মেহেরপুরে কর্মক্ষেত্রে বাড়ছে নারী শ্রমিকের সংখ্যা

আকতারুজ্জামান, গাংনী:

মেহেরপুরে নানা কারনে দিনদিন বাড়ছে নারী শ্রমিকের সংখ্যা। কৃষি থেকে শুরু করে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে নারীদের ভুমিকা বাড়ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাদের কর্ম ক্ষেত্র হিসেবে অধিকাংশ নারীরাই ঝুকে পড়ছেন কৃষিতে। মাটি কাটা, কচু তোলা, আলু তোলা, মরিচ তোলা ধান লাগানো ইত্যাদি কাজে নারীদের অংশ গ্রহন লক্ষ্যনীয়।

শুধু তায়ই নয় বিভিন্ন ছোটখাটো কারখানাতেও নারীদের উপস্থিতি বেশ চোখে পড়া মত। এতে একদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে এ জেলার কৃষির ও শিল্পের উন্নয়ন ও অগ্রগতি , অন্যদিকে অভাব গ্রস্থ সংসারের হাল ধরছেন নারীরা। তবে একজন পুরুষ শ্রমিকের সমান কাজ করেও চরম মজুরী বৈষম্যের শিকার হচ্ছে তারা। নারী শ্রমিকদের মজুরী বৈষম্য ও কর্মক্ষেত্রে নানা সমস্য থাকলেও সরকারি -বেসরকারি ভাবে বৈষম্য দুরীকরনের নেই তেমন কোন উদ্যোগ।

পেশাগত ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকরা নানা বঞ্চনা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়তই। পাচ্ছে না অধিকার, নেই নিরাপত্তা। তবুও তারা জীবিকার তাগিদে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। একজন পুুরুষ শ্রমিক সকাল ৮ টা থেকে কাজ করেন দুপুর ২ টা পর্যন্ত। তাকে বর্তমানে মজুরী দেয়া হয় ৪শ থেকে ৫শ টাকা। একই কাজে নারী শ্রমিকদের দেয়া দেড় থেকে দুই’শ টাকা। এ ব্যাবস্থার পরিবর্তন হয়নি দির্ঘদিনেও।
শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাংলাদেশ সরকার ২০০৬ সালে শ্রম আইন প্রণয়ন করেন। শ্রম আইনের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য একটি আইন হচ্ছে ‘নারী শ্রমিকদের ৬ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য ডে-কেয়ার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করাতে হবে মালিক পক্ষ থেকে। এই আইনের প্রয়োগ নেই।

নানা সমস্যা মেনে নিয়েই নারী শ্রমিকরা কাজ করে আসছেন। দেশের বড়বড় শহরের শিল্পকল কারখানাতে এ আইনের কিঞ্চিত সুবিধা পেলেও মফঃস্বল এলাকায় এ আইন বা নারী শ্রমিকদের বিষয়ে মালিক পক্ষ একেবারেই উদাসীন। মেহেরপুর জেলাতে নারী শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই স্বামী পরিত্যত্ত্বা বিধবা। আবার কেউ কুমারী বা কিশোরী। নানা সমস্যার কারনে স্বামী সংসারে টিকতে না পেরে স্বামীর সাথে ছাড়াছাাড়ি হয়ে গরিব পিতার সয়সারে বোঝা হচ্ছে অনেক নারী। মেহেরপুর জেলায় শিল্প কারখানা না থাকায় পিতা-মাতার অভাবের সংসারে জীবন জীবিকার তাগিদে নারীরা এখন কৃষি কাজের দিকে ঝুকছেন।

কৃষিতে নারীদের অংশ গ্রহন শ্রমিক সংকট দুর করেছে। বিভিন্ন ব্যাবসা বানিজ্যের মধ্যে পুরুষেরা নিয়োজিত থাকায় একসময় পুরুষ শ্রমিক সংকট হয়ে পড়ছেছিল। নারীদের অংশ গ্রহনে সে সংসট দুর হয়েছে। মালিকপক্ষরা সে সুযোগে নারী শ্রমিকদের ঠকাচ্ছে। দেখারও কেউ নেই,বলারও কেউ নেই।

নারী শ্রমিকরা কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে হোচট খাচ্ছেন উল্লেখ করে নারী শ্রমিক নুরী বেগম বলেন, নারীরা সব জায়গায় হয়রানি হচ্ছে। মালিক পক্ষ থেকে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদেরকে নিয়ে যে সব উন্নয়ন মূলক কাজ করছেন তার পাশাপাশি তিনি যদি মফঃস্বল এলকায় নারী শ্রমিকদের দিকে একটু নজর দেন তাহলে কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের যে বৈষম্য, নির্যাতন এসব বন্ধ হবে

নারী শ্রমিক ছকিনা বেগম বলেন, নারীরা তাদের কর্মক্ষেত্রে নারীরা সব সময় অবহেলিত। আমরা সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও ন্যায্য মুজুরি পাচ্ছিনা। আমরা চাই সরকার আমাদের পাশে দাড়িয়ে মজুরি বৈষম্য দুর করুক।
গাড়াবাড়িয়া গ্রামের নারী শ্রমিক রওশনারা জানান,নারীরা আট ঘন্টার জায়গায় বারো ঘন্টা শ্রম দিচ্ছে। তারপরে সংশ্লিষ্ঠ মালিকগন আমাদের ঠকাই।

অতিরিক্ত কোন সুযোগ সুবিধা পায় না। এসব বিষয় নিয়ে মালিকদের সাথে কথা বলতে গেলে শ্রমিকরা ভয় পায়। তাদের কাজ থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

মেহেরপুর জেলায় নারী শ্রমিকের কোনো পরিসংখ্যান জানাতে পারেনি সরকারি বা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান। কারো কাছেই কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে এর নির্ধারিত একটি পরিসংখ্যান থাকা উচিৎ বলে মনে করছেন নারী মুক্তি নিয়ে কাজ করছেন এমন কিছু এনজিও সংস্থা।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাাসিমা খাতুন বলেন, আমাদের মেহেরপুর জেলা একটি কৃষি প্রধান জেলা। কৃষি ব্যাতিত এ জেলায় আর কোন কর্ম ক্ষেত্র নেই, তাই কৃষিতে নারীদের অংশ গ্রহন প্রসংশনীয়। পুুরুষের সমান শ্রম দিয়ে তারা মজুরী বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এটা কারো কাম্য নয়। সরবকারি বা বেসরকারি ভাবে নারীদের নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের আরো সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিৎ।

মালিক পক্ষের মধ্যে বৈষম্য নিয়ে কথা বলা দরকার এ বিষয়ে আমাদের করনীয় অব্যাহত থাকবে।
প্রতিবছর শ্রমিক দিবস আসে। র‌্যালি, আলোচনা সভা পালিত হয়। কিন্ত নারী শ্রমিকদের কাঙ্খিত অধিকার অধরা থেকে যায়। নারী শ্রমিকদের দাবী পুরুষের পাশাপাশি নারীদের পারিশ্রমিক সমান করা হোক। মজুরীসহ নানা বৈষম্য দুরীকরনে সরকারিভাবে ব্যাবস্থা নেয়ার দাবী ভক্তভোগী নারী শ্রমিকদের।




দৌলতপুরে মাদক সম্রাজ্ঞী রোকিয়া আটক

কুষ্টিয়ার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের ঘোষিত ুমাদকের উপর জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন হতে শুরু করেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের হাত থেকে বাঁচতে এবং সঠিক জীবনে ফিরে আসতে সুযোগ্য পুুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) এর নির্দেশে মাননীয়
সরাষ্ট্রমন্ত্র্রীর হাতে আত্মসমর্পন করে কুষ্টিয়ায় মাদকের অভায়রন্য কিছুটা বন্ধ হলেও আবারো মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদকের প্রধান রুট দৌলতপুর উপজেলা সিমান্তবর্তী হওয়ায় অনায়াসে মাদক বর্ডার পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দৌলতপুরে ছোট ছোট পুরুষ ও মহিলা মাদক কারবারীদের নিয়ন্ত্রন করে ভদ্রবেশি সমাজের কতিপয় লোক। এসকল লোকের মধ্যে প্রত্যেক ব্যক্তির যোগসাযস রয়েছে।
গত ১২ ই সেপ্টেম্বর দৈনিক সময়ের দিগন্ত ও দৈনিক আরশীনগর পত্রিকাসহ কয়েকটি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় “দৌলতপুরে মাদক ব্যবসায়ী রাশেদুল হত্যাকান্ড নিরীহ নিরাপরাধ মানুষের নামে মামলা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পায়। এই সংবাদের মধ্যে দৌলতপুরের আল্লারদর্গা বাজার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকেটি পয়েন্টে রমরমা মাদক ব্যবসা তুলে ধরা হয়।
যার মধ্যে মাদক স¤্রাজ্ঞী রোকিয়া ভাবীসহ কয়েক জনের নাম উঠে আসে। এই রোকিয়া ভাবিসহ অত্র এলাকার চিন্থিত মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকের যোগান দিয়ে থাকেন দৌলতপুরের গাছেরদিয়ার এলাকার কূুখ্যাত রাজাকার বক্কর মন্ডল এর পুত্র ও রাজাকার মুনসুর মেম্বর এর ভাতিজা মাদক এর গডফাদার স¤্রাট ও মাহাবুল। গত ২৩ তারিখ ফেন্সিডিলসহ ভাবি রোকিয়াসহ ১জন আটক হলেও প্রশাসনের নজরদাতা ও মাদক সেবীদের নিয়ন্ত্রন কারী স¤্রাট ধরাছোয়ার বাইরে আছে। ডিবি পুলিশের হাতে আটক রোকিয়া ভাবীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে ভদ্রমানুষের মুখোষপড়া রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চালানো
স¤্রাট ও মাহাবুলের মাদক কারবারের মূল রহস্য। গত ১৭/৯ তারিখ স¤্রাট, আলেপসহ অন্যান্য আসামীরা মাদক মামলায় কুষ্টিয়া কোর্টে বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দেয়। এই মামলার সাথে জরিত প্রত্যেক আসামী হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গোপনে মাদক সরবরাহ করে থাকে। এলাকার সচেতন মহলের দাবি রাজাকার পুত্র স¤্রাট, মাহাবুল কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনগত ব্যবস্থা নিলে অত্র এলাকার মাদকের শিখর উপরে ফেলতে সক্ষম হবে প্রশাসন।

নিজস্ব প্রতিবেদক:




গাংনীতে গলাই সুজি আটকিয়ে শিশুর মৃত্যু

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে গলাই সুজি আটকিয়ে মায়ের কোলে হুজাইফা নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ভাটপাড়া গ্রামের স্কুল পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত হুজাইফা (৮মাস) ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আনিসুর রহমানের মেয়ে।
জানাগেছে, আজ সকালে আনিসুরের স্ত্রী সেলিনা খাতুন তার শিশু কন্যা হুজাইফাকে সুজি খাওয়াচ্ছিলেন। এমনসময় হুজাইফার গলাই সুজি আটকিয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। হুজাইফাকে নিয়ে গাংনী হাসপাতালে আসার পথেই হুজাইফা মারা যায়। শিশু হুজাইফার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া মাতম বিরাজ করেছ।

গাংনী প্রতিনিধি:




মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, ঢাকায় রেফার্ড

মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ও কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। মেহেরপুর বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। মেহেরপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

এ ঘটনায় মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক এমএএস ইমন ও মেহেরপুর প্রতিদিন পরিবারের সকলেই সম্পাদকের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেন।




মেহেরপুরে এসিআই মটরস এর সোনালীকা ডে পালন

মেহেরপুরে এসিআই মটরস লি. এর আয়োজনে সোনলিকা ডে পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বার্ষিক সার্ভিস ও মতবিনিময সভার আয়োজন করা হয়।

মঙ্গলবার দিন ব্যাপি রাশেদ মটরস এর সামনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মধ্যদিয়ে এ সোনালীকা ডে পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাশেদ মটরস এর প্রোপাইটার এসএস এনামুল আজিম।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এসিআই মটরস লি. এর জেনারেল ম্যানেজার সাহেদ আল আমিন, প্রডাক্ট ম্যানেজার তন্ময় মজুমদার, এরিয়া ম্যানেজার আবু আল ইমারন, টেরিটরি ম্যানেজার মতিউর রহমান, অশিষ কুমার প্রমুখ।

দিন ব্যাপি অনুষ্ঠান মালার মধ্যে ছিল সার্ভিসিং, হেলথ চেকআপ, রেফেল ড্র, খেলাধুলা ইত্যাদি। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়।




জাতীয় রীতি ভেঙে ট্রাম্পের পক্ষ নিলেন মোদি

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে এই মুহূর্তে আমেরিকায় অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি এমন এক কাজ করলেন যা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির পরিপন্থী। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন মোদি। টেক্সাসের হিউস্টনে স্থানীয় সময় রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে প্রায় পঞ্চাশ হাজার ইন্দো-আমেরিকান দর্শকের সামনে হাত-ধরাধরি করে নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য ব্যাপকভাবে হইচই ফেলেছে। কিন্তু অনেকে তার চেয়েও বেশি অবাক হয়েছেন মোদি সরাসরি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আবার জেতানোর আহ্বান জানানোর কারণে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী তথা প্রবীণ রাজনীতিবিদ ওমপ্রকাশ মিশ্র মনে করছেন নরেন্দ্র মোদি গত রাতে হিউস্টনে যা করেছেন ভারতের ইতিহাসে তা সম্পূর্ণ নজিরবিহীন। আরো যেটা অভূতপূর্ব তা হলো, একে অপরের পিঠ চাপড়ানি চললেও দেওয়া-নেওয়াটা কিন্তু হচ্ছে সম্পূর্ণ এক পক্ষে। মানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিন্তু এমন কিছু এবারে বলেননি যা মোদি সরকারকে নিজের দেশের ভেতরে সাহায্য করবে।

মেপ্র/প্রতিদিন মনিটর




আল্লাহর আরশ ও কুরসি কত বড়

মহান আল্লাহ আরশের অধিপতি। এই নিখিল জাহান সৃষ্টি করার পর তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেননি। বরং গোটা সৃষ্টিজগৎ তিনি নিজেই পরিচালনা করছেন। এই সীমাহীন রাজ্যের তিনি রাজাধিরাজ। তিনি শুধু স্রষ্টাই নন, তিনি শাসকও! আরশ মহান আল্লাহর বৃহত্তম সৃষ্টি। এর ওপর রাব্বুল আলামিন তাঁর মর্যাদা ও অবস্থান অনুযায়ী সমাসীন। ইরশাদ হয়েছে, ‘মহিমান্বিত আল্লাহ, যিনি প্রকৃত মালিক, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি সম্মানিত আরশের অধিপতি।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ১১৬)। ‘…তিনি মহা আরশের অধিপতি।’ (সুরা : তওবা, আয়াত : ১২৯)
‘মহান আল্লাহ সব কিছুর মালিক ও স্রষ্টা। কেননা তিনি মহান আরশের অধিপতি, যা সৃষ্টিজগতের ছাদস্বরূপ। আসমান-জমিন ও উভয়ের মধ্যবর্তী সব কিছু আল্লাহর কুদরতে আরশের নিচে বিদ্যমান। আল্লাহর জ্ঞান সব কিছু ঘিরে আছে। সব কিছুর ওপর তাঁর কুদরত কার্যকর। তিনি সব কিছুর রক্ষণাবেক্ষণকারী।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির : ২/৪০৫)
একদল শক্তিমান ফেরেশতা মহান আল্লাহর আরশকে ধারণ করে আছেন। তাঁদের সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, ‘যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা এর চতুষ্পার্শ্ব ঘিরে আছে, তারা তাদের রবের সপ্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং তারা তাঁর প্রতি ঈমান আনে…।’ (সুরা : মুমিন, আয়াত : ৭)
জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আমাকে আরশ ধারণকারী ফেরেশতাদের সম্পর্কে বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এমন যে তাঁদের কানের লতি থেকে গর্দানের শেষ সীমানার মধ্যবর্তী স্থানে দ্রুতগামী ঘোড়ার ৭০০ বছরের দূরত্ব রয়েছে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭২৭)
হাদিসবিদ ইবনে হাজর আসকালানি (রহ.) লিখেছেন, ‘হাদিসটির সনদের সূত্র সহিহ।’ (ফাতহুল বারি : ৮/৬৬৫)
অন্যদিকে আল্লাহর কুরসি সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘…তাঁর কুরসি আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত…।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৫)
আরশ ও কুসরি কি একÍএ প্রশ্ন নিয়ে তাফসিরবিদদের ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা দেখা যায়। তবে বিশুদ্ধ কথা হলো, আরশ ও কুরসি এক নয়। এ বিষয়ে ইবনে আব্বাস (রা.)-এর একটি বক্তব্য পাওয়া যায়। ইবনে আবি শায়বা (রহ.) তাঁর ‘সিফাতুল আরশ’ নামক গ্রন্থে এবং হাকিম (রহ.) তাঁর ‘মুসতাদরাক’ গ্রন্থে সাঈদ বিন জুবাইরের সূত্রে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, কুরসি হলো মহান আল্লাহর কুদরতি কদম (পা) মুবারক রাখার স্থান।
আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘আল্লাহর আরশের তুলনায় কুরসি এত ছোট যে তা যেন একটি বিশাল মরুভূমিতে পড়ে থাকা আংটির মতো।’ (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া : ১/১৪)
আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) লিখেছেন, এই বর্ণনার সূত্র বিশুদ্ধ।
কুরসি হলো ওই আংটিতুল্য। আর ওই মরুভূমি হলো আরশতুল্য। অথচ কুরসিটাই আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত। তাহলে আল্লাহর আরশ কত বড়!




গ্রুপ স্টোরিজ’ ফিচার বন্ধ করছে ফেসবুক

চালুর মাত্র ১০ মাসের মধ্যে নিজেদের গ্রুপ ‘স্টোরিজ’ ফিচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ‘গ্রুপ স্টোরিজ’। শুধু তা-ই নয়, ফিচারটির আর্কাইভে থাকা ব্যবহারকারীদের সব ছবি বা ভিডিওগুলো স্থায়ীভাবে মুছেও ফেলা হবে। উল্লেখ্য, ফিচারটি কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট ফেসবুক গ্রুপে কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও পোস্টের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্তব্য পাঠানো যায়। চাইলে বিভিন্ন ধরনের ডুডল বা ছবিও যুক্ত করার সুযোগ মিলে থাকে। বিনিময় করা ছবি বা ভিডিওগুলো ২৪ ঘণ্টা পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাওয়ায় শুরুতে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ফিচারটি। পরে ধীরে ধীরে ব্যবহার কমে যাওয়া ফিচারটি পুরোপুরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক।

মেপ্র/প্রতিদিন ডেস্ক




হার্ট সতেজ রাখতে খাদ্যাভ্যাসে আনুন পাঁচ পরিবর্তন

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, খাদ্যাভ্যাসে মাত্র পাঁচটি পরিবর্তন এনে হৃদরোগ ও স্ট্রোক থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি। ব্রিটেনে পুষ্টি ফাউন্ডেশন তাদের নতুন এক প্রতিবেদনে বলেছে, বয়স কম হওয়া সত্ত্বেও এই দুটি কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এক পরিসংখ্যান বলছে, ব্রিটেনে যতো মানুষের অকাল মৃত্যু হয়, তার অন্তত চার ভাগের এক ভাগের মৃত্যুর জন্য দায়ী হৃদরোগ। স্বাস্থ্য গবেষকরা বলছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। পুষ্টি ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মানুষের দেহের অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি অণুজীব মাইক্রোবায়োম যদি সুস্থ থাকে এবং কোমরের আকার যদি খুব বেশি বেড়ে না যায়, পাশাপাশি রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কম রাখা যায়, তাহলেই হৃদরোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনেই এসব অর্জন করা সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে খাবার-দাবারের বেলায় কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে?
১. বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খান: যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ আছে, সেসব খাবার খাবেন। এসব খাবারের কারণে শরীরে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সাহায্য করে এই ব্যাকটেরিয়া। বেশি আঁশ আছে এরকম সবজির মধ্যে রয়েছে শিম ও মটরশুঁটি জাতীয় সবজি, কলাই ও ডাল জাতীয় শস্য এবং ফলমূল। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আলু এবং শেকড় জাতীয় সবজি খোসাসহ রান্না করলে সেগুলো থেকেও প্রচুর আঁশ পাওয়া যায়। এ ছাড়া তারা হোলগ্রেইন আটার রুটি এবং বাদামী চাল খাবারও পরামর্শ দিয়েছেন।
২. স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে ফেলুন। খাদ্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেসব খাবারে বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা জমাট-বাঁধা চর্বি থাকে, সেসব খাবার খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকিও। চিজ, দই, লাল মাংস, মাখন, কেক, বিস্কিট ও নারকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। তারা বলেছেন, হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে হলে স্যাচুরেটেড নয় এমন চর্বি (যেসব খাবারের ওপর চর্বি জমাট বাঁধে না) সে ধরনের খাবার খেতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে, তেল সমৃদ্ধ মাছ, বাদাম ও বীজ। অলিভ, রেপসিড, সানফ্লাওয়ার, কর্ন এবং ওয়ালনাট তেল দিয়ে রান্নার বিষয়ে তারা জোর দিয়েছেন।
দুধের বেলায় স্কিমড বা সেমি-স্কিমড (দুধ থেকে চর্বি সরিয়ে নেয়া) দুধ খেতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে খাবারে যাতে বাইরে থেকে চিনি মেশানো না থাকে। লাল মাংসের বদলে খেতে হবে মুরগির মাংস। মুরগির চামড়া তুলে ফেলে দিন। গরুর মাংস খেলে তার ওপর থেকে চর্বি ফেলে দিয়ে রান্না করতে হবে।
সপ্তাহে অন্তত একদিন এমন মাছ খেতে হবে, যাতে প্রচুর তেল আছে। ক্রিস্প ও বিস্কিটের বদলে নানা ধরনের বাদাম ও বীজ খেতে পারেন।
৩. লবণকে বিদায় জানান: লবণ বেশি খেলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এর ফলে বৃদ্ধি পায় হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও। ব্রিটেনে স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয় যে এনএইচএস থেকে, তাদের পরামর্শ হলো- দিনে সর্বোচ্চ ৬ গ্রাম (এক চা চামচের পরিমাণ) লবণ খাওয়া যেতে পারে। তারা বলেছেন, লবণ কম-বেশি খাওয়া একটি অভ্যাসের ব্যাপার। লবণ যতো কম খাওয়া হবে তার চাহিদাও ততো কমে যাবে।
এই অভ্যাস বদলাতে মাত্র চার সপ্তাহের মতো সময় লাগে। এই সময় পর দেখা যাবে আপনি যে খাবারের সঙ্গে লবণ খাচ্ছেন না, সেটি আপনি বুঝতেই পারবেন না।
খাদ্য বিশেষজ্ঞ বলেছেন, লবণের পরিবর্তে মশলা দিয়ে খাবার প্রস্তুত করলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে।
৪. ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাবেন
যেসব খাবারে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ বেশি থাকে, সেগুলো আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এসব খাবার হৃদরোগের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে। হৃদরোগের যেসব কারণ আছে, সেগুলো ঠেকাতেও এসব খনিজ ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।
অনেক খাদ্য বিশেষজ্ঞ মনে করেন, স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েটের মাধ্যমেই এসব ভিটামিন ও খনিজ পাওয়া সম্ভব।এসবের জন্য ট্যাবলেটের ওপর নির্ভর করতে হবে না। তবে তার মধ্যে ব্যতিক্রম হচ্ছে ভিটামিন ডি। কারো শরীরে ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব থাকলে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন : প্রতিদিন পাঁচটি ফল বা সবজি খাওয়া। ছোট্ট এক গ্লাস জুস। শিম ও ডাল জাতীয় শস্যও খেতে পারেন। বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবারে থাকে ভিটামিন ই। মাছ, দুগ্ধজাত খাবার ও হোলগ্রেইনে পাওয়া যায় ভিটামিন বি। কলা, আলু এবং মাছে পটাশিয়াম।
ডাল ও হোলগ্রেইনে ম্যাগনেসিয়াম। দুগ্ধজাত খাবার ও সবুজ পাতার সবজি থেকে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম।
৫. বেশি মোটা হলে ক্যালরি কমিয়ে দিন: হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়ার জন্য উপরের চারটি ধাপ অনুসরণ করলেই আপনি অনেক দূর অগ্রসর হয়েছেন। কারণ আপনি যদি চিনি, লবণ, স্যাচুরেটেড চর্বিযুক্ত খাবার কম খান, ভিটামিন ও মিনারেল আছে- এরকম খাবার বেশি খান, তাহলে আবার মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম। মনে রাখতে হবে মোটা হলে তা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে কোমরে চর্বি জমা হলে। পুরুষের কোমর যদি ৩৭ ইঞ্চি আর নারীর কোমর ৩১ দশমিক ৫ ইঞ্চির বেশি হয় তাহলে ওজন কমাতে হবে। ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
আরও যেসব উপায় :
১. প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
২. সপ্তাহে অন্তত আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করুন।
৩. মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন।
৪. ধূমপান ছেড়ে দিন।

মেপ্র/প্রতিদিন ডেস্ক




বাংলাদেশে আসছে না অজিরা

দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ঘরের মাটিতে সীমিত ওভারের কোনো সিরিজ খেলে নি বাংলাদেশ। আলোচনা চলছিল এ বছরের অক্টোবরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে অজিরা। কিন্তু জানা গেল, সিরিজটি হচ্ছে না।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিসিবির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফেব্রুয়ারিতে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজটিও পিছিয়ে যাচ্ছে। সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী জুন-জুলাইয়ে।
উল্লেখ্য, এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে দু’টি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসে অজিরা। যেখানে প্রথম ম্যাচে অজিদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্টে দারুণ জয় পায় সাকিবরা। পরের ম্যাচ জিতে অবশ্য সমতায় শেষ হয় সিরিজ।

মেপ্র/স্পোর্টস ডেস্ক