মেহেরপুরে জেলার সহ ৩ জন কারাগারে

মেহেরপুর জেলখানায় আসামি হত্যার দায়ে মেহেরপুর জেলখানার সাবেক জেলার মোঃ আক্তার হোসেন, সাবেক প্রধান কারারক্ষীর আলামিন ও গঞ্জের আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিকে মামলার আসামিরা মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত জামিনের আবেদন করলে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এসএম আব্দুস সালাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জেলার মোঃ আক্তার হোসেন বর্তমানে পিরোজপুর জেলখানার জেলার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আলামিন যশোর জেলখানার প্রধান কারারক্ষীর দায়িত্ব পালন করছেন এবং গঞ্জের আলী অবসরে গেছেন। বৃহস্পতিবার তিন আসামি আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী ছিলেন পিপি পল্লব ভট্টাচার্য এবং আসামি পক্ষে কৌশলী ছিলেন ইয়ারুল ইসলাম। মামলার বিবরণে জানা গেছে মেহেরপুর জেলা গাংনী উপজেলার বালিয়া ঘাট গ্রামের জামিরুলকে ২০১৬ সালে ৩ অক্টোবর একটি মাদক মামলায় আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ১৭ আক্টোবর তারিখে জামিরুলের জেলখানায় মৃত্যু হয়। জেলার মোঃ আক্তার হোসেন সে সময় জানান, আসামী জামিরুল জেল খানায় গলায় গামছা পেচিয়ে আত্মহত্যার করে। এ ঘটনায় আসামীর স্ত্রী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষ হলেও তদন্ত রিপোটে বলা হয় বিষয়টি রহস্যজনক । এর পর মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডি যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তিনি তার তদন্ত রিপোটে উল্লেখ করেন নির্যাতনের ফলে আসামী মৃত্যুবরণ করেছেন। আসামী নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইন ২০১৩ এর ১৫ ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়।




গাংনীর নবিনপুর সরকারি বিদ্যালয় দুই বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ

আকতারুজ্জামান, গাংনী:

মেহেরপুরের গাংনীতে নবিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দুই বছরেও নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। নানা জটিলতায় ও অবহেলায় পড়ে আছে আংশিক নির্মিত ভবনটি। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি সরকারের ডিজিটাল রুপ রেখা বাস্তবায়নে কলঙ্ক পড়ছে। কি কারনে নির্মাণ কাজ বন্ধ, কবে নাগাদ শুরু হবে এই প্রশ্ন সবার।
১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়া নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন না থাকায় বাঁশের বেড়ার তৈরী ভগ্ন ও জরাজীর্ণ ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। টিনের চাল আর বেড়ার ফাঁক দিয়ে শিক্ষার্থীদের গায়ে লাগে বৃষ্টির ঝাপটা এবং রোদের সময় প্রচন্ড রোদ। মেঘ উঠতে দেখলেই বই খাতা নিয়ে বাড়ি পালিয়ে যেতে হতো শিক্ষার্থীদের । শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন অনুদান থেকে পাশেই ক্লাশ চালানোর জন্য যেনো তেনো ভাবে কয়েকটি শ্রেনী কক্ষ তৈরী করে পাঠদান করানো হচ্ছে। কবে নাগাদ নির্মানাধীন ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে তা জানেনা শিক্ষকসহ এলাকাবাসি। পিইডিপি-৩ প্রকল্পের ৬৩ লাখ ৫২ হাজার ৫শ’ টাকা ব্যয়ে নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান কাজ শুরু করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তামান্না এন্টার প্রাইজ। বিদ্যালয়ের প্রথম তলা নির্মাণ শেষে, দ্বিতীয় তলা ভবন নির্মান কাজ শুরু করার কয়েকদিনের মাথায় নির্মাণ শ্রমিকদের অবহেলা আর দুর্নীতিরভারে ২০১৭ সালের ৭ই জানুয়ারী দুপুরে ভবনের শিঁড়ি ভেঙ্গে পড়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা । তৎকালিন সময় কাজ দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত গাংনী উপজেলা এলজিইডি’র সাব ইঞ্জিনিয়ার সামসুল হকের দাায়িত্বে এবং কর্তব্যে অবহেলার বিষয়টি সামনে আসে সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন অভিযোগে স্থানীয়রা বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। তোপের মুখে পড়েন গাংনী উপজেলায় দায়িত্বরত তৎকালিন প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান ও সাব ইুনিঞ্জয়ার সামসুল হক।
এ ঘটনায় প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমানের প্রশাসনিক বদলী হলেও ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যায় এসও সামসুল হক। বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বিভাগীয় তদন্ত হয়ে নির্মানাধীন ভবন ভেঙ্গে নতুন করে মানসম্মত ভবন নির্মানের তাগিদ দেয় ভবন নির্মাণ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে। প্রায় ২ বছর অতিবাহিত হলেও আজ অবধি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান কাজ স্থগিত রয়েছে। কি কারনে নির্মান কাজ বন্ধ আছে এর কারন জানেনা কেউ। নির্মানাধীন ভবনের শিঁড়ি ভেঙ্গে যাবার কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় বেশ কয়েক জন ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয় ছেড়ে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। স্থানীয়রা সহযোগতিা করে টিনের চাল ও বাশের বেড়া দিয়ে কোনো রকমে তৈরী করে কযেকটি ক্লাশরুম। কালবৈশাখীর তান্ডব আর শিলা বৃষ্টিতে টিনগুলি ফুটা হয়ে যায় । বাঁশের বেড়াগুলিও ভগ্নও জরাজীর্ণ অবস্থায় আজো বিরাজমান। আকাশে মেঘ উঠতে দেখলেই বাড়ি পালাতে হয় শিক্ষার্থীদের।
দ্রত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান না হলে প্রথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়াসহ শিক্ষার্থী ঝরে পড়তে পারে বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক তামজিদুর রহমান মুক্তি। তিনি আরো বলেন, ২০১৭-১৮ইং অর্থবছরে ১৭ টি বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ হবে,তার মধ্যে আমাদের বিদ্যালয়টিও আছে। কিন্তু কবে নাগাদ হবে তা বলতে পারিনা। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ সুমন আহাম্মেদ সুজন জানান, প্রায় দু’বছর হতে চলেছে ভবন নির্মান কাজ স্থগিত রয়েছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদড়ি করতে যেয়ে হাঁপিয়ে উঠেছি। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কারো সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছেনা, তবে শুনেছি পর্যায়ক্রমে ভবনটি নির্মান হবে। গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী চৌধুরী জানান,মজিদুর রহমান চৌধুরীকে জানতে চাইলে তিনি এব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি।




তুষার হত্যা চেষ্টার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মানব বন্ধন

মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরানের উপর হামলাকরিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানব বন্ধন করেছে মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ। বৃহস্পিতবার দুপুরে মেহেরপুর সরকারি কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে শতশত শিক্ষার্থরা মানব বন্ধন করে। মানব বন্ধনে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি কুদরত-ই খোদা রুবেল, দুলাল মাহমুদ, ছাত্রলীগ নেতা আবু মোরশেদ শোভন সরকার। এসময় বক্তারা বলেন, আশিকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা তুষারের উপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনা তিন দিন পার হয়ে গেলেও কাউকে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি। আশিক মুজবনগর ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ ইভটিজিং ও বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এখনো কলেজ কতৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ ছাড়াও বক্তারা বলেন, যতদিন পর্যন্ত ন্যায় বিচার না হবে ততদিন আমরা অন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে এর চাইতেও কঠোর কর্মসূচির ঘোষনা দেওয়া হবে। আশিকরে বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, কিছু দিন আগেও মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজে কয়েকটা মেয়েকে সে উত্যক্ত করে। এ জন্য কলেজ প্রিন্সিপালের কাছে অভিযোগ দেয় মেয়েরা কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। এ জন্য প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করেন ছাত্রলীগ নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের ছাত্রলীগ নেতাকর্মিরা ও সাধারণ শিক্ষর্থীরা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টম্বর মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজ গেটে মুজিবনগর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকের নেতৃত্বে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তশান মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুষার ইমরানের উপর হামলা চালানো হয়। পরে তাকে মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।




মেহেরপুরে ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে আবারো বিক্ষোভ

মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মুজিবনগর সরকারী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক তুষার ইমরান এর ওপর হামলার ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে আবারো বিক্ষোভ মিছিল। বুধবার সন্ধায় মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর ক্লাব থেকে দারিয়পুর ইউনিয়নবাসী আয়োজনে এ বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় ।

মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি ক্লাব থেকে শুরু করে দারিয়াপুর বাজার গিয়ে পুনরায় ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আব্দুর রহমান রাব্বি, সহ সম্পাদক হুসাইন আলমগীর, দারিয়াপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ্ আলম, মোনাখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক পলাশ ইসলামসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় জনগন।

এ সময় বক্তারা ছাত্রলীগ নেতা তুষার ইমরান এর ওপর হামলাকারী মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রী কলেজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকসহ সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবী জানান। এসময় বক্তারা বলেন, আশিক দীর্ঘ দিন ধরে মাদকাসক্ত । তার নামে মুজিবনগর থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।

আমরা আশিকসহ তুষার এর উপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার চাই। এছাড়াও আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবী জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা। আহত তুষারের পিতা মুকুল হোসেন ছেলের উপর হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কলেজ গেটের কাছে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকের নেতৃত্বে তার কয়েকজন সহকর্মীরা মিলে তুষার ইমরানের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তুষার কে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

মুজিবনগর প্রতিনিধিঃ




বৃহস্পতিবার মেহেরপুর প্রতিদিন’র সম্পাদক ইয়াদুল মোমিনের দ্বিতীয় অপারেশন: দোয়া কামনা

মেহেরপুর প্রতিদিন’র সম্পাদক ইয়াদুল মোমিনের দ্বিতীয় বারের জন্য অপারেশন করা হবে। বৃহস্পতিবার ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে এ অপারেশন হবে। এজন্য মেহেরপুর প্রতিদিন পরিবার ও ইয়াদুল মোমিন সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি:




এ টু আই জরিপে গাংনীর ভুমি অফিস খুলনা বিভাগে শীর্ষে

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)-এর এক জরিপে বাংলাদেশের ৪০ টি জেলার ৭৭ টি উপজেলার মধ্যে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ভূমি অফিস চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে।

লিস্ট অফ ইমিটেশন পারফরম্যান্স সেপ্টেম্বর ২০১৯ এর একটি পত্র পৌঁছেছে গাংনী উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সহকারি কমিশনার (ভুমি) সুখময় সরকারের হাতে। এটুআই-এর প্রেরীত পত্রে উল্লেখ আছে. কর্মদক্ষতার রেংকিং ১০০% পার্সেন্ট হওয়াই সহকারী কমিশনার ভূমি সুখময় সরকার কে অসাধারণ বলে সম্বোধন করেছেন এবং সেরা কর্মকর্তাদের মধ্যে তিনি একজন বলে উল্লেখ করেন।

প্রেরিত পত্রে আরো উল্লেখ আছে যে, আপনার কর্মক্ষমতার রেংকিং অনুযায়ী আপনি অনেক ভাল করেছেন, তবে উন্নতির সুযোগ রয়েছে। আপনি চেষ্টা করলে সেরা কর্মকর্তাদের তালিকায় পৌঁছাতে পারবেন। বাংলাদেশের ৭৭ টি উপজেলার মধ্যে সেবার মানের দিক বিবেচনা করে গাংনী উপজেলায় চতুর্থ স্থান অধিকার করায় মেহেরপুর ও গাংনীর সর্বস্তরের জনগন জনাব সুখময় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ইমিউটেশনে ৭৭ টি উপজেলার চতুর্থ স্থান অধিকার করলেও খুলনা বিভাগে শীর্ষে রয়েছেন গাংনী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি সুখময় সরকার। গাংনী উপজেলার ভূমি সংক্রান্ত সকল অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত করে ভূমি সংক্রান্ত সকল সেবা নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এ কর্মকর্তা।

ভুক্তভোগীরা সুখময় সরকারের জনকল্যাণমুখী এ কর্মকা-কে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন এ সাফল্য গাংনী বাসীর জন্য দুষ্টান্ত ও উদাহারণ হয়ে থাকবে।

গাংনী প্রতিনিধি:




মুজিবনগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ৩ জনের ৬ মাসের জেল

মুজিবনগর গাঁজা বিক্রয় ও সেবন করার অপরাধে ৩ জনের ৬ মাসের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার সময় দারিয়াপুর খাঁনপুর কালিতলা নামক স্থানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইত্তখার মোহাম্মদ ওমায়ের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের একটি টিম অভিজান চালিয়ে গাঁজা বিক্রয় ও সেবন করা অবস্থায় ৩ জন আটক করে।

সাথে থাকা আরো একজনকে আটক করে কোন আলামত না পাওয়ায় স্থানীয় জনগনের সুপারিশে ছেড়ে দেয়া হয়। আটককৃত ব্যাক্তিরা হলো মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার খাঁনপুর গ্রামের মহাদেব পাত্রের ছেলে কাত্তিক কুমার পাত্র(৩৫) ও একই গ্রামের মৃতঃ আলম শেখের ছেলে আবুল হোসেন (৫০) ও ছয়তুল্লার ছেলে আসকার আলী (৪০)।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রর আইন ২০১৮ মোতাবেক দোষী সাবস্থ্য হওয়ায় ৩ জনের ৬ মাস করে জেল দেয়া হয়। ভ্রাম্যমান পরিচালনা করেন এক্সজেগেটিক ম্যাজিস্ট্রেট সুজন দাস গুপ্ত।

মুজিবনগর প্রতিনিধিঃ




দামুড়হুদায় জাফর ইকবালের কুপ্রস্তাবে ঘর ছাড়া গৃহবধু

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় জাফর ইকবালের কুপ্রস্তাবে নাজি না হওয়ায় ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এক গৃহবধু। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিশিয়াল কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা নং- সি আর ৫২০/১৯ ও পারিবারিক মামলা নং- ১১৩/১৯। মামলা সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে সামাজিক ভাবে লিজার সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার আন্দলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জীবন হাসানের সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়।

বিেেয়র পর স্বামী প্রবাসী হওয়ার সুযোগে সুন্দরী লিজা খাতুনকে স্বামীর দুলাভাই জাফর ইকবাল যৌন হয়রানি সহ নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। লিজা কু-প্রস্তাবে সাড়া না দিলে তাকে শারিরিক ও মানসিক ভাবে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতে থাকে।

এই বিষয়ে লিজা শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাক কে নুনদায় এর অনৈতিক প্রস্তাবের ব্যাপারে জানালে শ্বশুর সহ পরিবারের লোকজন লিজাকে নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সাথে যৌতুক বাবদ মোটর সাইকেলের দাবি জানিয়ে লিজাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এই অন্যায়ের প্রতিকার পেতে লিজা সহ তার মা-বাবা, ইউনিয়ন পরিষদ সহ বিভিন্ন মানবাধিকার অফিসে আবেদন জানায়।

কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে ও পারিবারিক আদালতে ২টি পৃথক পৃথক মামলা করে। এই বিষয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এর সালিস ইউনিট জানায় নির্যাতিত লিজা (২০) ১ মাস আগে অত্র প্রতিষ্ঠানের জাফর ইকবাল ও শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাক, ননদ পপি খাতুন, শাশুড়ী নুরজাহান খাতুনকে বিবাদী করে অভিযোগ দায়ের করে।

এই বিষয়ে বিবাদীদের একাধিকবার নোটিশ প্রদান করলেও বিভিন্ন তাল বাহানা করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত গত ২৩/০৯/১৯ইং তারিখে লিজার শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাক ও ননদাই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের এম এল এস এস জাফর ইকবাল উপস্থিত হয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য এক সপ্তাহ সময় প্রার্থনা করে চলে যায়।

পরবর্তীতে বিবাদীদের যোগাযোগ করলে আব্দুর রাজ্জাক নিজেদের খুঁটির জোর দেখায় এবং প্রতারণ মূলক কথাবার্তা বলে। এ প্রেক্ষিতে সরেজমিনে মউকের সালিস বিভাগ তদন্ত করে জানতে পারে লিজার স্বামী বিদেশ থাকায়, নুনদাই জাফর ইকবাল সরকারী ছুটির দিন গুলিতে শ্বশুরালয়ে এসে যৌন হয়রানী/কুপ্রস্তাব দিয়ে চাপ দিতে থাকে এবং স্বামী ছাড়া করার ভয় দেখায়।

এই বিষয়ে শ্বশুর শাশুড়িকে অবহিত করে প্রতিকার পায়না বরং যৌতুক বাবদ মোটর সাইকেলের চাপ দিয়ে বাড়ি ছাড়া করার হুমকি দেয়। লিজা নিরুপায় হয়ে প্রবাসী স্বামীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানালে স্বামী মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়ে জানায়, পরিবারের কথা কাউকে জানালে তালাক দিব বলে হুমকি দেয়।

এ দিকে লিজার নুনদাই ও শ্বশুরের যৌতুক ও কুপ্রস্তাবের অত্যাচারে শ্বশুর হতে বাপের বাড়ি পালিয়ে আসে এবং ন্যায় বিচারের আশায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। এই বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে নিরাপত্তা সহ সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছে।

দামুড়হুদায় প্রতিনিধি:




৪ লাখ মানুষের জন্য ৪ জন ডাক্তার!

আকতারুজ্জামান গাংনী:
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও চিকিৎসক না থাকায় কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না গাংনী উপজেলাবাসি। বারবার চিকিৎসক চেয়ে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে চিঠি পাঠানো হলেও সে দাবী অপূর্ন থেকে গেছে। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা গেছে, কমপ্লেক্সটি ২০০৮ সালে ৩১ শষ্যা থেকে ৫০ শষ্যায় উন্নিত করা হয়।

২০১৮ সালে শুধু মাত্র রোগীদের খাবার সুবিধা ছাড়া আর কোন সুবিধা মেলেনি ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। ৩০ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে রয়েছে ৬ জন। এদের মধ্যে একজন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রয়েছেন ডেপুটিশনে । আর একজন মেডিকেল অফিসার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে।

এ উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষের মাত্র ৪ জন ডাক্তার চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই। প্রতিদিনই এ হাসপাতালে আউটডোরে চিকিৎসা নেন- ২৫০ থেকে ৩০০শ জন নতুন, এছাড়াও ৫০ থেকে ৭০ জন পুরাতন রোগী চিকিৎসাধীন আছে। এর বেশির ভাগই নারী ও শিশু । উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবাটি কোন মতে (৪/৫ জন স্যাকমো দিয়ে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।

গাংনী উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন ভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকে ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ২ টি পদে স্যাকমোদের নিয়োগ দেয়া আছে। এর মধ্যে গাংনীতে কর্মরত স্যাকমো তানভির ও বিলকিচ আরা। পরে মটমুড়া ইউনিয়নের মহম্মদপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে স্যাকমো কামনরুন্নাহার,কাথুলী ইউনিয়ন থেকে শামীমা নাসরিন, এবং সাহারবাটি থেকে ওয়াহিদুজ্জামানকে। ফলে সাবসেন্টার গুলো চিকিৎসক শুন্য হয়ে পড়েছে। চিকিৎসা পাচ্ছেনা ইউনিয়নের সাবসেন্টারের আশপাশের সেবা প্রত্যাশীরা। বিভিন্ন এলাকার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসতে হচ্ছে গাংনী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে।

গাংনী উপজেলায় সাব সেন্টার রয়েছে ৩ টি। সেখানে একটি করে এমবিবিএস চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও তা নেই। দির্ঘদিন থেকেই সাব সেন্টারগুলোতে মেডিকেল অফিসার পদ শুন্য। এছাড়াও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ১০ টি জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ শুন্য রয়েছে বছরের পর বছর। জানাগেছে, গাইনী,এনেস্থেসিয়া, সার্জারী(অর্থ), মেডিসিন, শিশু, চক্ষু, অর্থপেডিক্স, কার্ডিওগ্রাফি, নাক কান গলা(ইএনটি), চর্মও যৌন। এসকল ১০ টি পদের একটিতেও নেই চিকিৎসক।

ফলে এ উপজেলার জনসাধারন মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। অপারেশন থিয়েটারসহ সিজারের সকল ব্যাবস্থা থাকলেও গর্ভবতী মায়েদের ডেলিভারী সিজার করা হয় না। ফলে ডেলিভারী সিজার করতে হচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে। একটি গর্ভবতী মা’কে সিজার করতে হলে গুনতে হচ্ছে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা।

শিশুদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে স্যাকমো দিয়ে। ফলে অনেক শিশুই ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছেন। স্যাকমো দিয়ে শিশুদের চিকিৎসা করাতে হলেও অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত কয়েকশো রোগী দেখেন একজন স্যাকমো। সেখানেও নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে সেবা প্রত্যাশীদের।

কয়েকজন রোগীর স্বজন জানান,জরুরী বিভাবে জরুরী রোগীদের সেবা না দিয়ে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয় ফলে অত্যান্ত জরুরী রোগীরা সেবা পায়না । ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্নক জখম হয়ে জরুরী বিভাগে অপেক্ষামান স্কুল ছাত্র ফয়সাল জানায়, আধাঘন্টা ধরে জরুরী বিভাগে বসে আছি।

হাত-পা কেটে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে তবুও চিকিৎসা পাইনি। অবশেষে ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। জরুরী বিভাবে কর্মরত স্যাকমো সর্দি-কাশির চিকিৎসা নিয়ে ব্যাস্ত ছিলেন। আমাদের দিকে তাকিয়েও দেখেননি। আউট ডোরে একজন করে মেডিকেল অফিসার ডিউটিতে থাকার কথা থাকলেও তিনি থাকেন ২য় তলায়।

ডাক্তার ডেকে আনতে হয় মোবাইল করে। খাতা কলমে মেডিকেল অফিসার আউটডোরে ডিউটিতে থাকলেও ডাক্তার খুজে পাইনা রোগীরা। অনেক রোগীকে নিরাশ হয়ে চলে যেতে হয় প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে। এব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্মা ডাঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, এখানে চিকিৎসক সংকট দির্ঘদিনের।

দু’একজন ডাক্তার এখানে আসলেও মেহেরপুরসহ বিভিন্ন যায়গায় নিয়ে চলে যান ডেপুটিশনে। বার বার আমি ডাক্তার চেয়েছি কিন্তু কোনো সাড়া পাচ্ছিনা। তবে চলতি বছরে কয়েকজন ডাক্তার পাবো বলে আশায় বুক বেধে আছি।




জীবননগরে আন্তজার্তিক প্রবীণ দিবস পালিত

বয়সের সমতার পথে যাত্রা এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন করা হয়েছে । মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় জীবননগর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রবীণ দিবস উপলক্ষে একটি র‌্যালী বের করা হয়।

র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বট তলায় এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান ,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ সালাম ঈশা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী,উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মাসুদুর রহমান ,সীমান্ত ইউনিয় প্রবীণ কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহন মিয়া প্রমুখ। একই দিনে ওয়েভফাউন্ডেশন ও বাঁকা ইউনিয়ন প্রবীণ কমিটির আয়োজনে প্রবীণ দিবস পালন করা হয়।

এ উপলক্ষে বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধানের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মাসুদুর রহমান সাবেক শিক্ষক গোলাম রহমান প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নুঝাত পারভিন।

জিবননগর প্রতিনিধি: