ভাত খেলেও বাড়বে না ওজন

বেশির ভাগ মানুষ ওজন বাড়ার ভয়ে ভাত এড়িয়ে চলেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন যে আপনার এটি সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়ার কোনো দরকার নেই। আপনার পছন্দের খাবারের তালিকায় যদি ভাত থাকে তবে তা বাদ না দিয়েও ওজন কমানো সম্ভব। সেজন্য অবশ্য কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নিয়মিত ভাত খেয়েও যে বিষয়গুলো মেনে চললে আর ওজন কমানো নিয়ে চিন্তা করতে হবে না-

১. পরিমিত খান

প্রতিদিন এক কাপ ভাত খান। অতিরিক্ত না খেয়ে ভাত উপভোগ করার এটি সবচেয়ে সহজ উপায়। ভাত বেশি খেলে তখন তা ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই ভাত পুরোপুরি বাদ না দিয়ে বরং পরিমিত খান। সেইসঙ্গে অলস জীবনযাপন এড়িয়ে চলুন। এতে ক্যালোরি জমে থাকার ভয় থাকবে না। এতে আপনার পছন্দের খাবার উপভোগ করেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।

২. রান্নার সঠিক পদ্ধতি বেছে নিন

ফ্রায়েড রাইসের পরিবর্তে সেদ্ধ করুন বা স্টিম রাইস বেছে নিন। বোনাস পয়েন্টের জন্য প্রচুর পানিতে ভাত রান্না করে এবং অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে স্টার্চ ছেঁকে নিন। যেমনটা সাধারণত আমাদের দেশে রান্না করা হয়। এভাবে রান্না করা হলে বাড়তি ক্যালোরি কম যোগ হবে, তবে পুষ্টিও অনেকটা কমে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।

৩. প্লেটে ভারসাম্য করুন

থালায় যতটুকু ভাত নেবেন ততটুকু বা তার থেকে বেশি শাক-সবজি, ডিম, মাছ, মুরগি কিংবা ডাল নিন। অনেকে কেবল সামান্য তরকারি বা ভর্তা দিয়ে গোটা দুই থালা ভাত খেলে নেন। এমনটা করবেন না। সুষম খাবার কেবল পুষ্টিকরই নয় বরং আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাতেও সাহায্য করবে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।

৪. ফাইবার এবং প্রোটিন যোগ করুন

ভাতের সঙ্গে উচ্চ ফাইবারযুক্ত সবজি বা চর্বিহীন প্রোটিন মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি আপনাকে তৃপ্ত রাখবে এবং পরে অযথা খাবার খাওয়া থেকে বিরত রাখবে। তবে খেয়াল রাখবেন, কখনোই অতিরিক্ত খাবেন না। অতিরিক্ত যেকোনো খাবারই শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে আন্ত: ইউনিয়ন ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্যে তারুণ্যর উৎসব নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলা পর্যায়ে আন্তঃ ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ই জানুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা স্টেডিয়াম এই ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খায়রুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ রনি আলম নূর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসার গাজী মূয়ীদুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মেজবাহ উদ্দিন, পি.আই.ও সাইদুর রহমান, সমাজসেবা অফিসার আছিসুর রহমান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ ররিকুল ইসলাম, আমদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টোকন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে ‘দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ’ কার্যক্রম বিষয়ক সেমিনার

মেহেরপুরে “দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম: বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার দিনব্যাপী শহরতলীর বামনপাড়াস্থ সিডিপি মিলনায়তনে মেহেরপুর শহর সমাজ সেবা কার্যালয় এ সেমিনারের আয়োজন করে।

শহর সমাজ সেবা কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদের সভাপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসাদুল ইসলাম।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী কাদের ফজলে রাব্বি, মেহেরপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আরিফ তালুকদার, সমাজসেবা রেজিষ্ট্রেশন কর্মকর্তা কাজী আবুল মুনসুর।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, সদর থানার ওসি তদন্ত জাহাঙ্গীর সেলিম, সিডিপির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জন প্রভঞ্জন বিশ্বাস, শহর সমাজ সেবা সমন্বয় পরিষদের সভাপতি রাহিনুর্ জামান পোলেন, দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগের প্রশিক্ষক এস এম রাসেল, আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, সমাজ সেবাসহ সরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে খুব সহজেই তরুণদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হয় এবং তারা নিজেরা স্বাবলম্বি হতে পারে। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্যোক্তা তৈরি করার ক্ষেত্রে কম সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সমাজ সেবা কার্যালয়ে, যাতে করে তরুণ-তরুনীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থানে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে। নতুন এবং যুগপোযোগী ট্রেড প্রশিক্ষণে যুক্ত করার বিষয়ে বক্তারা একমত পোষণ করেন।

সেমিনারে বিভিন্ন দপ্তরের ২৫ জন কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষনার্থী অংশ নেন।




যে কারণে বলিউড থেকে দুরে সরে যান নার্গিস

ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই ছকভাঙা অভিনয়। নার্গিস ফাখরিকে মানুষ আবিষ্কার করেন ‘রকস্টার’ সিনেমার ‘হির’ চরিত্রে। যে চরিত্রে অনেক বলিউড অভিনেত্রীই নাকি বাতিল হয়েছিলেন। তার পর একে একে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’, ‘ম্যায় তেরা হিরো’, ‘হাউসফুল’-এর মতো সিনেমায় দর্শকের মন কেড়েছেন অভিনেত্রী।

তবে হঠাৎ করেই ঘটে ছন্দপতন। বলিউড থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন অভিনেত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম ও বেড়ে ওঠা নার্গিসের। তবে ঘটনাচক্রে নার্গিস ফাখরি পরিচিতি পান বলিউডে অভিনয় করে।

অথচ মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রির জার্নিটা ঠিকঠাক ধরে রাখলেন না তিনি। মায়ানগরী থেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছেন নিজেকে। কিন্তু কেন?

সম্প্রতি বলিউড এবং তার ক্যারিয়ারের প্রসঙ্গে মনের কথা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। বলিউড হাঙ্গামার এক সাক্ষাৎকারে নার্গিস জানান, বলিউডের কিছু গত্বাঁধা বিষয়ে বিরক্ত হয়ে সরে গেছেন তিনি।

তবে অনেকের সঙ্গে কাজ করে দারুণ উপভোগও করেছেন বলে জানালেন নার্গিস।
তিনি বলেন, ‘একটা অপ্রত্যাশিত ঘটনায় আমি বলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। ওটা নিয়ে কথাও বলতে চাই না। পুরুষদের ইগো দুনিয়াজুড়েই, সুতরাং এটার কথা আলাদা করে না বলি। তা ছাড়া ইগোর ব্যাপারটা সবার ক্ষেত্রে সঠিকও নয়।

অনেক অসাধারণ মানুষের সঙ্গেও কাজ করেছি আমি।’
নার্গিসের মতে, তিনি বলিউডের গত্বাঁধা নাচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি। ‘আইটেম গান’ বিষয়টিও তাঁর কাছে একেবারে নতুন ছিল। বলেন, ‘কোনো মেয়ে আইটেম গান করছে, সেটা মানুষ খুব একটা ভালোভাবে দেখে না। হিন্দি ভাষার মতো বলিউডের নাচও আমার কাছে অনেকটা এলিয়েনের মতো! আমি শুধু শেখার চেষ্টা করেছি।’

‘ম্যায় তেরা হিরো’ অভিনেত্রীর মতে, যাঁরা বাইরে থেকে বলিউডে কাজ করতে আসেন, তাঁদের নিয়ে ‘অতিরিক্ত’ আকর্ষণ দেখানো হয়। আলিয়া ভাট, সারা আলী খান কিংবা জাহ্নবী কাপুরের মতো যেসব শিল্পী চলচ্চিত্র পরিবার থেকে এসেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটে না। কিন্তু যখন কেউ সাধারণ পরিবার থেকে আসে, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশ থেকে, তখন তাদের বিবেচনা করা হয় ‘আবেদনময়ী’ হিসেবে এবং যখন-তখন চাইলেই পাওয়া যাবে।

নার্গিস অবশ্য বলিউড একেবারেই ছেড়ে দেননি; বরং কাজ কম করছেন। বর্তমানে অক্ষয় কুমারের ‘হাউসফুল ৫’ রয়েছে তাঁর হাতে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মেহেরপুরে বিএনপি নেতা অ্যাড. কামরুল হাসানের ব্যক্তি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত  চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ‍্যাড. কামরুল হাসানের ব্যক্তি উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এসো দূর করি শীতার্ত মানুষের কষ্টের কালো রাত, তাদের হাতে রাখি সহানুভূতির আপন হাত স্লোগানে বুধবার (১৫ই জানুয়ারি ) সকাল ৯ টার দিকে পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের স্টেডিয়াম পাড়া এলাকায় পাঁচ শতাধিক মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

বিএনপির প্রবীণ নেতা জুয়াদ আলীর সভাপতিত্বে শীত বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস‍্য সচিব অ‍্যাড. কামরুল হাসান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুমানা আহমেদ, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি ছাবিহা সুলতানা, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজি মিজান মেনন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু।

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, জেলা যুবদলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জনি, জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহাবুব সানি, মোঃ ছাত্রনেতা, সৌরভ হোসেন, ইলিয়াস হোসেন, পৌর ছাত্রনেতা ফুর্তি হাসান, নাহিদ আহমেদ, জনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




দল না পেয়ে পিএসএলকে বয়কট পাকিস্তানি পেসারের

বয়স সবে ২২ বছর। ক্যারিয়ার গড়ার গুরুত্বপূর্ণ এক সময়। কিন্তু দুর্দান্ত কিছু করে ক্যারিয়ার গড়ার বিপরীতে উল্টো অবসরের ঘোষণা দিলেন ইহসানউল্লাহ। এমনটা অবশ্য সেচ্ছায় নেননি তিনি।

আর অবসরও পুরো ক্রিকেট থেকে নয়, একটা টুর্নামেন্ট থেকে।
সেই টুর্নামেন্ট হচ্ছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। রাগে-ক্ষোভে পিএসএলকে বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছেন ইহসানউল্লাহ। এই রাগ-ক্ষোভের পেছনে কারণ এবারের পিএসএলে দল না পাওয়া।

পিএসএলকে বয়কট করার বিষয়ে ইহসানউল্লাহ বলেছেন, ‘পিএসএলকে বয়কট করছি, অবসর নিচ্ছি। আর কোনো দিন পিএসএলে খেলতে দেখবেন না। পুরোপুরি এটা বয়কট করছি, অবসর নিচ্ছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম করে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই, পিএসএল খেলে না।

কঠিন সময়ে তার সঙ্গে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগাযোগ করেনি বলে জানান ইহসান। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো বোলিং করে তাদের দেখিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে এই পেসার বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। যখন কেউ অন্য কাউকে পায়, তখন তারা তার সঙ্গে থাকে। ১৫০-১৬০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করব। আর যারা বলেছে ১৩০-১৩৫ কি.মির গতির বোলার, এক দেড় মাসের মধ্যে তাদের দেখিয়ে দেব ওই বোলার নই যে পিএসএল ৮ খেলেছিল আর চোটে পড়েছিল।

এর চেয়েও ভালো বোলার হবো।’
২০২৩ পিএসএলে ঘণ্টায় ১৫০ কি.মির গতিতে বোলিং করে আলোচনায় আসেন ইহসান। আব্বাস আফ্রিদির (২৩) পর মুলতান সুলতানসের হয়ে ২২ ‍উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও ছিলেন। অবিশ্বাস্য এই পারফরম্যান্সে জাতীয় দলেও জায়গা করে নেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে মোটে ৫ ম্যাচ খেলা পেসার পরে কনুইয়ের চোটে পড়েন। পরে তার ভুল সার্জারি করা হয়েছে বলেও এমনটা শোনা যায়। সে সবকে পেছনে ফেলে আবারো ক্রিকেটে ফিরলেও এবার তাকে নিতে কোনো দলই আগ্রহ দেখায়নি। এই অভিমানেই তাই পিএসএলকে বয়কট করেছেন তিনি।

সূত্র: কালের কন্ঠ




মেহেরপুরে ৮৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক

গ্রামীণ জনপদ মেহেরপুর সদর উপজেলার যুগিন্দা গ্রাম। এই গ্রামের যুগিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৫ বছর ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। একজন সহকারি শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। এমন বিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেক।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৩০৮টি। প্রধান শিক্ষকের মঞ্জুরিকৃত পদ ৩০৭ টি। কর্মরত আছে ২২১ জন। মেহেরপুর সদরে ১০৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫০টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

গাংনী উপজেলায় ১৬১ টির মধ্যে ২১ টিতে, মুজিবনগরে ৩৮ টির মধ্যে ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে দুইযুগের অধিক সময় ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। দীর্ঘবছর এসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ পুরণ না করায় প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনায় ব্যাহত হচ্ছে। সহকারি শিক্ষক থাকার কথা ১৭৫৪ জন। আছে ১৬৩৩ জন। অর্থাৎ ১২১ জন সহকারির শিক্ষদের পদও শূন্য রয়েছে।

সদর উপজেলার যুগিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদে চলতি দায়িত্বে আছেন ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক আবদুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, ৬জন শিক্ষকের পদ থাকলেও ৩ জন আছি। এরমধ্যে আমাকে প্রশাসনিক দায়িত্বপালন করতে হয় আবার ক্লাসও নিতে হয়। প্রশাসনিক কাজে বা বিভিন্ন সভায় যোগদান করতে হয় প্রায় প্রতিদিন। ফলে আমি ক্লাস নিতে পারিনা। এর ফলে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হয়। সিংহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য।

হাসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. আলফাজ হোসেন প্রধান শিক্ষকের দায়ীত্বে আছেন ২০১৮ সাল থেকে। তিনি জানান, ৭ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও আছেন ৪ জন। তিনি সরকারের বিভিন্ন কাজের দায়ীত্ব পালনসহ বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের চাপে ক্লাস নিতে পারেন না। বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক ক্লাস সংযুক্ত হওয়াতে ৩ জন শিক্ষক একসাথে ৩টি ক্লাস নিলে অপর তিনটি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা ক্লাসের বাইরে খেলা ধুলায় মত্ত থাকে। শিক্ষকরা একটানা ক্লাস নিতে হাঁপিয়ে ওঠেন। অনেকসময় কোন ক্লাস নেয়া সম্ভব হয়না শিক্ষকদের।

সদর উপজেলার বর্শিবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫ বছর প্রধান শিক্ষক পদে শিক্ষক নাই। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তাহমিনা সুলতানা চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের স্থলে আছেন ৪ জন। একজন পিটিআই-এ। তিনি প্রশাসনিক কাজে ব্যাস্ত থাকেন। ২ জন শিক্ষককে ৬টি শ্রেণির ক্লাস নিতে হয় পালা করে। একাধিক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহর এলাকায় বা শহরতলীর স্কুলগুলোতে অবসরের কারণে পদ শূন্য হলে অন্য এলাকা থেকে বদলি হয়ে পদ পূরণ হয়। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলগুলোতে অবসরে যাওয়ার পর পদ শূন্যই থেকে যাচ্ছে। তাই প্রতিবছরই বাড়ছে প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য স্কুলের সংখ্যা। বর্শিবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেবেকা সুলতানা জানান শিক্ষক সংকটে কোনদিন চারটি, কোন দিন ৩টি ক্লাস হয়। শিক্ষক সংকটে তারা শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছেন।

সিংহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র আকরাম হোসেন অভিযোগ করেন, শিক্ষক সংকটে ক্লাসে বাড়ির জন্য পড়া দেয়া হয়না। বছর শেষে সিলেবাস শেষ না হবার কারণে তারা বার্ষিক পরীক্ষায় অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর লিখতে ব্যর্থ হয়। এই শিক্ষার্থী বলেন- এর চেয়ে সপ্তাহের তিনদিন ওয়ান থেকে ২য় শ্রেণি এবং আর তিনদিন ৩য় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নেয়া হলে প্রতি শিক্ষার্থী উপকৃত হবেন। পিছিয়ে পড়ার হার কমবে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির একজন নেতা জানান, জেলা শহর ও শহরের উপকন্ঠের গ্রামগুলোর একটি বিদ্যালয়েও প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকপদ শূন্য নাই। রাজনৈতিক ও প্রশাসনের সহায়তায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেলা শহরের নাগরিক শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক পদ পেয়ে যান। গ্রামীন কোন শিক্ষক জেলা শহরে প্রধান শিক্ষক থাকতে পারেনা।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষকের পদগুলো ৬৫ ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ৩৫ ভাগ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণের বিধান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হচ্ছে না। আবার সহকারি শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়াও বন্ধ রয়েছে। তাই প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণ করা যাচ্ছে না।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রুহুল আমীন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহকারি শিক্ষকদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু করছে। পদোন্নতি হলে শূন্য পদগুলো পূরণ করা যাবে। শহরের স্কুলগুলোতে অবসরের কারণে পদ শূন্য হলে পূরণ হয়। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় অবসরে যাওয়ার পর শূন্যই থেকে যাচ্ছে।

মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল্লøাহ আল আমিন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শিশুদের শিক্ষার ভিত তৈরি হয়। তাই সেখানে পাঠদান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শিক্ষক শূন্যপদ এবং প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণের জন্য সরকারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।




কক্সবাজারে কিশোরীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে মেহেরপুরে মানববন্ধন

কক্সবাজারের চকরিয়ার প্যারাবনে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে মেহেরপুরের আমঝুপিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মউকস্থ বাজার সংলগ্ন এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। শিশু ও কিশোরী ধর্ষণ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন মউক-এর সিনিয়র ম্যানেজার মুরাদ হোসেন এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাহিমা আখতার।

অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, যুবসমাজের প্রতিনিধি, এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনটি পরিচালনা করেন মানবাধিকার কর্মী আবুল কালাম।




কুষ্টিয়া মুক ও বধির সংঘের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন

দুইজন প্রার্থীকে দাঁড় করানো আছে। বসে রয়েছে প্রায় ৫০ জনেরও বেশি ভোটার। দুই প্রার্থীর মধ্যে কোন পদের বিপরীতে ভোটাররা কাদের নির্বাচিত করবেন সেজন্য আঙুল দিয়ে ইশারা করে দেখাচ্ছিলেন।

সামনে টেবিলে বসা নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সদস্যরা দেখলেন যাকে বেশি ভোটার সমর্থন দিচ্ছে কেবল তিনিই এক বছরের জন্য নির্বাচিত হচ্ছেন। এভাবেই আঙুলের ইশারায় ভোট দিলেন কুষ্টিয়া মুক ও বধির সংঘের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের ডিসি কোর্ট চত্বর এলাকায় সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে আঙুলের ইশারায় এভাবেই ১৩ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এতে মোহাম্মদ হিরাউজ্জামানকে সভাপতি ও খন্দকার আব্দুর রহমান সুমনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

এছাড়াও মো: ইফতেখার উদ্দিন বাবু (বধির), মো. জামাল উদ্দিন ও এ কে এম নাজমুল হোসেন (অ-বধির) সহ-সভাপতি, শ্রী পিন্টু কুমার বিশ্বাসকে সহ সম্পাদক, মো. ফয়সাল কোষাধ্যক্ষ, রাজিব খান রকি ক্রীড়া সম্পাদক, হাফিজুর রহমান পাঠাগার সম্পাদক, জেসমিনারা পারভীনকে মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা, শামীম আহমেদ রাজু, হামিদুল ইসলাম ও ওমর শরিফ মো: খৈয়াম কে কার্যনিবাহী পরিষদের সদস্য (অ-বধির) হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুষ্টিয়া মুক ও বধির তত্বাবধায়ক পরিষদের তত্বাবধায়ক এবং কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম।

কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া মুখ ও বধির সংঘের সাধারণ কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় ৭০ জন সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে এক বছর মেয়াদি এ সাধারণ কমিটির নির্বাচনে ১৩ জন বধিরের মধ্যে সভাপতিসহ চারজন অ-বধির সদস্য রয়েছে।




দর্শনায় এক কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

দর্শনা পৌর পিলখানায় পেটে বাছুরসহ গাভী গরু জবাই করায় নাসীর উদ্দিন কসাইকে ভাম্যমান আদালতে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে দর্শনা পৌরসভা পিলখানায় একটি গাভীন গরু জবাই করে নাসীর কসাই। এসময় পিলখানা পরিদর্শক মোমিনুল ইসলাম বিষয়টি দেখে পৌরসভার প্রসাশক কে এইচ এম তাসফিকুর রহমান ও পৌর ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুল আলম, পৌর কর্মকতা হারুন অর রশিদ ও আব্দুর রাজ্জাককে খবর দেয়।

এরপর পৌরসভার প্রসাশক কে এইচ এম তাসফিকুর রহমান কসাই নাসীর উদ্দিনকে থানায় সোর্পদ করার নির্দেশ দেন।

এরপর সকাল ১১টার দিকে দর্শনা থানায় নিবার্হী ম্যাজিট্রেট দায়িত্ব নিয়ে এইচ এম তাসফিকুর রহমান এক ভাম্যমান আদালত বসিয়ে রামনগর ঘুঘুডাঙ্গা পড়ার বড়োর ছেলে বহুল আলোচিত নাসীর উদ্দিন কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এবং ঐ গরুর মাংশ বিনষ্ট করে মাটিতে পুতে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন।

এছাড়া দর্শনা পৌরসভার পিলখানায় গরু জবাই করতে হলে প্রানী সম্পদ কর্মকতার্র পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা ছাড়া গরু জবাই করা যাবে না বলে নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর কসাই নাসীর উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন।

এ বিষয়ে দর্শনা পৌর প্রশাসক এইচ এম তাসফিকুর রহমান জানান, স্থানীয় বেশ কয়েজন জানান প্রায় প্রায় এ পিলখানায় জবাই করা গরুর বাছুরসহ ফেলে রাখতে দেখা যায়। এছাড়া ঐ মৃতু গরুর বাছুরকে কুকুরে টেনে হেচড়ে খেতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় ক্রেতারা জানান কসাই নাসির প্রায় প্রায় এ রকম গরু জবাই করে।এর আগেও কয়েকবার এরকম ঘটনার জন্য জেল খাটতে হয়েছে।