উত্তর-বাংলার পথে একজন- বাবুল চৌধুরী

নিঃসঙ্গ বট ছায়া বিছিয়েছে, সেকালের কাব্য শোনাবে
আমিও তার মতো আত্মীয়হীন, বিজনে উত্তরের পথে
অচেনা গাড়িয়াল, একটি গরুর গাড়িও চোখে পড়ে না,
তৃষ্ণাকাতর চোখ দেখে অজস্র গরুর পাল টানে গাড়ি –

সারিসারি উত্তর-বাংলার পথে, মাটি ও পথ জেগে ওঠে
লোকায়ত সুরে, অচেনা গাড়িয়াল ক্রমশ দূরে হারায় –
ধূলিময় আবেদনে লোকায়ত সুর পেছনে রেখে যায়।
পথের মোচড় নেই মাটির গন্ধ নেই, গরুর কাহন নেই।

মহাকাব্যের বৃথা চাষ করে যায় এ অন্তর বিরানভূমিতে
কালের ধুলায় হেঁটে গেছে পদাতিক, রেখেছে পদচিহ্ন –
নদীও স্রোতের সকল আলাপচারিতা স্বপ্নে রেখে গেছে।
এ মন আষাঢ় শ্রাবণ, এ মন শ্রাবণে প্লাবন হলে মাছের
খলবল ধ্বনির জন্য কান পেতে থাকে একা মধ্যরাতে।
বহুতল ভবনের সিঁড়িকোঠা বলে অতিকায় দস্যুর কথা
প্রান্তর গুটিয়ে গেছে বনেদী কার্পেটে, ভূমি তুচ্ছ, সবাই
হাঁটে ফসলের কথা ভুলে, আবাদের কোন কথা নাই -।

দুপুরে সুকান্তের দুই লাইন পড়ে বিদ্রোহী হয়েছিল মন
অন্ধকারে সুকান্ত শূন্যগর্ভ হয়ে যায়, তা তাপিত স্খলন।

বটের ছায়াতলে কী ভুলে একতারা ফেলে গেছে বাউল
কুয়াশাবিহীন আশ্বিন আসে শূন্য পাত্র হাতে – বৈরাগ্য
সোনাঝরা রোদ ঢালে না, প্রিয় পড়শির পাতে ওঠে না
চিক্কন সোনামুগ ডাল আর ঝাঁকের কইয়ের উষ্ণ ঝোল।

পথের মোচড় নেই, মাটির গন্ধ নেই, নেই অন্য কাহন ।
তবু উত্তর-বাংলার পথে শুধু সন্তাপ রেখে যায় একজন।




ইলিয়ানা বিলিয়ানা – কবির কাঞ্চন

ইলিয়ানা বিলিয়ানা
হাসো আজি ষোলোআনা
পারো যদি গলা ছেড়ে
গেয়ে যাও গান,
ইলিয়ানা বিলিয়ানা
কালোমুখ আজ মানা
পারো যদি নেচে তুলো
খুশির তুফান।

ইলিয়ানা বিলিয়ানা
ছুটাছুটি নেই মানা
পারো যদি ছুটে যাও
দূর সীমানায়,
ইলিয়ানা বিলিয়ানা
ভার কেন মুখখানা
পারো যদি হারিয়ে যাও
ঐ নীলিমায়।

ইলিয়ানা বিলিয়ানা
অলিগলি সব জানা
পারো যদি বের হও
সুর চিনিতে,
ইলিয়ানা বিলিয়ানা
সবুজবাগে মেলে ডানা
ফুল পাখির কাছে যাও
সুখ কিনিতে।




মন দিয়ে ভালোবাসি- সোহেল রানা

মন দিয়ে ভালোবাসি সবুজের মাঠ
ধান ক্ষেত নদীনালা মেঠো পথঘাট
টুনটুনি দোয়েল ও কোকিলের সুর
সর্ষের ক্ষেত সাথে সোনালী দুপুর।

মন দিয়ে ভালোবাসি কৃষকের গান
আম জাম কাঁঠাল ও বরজের পান
খাল-বিল নদীনালা পুকুরের মাছ
সারি সারি সাজানো সুপারিরও গাছ।

মন দিয়ে ভালোবাসি খেঁজুরের রস
গ্রীষ্মের ফল যেটা করে টসটস
মন যেটা ভালোবাসে শহরে না পাই
তাই মন পড়ে থাকে গ্রাম বাংলায়।




ফড়িং হতাম যদি- শরীফ সাথী

হীম বাতাসের দোল খাওয়ানো
সবুজ ঐ বন জুড়ে
আমি যদি ফড়িং হতাম
পাখা মেলে উড়ে
বঙ্গ ভূমির প্রাণের মেলায়
কাছে কিংবা দূরে
সারাটি দিন হৈ হুল্লোড়
কত মজা ট্যুরে
সবুজ শোভায় দিতাম ছোঁয়া
এদিক ওদিক ঘুরে
ফুল ফসলে নাচা হতো
গেয়ে মধুর সুরে।




চুয়াডাঙ্গায় ‘আল্লার দলের’ ৩ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার জাফরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘আল্লার দলের’ তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব।

গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি ধর্মীয় লিফলেটসহ বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কুলচারা গ্রামের রুহুল আমিন (৪০), গোপীনাথপুর গ্রামের কলম মন্ডল (৩৯) ও ঝিনাইদহ জেলার ভুটিয়ারগাতি গ্রামের নুর ইসলাম (৩৮)।

র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্প সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘আল্লার দলের’ সদস্যরা গোপন বৈঠক করছিলো।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সেখানে অভিযান চালায়।
এসময় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ধরা পড়ে তিনজন। আটককৃতদের চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




মেহেরপুরে বিএনপি, চুয়াডাঙ্গায় আ.লীগের সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ

মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ১৫ টির মধ্যে ৯ টি পদে বিএনপি প্যানেল এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ১৫ টির মধ্যে ৯ টি পদে আওয়ামী প্যানেল বিজয়ী হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে অ্যাড. মারুফ আহম্দে বিজন ৫৭ টি ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব এসএম ইব্রাহীম শাহিন পেয়েছেন ৪৮ টি ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি প্যানেল আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম ৬৫ টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব কাজি শহিদুল হক পেয়েছেন ৪০ ভোট। এছাড়াও আরও ৯জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়ছেন বিএনপি প্যানেল থেকে।

অপরদিকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ৬ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে।

এছাড়াও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি অ্যাড. আদিল করিম (৫১ ভোট), রফিকুল ইসলাম (৫৩ ভোট), যুগ্ম সম্পাদক পদে রফিকুল ইসলাম-২ (৫৬ ভোট), বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নাজমুল হুদা (৫৪ ভোট), কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন (৫৫ ভোট), গ্রন্থাগার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শাহরিয়ার মাহমুদ শাওন (৫৬ ভোট), সদস্য পদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের রোকেয়া খাতুন (৫৭ ভোট), রুত শোভা মন্ডল (৫২ ভোট), সেলিম রেজা গাজী (৫২ ভোট), সুজন হাসান (৬৪ ভোট)।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য পদে রহমতুল্লাহ (৫১ ভোট), সাইফুল ইসলাম সাহেব (৪৯ ভোট), শফিউল আযম খান বকুল (৫৩ ভোট) বিজয়ী হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নিজস্ব ভবনে ভোট গ্রহণ চলে। ভোট গ্রহন শেষে নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. বিমল বাবু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এই দুটি প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নেয়। ১২৪ জন ভোটারের মধ্যে ১০৮ জন আইনজীবী তাদের ভোট প্রয়োগ করেন।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান,
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা জয়লাভ করেছেন। ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৯টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও একটি সহ সভাপতি ও দুটি যুগ্ন সম্পাদক পদসহ ৬টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। আজ গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

নির্বাচন পরিচালনা উপ-পরিষদের আহŸায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুর রশিদ চৌধুরী জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৭৪ জন ভোটারের মধ্যে ১৭০ জন ভোটার তাদের ভোটধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ১০টি ভোট বাতিল বলে গণ্য হয়। ভোট গননা শেষে রাত আটটায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনে সভাপতি পদে মোল্লা আব্দুর রশিদ, সহ-সভাপতি পদে মো: আব্দুল খালেক ও মামুন আকতার, সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল বাশার, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মাসুদ পারভেজ রাসেল ও হুমায়ুন কবীর এবং সদস্য পদে মফিজুর রহমান মফিজ, হাসিবুল ইসলাম ইব্রাহিম, আসাদুজউজামান মিল্টন, শরিফুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, আবু তালেব, মাসুদুর রহমান রানা, নাসির উদ্দিন ও শাহিন আকতার নির্বাচিত হয়েছেন।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গা উপজেলা হার্ডওয়ার সমিতির সভাপতি হলেন লিপু মোল্লা

আলমডাঙ্গা উপজেলা হার্ডওয়ার সমিতির সভাপতি হলেন জেলার শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিএলএ মোল্লা হার্ডওয়ার এন্ড মেশিনারিজের অন্যতম স্বত্বাধিকারী লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা।

গতকাল সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির ভবনের মিলায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা হার্ডওয়ার সমিতির সাবেক সভাপতি মরহুম আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপুর পরিবর্বতে নতুন সভাপতি হিসেবে তার সহোদর লিপু মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট হার্ডওয়ার ব্যবসায়ি রবীন্দ্রনাথ মালাকার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বণিক সমতির সভাপতি ও উপজেলা হার্ডওয়ার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, হার্ডওয়ার ব্যবসায়ি তাঁরা চাঁদ মিয়া, নুরুল ইসলাম, নাদের আলী মিয়া, আবু তাহের, মোতালেব হোসেন, লিপন বিশ্বাস, ইলিয়াস হোসেন সিদ্দিকী, শাহিন খান, আমিনুল ইসলাম অপু মোল্লা, জাহাঙ্গীর হোসেন টিংকু মোল্লা, মাহফুজুর রহমান লিমন মোল্লা, সফদার আলী প্রমুখ।

সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে সভাপতি পদে মরহুম টিপু মোল্লার সহোদর আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লাকে আলমডাঙ্গা হার্ডওয়ার সমিতির সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। একই আয়োজনে হার্ডওয়ার সমিতির সাবেক সভাপতি জেলার অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ি আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপুর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গার প্রধান জিকে ক্যানেল দখল উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

আলমডাঙ্গার প্রধান জিকে ক্যানেল (কুমার নদ) দখলমুক্তের অভিযান বন্ধের দাবিতে আলমডাঙ্গায় জিকে ক্যানেল দখল করে বসবাসকারিরা জোটবদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করেছে।

গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় তারা ক্যানেলের পাড়ে অবস্থিত শনি মন্দিরের সামনে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আশরাফুল হক পিন্টুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী প্রশান্ত অধিকারী, বাবুল হোসেন, মনির উদ্দীন, কামাল হোসেন, ফারুক হোসেন, দেলোয়ার হোসেন দিলু, মণি ঠাকুর, বিষ্ট, স্বপন, আমেনা খাতুন, মুক্তিযোদ্ধা শুকুরণ নেছা, আনজিরা, মজিবুল হক, রিজিয়া খাতুন, ময়না খাতুন, তারা খাতুন, নাজমা খাতুন, আলেয়া খাতুন, সালেহা খাতুন, হামিদা খাতুন, চাঁদ আলী, মহির উদ্দীন, সবদুল, লাল্টু, মোকাদ্দেস আলী, আব্দুর রাজ্জাক, রাহেন আলী, আব্দুল জব্বার, আব্দুল মান্নান, লাল্টু।

বহু পূর্ব থেকেই আলমডাঙ্গার জিকে প্রধান ক্যানেলের (কুমার নদ) দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার কথা চাওর হয়েছে। স¤প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অবৈধ দখলদারদের ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা ছেড়ে দিতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

এমনকি অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনাগুলি লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিক্ষোভ কারিদের দাবি তারা অধিকাংশ অত্যন্ত দরিদ্র। দীর্ঘ বছর ধরে ক্যানেলের পাড়ে বসবাস করছেন। বেশিরভাগ মানুষের দাবি যে তারা ওয়াবদা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে বিধিবদ্ধভাবে লীজ নিয়েই বসবাস করছেন। কেউ কেউ দাবি করেন, গত ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের লিজ নবায়ন করা আছে।

ক্যানেলপাড়ে বসবাস করেন না এমন অনেকে এদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেন, ক্যানেল বা কুমার নদের ইনসাইডের দখলদারিত্ব সমর্থন করা যায় না। কিন্তু আউট সাইডে অনেক হতদরিদ্র মানুষ বসবাস করেন, তাদের কথাও প্রশাসনের ভেবে দেখতে হবে। এতগুলি ছিন্নমূল পরিবার উচ্ছেদ হয়ে কোথায় দাঁড়াবে? এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




কেরুজ চিনিকলকে মডেল হিসেবে তুলে ধরা হবে

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচনাকালে আলী আজগার টগর এমপি বলেছেন, চিনি শিল্পের মেরুদন্ড ভেঙে পরছিলো। চরম বিপর্যয়ের মুখে ছিলো দেশের চিনি শিল্প। এ বিপর্যয় থেকে চিনি শিল্পকে বাচাতে সরকার গ্রহণ করেছে নানামুখি পদক্ষেপ।

রুগ্ন শিল্পকে রক্ষায় শ্রমিক-কর্মচারি ও আখচাষিদের সুবিধার্থে যে সাশ্রয় নিতি গ্রহন করা হয়েছে তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ মিলের লোকসানের বোঝা কমাতে শ্রমিক-কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের আরো দক্ষ, কর্মঠ্য, দূরদর্শিতা, নিষ্টা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

আখচাষিরাই মিলের প্রাণ। গতকাল শুক্রবার বিকালে আখমাড়ায় উদ্বোধন কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
এমপি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে কেরুজ চিনিকলকে মডেল হিসেবে তুলে ধরা হবে গোটা দেশে। কেরুজ চিনিকলকে আধুনিকায়ন করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচিহাতে নিয়েছে। চাষিদের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যেই কয়েক দফায় আখের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আখচাষিদের ভোগান্তি লাঘবে আধুনিক পদ্ধতিতে মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে যেমন পুজি দেয়া হচ্ছে, তেমনি ঘরে বসেই আখের মূল্য পাচ্ছে কৃষকরা। যুগযুগ ধরে চাষিকূল আমাদের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে সমৃদ্ধ করেছে। কৃষি বান্ধব এ সরকার কৃষকের সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হাতে নিয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি।

গত বছর লোকসান গুনলেও এবার লাভের আশা নিয়ে আখ মাড়াইয়ের যাত্রা শুরু করলো চিনিকল কর্তৃপক্ষ।
কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদ আলী আনছারীর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সকার কর্পোরেশনের চিফ ইঞ্জিনিয়ার এনায়েত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়াদ্দার টোটন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহাবুব রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা

আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু , কেরুজ চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মোশারফ হোসেন, জি এম প্রশাসন দিলিপ কুমার , ডিজিএম (ফার্ম) হুমায়ূন কবির, ডিজিএম (বীজ এগ্রো) উত্তম কুমার কুন্ড, ডিজিএম (স¤প্রসারণ) হাজী আনোয়ার হোসেন, ডিষ্টিলারি (বিক্রয়) শেখ সাহাবুদ্দিন, শাহদত হোসেন, আব্দুল ফাত্তাহ, বদরুল আলম, রাজিবুল হাসান , সহসভাপতি ফারুক আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্নসম্পাদক খবির উদ্দিন, সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, শ্রমিক নেতা ফিরোজ আহমেদ সবুজ, মোস্তাফিজুর রহমান, প্রমুখ।

গিয়াস উদ্দিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন, কেরুজ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাজি আব্দুল খালেক।

পরে ২০১৮-১৯ আখ মাড়াই মৌসুমে সর্বোচ্চ আখ চাষের স্মারক তুলে দেন দর্শনা পৌর এলাকার কেরুজ ২ নং ইউনিটের আখ চাষী কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলী, কেরুজ মিলগেট (পশ্চিম) এর পরানপুর গ্রামের আখচাষী ইনতাজুল ও মিলগেট পূর্ব আখচাষী আওয়াল হোসেনের হাতে। এ মৌসুমে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশেনের বেধে দেয়া নির্ধারিত লক্ষমাত্রার মধ্যে রয়েছে।

চিনিকল সুত্রে জানা গেছে এ মৌসুমে ৭.৬% শতাংশ চিনি আহরনের গড়হার ধরে ৯০ কার্যদিবসে, ১ লাখ ৭ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৭ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বছর চিনি কলের নিজস্ব জমিতে ১ হাজার ৬৪০ একর সহ মোট ৭ হাজার ৩৭৫ একর জমিতে দÐায়মান আখ রয়েছে।

তবে ধারণা করা হচ্ছে আখ মাড়াইয়ের ক্ষেত্রে লক্ষমাত্রা অর্জন হতেও পারে। চলতি মৌসুমে ৮০ বছরের পুরোনো মিলটি বড় ধরণের যান্ত্রিক ত্রæটির কবলে না পরলে লোকসান থাকবে না বলে আশাবাদি কতৃপক্ষ।
চিনিকলের ক্যান কেরিয়ার চত্তরে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের পরপরই ডোঙায় আখ নিক্ষেপের মধ্যদিয়ে মাড়াই যাত্রার উদ্বোধন করলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর (এমপি) সহ মিল কতৃপক্ষ।

-দর্শনা প্রতিনিধি




আলমডাঙ্গায় এমপি ছেলুন ফুটবলে ফাইনালে ফ্রেন্ডস ক্লাব

আলমডাঙ্গায় এমপি ছেলুন ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনাল উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে বিকাল সাড়ে ৩টায় এমপি ছেলুন ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে আলমডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহি ফ্রেন্ডস ক্লাব ৫-০ গোলে আনন্দধাম ফুটবল একাদশ হারিয়ে বিজয় লাভ করে।

খেলার শুরুতে দর্শকদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখেন টুর্নামেন্ট কমিটির আহবায়ক আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার এসআই জিয়াউর রহমান, জেলা ফুটবল ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান সন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আহাসানউল্লাহ, বনিক সমিতির সম্পাদক আলহাজ¦ মীর শফিকুল ইসলাম, আল ইকরা ক্যাডেট একাডেমির প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার,

ছাত্রলীগ নেতা হাসানুজ্জামান, উৎপল, ইছানুর, সাকিব, রকি, সজিব, বিসিবির লজিষ্টিক বিভাগের আব্দুর রাজ্জাক রাজু, আলমডাঙ্গার সাবেক কৃতি ফুটবলার প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আব্দুর জব্বার, হাসান রেজা মুন্না, মীর আনাদুজ্জামান উজ্জল, তৌহিদুর রহমান, মনির হোসেন, মোল্লা ফারুক ইলাহী প্রভাষক মিজানুর রহমান মিজা খেলোয়াড়বৃন্দ।

খেলায় ফ্রেন্ডস ক্লাব নিরংকুশ প্রাধান্য বিস্তার করে ৫-০ গোলের ব্যবধানে আনন্দধাম ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পৌছে যায়। বিজয়ী দলের পক্ষে গোলগুলো করে যথাক্রমে আশা, তরিকুল, সাব্বির, আশরাফুল, সলক।

খেলাটি পরিচালনা করেন আবু হাসান, তবিবুর, ফিরোজ ও মহাসিন কামাল। খেলায় মন্ডল স্পোর্টসের সৌজন্যে ম্যান অফদি ম্যাচের পুরস্কার প্রদান করেন অনুর্ধ জাতীয় ১৬ দলের খেলোয়ার সবুজকে।

আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় একই মাঠে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে হারদী ও বাবুপাড়া ফুটবল একাদশ।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি