বারাদি পুলিশ ক্যাম্পের নাকের ডগায় দুর্ধর্ষ চুরি

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদিতে পুলিশ ক্যাম্পের সামনে সান্তনা গার্মেন্টস সহ ৫টি দোকানের টিন কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বারাদি বাজার কমিটির নিয়োগকৃত ৫জন নৈশ প্রহরী দায়িত্ব পালন করেন।

এর পরেও এ ধরণের চুরির ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠেছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় এ চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সান্তনা গার্মেন্টস, রইসউদ্দিন এর হোটেল, সমরের অটো দোকান, মেম্বার এর চেম্বার, ও একটি সেলুনের দোকানের টিন কাটলেও শুধুমাত্র সান্তনা গার্মেন্টস এ চুরির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সান্তনা গার্মেন্টসের মালিক জানাই, ডয়ারে থাকা এক হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল দিয়ে মোট ১ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।

বারাদি পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আব্বাস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ক্যাম্পের সামনে ঘটলেও পুলিশ সদস্যরা অন্যান্য জায়গাই টহল রত থাকাতে চুরি প্রতিরোধ করা যায়নি। তরে চোর সনাক্ত সহ তাদের গ্রেফতারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

-বারাদি প্রতিনিধি




গাংনীর হাড়াভাঙ্গায় বাড়ির সিমানা বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-২

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে বাড়ির সিমানায় বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলো মৃত ইসমাইল হোসেন এর ছেলে বজলুর রহমান বজু (৪০) ও মৃত অফেজ উদ্দিনের ছেলে আনারুল ইসলাম (৫৫)।
গত বুধবার রাত আটটার দিকে হাড়াভাঙ্গা সেন্টার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের পরিবারের লোকজন জানায়, ঘটনার দিন সকালে পাটকাঠি দিয়ে বাড়ির সিমানা দিতে গেলে বেড়ার কিছু অংশ প্রতিবেশি মৃত হারুন উর রশীদের ছেলে নাসির উদ্দিনের জমির দিকে চলে যায়। বেড়া দেওয়ার সময় নাসির উদ্দিনের বাড়ির কেউ কিছু না বললেও রাতে নাসির উদ্দিন ও আনারুলের সাথে বাকবির্তকতা হলে নাসির উদ্দিন এক পর্যায়ে আনারুলের মাথায় টর্চ লাইট দিয়ে বাড়ি মারে এবং বাড়ির ছাদে চলে যায়।

এ সময় বজলুর রহমান বজু উপস্থিত হলে নাসির উদ্দিন ছাদ থেকে বজলুর রহমান বজুর মাথায় ইট নিক্ষেপ করে। এতে বজলুর রহমান বজুর মাথায় ও নাকে আঘাত হয় বলে জানান আহতরা।

পরে পরিবারের লোকজন আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে রাখে।
আহতরা গাংনী থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

নিজেস্ব প্রতিনিধি




বামন্দি কৃষি ব্যাংকে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা চুরি

মেহেরপুরের গাংনীর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বামন্দি শাখাতে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা মালিক তোলার আগেই অন্য কেউ চুরি করে তুলে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে।

উপজেলার মহাম্মদপুর গ্রামের ভুক্তভোগী রেবেকা খাতুন জানান, তার প্রবাসী স্বামী রবিউল ইসলাম মালয়েশিয়া থেকে টাকা পাঠিয়ে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক জানান তার স্বামীর পাঠানো টাকা ১১/১১/২০১৯ ইং তারিখে ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে। রেবেকা খাতুন টাকা কোন ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে জানতে চাইলে ম্যানেজার জানান বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বামন্দি শাখা থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

পরে তিনি কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমানের নিকট ঘটনা খুলে বলেন। তখন শাখা ব্যবস্থাপক বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করেন। পরে নিচতলাতে মিতালী বস্ত্রালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সেকেন্ড অফিসার মেহেরাব হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া ও সিসিটিভির ফুটেজ ও ভুক্তভোগী রেবেকা খাতুনের সাথে আলোচনা করে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি আসল দোষী কোন ব্যক্তি।

জানতে চাইলে রেবেকা খাতুন জানান, প্রকৃত দোষী ব্যক্তি জোড়পুকুরিয়া গ্রামের সাইর পাড়ার ডা. আক্কাস আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন। তিনিও তার স্বামীর সাথে দীর্ঘ দিন একই রুমে মালয়েশিয়াতে ছিলেন। মালয়েশিয়াতে থাকাকালিন উজ্জল তার স্বামী রবিউল ইসলামের মোবাইলে কিছু করে রেখেছে। তার স্বামী দেশে টাকা পাঠালে সে হয়তো বুঝতে পারে।

তবে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বলেন, এ বিষয়টি এডিশনাল এসপি জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমানকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি তাই বিষয়টি আইনগতভাবে নিষ্পত্তি করতে চান। তিনি আরও জানান একটি মাধ্যম দোষী ব্যক্তির কোন শাস্তি ছাড়াই টাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার শর্তে তাঁর সাথে দিন দরবার চালিয়ে যাচ্ছেন তবে তিনি বিষয়টির আইনগত ভাবেই সুরাহা করার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।

গাংনী প্রতিনিধি




খুলনা বিভাগের সেরা তরুন করদাতা আরিফ শেখ

খুলনা বিভাগের সেরা তরুন করদাতা হিসেবে সম্মাননা পেলেন মেহেরপুরের আরিফ শেখ। বুধবার সকালে খুলনার সিটি ইন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সেরা করদাতার সম্মাননা পুরুষ্কার তুলে দেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায়।
আরিফ ২০১৮-১৯ কর বছরে সেরা করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।
আরিফ শেখ মেহেরপুর শহরের বোসপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে।
আয়কর প্রদানকারী করদাতাদের পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০১৮ এর বিধান অনুযায়ী আয়কর প্রদানকারী  ৪০ বছরের নিচে মেহেরপুর জেলার প্রথমবারের জন্য আরিফ শেখ এ সম্মাননা লাভ করেন।

-নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরে অতিরিক্ত শব্দদূষণে স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কা

সরকারি যানবাহনেও নিয়ম মেনে হর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। যার যার ইচ্ছে মত গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করছেন। আর হর্নের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ লাখ লাখ মানুষ। এ বিষয়ে প্রশাসনও কার্যকরি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না । তবে আশার বাণি শুনিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

সরেজমিনে মেহেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ড. শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কের সামনে প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে দেখা যায়- ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, লেগুনা, নসিমন-করিমন, মটর সাইকেলে কারো এ্যাম্বুলেন্সের, কারো ট্রাকের, কারোবা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির হর্ণ লাগানো।
এসব হর্ণ বাজিয়ে দ্রæত গতিতে চলছে ছোট ছোট যানবাহন। কেউ পথ না ছাড়লে তাকে দেয়া হয় হুমকি ধামকি। দ্রæতগতিতে শহরের মধ্যে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ।

ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত মেহেরাব হোসেন হোটেল বাজার থেকে মহিলা কলেজ মোড়ে যাবে। মটর সাইকেলে ট্রাকের হর্ন বাজিয়ে সামনে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। সামনে থেকে বুঝার উপায় ছিল না যে মটর সাইকেলের হর্ন বাজানো হচ্ছে না মালবাহী ট্রাকের। তার সামনে থাকা বেশিরভাগ ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, মোটর সাইকেল পেছনে ট্রাক মনে করে তাকে পথ দিচ্ছিল। কারণ তার মটর সাইকেল থেকে ট্রাকের হর্ন বাজানো হচ্ছিল।

শহরের প্রাণকেন্দ্রে নগর উদ্যানের সামনে জানতে চাইলে মেহেরাব বলেন- ভাই রাস্তায় যানজট লেগেই আছে তাই ট্রাকের হর্ণ লাগিয়েছি যাতে সহজে বের হওয়া যায় অনেকের আগে।

সুফলও পাওয়া যায়। এ হর্ণ শুনলে সামনের মানুষ ও যানবাহন পথ ছেড়ে দেয়।
ট্রাকের হাইড্রোলিক হর্ন মানুষের অনেক ক্ষতি হয় তাছাড়া এ হর্ণ ব্যবহার করা আইনত অপরাধ তার পরও আপনি কেন এ হর্ণ লাগিয়েছেন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেকে মটর সাইকেলে এ্যাম্বুলেন্সের হর্ন লাগায় আবার অনেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও পুলিশের গাড়ির হর্ণ ও মিউজিক বাজায় তখন শব্দ দুষণ হয় না, আমার এটায় আপনার সমস্যা মনে হলো? পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন- এই হর্ণ বাজানো অপরাধ জানি।

আইন অমান্য করায় আমার সর্বচ্চ জরিমানা হবে ১শ টাকা। কিন্তু কেউ তো জরিমানা করেনা। মটর সাইকেল ছাড়াও এখন বাই সাইকেলেও তো এমন হর্ণ লাগানো হচ্ছে। মেহেরপুর শহরে চলাচলকারী অন্তত ৪০ভাগ মোটর সাইকেলে এমন ভিন্নধর্শী হর্ণ ব্যবহার হচ্ছে।
রাতের নীরবতাকেও ফালাফালা করে ঢুকে পড়ছে মটর সাইকেলে লাগানো ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের গাড়ির হর্ণ। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ কারো মাথাব্যথা নেই মোটর সাইকেলে ট্রাক, ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্সের হর্ণ লাগানো বিষয়ে।

বরং ক্ষমতাসীন দলেরও কেউ কেউ এই হর্ণ ব্যবহার করছেন। এরা শব্দদূষণের কোনও সময়সীমাও মানছেনা। আইন অনুযায়ি হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকার নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এসব জায়গায় জোরে হর্ন বাজানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও সেই নিয়মও মানা হচ্ছেনা।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সজিব উদ্দীন স্বাধীন জানান- বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী কোনো এলাকায় ৬০ ডেসিবেল মাত্রার বেশি শব্দ হলে সেই এলাকা দূষণের আওতায় চিহ্নিত হবে।

৬০ ডেসিবেল শব্দ মানুষের সাময়িক শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে এবং ১০০ ডেসিবেল শব্দে চিরতরে শ্রবণশক্তি হারাতে পারে। বিষয়টি দেখবালের দায়িত্ব আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার। মেহেরপুর জেলা মটর যান পরিদর্শক সালাউদ্দীন প্রিন্স জানান হর্ণ সরকারের পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সের নিজ নিজ শব্দের হর্ণ আছে। এগুলো অন্যকোন পরিবহনে ব্যবহার নিষিদ্ধ।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী বলেন- মেহেরপুরে না থাকলেও বেশ কয়েকটি জেলাতে বিচার বিভাগের গাড়িতেও ট্রাকের হর্ণ বাজানো দেখেছি। পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির হর্ণ অন্য কোন গাড়িতে লাগানো বা বাজানো আইনত দÐনীয়।

গাড়ির কাগজপত্র ও ফিটনেসের পাশাপাশি এসব হর্ণ বাজানো বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গণিও এসব হর্ণ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার উপরোক্তি বাণি শুনিয়ে বলেন- কিছু উঠতি যুবক এসব হর্ণ বাজিযে সাপের মতো একিয়ে বেকিয়ে মোটর বাইক চালায়। এরাই পথ দূর্ঘটার অন্যতম আরও একটা কারণ।

-নিজেস্ব প্রতিবেদক




রাষ্ট্র কিভাবে চলবে তা পরিষ্কার করা আছে

আমার দেশ এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বসবাস। ইতিহাস বলে, এখানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পীর আওলিয়াগন দাওয়াতের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন, কোন জোর জুলুম বা নিজ সংবিধানকে অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে নয়।

আমার প্রিয় নবীরাও দাওয়াতের ও নিজেদের চরিত্র, কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমরাও যদি নিজেদের উত্তমরুপে তুলে ধরতে পারি অবশ্যই ইসলাম দেশে ও বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত হবে।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হবে নাকি অন্যকিছু হবে এ নিয়ে পুনরায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে রাখার পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন ধরনের মতামত শোনা যাচ্ছে। রাষ্ট্র সবাইকে নিয়ে সবার জন্য সব ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের জন্য।

আমার ধর্ম আমি করবো। মুসলমান হিসেবে আমাদের বিয়ে হবে মুসলিম আইনে, সম্পত্তি বন্টন ইত্যাদি হবে মসলিম আইনে। অন্যরা করবে তাদের নিজ আইন বা রীতিতে। রাষ্ট্র দেখবে ব্যবস্থাপনা, প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অন্যের অনুভুতিতে আঘাত না আসে তার ব্যবস্থা করা।

মানবজাতিকে অন্যায়, অবিচার, অশান্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে যুগে যুগে আল্লাহ নবী-রসুল পাঠিয়ে মানুষকে সত্য দ্বীন দান করেছেন। আল্লাহর সত্য দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হলে মানবজীবনে যে অনিবার্য শান্তি নেমে আসে ইসলাম হলো সেই শান্তির নাম। এ কারণে আক্ষরিকভাবেই ইসলাম শব্দের অর্থ শান্তি।

প্রত্যেক বস্তুর নিজস্ব বৈশিষ্ট্য, গুণ বা ধর্ম আছে। রাষ্ট্রেরও ধর্ম আছে। রাষ্ট্র জনগণকে ন্যায়, শান্তি, সুবিচার ও নিরাপত্তার মধ্যে রাখবে- এটা রাষ্ট্রের প্রধান ধর্ম। এই ধর্মকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যেই রাষ্ট্র গঠিত হয়।

ইসলাম’ একটি পুর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। এতে যেমন ব্যক্তিগত জীবনাচার আছে, আছে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় নীতিমালাও। মুসলিমরা তাদের আইনে চলতে পারে ও অন্যরা তাদের রীতি-নীতিতে চলতে পারে সরকার তার দায়িত্ব নিবে। সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু সবার জন্য রাষ্ট্রসংবিধান সমান।

মুসলিম হিসাবে আমার সংবিধান পবিত্র আল-কোরআন, হিন্দুদের বেদ, খৃস্টানের বাইবেল। আমি যেন কোরআন সুন্না অনুযায়ী চলতে পারি সেই গ্যারান্টি রাষ্ট্রকেই দিতেই হবে। অন্যদের বেলাও তাদেরটাও তাই। কিন্তু সরকারগুলো বিভিন্ন পন্থায় চেষ্টা চালায় জনগণের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে নিজের পক্ষে রাখতে।

ভোটের রাজনীতিতে ধর্ম যেহেতু বিরাট একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়, কাজেই রাজনীতির অন্য সব অঙ্গনের মত ধর্মকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন প্রতারণা মূলক পন্থা অবলম্বন করা হয়। রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামের নাম ঘোষণা করা, এতে না ইসলামের কোনো লাভ হয়, আর না রাষ্ট্রের কোনো বুনিয়াদী পরিবর্তন ঘটে। বরং মুসলিমরা যদি সত্যিকার ইমানদার হয়, নিজেদের পরিপূর্ণভাবে ইসলামের রুজূকে ধারণ করে তাতেই সফলতা আসবে, বিশ্ব ইসলামের দিকে ধাবিত হবে।

আমাদের দেশে মুসলমানদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত, যা আলাপ আলোচনার সমাধান প্রয়োজন। যেমন, সুদ। সুদের সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক রাখাও ইসলামে হারাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তিই দাঁড়িয়ে আছে সুদের উপর। আবার কোর’আনে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন সীসাঢালা প্রাচীরের মত ঐক্যবদ্ধ থাকতে। হাদীসে জাতির ঐক্যকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে রসুল এ পর্যন্ত বলেছেন যে, কোর’আনের আয়াতের অর্থ নিয়ে মতবিরোধ করা কুফর।

বিদায় হজ্বের ভাষণে বলেছেন- আমার পর তোমরা একে অপরকে হত্যা করে কুফরি কর না। অর্থাৎ ইসলামের হুকুম হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ থাকা। কিন্তু বাস্তবে আমরা পাশ্চাত্যের তন্ত্র-মন্ত্র, মতবাদকে ভিত্তি করে বহুবিধ দল-উপদলে বিভক্ত এবং ধর্মীয়ভাবে শত শত ফেরকা-মাজহাবে বিভক্ত হয়ে আছি।

এক দলের মানুষের হাতে অহরহ প্রাণ হারাচ্ছে আরেক দলের মানুষ। তাহলে ইসলাম রইল কোথায়? আল্লাহ বলেছেন দান কর, ব্যয় কর, আমরা যক্ষের ধনের মত সম্পদ আঁকড়ে থাকি, আল্লাহ বলেছেন এতিমের প্রাপ্য সম্পদ বুঝিয়ে দাও, আমরা এতিমের সম্পদ ভোগ করার জন্য প্রয়োজনে তাকে হত্যা করি, আল্লাহ বলছেন আল্লাহর রাস্তায় অর্থাৎ মানবতার কল্যাণে জীবন-সম্পদ ব্যয় করে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম কর, আমরা তা কি করছি?

আল্লাহ আমাদের শান্তিময় জীবন নিশ্চিত করার জন্য যে সত্য দ্বীন প্রেরণ করেছেন তাকে কাগজের পাতায় সীমাবদ্ধ করে রাখলেই শান্তি এসে যাবে না। তাকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে।

সংখ্যাগুরুর দাপটে আমাদের মতামত যদি রাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দিই। ভারত, আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা যদি তাদের সংখ্যাগুরুর ধর্মীয় মতামত রাষ্ট্রের উপর চাপায়, তাতে কি আমরা মেনে নিবো বা বিশ্বে শান্তি বিরাজ করবে?

বরং দাওয়াতের মাধ্যমেই ইসলাম বিস্তার সম্ভব বলে আমি মনে করি।
– প্রকাশক মেহেরপুর প্রতিদিন




মেহেরপুরে গাঁজাসহ দু মাদক কারবারী গ্রেপ্তার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্ত এলাকা থেকে দু‘জন মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় পীরতলা পুলিশ ক্যাম্পের একটি দল তাদেরকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১০০ গ্রাম গাঁজা।

আটকৃতরা হলেন- কাজিপুর গ্রামের শিহাব আলীর ছেলে মাসুদ রানা (২৪) ও পীরতলা গ্রামের জয়নুদ্দীনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪২)। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দুজনকে মেহেরপুর আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) সাজেদুর রহমান জানান, আটকৃতরা ভারত সিমান্ত থেকে গাঁজা নিয়ে আসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পীরতলা ক্যাম্প ইনচার্জ অজয় কুমার কুÐু ও সংঙ্গীয় সদস্যরা তাদেরকে তল্লাশি করে।

এসময় তাদের কাছ থেকে ১০০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

-গাংনী প্রতিনিধি




গাংনীর এক শিক্ষক রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতেগড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন মো: আলিম উদ্দিন। ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গাংনী কলেজ শাখা থেকে তিনি রাজনীতি শুরু করেন।

ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় জোট সরকারের অত্যাচার নিপিড়ন সহ্য করে ২০০৫ সাল পর্যন্ত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।

মুলত ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার উপর চলে নানান অত্যাচার ও চক্রান্ত। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের শুরু থেকেই বিভিন্ন মিথ্যা মামলার শিকার হতে হয় বলে তিনি জানান। প্রায় ৫টি মিথ্যা মামলার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে তিনি ব্যাপকভাবে নির্যাতনের শিকার হন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। তিনি আরো জানান, বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে একটি মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে সময় বর্তমান এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের সাথে একসাথে জেল খাটেন।

পরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনে শিক্ষক আলিমের মা ষ্ট্রোক করেন বলে তিনি জানান। দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থাকার পর ২০০৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তার মা রহিমা খাতুন মৃত্যু বরণ করেন।

এর পরও তার উপর বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের অত্যাচার থেমে থাকেনি। এক পর্যায়ে তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে তাদের অত্যাচার থেকে বাঁচার তাগিদে ২০০৬ সালের দিকে বিএনপি নেতা কর্মীদের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এই কারণে কিছু লোক তাকে চক্রান্ত করে বিএনপির কর্মী হিসেবে মিথ্যা রটনা করছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।

জানতে চাইলে তিনি বলেন চৌগাছা গ্রামে কিছু মাদক জুয়ার সাথে জড়িত লোকদের তাদের কর্মকান্ড বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই তারা বিএনপি বলে মিথ্যা অপবাদ দেয় যা মোটেই ঠিক না। তিনি বর্তমান এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন এর সাথে আওয়ামী লীগের বড় বড় অনুষ্ঠানে সক্রিয় ভুমিকা রাখেন বলেও তিনি জানান। গত অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও তিনি তাকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেন।

এ উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামের মৃত তাহাজ উদ্দিনের ছেলে মো: আলিম উদ্দিন বর্তমানে গাংনী পৌর এলাকার বাঁশাবড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। সাবেক এমপি মকবুল হোসেন এর সহযোগিতায় তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন এবং এখনো কর্মরত আছেন। তিনি বসবাস করেন পৌর এলাকার ৩নং ওয়ার্ড এলাকার চৌগাছায়।

শিক্ষকতা পেশায় জড়িয়ে পড়ার কারণে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে নিলেও আওয়ামী লীগের বড় বড় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন বলে তিনি জানান।

-গাংনী প্রতিনিধি




জীবননগরে বিজিবির অভিযানে ১৩৬ বোতল মদ আটক

জীবননগরে বিজিবির মাদক বিরোধী অভিযানে ১৩৬ বোতল ফেন্সিডিল আটক হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ অধিনস্থ জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের মেদিনীপুর বিজিবির সদস্যরা মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মেদিনীপুর গ্রামের আম বাগানের মধ্য থেকে মালিকবিহীন অবস্থায় ১৩৬ বোতল ভারতীয় মদ আটক করে।

-জীবননগর প্রতিনিধি




বঙ্গুবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি নেই বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ে

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকার অফিস রুমে সহ কোথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমানের ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি নেই।

এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের মেহেরপুর প্রতিদিনের কাছে অভিযোগ করে বলেন আমরা বার বার বলার পরেও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়টি দীর্ঘ দিন প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় ছবিটি টানো হয়নি।

প্রধান শিক্ষকা শামছুন্নাহার মুক্তা জানান, আমি বার বার প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতি শেখ আনিছুজ্জামান লুইচকে বলেও উনি কোন ভাবে আমাকে ছবি আনতে দেয়নি।

সভাপতি শেখ আনিছুজ্জামান লুইচকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিদ্যালয়ের জাতির পিতা ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ছবি না টাঙ্গানো অত্যন্ত খারাপ কথা স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন বলে আমি মনে করি।

-আল-আমীন, গাংনী