পেঁয়াজ রশুনের ঝাঁঝে কাঁদছে ক্রেতারা

রশুন পেঁয়াজের দাম কমছেইনা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের সবজি ও তরকারি বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি রশুনের দাম ১শ’ ৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১শ’৪০ থেকে ১শ’ ৬০ টাকা।এ

দিকে ঝালের দাম গত সপ্তাহের চাইতে কেজিতে ২০টাকা কমেছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা কেজি।তাছাড়া অন্যান্য সকল প্রকার সবজির দাম কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে চললেও বাজারের নতুন সবজি হিসেবে টমেটো কেজি প্রতি ১৪০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।

মাংসের বাজার আগের মতোই রয়েছে। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫শ’ টাকা খাসির মাংস সাড়ে ৬শ’ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে।

এদিকে দেশী মুরগী সাড়ে ৩শ’ থেকে ৩শ’ ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। তাছাড়া ফার্মের বিভিন্ন প্রকারের মুরগী কেজি প্রতি ১শ’৮০ থেকে ২শ’ ৫০ টাকা দরে বিক্রয় হতে দেখা গেছে।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, সবজির দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও পেয়াজ রশুন কিনতে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে সবজি বিক্রেতারা জানান পেঁয়াজ রশুনের আমদানিই নাই যে কারণে এর দাম বেশি পড়ছে। তবে তারা জানান কিছুদিনের ভিতর রশুন পেঁয়াজের দামকিছুটা কমতে পারে।

-এ সিদ্দিকী শাহীন, গাংনী




এমপিও ভুক্তি হওয়ায় আনন্দ র‌্যালী

হেরপুর সদরের মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা ও বর্শিবাড়িয়া বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত হওয়ায় আনন্দ র‌্যালি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি আনন্দ র‌্যালি বের করে বারাদি বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে র‌্যালী টি শেষ হয়।

মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বর্শিবাড়িয়া বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত হওয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী ড. দিপু মনি, ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি কে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাব্বারুল ইসলাম, ও আবুল কালাম আজাদ, স্কুল মেনেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম ফেরদৌস,ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ দীর্ঘদিনের চাওয়া-পাওয়ার পূর্ণতা পাওয়াই শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে আনন্দ অনুভূত হয়।

বারাদী প্রতিনিধি




নদী খননে তৃণমূলের কৃষি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে

চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীসহ ৫টি নদী খননের উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীস্থ নদী খনন প্রকল্পের আওতায় এ নদী খনন করা হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবার  দুপুরে জীবননগরে  চিত্রা নদী খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয়া পিচ মোড় গ্রামে নদীর মাটি কেটে খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান , উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম, জীবননগর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও পানি উন্নয়ণ বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম, জীবননগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো: আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, মনোহরপুর  ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন।

এ সময় সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতিৃক দেশ। তাই সারা দেশে নদীগুলোকে বাঁচানোর উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। দেশের নদীগুলো সচল হলে দেশের তৃণমূলের কৃষি ঘুরে দাঁড়াবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীস্থ নদী খনন প্রকল্পের আওতায়

চুয়াডাঙ্গার ৫টি নদী খনন করা হবে। চিত্রা নদী খনন সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ।

জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান  বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জনন্ত্রেী শেখ হাসিনার নদী খনন প্রকল্পটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কারণ নদীগুলো বাঁচলে বাঁচবে পরিবেশ, রক্ষা হবে জীব বৈচিত্র। তৃণমূলের কৃষি নতুন উচ্চতায় উন্নতি হবে। আর এ কারণে নদী বাঁচাতে সরকারের এ পরিকল্পনা ।

চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডরে নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের ১ম পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গার মধ্য নদী বয়ে যাওয়া চিত্রা নদী খনন করা হবে। এর মধ্যে  জীবননগর উপজেলাতে ৬ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। ২০২০ সালের ২০ জুনের মধ্যে খননের কাজ শেষ করা হবে।

জীবননগর প্রতিনিধি

 




মেহেরপুরে উপজেলা পর্যায়ে ‘বিজয় ফুল’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উপলব্ধি এবং সংগ্রামী ইতিহাস জানেনোর উদ্দেশ্যে উপজেলা পর্যায়ে ‘বিজয় ফুল’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানে বিজয় ফুল তৈরি, গল্প রচনা, কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয়, চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং দলগত দেশাত্মবোধক ও জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মেহেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা প্রশিক্ষক খন্দকার জমশেদ আলী ও সাফিনাস আরা ইরানি এবং বামন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফৌজিয়া আফরোজ তুলী।

নিজস্ব প্রতিনিধি




গাংনীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনীতে পানিতে ডুবে মেঘরাজ (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপর ১টায় গাংনী উপজেলার বানিয়াপুকুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। মেঘেরাজ ঐ গ্রামের প্রবাসী বাবলু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, মেঘেরাজ বাড়ির পার্শে একটি পুকুরপাড়ে খেলা খেলছিলো। অসাবধানতা বসত পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
মেঘেরাজের পরিবারের সদস্যরা জানায়, মেঘেরাজ কে দীর্ঘ সময় সন্ধান করে কোথাও না পেয়ে পুকুড় পাড় এলাকায় খুঁজতে গেলে তার ভাসমান লাশ দেখে স্থানীয়দের সহায়তার উদ্ধার করা হয়।

নিজস্ব প্রতিনিধি




বিলুপ্তির পথে মেহেরপুরের তাঁত শিল্প

সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা ও পুজিঁর অভাব সহ নানা কারনে খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মেহেরপুরের তাঁত শিল্প। যেগুলো টিকে আছে সেগুলোও প্রায় বন্ধের পথে। বিলুপ্ত প্রায় তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সব ধরনের সহযোগীর কথা বলছে উপজেলা প্রশাসন। তবে দ্রুত এদের পাশে না দাঁড়ালে হয়তো হারিয়ে যাবে তাঁত শিল্প।

গাংনী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সহিদা খাতুন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন, অন্য কোন আয়ের উৎস না থাকায় শেষ বয়সে এসেও অবসর সময়ে চালাচ্ছেন তাঁত। আপন মনে বুনাচ্ছেন নানা রঙের গামছা। সংসারের কাজ শেষ করে যে সময়টুকু পান সেই সময়টুকু বসে না থেকে গামছা তৈরী করেন। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে কোন রকম সংসার। একই অবস্থা অন্য তাঁতিদের। তাঁতের পাশাপাশি দিনমুজুর সহ অন্য কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন তাঁরা। গ্রামটির চারশ পরিবারের মধ্যে এখন তাঁত আছে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ পরিবারে।
এক সময় রাজাপুর গ্রামে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, বুনুনে ব্যস্ত থাকলেও তা আজ প্রায় বন্ধের পথে। তাঁত পল্লিতে প্রতিটি বাড়ি থেকেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁতের খট খট শব্দে মুখর থাকতো। এখানে বুনানো নানা রঙের গামছা কিনে নিয়ে যান বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা। সুতার দাম বৃদ্ধি সহ গামছা বানিয়ে লাভ না হওয়ায় এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিচ্ছেন কারিগররা। ইতো মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকশ তাঁত।

যেগুলো আছে সেগুলোতে এখন শুধু গামছা তৈরী করছে কারিগররা।
গৃহবধু সহিদা খাতান জানান, আগে সুতার দাম ছিল কম এতেই সংসার চলতো। তাঁত চালিয়ে ছেলে মেয়েদের বড় করে বিয়ে দিয়েছি।

আমাদের কোন জমি জায়গা নাই গামছা বানিয়েই খেতে হয়। এখন সুতার দাম প্রতি বছরই বেশি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা গামছার দাম কম দেয় লাভ হয় না। এখন আমরা কি করে খাব। এ ছাড়া আর আমাদের কোন উপায় নাই। বাধ্য হয়েই তাঁত চালাতে হয়।

একই কথা জানালেন অন্য কারিগররাও, আগে সুতার দাম কম ছিল আমাদের লাভ হতো এখন আর আমাদের লাভ হয় না। ২৫ বছর ধরে এই কাজ করে আর সংসার চলে না তাই এখন গরু ছাগল পালনের পাশাপাশি পুরুষরা মিস্ত্রির কাজে যায়। কেউ গাড়ি চালায় কেউ রিক্স চালায় এভাবেই চলে। এইতা করে সংসার চালানো যাবে না, চলছে না বলে অনেকেই বন্ধ করে দিয়ে জন খাঁটে।

সুতার দাম বেশি এইতা করে আমাদের লাভ নাই। চারটা গামছা বানিয়ে ৩৫ টাকা থাকে কিন্তুু বানাতে অনেক কষ্ট করতে হয়।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন, আমাদের এখানে দেশীয় যে শিল্প গুলো বিশেষ করে তাঁত শিল্প, মৃৎ শিল্প এগুলো যেন যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকে এবং আমাদের যে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তা সারা বিশে^ ছড়িয়ে পড়ে এ বিষয়ে আমরা সদা তৎপর রয়েছি।

সেই মুল্যেবোধ বা স্পর্শকাতর অনুভুতির জায়গা থেকে আমরা চাই যারা তাঁত শিল্প জড়িয়ে আছে তারা যেন সর্বোচ্চ সরকারী সুবিধায় অংশিদার হতে পারে। এবং তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।

নুহু বাঙ্গালী, বামন্দী




আলমডাঙ্গা ওসির সাথে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সৌজন্য সাক্ষাত

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমানের সাথে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সৌজন্য সাক্ষাত ও স্বারক সম্মাননা প্রদান করেছে।

গতকাল দুপুর ২ টার দিকে আলমডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ আলমডাঙ্গার নবাগত অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুরের অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

এ সময় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমানকে স্বারক সম্মাননা প্রদান করেন।

এ সময় ওসি আশিকুর রহমান বলেন আপনাদের যে কোন ভাল কাজে আমাকে সঙ্গে পাবেন, আমি আপনাদের সর্বাঙ্গিন সহযোগীতা চাই।

অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি রেফাউল হক, সম্পাদক আলম হোসেন, প্রধান শিক্ষক খন্দকার আলহাজ্ব রাকিবুস সালেহীন, হারেজ উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, জাকির হোসেন, এনামুল হক, সহকারি শিক্ষক রিজভী আহম্মেদ প্রমুখ।
সভা শেষে শিক্ষক বৃন্দ অফিসার ইনচার্জের সাথে মধ্যহ্ন ভোজ করেছেন।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে

মেহেরপুরের গাংনী-২ আসনের এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকনকে গণ সংবর্ধণা দিয়েছে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ।

‘এশিয়ান পার্লামেন্ট গ্রান্ট এসাম্বেলি অব তুরস্ক’ এ বক্তব্য শেষে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে এমপি সাদিুজ্জামান খোকনকে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ সংবর্ধণা দেওয়া হয়।
গাংনী বাজার শহীদ রেজাউল চত্বরের গণসংবর্ধণায় তিনি বিশ্বের মুসলমানদের নিপিড়নের বিরুদ্ধে তুরস্কের পার্লামেন্টে বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন শুধু বিশ্বের মুসলমানদের নির্যাতনের বিরুদ্ধেই নয় আমি আমাদের বাংলাদেশের রহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও সেখানে কথা বলেছি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন তার বক্তব্যে আরও বলেন আগামী উপজেলা কাউন্সিলকে কেউ যাতে বানচাল না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেককে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনি আওয়ামী লীগ করেন অথচ যারা গত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতা মিল্টনের কাছ থেকে টাকা খেয়ে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করেছে আপনি তাদের সাথে হাত মিলিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন আপনি শেখ হাসিনার লোক শেখ হাসিনাও আপনাকে ভালবাসে। সে ভালবাসা বেশি দিন টিকেনা ভালবাসা কখনো টক হয়ে যায়। আপনি তাদের কাছ থেকে সরে আসেন।

মকবুল হোসেনকে (সাবেক এমপি) কি চোখে নেত্রী দেখে আপনি আব্দুল খালেক কি জানেন না? এমপি সাহিদুজ্জামান বলেন শেখ হাসিনা কোনদিন মকবুল হোসেনকে গ্রহন করেনি কোনদিন গ্রহন করবেনা করবেনা করবেনা। তাহলে কি গাংনীর আওয়ামী লীগ নষ্ট হয়ে যাবে?

তিনি কাউন্সিল প্রসঙ্গে বলেন, আমরা নতুন করে কাউন্সিল করতে চাই। তারা এক সপ্তাহ ধরে কাউন্সিল বন্ধ করার জন্য ঢাকায় নেতাদের বাড়ি বাড়ি গেছে।

তিনি ব্যানার টাঙ্গানো প্রসঙ্গে বলেন, যদি কোন বান্দর এ ধরণের ব্যানার টাঙ্গায় আপানাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল আপনাদের যার যা আছে তাই নিয়ে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত তাদের মোকাবেলা করবেন।

আমি আর ছাড় দিয়ে রাজনীতি করতে চাইনা।
এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন নেতাদের কাউন্সিলে আগাম দাওয়াত দিয়ে বলেন, ”আপনারা কাউন্সিলে আসবেন হাতে ছোট ছোট লাঠি নিয়ে।

যদি কেউ আওয়ামী লীগ বিরোধী কথা বলে যদি কেউ অন্যায় দাবি করে তার জন্য উচিৎ জবাব দেওয়াতে হবে তার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিয়ে চিরতরে আওয়ামী লীগ থেকে এই হাইব্রিড আওয়ামী লীগ বিদায় করতে হবে।”

তিনি সাবেক এমপি মকবুল হোসেনকে উদ্দেশ্যে করে বলেন,“ হাইব্রিড কিডাগো কালকে আইলি ৯০ সালে দলে আর তুমি অন্যকে বল হাইব্রিড সাথে আছে তোমার ডান হাতে বসা রাজাকারের ছেলে বাম হাতে বসা তোমার রাজাকারের ছেলে আর তুমি আমার বিরুদ্ধে কথা বল, লজ্জা করেনা শয়তানের দল।”

তিনি হুশিয়ার করে বলেন আর কোনদিন ছেড়ে দেওয়া হবেনা।
যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী নিয়োগে জনগনের টাকা নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

তিনি বলেন, আমার কোন লোভ লালসা নেই আমি ৩৫ বছর রাজনীতি করেছি অথচ এখনও ভাড়া বাড়িতে থাকি অথচ গাংনীর কোন কোন নেতা আগুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে । আজ আবার তারাই আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে ।

গণ সংবর্ধনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মখলেচুর রহমান মুকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা পঁচু বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি মাষ্টার, বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য মজিরুল ইসলাম, কাথুলি ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা সহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী।
এ সময় উপজেলার সকল স্তরের নেতা কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী প্রতিনিধি




দর্শনায় জাসদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

দর্শনা পৌর জাসদের উদ্যোগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

গতকাল ৩১অক্টোবর জাসদ (ইনু) এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দর্শনা পৌর জাসদের ফুলতলা কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও কেক কেটে দিনটি পালন করে।

দর্শনা পৌর জাসদের সভাপতি জুলফিকার হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনা দামুড়হুদা উপজেলা জাসদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম লুল্লু বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে গণতন্ত্র, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষ এই ৪টি সাংবিধানিক ধারার উপর এ দেশকে প্রতিষ্ঠা হয়।

জাসদের জন্ম হয় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে। যেখানে দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিনোদন পাবে। দেশের সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। সকলের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে তাদের অবিরাম সংগ্রাম।

এছাড়া দেশে সু-সাশন প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন ও দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে একটি উন্নয়নশীল দেশ গঠনের দাবী করেন।

এছাড়া আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, দর্শনা পৌর জাসদের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম পিটু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ ন ম জামাল উদ্দিন, গোলম মোস্তফা, সাবেক ছাত্র নেতা নুরুল আলম বাকু, ৯নং ওর্য়াড সভাপতি রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক নজরুল ইসলাম, রাজু আহম্মেদ, রাহেন আলী ও হায়দার আলী।

এছাড়া অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাবেক দর্শনা সরকারী কলেজ ছাত্রনেতা আওয়াল হোসেন।

দর্শনা প্রতিনিধি




জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে মৃদুলের জন্ম দিন পালন

মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনতাসীর জামান মৃদুলের ২৬ তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে সরকারি কলেজ জামে মসজিদে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আবু মোর্শেদ সরকারের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কুদরত-ই-খুদা রুবেল।

মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক মো মাহফুজুর রহমান পলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল খাঁন প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিনিধি