আলমডাঙ্গায় মুদি দোকান পুড়ে ছাই

আলমডাঙ্গার কুমারী বাজারের রাজন ষ্টোর নামক এক মুদি দোকানে ভয়াবহ আগুন লেগে দোকানের সব মালামাল পুড়ে ভস্মিভুত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী গ্রামের চাষী পাড়ার গোলাপ মন্ডলের ছেলে রাজন আলী কুমারী বাজারের উপর একটি পাকা দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে মুদি ব্যবসা করে আসছিল। প্রতি দিনের ন্যায় গত শুক্রবার দিন সন্ধার পর দোকান বন্ধ করে বাড়ী চলে যায়, আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে সে জানতে পারে তার দোকানে আগুন লেগেছে। সাথে সাথে সে তার দোকানে ছুটে এসে দেখতে পায় তার দোকার পুড়ে প্রায় সব শেষ।

স্থানীয় ও গ্রামবাসীর সহযোগীতায় প্রায় দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ছুটে এসে জানান বিদ্যুতের সট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।

এ বিষয়ে দোকানের মালিক রাজন আলী জানান আমার দোকান থেকে প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। ঘটনাটি জানতে পেরে কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও দুঃখ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করেন। তারা জানান প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মিভুত হয়ে গেছে।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




চুয়াডাঙ্গায় ৭টি ভারতীয় গরু আটক করেছে বিজিবি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বারাদি সীমান্তের নাস্তিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে পাচার করে আনা ৭টি গরু আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা।

শনিবার দুপুর দেড়টা এবং বিকাল পৌনে চারটায় আলাদা দুটি অভিযানে গরুগুলো আটক করা হয়। আটক করা গরুর আনুমানিক মূল্য চার লাখ ২০ হাজার টাকা বলে জানায় বিজিবি।

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্তে ৮০ নম্বর মেইন পিলারের ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর গ্রামে দুটি অভিযান চালায় বিজিবি।

এ সময় ভারত থেকে পাচার করে ৭টি গরু আটক করা হয়। এর আগে পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। আটককৃত গরুগুলো দর্শনা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে।

:চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




মেহেরপুর পুলিশের উদ্যোগে প্রীতি ফুটবল খেলা

মেহেরপুর পুলিশের উদ্যোগে প্রীতি ফুটবল খেলার অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলায় পুলিশ লাইনস একাদশ ৩-০ গোলে থানা একাদশকে পরাজিত করে

শনিবার বিকালে পুলিশ লাইনস মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী খেলার উদ্বোধন ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, সদর থানার ওসি শাহ দারা প্রমুখ।




মুজিবনগরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত

বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে মুজিবনগরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালন করা হয়েছে।

শনিবার বিকাল তিনটার সময় মুজিবনগর থানা চত্বরে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন।

এদিকে, কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনাসভার আগে “জনতাই পুলিশ,পুলিশিই জনতা” এই শ্লোগানে একটি র‌্যালী বের করা হয়। মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেমের নেতৃত্বে র‍্যালীটি থানা চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহরের মেন মেন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় থানা চত্বরে এসে শেষ হয়।

উক্ত র‌্যালীতে মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন,উপজেলা যুবমহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক তহমিনা খাতুন,কেদারগন্জ বাজার কমিটির সভাপতি কুতুবউদ্দীন মল্লিক, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুন্সী ওমর ফারুক প্রিন্স, মুজিবনগর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলিফ হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।




মেহেরপুরে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুরে অভিযান চালিয়ে ১২০ বোতল ফেন্সিডিলসহ শরিফুল নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর গ্রাম থেকে থেকে তাকে আটক করা হয়।

শরিফুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার বয়রা গ্রামের মোঃ রেজাউল হকের ছেলে। জেলা গোয়ন্দা পুলিশের ওসি রবিউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবনগর উপজেলার রশিকপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে শরিফুল ইসলাম নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১২০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধভর করা হয়।

সে ফেন্সিডিল নিয়ে বরিশালে তারিক নামে একজনকে পৌছে দেবার দায়িত্ব নিয়েছিল। এই ব্যাপারে মুজিবনগর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুর সহ সারা দেশে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

মেহেরপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। দাম বৃদ্ধির জন্য যোগান কমের অজুহাত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে, বেড়েছে মাছের দামও। বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ ভালো হলেও দাম রয়েছে বেশি।

আবহাওয়া বৈরি হলেও ছুটির দিনে রাজধানীর কাঁচাবাজারে ক্রেতা সমাগম ছিল তুলনামূলক বেশি। বাজারে নিত্য পণ্যের যোগান বেশি হলেও ক্রেতার নজর পেঁয়াজের দিকে। প্রয়োজনীয় এই ভোগ্য পণ্য কিনতে বেগ পেতে হচ্ছে ভোক্তার।

সরকারি নানা উদ্যোগেও লাগাম টানা যাচ্ছে না পেঁয়াজের দরে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজিও ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।

এদিকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় চাহিদা বেড়েছে অন্য মাছের। বেড়েছে দামও। তবে চাষের মাছের তুলনায় নদ-নদীর মাছের দাম বেশি। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম এখনও বেশি। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। টমেটোর কেজি ১১০ টাকা। ফুলকপি, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

মেহেরপুর বড় বাজার সহ গাংনীতে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের তহ বাজার ঘুরে দেখা গেছে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে গেছে। বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা । কোন কোন বিক্রেতা ১১৫ টাকা করেও পেয়াজ বিক্রি করেছেন বলে জানা যায়।

গত বৃহস্পতিবার পেয়াজেরর দাম ছিল প্রতি কেজি ৯০ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে গতকাল শুক্রবার তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১০০-১১৫ টাকা কেজি।

খুচরা বিক্রেতারা বলছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে একদিনে পেয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে কাচা ঝাল গত সপ্তাহে প্রতি কেজি দাম ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এ সপ্তাহে তার দাম বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।

নিজস্ব প্রতিনিধি




সভাপতি নুরুল ইসলাম, সম্পদক মাসুদ হোসেন

মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে আলহাজ¦ নুরুল ইসলাম কে সভাপতি এবং বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় মো: মাসুদ হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

গতকাল শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৬ টার সময় যাদবপুর ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বের মোড়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলামের সভাপত্বিতে সম্মেলনে বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, আওয়ামী লীগ নেতা বুলবুল হোসেন, আব্দুল মান্নান ছোট প্রমুখ।
সম্মেলনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শহর প্রতিনিধি




পিন্টু সভাপতি, রাজ্জাক সম্পাদক নির্বাচিত

আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রী-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্টিত। আবু সাইদ পিন্টু সভাপতি ও আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।

বৈরী ও দূর্যোপূর্ণ আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে কুমারী ভ্যাটেনারী অডিটরিয়ামে গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ত্রী- বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রানা উদ্দিন মন্ডল।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন। ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন এর উদ্বোধন করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাজী হাসান কাদির গণু।

প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ও দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখবেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

তিনি বলেন, যারা আজকে সংগঠনের দায়িত্ব পাবেন তারা দলকে সুসংগঠিত করতে সকলকে নিয়ে কাজ করবেন। যারা পদ পাবেন না, তাদেরও বলি আপারা কাজ করে যান, আপনার কাজের মুল্যায়নে একদিন দল আপনাকে ডেকে পদে বসাবে। মনে রাখবেন একটি চক্রান্ত শীল মহল দেশে অস্থিতি শীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। আপনারা সজাগ থাকবেন।

জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হব, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন, সাংগাঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, অ্যাড. সামসুজ্জোহা, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত ইয়াকুব আলী মাষ্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগাঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম, কুমারি ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু, মাসুদ রানা তুহিন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আরেফিন রঞ্জু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল কাদের, বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মুহিদ, খবির উদ্দিন, মজিবর রহমান, শওকত আলী, জেলা যুবলীগের সদস্য পৌর কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, সাইফুর রহমান পিন্টু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান, ছাত্রলীগের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মদ ডন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, সৈকতখান, সাকিব, অটল, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে কুমারি ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টুকে সভাপতি ও আব্দুর রাজ্জাক কে সাধারন সম্মাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




মেহেরপুরে উঠতি ফসলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

মেহেরপুর সহ সারাদেশে টানা বর্ষনে মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে জন জীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে সব থেকে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষরা। কৃষক, ভ্যান-রিক্সা চালক, শ্রমিকরা বসে বসে দিন পার করছেন।

শুধু তাইই নয় লাগাতার বর্ষনে আমন ধান, কপি, নতুন লাগানো পিয়াঁজ, রসুনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়। আবাদি জমিগুলো হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে।

শোলমারী গ্রামের আব্দুল জাব্বার জানান, দুই বিঘা আগাম পিয়াঁজ লাগিয়ে ছিলাম কিন্তু টানা বৃষ্টিতে সে জমি এখন পানির নিচে। এতে আমার প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো।
তেরোঘরিয়া গ্রামের ফারুক হোসেন জানান, আমন ধান ছিল দুই বিঘা, কপি ছিল এক বিঘা অসময়ের এ বৃষ্টিতে সবকিছু পানির নিচে।

এদিকে ব্যাস্ত মেহেরপুরে বৃষ্টির কারনে অনেকটাই ফাকা দেখা গেছে। নেই মানুষের কোলাহল, নেই গাড়ি-ঘোড়ার চাপ।

মেহেরপুর শহরের রিক্স চালক চাঁদ আলী জানান, বাড়ি রাজাপুর, পেটের দায়ে রিক্সা চালায়। দুইদিন ধরে দুইশো টাকার কাজও করতে পারিনি। রাস্তায় তেমন মানুষ নেই যে দুইএকজন আছে তারা সবাই অটোতে যাতায়াত করছে।

দিন মজুর জয়নাল, হাফিজুল, কালাম জানান, রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজের সন্ধানে মেহেরপুরে চলে আসি। গত বৃহস্পতিবার থেকে কোন কাজ নেই। কেউ কাজের জন্য ডাকছে না। বাড়িতে ছেলে সংসার আছে এইভাবে চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।
টানা বৃষ্টিতে গ্রামের চায়ের দোকান গুলোতে ব্যাপক লোকজনের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কাজ-কাম করতে না পেরে চা আড্ডাতে মেতেছে অনেকেই।

মুজিবনগর অফিস জানাই, টানা বৃষ্টিতে মুজিবনগর পর্যটন কেন্দ্র পুরোপুরি ফাকা। সেখানকার ব্যবসায়ীরা অনেকটা খেয়ে-ঘুমিয়ে দিন পার করছে। সেই সাথে নতুন ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গাংনী অফিস থেকে জানাই, লাগাতার বৃষ্টিতে জন-জীবন বিপর্যস্ত। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দিন মজুর, চাকরিজীবি সবাই পড়েছে বিপদে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা যায়, বুধবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি থাকতে পারে আরও দুইদিন। আগামী সোমবার আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আখতারুজ্জামান জানান, যেহেতু মেহেরপুর বন্যা মুক্ত এলাকা তাই এখানে ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে যদি এরকম বৃষ্টি লেগে থাকে তাহলে শীতকালিন সবজীর কিছুটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন বৃষ্টি হওয়ার উপযুক্ত সময় না।

দুইদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে । এতে শীতকালিন সবজীর জন্য জমির জোঁ আসতে দেরি হবে। ফসল চাষ এ বছর একটু পিছিয়ে যাবে। আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সব সময় তদারকি করছে। ফসলের যেন ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে কৃষকদের যে কোন সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক




আজ স্মৃতির অন্তরালে বাবুই পাখি

বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই,
কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই!
আমি থাকি মহা সুখে অট্টালিকা পরে,
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে…..

মানুষকে মানবিক ভাবে জাগ্রত করার জন্য কবি রজনীকান্ত সেন এ কবিতাটি রচনা করেন।
তার এ কালজয়ী কবিতাটি এখনো মানুষের মুখে মুখে। বাবুই পাখিকে নিয়ে কবির ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতাটি আজো মানুষ উদাহরণ হিসাবে ব্যবহার করলেও হারিয়ে যেতে বসেছে বাবুই পাখি ও বাবুই পাখির বাসা।

বাবুই পাখির বাসা আজ অনেকটা স্মৃতির অন্তরালে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অথচ আজ থেকে প্রায় ১৫/২০ বছর আগেও গ্রাম-গঞ্জে তাল,নারকেল ও সুপারি গাছে দেখা যেত বাবুই পাখির নিপুণ কারু কাজে তৈরি দৃষ্টিনন্দন বাসা।

এসব বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগাত এবং আত্মনির্ভশীল হতে উৎসাহ দিত। কিন্তু কালের বিবর্তনে ও পরিবেশে বিপর্যয়ের কারণে পাখিটি আমরা হারাতে বসেছি। এক সময় গ্রাম-গঞ্জের তাল, নারিকেল ও খেজুর গাছে এরা বাসা বেঁধে থাকতো। প্রকৃতি থেকে তাল আর খেজুর গাছ বিলুপ্ত হওয়ায় বাবুই পাখিও হারিয়ে যেতে বসেছে।
এক সময় মেহেরপুরে তিন প্রজাতির বাবুই পাখি দেখা যেত।

দেশি বাবুই, দাগি বাবুই ও বাংলা বাবুই। তবে বাংলা ও দাগি বাবুই এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে কিছু দেশি বাবুই দেখা যায়। বাসা তৈরির জন্য বাবুই পাখির প্রথম পছন্দ তাল গাছ। এরপর নারিকেল, সুপারি ও খেজুর গাছ। এরা খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কচিপাতা, ঝাউ ও কাশবন দিয়ে বাসা বাঁধে। বাসার গঠনও বেশ জটিল, তবে আকৃতি খুব সুন্দর। বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন, তেমনি মজবুত।

শুরুতে বাসায় দুটি নিম্নমুখী গর্ত রাখে। অর্ধেক বাসা বাঁধার পর তার সঙ্গীকে খোঁজে। স্ত্রী বাবুইটির পছন্দ হলে মাত্র চার দিনে বাসা বাঁধার কাজ শেষ করে। বাসার নিম্নমুখী একটি গর্ত বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা করে নেয়। অন্যটি খোলা রাখে প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য।
বাসার ভেতরে-বাইরে কাদা লাগিয়ে রাখে। ফলে প্রবল ঝড়ে বা বাতাসেও টিকে থাকে বাসা। রাতে বাসা আলোকিত করার জন্য জোনাকি পোকা ধরে এনে রাখে। সাথী বানানোর জন্য কত কিছুই না করে পুরুষ বাবুই। স্ত্রী বাবুইকে নিজের প্রতি আকর্ষিত করতে খাল-বিল ও ডোবায় গোসল সেরে ফূর্তিতে নেচে বেড়ায় গাছের ডালে ডালে।

সাধারণত মে থেকে আগস্ট বাবুই পাখির প্রজনন মৌসুম। একটি পুরুষ পাখির একাধিক বাসা ও পরিবার থাকতে পারে। বাবুই পাখি দুই থেকে চারটি ডিম দেয়। স্ত্রী বাবুই ডিমে তা দেয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা ফোটে। তিন সপ্তাহ পর বাচ্চা উড়ে যায়। এরা মূলত বীজভোজী পাখি। তাই এদের ঠোঁটের আকৃতি সহজে বীজ ভক্ষণের উপযোগী চোঙাকার। আর ঠোঁটের গোড়ার দিকটা মোটা। এরা সাধারণত খুঁটে খুঁটে বিভিন্ন ধরনের বীজ, ধান, ভাত, পোকা, ঘাস, ছোট উদ্ভিদের পাতা, ফুলের মধু-রেণু ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে।

সোনালি ও সবুজ রঙের এ বাবুই পাখির কিচিরমিচির ডাক শোনা যেত সন্ধ্যা ও সকালে। এ পাখি যেমন শিল্পী তেমন ঘুম জাগানিয়া। চমৎকার সুরে মানুষের ঘুম ভাঙাতো। এখন নেই কোন বড় তাল আর নারিকেল গাছ। বাসা বাঁধার জায়গা না থাকায় এ পাখি বংশ বৃদ্ধি করতে পারেনি। এলাকা থেকে বিদায় নিয়েছে। পরিবেশ ও পাখি সংরক্ষণের জন্য তাল, নারিকেল গাছ লাগানো প্রয়োজন।

মেহেরপুর গাংনী মহিলা কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর রিনা আকতার বলেন, এখন কৃষকরা ক্ষেতে ও বীজতলায় কীটনাশক ব্যবহার করায় বাবুই পাখি মারা যায়। বংশ রক্ষার্থে তারা এলাকা ত্যাগ করেছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বাবুই পাখির বংশ বিস্তারে তাল, খেজুর ও নারকেল গাছ রোপণ করতে হবে। সেই সাথে কীটনাশকের অপব্যবহার রোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

গাংনী প্রতিনিধি