সাংবাদিক ইউনিয়নের অবস্থান কর্মসূচি আজ

অবৈধভাবে ৮ সাংবাদিক এবং কর্মী ছাঁটাইয়ের সূত্র ধরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সময় দিয়েও শেষ পর্যন্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় না বসায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ডিইউজে নেতারা।

আজ বিকেল ৩টায় এসএটিভির গুলশান কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে এসএটিভিতে কর্মী ছাঁটাই এবং ৮ সংবাদ কর্মীকে শুধুমাত্র কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে চাকরিচ্যুতির কারণে অসন্তোষ দেখা দেয় কর্মীদের মধ্যে।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে নেতারা গত মঙ্গলবার সেখানে আলোচনার জন্য যান। তবে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ বুধবার বিকেল ৩টায় তাদের সাথে আলোচনায় বসার কথা জানান।

এদিকে, এসএটিভির কর্মীরা জানান, গত সেপ্টেম্বরে ৪ মাসের বকেয়া বেতনের দাবি তোলায় সালাহউদ্দীন আহমেদ সহ ৭ সংবাদকর্মীকে তাৎক্ষণিক চাকরিচ্যুতি করেন।

এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সবাই। সে সময় মালিকপক্ষ ডিইউজে এবং এসএটিভির কর্মীদের সাথে বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং কর্মী ছাঁটাই বন্ধে ১৩ দফার ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

কিন্তু ওই চুক্তির তোয়াক্কা না করে বেতন না দেয়া, বিভিন্ন বিভাগে ছাঁটাইসহ নানা অনিয়ম শুরু করায় আবারো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই।

প্রোগ্রাম বিভাগের ১০ জনকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ করায় ৮ সংবাদকর্মীকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে তাদেরকে এসএটিভিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন এবং বহিরাগতদের নিয়ে আসে কর্তৃপক্ষ।

এতে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মালিকপক্ষ এবং হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল আন্দোলনকারীদের অনেককে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়ার ফলে অনেকে নিরাপত্তা চেয়ে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়রিও করেন।

নানা অপকর্ম আর সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করার চক্রান্তের সাথে জড়িত হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সালের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে ১৫০ জনেরও বেশি সাংবাদিক-কর্মচারী গণস্বাক্ষর করায় দিনভর তাদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। হেড অব নিউজ তার কক্ষে ডেকে নিয়ে এই হুমকি দেন।

এদিকে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছে ডিইউজে এবং এসএটিভির কর্মীরা।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




জীবননগরে পরিবার কল্যাণ ও সেবা প্রচার সপ্তাহ পালিত

জীবননগরে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ পালিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্তর থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার আয়োজনে এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু, ডা. রোকনুজ্জামান রুবেল সহ সকল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, স্যাটেলাইট ক্লিনিক ও কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিল।

অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অপিসার ডা. মাহমুদা খাতুন।

-জীবননগর প্রতিনিধি




জীবননগরে কিশোর-কিশোরী ক্লাব উদ্বোধন

জীবননগরে কিশোর কিশোরী ক্লাবের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার সময় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের পীচ মোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ক্লাবের উদ্বোধন করা হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এ ক্লাবের উদ্বোধন করেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা,  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষায়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা প্রমুখ।

জীবননগর প্রতিনিধি




জীবননগরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন

জীবননগরে ৪১ তম  জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা চত্তরে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, উপজেলা শিক্ষা অফিসার দ্বিনেশ চন্দ্রপাল, মোস্তাফিজুর রহমান, সমবায় অফিসার মতেহার হোসেন প্রমুখ।

-জীবননগর প্রতিনিধি




খেজুর গুড় বিক্রয় করে সংসার চলে মকলেচুরের  

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের মৃত সামছুদ্দীন শেখের ছেলে মকলেচুর রহমান  তার নিজ জমিতে ৫০টি খেজুরের গাছ আছে।

প্রতি বছর নভেম্বর মাসে থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে হয়।
প্রতিদিন যে রস সংগ্রহ হয় তা থেকে ৮-১০ কেজি গুড় হয়। প্রতি কেজি গুড়ের বিক্রয় করে থাকেন ১৪০টাকা কেজি দরে।

মকলেচুর রহমান জানান, মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন আমার কাছে থেকে গুড় ক্রয় করিবার জন্য আসে। কারন আমার তৈরী গুড়ে কোন প্রকার ভেজাল নেই।

গতকাল কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তারিক নামের এক ব্যক্তি গুড় ক্রয় করিতে আসেন।  তিনি

‘মেহেরপুর প্রতিদিনকে’ জানান, আমি গত ২ বছর যাবৎ মকলেচুর ভাই এর কাছে থেকে খেজুরের গুড় ক্রয় করে থাকি তার গুড়ে কোন প্রকার ভেজাল নেই।

৮নংধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান বলেন, আমি নিজে প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ কেজি খেজুরের গুড় মকলেচুর কাছে থেকে ক্রয় করে থাকি তার গুড়ে কোন ধরনে ভেজাল পাওয়া যায় না। কারন সে নিজে হাতে গুড় তৈরী করে থাকে।

