জীবননগরে কোটি টাকা হাতিয়ে লাপাত্তা আদম ব্যাপারী মাসুদ

চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ইরাক সহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নাম করে ভুয়া ভিসা দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মাসুদ রানা জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের মমিন উদ্দিনের ছেলে।

ভুক্ত ভোগীদের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত ১৮-১-১৯ইং তারিখে জীবননগর পৌর শহরের হাইস্কুল পাড়ার আজাদ হোসেনের ছেলে আকমল সাঈদকে ইরাকে ভালো কাজ দেওয়ার নাম করে তার নিকট থেকে ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয় হয়। পরবর্তীতে তাকে ইরাকে পাঠানো হলেও ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত্রে কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় তাকে দুই মাস কোন কাজ কর্ম না দিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়।

গত ১৮ ই আগস্ট ভুয়া কাগজপত্রে অবৈধ ভাবে ইরাকে প্রবেশ করায় ইরাকের পুলিশ তাকে আটক করে । সেই থেকে এ পর্যন্ত আটক আছে ওই যুবক।
এ দিকে আকমল সাঈদের বাবা আজাদ হোসেন বাদি হয়ে মাসুদ রানার বিরুদ্ধে গত ৫ সেপ্টম্বর জীবননগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-৪। এ দিকে একই অভিযোগ করেন উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের বকুলের ছেলে সোহেল ও আরিফ।

তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, মাসুদ রানা ও তার বাবা মমিন উদ্দিন এবং স্থানীয় এক ভূয়া সাংবাদিক ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দানকারীর মাধ্যমে এলাকার বেশ কিছু বেকার যুবকদের বিদেশে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজে আলীসান বাড়ি আর আলীসান জীবন-যাপন করলেও ,মানবতা ও হতাশার মধ্যে জীবন-যাপন করছেন বেকার যুবকরা।

এমন কি নিশ্ব¦ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে মাসুদ রানা বলেন, আমি বিদেশে পাঠানোর নাম করে যে টাকা নিয়েছি তা ঠিক, তাদের তো ইরাকে পাঠিয়েছি তবে সাময়িক সমস্যা হয়েছে তা সমাধান করেছি। উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ এর একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু বিচারের দিন এলেই সে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন মাসুদ রানার বিরুদ্ধে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নামে টাকা নেওয়ার একটা মামলা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জীবননগর প্রতিনিধি:




মুজিবনগরে মা-ছেলের করুণ কাহিনি

শাকিল রেজা, মুজিবনগর:
দুই ভাই নিজের সংসার ও একমাত্র বোন স্বামীর সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ছোট ভাই খুদির সড়ক দুর্ঘটনায় চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে নি;স্ব হলেও প্রতিবন্ধী হয়ে জীবনাযাপন করছেন। অসহায় ভাই-বোনরা খোঁজ না নিলেও তাঁকে ছাড়তে পারেনি মমতাময়ী মা হালিমা খাতুন। ছেলের চিকিৎসার জন্য জমি জিরাত বিক্রি করেও ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি অসহায় মা। প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে অবশেষে ঠাঁই হয়েছে একটি নোংরা ডোবার পাাশে।

নিচে বাশের মাঁচা ও উপরে বস্তা দিয়ে জীর্ণ ঘর বানিয়ে সেখানে বসবাস করছেন বৃদ্ধা মা ও ছেলে। অসহায় এ গল্পটি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার নাজিরা কোনা গ্রামে। শায়েস্তা খাঁন নামের এক জনের করুণায় মা ও ছেলের ঠাই হয়েছে সেখানে।

সরকারী ভাবে অসহায়দের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় পূনর্বাসন করা হচ্ছে। কিন্তু অসহায় এই বৃদ্ধা ও তার প্রতিবন্ধী ছেলের ভাগ্যে জোটেনি তেমন কিছুই। সমাজসেবা অধিদফতর বয়স্ক ভাতার কার্ডের টাকা ও প্রতিবেশিদের সাহায্যের টাকায় কোনরকম খেয়ে দেয়ে দিন কেটে যাচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে মা হালিমা খাতুন ও ছেলে খুদির সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের জীবনের করুণ কাহিনি।

হালিমা খাতুন জানান, তার স্বামি অনেক আগেই মারা গেছেন। তিন ছেলে ও এক মেয়ে তার। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট খুদি। মেয়েটির বিয়ে হয়ে সে শ্বশুড় বাড়ি চলে গিয়েছে। ছেলে দুটো নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। বৃদ্ধা মা ও প্রতিবন্ধী ভাইয়ের কোন খোঁজ রাখেনা তারা।

ছোট ছেলেটিই তার মায়ের দেখাশুনা করতো। কিন্তু কয়েক বছর আগে সে মাঠে কাজ করতে যেয়ে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। ঠিকমত চলাফেরাও করতে পারে না। সারাদিন শুয়ে শুয়ে তার দিন কাটে। তার নামে ভিটা জমিসহ যেটুকু জমি ছিলো সব কিছুই বিক্রি করেছেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু তাতেও তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন নি। ভিটা জমি, ঘরবাড়ি শেষ করে এখন নি:স্ব।

সহায়সম্বল বলতে ছেলের কাছে মা আর মায়ের কাছে ছেলে। পরে তাদের এই কষ্ট দেখে গ্রামের শাঁয়েস্তা খান নামের একজন ব্যাক্তি তার জায়গায় থাকার একটু ব্যবস্থা করে দেন। শাঁয়েস্থা খানের দেওয়া আশ্রয়ে তাদের একটু মাথা গোঁজার ঠাই হয়েছে। বৃদ্ধ মায়ের বয়স্ক ভাতার কার্ডের টাকায় ও প্রতিবেশিদের দেওয়া দানের টাকা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিনানিপাত করছেন মা ও ছেলে।

স্থানীয় মুজিবর খানঁ বলেন, এদের এত কষ্ট দেখে আমাদেরও খুব খারাপ লাগে। আমরাও গরীব, তাই পারিনা তাদের ভালোভাবে সাহায্য করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে। যে যেমন পারে তেমনভাবে সাহায্য করে তাদের কোনরকম আহারটা জুটিয়ে দিচ্ছে। আমরা চাই সরকারের উর্ধতন কর্তিপক্ষ তাদের প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে তাদের বসবাসের একটা ব্যাবস্থা করে দিক।

জমিরা মালিক শাঁয়েস্তা খান বলেন, তাদের এই কষ্টের কথা জানতে পারার পর আমার জায়গায় তাদের থাকার কথা বলি। তারপর তারা সেখানে চারিদিকে বাশের ব্যাড়া দিয়ে ঘিরে মাথার উপর বস্তা দিয়ে বসবাস করছে। তাদের মত একজন অসহায়ের পাশে দাড়াতে পেরে আমি নিজের কাছে ভাল লাগে। কিন্তু এভাবে তাদের কতদিন চলবে। তবে সরকার যদি তাদের পূনর্বাসন করে দিত তাহলে তাদের জন্যে খুবই ভালো হত।
এতে তারা একটু সুখের মুখ দেখতে পারবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: উসমান গনি ‘মেহেরপুর প্রতিদিন’ কে বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের পূর্নবাসন করে দেবার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। তাদের মা ও ছেলেকে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




মুজিবনগরে বীর মুক্তিযোদ্বা দাউদ আলীর লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

মেহেরপুরের মুজিবনগরে বীর মুক্তিযোদ্বা দাউদ আলীর লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক প্রকাশ করেছেন মুজিবনগর উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্বারা।

মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের আনন্দবাস গাজিমতলা রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গ্রাম্য কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এ সময় পুলিশের একটি চৌকষ দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এসময় বিহগলে করুণ সুর বেজে উঠে। মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনি রাষ্ট্রের পক্ষে সালাম গ্রহণ করেন।

এসময় মুজিবনগর থানার ওসি আবদুল হাসেম, বাগোয়ান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলিল, সাবেক ইউনিয়ন কমান্ডার আহসান আলী, ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মালেক, আফজাল হোসেন সহ আরও অনেকে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধা দাউদ আলী (৭৫) মঙ্গলবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে নিজ বাড়িতে ষ্ট্রোকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদীন যাবৎ অসুস্থ্য থাকার পরে মৃত্যুবরণ করেন । মৃত্যুকালে স্ত্রী, ৩ ছেলে, ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন।

-মুজিবনগর অফিস




মেহেরপুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গোৎসব

মেহেরপুরে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু ধর্মের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা। এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হলো দেবী দুর্গাাকে। সারাদিন ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলে শেষ আনন্দ।

মঙ্গলবার সন্ধায় মেহেরপুরের ভৈরব নদে ঢাকের তালে উলু ধ্বনির বাজিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমাগুলো। মেহেরপুর শহরের থানা ঘাট ও শ্বশান ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন করা হয়। এর আগে প্রতিমাগুলোকে নিয়ে মেহেরপুরের বিভিন্ন সড়কে ঘোরানো হয়। উৎসবের শেষ লগ্নে আনন্দে মেতে উঠে ভক্তরা। নির্বিঘ্নে দুর্গা বিসর্জন দিতে পেরে খুশি সনাতন ধর্মাবম্বীরা।

মহাসমারোহে পাঁচ দিন ধরে উদযাপিত হলো শারদীয় দুর্গোৎসব।
এ বছর মেহেরপুরে ৪১টি মন্ডপে দূর্গাপুজার আয়োজন করা। এর মধ্যে মেহেরপুরে ১৩টি, গাংনীতে ২২টি ও মুজিবনগরে ৬টি।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




চির নিদ্রায় শায়িত আবরার

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে দাফন করা হয়েছে  কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামের কবরস্থানে।
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টায়   নিজ বাসার সামনে আবরারের তৃতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

কুষ্টিয়ার আফসার উদ্দিন গার্লস ফাজিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম এই জানাজা পড়ান। এতে সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।

এদিকে মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মরদেহ নিজ গ্রামে পৌঁছালে তা নিয়ে বিক্ষোভ করে এলাকার হাজার হাজার মানুষ। এ সময় তারা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। শত শত মানুষ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে হত্যাকরীদের ফাঁসির দাবি জানায়।

এর আগে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নিহত আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজসহ স্বজনরা ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আবরার ফাহাদের মরদেহ কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের কান্নায় সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

আবরারকে একনজর দেখার জন্য সেখানে আগে থেকে ভিড় জমান শত শত মানুষ। এ সময় আবরারের মরদেহ দেখে উপস্থিত কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।

সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আল-ইকরা জামে মসজিদের সামনে আবরার ফাহাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শত শত মানুষ এই জানাযায় অংশ নেয়। পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ নেয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে। সকাল ৯ টার দিকে আবরারের মরদেহ তার নিজ গ্রাম কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছায়। সেখানে সকাল ১০টায় তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা শেষ হওয়া মাত্রই বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা আবরার হত্যাকারীদের গ্রেফতারসহ ফাঁসির দাবি জানায়। পরে বেলা পৌনে ১১টার দিকে রায়ডাঙ্গা গোরস্থানে আবরার ফাহাদকে সমাহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবরারকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি




বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত মোটরসাইকেল এখন বাজারে

বিশ্বে প্রথমবারের মতো উড়ন্ত মোটরসাইকেল আনছে আরব আমিরাত ভিত্তিক টেলিকমিউনিকেশন কম্পানি ‘ইতিসালাত’। দুবাইয়ে চলমান ‘জিটেক্স টেকনোলোজি উইক’ এ মোটারসাইকেলটি প্রদর্শন করা হয়েছে।

সোমবার ইতিসালাত টুইটারে তাদের অফিসিয়াল আইডিতে উড়ন্ত মোটরসাইকেলের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে।

চার সিলিন্ডার টারবাইন ইঞ্জিনের এ মোটরসাইকেলের নাম দেয়া হয়েছে ‘লাজারেথ এলএম৮৭৪’। এটি মাত্র ৬০ সেকেন্ডেই সড়ক থেকে শূন্যতায় উঠে যেতে পারে।

মোটরসাইকেলটিতে দুই ধরণের মোড রয়েছে। একটি হচ্ছে, রাইডিং মোড। এই মোডে রেখে সড়কে চালানো যাবে। দ্বিতীয় মোড হচ্ছে, ফ্লাইং মোড। সড়ক থেকে ওড়ার জন্য এই মোড ব্যবহার করতে হবে।

লাজারেথ এলএম৮৭৪ মোটরসাইকেল সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি পঞ্চম প্রজন্মের (৫জি) মোটরসাইকেল। এর চারটি চাকা রয়েছে। এতে ভি৮ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ৪৭০ বিএইচপি শক্তি উৎপাদন করতে পারে। মোটরসাইকেলটির ওজন ১৪০ কেজি। ওড়ার সময় এটি ২৪০ কেটি পর্যন্ত বহন করতে পারে।

লাজারেথ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, মোটরসাইকেলটির জন্য জিটেক্স টেকনোলোজি উইকে প্রিঅর্ডার নেয়া হচ্ছে। এর দাম ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

সূত্র: গালফ নিউজ




মেহেরপুরে দুটি সরকারি অফিসে দুদকের অভিযান

মেহেরপুর জেলা সরকারি গ্রন্থাগার অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নাসিরুল্লাহ হুসাইনের নেতৃত্বে অভিযানের দুদকের অন্যান্য কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন।
অভিযানে গ্রন্থাগারের বেশকিছু ভ‚য়া বিল ভাউচার পাওয়া যায়। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কর্মকর্তা জানান কম্পিউটার ক্রয় সংক্রান্ত একাধিক ভুয়া ভাউচার পাওয়া গেছে। এখানে কোন কিছু ক্রয় না করে বিল ভাউচার দেখানো হয়েছে ।
দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক নাসিরুল্লাহ হুসাইন বলেন, জেলা সরকারি গ্রন্থাগার ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরে মেহেরপুর জেলা অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালানো হয় এবং সেখানে কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
নাসিরুল্লাহ হুসাইন এর দেওয়া এক সা¶াৎকারে বলেন, ১০৬ এর অভিযোগের ভিক্তিতে মেহেরপুরের দুটি সরকারী অফিসে অভিযান পরিচালনা করি এর মধ্যে জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের গত ২ বছরের নথি পর্যালোচনা করে দেখেছি বেশ কিছু অনিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে কম্পিউটার ক্রয় বাবদ, বই ক্রয় বাবদ বেশ কিছু ভ‚য়া ভাউচার পাওয়া যায়।
মেহেরপুর জেলা অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযানের সময় আমরা মেন গেট বন্ধ করে দিয়ে প্রত্যেকের কাছে জিঙ্গাসা করেছি। আমি এখানে কোন দালাল পাইনি।
সেবা গ্রহনকারীদের কাছে জানতে চেয়েছি তারা কোন হয়রানির শিকার হচ্ছে কিনা তারা সবাই পজেটিভলি বলেছে, কেউ কোন অভিযোগ দেইনি।

নিজস্ব প্রতিনিধি




ইউজিসির ‘পোস্ট ডক্টোরাল ফেলোশিপ’র জন্য মনোনীত হয়েছেন ড. ইয়াসমিন আরা সাথী

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক ‘পোস্ট ডক্টোরাল ফেলোশিপ’-২০১৯ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী। সোমবার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইবির বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাঃ সাইদুর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে তাঁর গবেষণার শিরোনাম ‘কবিগান : সমাজ পরিপ্রেক্ষিত ও রূপবৈচিত্র’। সূত্র মতে, গতকাল রোববার ইউজিসি’র নিজস্ব ওয়েবসাইটে ‘পোস্ট ডক্টোরাল ফেলোশিপ’- ২০১৯ এর জন্য মনোনীত প্রার্থীদের নাম, গবেষণার শিরোনাম ও গবেষণা তত্ত্বাবধায়কের নাম প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষার্থী ও অধ্যাপক। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ের বাংলা বিভাগ থেকে ¯স্নাতক এবং ¯স্নাতকোত্তর (প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থানসহ) পাশ করে ২০১০ সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি বিভাগটিতে সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত রয়েছেন। ড. সাথী ২০১৬ সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। এতে তাঁর গবেষণার বিষয় ছিলো ‘সমরেশ বসুর উপন্যাসে মধ্যবিত্ত জীবন’। তিনি ১৯৮২ সালের ২৭ নভেম্বর মেহেরপুর জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি হাজী মোঃ রফিকুল ইসলাম ও মনোয়ারা বেগমের প্রথম কন্যা।

ফেলোশীপ ডক্টোরাল ডিগ্রীর জন্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে ড.ইয়াসমিন আরা সাথী মেহেরপুর প্রতিদিনকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার এ অর্জন একক কোনো কৃতিত্ব নয়। বিশ্ব বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভালোবাসা এবং সহকর্মীদের সহযোগিতায় আমি এ সাফল্য অর্জন করেছি।

– ইবি প্রতিনিধি




সনি ব্রাভিয়া ইঞ্জিন ? সনি টিভির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য কি কি ?

সেরা রেজোলিউশন এবং অডিও ভিজ্যুয়াল ইন্টিগ্রেটেড আর্কিটেকচারের জন্য ব্রাভিয়ার পরিচিতি।ব্রাভিয়া ইঞ্জিন ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তির একটি স্যুট যা মোট ডিজিটাল প্রসেসিং স্টুডিও হিসাবে কাজ করে।এটি কোনও সংকেত থেকে চিত্রের মান উন্নত করতে কাজ করে।ফলে আপনি ছবি দেখার সময় পরিষ্কার, এবং আরও প্রাকৃতিক দেখতে পাবেন।

সনি ব্রাভিয়ার কিছু বৈশিষ্ট্য

১।ফ্লাটপ্যানেল, ২।ফুলএইচডি এবং ৪-কে রেজোলিউশান সাপোর্ট, ৩।মোসান ফ্লোএক্সআর২০০ মেগাহার্টস,
৪।ডলবি ডিজিটাল প্লাস সাউন্ড, ৫।স্মার্ট কানেকটিভিটি, ৬।ওইয়াইড কালার এনহেনসার, ৭।কিছু মডেল ৩-ডিসাপোর্টটেড

বাজারে যে কোন ব্রান্ড এবং মডেলের টিভি আপনি কিনতে পারেন তবে সনি ব্রাভিয়া বাংলাদেশের উল্লখযোগ্য ব্রান্ড গুলোর মধ্যে একটি।




কোন ধরনের প্রজেক্টর কিনবেন ?

প্রজেক্টর হলো একটি ইলেকট্রোনিক যন্ত্র যার মাধ্যমে কম্পিউটারের কোন তথ্য, ছবি, ভিডিও বড়স্ক্রিনের মাধ্যেমে দেখানো হয়। বিভিন্ন সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ক্লাসরুম ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবহার দেখা যায়।প্রজেক্টরের মাধ্যেমে কম্পিউটারে রাখা ডেটা অনেক বড় করে প্রদর্শন করে।সময়ের সাথে প্রজেক্টরেরও পরিবর্তন হয়েছে।আসুন যেনে নিই বাজারে কি ধরনের প্রজেক্টর আসছে।

সিআরটি প্রজেক্টরঃ সিআরটি প্রজেক্টর সর্ব প্রথম টেকনোলজির প্রজেক্টর, যেটা সম্পূর্ণ ট্র্যাডিশনাল সিআরটিটিভি’র ন্যায় কাজ করতো।সিআরটি প্রজেক্ট আকারে অনেক বড় ছিল। তিনটি আলাদা কালারের সবুজ, লাল,
এবং নীল স্ক্রীনের উপর ইমেজ তৈরি করার জন্য আলো ছড়াতো। সব আলোর বিন্দুগুলো একত্রিত হয়ে স্ক্রীনের উপর একটি সম্পূর্ণ কালার ইমেজ তৈরি করে।তবে এটি অনেক বেশি ইলেক্ট্রিসিটি খরচ হয়। এটি বর্তমানের এইচডিটিভি, ডিভিডি প্লেয়ারের সাথে কাজ করতে পারে।

এলসিডি প্রজেক্টরঃ এলসিডি প্রজেক্টরের ভেতরে একটি ছোট এলসিডি স্ক্রীন লাগানো থাকে, যেটাতে ইমেজ তৈরি হয়।আর স্ক্রীনের সামনে একটি বিস্তর ম্যাগনিফাইড লেন্স লাগানো থাকে, যেটা ছোট স্ক্রীনের পিকচারের আয়তন বাড়িয়ে দেয়ালে বড় সাইজ ইমেজের সৃষ্টি করে।এলসিডি প্রজেক্টর যথেষ্ট পোর্টেবল হওয়াই সহজেই যেখান সেখানে বহন করা যায়।

ডিএলপি প্রজেক্টরঃ ডিজিটাল মাইক্রো মিরর ডিভাইজ নামক একটি মাইক্রোচিপের সমন্বয়ে ডিএলপি প্রজেক্টর তৈরি করা হয়।এটা উদ্ভবনের পরে লেটেস্ট এলসিডি প্রজেক্টরকেও আদিম টেকনোলোজি বলে মনে হবে।ডিএলপি প্রজেক্টরের মধ্যে একটি আয়তক্ষেত্রাকার চিপের ডিভাইজ আছে যেটার মধ্যে দুই মিলিয়ন মাইক্রোস্কোপিক আয়না থাকে।এই চিপের মধ্যে থাকা দুই মিলিয়ন ক্ষুদ্র মিরর পিক্সেল হিসেবে কাজ করে।এবং এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন রঙের আলো পরিচালিত করে স্ক্রীনের উপর বড় ইমেজ তৈরি করে।ডিভিডি, ব্লু-রেপ্লেয়ার যে কোনো ভিডিও সোর্স থেকে এটি বড় স্ক্রীন প্রজেক্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

প্রজেক্টর এর মূল্য ৩২০০ টাকা থেকে ৪৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এখানে থেকে আপনি প্রজেক্টর এর ধরন ও এর মূল্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক