মেহেরপুরে ফেন্সিডিল সহ মিন্টু আটক

মেহেরপুরে মিন্টু আলী নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ১২০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করেছে ডিবি পুলিশ।

সোমবার সকালে গাংনী উপজেলার করমদী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মিন্টু আলী শাহ করমদী গ্রামের শাহজী পাড়ার আমজাহ শাহর ছেলে।

মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রবিউল ইসলাম জানান,  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামে অভিযান চালিয়ে মিন্টু শাহ নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।

এসনয় তার কাছে থেকে ১২০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




গাংনীতে গাঁজাসহ আটক-৩

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ইকুড়িয়া গ্রাম থেকে ৫০ গ্রাম গাঁজা সহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুত্রে প্রকাশ, একদল মাদক কারবারি মাদক বিক্রয় ও সেবন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে এস আই ফরহাদ আলি ও এ এস আই শাকিল খান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলো, উপজেলার হেমায়েতপুর গ্রামের ঈদগাহ পাড়ার মিনারুল ইসলামের ছেলে মিঠুন, একই গ্রামের মন্ডল পাড়ার আনারুল ইসলামের ছেলে মজনু ও গোপালনগর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে বিদ্যুৎ।

ভার-প্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমানা জানান, আটককৃতদের মাদক মামলায় মেহেরপুর কোর্টে প্রেরণ করা হবে।

-গাংনী প্রতিনিধি




মেহেরপুরের গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকিরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

মেহেরপুরের গণপূর্তের নির্বহী প্রকৌশলী জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে। অজ্ঞাত ক্ষমতার বলে নিজের মত করে অফিস পরিচালনা করেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিটি রেখেছেন অফিসের এক কোণায়।

খেয়াল খুশিমত অফিসে আসা যাওয়া করেন, কারনে-অকারনে সরকারি গাড়ি ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার করা ও ২০১৮-১৯ সালের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের নামে সরকারি টাকা লুটপাট সহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত জাকির হোসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, হাতে গোনা কয়েকটি ঠিকাদারের সঙ্গে আতাত করেই এসকল দূর্নীতিতে মত্ত হয়ে উঠেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেন।

খোজ নিয়ে জানা যায়, জাকির হোসেন ঝিনাইদহে কর্মরত থাকা অবস্থায় একটি অভিযোগের কারনে তাকে ওএসডি করা হয়েছিল। ৬ মাস ওএসডি থাকার পর পুনরায় চাকরি ফিরে পাই জাকির হোসেন। এসময় তাকে ঢাকার হেড অফিসে বদলি করা হয়। পরে মেহেরপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন।

বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, মেহেরপুর গণপূর্ত বিভাগে যোগদানের পর থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এস্টিমেটর) আনোয়ারা খাতুনের সহায়তায় একের পর এক অফিশিয়াল অনিয়ম, দুর্নীতি করেই চলেছেন।

এখানে যে যার মতো করে অফিসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রাপ্ত অভিযোগ অনুযায়ী, মো: জাকির হোসেন ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের কাজগুলো অধিকাংশ না করেই ভুয়া বিল তৈরি করে ঠিকাদারীর হিসাব ছাড়াও আনোয়ারা খাতুনের তৈরি এস্টিমেটের মাধ্যম তিনি প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এস্টিমেটর) আনোয়ারা খাতুন দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর যাবৎ মেহেরপুর গণপূর্ত বিভাগে চাকরিরত আছেন। সেই সুবাদে সবকিছুই তার নখদর্পণে।

এস্টিমেটর আনোয়ারা খাতুন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আজমুল, বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: জামাল উদ্দিন, বিভাগীয় হিসাব রক্ষক মো: হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ৫৫ লক্ষ টাকার কোন কাজ না করেই আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগ পাওয়া যায়।

অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮-০৫-১৭ ইং তারিখে এ অভিযোগের ভিত্তিতে অডিট আসলে ৫৫ লক্ষ টাকা ছাড়াও ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৫০ টাকা আইবি ভাড়া বাবদ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান। অনিয়ম গুলো বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে মিটিয়ে আবারও পূর্বের মতই দূর্নীতিতে লিপ্ত হন বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেনের সঙ্গে ।

এ বিষয়ে আনোয়ারা খাতুনের সাথে যোগাযোগের জন্য গণপূর্ত অফিসে গেলে তার কক্ষে তালা লাগানো দেখতে পাওয়া যায়। তালা লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে একজন বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী অফিসে আসলে উনি আসেন, না আসলে আসেন না। দুর্নীতির সকল বিষয় গুলো ম্যানেজ করেই আরও বেপরোয়া হয়ে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের কাজগুলোর মধ্যে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তিনতলার বিশেষ মেরামত কাজ, ৬০০ বর্গফুট বিশিষ্ট কোয়াটারের বিশেষ মেরামত কাজ, হাসপাতালের অভ্যন্তরে সেনিটারী মেরামত কাজ।

মেহেরপুর জেলা কারাগারের মহিলা কয়েদি ভবনের ভিতর এবং বাইরের মেরামত ও সেনেটারী কাজ, কারাগারের অভ্যস্তরে গড়াই ও ভৈরব ভবনের ফ্যান পরিবর্তন সহ অন্যান্য ভবনের বৈদ্যুতিক মেরামত কাজ।

মেহেরপুর জেলা গণপূর্ত স্টাফ ইয়ার্ডের মধ্যে অবস্থিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী বাসার রান্নাঘরের ও বাউন্ডারির মেরামত, মেহেরপুর জেলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গণপূর্ত নিজস্ব কোয়াটার এ টাইপ ও বি টাইপ বিশিষ্ট কোয়াটারের ছাদে রুফিং কম্পাউন্ড চিলেকোঠার বিশেষ মেরামত কাজ, গেজেটেড ডরমেটরি বাউন্ডারি ওয়াল ও ড্রেনের কাজ, বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গেজেটেড ডরমেটরি ভবনের রং এর কাজ, গেজেটেড ভবনের কোয়াটার ১০০০ বর্গফুট ভবন ২ এর ভিতরে এবং বাইরে সিভিল ও সেনেটারি ফিটিংস ফিক্সিং রং এর কাজ।

এ কাজগুলোর মধ্যে অধিকাংশ কাজই না করে বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। কিছু কাজ ঘষামাজা করে সম্পূর্ণ বিল তুলে নিয়েছেন।

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিভিন্ন ধরণের কাজ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ভুয়া বিল তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও অফিসের প্রিন্টার, আইবির আসবাবপত্র ও স্টেশনারি বিভিন্ন মালামাল সবকিছু নির্বাহী প্রকৌশলী নিজেই ক্রয় করেন।

এগুলো টেন্ডারের মাধ্যমে কেনার কথা থাকলেও নামমাত্র ঠিকাদারের নামে ও এস্টিমেটর আনোয়ারা খাতুনের সহযোগীতায় কোটেশন করে বিল তুলে নিচ্ছেন নিজেই।

গণপূর্ত ভবনের পাশে আম বাগান টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি না করে ফল ভোগ করা, তাগাদা সত্তে¡ও এখনও আইবি ভাড়া বাবদ ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৫০ বকেয়া আদায় না করা এবং রেজিস্টারে যথাযথভাবে তা সংরক্ষণ না করায় সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

ইতোমধ্যে মেহেরপুর কোর্ট এলাকায় একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ মডেল মসজিদটিও রেহায় পাইনি দুর্নীতির কবল থেকে। মসজিদের ভিত্তি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের রড। পরে মসজিদে নিম্নমানের রড ব্যবহারের বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তা সরিয়ে নেওয়া হয়।

মেহেরপুর মুজিবনগর কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক ভবনের ভিতর ও বাহির রং করণের কাজ, ফুল বাগানের গাইড ওয়াল ও গ্রিল রং করণ কাজ, শৌচাগার-পাঠাগার-পাম্প হাউজ মেরামত কাজ, মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর-পশ্চিম কোন সীমানা প্রাচীর নির্মাণ।

এসকল কাজের নামমাত্র কাজ করে মোটা অংকের বিল তুলে নেওয়া হয়েছে। মেরামত দেখিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে বিল ভাউচার দাখিল করেও টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। একই তারিখে নিজস্ব অফিসের স্টেশনারী ক্রয়ের ৩টি ভাউচার দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকার বিল প্রদান দেখানো হয়েছে। এছাড়াও স্বজনপ্রীতি এবং হাতে গোনা কয়েকজন ঠিকাদারদের কাজ দেওয়ার অভিযোগ তো আছেই। সব মিলিয়ে উনি মেতে উঠেছেন দুর্নীতির মহাখেলায়।

কাজ না হওয়া দপ্তরগুলোর প্রধানরা জানান, প্রতিষ্ঠান গুলোতে কোন কাজই করা হয়নি, আবার কিছু প্রতিষ্ঠানে বরাদ্দের তুলনায় সামান্য ঘষামাজা করেই কাজের নামে টাকা উঠিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তারা হতবাক। তারা অবিলম্ব দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীর দূর্নীতির ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে মেহেরপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাকির হোসেন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ উঠেছে সেগুলো মিথ্যা। আমি এরকম কোন দুনীর্তির সাথে জড়িত না। এসময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অফিসের কোনায় কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন , অফিসের ডেকোরেশনের কাজ করার জন্য ছবি দুইটি কোনায় রাখা হয়েছে। এমন অবস্থায় অফিসের ছবি নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন।

-মর্তুজা ফারুক রুপক




সরকারি সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন কাজী ফাহাদুর

মেহেরপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাজী ফাহাদুর রহমান ১ মাসের সরকারি কাজে মালয়েশিয়া যাবেন।

আজ সোমবার রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যাবেন।
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কনস্যুলার সেবা প্রদানের লক্ষে জরুরী ভিত্তিতে ফাহাদুর রহমান সহ বাংলাদেশ থেকে ৮ জন মালয়েশিয়া যাবেন।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




কার্পাসডাঙ্গা বাঘাডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনায় গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট, মামলার প্রস্তুতি

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মিশনপাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট করার ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে বাঘাডাঙ্গা মিশন পাড়ার মৃত মনোরঞ্জন মন্ডলের ছেলে মাইকেলের সাথে একই পাড়ার মিত্তন মন্ডলের স্ত্রীর সাথে জমি জমা সংক্রান্ত একটি বিষয়ে বাতবিতন্ডা বাধে।

এতে করে মাইকেল ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূকে বেধড়ক মারপিট করে জখম করে। গৃহবধূকে মারাত্বক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। মাইকেল বিভিন্ন সময় গোষ্ঠিপালার দোহায় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবার দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

-কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি




মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা সহ ৩ বিভাগে তেল পাম্পে ধর্মঘট: বিপাকে গাড়ি চালকসহ সাধারণ জনগণ

মেহেরপুর সহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা সেই সাথে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সকল ট্যাংকলরী মালিক-শ্রমিক ও জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষনা করেছে।
গতকাল রবিবার সকাল থেকে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর বিভাগের সব জেলাতে তেল উৎপাদন, বিক্রয় ও পরিবহন বন্ধ রেখেছে মালিক-শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক সমিতির উদ্যোগে জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭.৫% করা।

জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান? এ বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা, প্রিমিয়াম পরিষোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ৫ লক্ষ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রদানসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তেল পাম্প গুলো অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেহেরপুরের সব কটি তেল পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
মেহেরপুর পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নুর হোসেন আঙ্গুর জানান, এটি কেন্দ্রের সীদ্ধান্ত। দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত তেল বিক্রয় বন্ধ থাকবে।

এদিকে হটাৎ করেই তেল পাম্পগুলো ধর্মঘট শুরু করাই বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সেই সাথে সকল বাস-ট্রাক গুলো তেল না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই চলাচল বন্ধ রেখেছে।

দর্শনা প্রতিনিধি জানান, গতকাল রবিবার থেকে চুয়াডাঙ্গা সহ সকল তেল পাম্প গুলো সকাল থেকে ধর্মঘট পালন করেছে পাম্প মালিকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে পরিবহনসহ মটর সাইকেল চালকরা।

গতকাল রবিবার থেকে খুলনা তিন বিভাগের ১৫ দফা দাবিতে এ ধর্মঘট পালন করেছে পাম্পগুলো। এ ধর্মঘটের মধ্যে রয়েছে তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি, পেট্রোলপাম্প সংলগ্ন জমির ইজারা বাতিলসহ ১৫ দফা দাবিতে খুলনা বিভাগে সব পাম্পগুলো ভোর ৬ টা থেকে অনিদিষ্ট কালের জন্য শুরু করেছে।

দর্শনা তেল পাম্পে তেল কেনার জন্য যানবাহনের মালিক ও খুচরা ব্যাবসায়ীদের তেল কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যংকলরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ১৫ দফা দাবি জ্বালানি তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ শতাংশ নিধারণ করা, জ্বালানি তেল ব্যাবসায়ীদের কমিশন, উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান নাকি পরিবেশক পরিশোধ করবেন সেটা সুনির্দিষ্ট করা, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংলরির শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত দৃর্ঘটনা বিমা প্রদানের নীতিমালা প্রনয়ন করা, ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি করা সহ ১৫ দফা দাবিতে দর্শনায় ধর্মঘট চলছে।

এতে করে প্রথম দিনই মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেই সাথে খুচরা দোকানে বেশি দামে পেট্রোল বিক্রি করতে দেখা গেছে।

-প্রতিদিন ডেস্ক




দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন এখন দেশের শীর্ষ স্থানের দাবীদার

চুয়াডাঙ্গা জেলাধীন দামুড়হুদা উপজেলার ভারতের সীমান্তবর্তী পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদ এখন দেশের শীর্ষ স্থানের দাবীদার। এ ইউনিয়নটি বিভাগীয় চুয়াডাঙ্গা জেলা পর্যায় ৪বার প্রথম স্থান অধিকার করেছে বলে চেয়ারম্যান এস এ এম জাকারিয়া আলম জানান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ছায়া ঢাকা পাখি ডাকা সবুজ শ্যামল বাংলার দামুড়হুদা উপজেলার সাজানো গোছানো এ ইউনিয়নটি। দামুড়হুদা উপজেলার ১০বর্গ কিলোমিটার আয়াতনের ১৩টি গ্রাম নিয়ে ১৯৯৪ সালে পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমবার খাজা আবুল হাসনাত চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়। এরপর ৩য় বারে আব্দুল হামিদ এবং এস এ এম জাকারিয়া আলম ২য়, ৪র্থ ও ৫ম বারের মত ৩বার নির্বাচিত হয়।
এস এ এম জাকারিয়া আলম তিনবার চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে যা অব্যহত রয়েছে।

দর্শনা শহর থেকে মাথাভাঙ্গা নদীর উপর নির্মিত মীর্জা সুলতান রাজা ব্রীজ পার হলেই চোখে পড়বে উন্নয়নের চিত্র। ১০ বর্গ কিলোমিটার আয়োতনের এ ইউনিয়নে ৬৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার (পিচের) পাঁকা সড়ক ও দিক নির্দেশনা চিহ্ন।

বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী ৫৩জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে প্রতিটি সড়কের নামকরণ করা করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রামে সড়কগুলো আলোকিত করেছে শতাধিক সোলার স্ট্রীট লাইট ও পল্লী বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে।

এছাড়া প্রতিটি গ্রামের অলি গলি সড়কগুলো বি বি ও ফ্লাট সোলিং করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রামের সাথে যেমন সংযোগ সড়ক আছে তেমনী উপজেলা ও জেলা শহরের সাথে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মীর্জা সুলতান রাজার নামে রঙ্গিন ব্রীজটি সেতুবন্ধন সৃষ্টি করেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে রয়েছে ডিজিটাল হাজিরা, শহীদ মিনার, পতাকা স্ট্যান্ড ও ক্লাস রুমে ১০০% ফ্যানের ব্যবস্থা। এছাড়া চেয়ার-টেবিল, আলমারি, ফাইল ক্যাবিনেট, কর্নার র্বোড, ও সিসি ক্যামেরা। ফ্যাসিলিটিজ ডির্পাটমেন্ট নির্মাণ করেছে প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বহুতল বিশিষ্ট ভবন। দুরের গ্রামের ছাত্রীদের মধ্যে বাই-সাইকেল বিতরণ করেছেন ৩বার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান এস এ এম জাকারিয়া আলম।

এছাড়া ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনকারী ৫জন শহীদের নামে হৈবতপুর গ্রামে একটি স্মৃতি সৌধ ও নির্মিত হচ্ছে একটি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর। প্রতি মাসে ইউনিয়নে মাসিক সভা, চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাসহ সকল সভা নিয়োমিত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি ৩ মাসে একবার উন্নয়ন কমিটির সভা-সহ নিয়োমিত স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া নিয়োমিত শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বাল্য বিবাহ যৌতুক এবং ইভটিজিং-সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের হস্তারিত বিশেষ করে কৃষি, স্বাস্থ্য, ইন্টারনেট সুবিধা ও শিক্ষাসহ সকল বিভাগের কর্মরত কর্মচারীদের বরাদ্ধকৃত অফিসে বসে ইউনিয়নের মানুষের সেবা প্রদান ও তদারকি করা হচ্ছে।
নিয়োমিত গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ১৩টি গ্রামের দীর্ঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ বিশেষ ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্ত হওয়ার পর থেকে এক জমির একাধিক মালিক উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ, তালাক, য়ৌতুক ও নারী নির্যার্তনসহ ছোট-খাটো নানা ধরণের বিরোধ সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে নিরশন করা হয়।

গত ১০ বছরে প্রায় অর্ধশতাধিত জমি সংক্রান্ত বিরোধ গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিরশন করেছে। ফলে মামলা বা বিরোধ গ্রাম আদালত ছাড়া অন্য কোন আদালতে যায় না। গ্রাম আদলত পরিচালনায় বিভাগীয় পর্যায় ১ম স্থান অর্জন করেছে। সাজানো গোছানো সুন্দর বাউন্ডারী ওয়াল গেট, মীর্জা সুলতান মুক্ত মঞ্চসহ সম্পূর্ণ কমপ্লেক্্র ভবনটি সকলের দৃষ্টি কাড়ে।

এ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের মসজিদ, মন্দির ও ঈগাঁয়ের উন্নয়ন দৃষ্টি নন্দনভাবে নির্মিত হয়েছে যা প্রশংসার দাবীদার।

এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম সনাক্ত, দুরুত্ব সম্বলিত মাইল ফলক ও তীর চিহ্ন দিক নির্দেশক। গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডাস্টবিন রয়েছে। এছাড়া মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে মীর্জা সুলতান রাজা ব্রীজের পাশে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক ও বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত মঞ্চ নির্মিত হয়েছে। যেখানে নিয়োমিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এ ইউনয়নের কৃষকদের মাঠে মাঠে ডিপটিবয়েল ও কৃষক সেড। বর্তমান ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এস এ এম জাকারিয়া আলম ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান, শ্রীলংকা ফিলিপাইন সফর ও স্থানীয় সরকার বিষয়ে একাধিকবার টেলিভিশনে টক শো-তে ও জাতীয় মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন।

বর্তমান চেয়ারম্যান স্বর্ণপদক-সহ জেলা পর্যায় ৩বার ও একবার বিভাগীয় পর্যায় ১ম স্থান অধিকার করেছে ইউনিয়টি। পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদ বর্তমানে দেশের শ্রেষ্ট ইউনিয়ন হিসাবে এলাকাবাসী দাবী করেছেন।

-দামুড়হুদা প্রতিনিধি

 




চুয়াডাঙ্গার কুলপালাই গরু চুরি

চুয়াডাঙ্গা জেলার কুলপালা গ্রামে গরু চুরির ঘটনায় ঘটেছে। গতকাল রবিবার রাত তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
কুলপালা গ্রামের চাষী জামাল উদ্দিনের তিনটা গরু চুরি করে নিয়ে যাই। বাড়ির পাছির টপকিয়ে গেটের ও গরুর গ্রিলের তালা খুলে এই ঘটনা ঘটেছে।

গরুর মালিক জানান, প্রতিদিনের মতো আমি রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত তিনটার সময় গরু দেখতে গিয়ে গোয়ালে আর গরু দেখতে পাইনি। পরে দেখতে পেলাম গোয়াল ও গেটের তলা ভাঙ্গা। বুঝতে পারলাম আমার গরু তিনটা চুরি হয়ে গেছে।পরে অনেক খুঁজা খুঁজি করার পরও পেলাম না।

আমার একমাত্র সম্বল ছিল গরু গুলো। আনুমানিক গরু গুলার মূল্য ছিল একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা। গরু গুলো হারিয়ে আমি এখন সর্ব শান্ত।

এলাকা বাসি জানান, একই রাতে আরো দুই জায়গায় গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। কুল পালা গ্রামের মঙ্গল গাজীর একটি গরু নিয়ে গিয়েছিল পরে অনেক খুঁজাখুঁজি করারার পর মাঠের ভিতরে পাওয়া যাই।
পার্শ্ববর্তী গ্রাম দরবেশপুর একই ঘটনা ঘটে। সেও খুঁজাখুঁজি পরে পাই। গ্রামের মানুষ এখন চোর আতঙ্কই ভূগছে।

-চিৎলা প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দাফন সম্পন্ন

আলমডাঙ্গা পৌরসভার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাউন্সিলর হাসিবুল ইসলাম পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। (ইন্না লিল্লাহি রাজিউন)৩০ নভেম্বর দুপুরে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে তিনি খাওয়া দাওয়া করেন।

পরে দুপুরের ভাত ঘুমের ভেতর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বিকেল ৪টার দিকে কেউ তার সাথে দেখা করতে এলে ঘুমন্ত হাসিবুল ইসলামকে ডেকে তোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল (৫৫) বছর। আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বন্ডবিল গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম বক্সের জৈষ্ঠ্য পুত্র সুদর্শন হাসিবুল ইসলাম (৫৪) ছিলেন মিষ্টভাবি সদালাপি ও এলাকার জনপ্রিয় ব্যক্তি।
তিনি পৌর বিএনপির সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময় বেশ কিছু সময় ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি মা, ভাই-বোন, স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
গতকাল ১ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ৯টায় জানাযা শেষে গেট বন্ডবিল গোরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়েছে।

মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের নিকট দোয়া কামনা করা হয়েছে।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




গাংনী হাটবাজারের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্তের অভিযোগ হাট মালিকের

গাংনী শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত তহবাজারের হাটটি দীর্ঘদিনের। গাংনী উপজেলার কয়েক শত হাটের মধ্যে সব থেকে বড় ও জনবহল এ হাট।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে এ হাটকে কেন্দ্র করে রাজনীতি করছে আবার কেউ ষড়যন্ত করছে। হাটের বিরুদ্ধে রীতিমত চক্রান্তে নেমেছে বলে অভিযোগ করেছে বর্তমান হাটের ইজারাদার।

বিগত দিনের হাট পরিচালনার আলোকে হাট পরিচালনা করা হচ্ছে। এর বাইরে শুধু কিছু উন্নয়ন করা হয়েছে এ হাটের। কিছু নিয়ম পরিবর্তন করে পাল্টিয়ে দেওয়া হয়েছে হাটের পরিবেশ। আগের মত গন্ধ নেই, ময়লা আবর্জনাও নেই হাটের মধ্যে। ময়লা পরলে লোকজন গুছিয়ে নেয় তাৎক্ষনিক।

পাশপাশি পানি দিয়ে সমস্ত কিছু ভালো করে পরিস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাড় দেওয়া হচ্ছে গরিব অসহায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের খাজনা।

কিন্তু তারপরেও একটি নানা চক্রান্ত করছে এ হাটের বিরুদ্ধে। দেরশত বছর আগের হাটের জমির মালিকানা নিয়ে কেউ দাবি করছে আবার হাটের নির্মাণ করা টিনের সেড এরও দাবি করছে কেউ কেউ। কেউ বলছে আমার জমির পজিশনের সামনে আবার হাট কি এটাতো আমার নিজের জমি।

এমনই প্রতিদিনই নতুন নতুন অভিযোগ করছে।
হাটের নির্মাণাধীন সেডের দাবি শেষ, এবার এলো হাটের জমির মালিকানা, জমির পরে গেল নিজের জমির পজিশনের দাবি, সেই দাবিও যখন শেষ হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে আসলো অতিরিক্ত খাজনায় আদায়ের অভিযোগ।

তাও আবার খাজনার কারণে নাকি বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এসব ষড়যন্তের একটিই উদ্দ্যোশ্যে সেটা হল গাংনী পৌর শহরের একমাত্র ঐতিহ্যবাহী হাটটি যেন অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। আর এরসাথে জমিখেকোদের জমিটি দখল করতে সুবিধা হবে।

অথচ এই হাটের মাধ্যমে পৌরসভার বিপুল পরিমাণ আয় আসে। যা দিয়ে পৌরসভার উন্নয়নসহ নানামুখি নাগরিক সুবিধা প্রদান করা হয়।

গাংনীতে সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে একই রকম খাজনা দিয়ে আসছি। নতুন করে খাজনা বারিয়েছে এমন নয়। তুলনা মূলক খাজনা কম। শীতের শুরুতে সব ধরনের সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায়। এই সবজির দামের সাথে খাজনার কোন সম্পর্ক নেই।

কসাইখানার নেতা হযরত আলী জানান, কসাইখানার পরিবেশ পাল্টিয়ে দিয়েছে নতুন ইজারাদার। এখন আর কসাইখানায় রাতেই বেলায় কুকুর আসে না। গন্ধও নেই কসাইখানায় ফলে আগের তুলনায় এখন বেচাবিক্রি বেরেছে আমাদের। ইজারাদারের কারনে মাংসের দাম বেশি নেওয়া এটা ঠিক নয়। এখন মাংস বিক্রি হয় পৌরসভার নির্ধারিত মূল্যে।

বাজার ইজারাদার হাফিজুর রহমানের বলেন, আমাদের যে ইজারাদার ছিলো তাদের দেখানো পথে আমরা চলছি। আমরা শুধু হাটে বসার পরিবেশটা ভালো করেছি। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী হাটের খাজনা আদায় করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন সরকারী নিয়ম যেভাবে চালু আছে এখনও সেভাবে চালু আছে। গাংনীতে পৌরসভার এ হাটে সবধরনের নিয়ম মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। কারো কোন অভিযোগ থাকলে আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেব।

গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, গাংনী পৌরসভার তহবাজার নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র বিভিন্ন সময়ে হয়ে আসছে। এটাও একটা ষড়যন্ত্র। আমরা সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পেরেছি এটাও করব। কারো অভিযোগ থাকলে আমার নিকট করবে, আমি বিষয় গুলো দেখে পদক্ষেপ নেব। গাংনী উপজেলার সকল হাট যে নিয়মে চলে গাংনী পৌর এলাকার হাট গুলোয় তার ব্যতিক্রম নিয়মে চলবে না।

-নিজস্ব প্রতিনিধি