৮নং ধানখোলা ইউপি ৮নং ওয়ার্ডে মেব্বার জাফর আলী জানান, নিজে খাওয়া জন্য নিয়ে থাকি বিভিন্ন মেহমানদের মকলেচুর হুজুরের কাছে থেকে খেজুর গুড় নিয়ে দিয়ে থাকি তার তৈরী গুড়ে কোন ভেজাল নেই।

গাংনী উপজেলা  কৃষি অফিসার কেএম শাহাবুদ্দীন জানান, খেজুরের গাছ বিলুস্ত প্রায় তাই বর্তমানে নিপা ভাইরাস কারনে লোকজনের রস খাওয়া কোন সুযোগ নেই। তাই খেজুরের গুড় খাওয়া শ্রেয়।

-আল আমিন, গাংনী




৫শ’৩০ বোতল ফেন্সিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চোখতোলা এলাকা থেকে ৫শ’ ৩০ বোতল ফেন্সিডিল সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ী হলো বরগুনার আমতলি উপজেলার পশ্চিম শারিখ খালি গ্রামের আঃ রহিমের ছেলে ইমরান হোসেন (২৪)।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে।মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়কের চোখতলা নামক স্থানে একজন মাদক পাচার করার উদ্দেশ্যে অপেক্ষা করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই হাবিব, এ এস আই রফিকুল ইসলাম ও এ এস আই আহসান হাবিব সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে মাদক মামলায় মেহেরপুর কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হবে৷




মুজিবনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গাঁজা সেবনকারীর তিন মাসের কারাদন্ড

মেহেরপুরের মুজিবনগরে গাঁজা খাওয়ার অপরাধে রাকিবুল ইসলাম(২০)নামের এক গাঁজা সেবনকারীকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।বুধবার দুপুর দুইটার দিকে মুজিবনগর হেলিপ্যাট গেট থেকে তাকে এ সাজা দেওয়া হয়।

সাথে ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহি অফিসার উসমান গনি।

রাকিবুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামের মিন্টুর ছেলে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গণি জানান, রাকিবুল ইসলাম গাঁজা খাওয়ার জন্য মুজিবনগর হেলিপ্যাড রোডে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে ২০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়।

পরে তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এর বিধান মোতাবেক ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, সাথে ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

-মুজিবনগর প্রতিনিধি




গাংনীর প্রধান সড়কের ধারে হাট, সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

মেহেরপুরের গাংনী- কুষ্টিয়ার প্রধান সড়কের ধারে বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিক হাট বসে। এতে করে প্রতিনিয়তই ছোট খাট দূর্ঘটনা সংঘঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। গাংনী থেকে খলিসাকুন্ডি পর্যন্ত ৮টি স্থানে সাপ্তাহিক দুইবার হাট বসে।
এসব হাট গুলোতে বেলা বাড়ার সাথে বিক্রেতা ও ক্রেতার ভিড় বাড়তে থাকে। তাছাড়া দ্রব্যমুল্য বহন করার জন্য অবৈধ যান আলমসাধু নসিমন সহ অটোভ্যান সে স্থানে জমা হতে থাকে। এসব যানবাহন গুলো অনেক সময় ধরে অবস্থান করার কারণে প্রধান সড়ক অবোরধের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়।
এদিকে হাটে সবজি বিক্রেতারাও একেবারে প্রধান সড়কের কোল ঘেঁষে তাদের পসরা সাজিয়ে বসে। সেখানে বিক্রেতাদের রিতিমত পাকা সড়কের উপর দাড়িয়ে তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করতে বাধ্য হতে হয়। তাতে প্রধান সড়কে রিতিমত বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়। এ কারণে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে সময় ক্ষেপন হয়। অনেক সময় দেখা যায় যাত্রীরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে। এতে যাত্রিদের সাথে বাস ষ্টাফদের বাকবিতন্ডাও হতে দেখা গেছে অনেক সময়।
গাংনী-কুষ্টিয়া সড়কে গাড়াডোব, বাঁশবাড়িয়া, গাংনী, চেংগাড়া,জোড়পুকুরিয়া,তেরাইল,ছাতিয়ান ও বাওটের সাপ্তাহিক দুটি করে হাট একেবারে পাকা রাস্তার উপরেই বসে থাকে। সপ্তাহের সাত দিনই এই সড়কটি হাট বসার কারণে সড়কে বিশৃংখলা যেমন বাড়ে তেমন সড়ক দূর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।
সড়কের ধারে হাট যতগুলো রয়েছে তার একটিও ঝুঁকিমুক্ত নয়। হাট বসার কারণে সড়কে পথাচারিদের পাশাপাশি অন্যান্য হালকা যানবাহনের চলাচলে ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া এই সড়কের উপর দিয়ে অবৈধযান আলগামন নসিমন করিমনেরও দৌরাত্ম ব্যাপক। এসব যানের কোন ফিটনেসতো নাই এর উপর সড়কের উপর হাট বসার কারনে সড়কে লোকজনের ব্যাপক উপস্থিতিতে এ সময় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
সচেতন মহল মনে করেন সড়কের শৃংখলা ফেরানো খুবই জরুরী আর এটা করতে হলে হাট মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে সাথে সাথে প্রশাসনকেউ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন সড়কের বিশৃংখলা কতটুকু তা জেনে ব্যবসায়ী পথাচারি সহ সকলে যাতে সুবিধাজনক ভাবে তাদের কাজ করতে পারে সে বিষয়টি দেখে বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

-গাংনী প্রতিনিধি




আজ ৪ ডিসেম্বর দর্শনা শত্রু মুক্ত দিবস

আজ ৪ ডিসেম্বর দামুড়হুদা জেলার দর্শনা শত্রু মুক্ত দিবস। জীবন বাজি রেখে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে বাংলার ছেলেরা পাক-বাহিনীর সাথে তুমুল লড়াই করে দর্শনাকে মুক্ত করে।

মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল হোসেন জানান, সেদিন ৩ ডিসেম্বর সন্ধা সাড়ে ৬টা চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী বারাদি মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে খবর আসে দর্শনার উত্তর-পশ্চিম পাশে পাক-হানাদার বাহিনী বাংকার করে অবস্থান নিয়ে আছে।

এ খবর পেয়ে ভারতীয় প্রায় ৬/৭ শত মিত্র-বাহিনী ও ৩০জন মুক্তিযোদ্ধা রাতের খাবার শেষ করে পায়ে হেঁটে মদনা, প্রতাপপুর ও জিরাট পার হয়ে রওনা হয় যুদ্ধক্ষেত্রে।

মিত্র-বাহিনীর নেত্রীত্বে ছিলেন মিষ্টার বুফে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নেত্রীত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধা মৃত নুর হাকিম। দীর্ঘ প্রায় ৭/৮ কিলো মিটার পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলার গোবিন্দপুর ও রুদ্রনগরের মাঝামাঝি স্থানে রাবারের নৌকায় চেপে ৮জন করে যোদ্ধা মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে রাত ২টার দিকে লোকনাথপুর ও পরানপুর মাঝামাঝি ধাঁপাড়ী ও তালবাগান মাঠে ট্রেন্স (এপিপি) কেটে অবস্থান নেয়। এরপর রাত ৪টা দিকে পাক-হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে বৃষ্টির মত মটার গান, সেল, এস এমজির রটেক ল্যান্সার ও রাইফেলের গুলি বর্ষন শুরু করে।

এসময় মুক্তিযোদ্ধা টীম ও মিত্র-বাহিনী পাল্টা গুলি বর্ষন শুরু করে।

এসময় ৩ঘন্টা ব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল গুলাগুলি হয়। এক পর্যায় মক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সৈন্যরা পাক-হানাদার বাহিনীর এ্যাম্বুসে পড়ে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে একের পর এক গুলি, মটারগান, রকেট ল্যান্সার, এল এম জি, এস এলার, এস এম জি, এইচ এস জি, মার্কফোর রাইফেল ও সেল নিক্ষেপ চলতে থাকে।

এসময় ভারতীয় ৩টি যুদ্ধ বিমান কয়েকবার আকাশে চক্কর দিতে শুরু করলে পাক-হানাদার বাহিনী পিছু হঁটতে শুরু করে। সূর্য্যরে আলো ফোঁটার আগেই দর্শনা মুক্ত হয়ে যায়।
এরপর ৪ ডিসেম্বর সাকাল ৭টায় জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে দর্শনাকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত করে ফেলে।

এরপর দর্শনা কেরু চিনিকলের জেনারেল অফিসের সামনে মিত্র-বাহিনীর প্রধান মিষ্টার বুফে ও মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ প্রধান মৃত নুর হাকিমের নেত্রীত্বে লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে উল্লাস করে এবং জয় বাংলা শ্লোগানে শ্লোগানে মুখোরিত করে নিজ মাতৃভূমির একাংশ নিজেদের দখলে নেয় মুক্তি-বাহিনী।
সেই থেকে ৪ ডিসেম্বর দর্শনা মুক্ত দিবস হিসাবে দর্শনাবাসঅ পালন করে আসছে।

এ যুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনী ও মিত্র-বাহিনীর অসংখ্য সৈন্য মারা যায় বলে বিল্লাল হোসেন জানান।

-আহসান হাবিব মামুন, দর্শনা




আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান

আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন-এর পক্ষ থেকে ক্রিকেট সেট বল ও ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ১নং ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য জনাব আসাবুল হক ঠান্ডু, ভাংবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুল মালেক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব সাজিবুর রহমান, হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি ও

মেহেরপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি জনাব জিনারুল ইসলাম বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা খোসদেল আলম, আব্দুস সাত্তার, প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ সহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ ও ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ।

প্রতিষ্ঠানের সকলে এমপি মহোদয়ের প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা সহ দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি