জীবননগর ও আলমডাঙ্গায় বিশ্ব খাদ্য দিবস ও ইদুর নিধন দিবস পালিত

জীবননগরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে বিশ্ব খাদ্য দিবস ও ইঁদুর নিধোন দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ব খাদ্য দিবস ও ইঁদুর নিধোন দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালীবের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ হলরুমে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ

সালাম ঈশা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী,সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন,উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আযাদ,উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার,ফুড অফিসার আঃ খালেক প্রমুখ।আলোচনা সভা শেষে উজেলার শ্রেষ্ঠ কৃষক হিসাবে কৃষক হযরত আলীর হাতে অতিথিগন পুরস্কার তুলেদেন ।উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন নজরুল ইসলাম ।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাতীয় ইদুর নিধন অভিযান উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‌্যালী প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন। তিনি বলেন ঈদুর এমন একটি প্রানী তাদের একক ভাবে নিধন করা সম্ভব নয়,ইদুর আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে,বাড়ীতে বাড়ীতে জামাকাপড় কেটে নষ্ট করে,প্রতিবছর এক জোড়া ইদুর ৩ হাজার ইদুর জন্ম দিতে পারে, এরা প্রতিছর ৫শত মেঃ টন খাদ্যশস্য ধ্বংস করে, তাই আমরা সম্মিলিত ভাবে ইদুর নিধন অভিযানে অংশ নিতে হবে। অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সোহেল রানার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন সর্বচ্চ ইদুর নিধন করি কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোফাক খাইরুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, উপজেলা খাদ্য গুদাম রক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক,উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিন রেজা, উপজেলা কৃষি অফিসের এসএপিপিও স্বপন কুমার সিংহ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা , নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শর্ষিতা তাবাচ্ছুম, রুপা আক্তার, তহমিনা পারভিন, আমিরুল ইসলাম, রহিমা খাতুন, প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর প্রতিনিধি




কুষ্টিয়ায় কৃষক হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ ৪ জনের ফাঁসি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার কৃষক হানিফ আলী খামারুর হত্যা মামলায় হানিফের স্ত্রী সহ ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন।

দ-প্রাপ্তরা হলেন- ভেড়ামাা উপজেলার আড়কান্দি এলাকার লরু প্রামাণিকের ছেলে শ্যামল প্রামাণিক (২৭), বাদশা আলীর ছেলে আসমত আলী ম-ল (৪৭), মিরাজ উদ্দিনের ছেলে মুকুল হোসেন (২৮) এবং নিহত হানিফ আলীর স্ত্রী দোলেনা বেগম (৪২)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১০/৪/২০১৭ খ্রিঃ তারিখ রাত ১.০০ টায় আসামি মুকুল, আসমত এবং শ্যামলের সহায়তায় ঘটনাস্থল মাধবপুর মৌজার আবুল মাস্টারের পতিত জমিতে মুকুল প্রথমে কৃষক হানিফ খামারুর গলায় গামছা পেঁচিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর আসামি আসমত দুই পা চেপে ধরে। আসামি শ্যামল তার বুকে চেপে ধরে। অতঃপর আসামি মুকুল একটি ছোরা দিয়ে তাকে গলায় নৃশংস ভাবে পোঁচ দিয়ে হত্যা করে। আসামি মুকুল ব্যবহৃত ছোরাটি আসামি আসমতকে দিয়ে দেয়। তারা ৩ জন মরদেহ উক্ত স্থানে ফেলে রেখে চলে আসে।

পরের দিন সকালে হানিফ বাড়িতে ফিরে না আসায় তার স্ত্রী দোলেনা বেগম, তার চাচাতো ভাই মুকুল সহ অন্যরা খোঁজ করে এবং বাদী আমিরুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে খবর দেয়। তখন বাদী দিনাজপুর নুরিয়া দরবার শরীফে কর্মরত ছিল। সে বাড়িতে ফিরে এসে মামলা দায়ের করেন।

ঘটনা তদন্তে জানা যায় যে, গত ০৬/০১/২০১৭ খ্রিঃ তারিখ ৫.৪৫ টায় আরকান্দি মন্ডলপাড়ায় একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। উক্ত মারামারির ঘটনায় মো. ইয়াসিন আলী প্রামাণিক ও তার পুত্র ময়নুল প্রামাণিক গুরুতর জখম হয়। উক্ত ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় মামলা নং-২, তারিখ ০১/০৮/১৭ খ্রিঃ দাখিল হয়। এই মামলায় ইয়াসিন আলী ও তার পুত্র ৯/১০ দিন রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসা নেয়ার পর ইয়াসিন আলী মারা যায়। এই ইয়াসিন আলী মারা যাওয়ার ঘটনায় মুকুলের ভাই সহ প্রায় ১৫ জন আসামি হয়। যেহেতু মুকুল ও তার আত্মীয় স্বজন এই হত্যা মামলায় আসামি হয়, সেহেতু এই মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবং ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তারা হানিফকে হত্যা করে। পরবর্তীতে মৃত হানিফ খামারুর হত্যাকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার পূর্বে এই মামলা রুজুর প্রেক্ষাপটে সিডিআর, কললিস্ট ও তাদের কথোপকথন শুনে তদন্তপূর্বক আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানার অভিযোগপত্র নং-৯২, তারিখ ১৫/৬/১৭ খ্রিঃ দাখিল করেন।

কুষ্টিয়া কোর্টের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দি জানান, পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় আদালত লরু প্রামাণিকের ছেলে শ্যামল প্রামাণিক (২৭), বাদশা আলীর ছেলে আসমত আলী ম-ল (৪৭), মিরাজ উদ্দিনের ছেলে মুকুল হোসেন (২৮) দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদ-ের আদেশ দেন। অপর আসামি মৃত হানিফ আলীর স্ত্রী দোলেনা বেগম (৪২) কে পেনাল কোডের ৩০২/১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. আবু জাফর সিদ্দিকী ও মোছা. আয়েশা সিদ্দিক।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

 




ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ১৬তম নুহান

মেহেরপুর সদর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মজিবর রহমান এবং নিলুফা রহমান দম্পতির ছেলে নাইমুর রহমান নুহান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১৬ তম স্থান অর্জন করেছে।
নাইমুর রহমান নুহান ২০১৭ সালে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে গোল্ডেন এ প্লাস পাই।
২০১৯ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও গোল্ডেন এ প্লাস পাই। নুহানের উজ্জল ভবিষৎ কামনা করে সকলের কাছে দোওয়া কামনা করেছেন তার বাবা-মা।

নিজস্ব প্রতিনিধি




২৭ অক্টোবর গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না!

আগামি ২৭ অক্টোবর মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছেনা। গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন ওই সময় সরকারি সফরে বিদেশে থাকবেন বলে সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।

গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বিষয়টি মেহেরপুর প্রতিদিন কে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন আগামি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভনা রয়েছে। এ দিকে গাংনী সম্মেলন কে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে দু’টি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে

বিষেদাগার মূলক কর্মসূচি গ্রহন করে পুরো গাংনীতে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
সভাপতি পদে একক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদে দু’টি গ্রুপ থেকে ডজনেরও অধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।

গাংনী প্রতিনিধি




কুষ্টিয়ায় লালন শাহের ১২৯ তম তিরোধান দিবসের উদ্বোধন

বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১২৯তম তিরোধান দিবস পালন উপলক্ষ্যে লালন একাডেমি চত্বরে তিন দিনব্যাপী লালন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে । বুধবার রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেঁউড়িয়াতে তিরোধান দিবসের তিন দিনের এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ.কা.ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ্, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি ড. খ: মহিদ উদ্দিন বিপিএম (বার), কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত পিপিএম ,(বার), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, বিজ্ঞ পিপি এড. অনুপ কুমার নন্দী, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব-কেপিসি’র সভাপতি আলহাজ্ব রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহিনুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও লালন একাডেমীর সহ-সভাপতি আজাদ জাহান। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও লালন একাডেমীর এ্যডহক কমিটি সদস্য সচিব এম.এ মোহাইমিন আল জিহান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো: আসলাম হোসেন।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি




তুরস্কের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

 

সিরিয়ায় তুরস্কের হামলাকে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। এই হামলা বরদাশত করা হবে না বলেও জানিয়েছে দেশটি। সিরিয়ায় মস্কোর বিশেষ দূত আলেকজান্দ্রার লাভ্রেনতেভ বলেছেন, ‘এটা (তুরস্ক-সিরিয়া সংঘাত) একেবারেই অগ্রহণযোগ্য…অবশ্যই আমরা এটা বরদাশত করব না।’

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দিদের পক্ষে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের গত সপ্তাহে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘোষণা মাত্রই সিরিয়ার সীমান্ত এলাকায় সেনা জড়ো করে কুর্দিদের ওপর হামলা শুরু করে তুরস্ক। এই হামলায় তুরস্কের সঙ্গে রয়েছে সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধারা। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণায় হঠাৎ বিপাকে পড়ে যাওয়া কুর্দিরা শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর সহায়তা চেয়ে চুক্তি করেছে। যদিও কুর্দি নেতা জানিয়েছেন, তাঁরা রাশিয়া ও সিরিয়ার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না।

আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান মিত্র। সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় সিরিয়ায় মস্কোর বিশেষ দূত আলেকজান্দ্রার লাভ্রেনতেভ তুর্কি হামলাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আগের চুক্তি অনুসারে, তুর্কি সেনাদের সিরিয়ার অভ্যন্তরে মাত্র ৫-১০ কিলোমিটার প্রবেশের এখতিয়ার রয়েছে। আর তুর্কিদের সেখানে স্থায়ীভাবে সেনা মোতায়েনের কোনো অধিকারও নেই। তিনি বলেন, সংঘাত এড়াতে সিরিয়া তুরস্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

কুর্দিদের হটাতে সিরিয়ার উত্তরের শহর মানবিজে ঢুকে পড়েছে তুর্কি বাহিনী। ছবি: এএফপি

কুর্দিদের হটাতে সিরিয়ার উত্তরের শহর মানবিজে ঢুকে পড়েছে তুর্কি বাহিনী। ছবি: এএফপি

লাভ্রেনতেভ নিশ্চিত করেছেন, কুর্দি ও সিরিয়া সরকারের মধ্যে চুক্তির ব্যাপারে রাশিয়া মধ্যস্থতা করেছে। চুক্তি অনুসারে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী সিরিয়ার সেনাদের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পাওয়ার বিনিময়ে তাদের (কুর্দি) নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল দেশটির কাছে সমর্পণ করেছে।

২০১৫ সাল থেকে রুশ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে সিরিয়ায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সিরিয়া ও তুরস্কের মধ্যের ‘সংযোগ রেখায়’ রুশ সেনারা টহল দিচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, সিরিয়ার আইন ইসা শহরের কাছে মার্কিন সেনাদের দিকে এগিয়ে আসা তুর্কি সমর্থিত বাহিনীকে শক্তি প্রদর্শনে এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ও অ্যাপাচি হেলিকপ্টার গানশিপ মোতায়েন করা হয়েছে। চুক্তি ভঙ্গ করা ওই সেনারা মার্কিন বাহিনীর জন্য হুমকি নয়।

সীমান্তে স্থল হামলায় তুর্কিদের প্রধান মিত্র সিরিয়ার সাবেক বিদ্রোহীরা। তারা সিরিয়ার অভ্যন্তরে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকে পড়লেও রাস আল-আইনে কুর্দিদের শক্তিশালী প্রতিরোধের মধ্যে পড়ে। ছবি: এএফপিসীমান্তে স্থল হামলায় তুর্কিদের প্রধান মিত্র সিরিয়ার সাবেক বিদ্রোহীরা। তারা সিরিয়ার অভ্যন্তরে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঢুকে পড়লেও রাস আল-আইনে কুর্দিদের শক্তিশালী প্রতিরোধের মধ্যে পড়ে। ছবি: এএফপিকুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সকে (এসডিএফ) লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে তুর্কি সেনারা। ওই অঞ্চল থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নির্মূলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করে এসডিএফ। তবে তুরস্ক উল্টো এসডিএফকে জঙ্গি সংগঠন বলে মনে করে। তুরস্ক সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ‘নিরাপদ এলাকা’ গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়ে সেখানে তুরস্কে অবস্থান নেওয়া সিরিয়ার শরণার্থীদের বড় একটি অংশকে পুনর্বাসনের কথা বলছে। তবে শরণার্থীদের অনেকেই কুর্দি না হওয়ায় তুরস্কের এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে কুর্দিরা জাতিগত নিধনের শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করছেন সমালোচকেরা।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, তুরস্ক হামলা চালানোর পর সেখানে ডজন ডজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। কমপক্ষে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।

সূত্রঃ প্রথম আলো




ভেঙে যাচ্ছে সিদ্দিক-মিমের সংসার

অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের প্রেমের টানে স্পেনের বিলাসী জীবন ছেড়ে ছুটে এসেছিলেন মারিয়া মিম। পরিবারের সম্মতি নিয়ে ভালোবেসেই ঘর বেঁধেছিলেন দুজন। সেই ঘর আলোকিত করেছে এক পুত্রসন্তান। সুখের গানে মুখরিত হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে আজ ভাঙনের বিষাদ সুর। ঠিক তাই। দাম্পত্য কলহের জেরে ভেঙে যাচ্ছে জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকের সংসার।

২০১২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ২০১৩ সালের ২৫ জুন তারা পুত্রসন্তানের বাবা-মা হন। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই নানা কারণে সিদ্দিক-মিমের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। বাধ্য হয়ে তিন মাস ধরে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা থাকছেন মিম।

তিনি জানান, অনেক কারণেই একজন আরেকজনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। তার মধ্যে মিমের সবচেয়ে বড় অভিযোগ কাজের স্বাধীনতা নিয়ে। মিম চান শোবিজে কাজ করতে; কিন্তু সিদ্দিকের এতে আপত্তি। তিনি নানাভাবে তাকে বাধা দেন।

সম্প্রতি একটি ঘটনার কথাও জানান মিম, যেখানে সিদ্দিক আড়ালে থেকে তার কাজে বাধা দিয়েছেন।




স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে

নিরামিষভোজীদের ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিলেও বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের ঝুঁকি। সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।

নিরামিষভোজীদের ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দিলেও বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের ঝুঁকি। সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া এক গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণাটি, ১৮ বছর ধরে ৪৮ হাজার মানুষের ওপর পরিচালনা করা হয়েছে। প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে নিরামিষভোজীদের মধ্যে করোনারি হৃদরোগীর সংখ্যা মাংসাশীদের তুলনায় ১০ জন করে কম পাওয়া গেছে। কিন্তু স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা তিনজন করে বেশি পাওয়া গেছে।

ডায়েট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের খাদ্যাভ্যাস যেমনই হোক না কেন, বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্র্যময় খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো।

গবেষণায় নতুন কি পাওয়া গেছে?

এপিক-অক্সফোর্ড স্টাডি মূলত একটি দীর্ঘ মেয়াদি গবেষণা প্রকল্প- যা দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের খাদ্যাভ্যাস এবং স্বাস্থ্য নিয়ে পরীক্ষা চালায় তাদের তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গবেষণায়।

১৯৯৩ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অর্ধেকই ছিলেন মাংসাশী। ১৬ হাজারের কিছু বেশি ছিলেন নিরামিষভোজী। আর সাড়ে সাত হাজার অংশগ্রহণকারী জানান যে, তারা আহার হিসেবে মাছ খেতেন।

অংশগ্রহণের সময় এবং ২০১০ সালে আবার নতুন করে এসব অংশগ্রহণকারীদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তাদের স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য, ধূমপান এবং শারীরিক কর্মকান্ডের বিষয়গুলোও আমলে নেয়া হয়েছিল।

সব মিলিয়ে, করোনারি হৃদরোগ বা সিএইচডির সংখ্যা মেলে ২৮২০টি, স্ট্রোকের সংখ্যা ১০৭২টি, যার মধ্যে ৩০০টি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোকের ঘটনাও রয়েছে। মস্তিষ্কের দুর্বল শিরা ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে এ ধরনের স্ট্রোক হয়।

মাংসাশীদের তুলনায় মাছভোজীদের মধ্যে সিএইচডির ঝুঁকি ১৩ ভাগ কম ছিল।

আর নিরামিষভোজীদের মধ্যে এই হার ২২ ভাগ কম ছিল। কিন্তু যারা উদ্ভিদ ও শাকসবজি খেয়ে জীবন ধারণ করেন বা যারা নিরামিষভোজী, তাদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০ ভাগ বেশি ছিল।

গবেষকদের ধারণা, ভিটামিন বি১২ এর অভাবের কারণে এই ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তবে তারা বলেন যে, এর প্রকৃত কারণ খুঁজে পেতে হলে আরো গবেষণার দরকার রয়েছে।

এমনও হতে পারে যে, খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে আসলে এর কোনো সম্পর্ক নেই। বরং যারা মাংস খায় না তাদের জীবনের অন্যান্য কারণের জন্যই হয়তো এই ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। প্রতিরাতে শুধু মাংস আর আলু নয় বরং বৈচিত্র্যময় খাবার খেতে হবে।

তার মানে কি নিরামিষভোজী অস্বাস্থ্যকর?

ব্রিটিশ ডায়েটিক এসোসিয়েশনের ডা. ফ্রাঙ্কি ফিলিপস বলেন যে, এটা নাও হতে পারে। কারণ এই গবেষণাটি শুধুমাত্র একটি পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণা মাত্র।

‘তারা শুধু পর্যবেক্ষণ করেছে যে, মানুষ কি খায় এবং তাদের বছরের পর বছর ধরে অনুসরণ করেছে, এটা শুধু সম্পৃক্ততাই জানান দেয়, কারণ বা প্রভাব সম্পর্কে বিশ্লেষণ করে না,’ তিনি বলেন। ‘সবার জন্য বার্তা হচ্ছে, সবচেয়ে ভালো একটি পরিকল্পিত খাদ্যাভ্যাস এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া।’

‘মাংসাশীরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের খাবার খায় না। কারণ তারা প্রতি রাতে খাবার হিসেবে মাংসই খায় এবং কোনো ধরনের শাকসবজি খায় না।’ গবেষণা শুরুর পর থেকে কি মানুষের খাবারে পরিবর্তন এসেছে? ২০১০ সালে গবেষকরা আবার অংশগ্রহণকারীদের কাছে গিয়ে তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল।

কিন্তু ডা. ফিলিপস বলেন, নিরামিষভোজীদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তিত হয়েছিল। ‘এই তথ্যগুলো কয়েক দশক আগে সংগ্রহ করা হয়েছিলো,’ তিনি বলেন।

‘স্বাভাবিকভাবেই আজ থেকে ২০ কিংবা ৩০ বছর আগে নিরামিষভোজীদের

সঙ্গে আজকের নিরামিষভোজীদের পার্থক্য তৈরি হয়েছে।’

‘নিরামিষভোজীদের খাবারের পরিধি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এগুলো এখন মূল ধারার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।’ আমরা এখন অনেক বেশি মাত্রায় প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে অনেক বেশি জানি- যা অন্ত্রের ক্যান্সার তৈরি করে।

দিনে কমপক্ষে ৫ ভাগ ফল এবং শাকসবজি খান

মূল খাবার হিসেবে উচ্চমাত্রায় আঁশসম্পন্ন এবং শ্বেতসার বহুল খাবার যেমন আলু, রুটি, ভাত কিংবা পাস্তা রাখা উচিত।

প্রোটিন ভুলে গেলে হবে না- চর্বিহীন মাংস, মাছ, সামুদ্রিক খাবার, ডাল, তফু কিংবা লবণহীন বাদাম খেতে হবে।

দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার থাকতে হবে

* উচ্চ মাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার, চিনি কিংবা লবণ যত কমানো যায় ততই ভালো।

* কিন্তু যারা নিরামিষভোজী তাদের নির্দিষ্ট কিছু পুষ্টি গ্রহণ সম্পর্কে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

* উদাহরণস্বরূপ, যারা মাংস, দুগ্ধজাত খাবার এবং মাছ খায় তারা পর্যাপ্ত ভিটামিন বি১২ পায়- যা স্বাস্থ্যকর রক্ত এবং স্নায়ুতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়।

* যাই হোক, যদিও সকালের নাস্তার বিভিন্ন সিরিয়াল এবং ইস্টসমৃদ্ধ খাবারে ভিটামিন বি১২ থাকে তবুও নিরামিষভোজীদের মধ্যে এই ভিটামিনের অভাব দেখা দিতে পারে।

উদ্ভিদজাত খাবার থেকে আয়রনও কম পাওয়া যায়। যারা মাংস খান না তাই তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে তারা যাতে নিয়মিত গমের রুটি, আটা, শুকনো ফল এবং ডাল খান। এ ছাড়া গত মাসে নিরামিষভোজীদের আহ্বান জানানো হয়েছিল, তারা যাতে মস্তিষ্কের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন কোলিন পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করেন।

সূত্র: যায়যায়দিন



বিকল্প জ্বালানির নতুন ব্যবহার

বিকল্প জ্বালানিচালিত মোটরগাড়ির ধারণাটি এখনো অনেকের কাছে আজগুবি মনে হতে পারে। কিন্তু গবেষকদের তৎপরতায় অর্জিত অগ্রগতির ফলে সে রকম ভাবনা থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। ‘নর্থ আমেরিকান অটো শো’ শীর্ষক মোটরগাড়ি প্রদর্শনীতে চলতি বছর হাইড্রোজেনচালিত গাড়িও ঠাঁই পেয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের আরো দ্রম্নত এগিয়ে যেতে হবে। বিদু্যৎচালিত গাড়ির বাজার এত দ্রম্নত বিস্তৃত হচ্ছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে জ্বালানি ব্যয় ১ হাজার ৩০০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড কমে যাবে- নতুন এক গবেষণায় এমনই তথ্য মিলেছে। পশ্চিমা বিশ্বের পাশাপাশি চীনও থেমে নেই। সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলোর তালিকায় চীনও রয়েছে। দেশটি কয়েক সপ্তাহ আগে তাদের প্রথম হাইড্রোজেনচালিত ট্রাম চালু করেছে। বর্তমান বিশ্বে হাইড্রোজেন গ্যাসের ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে। এ হাইড্রোজেন যেমন অবিশুদ্ধ, তেমনি এর উৎপাদন খরচও অনেক বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী এবার জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহারের একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। মোটরগাড়িতে এ গ্যাস ব্যবহার করাটা যেমন সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হবে, তেমনি গাড়ির গতিও হবে তুলনামূলক বেশি।বিজ্ঞানীরা শস্যের পরিত্যক্ত অংশ থেকে ওই হাইড্রোজেন জ্বালানি উৎপাদন করবেন। ফলে ভবিষ্যতে হয়তো একসময় রাস্তার আশপাশে পেট্রলপাম্পের জায়গা দখল করে নেবে জৈব জ্বালানি উৎপাদন কারখানাগুলো। ভার্জিনিয়া টেকের বিজ্ঞানীদের ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

হাইড্রোজেন জ্বালানি হিসেবে যেমন ব্যবহারের উপযোগী, তেমনি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারে। তবে কম দামে এবং কার্বননিরপেক্ষ উপায়ে হাইড্রোজেন উৎপাদনের জন্য নতুন প্রযুক্তি প্রয়োজন। ভার্জিনিয়া টেকের গবেষক পার্সিভ্যাল ঝ্যাং বলেন, তাদের উদ্ভাবিত নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করলে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমতে পারে। আর হাইড্রোজেনই হবে ভবিষ্যতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জৈব জ্বালানি।

ঝ্যাং ও তার সহযোগীরা নতুন ওই পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিমাণে হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যে গবেষণার জন্য ইতোমধ্যে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন। তাদের ওই পদ্ধতিতে ভুট্টাজাতীয় শস্যের বর্জ্য হিসেবে জমে থাকা চিনির শতভাগই হাইড্রোজেন গ্যাসে রূপান্তরিত করা সম্ভব। এতে বায়ুমন্ডলে কোনো কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গমন হবে না। আর এ পদ্ধতিতে ভুট্টার খোসা এবং শাঁসেরও সদ্ব্যবহার হবে। চিনির বড় উৎস হিসেবে পরিচিত জাইলোজ থেকে বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেন উৎপাদনের বিষয়টি আগে কেবল তাত্ত্বিক পর্যায়েই সীমাবদ্ধ ছিল।

ভার্জিনিয়া টেকের বিজ্ঞানীদের প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে হাইড্রোজেন উৎপাদনে কোনো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হবে না। পাশাপাশি কোনো ভারী ধাতব পদার্থ ব্যবহারেরও প্রয়োজন নেই। মূলত প্রক্রিয়াজাত চিনি থেকেই ওই হাইড্রোজেন তৈরি করা হয়। ঝ্যাং বলেন, স্থানীয় জৈব উপাদান থেকে হাইড্রোজেন উৎপাদনের ব্যাপারটি অর্থনৈতিকভাবেও অনেক লাভজনক হতে পারে। আর জৈব জ্বালানি ব্যবহারের এ পদ্ধতি প্রচলিত হলে প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর চাপ কমবে।

নতুন ওই পদ্ধতিতে উৎপাদিত হাইড্রোজেন হবে অত্যন্ত বিশুদ্ধ, যা যানবাহনের জ্বালানি কোষে ব্যবহারের বিশেষ উপযোগী। পদ্ধতিটি জটিল হলেও এর মাধ্যমে উৎপাদিত জ্বালানির কার্যকারিতা শতভাগ। জাইলোজ বা চিনিনির্ভর অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত জৈব জ্বালানি (যেমন ইথানল ও বিউটানল) এতটা কার্যকারিতা দেখাতে পারে না। ঝ্যাং আগেও হাইড্রোজেন উৎপাদনের একটি পদ্ধতি বের করেছিলেন, কিন্তু তা প্রয়োগ করে বেশি পরিমাণে উৎপাদনে যাওয়াটা অনেক বেশি ব্যয়বহুল ছিল।

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে দীর্ঘদিন ধরে বিকল্প জ্বালানির অনুসন্ধান চলছে। হাইড্রোজেন ব্যবহারের ধারণাটি বেশ পুরনো। মার্কিন জ্বালানি দপ্তর স্বীকার করছে, বিশুদ্ধ ও পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন জ্বালানির ব্যবহার শুরু হলে জীবনযাত্রার ধরনে নাটকীয় পরিবর্তন আসবে।

সূত্রঃ যায়যায়দিন



আলমডাঙ্গায় জাতীয় ইদুর নিধন অভিযান ও বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত

আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাতীয় ইদুর নিধন অভিযান উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‍্যালী প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলী।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন। তিনি বলেন, ঈদুর এমন একটি প্রানী তাদের একক ভাবে নিধন করা সম্ভব নয়,ইদুর আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে,বাড়ীতে বাড়ীতে জামাকাপড় কেটে নষ্ট করে,প্রতিবছর এক জোড়া ইদুর ৩ হাজার ইদুর জন্ম দিতে পারে, এরা প্রতিছর ৫শত মেঃটন খাদ্যশস্য ধ্বংস করে,তাই আমরা সম্মিলিত ভাবে ইদুর নিধন অভিযানে অংশ নিতে হবে।

অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সোহেল রানার উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন সর্বচ্চ ইদুর নিধন করি কৃষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোফাক খাইরুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, উপজেলা খাদ্য গুদাম রক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক,উপ- সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিন রেজা, উপজেলা কৃষি অফিসের এসএপিপিও স্বপন কুমার সিংহ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা , নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, শর্ষিতা তাবাচ্ছুম, রুপা আক্তার, তহমিনা পারভিন, আমিরুল ইসলাম, রহিমা খাতুন, প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার শাহ্ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

-আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি