গাংনীতে স্বামী পরিত্যক্তা মহিলার লাশ উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনীতে পারভিনা খাতুন (৪৩) নামের এক স্বামী পরিত্যক্তা মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় উপজেলার হাড়াভাঙ্গা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পারভিনা কাজিপুর গ্রামের আতর আলীর মেয়ে ও কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাহাতুল্লাহ শালিকা।

গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,হাড়াভাঙ্গা মাদ্রাসা বাজারে পারভিনা নামের এক মহিলার লাশ রয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা এটা সুরতহাল প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে।

কাজিপুর ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু নাতেক জানান, গলায় ওড়না বাধা এক মহিলার লাশ বাজারের একটি দোকনের সামনে রয়েছে সকালে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। তবে ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননী।

কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাহাতুল্লাহ জানান,পারভিনা তার বাড়িতেই থাকবো। কখন কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তিনি জানেননা।
পারভিনার চাচাতো ভাই নবী উদ্দীন জানান,পারভিনা খাতুন গত দু বছর আগে মাথায় সমস্যা হয়। পারভিনার বিয়ে হয়েছিলো পার্শবর্তী বালিয়াঘাট গ্রামের জুলহাসের সাথে। পরে সেখানে দুজনের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

– নিজস্ব প্রতিনিধি

 




গাংনীতে মানসিক প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে মানসিক প্রতিবন্ধী এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে খবির নামের এক লম্পটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হিন্দা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। লম্পট খবির হিন্দা গ্রামের পশ্চিম পাড়ার চায়েন উদ্দীনের ছেলে।

গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান, মানষিক প্রতিবন্ধী এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে খবির নামের এক লম্পটকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ঐ প্রতিবন্ধীর ভাবি খবির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছে যার নং ১০। তাং ১০-১০-১৯ ইং।

প্রতিবন্ধীর ভাবি জানান, ধর্ষণের কারণে তার প্রতিবন্ধী ননদ গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ০৭-০৬-১৯ ইং তারিখে প্রতিবন্ধীর বাড়ির পার্শে একটি পাট ক্ষেতে নিয়ে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট খবির। এরপর গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আলী রেজা জানান, ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হবে। এছাড়া ধর্ষণ মামলার আসামী খবিরকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে।

– নিজস্ব প্রতিনিধি




চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ‘সাধুবাবার’ বিরুদ্ধে

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গান শেখানোর নামে ডেকে নিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত এক ‘সাধুবাবার’ বিরুদ্ধে।
ওই ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ‘ধর্ষণে সহযোগিতার’ অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে।
তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই হবিবর শাহ ওরফে সাধুবাবা পালিয়ে গেছে বলে আলমডাঙ্গা থানার এ এস আই শাহবুদ্দিন লস্কর জানান।
তিনি বলেন, হবিবর শাহ এলাকায় ‘লালনভক্ত’ হিসেবে পরিচয় দেন এবং নিজের বাড়িতে নিয়মিত গান-বাজনা করেন। এ কারণে এলাকার লোক তাকে ‘সাধুবাবা’ বলে ডাকে।
মঙ্গলবার রাতে ওই গ্রামের এক ব্যক্তি থানায় গিয়ে সেই ‘সাধুবাবার’ বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
পুলিশকে তিনি বলেছেন, তার মেয়েকে হবিবর শাহ গান শেখানোর কথা বলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিত। এ ভাবে ষষ্ঠ শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েটিকে হাবিবর ‘নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিলেন’, যা সম্প্রতি জানতে পারেন মেয়েটির বাবা।
অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে হবিবর শাহের এক ‘নারী সহযোগীকে’ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে হবিবর শাহ তার আগেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হন বলে পুলিশের ভাষ্য।
এ এস আই শাহবুদ্দিন লস্কর বলেন, “হবিবর শাহের স্ত্রী এক বছর আগে মারা গেছেন”। তার অনেক নারী সহযোগী আছে। আটক নারী তাদেরই এক জন। সে শিশুটিকে ধর্ষণে সহযোগিতা করত।”
এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে এ এস আই লস্কর জানান।

আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি




কুষ্টিয়ায় এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে বুয়েট ভিসি, পুলিশের সাথে সংঘর্ষ আহত-৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর রায়ডাঙ্গায় আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বুধবার (০৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে কুমারখালীর রায়ডাঙ্গায় ফাহাদের বাড়িতে পৌঁছায় বুয়েটের ভিসি। বাড়িতে প্রবেশ কালে উপস্থিত এলাকার মানুষ জন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে গিয়ে গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়েছেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। এ সময় গ্রামবাসীকে সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ সহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রাম বাসীর অবস্থা বেগতিক দেখে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে পাহারা দিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নেয় পুলিশ।
ওই বাড়িতে পৌঁছার পর ভিসি, ফাহাদের দাদা আব্দুল গফুর ও বাবা বরকত উল্লাহর সঙ্গে কবর স্থানে যান এবং জিয়ারত করেন।
তবে বুয়েট উপাচার্য রায়ডাঙ্গায় মাত্র ১৫ মিনিটের মতো অবস্থান করেন । পরে এলাকা বাসীর তোপের মুখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
ভিসির উপস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ফাহাদের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
এর আগে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য বিকেল তিনটার দিতে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে পৌঁছান ভিসি। সেখান থেকে কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান ভিসি সাইফুল ইসলাম।
এদিকে ভিসি আসছে সে খবরে আগে থেকেই ওই এলাকায় অবস্থাান নেয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৬ অক্টোবর (রোববার) রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী। এরপর তাকে শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবাইকে আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানায়, আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা এবং আবরারের কবর জিয়ারত করতে বিকেল সোয়া চারটার দিকে উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে আসেন বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভিসির গাড়িবহর আবরারের কবরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়ে। এ সময় গ্রামবাসীর বাধা সরিয়ে ভিসিকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। এতে আবরারের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ সহ পাঁচজন আহত হয়।
এ দিকে, অবস্থাা বেগতিক দেখে পেছনের দিকে সরে যায় পুলিশ ও ভিসির গাড়ি বহর। সেই সঙ্গে পুলিশি পাহারায় ভিসিকে ওই গ্রাম থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়। পরে পুলিশের গাড়ি ও ভিসির গাড়ি বহর শহরের দিকে চলে যায়।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:




মেহেরপুর এস কে এস ফাউন্ডেশনের ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার কিটস বিতরণ

মেহেরপুর এসকেএস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওয়াটার এইড‘র সহযোগিতায় ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার কিটস বিতরণ করা হয়। বুধবার দুপুরের দিকে সিভিল সার্জন অফিস মিলনায়তনে এই কিটস বিতরণ করা হয়।
মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. শামীম আরা নাজনীন গ্রহণ করেন। মেহেরপুর জেলার ৩টি উপজেলার জন্য ৫০০ টি কিটস এসকেএস ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। এতে করে ৫০০ ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষা করা যাবে। এস কে এস ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান ডা. শামীম আরা নাজনিন এর হাতে এ সমস্ত কিটস তুলে দেন।
এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল আহমেদ, মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান, এস কে এস এর সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী এনামুল হক, শারমিন বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতি সভায় আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‌্যালী, দূর্যোগ প্রশমন বিষয়ে আলোচনা, দূর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতি মহড়া, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ছাড়াও প্রধান মন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স ও ভিডিও কনফারেন্স নিয়ে আলোচনা।
জেলা প্রশাসক মোঃ আতাউল গনি সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় অন্যদের মাধ্যে সিভিল সার্জন শামিম আরা নাজনীন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইবাদত হোসেন, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম, মৎস্য কর্মকর্তা সায়ফুদ্দীন ইয়াহিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদুল আলম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাহিদা ইসলাম প্রমুখ, জেলা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি মাহাবুব চান্দু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




মেহেরপুরে ৩ দিনের প্রীতি টেষ্ট ম্যাচে স্বাগতিকরা জয়ী

মেহেরপুর মমতা ক্রিকেট একাডেমীর উদ্যোগে মেহেরপুর সরকারী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত ৩ দিনের প্রীতি টেষ্ট ম্যাচে স্বাগতিক মেহেরপুর মমতা ক্রিকেট একাডেমী জয়লাভ করেছে।
মঙ্গলবার শেষ দিনে মেহেরপুর মমতা ক্রিকেট একাডেমী অতিথি দল ঢাকা একাদশ কে ২৬৪ রানের টার্গেট দেয়।
মমতা ক্রিকেট একাডেমীর আলিফের বিধ্বংসী বোলিং এ ঢাকা একাদশ ১০৭ রানে সবাই আউট হয়ে যায়। মেহেরপুর মমতা ক্রিকেট একাডেমীর ১৫৭ রানের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে।
এর আগে মমতা ক্রিকেট একাডেমী তাদের ১ম ইনিংসে ১৮৯ এবং ২য় ইনিংসে এ ১৭৯ রান করে সবাই আউট হয়ে যায়। ঢাকা একাদশ ১ম ইনিংসে এ ৯৭ ও ২য় ইনিংসে এ ১০৭ রান করে। আলিফ ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সাপ্তাহিক গণ শুনানী

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাপ্তাহিক গণ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কক্ষে সাপ্তাহিক এ গণ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে কথা জেলা প্রশাসকের কাছে তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ আতাউল গনি তাদের কথা শোনেন এবং তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এ সময় জেলা প্রশাসক কয়েক জনকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




মেহেরপুরে বাড়ছে দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ত্ববরণসহ ঘটছে প্রাণহানি (ভিডিও সহ)


মেহেরপুরের আঞ্চলিক মহাসড়ক ও সড়ক গুলো এখন শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যানবাহনের দখলে। দিনের পর দিন মৃত্যু’র মিছিল দীর্ঘ হলেও ট্রাফিক পুলিশ দূর্ঘটনা রোধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা জেলায়। গত দু বছর আগে ট্রাফিক পুলিশের তাড়া খেয়ে মটরসাইকেল নিয়ে পালাতে গিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে গাংনীর ভোমরদহ গ্রামের সাবেক এক সেনা সদস্য’র মৃত্যু হয়। পরে জনরোষ থেকে বাঁচতে পালিয়ে যায় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
এলাকাবাসির অভিযোগ মেহেরপুর সড়ক মহাসড়ক অবৈধ যান দাপিয়ে বেড়ালেও অজ্ঞাত কারনে ট্রাফিক বিভাগ নিরবতা পালন করে আসছে। অবৈধ যান চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও নেই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে এসব অবৈধ যান।
গতকাল বুধবার দিবাগত সন্ধ্যায় গাংনীর পোড়াপাড়া নামক স্থানে ট্রাকের ধাক্কায় রাণী খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। সে মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নাহিদুজ্জামানের স্ত্রী। রাণী খাতুন তার শ্বশুরের মোটরসাইকেল চড়ে গাংনী উপজেলা শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় একটি ট্রাক মোটরসাইকেলকে ধাক্কায় দিলে ছিটকে মাটিতে পড়ে নিহত হয় সে।
গাংনীর বাওট বাজারে অদূরে গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বাওট বাজার সংলগ্ন এলাকায় ট্রাক ও হোপার (ধানমাড়াই গাড়ী) মুখোমুখি সংঘর্ষে আক্তারুল ইসলাম (৩৫) নামের এক চালক নিহত হয়েছে। নিহত আক্তারুল ইসলাম গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে ও হোপার (ধানমাড়াইগাড়ী) চালক। এ ঘটনার পরপরই লাশের পাশ দিয়ে মেহেরপুরের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা গেলেও উদ্ধার কিংবা ঘাতক ট্রাক আটক না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য’র বিরুদ্ধে বিভীগীয় মামলা ও কৈফিয়ত তলবের নির্দেশ দেন মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাইক্রোবাস চালক জানান, কাগজ পত্র ঠিক থাকলেও ট্রাফিক পুলিশকে মাসিক চাঁদা দিয়ে তাদের চলতে হয়।
আলগামন চালকরা জানান,ট্রাফিক পুলিশ তাদের আটক করলেও নজরানা দিলেই ছেড়ে দেয়।
কয়েকজন ইটভাটা মালিক জানান, ইটভাটা চলাকালিন সময়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের টাকা নিয়েই লাটাহাম্বার চালানো হয়। টাকা না দিলে গাড়ি ধরে নিয়ে থানায় আটক রাখার হুমকী দেন।
চলতি মাসের ৮ তারিখ (মঙ্গলবার) জেলায় পাখি ভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে চার জনকে রেফার্ড করা হয়েছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে।
গত মাসের ২৪ তারিখে মেহেরপুরের বিসিক এলাকায় পাখি ভ্যানের ধাক্কায় সাংবাদিক ইয়াদুল মোমিন মারাতœক জখম হন। দুই সপ্তাহ ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে নিজ বাড়িতে বিছানাগত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়াও গত ২৮ আগস্ট সদর উপজেলার ইসলামনগর-খোকসা গ্রামের মাঠে স্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান আলমসাধুর ধাক্কায় খেজমত আলী (৫২) নামের এক কৃষক নিহত হন। এর আগে ৯ জুলাই মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মীর মাহবুব (৫৮) বিদ্যালয় থেকে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার সময় গরু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় নিহত হন। গতকাল গাংনীতে রানী খাতুন নামের এক গৃহবধু ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু বরণ করেন।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে প্রায় প্রতিদিনিই গড়ে ১০-১৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় অন্যত্র রেফার্ড করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছে। এই দুর্ঘটনার অধিকাংশই অবৈধ পরিবহনের কারনে ঘটেছে।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এহসানুল কবির আল আজিজ মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিন ১০-১৫ জন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে তিন চাকার অবৈধ পরিবহনের কারণে। বর্ষা মৌসুমে এই দুর্ঘটনার পরিমান অন্য সময়ের তুলনায় বেশি।
মেহেরপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে মাঝে মধ্যে চেকপোষ্ট বসিয়ে এইসব অবৈধ গাড়ি আটক করা হলেও থামছে না এদের চলাচল। গত তিন দিনে মেহেরপুর পুলিশের অভিযানে মাত্র ৩৪টি অবৈধ পরিবহন আটক করা হয়। তারপরও মেহেরপুরের প্রধান সড়কে চোখ রাখলেই দেখা যাবে এদের আধিপত্য।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মেহেরপুরে প্রায় ৭ হাজার ইজিবাইক ও ৩ হাজার শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান বাহন চলাচল করে। যানজট থেকে শুরু করে দুর্ঘটনার প্রধান কারন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এইসব পরিবহনকেই। লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করলেও শুধূ মাত্র খরচের অযুহাত দেখিয়ে পণ্য সরবরাহের কাজে এ সকল অবৈধ যান গুলো বেশি ব্যবহার করে থাকেন। এমনকি ইট ভাটার মালিকরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা পরিচালনা করলেও তারাও এ সকল অবৈধ যানবাহনের মাধ্যমে ইট সরবরাহ করে থাকেন। ফলে সর্বত্রই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ সকল অবৈধ যান বাহন চালালেও প্রশাসনিকভাবে এদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নিতে চোখে পড়ে না। এভাবে চলতে থাকলে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলবে।
মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, অবৈধ নসিমন, করিমনের কারণে আমাদের বড় গাড়ি চালাতে সমস্যা হয়। অবৈধ গাড়িগুলো রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। তাদের এই বেপরোয়ার কারনে অনেক সময় আমাদের দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। এসব অবৈধ যান বাহন ব্যবহার করা হচ্ছে মেহেরপুরের বিভিন্ন পন্যের পরিবেশকের কাজে। বড় প্রতিষ্ঠানের পণ্য বহন করাই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেউই।
এ বিষয়ে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী বলেন, শ্যালো ইঞ্জিন চালিত এইসব অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রন করতে হলে নিজেদের সচেতন হতে হবে। এই সব গাড়ি গুলো যেখানে তৈরি হয় আগে সেই কারখানা বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও অবৈধ যানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং বেশ কিছু গাড়ি আমরা ইতিমধ্যে আটক করেছি।

আলামিন হোসেন ও মর্তুজা ফারুক রুপক




মুজিবনগরে বসত ঘরে আগুন

মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর মাঝপাড়া গ্রামে মজিদ শেখের বসত ঘরে আগুন লেগে পুরো ঘর পুরে তছনছ হয়ে গেছে । এতে ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র সহ ঘরে থাকে একটি ছাগল পুরে ছাই হয়ে গেছে। যার কোন চিহৃই খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার সন্ধায় আগে ছাগল ঘরে সাজাল দেওয়ার সময় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,একটি ছোট ঘরে মৃতঃ হোসেন শেখের ছেলে মল্লিক শেখ(৭০) ও তার স্ত্রী বসবাস করে।ঘরের সাথেই তাদের ছাগলের গোয়াল তৈরি করা আছে। বুধবার সন্ধার আগে প্রতিদিনের ন্যায় ঐ দিনও তিনি ছাগলের কাছে সাজাল দিতে যায়। সাজাল দেওয়ার সময় আগুনের ফুলকি উরে যেয়ে যে কোন ভাবে ঘরের পাশে রাখা পাটখড়িতে লেগে যায়। তার কয়েকমিনিটের মধ্যেই ঘরে লেগে গেলে ভয়াভয় অগ্নিকান্ড শুরু হয়ে যায়। যে আগুন নেভাতে  প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা লেগে যায়।গ্রামের মানুষ সকলে একত্রিত হয়ে পানি ঢালতে ঢালতে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। তবে ঘরের ভিতর থাকা কোন জিনিস ভালো অবস্থায় বের করতে পারে নি। এদিকে ঘরে আগুন লেগে সব পুরে ছাই হওয়ায় নিঃশ হয়ে গেছে মল্লিক শেখ।এত বড় বিপদ থেকে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সক্ষমতা তাদের নেই।

জানা গেছে, মজিদ শেখের ছেলেরা সকলেই আলাদা। মজিদ শেখ ও তার স্ত্রী মাঠ কুরিয়ে তাদের সংসার চালায়। মাঠে যেয়ে ধান, পেয়াজ কুড়িয়ে নিয়ে এসে সেগুলো বিক্রি করে চলে তাদের সংসার।তবে আগুন লেগে ঘরসহ সকল কিছু পরে যাওয়ায় আবার নতুন করে ঘর তৈরি করার সক্ষমতা তাদের নাই।

-মুজিবনগর অফিস