পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দুর্ঘটনার কবলে ফেনসিডিলবাহী ট্রাক :: চালক ও সহকারি আহত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ফেনসিডিলবাহী একটি ট্রাক পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এতে আহত হয়েছে ওই ট্রাকের চালক ও তার সহকারি। পরে পুলিশ ট্রাক থেকে ৪০৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

আহত চালক মো. ইমন (৩২) ও সহকারি মো. ফাহিমকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ। তারা পুলিশী প্রহরায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দুজনেই ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

জীবননগর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ভোর ৪টার দিকে জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর মোড়ে একটি ট্রাক (ঢাকামেট্রো-ট-১৮-৪১৮৬) থামিয়ে তল্লাশী শুরু করে পুলিশ। হঠাৎ ট্রাকটি দ্রুতবেগে পালিয়ে যায়। পুলিশও পিছু নেয়। পরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বলুহর মোড়ে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছের সাথে ধাক্কা মারে।
মেপ্র/ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি




গাংনীর বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানিজিং কমিটির নির্বাচন বাতিল চেয়ে রিট

মেহেরপুরের গাংনীর বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি হাইকোর্ট বেঞ্চে অপরটি মেহেরপুর দেওয়ানী আদালতে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। একটি মামলায় আদেশ দিলেও অন্য একটি মামলায় শুনানীর জন্য অপেক্ষমান রয়েছে।

বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান হাসান জানান, নানা অনিয়মের অভিযোগে তিনি মেহেরপুর দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা দায়ের কেেছন যার নং ৩৮/১৯। মামলাটি আমলে নিয়ে কারণ দর্শানোর ও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তিনি বলেন, নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করেই বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে অবৈধ ভাবে ভোটার তালিকা করে নির্বাচন করে।  মেহেরপুর দেওয়ানী ৩৮/১৯ নং মামলা সূত্রে ও বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মশিউর রহমান হাসান জানান, তিনি গত ২৮/০২/২০০২ সালে ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা প্রদান করে আজীবন দাতা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।

ইতোপূর্বে অভিভাবক সদস্য ও পরপর ৩ বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু বিধি মালা লঙ্ঘন করে তৎকালিন দাতার সদস্য প্রয়াত আকবর আলীর নাতিন ছেলে গিয়াস উদ্দীনকে দাতা সদস্য করে। সাবেক দাতা সদস্য’র কোন উত্তরসূরি টাকা জমা না দিলে দাতা সদস্য হতে পারবেনা এমন নিয়ম থাকলেও প্রধান শিক্ষক গোপনে সেই নিয়মকে ভঙ্গ করে গিয়াস উদ্দীনকে দাতা সদস্য করেছে।

প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলাম খসড়া ভোটার তালিক প্রনয়ন করিবার সময় বেসরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি প্রবিধান মালা ২০০৯ অনুসরণ না করে ষড়যন্ত্রেও মাধ্যমে মনগড়া ও নিজ পছন্দের ব্যক্তিকে ভোটার হিসেবে অন্তভুক্ত করিয়া এবং অপছন্দের ব্যক্তি ভোটার হিসেবে অন্তভুক্ত না করিয়া ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে। এ অবৈধ কাজের প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে মশিউর রহমান হাসানকে আজীবন দাতা সদস্য না করেই ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা প্রনয়ন করেন। এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ উর্ত্তীণের ৮০ দিন পুর্বে সকল শ্রেনীর সদস্য পদের জন্য পূথক পূথক খসড়া ভোটার তালিক প্রনয়নের বিধান থাকলেও তা করেনি প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম।
অপরদিকে বিদ্যালয় অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ভোটার তালিকায় অন্তভুক্ত করার বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম তা করেনি। এমনকি নোটিশ বোর্ডের ভোটার তালিকা টাঙ্গানো হয়নী।

মামলার আরজিতে আরো বলা হয়েছে,প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম তার পছন্দের ব্যক্তিকে ম্যানিজিং কমিটির সদস্য করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে ৬ষ্ট শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত ৬৩ জন ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকের নাম ভোটার তালিকায় ভুলভাবে লিপিবদ্ধ করেছে। এছাড়া ২ নং বিবাদী গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার খেয়াল খুশিমত ঈদুল আজহার ছুটিতে দৈনিক চুয়াডাঙ্গা পত্রিকায় গত ৮ আগষ্ট তফশিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র উত্তোলন ও জমা ৯,১০ ও ১১ আগষ্ট। বাছাই ১৪ আগষ্ট ও প্রত্যাহার ১৬ আগষ্ট ভোট গ্রহন ২৯ আগষ্ট। অপরদিকে ভুয়া ভোটারদের দিয়ে নির্বাচন কার অভিযোগে নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন জামিরুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক সদস্য। রিট নং ৯৯৬৫/২০১৯। রিটটি শুনানীর জন্য অফেক্ষমান রয়েছে। ১ নং বিবাদী প্রধান শিক্ষক মো: মনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।




মেহেরপুরে ক্ষুদে ক্রিকেটার বাঁছাইয়ের লক্ষে কার্যক্রম শুরু

দেশব্যাপী ক্ষুদে ক্রিকেটার বাছাইয়ের লক্ষে ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম ১ম পর্ব মেহেরপুরে বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন জেলা ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমের ভলেন্টিয়ারা।

আজ সোমবার বিকালে পৃথক ভাবে জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি ও জেলা শিক্ষা অফিসার শাহিন আক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করেন ভলেন্টেয়িাররা। এসময় জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমের জার্সি হস্তানর করেন প্রতিনিধি দল।

ট্যলেন্ট হান্ট কার্যক্রমের আঞ্চলিক প্রতিনিধি এসএম মুজাহিদ আল মুন্নার নেতৃত্বে অন্যদের মধ্যে জেলা ভলেন্টিয়ার আতিক স্বপন, ভলেন্টিয়ার এজেডএম তৌহিদুল আজম, শাব্বির হোসেন শিশির, আব্দুল মান্নাফ, মেহেদী হাসান শিমুল উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় ট্যালেন্ট স্পোর্টস লিমিটেড এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।




সফলতা শুধু আপনার জন্যই – এম.এ.এস ইমন

আপনি যখন জিতে যাবেন তখন আপনার চারপাশে সবাই জিতে যাবে। সেই মুখগুলো আপনাকে নিয়ে খুব গর্ব করবে একদিন যে মুখগুলো আপনাকে দেখলে কালো হয়ে যেতো। অনেক অপরিচিত মুখও আপনার কাছে পরিচিত হয়ে যাবে। এমন অনেক জায়গা থেকে আপনার নাম্বারে ফোন আসবে যাদের নামও আপনি শুনেন নাই। আপনি হবেন সবার মধ্যমণি।

কিন্তু যদি আপনি হেরে যান, তাহলে শুধু আপনি একাই হারলেন। কেউ আপনার সঙ্গী হবে না। যে আত্মীয় স্বজন এক সময় আপনাকে নিয়ে গর্ব করতো তারা আপনাকে নিয়ে টিজ করবে, তাদের কাছে হবেন আপনি তামাশার পাত্র। আপনি যখন দু:সময়ে থাকবেন তখন আপনার জবান কে বন্ধ রাখুন। হতাশ হবেন না, ভেঙ্গে পড়বেন না।

নীরব নিস্তব্ধভাবে প্রস্তুতি নিন উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য। আর সেই জবাব টা কি জানেন ? শুধু মাত্র একটা সফলতা। আপনার একটা সফলতা আপনার সমস্ত সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেবে। তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব হয়ে যাবে। তাদের মুখে সুপারগ্লুর মতো আঠা লাগিয়ে দিবে। এবং এটা আপনার দ্বারা খুবই সম্ভব। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই কিন্তু কেউ মরতে চাই না। কিন্তু সেটাতো অসম্ভব। আর এই অসম্ভব কাজটাকে সম্ভব করার জন্য আপনার জীবন থেকে চারটা “P’ কে বাদ দিন আর ছয়টা টা “P” কে জীবনের সাথে যোগ করুন। যে চারটা P কে জীবন থেকে বাদ দিবেন:—– প্রথম P :Procrastination মানে হলো কাল ক্ষেপণ, আজ নয় কাল, কাল নয় পরশু এভাবে শুধু নিজেকে পিছিয়ে। আপনাকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য শয়তান আর প্রবৃত্তির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এই একটা P ই যথেষ্ট।

আপনি ভাবছেন বিকাল থেকে শুরু করবেন, কিংবা আগামীকাল থেকে শুরু করবেন। মনে রাখবেন সেই বিকাল কিংবা আগামীকাল আপনার জীবনে আর কখনো আসবে না। সেটা শুধু “আগামী” বলেই থেকে যাবে।

দ্বিতীয় P :-Phobia মানে ভয়। অনেক কিছুর ভয় হতে পারে যেমন নিজের অযোগ্যতার ভয়, নিজের অক্ষমতার ভয়, মানুষের সমালোচনার ভয়…. আরো কত কি। নিজের যোগ্যতা আর সক্ষমতার ব্যাপারে যদি আপনার ভয় হয়, তাহলে আপনার জন্য বলছি, আপনি কি জানেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে দুই প্রসিদ্ধ ফল আর দুইটা পবিত্র এবং নিরাপদ নগরীর কসম খেয়ে বলেছেন ” আমি মানুষ কে অতি উত্তম গঠনে সৃষ্টি করেছি ” এই উত্তম গঠনের মধ্যে একটা মানুষের যত ধরণের গুনাবলী দরকার যেমন তার যোগ্যতা, সক্ষমতা, মেধা , শক্তি, সাহস, বীরত্ব সব গুলো আল্লাহ দিয়ে দিয়ছেন। অর্থাৎ আপনার মধ্যে অনেক যোগ্যতা আছে যা আপনি জানেন না। কিংবা কখনো আপনি জানার চেষ্টাও করেন নাই। তাই আপনার দায়িত্ব হলো আপনি নিজেকে নিজের মধ্য থেকে আবিষ্কার করুন। আপনি যোগ্য বলেই আপনি এসএসসি, এইচ এসসি, অনার্স, মাস্টার্স সব পাশ করছেন। সুতরাং আপনি এই কথা বলবেন না যে চাকরিটা আমার দরকার, কারণ এই কথার দ্বারা আপনার একটা অসহায়ত্ব বুঝায় বরং আপনি বলুন এই চাকরিটা আমার জন্যই, আমি চাকরিটা ডিজার্ভ করি। আমাকেই সেখানে যেতে হবে। আমিই এটার উপযুক্ত ব্যক্তি। আর সমালোচনার ভয়? এদের সমালোচনা কানে নিয়ে এদের কে উপরের শ্রেণীতে তুলবেন না । ছোটলোক গুলোকে ছোটলোকের শ্রেনীতে থাকতে দিন। এদেরকে ভালোও বাসবেন না আবার ঘৃণাও করবেন না। এদেরকে শুধু উপেক্ষা করুন। আপনার আপন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান।

তৃতীয় P :- Pessimistic বা হতাশাগ্রস্থ। এই P টাকেও আপনার জীবন থেকে দূর করতে হবে। অবস্থার যতই অবনতি হোক না কেন, যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিই আসুক না কেন, কখনোই হতাশ হবেন না। মনে রাখবেন এই দুর্যোগপূর্ণ পৃথিবীর কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এমন কি আমাদের সমস্যা গুলোও। সব সময় নিজেকে আশা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আবদ্ধ রাখুন। ভাবুন আমার অবস্থা যেমন তার চেয়েও আরো অধিক খারাপ হতে পারতো। এখনতো অনেক ভালো আছি। খুব শীঘ্রই আল্লাহ আমার দু:সময় দূর করে দেবেন। আর আল্লাহ বান্দার আশা অনুযায়ী তার ব্যাপারে ফায়সালা দেয়। নিজেকে সব সময় বলুন আমি হেরে যাবার পাত্র নই। আমি হেরে যাবো বলে স্বপ্ন দেখে নি। আমি ক্লান্ত কিন্তু আমি পরাজিত নই। আমাকে আমার গন্তব্যে যেতেই হবে। আমি থেমে যাওয়ার পাত্র নই। আমি লক্ষ্যে অবশ্যই পৌঁছাবো।

চতুর্থ P : Parasite মানে পরজীবী। এই P টাকেও দূর করতে হবে। কারো কাছে কোনভাবেই, না মানসিকভাবে, না আর্থসামাজিকভাবে কখনো পরজীবী হবেন না। এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া কোন ব্যপারে কারো কাছে নির্ভরশীল হবেন না। নিজের ব্যক্তি সত্ত্বার সাথে কাউকে মিশ্রিত করবেন না।

যে ছয়টা “P” আপনার জীবনের সাথে যোগ করবেন:-
প্রথম P:-Positivity অর্থাৎ ইতিবাচক মনোভাব। আর এটার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি হলো ” না এর সাথে না যোগ করুন, আর হ্যাঁ এর সাথে হ্যাঁ “। কেউ যদি বলে তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, সাথে সাথে আপনিও বলে দিন “তোমার কথা ঠিক না”, কেউ যদি বলে চেষ্টা করো পারবে, আপনিও বলুন ইনশাআল্লাহ, হ্যাঁ আমি পারবো । সব কিছু ইতিবাচকভাবে চিন্তা করুন। নিজেকে ও নিজের যোগ্যতাকে রেস্পেক্ট করুন। জায়গা মতো সেগুলো কে প্রদর্শন করুন কিন্তু অহংকার করবেন না। যোগ্যতা প্রদর্শন এক জিনিস আর অহংকার আরেক জিনিস। আল্লাহ আপনাকে যোগ্যতা দিয়েছে সেটা তার পক্ষ থেকে আপনার উপর নিয়ামত। সেটাকে ব্যবহার করার জন্যই দিয়েছে, সিন্দুকে তালা দিয়ে রাখার জন্য নয়। এতে নেতিবাচক মানষিকতার মানুষ গুলো আপনাকে গালি দিয়ে বলবে “শালা তো নিজের ঢোল নিজে পিটায় ” আপনি বলে দিন আমার ঢোল আছে দেখেই আমি পিাটাতে পারি, পারলে আমার মতো একটা ঢোল অর্জন করে তুমিও পিটানো শুরু করো। নিজের আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন গুলো কে সন্তানের মতো লালন পালন করুন। এই গুলোই আপনার চুড়ান্ত অর্জনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে।

দ্বিতীয় P :- Passion বা অর্জন করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকতে হবে। এমন না যে পাইলে পাইলাম, না পাইলে নাই। এরকম মানসিকতা নিয়ে কখনো কোন কাজে সফল হতে পারবেন না। মানসিকতা এই রকম হওয়া চাই যে, আমার একটাই লক্ষ্য যে আমাকে ক্যাডার হতেই হবে, আমাকে জব পেতেই হবে, আমাকে সফল বিজনেসম্যান হতেই হবে — দ্বিতীয় আর কোন অপশন নাই, দেখেবেন এই দৃড় প্রতিজ্ঞাই আপনাকে গন্তব্যে নিয়ে যাবে।

তৃতীয় P :- Plan বা পরিকল্পনা যার মানে হলো আপনার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চিন্তাগুলো এক ফ্রেমে আবদ্ধ করা। আর এর মূল উদ্দ্যেশ্যে হলো গুরুত্ব অনুযায়ী কাজকে প্রধান্য দেয়া। আমার কাজ তো অনেক আছে কিন্তু এই মুহুর্তে কোন কাজটা আমার জন্য সবচেয়ে জরুরী সেটাকে নির্ধারণ করে আগে করা। এভাবে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাওয়া। প্লান ছাড়া কোন কাজেই সফলতা আশা করা যায় না। দিন শেষে সবকিছু পন্ডশ্রম মনে হবে। তাই প্লান হচ্ছে সফলতার মৌলিক ভিত্তি।

চতুর্থ P :- Perseverance মানে কঠোর অধ্যবসায় সাথে অনুশীলন। পরিশ্রম আর অনুশীলন এই গুলো হচ্ছে এক ধরণের সুমিষ্ট পানীয়ের মতো যে এটা যত বেশী পান করবে তার জীবন ততবেশী সুমিষ্ট হবে। আপনি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে অনুশীলন চালিয়ে যান। একবার ব্যর্থ হয়েছেন বলে থেমে যাবেন না , আবার শুরু করুন। কাজের মধ্যে লেগে থাকুন। কাজ করতে থাকুন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না আপনি আপনার গন্তব্যে না পৌঁছিয়েছেন। অবিরামভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।

পঞ্চম P :- Patient বা ধৈর্যশীল। কাজ করতে করতে অনেক সময় বিরুক্তি চলে আসবে, কিংবা হতাশা আসতে পারে কিন্তু এই মুহুর্তে ধৈর্য্যের সাথে সব কিছু মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখবেন একটা রঙধনু দেখতে হলেও বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতে হয়, জোছনার আলো উপভোগ করতে হলেও একটা রাতের জন্য অপেক্ষা করতে হয় আর আপনি এমন কিছু অর্জন করবেন যার মাধ্যমে আপনি সারাটা জীবন সুখে শান্তিতে কাটাবেন, তার জন্য কিছু অপেক্ষা করবেন না তা কি করে হয়। তাই অস্থিরও হওয়া যাবে না অলসও হওয়া যাবে না। ধৈর্য্যের সাথে সব মোকাবেলা করতে হবে। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।

ষষ্ঠ P :-Prayer বা দোয়া। সফলতা হলো ৯৯% পরিশ্রম আর ১% দোয়ার যোগফল। তবে মাঝে মাঝে এই ১% যদি ঠিক না থাকে তাহলে বাকী ৯৯% ও অর্থহীন হয়ে পড়ে। অনেক আগে টিভিতে একটা গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিত এইরকম গাড়িটা ৯৯% ভালো এর মধ্যে এ.সি, GPS সিস্টেম সেট করা আছে, অতিরিক্ত ব্যাটারি সহ আরো অনেক কিছু। তবে ১% সমস্যা আছে আর সেটা হলো গাড়িটার ব্রেক গুলো নষ্ট। তো এই গাড়িটার ৯৯% যেরকমভাবে ১% এর জন্য অর্থহীন হয়ে গিয়েছে, ঠিক একইভাবে আমাদের ৯৯% পরিকল্পনা, পরিশ্রম অর্থহীন হয়ে যাবে যদি আমাদের ১% দোয়া ঠিক ভাবে না হয়, আল্লাহ যদি কবুল না করেন।

তাই আপনি যে ধর্মেরই হোন না কেন- হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইয়াহুদি, ক্যাথলিক বা মুসলিম, আপনার পবিত্র ধর্র্মীয় রীতিমতো আন্তরিকতার আপনার সৃষ্টি কর্তার কাছে আপনার আকাঙ্ক্ষার জন্য প্রার্থনা করুন। যারা মুসলিম আছেন তারা অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সাথে পড়বেন। কোন অবস্থাতেই এটা ছাড়বেন না। জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে। পারলে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়ুন। সে সময় দুয়া কবুল হয়। আল্লাহর কাছে আকুতি মিনতি করে বলুন ” হে আল্লাহ তুমি আমাকে মানুষের কাছে সমালোচনা বা তামাশার পাত্র বানিওনা। আমাকে যে যোগ্যতা দিয়েছো তা কাজের লাগানোর তৌফিক দাও। কারো দুয়ারে লবিং এর জন্য দ্বারস্থ করিও না। আমাকে নিরাপদে আমার সফলতার গন্তব্যে পৌঁছে দাও। এইভাবে দোয়া করেন। মনে রাখবেন একজন ভিক্ষুক যদি বার বার আমাদের দরজায় এসে কড়া নাড়ে তাহলে এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে হলেও তাকে কিছু দান করে বিদায় করে দেই। আমরা মানুষ হয়ে যদি এইরকম টা করতে পারি তাহলে আমাদের রব আল্লাহর দরজায় যদি আমরা বার বার কড়া নাড়ি, তিনি অবশ্যই আমাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। আমিন

লেখক: মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক ও প্রেট্রো বাংলার পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ।




বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই দেশ মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরের মত হতো — জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে অনেক আগেই আমদের দেশ মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুরের মত উন্নত দেশে পরিণত হতো। বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে অসাধু ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্ধেশ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল।

শুক্রবার বিকালে গোভিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশ রতœ শেখ হাসিনা টানা তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায় আছেন। ইতিমধ্যে আমাদের দেশে যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্ববাসীর কাছে সপ্নের মত। কিভাবে এতা অল্প সময়েল মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় লাগামহীন ঘোড়ার মত দৌড়াচ্ছে, এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বিশ্ব নেতারা এখন বাংলাদেশ সফর করে যাচ্ছে। ইতি মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশে ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করছে।

Farhad Hossain Mpপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন বিএনপি জামায়াতরা ক্ষমতায় ছিল তখন দেশ দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দেশের সম্পদ লুটেপুটে খেয়েছে। দেশের জনগন সার তেলের জন্য হাহাকার করেছে। দেশে চোর ডাকাত সন্ত্রাসের কারনে রাস্তায় বের হওয়া মুশকিল ছিল। কিন্তু এখন দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। চোর ডাকাত বলে কিছু নেই। সেই সাথে মেহেরপুরের মানুষ এখন ২৪ ঘন্টা নির্ভয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে। এখন আর রাত জেগে গ্রাম পাহারা করতে হয় না। গরু- ছাগল মাঠের ফসল সব কিছু পড়ে থাকলেও হাত দেওয়ার মত আর লোক নেই। আপনারা জানেন মেহেরপুরে যে উন্নয়ন হয়েছে সেই সাথে যে পরিমান বরাদ্দ আমরা পেয়েছি তা দিয়ে মেহেরপুরকে মডেল জেলা হিসেবে রুপান্তর করা হবে।

বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহ জামানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, গোভিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহারুল ইসলাম, বুড়িপোতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ওয়াসিম আলী, সানোয়ার হোসেন, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ফুল চাদ মোল্লা, ২নং ইউপি সদস্য শরিফুদ্দিন।

জনসভার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুস সামাম বাবলু বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহিন, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস, আমঝুপি ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চুন্নু, মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আরিফুল আনাম বকুল, জেলা আওয়ামী লীগের ও জেলা পরিষদের সদস্য শামীম আরা হীরা, জেলা যুবলী গের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুল প্রমুখ ।

অনুষ্ঠঅন সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামীলীগের উপ প্রচার সম্পাদক শ্বাশত নিপ্পন।




চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গমাতা জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টূর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেচ্ছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল অনূর্ধ-১৭, ২০১৯ এর বালিকা বিভাগের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

ফাইনালে দামুড়হুদা উপজেলা বালিকা দল ২-০ গোলে আলমডাঙ্গা উপজেলা বালিকা দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

শুক্রবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার ফাইনাল শেষে চ্যাম্পিয়ন-রানার আপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

চ্যাম্পিয়ন দলের পক্ষে গোল করে ফাগুন ও বেবী। এ ছাড়া টূর্নামেন্ট সেরা নির্বাচিত হয় রানার আপ দলের অধিনায়ক বিদিশা, ম্যান অব দি ফাইনাল ফাগুন ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার লাভ করে চ্যাম্পিয়ন দলের দলনায়ক বেবী।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খোন্দকার ফরহাদ আহম্মদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াহ্ ইয়া খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা পারভীন, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মুনিম লিংকন, এনডিসি সিব্বির আহম্মেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খাইরুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া অফিসার আমানুল্লাহ আহাম্মেদ প্রমুখ।

বিকেল ৫টায় একই মাঠে চুয়াডাঙ্গা জেলা পর্যায়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নমেন্টের বালক বিভাগের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হবে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি 




মেহেরপুরে বঙ্গবন্ধু অনুর্দ্ধ ১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে সদর উপজেলা ফাইনালে

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় অনুদ্ধ ১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের জেলা পর্যায়ের খেলায় সদর উপজেলা জয়লাভ করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে অনুষ্ঠিত খেলায় সদর উপজেলা ৩-০ গোলে পৌর একাদশকে পরাজিত করে। বিজয়ী দলের পক্ষে শিমুল, মুস্তাফিজ ও মহাব্বত ১টি করে গোল করেন। সদর উপজেলা দল আগামি শনিবার ফাইনালে গাংনী উপজেলা দলের সাথে খেলবে।

নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরে ৩৫০ কেভিএ বিদ্যুৎ এর সাব ষ্টেশন নির্মান

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা ও প্রকৌশলী অধিদপ্তরের যৌথ্য উদ্যোগে মেহেরপুর সরকারী কলেজে ৩৫০ কেভিএ বিদ্যুৎ এর সাব ষ্টেশন নির্মান কাজের নাম ফলক উম্মোচন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মেহেরপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ সফিউল ইসলাম সরদার নাম ফলক উম্মোচন করেন। পরে সেখানে মোনাজাত করা হয়। এ সময় সহযোগি অধ্যাপক ফুয়াদ খান, খসরু ইসলাম, খেজমত আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মেহেরপুর সরকারী কলেজে বিদ্যুৎ এর ৩৫০ কেভিএ সাষ্টেশন নির্মান করা হবে।

নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরে জমিজমা সংক্রান্ত মামলায় পিতা পুত্রের জেল

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মামলায় পিতা কাবিল উদ্দীন ও তার পুত্র লাল্টুকে ২ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
শনিবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শিরিন নাহার এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত কাবিল মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের পরান মন্ডলের ছেলে এবং লাল্টু কাবিল উদ্দীনের ছেলে।
২০১২ সালে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী শহিদুল ইসলামের সাথে সংঘর্ষ হয়। ঐ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।

নিজস্ব প্রতিনিধি




মেহেরপুরের আমঝুপিতে পিতা পুত্রকে কুপিয়ে জখম

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে পিতা পুত্রকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতরা হলেন,আমঝুপি মধ্য পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে শরিফ ও শরিফের ছেলে পলাশ। বর্তমানে তারা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এলাবাসীরা জানায়, উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এটা পূর্বের দ্বন্দের জের।

আহত শরিফ বলেন, আমরা দু’জনে বাড়ি থেকে মাঠে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে অপরদিক থেকে আসা এনায়েত মাস্টারের ছেলে হাসান ও তার ভাই খোকন আমাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামের লোকজন উদ্ধার করে মেহেরপুর হাসপাতালে পাঠায়।

আমঝুপি প্রতিনিধি