশগ্রহণ করে শিরোপা প্রত্যাশী হ্যান্ডবলের দুই জায়ান্ট বামনপাড়া বটতলা একাদশ ও বামন পাড়া সবুজ সংঘ একাদশ। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলাটি অবশ্য শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছে।

এই খেলায় বিজয়ী দল শিরোপার খুব কাছাকাছি চলে যাবে এমন পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে শেষ পর্যন্ত দুই দল ১২-১২ গোলে করে অমীমাংসিত ভাবে শেষ করে পয়েন্ট ভাগ করে মাঠ ছাড়ে।

খেলায় বটতলা একাদশের পক্ষে শাহিন ৪টি, সাদ্দাম ৩টি, রাসেল ৩টি, শিশির ১টি আশিক ১টি গোল করেন।
অপরদিকে সবুজ সংঘের পক্ষে হানিফ ৪টি, রাজু ৪টি, আজিজুল ২টি ও বাপ্পি ও আরিফুল ১টি করে গোল করেন।

দ্বিতীয় রাউন্ডের দুটি দল দুটি করে খেলায় অংশগ্রহণ করে এতে সবুজ সংঘ দুই খেলা থেকে ৪ পয়েন্ট এবং বটতলা একাদশ সমসংখ্যক খেলায় ১ পয়েন্ট লাভ করল।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




এস এ গেমসে ব্রোঞ্জ পদক জিতলো গাংনীর মেয়ে নিলুফা

মেহেরপুর তথা বাংলাদেশের মুখ উজ্বল করলো গাংনীর মেয়ে নিলুফা।

নেপালে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসে শুটিং ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে নিলুফা। সে গাংনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ঢাকা ইলেকট্রনিকস এর সত্বাধিকারী রুহুল আমিন এর বড় মেয়ে।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরে ১১ মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

মেহেরপুর ডিবি পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১১ মামলার পলাতক আসামী জয়নাল মন্ডল নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

গতকাল শনিবার বিকালের দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে বাড়িবাকা গ্রাম থেকে আটক করে।
আটক জয়নাল মন্ডল মেহেরপুর শালিকা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। আটক জয়নাল মন্ডলের নামে মেহেরপুর সদর থানায় ৬টি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং ৫ জি আর মামলা রয়েছে।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




এসবি’র প্রধান মীর শহিদুল ইসলামের সাথে গণমাধ্যম কর্মী ও সুধী সমাজের মতবিনিময়

আকাশে আবছা আবছা মেঘের আনাগোনায় ৬ ডিসেম্বর সারাদিন বড্ড নিরুত্তাপ ছিল। কিন্তু সন্ধ্যেটা ছিল অন্যরকম। অন্য এক মেধাবি আলোয় আর সফলতার ঝলকানিতে অত্যুজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল আলমডাঙ্গার বন্ধু সংগঠন মোহনার অফিসকক্ষ।

মোহনার অফিসকক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান এসবি’র (স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ) প্রধান বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীর শহিদুল ইসলাম। এলাকার সুধীজন ও আলমডাঙ্গায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মিদের তাঁর সাথে খোলামেলা মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এলাকার কৃতি এ সন্তানের স্বাচ্ছন্দে নিজেকে মেলা ধরা, খোলামেলা কথাবার্তা, দিলখোলা আচরণ সকলকে মুগ্ধতায় আবিষ্ট করে রেখেছিলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধুনালুপ্ত আলমডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, মোহনার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহা সাবু মিয়া, প্রবাসি মিজানুর রহমান মিজু, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, সিনিয়র সহসভাপতি রহমান মুকুল, যুগ্ন সম্পাদক প্রশান্ত বিশ্বাস,

বাড়াদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল হক তবা, সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম রোকন, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রভাষক জামাল হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, রবিউল ইসলাম,আব্দুল খালেক, মিজানুর রহমান মুকিত, ফারুক আলম টুটুল, হেফজুল কাদের, তৌহিদুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আব্দুল কাদের প্রমুখ।

এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা মীর শহিদুল ইসলাম সকলের খোঁজ খবর নেন, বন্ধু ও পরিচিতদের খবরা খবর নেন।

তিনি বলেন, আমি ও শফিকুল দুজনই বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি। আমাদের দিয়ে যদি এলাকার কোন উন্নয়নমূলক কাজ হয়, তবে অবশ্যই সে কাজ করতে চেষ্টা করব। তবে আমাদের দিয়ে করিয়ে নিতে হবে। কারণ আমরা খুবই ব্যস্ত থাকি। তবুও নিজ এলাকার জন্য কিছু করতে পারলে ভাল লাগবে। এছাড়া তিনি ব্যক্তিগত ও এলাকার নানা সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণে নিজের অভিজ্ঞতা ও সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে বর্ণনা দেন।

তারপরও হেমন্তের সন্ধ্যার মত রহস্যাবৃত থেকে গেলেন তিনি। হয়তো অন্য আরেক সন্ধ্যায় নিজেকে সবটুকু মেলে ধরবেন এলাকার মানুষের নিকট।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন জখম

মেহেরপুরে দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে   তিন জন গুুুুরুতর জখম হয়েছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত তিন জনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালেে নিয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে৷

আহতরা হলেন মুজিবনগর উপজেলার  বাওপুর গ্রামের আরজেন এর ছেলে তানভীর, একই গ্রামের মান্নানের ছেলে প্রান্তর এবং কোমরপুর গ্রামের ইমাদুল এর ছেলে মারুফ।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার কলা গ্রামের রাস্তার পাশে দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙাচোরা অবস্থায়় এবং রাস্তার পাশে তিনজন রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে আছে।

এসময় তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।

-নিজস্ব  প্রতিনিধি




মেহেরপুরে বোমা ভেবে দুইদিন ধরে পাহারাই বালি ভর্তি প্লাসটিক পাইপ

মেহেরপুর জন স্বাথ্য প্রকৌশলীর কার্যলয়ে বোমা ভেবে বালি ভর্তি বস্তুটি দুই দিন ধরে পাহারা দেওয়ার পর অবশেষে সেটি ধ্বংস করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে ঢাকা থেকে এন্টি টেরোরিজম ও কাউন্টার টেরোরিজম এর ইউনিট এসে সেটি নিস্ক্রিয় করে। এর আগে বোমা সাদৃশ্য বস্তুটিতে ইলেকট্রিক সার্কিট যুক্ত থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও পরে র‌্যার এর একটি দল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে ফিরে যায়।

দুইদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেরোরিজম এর ইন্সপেক্টর কাউছার আলীর নেতৃত্বে একটি দল প্রায় ৩০মিনিট ধরে বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি ধ্বংস করে।
এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, গত বৃহস্পতিবার জন স্বাথ্য প্রকৌশলী কার্যলয়ে বোমা সাদৃশ্য বস্তুর খবর পেয়ে আমরা পরিদর্শন করি।

সেখানে একটি চিরকুট পাওয়া যায় যেটি আল-কায়েদা নামে লেখা। সেই সাথে ইলেকট্রিক সার্কিট যুক্ত বোমা সাদৃশ্য বস্তু। এ জন্য আমরা কোন ধরনের ঝুকি না নিয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে বোম ডিসপ্রজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়।

আজ শনিবার তারা নেটি নিস্ক্রিয় করে। বোম ড্রিসপ্রজাল ইউনিটের তথ্য মতে এটি কোন বোমা ছিল না। বালি ভর্তি একটি প্লাসটিকের পাইপ ও এলোমেলো কিছু তারের সংযোগ। কে বা কারা আতঙ্ক তৈরির জন্য এটি করেছে। তবে কারা করেছে সেটি আমরা তদন্ত করে খুজে বের করবো।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মেহেরপুর জন স্বাথ্য প্রকৌশলী কার্যালয়ে একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খরব দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ গত দুই দিন ধরে জায়গাটি ঘিরে রেখেছিল।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




গাংনীতে ৮ কেজি গাঁজা সহ দু’জন পাচারকারি আটক

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রাম থেকে ৮ কেজি গাঁজা সহ দু’ মাদক পাচারকারিকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাজিপুর গোলাম বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো গাইবান্ধার গোবিন্দঞ্জ উপজেলার শ্রীতিপুর ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোঃ ওয়ারেস মন্ডলের ছেলে মোঃ নয়ন মন্ডল (২৩) ও একই জেলার কয়া পাড়ার দক্ষিন ঘলিয়া এলাকার মো: শাহ জামালের ছেলে শাহ মুসলিম ওরফে তামিম (২৪)।

গাংনী থানা সুত্রে প্রকাশ, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিরতলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই অজয় কুমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাজিপুর গ্রামের গোলামবাজার এলাকায় দুজন মাদক পাচার কারি গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে এমন সংবাদে তাদের আটক করে।

এ সময় পাচারকারিদের নিকট থাকা ২টি ট্রাভেল ব্যাগে প্রতিটিতে ৪ কেজি করে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, আটককৃতরা ঢাকায় মাদক পাচারের উদ্দেশ্যে অপেক্ষা করছিল। এমন সয়ম আমাদের পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে মেহেরপুর কোর্টে প্রেরণ করা হবে।

-গাংনী প্রতিনিধি




অবশেষে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে বোমাটি

মেহেরপুর জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে পড়ে থাকা সার্কিটযুক্তযুক্ত বোমাটি দুইদিন ধরে পুরিশ ঘিরে রাখার পর আজ শনিবার সকালে নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।

এর আগে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের দু’টি দল মেহেরপুর আসে।

পরিদর্শক মোদাচ্ছের কাউছারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বোমা বিশেষজ্ঞ দল ও পরিদর্শক ইসরাফিল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের অপর একটি তদন্ত দল ঘটনাস্থলে আসে। সকাল ৮টার দিকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক ইসরাফিল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের তদন্ত দল কাজ শুরু করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর পরিদর্শক মোদাচ্ছের কাউছারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বোমা বিশেষজ্ঞ দল বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটান। এসময় বিকট শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

তবে মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এটি বোমা ছিল না। সার্কিটের সঙ্গে ডিভাইস থাকায় নেগেটিভ-পজেটিভ এক হওয়ায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্যই কে কারা এ কাজ করেছে। ডিভাইসযুক্ত সার্কিটের ভেতর বালু ছিল।

তিনি আরও জানান, খুলনা বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন, তিনি পথে আছেন। এ বিষয়ে ১ টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান ফটকের পাশে একটি ব্যাগের মধ্যে ডিভাইসযুক্ত বোমাটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে থানা পুলিশ ওই দিন থেকেই ঘিরে রাখে ঘটনাস্থল। এর মধ্যে র‌্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ দল খুলনা থেকে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে তাদের কাছে এ ধরনের বোমা নিষ্ক্রিয় করার কোনো যন্ত্র না থাকায় তারা ফিরে যান। পরে ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের দু’টি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে আসে। এদিকে বোমার ব্যাগটির পাশেই আনসারুল্লাহ ইসলামী জঙ্গি সংগঠন লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেই চিরকুটের কারণেই এলাকাই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।