নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আশা বিদ্যুৎ বিভাগের

দীর্ঘ ৪৪ বছর পর ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্টিবিউশন কোম্পানী মেহেরপুর ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র নতুন ভাবে ৩৩ কেবি হাই ভোল্টেজের লাইন সংযোগ চালু হচ্ছে আজ।
১৯৭৫ সালে মেহেরপুরে প্রথম বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন হয়।

সেই তার দিয়ে এত দিন পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে আসছিল। এতে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রান্তিতে পড়তে হতো গ্রাহকদের। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে পৌর এলাকার ১৬ হাজার গ্রাহকের।

চুয়াডাঙ্গা ওজোপাডিকো উপ-কেন্দ্র থেকে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩৩ কেবি নতুন লাইন মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা সড়কের পাশ দিয়ে মেহেরপুর ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে যুক্ত হচ্ছে। নতুন এই লাইনটি ৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়েছে।

মেহেরপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আব্দুল আজিজ জানান, মেহেরপুর পৌরবাসীকে ৪৪ বছর আগের তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। এতে আমরা তাদের নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারতাম না। ঝড়, বৃষ্টি সহ যে কোন দূর্যোগের সময় ৩৩ কেবি পুরাতন লাইনে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতো।

লাইনটি মাঠের মধ্যে দিয়ে আসায় সমস্যা খুজতে আমাদের লাইনম্যানদের দীর্ঘ সময় ও নানা প্রকার সমস্যার সন্মুখিন হতে হয়েছে। আশা করি নতুন ৩৩ কেবি লাইন যুক্ত হওয়ায় এধরনের সমস্যা গুলো আর থাকবে না।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে আমাদের দুটি ৩৩ কেবি লাইন চালু রয়েছে।

আমরা এখন থেকে নতুন লাইনে পৌর এলাকার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করবো। নতুন লাইনে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে পুরাতন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এতে মেহেরপুর পৌরবাসীকে আমরা নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবো। আগে আমরা বিদ্যুৎ লাইন মেরামত ও গাছের ডাল কাটার জন্য সকাল থেকে দুপুর পর্ষন্ত বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতাম।

এখন থেকে এগুলো আর করা লাগবে না। আমাদের মেহেরপুর ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ উপ- কেন্দ্রে সার্বক্ষনিক দুটি লাইনে ৩৩ কেবি বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে। বর্তমানে নতুন লাইনে গ্রাহকরা ভোল্টেজ ও বেশী পেয়ে থাকবেন।
ওজোপাডিকো সূত্রে জানা গেছে, আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় মেহেরপুর শহরের ওয়াপদা মোড়ে অবস্থিত ওজোপাডিকো বিদ্যুৎ সরবরাহ উপ কেন্দ্রে ৩৩ কেবি নব নির্মিত নতুন লাইনের উদ্বোধন করবেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ আসনের সাংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল।

এতে আরো উপস্থিত থাকবেন ওজোপাডিকোর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: শফিক উদ্দিন সহ বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদক




আলমডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে জানো বিষয়ক শিক্ষার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশ্ন উত্তর অনুষ্ঠান

আলমডাঙ্গ ব্রাইট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধকে জান, প্রতিপাদ্য কে নিয়ে ৭ম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীরা, মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি প্রশ্ন উত্তর পর্ব চলে।
মুল প্রতিপাদ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জান। এতে ব্রাইট মডেল স্কুলের সপ্তম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। তারা মোট ১৪ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রশ্ন করে, প্রথমে ব্রাইট মডেল স্কুলের অধ্যক্ষের কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরো।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা পৌর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুর মোহাম্মদ জকু। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুজ্জোহা, প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শাহ্ আলম মন্টু, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম আজম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শিক্ষানুরাগি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আহসান উল্লাহ, অধ্যক্ষ ফখরুল আলম, প্রধান শিক্ষক ওবাইদুল আজাদ জনি, সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মুস্তাকিম রাজু, সহকারি শিক্ষক শফিউর রহমান লিটন, আজাহারুল ইসলাম সুমন, লিংকন ইসলাম, এছাড়াও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিল, সাফিদ শাফি, পরশ দে, সিফাত, সংগ্রাম, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রহমান, সিয়াম, মাহফুজ হোসেন, আসমাউল হুসনা, রহিমা আক্তার মিতু, সাদিয়া আফ্রিন, রাশিদা খানম, সিনন্থিয়া মাহমুদা, সুমাইয়া শারমিন, উম্মে তাবাচ্ছুম রাইমা প্রমুখ।
এর পর শহীদ মিনারে, বদ্ধভুমিতে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে সরাসরি প্রশ্নউত্তর পর্ব চলতে থাকে, শেষে বধ্যভুমি পরিদর্শন শেষে অনুষ্টান সমাপ্ত হয়।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




মেহেরপুরের বারাদিতে এক গাঁজা ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুর সদরের বারাদি বাজার থেকে ৩০ পুরিয়া গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বারাদি ক্যাম্প পুলিশ।
আটককৃত গাঁজা ব্যবসায়ী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানাধীন খোরদ গ্রামের মৃত তোয়াজ মন্ডলের ছেলে আব্দুল (৫৫)।
জানা যায় আব্দুল ছদ্মবেশ ধরে সে বিভিন্ন হাটবাজারে গাজা বিক্রি করে থাকে। সে লালন শাহের ভক্ত এবং সন্ধ্যা কালীন সময়ে বিভিন্ন দোকানে ধুপ দিয়ে বেড়ায়। সেই ফাঁকে গাজা সেবীদের নিকট সে গাঁজা বিক্রি করে।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে সে বারাদি বাজারে ধ‚প দিতে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বারাদি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্বাস আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে সন্দেহাতীত আটক করে। পরে তার শরীর তল্লাশি করে ৩০ পুরিয়া গাঁজা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ক্যাম্প ইনচার্জ বলেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে তার শরীর তল্লাশী চালিয়ে ৩০ পুরিয়া গাঁজা পাওয়া যায়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দিয়ে তাকে থানায় প্রেরণ করা হয়।

বারাদি প্রতিনিধি




যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারন সম্পাদক পদে নতুনদের নাম আলোচনায়

শুদ্ধি অভিযানে বড় ধাক্কার পর যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আলোচনা এখন সর্বত্র। ক্যাসিনো-কাণ্ডে আড়ালে চলে গেছেন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি আর যুবলীগের নেতৃত্বে থাকতে পারছেন না বলে জোর আলোচনা রয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদেও আসতে পারে নতুন মুখ। যুবলীগের সাবেক নেতাদের চাওয়া- তরুণ, যুববান্ধব ও সৎ নেতৃত্ব। আর বর্তমানরা চান- ছাত্র ও যুব রাজনীতির অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ কর্মীবান্ধব, গতিশীল ও সহজপ্রাপ্য কাউকে।

এদিকে ২৩ নভেম্বরের সপ্তম কংগ্রেসকে সামনে রেখে শীর্ষ দুই পদ পেতে অনেকেই তৎপর। খোঁজ নিয়ে ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদে অনেকেই আলোচনায় আছেন।

চেয়ারম্যান হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ ও তার ছোট ভাই ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বর্তমান কমিটির সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম (শেখ সেলিমের ছেলে), যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য- শহীদ সেরনিয়াবাত, ফারুক হোসেন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন ও ডা. মোখলেছুর রহমান হিরু।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে যারা আলোচনায় আছেন, তারা হলেন- বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, অর্থ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হালদার, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, সহসম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুজিবুর রহমান চৌধুরী  বলেন, আমরা চাই- যোগ্য স্বচ্ছ ও পরিছন্ন ব্যক্তিরা নেতৃত্বে আসুক। সে ক্ষেত্রে নবীন ও অভিজ্ঞদের সমন্বয় থাকলে সংগঠন সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায়।

প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য ডা. মোখলেছুর রহমান হিরু বলেন, সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করেছি। নেত্রী যদি দায়িত্ব দেন তাহলে আগামীতেও স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করব। মহিউদ্দিন আহমেদ মহি বলেন, আমরা চাই- যুবলীগের নেতৃত্বে যোগ্যরা আসুক।

এ ছাড়া যুবলীগকে ঢেলে সাজানো এবং তরুণদের নেতৃত্বে আনার সিদ্ধান্ত হলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্য থেকে শীর্ষ পদে জায়গা পেতে পারেন।

সে ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন- ইসহাক আলী পান্না, বাহাদুর ব্যাপারী, অজয় কর খোকন, নজরুল ইসলাম বাবু, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের মধ্য থেকে যে কেউ যুবলীগের মূল নেতৃত্বে আসতে পারেন।

জানতে চাইলে ইসহাক আলী পান্না  বলেন, আমি কোনো প্রার্থী না। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার কর্মী। তিনি যদি কোনো সাংগঠনিক পদে আমাকে দায়িত্ব পালন করতে দেন তাহলে আমি সেটাই করব।

অন্যান্য সময় কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা যুবলীগের সম্মেলন হতো। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মহানগর শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠানের পক্ষে নয় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড; কারণ সম্প্রতি ক্যাসিনো কারবারের দায়ে সংগঠন থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ অনেকেই।

এদিকে যুবলীগের সম্মেলনের আগে এবার আলোচনায় এসেছে বয়সসীমা বেঁধে দেয়ার বিষয়টি। যদিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আজ রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এই বয়সসীমার ওপর নির্ভর করবে আগামী কমিটিতে কারা নেতৃত্ব দেবেন। বর্তমান কমিটির দক্ষ ও ত্যাগী নেতাদের প্রায় সবারই বয়স ৫০-৬০ বছরের মধ্যে। বয়সসীমা ৬০ বছরের মধ্যে হলে বর্তমান কমিটির গুরুত্বপূর্ণ নেতারা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসার সুযোগ পাবেন।

আর যদি বয়সসীমা ৪৫ থেকে ৫০ বছর বেঁধে দেয়া হয়, তবে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ভাগ্য খুলে যাবে। সে ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের মধ্য থেকে যুবলীগের চেয়ারম্যান কিংবা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

সূত্র: যুগান্তর




আলমডাঙ্গায় ৫ দফা দাবিতে ফারিয়ার মানববন্ধন

আলমডাঙ্গায় বাংলাদেশ ফার্মাসিটিক্যালস রিপ্রেজেনটেটিভ এ্যাসোসিয়েশন (ফারিয়া) আলমডাঙ্গা শাখার উদ্যোগে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।

গতকাল সকাল ১০টার দিকে আলমডাঙ্গা প্রধান সড়ক সংলগ্ন আলতায়েবার মোড়ে মানব বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন, ফারিয়া আলমডাঙ্গা শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান ফারিয়া আলমডাঙ্গা শাখার প্রধান উপদেষ্টা আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার শাহ্ আলম মন্টু, সুজিৎ কুমার শীল, ইউনুচ আলী, হুমায়ন কবির, খবির উদ্দিন মালিক, কামরুল ইসলাম।

সভায় বক্তাগণ বলেন আমাদের ৫ দফা দাবি মানতে হবে। বিশেষ করে সরকারি নতুন বেতন স্কেল অনুযায়ি ৭ম গ্রেডে বেতন নির্ধারন, বর্তমান মুল্যস্ফিতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে টিএ, ডিএ ও অন্যান্ন ভাতাদী প্রদান, চাকুরির নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা বিধান সহ একটি সুনিদৃষ্ট নীতি মালা প্রনয়ন, বাংলাদেশ ফার্মাসিটিক্যালস রিপ্রেজেনটেটিভ এ্যাসোয়োসিয়েসন ফারিয়া কে সরকার কতৃক স্বীকৃতি প্রদান, সাপ্তাহিক ছুটি সহ সকল জাতীয় ছুটি ভোগের বিধান প্রনয়ন করা।

অধিকার আদায়ে আমরা সবাই এক সাথে এই শ্লোগান কে প্রতিপাদ্য করে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান, মোর্সেদ আলম, মাহফুজুর রহমান, ইয়ানুর রহমান, আব্দস সালাম, আসাদুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, কামরুজ্জামান, মাহবুবুর রহমান, মিলন হোসেন, নাজমুল হক, নজরুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, শ্রী অরুপ কুমার, তালাশ মাহমুদ প্রমুখ। প্রধান অতিথি ফারিয়ার ৫ দফা দাবি আদায়ে ফারিয়ার পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যাক্ত করেন।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




বর্তমান সরকারের আমলে বিরোধী দলের কোন মানুষের প্রতি অত্যাচার করা হয় না

স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা আছেন তারা একটু উপলব্ধী করে দেখেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কতটা উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের উন্নয়নের কথা ভেবে, আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎতের কথা ভেবে হলেও আপনারা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেন।
তাছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে বিরোধী দলের কোন মানুষের প্রতি অত্যাচার করা হয় না। আর এটাই হলো আওয়ামী লীগ সরকারের নিতি।
শনিবার বিকালে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যেগে এক গনসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সকল কথা বলেন জনাপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল।
তিনি বলেন, প্রতিবছর দেশ ৮ ভাগ করে সামনের দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কোন মানুষের আশা অপূরণ থাকবে না। সকল মানুষের আশা পূরণ করা হবে।
সকল গ্রামকে পরিনিত করা হবে শহরে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে যাদের ঘর নেই, তাদের সকলের জন্য ঘরের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হবে।
এদিকে, দারিয়াপুর গ্রামবাসীর দাবী দারিয়াপুর খেলার মাঠকে মিনি স্টেডিয়াম হিসাবে দেখতে চাই। তাদের এই দাবী মেনে নিয়ে দারিয়াপুর খেলার মাঠকে মিনি স্টেডিয়াম করে দেবার ঘোষনা দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
উক্ত অনুষ্ঠানে দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুস্তাকিম হক খোকনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, মুজিবনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়্বূ হোসেন, মোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ, দারিয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল বারী বকুল, মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু প্রমুখ।

মুজিবনগর অফিস




মোনাখালীতে মিডার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী শিক্ষা উন্নয়ন সংঘ (মিডা) এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও নব নির্বাচিত কমিটির অভিষেক উদযাপিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মোনাখালী বাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চ্যেয়ারম্যান মফিজুর রহমান (মফিজ) ।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চ্যেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ডাবলু, মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বর মফিজুর রহমান, ২নং ওয়ার্ড মেম্বর দুল্লুফ হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বর রেজাউল হক, মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী প্রধান শিক্ষক হাজী মো: সাদেক আলী, মোনাখালী দারুল আরকাম মাদরাসার শিক্ষক মো: ওমর ফারুক, মেহেরপুর কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি প্রভাষক খন্দকার মুইজ উদ্দীন, আব্দুল খালেক।
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ মনিরুল ইসলাম মুহিনকে সভাপতি ও আল- ইকরাম সোহাগকে সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট ২ বছর মেয়াদি মিডার নতুন কমিটির তালিকা ঘোষনা করেন এবং মিডার নিজেস্ব লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারি জমির বন্দোবস্ত করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
মিডার ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে ফুলেল শুভেচ্ছা

আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

গতকাল শনিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক তাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে একটি গতিশীল সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবে।

এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবলু, সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল জলিল, জহির উদ্দিন, আব্দুস সাত্তার, মন্টু জোয়ার্দ্দার, মুকুল হোসেন, জামাল উদ্দিন, সবুজ জোয়ার্দ্দার, সাইফুদ্দীন জোয়ার্দ্দার, আশিকুজ্জামান, মোজাম্মেল হক, আরিফ হোসেন, ইসলাম উদ্দিন,মিরাজুল হক, শিপন মেম্বার, জলিল মেম্বার, খবির উদ্দিন, শাকিল হোসেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক সাদিব ইসলাম, মহির উদ্দিন, মজিবর রহমান, রোভন, বকুল প্রমুখ।

এছাড়াও ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন ও থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমানকে ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়।
আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




কুষ্টিয়ায় বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

তিন দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনকে অদম্য গতিশীল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুষ্টিয়া জেলা শাখা সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন সভাপতি জনাব শাহ মো: মামুন ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জনাব কাজী সালাউদ্দিন দিদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তারিক আহমেদ রিঙ্কু ।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি




মুজিবনগরে ভৈরবে ডুবে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় ভৈরব নদে ডুবে নাসিম নামে ২ বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে।
গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গোপালনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নাসিম আনন্দবাস গ্রামের সোহাগ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নাসিম কয়েক দিন আগে গোপালনগর নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে শনিবার বিকালে নাসিম ভৈরব নদের পাড়ে খেলতে গিয়ে কখন পানিতে পড়ে যায় কেউ দেখেনি। বাড়ির লোক অনেক খোঁজা খোঁজি করলেও খুজে পায় না । পরে এক মহিলা নদীতে গোসল করতে গেলে ঐ শিশুর লাশ পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুুুুজিবনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনাা করে।

মুজিবনগর অফিস