দুঃখীর গর্ব – রোমানা খাতুন

গর্ব আমার, স্বর্গ আমার, থ
স্বপ্ন আমার দেশ।
দুঃখে-সুখে, স্বপ্ন বুকে থ
সুখেই আছি বেশ ,
কষ্ট পেয়ে ও সুখের থ
স্বপ্ন দুচোখ জুড়ে ভাসে!
দারিদ্র তোকি আমি ও থ
সুখী তাইতে মন হাসে!
বাংলা মা এই দুঃখীকে, থ
মনের মাঝে রাখে,
দুঃখে-সুখে, বিপদের মুখে থ
সে যে আমার পাশে থাকে।
আসা আমার, ভাসা আমার, থ
মাতা আমার দেশ,
বাংলা মায়ের সন্তান আমি থ
গর্বের তো নেই শেষ!
কষ্ট পেয়েও সুখের হাসি থ
হাসতে শেখায় মাতা!
কষ্টের মাঝে ও মিষ্টি লাগে,
মায়ের স্নেহের কথা।
গর্বে ভরা এই বুকে থ
স্বপ্ন খোঁজে সুখ,
দুঃখে-সুখে, কষ্টে রেখে থ
স্বপ্নে বাদ্ধি বুক!
স্বপ্ন দেখা দুচোখ আজ,
সত্যি পেলো ভাষা থ
মায়ের সুখে, দুঃখীর চোখে থ
ফিরলো স্বপ্নের আসা।
ফিরলো সুখ, ঘুচলো দুঃখ,
ভরলো সবার কষ্টের বুক!
বাঁচতে জানি, ভাসতে জানি, থ
গর্বে সবাই তাই।
দারিদ্রাতা ভুলে মায়ের থ
স্নেহে জ্বরাতে সবাই চাই!
দুঃখীর মুখ ও গর্ব হাসে থ
বলচ্ছি তো সেটাই!




বিজয় দেখেছি – জাহিদ আজিম

আমি থাকিনি সেথায়, যদিও দেখিনি একাত্তরের
সেই পৌষের পড়ন্ত নরম রোদ্দুরের বিকেল,
সেদিন আকাশ-বাতাস জুড়ে, বাংলার পথ প্রান্তরে
বইছিল খুশির প্লাবন, আনন্দ জোয়ার অঢেল।
তবুও এখন আমি রোজ রোজই বিজয় দেখি
সবুজ দিগন্ত ফুঁড়ে উঠা লাল টুকটুকে সূর্যটায়,
লাল-সবুজ পতাকাটা আহা সুখের সমীরণে উড়ে
দেখে পুরো পৃথিবী অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়।
আমি পুলকিত হৃদয়ে, মুগ্ধ নয়নে বিজয় দেখেছি
উড়ন্ত বিহঙ্গদের বর্ণিল ডানায় ডানায়,
হাজারো স্বপ্ন ছড়ায় নীল সীমানাটা জুড়ে
ঐ মুক্ত, বিস্তৃত আকাশের কাণায় কাণায়।
আমি বিজয় দেখেছি আঙ্গিনার আড়ে উড়া
মায়ের ভেজা শাড়ির মায়াবী আঁচলটায়,
রঙিন পালে দেখেছি অনাবিল বিজয় খেলা
ভাটিয়ালি গান গেয়ে মাঝি দূর দেশে চলে যায়।
আমি বিজয় দেখেছি নদীর ধারে বটের তলে
রাখালের মোহনীয় সুর ঝরা বাঁশের বাঁশিতে,
অভিমান ভেঙ্গে ফিরে আসা প্রিয়তমার
চাঁদ মুখের স্নিগ্ধ মিষ্টি হাসিতে।
আমি বিজয় দেখেছি ছোট্ট শিশুর তুলতুলে গালে
শুভ্র নির্মল হাসির সীমাহীন উচ্ছ্বাসে,
দেখেছি মায়ের ভাষাতে বুকে স্বপ্ন বাঁধা তরুণের
দৃপ্ত পায়ে পথ চলায়, দৃঢ় বিশ্বাসে।




হওনি মানুষ আজো – হামীম রায়হান

সেই যে গেলে ইসকুলেতে
মানুষ হবে বলে!
মানুষ আদো হলে? নাকি
সব গিয়েছে জলে?
চোররা করে চুরি রাতে
ঘুমিয়ে সবাই গেলে!
তুমি নাকি দিনের বেলা
চুরির ঔষুধ পেলে?
কলম তোমার আজব মেশিন,
টানলে পড়া টাকা!
পকেট ভারী না হলে কী
ফাইল চলে যায় বাঁকা?
কী অপরূপ চেহারা তোমার!
শয়তান তোমার মিতা,
মানুষরূপী জন্তু তুমি,
সব হয়েছে বৃথা!
চশমা পড়ে, সুটে, বুটে
যত মানুষ সাজো!
মানুষ নামের রূপ ধরেছো!
হওনি মানুষ আজো!




ডুব দেয় অসমাপ্ত চাওয়া – শরীফ সাথী

আমার চাওয়াগুলো যেন অসমাপ্ত থেকে যায়।
সেই কবে চেয়ে দেখছি তোমায়
মুচকি হাসির ফোয়ারা ভেজা ঠোঁট
নীল নয়না চোখ। মসৃণ গালে তিলক ছোঁয়া
পুষ্প ফোঁটা মুখয়বে অনুরাগের অনুভুতি
লম্বা কেশে ঢেউ তোলা বিন্দি
মেহেদী সাজানো হাত
জোছনা রাতে হেলেদুলে হাঁটা
মনে পড়ে খুব।
ক্ষণে ক্ষণে ডুব দেয় মনে আমার অসমাপ্ত চাওয়া।




দুধ ভাতে মাছি – চাঁদনী

ওরে ও সোনামনি
কাল তুমি ভাত খাওনি।
দুধ ভাতে পড়ল মাছি,
তাই আমি রাগ করেছি।
দুধভাতে শক্তি বেশি
খেতে লাগে মিষ্টি।
আজ তুমি খাও দেখি
বড় হবে তাড়াতাড়ি।




দর্শনায় সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর সভার দর্শনা হল্ট ষ্টেশনের সামনে এক সাংবাদিককে মারধর করেছে মাসুম বাহিনীর ক্যাডাররা।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে গত সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নির্বাহী ম্যাজিষ্টের নেতৃত্বে অভিযান চালায় দর্শনা হল্ট ষ্টেশনের সামনে।

এ সময় সাংবাদিক মুন্না ছবি তুলতে গেলে আফু জদ্দারের ছেলে রফিক, রুহুল ফকিরের ছেলে শরিফ রাজিব সুমন বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে সাংবাদিক মুন্না কে।

মুন্না বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে লিথিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আসামীরা শক্তিশালী হওয়ায় ভয়ে দিন কাটাচ্ছে সাংবাদিক মুন্না।

-দর্শনা প্রতিনিধি




ঝিনাইদহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার ফলসী মিলন বাজারে অনুষ্ঠিত হল নবান্ন উৎসব

‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’ বর্নাঢ্য এই স্লোগানে নানা আয়োজনে বাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসব। হেমেন্তের নতুন ফসলের গন্ধে মতোয়ারা সবাই। এর মধ্যে ওঠে পিঠা উৎসব।

এ সময় পিঠার হরেক রকমের রুপ নেই। কৃষকের মুখে ফোটে হাসি। যেন মনে হয় ক্লান্ত চাষী এখন বিশ্রাম নিতে চলেছে। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা, আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহের জন্য গাছীদের গাছ কাটা, যান্ত্রিকতার যুগে হারিয়ে যাওয়া ঢেকিতে মহিলাদের ধান ভানা, কৃষকের আমন ধান ঘরে তোলার নানান আয়োজন আর গ্রামীণ গৃহিনীদের নানান রকম পিঠা পুলির আয়োজনে পালিত হয় এ নবান্ন উৎসব।

হাজারও নারী পুরুষের প্রাণচ্ছল উপস্থিতি উপজেলা প্রশাসনের এ আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
ঝিনাইদহের বিভিন্ন শিল্পীদের অংশ গ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উৎসবটিকে আরো প্রাণোবন্ত করে তোলে। আশে পাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারও মানুষ বাঙালীর প্রাণের এ উৎসবে অংশ গ্রহণ করে। পারফলসী গ্রামের ষাটার্দ্ধ আবু তাহের ও আব্দুস সামাদ বলেন বহু বছর পর এ উৎসব দেখে গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া নানান গ্রামীণ উৎসবের কথা মনে পড়ছে।

উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ নবান্ন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষকের সাথে বাঙালীনায় প্রাণের এ উৎসব উপভোগ করেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ।

এ সময় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিণী শ্যামলী কুমার নাথ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আরিফ-উজ-জামান, জেলা পরিষদ সচিব রেজা-ই-রাফিন সরকার, সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি রওশন আলী, ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিলু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেশমা আক্তার, ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, মুনজুরুল আলম, কৃষি কর্মকর্তা আরশেদ আলী চৌধুরী সহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা।

-হরিণাকুন্ড প্রতিনিধি




চিৎলায় আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সেক্রেটারি কে সংবর্ধনা

গতকাল শুক্রবার বেলা ৩ ঘটিকার সময় চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর সাধুহাটি মোড়ে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানটি চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ্ বাতেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জনাব ইয়াকুব আলী মাস্টার।

উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লাল্টু। উপস্থিত ছিলেন সম্বর্ধনা অতিথি আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব দেলোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জনাব মতিয়ার রহমান (ফারুক)।

আরো উপস্থিত ছিলেন নয়ন সরকার আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম, যুগ্ন-সম্পাদক চিৎলা ইউনিয়ন জমির, মন্টু, দেলোয়ার হোসেন দীপু, শমসের মন্ডল, মোজাম, বেল্টু, শামীমা আক্তার, শামসুদ্দিন মল্লিক, আরজান সদ্দার, মতিয়ার রহমান, সোহেল শাহ প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানে চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি কে ফুলের মালা ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক।

-চিৎলা প্রতিনিধি




গাংনীতে মিথ্যা মামলার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরের গাংনীতে মিথ্যা মামলার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে করমদি গ্রামের মৃত আফেল উদ্দিনের ছেলে মিন্নাত আলী।

গতকাল শুক্রবার বিকালে প্রেস হাউজের নিজস্ব অফিস কক্ষে তিনি সংবাদ সম্মেলনে স্ব-স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

ভুক্তভোগী আব্দুল হান্নানের সহোদর ভাই করমদি গ্রামের মৃত আফেল উদ্দিনের ছেলে মিন্নাত আলী অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে জানান, তার ভাই আব্দুল হান্নানকে গাংনী থানা পুলিশের এস আই মেজবাহুর রহমান গ্রামের কিছু কু-অভিসন্ধি পরায়ন ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিষিদ্ধ মাদক ফেন্সিডিল মামলায় জড়িত করেছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার ভাই এ ধরনের কোন অন্যায় ও অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না। গত ০২/১১/২০১৯ ইং তারিখে আমাদের গ্রামের করমদি সাহাজিপাড়ার আমজাদ হোসেন শাহের ছেলে মিন্টু আলী শাহকে পুলিশ আটক করেন। মিন্টুর উদ্ধৃতি দিয়ে পরে আমার সহোদর ভাই আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলা নং-০৪ তারিখঃ ০২/১২/২০১৯ ইং ধারা- ২০১৮ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ /আইনের ৩৬ (১) সারণীয় ১৪ (গ) /৪১ তে নাম লিপিবন্ধ করেছেন। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার সহোদর ভাইয়ের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার জোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

তিনি সংবাদিকদের আরো জানান, ইতিপূর্বে গাংনী থানার পুলিশ আমার ভাই আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও গাঁজার একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছে যা সম্পুর্ণ মিথ্যা।

ওই মামলায় আমার ভাইকে জড়িত করায় আমার ভাই কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন যাহা বর্তমানে আদালতে চলমান আছে।

-গাংনী প্রতিনিধি




চুয়াডাঙ্গায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত বিতরণ করলেন সাবেক এমপি পুনম নাঈম

চুয়াডাঙ্গায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভানেত্রী ও সাবেক এমপি শিরিন নাঈম পুনম। শুক্রবার সকালে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা চত্বরে শহরের সহ¯্রাধিক অসহায় মানুষের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন তিনি।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলার অসহায় নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে বর্তমান সরকার। বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হচ্ছে। এজন্য আমাদের সকলের উচিৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করা। তিনি আরও বলেন, আমি চুয়াডাঙ্গার মেয়ে হিসাবে সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি ও থাকবো।

শীত বস্ত্র বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার নারী কাউন্সিলর সুলতান আরা রতœা, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদিকা কামরুনাহার কাকলী, সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভানেত্রী লায়লা শিরিন, সাধারণ সম্পাদক নাবিলা রুখসানা ছন্দা প্রমুখ।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি