প্রকাশ্যে ঘুরলেও আসামীরা অধরা !

ছাত্রলীগ নেতা তুষার ইমরান হত্যা চেষ্টার ৬ দিন পার হলেও আটক হয়নি কেউই। এলাকাবাসীর অভিযোগ আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশের ধরা ছোয়ার বাইরে । একজন ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা চেষ্টার আসামীরা কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরতে পারে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা তুষারের পিতা মুকুল আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে দির্ঘদিন জড়িত। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আশিক ও তার ক্যাডার বাহীনি দিয়ে আমার ছেলে উপর হত্যা চেষ্টা চালায়। এতে সে মারাত্বক জখম হয়ে বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্মষতায় থাকার পরও আমার ছেলে হত্যা চেষ্টার আসামীরা এখনো কেউ আটক হয়নি। এটা আমার কাছে খভুব দুঃখজনক। আজ ৬ দিন পেরিয়ে গেলো, কেউ আটক নেই অথচ আসামীরা দিব্বি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মুজিবনগর কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরানকে কলেজ গেটের সামনে গত ৩০ সেপ্টেম্রব আশিকসহ কয়েকজন মিলে হত্যা চেষ্টায় চালায়। এতে সে প্রানে বেচে গেলেও ক্ষতবিক্ষত হয় পুরো শরীর এবং তার মাথায় দেওয়া হয় বিশটি শেলাই।

এ ঘটনায় তুষার নিজেই বাদী হয়ে গত বুধবার মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আশিক কে প্রধান করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করা হয়। মামলার অন্য আসামীরা হলো, লিজন ,লিমন , শাকিরুল , অনিক , বান্না , সাব্বির ।

মামলার বিবরণীতে তুষার বলেন, আসামীগণ অত্যন্ত, দুর্র্ধষ, দাঙ্গাবাজ, খুনী প্রকৃতির ব্যক্তি। আসামীদের সাথে আমার তার পূর্বের বিরোধ রহিয়াছে। ঘটনার তারিখে ও সময়ে আমি মুজিবনগর সরকারি কলেজের সামনে গেলে আসামীরা ষড়যন্ত্রমূলক পূর্ব পরিকল্পিত ও দলবদ্ধ ভাবে ঘটনাস্থলে এসে অতর্কিত আমাকে একা পেয়ে ১নং আসামী গালাগালি করতে থাকে। আমি প্রতিবাদ করলে ১নং আসামী সকল আসামীকে ডাক দিলে অন্যান্য আসামী হাতে রামদা, হাসুয়া, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র হাতে ছুটে এসে আমাকে এলোপাথাড়ী মারপিট করিতে শুরু করে। ১নং আসামী অন্য আসামীর নিকট হইতে সরবরাহকৃত রামদা দিয়ে আমার মাথা ল¶্য করিয়া আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে কোপ মারিলে উক্ত কোপ আমার মাথার চাঁন্দির উপর লাগিয়া মারাত্বক রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং আসামী আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা হাসুয়া দ্বারা আমার ঘাড়ে পিছন হইতে কোপ মারিলে উক্ত কোপ আমার মাথার পিছনে লাগিয়া কেটে রক্তাক্ত গুরুতর জখম হয়। ৩নং আসামী আমাকে খুন করার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দ্বারা আমার মাথা ল¶্য করিয়া কোপ মারিলে উক্ত কোপ মাথার পিছনে লাগিয়া মারাত্বক কেটে রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং আসামী তার হাতে থাকা ছিপদা দ্বারা আমার বাম পায়ে হাটুর নিচে কোপ মারিয়া হক কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। আমি মাটিতে পড়িয়া গেলে ৫-৭নং আসামীরা তাদের হাতে থাকা বাশের লাঠি দ্বারা ফোলা, ছেচা, কালশিরা জখম করে এবং সকল আসামীরা আমাকে উপর্যুক্ত ভাবে কুপাইয়া আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্বক জখম কারিয়া দেয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাত আমার মাথায় ২০ (বিশ) টি সেলাই হয় এবং আমার সারা শরীরে কালশিরা ফোলা দাগযুক্ত জখম হয়। সাক্ষীরা ঠেকাইতে আসিলে আসামীরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ী মারপিট করে। আমি নিথর হইয়া মাটিতে পড়িয়া থাকিলে আসামীরা চলিয়া যায়। আসামীগের তান্ডবের ফলে এবং তাদের হাতে ধরালো অস্ত্র থাকার কারনে এলাকার লোকজন আসামীদের সামনে আসতে সাহস পায় না। আসামিরা চালে গেলে তারা উদ্ধার করিয়া মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি এখনও হাসপাতালে ভর্তি থাকিয়া চিকিৎসাররত আছি।

এ বিষয়ে মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত এসআই মোস্তফা বলেন, আসামী আটকের অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা আশা করছি সব আসামীদের দ্রুত আটক করা হবে।




গাংনীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলাগ্রামের একটি মাঠে মহিস চরানোর সময় বজ্রপাতের ঘটনায নৈয়ব আলী (৩০) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। মৃত নৈয়ব আলী ধানখোলা গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় উত্তর আকাশে কালো মেঘ দেখা দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় ভারী বর্ষণ। সাথে প্রচন্ড বজ্রপাত। আধাঘণ্টাব্যাপী ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাত চলেছে। এ সময় মাঠে নিজেদের দুটি মহিষ চরাচ্ছিলেন নৈয়ব আলী। বজ্রাঘাতে মাঠেই তার মৃত্যু হয়। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেেয়ে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।
এমপি ডেস্ক




একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু

চাঁদপুরে বজ্রপাতে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছে।
আজ রবিবার দুপুরে চাঁদপুর তিন নদীর মিলনস্থল বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে বেড়াতে এসে তারা এ ঘটনার শিকার হন।

নিহতরা হলেন কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের সুলতান মিয়ার স্ত্রী অহিদা বেগম (৬০), তার মেয়ে রেহেনা বেগম (৩২)। রেহানার ছেলে ষষ্ট শ্রেণি ছাত্র সাব্বির হোসেন এবং দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সামিয়া আক্তার।

নিহত অহিদা বেগমের মেয়ে শাহিদা বেগম জানান, তার মা, বোন ও তাদের সন্তানদের নিয়ে চাঁদপুর তিন নদীর মিলনস্থল বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় ঘুরতে আসেন। এ সময় বৃষ্টিপাত শুরু হলে তারা একটি বটগাছের নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় টানা বজ্রপাত শুরু হলে তিনিসহ কয়েকজন দৌড়ে অন্যত্র চলে যান। তবে সেখানে ওই বটগাছের নিচে থাকায় বৃদ্ধা মা, বোন এবং বোনের দুই শিশু সন্তান ঘটনাস্থলে মারা যান।

এদিকে আকস্মিক বজ্রপাতের পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় এই চারজনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানিয়েছেন, বজ্রপাতে আহতদের হাসপাতালে আনার পরই তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ বড়ুয়া জানান, নিহতের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এমপি ডেস্ক




যুবলীগ নেতা সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। র‍্যাবের মুখপাত্র সারোয়ার বিন কাসেম এই খবর নিশ্চিত করেন ।

সুনির্দিষ্ট মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। তবে মামলার বিস্তারিত বলতে রাজী হননি র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অবৈধ ক্যাসিনো-সহ নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলা অভিযান চলছে এবং এই পুরো সময়টা ধরেই আলোচনার শীর্ষে ছিলেন এই যুবলীগ নেতা।

একদিনে বাংলাদেশের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই সম্রাটের অবস্থান এবং কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা ধরণের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

এমপি ডেস্ক




মুজিবনগরে যথাযথ মর্যাদায় জন্ম নিবন্ধন দিবস পালিত

মেহেরপুর মুজিবনগর র‍্যালী ও আলোচনাসভার মধ্যে দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনীর নেতৃত্বে জন্মনিবন্ধন দিবসের একটি র‍্যালী বের হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে র‍্যালীটি শহরের প্রধান প্রাধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একই স্থানে এসে এসে শেষ হয়।
এ সময় উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খাঁন,উপজেলা ভাইস চেয়ারমান রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন,উপজেলা এলজিডি ইন্জিনিয়ার শাহীন আক্তার,উপজেলা আনসার ভিডিবি কর্মকর্তা জুয়েল আহম্মেদ, উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া খন্দকার প্রমুখ উক্ত র‍্যালীতে অংশ গ্রহন করে।
র‍্যালী শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনীর সভাপতিত্বে পরিষদ মিলনায়তনে জন্মনিবন্ধন দিবসের আলোচনা

সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এমপি/ মুজিবনগর প্রতিনিধি



মহাজনী কারবারী সেলিনার অত্যাচারে অতিষ্ট গ্রামবাসীর মানববন্ধন

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের শাখারীদাহ গ্রামের এক সুদখোর মহাজনী কারবারী সেলিনা খাতুনের পাতানো ফাঁদে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে হাড়ি পাতিল ব্যবসায়ী পল্টু সহ ঐ গ্রামের কয়েকটি পরিবার।

সুদখোর মহাজনী কারবারি প্রভাবশালী সেলিনা খাতুনের অত্যাচারে অতিষ্ট ঐ পরিবারের সদস্যরা রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদ মোড়ে এক মানব বন্ধন করে। এ সময় তারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসক্লাব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পল্টু, বজলু, নাজের আলী, আলতাফ হোসেন ও ফিরোজ আলী মহাজনী কারবারী সেলিনা খাতুনের বিচার দাবী করেন।

লিখিত অভিযোগে অসহায় ঐ পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা একজন সামান্য হাড়িপাতিলের ব্যাবসায়ী, শাখারীদাহ বাজারের বজলুর মিলের মালিক সেলিনার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে নগদে ও বাকিতে কিছু খুদ, চাউল সরিষার তৈল,নারকেল তৈল নিয়ে থাকি যা বছর শেষে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করিলেও নগদ দেওয়া টাকা জমা না করিয়া চক্রবৃদ্ধি হারে কয়েক শতগুন বাড়িয়ে আমাদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করে, যা সঠিক নয়।

সরোজমিনে ঘটনার সত্যতা জানতে গেলে জানতে ঘটনাস্থলে গেলে পল্টু সহ ভুক্তভোগীরা সহ অনেকে উপস্থিত হয়ে বলেন,আমরা হতদরিদ্র পরিবারের মানুষ, সামান্য হাড়িপাতিলের ব্যাবসায়ের ওপর নির্ভর করে চলে আমাদের সংসার। এর মাঝে বন্ধু সেজে সেলিনা খাতুন, উপকারের নামে আমাদের পেটে খাওয়ার জন্য তার মিলের চাল-খুদ ও তৈল দিয়ে এখন ৬লক্ষ টাকা দাবি করে মিথ্যা মামলা করেছে যা সম্পর্ণ মির্থ্যা ও বানোয়াট। জাল ষ্ট্যাম্পে আমাদের নামে আদালতে মামলা করেছে যা সাজানো ও মিথ্যা। আমরা কিস্তি তুলি কিস্তি দিই কিন্তুু কোন ষ্টাম্পে কোন স্বাক্ষর করিনি অথচ নোটিশ পাঠিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলার শিকার পল্টু বলেন, আমি ছাড়াও তার পাতানো সুদের ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেকে ৫ হাজার টাকার চাল, তৈল নিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এভাবে সে আমার মত গ্রামের আরও অনেক মানুষের কাছ থেকে এভাবে ফাঁদে ফেঁলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

এ ব্যাপারে স্থানিয় জনপ্রতিনিধি ও ইউপি মেম্বর জাহাঙ্গীর আলম জানান,আপনি দেখুন এই বাড়ীতে কি ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া যায়, যায় না। তবে সামান্য কিছু টাকা হয়ত পেতে পারে,যার জন্য অনেক বার স্থানীয় ভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মহাজনী কারবারী সেলিনা খাতুনের নিকট জানতে চাইলে তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যান। এ সময় তার মেয়ে ও স্বামী বলেন, আমরা পল্টু সহ অনেকের কাছে নগদ টাকা পাব যার প্রমাণ ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আছে।

এ দিকে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, এ ভাবে বিনা লাইসেন্সে মহাজনী কারবারী সম্পূর্ণ অবৈধ ও বে-আইনী, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেপ্র/ হরিণাকুন্ডু সংবাদদাতা




পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের আলমডাঙ্গার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম আলমডাঙ্গার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন। গতকাল ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা পুরাতন বাজার শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির ও কালিদাসপুর দূর্গা মন্দির ও স্টেশনপাড়া দূর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার লিটন আলী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সীমা শারমিন, নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদ, খায়রুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( চুয়াডাঙ্গা সার্কেল ) কলিম উল্লাহ, পুলিশ সুপার পতœী, আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম স্বপন, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মুন্সি আসাদুজ্জামান, বিদ্যুৎ কুমার সাহা, মদন কুমার সাহা, অপূর্ব কুমার সাহা, বিশ্বজিত কুমার সাধুখাঁ, সুশীল কুমার ভৌতিকা,অনীল কুমার অধিকারী, মণিন্দ্রনাথ দত্ত, পলাশ আচার্য্য, নয়ন সরকার প্রমুখ।
পূজা মন্ডপ পরিদর্শন কালে জেলাপ্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা মন্ডপের সৌন্দর্য-সৌষ্ঠব, ধর্মীয় ভাবগম্ভীর ও সুষ্ঠু পরিবেশ এবং নিরাপত্তা মূলক প্রশাসনিক পদক্ষেপে সšুÍষ্টি প্রকাশ করেন।




ভেড়ামারায় গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা পুলিশের অভিযানে গাঁজা সহ বিদ্যুৎ (৩০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউপির হাওয়াখালী মাঠ এলাকা থেকে ১ কেজি গাঁজা সহ ১ মাদক বিক্রেতা কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শেখ ওবায়দুল্লাহ’র নির্দেশে এস আই রুবেল’র নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সফল এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। আটক মাদক ব্যাবসায়ী বিদ্যুৎ জেলার দৌলতপুর উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের চাঁন শেখ’র ছেলে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।




গড়াই এ পানি কমছে, বাড়ছে সাপের উপদ্রব

কুষ্টিয়া জেলার পদ্মা ও গড়াইতে পানি কমতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার স্থিতিশীল অবস্থায় থাকার পর শুক্রবার বিকেল থেকে পানি কমতে শুরু করে। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিরমিটার পানি কমে। বর্তমানে পদ্মায় বিপদ সীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে শনিবার সকাল থেকে আবারও পানি স্থিতিশীল রয়েছে। পদ্মার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে পদ্মার অন্যতম শাখা মাথাভাঙ্গা নদীর পানিও। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে পানি বিপদ সীমার নিচে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য দিকে শহরের কোলঘেঁষা প্রবাহিত গড়াই নদীর পানিও কমতে শুরু করেছে। গড়াই রেলসেতু পয়েন্টে শনিবার সকাল ৯ টায় ১২ দশমিক ৪১ সেঃ মিঃ ছিল। এখানে বিপদ সীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেঃ মিঃ। শুক্রবার এ পয়েন্টে পানি ১২ দশমিক ৪৩ সেঃ মিঃ ছিল। এ দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যাকবলিত মানুষের দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে। পানি বাহিত রোগসহ এলাকায় ব্যাপক ভাবে বিষাক্ত সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই পানিতে ভেসে আসছে বিভিন্ন প্রজাতির বিষধর সাপ। এতে দুর্ভোগের সঙ্গে সাপ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পানিবন্দি মানুষের মাঝে। বন্যা কবলিতরা জানান, দৌলতপুর উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৮ গ্রামের ১০ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ গত ১০ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। প্রায় ৩ হাজার পরিবারের বাড়ি ঘরে পানি ঢুকেছে। বাড়ি ঘরে পানি উঠে আসায় বিষাক্ত সাপও ভেসে আসছে। বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ঘরের চালায়, গাছপালায় ও পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে। চিলমারী ইউনিয়নের খারিজাথাক গ্রামের বাসিন্দা ইয়াসিন আলী জানান, প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় সাপ দেখা যাচ্ছে। দিনের আলোতে সাপ গুলোকে দেখা গেলেও রাতের অন্ধকারে কখন ঘরের মধ্যে চলে আসছে তা বোঝা যাচ্ছে না। তাই রাতের বেলায় সাপের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দৌলতপুরের বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। মানুষের মধ্যে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। গত এক সপ্তাহে উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ দিকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারি ভাবে ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। পুলিশের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতের নেতৃত্বে শনিবার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে দুই হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এ সময় পুলিশ সুপারের স্ত্রী শারমিন আক্তার, এডিশনাল এস পি এস এম আল বেরুনী ও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আরিফুর রহমান সহ জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার সংসদ সদস্য আ ক ম সারওয়ার জাহান বাদশাহ দৌলতপুরের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এনামের সঙ্গে সাক্ষাত করলে প্রতিমন্ত্রী বর্ন্যাতদের জন্য তাৎক্ষণিক ১০০ টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেন। দৌলতপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, দুর্গত এলাকায় প্রতিদিন ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই চিড়া, বিস্কুট, তেল, নুডুলস সম্বলিত ৬ হাজার প্যাকেট ও ২২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আরও ২০ মেট্রিক টন চাল ও এক হাজার মেট্রিক টন শুকনা খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শনি ও রোববার সে গুলো বিতরণ করা হবে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন জানান, পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙ্গন দেখা দেয়ার আশংকা থাকায় পর্যাপ্ত শুকনা খাবার, ত্রাণ রয়েছে। সার্বক্ষণিক দু জন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে। সাথে ট্রলারে বিজিবি টহল টিম রয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৯ মেঃ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ বিতরণে কোন অনিয়ম হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। এ দিকে পদ্মা নদীতে গত ২৪ ঘণ্টা তেমন পানি বৃদ্ধি পায়নি। বুধবার বিকালে শূন্য দশমিক ১ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপদ সীমার শূন্য দশমিক ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পদ্মায় বর্তমানে ১৪ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত দুই দিন ধরে পানি স্থিতিশীল রয়েছে। তাদের ধারণা, পানি আর বৃদ্ধি নাও হতে পারে। তবে প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নেমে যেতে আরও কিছুদিন সময় লাগতে পারে। গত এক সপ্তাহে এ উপজেলায় বন্যার পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গতদের খোঁজ খবর নিয়েছেন। এ ছাড়াও কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কালোয়া, কোমরকান্দি ও কল্যাণপুর ভাঙনের কবলে পড়েছে। শিলাইদহ কুঠিবাড়ি রক্ষা বাঁধের ৩০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভেঙ্গে যাওয়া অংশ সিসি ব্লক এবং জিও ব্যাগ ফেলে মেরামতের কাজ শেষ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। পাশাপাশি কুমারখালী উপজেলার মহেন্দপুর এলাকাতেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ফসলের পাশা পাশি এ সব এলাকার বাড়ি-ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ইতো মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যা কবলিতদের ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন।




আলমডাঙ্গার কলা কেন্দ্র পরিদর্শনে সোলায়মান হক ছেলুন জোয়ার্দ্দার

আলমডাঙ্গার কলা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা ১আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক ছেলুন জোয়ার্দ্দার। গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রাঙ্গণে অবস্থিত কলা-কেন্দ্র পরিদর্শনের পূর্বে প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা ও শিল্পিরা ফুল দিয়ে বরণ করেন।
এম পি ছেলুন জোয়াদ্দার ওই প্রতিষ্ঠানের শিল্পিদের নিকট প্রায় ২ ঘন্টা নৃত্য, আবৃতি ও গান শোনেন। তিনি বলেন, আমাদের সমাজ থেকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র হারিয়ে যাচ্ছে। ঝিমিয়েপড়া সাংস্কৃতিকে জাগিয়ে তুলতে চায় সরকার। এর মাধ্যমে তরুণ ছেলে মেয়েরা সমাজকে বিপথগামী হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি নিরাপদ দেশ উপহার দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম প্রসারে সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে।
আলমডাঙ্গা কলা কেন্দ্রের কলা কৌশুলি ও শিল্পিদের তড়িৎ উদ্যেগের কারণে দেশের খ্যাতিপূূূূূর্ণ শিল্পিদের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বর্তমান সরকারের নিকট থেকে আলমডাঙ্গা শিল্পিবৃন্দরা অনেক পুরস্কার প্রাপ্তি হয়েছে। আরো এগিয়ে নিতে হবে চুয়াডাঙ্গা জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে। তিনি আরো বলেন, আলমডাঙ্গায় সাংস্কৃতি শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য দ্রুত একটি কলা-কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এখন থেকে তরুন -তরুনিরা শিল্প চর্চা করে জেলার আরো নাম উজ্জল করবে।
আলমডাঙ্গার কলা কেন্দের প্রতিষ্ঠার সভাপতি ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বের সম্পাদিকা রেবা রাণী সাহার পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার ১ আসনের এমপি ছেলুন জোয়াদ্দার ,বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ^াস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যা. সালমুন আহম্মদ ডন, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, পৌর আ.লীগের সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, থানার অফিসার্স ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, পিন্টু, সুরুজ, টগর, শাকিব প্রমুখ।