চুয়াডাঙ্গায় ডিসির মোবাইল নম্বর হ্যাক, টাকা চাইলো প্রতারক

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহিরুল ইসলামের অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরটি হ্যাক হয়েছে। এই নম্বর থেকে মঙ্গলবার সকাল ১০ টা ৫৮ মিনিটে হোয়াইটস আ্যাপে ম্যাসেজ আসে আর্জেন্ট ১৫ হাজার টাকা লাগবে এখন এই নাম্বারে পাঠায় দিয়েন ০১৬২৩ ৬৯২৬৯১ বিকাশ পার্সোনাল।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক। পাশাপাশি এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, খুব দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কেউ যেন ভুল করে কোনো প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন। কেউ যেন উল্লেখিত নম্বরে কোনো টাকা লেনদেন না করেন।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।




মেহেরপুরে জেলা বিএনপির পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা আমদহ ইউনিয়নে জেলা বিএনপি’র আয়োজনে এ পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মাদ ও যুগ্ন আহবায়ক আমিরুল ইসলাম।

এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়ার সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু, আনছা-উল -হক, হাফিজুর রহমান হাফি, জেলা বিএনপি সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও পাবলিক প্রসিকিউটর আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুমানা আহমেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা জাসাসের সদস্য সচিব বাকাবিল্লাহ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মিন্টু, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, সদর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাসিবুজ্জামান স্বপ্নন, জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানি, আব্দুল লতিফ, মোশিউল আলম দিপু, নাহিদ আহম্মেদ, দবিরসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় নেতারা সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে তাদের সমর্থন কামনা করেন।




মেহেরপুরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুর শহরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে জিআর মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোহাম্মদ ওসমান আলী (৫৮) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ ওসমান আলী মেহেরপুর শহরের চক্রপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আজগর আলীর ছেলে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে মেহেরপুর শহরের চক্রপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেজবাহ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মেজবাহ উদ্দিনের নের্তৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম, এসআই বিএম রানা, এএসআই মিরাজুল ইসলাম, এএসআই মোঃ শহিদুল ইসলাম ও সংগীয় ফোর্স অভিযানে অংশ নেন।
গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ ওসমানের নামে জিআর -১৪৬ /১৬ মামলা রয়েছে। এই মামলায় তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ প্রক্রিয়াধীন।




ঝিনাইদহে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের স্মারকলিপি পেশ

বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রীম কোর্টের অধিনে পৃথক সচিবালয় গঠন, যুগোপযোগী পদ সৃজন ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতীর সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নসহ দুই দফা দাবীতে প্রধান বিচারপতি ও আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে ঝিনাইদহের বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন ঝিনাইদহ জেলা শাখার পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

সকালে জেলা জজের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতি ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সেসময় সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি ইমাদ উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ দৌলা মাসুমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সেসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিচার বিভাগ দীর্ঘদিন স্বতন্ত্র হলেও কর্মচারীরা এখনও সংস্থাপন শাখার অধীনে রয়েছে। যে কারণে দ্বৈত শাসনের মধ্যে পরতে হচ্ছে তাদের। নতুন পদও সৃষ্টি হচ্ছে না। সেই সাথে পদোন্নতীতে বিলম্ব হচ্ছে। তাই পৃথক সচিবালয় গঠন, বিদ্যমান ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজন ও জোষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে সতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়ণের দাবী জানান তারা।




ঝিনাইদহে অস্ত্রসহ তিন চাঁদাবাজ পাকড়াও

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কামতা গ্রামে পাহারা দিয়ে দেশী অস্ত্রসহ তিন চাঁদাবাজকে পাকড়াও করেছে গ্রামবাসি। আটককৃতরা হলেন, শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি নতুন বাজার গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে দিন মোহাম্মদ, একই উপজেলার ভগবান নগর গ্রামের মন্টু বিশ্বাসের ছেলে হৃদয় বিশ্বাস ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মহামায়া গ্রামের কওছার মন্ডলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম।

সোমবার মধ্যরাতে গ্রামবাসি চাপাতি ও চাইনিজ কুড়ালসহ তিনজনকে আটক করে গনধোলায় দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
কামতা গ্রামের ওমর ফারুক জানান, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বেপরোয়া ভাবে চাঁদাবাজী করে আসছিলে।

বিষয়টি বাজার গোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পে জানালে তিনি গ্রামবাসিকে পাহারা বসানোর পরামর্শ দেন। সোমবার রাতে কামতা গ্রামের মিন্টু, আবুল হোসেন ও কেরানীর বাড়িতে চাঁদার জন্য হানা দেয়। চাঁদাবাজদের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন চিৎকার দিলে গ্রামের মানুষ তাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় চাঁদাবাজরা কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। ওই রাতে গ্রামের মানুষ আবারো তাদের ধরার জন্য ওৎ পেতে থাকে। চাঁদাবাজরা আবারো গ্রামে প্রবেশ করার চেষ্টা করে গ্রামবাসি দিন মোহাম্মদ, হৃদয় বিশ্বাস ও আশরাফুলকে দেশী অস্ত্রসহ আটক করে। এ সময় মধুহাটী ইউনিয়নের আজিবর রহমানের ছেলে কোরবান আলী বোমার থলি নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গ্রামবাসির হাতে ধৃত চাঁদাবাজদের উদ্ধর করে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে আসেন।

গ্রামবাসি অভিযোগ করেন, ৫ আগষ্টের পর একটি সংঘবদ্ধ চক্র সদর উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বেপরোয়া ভাবে চাঁদাবাজী করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তারা কোন সহায়তা পাচ্ছেন না।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চাঁদাবাজদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত সেই তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুরে ওই গ্রামের সাইফুল ইসলাম নামে একব্যক্তি বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেছে।




সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই মৃদুল কারাগারে

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুলের ছোট ভাই সহিদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। মৃদুল সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভাই হওয়ার পাশাপাশি জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক পদধারী।

মঙ্গলবার সহিদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল পৃথক দুটি মামলায় হাজিরা দিতে ছদ্মবেশে মেহেরপুর জেলা আদালত প্রাঙ্গনে আসে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের একজন তাকে চিনে ফেলাতে এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আদালত প্রাঙ্গণ সমবেত হয়।

ব্যবসায়িক পার্টনার দেবাশীষ বাগচীর দায়েরকৃত চেক ডিজ অনার মামলায় মেহেরপুরের যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পেলেও, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক জুয়েল রানা মৃদুলকে জেলা কারাগারের প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। যে মামলাটিতে মৃদুলকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে সেটির বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ছাত্রলীগের ৫০ থেকে ৬০ জন নেতাকর্মী দেশী ও বিদেশী অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ ঘটনায় গত ২৮ শে আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে জেলার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ও জেলা জজ আদালতের বিচারক মন্জুরুল ইমামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে এজাহার এফআইআর এর নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে মামলাটি মেহেরপুর সদর থানায় নথিভুক্ত করা হয়। মামলা নং-২০, তারিখ ২৮/০৮/২৪ ধারা-সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী) ২০১২ এর ৬(২)/৭(৫)/৭(৬)(ক)/৭(৬)(খ)১০/১১/১২/১৩ এবং মেহেরপুর সদর থানার মামলা নং-০৬, তারিখ ১৯/০৮/২৪ ধারা- সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী) ২০১২ এর ৬(২)/৭(৫)/৭(৬)(খ)/১০/১১/১২/১৩।




মহেশপুরে ভারতের দখলে থাকা কোদলা নদীর ভূমি উদ্ধার করলো বিজিবি

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশী কোদলা নদী ভারতের কবল থেকে উদ্ধার করেছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি। এতোদিন কোদলা নদীর বাংলাদেশ সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটার ভারতের বিএসএফ দখল করে সেখানে আধিপত্য বিস্তার করে।

গত সোমবার সন্ধ্যায় ৫৮ বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, কোদালিয়া নদী বাংলাদেশের অভ্যন্তর হতে দক্ষিণ দিকে প্রসারিত হয়ে মহেশপুরের মাটিলা এলাকায় ৪.৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চিহ্নিত করেছে।

১৯৬১ সালে প্রনীত বাংলাদেশ-ভারত (স্টীপ ম্যাপ সীট নম্বর-৫১) মানচিত্র অনুসারে কোদলা নদীর উল্লেখিত ৪.৮ কিলোমিটার নদী সম্পুর্ণ বাংলাদেশ সীমান্তের শুন্য রেখার অভ্যন্তরে অবস্থিত। মহেশপুরের যাদবপুর ইউনিয়নের মাটিলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মহিউদ্দীন জানান, এক সময় এই নদী থেকে প্রচুর মাছ আহরণ করা হতো। স্বাধীনতার পর কোদালিয়া নদী পাড়ের মানুষ নিজেদের প্রয়োজনে বাংলাদেশের দেশের আরো অভ্যন্তরে বসবাস শুরু করলে কোদলা নদীর বাংলাদেশ অংশটুকু ভারতের বিএসএফ দখল করে নেয় এবং সেখানে আধিপত্য বিস্তার করে। ফলে কৃষকরা মাঠে চাষাবাদ ও নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারতো না। তিনি আরো জানান, নদীর বাংলাদেশ অংশে গেলেই বিএসএফ বাধা প্রদান করতো।

এতে নদীটি ব্যবহার করা নিয়ে মাটিলা গ্রামের মানুষের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত রক্ষি বিএসএফ’র সাথে বাদানুবাদ হতো। সম্প্রতি কোদালিয়া নদীর প্রকৃত মালিকানা সংক্রান্ত এই বিষয়টি ৫৮ বিজিবির নজরে আসলে বিজিবি প্রথমে বিভিন্ন নথিপত্র, স্থানীয় প্রশাসন ও মানচিত্র থেকে নদীটির প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে বিএসএফ’র অবৈধ আধিপত্য বিস্তারের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ৫৮ বিজিবি সদস্যরা সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে কোদলিয়া নদী নিজেদের আয়াত্বে আনতে সক্ষম হয়।

বর্তমানে বিজিবি সদস্যরা প্রয়োজনীয় জনবল বৃদ্ধির পাশাপাশি এলাকার জন্য যন্ত্রচালিত বোট এবং নদীর পাড়ে দ্রুত টহলের জন্য অল ট্যারেইন ভেহিক্যেল (এটিভি) বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিকে ভারতের কবল থেকে ৫ কিলোমিটার নদী উদ্ধারের পর সোমবার দুপুরে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শাহ মোঃ আজিজুস সহিদ স্থানীয় জনগরে সঙ্গে মতবিনিময় করেন। স্থানীয় জনসাধারণ এসময বিজিবিকে অবহিত করেন বর্তমানে কোদালিয়া নদীতে নির্বিঘ্নে তারা যেতে পারছেন।

এদিকে নদী উদ্ধারে বিজিবিকে সহায়তার জন্য বিজিবি কর্মকর্তারা জনসাধারণকে ধন্যবাদ জানান এবং নদীর প্রকৃত অবস্থান এবং মালিকানা সম্পর্কে পরবর্তী প্রজন্মকে অবগত রাখার জন্য অনুরোধ জানান। সেই সাথে নদীর বাংলাদেশ অংশে প্রয়োজনীয় সেচ এবং চাষাবাদ জারি রাখার জন্য গ্রামবাসিকে বিজিব অনুরোধ করেন। এক্ষেত্রে কখনও কোন ধরণের বাধার সৃষ্টি হলে তা সাথে সাথে বিজিবিকে অবহিত করতেও গ্রামবাসির প্রতি বিজিবি সদস্যরা অনুরোধ করেন।




সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই গ্রেপ্তার

ব্যবসায়িক পার্টনার দেবাশীষ বাগচীর দায়ের করা একটি চেক ডিজঅনার মামলায় জামিন আদালতে হাজিরা দিতে এসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের দায়েরকৃত সন্ত্রাস বিরোধ আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার হয়েছে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই সহিদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল।

মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মৃদুল কে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করে।

বিস্তারিত আসছে..




এবার এআই বটে চলবে ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত বট আনার পরিকল্পনা করছে মেটা, যা সাধারণ ব্যবহারকারীদের মতো আচরণ করবে। এ বটগুলো পোস্ট, শেয়ার, লাইকসহ বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম হবে। মেটার এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্লাটফর্মগুলো আরও মজাদার ও আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করছে প্রতিষ্ঠানটি।

মেটার জেনারেটিভ এআই পণ্য বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কনর হেইস জানান, ‘এআই অ্যাকাউন্টগুলো সাধারণ প্রোফাইলের মতো বায়ো ও প্রোফাইল ছবি থাকবে এবং তা এআই কনটেন্ট তৈরি ও শেয়ার করতে পারবে। আমরা আশা করছি, সময়ের সঙ্গে এআই বটগুলো সাধারণ অ্যাকাউন্টের মতোই কার্যকর হবে।’

এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে মেটা ব্যবহারকারীদের এআই ক্যারেক্টার তৈরির সুযোগ দেয়। তবে সেটি আপাতত যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ এবং পাবলিক পোস্টে শেয়ারের সুযোগ নেই।

প্রতিবেদন অনুসারে, মেটা ইতোমধ্যেই এআই চ্যাটবট, ইনস্টাগ্রাম ডিএমে এআই রাইটিং টুল এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য এআই অ্যাভাটার চালু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এআই অ্যাকাউন্ট প্লাটফর্মে মিথস্ক্রিয়া বাড়াবে। তবে এর সঙ্গে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। তাদের মতে, এআই পরিচালিত অ্যাকাউন্ট থেকে ভুল তথ্য ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে, যা প্লাটফর্মে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া, বর্তমান এআই মডেলের সীমাবদ্ধতার কারণে নিুমানের কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও রয়েছে। এতে ব্যবহারকারীরা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।

মেটার ভাষ্যমতে, এআই বটের ব্যবহার প্লাটফর্মের গ্রহণযোগ্যতা ও আকর্ষণীয়তা বাড়াবে। পাশাপাশি, সামাজিক অ্যাপগুলোতে মানুষের মিথস্ক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে। প্রযুক্তি বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। তবে এর নিরাপত্তা ও নৈতিক দিক বিবেচনা করে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা মেটার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ায় অস্তিত্বহীন ও বন্ধ মিলের নামে সরকারি চাল বরাদ্দ

কুষ্টিয়ায় ২২টি চালের মিলের মধ্যে অধিকাংশ মিলেরই অস্তিত্ব নেই। মিল বন্ধ দীর্ঘদিন, তবুও বরাদ্দের তালিকায় মিলের নাম। জেলায় অস্তিত্বহীন মিলের নামে চাল বরাদ্দ আজ নতুন নয়।

বছরের পর বছর এমন অনিয়ম হয়ে এলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না ওই সমস্ত মিলের বিরুদ্ধে। আর এমন অনিয়মের ফাঁকেই সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তারা লুটে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এর সঙ্গে খাদ্য বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার পাশাপাশি জড়িত প্রভাবশালী চালকল মালিকেরাও।

কুষ্টিয়ায় হাস্কিং এবং অটো মিলিয়ে সর্বমোট রাইস মিলের সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। এসব মিলারের কাছ থেকেই সংগ্রহ করা হয় সরকারের আপদকালীন চাল। চাল সরবরাহে চালকল মালিকদের যে পরিমাণ বরাদ্দ আসে, তাতে বিপুল অর্থ পকেটে যায় মিলার অর্থাৎ চালকল মালিকদের। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চাল সরবরাহ লাভজনক হওয়ায় অস্তিত্বহীন মিলের নামেও দেওয়া হয় চালের বরাদ্দ। যার সংখ্যাও কম নয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বড়ইটুপি গ্রামের ‘ভাই ভাই’ রাইস মিল। ওই মিলের কোনো অস্তিত্ব নেই প্রায় এক যুগেরও বেশি সময়। অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়ায় মালিক সামসুল আলম মিলটি বন্ধ করে দিয়েছেন। বছরের পর বছর এই মিলের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাতে জন্মেছে আগাছা। বয়লারেরও অস্তিত্ব নেই। সাইনবোর্ড না থাকায় চেনারও উপায় নেই অথচ বন্ধ এই মিলের নামে বছরের পর বছর আসে চালের বরাদ্দ। এবারের বিভাজনেও দেওয়া হয়েছে ১৩ দশমিক ২৯০ মেট্রিক টন চালের বরাদ্দ।

মিলটির মালিক সামসুল আলম জানান, হাস্কিং মিলের ব্যবসা এখন আর নেই। অটো মিলের দাপটে মিলটি বন্ধ করা হয়েছে। তবে তার মিলের নামে বরাদ্দের বিষয়ে তিনি জানান, আমার মিলের নামে কে গুদামে চাল দেন, তা আমি জানি না। স্থানীয় বাসিন্দা শফিউল্লাহ জানান, একসময় মিলটি বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ছিল। কিন্তু অর্থাভাবে মিলটি আর চালাতে পারেন না। চাতাল, বয়লার বন্ধ প্রায় ১৫ বছর।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আরেকটি মিল ‘রহমত’ রাইস মিল। এই মিলটিও বন্ধ হয়েছে প্রায় বছর তিনেক আগে। চালাতে না পারায় বিক্রি করে দিয়েছেন মালিক রেজাউল করিম। খাদ্য বিভাগের হিস‍াব বলছে, রেজাউল করিম নিজেই সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেন। তবে রেজাউল করিম জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

সদরের চেয়ে আরো ভয়াবহ অবস্থা কুমারখালীর। ২২টি মিলের মধ্যে অধিকাংশ মিলেরই অস্তিত্ব নেই। ধানের চাতাল আছে, কার্যক্রম নেই। বছরের পর বছর ধরে বয়লারে আগুন জ্বলে না। চালের মিলে ডাল, চিড়া-মুড়ি উৎপাদনে ব্যস্ত।

কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় শরিফ রাইস মিল। প্রায় ১৫ বছর আগে চালের কারবার বন্ধ রয়েছে। সেই থেকে ওই মিল হয়ে গেছে ডাল মিল। মিলের মালিক আবু ওয়ালী নোমান ডাল ব্যবসায়ে প্রতিষ্ঠিত অথচ তার মিলের নামে বছরের পর বছর চালের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবারো পেয়েছেন ১৩ দশমিক ৬৮০ মেট্রিক টন বরাদ্দ।

তিনি জানান, হাস্কিং মিলের ব্যবসা নেই। তাই বাধ্য হয়েই ডালের ব্যবসায়ে ঝুঁকেছেন তিনি। তবে খাদ্যগুদামে তিনি চাল সরবরাহ করেন না বলে জানান।

কুমারখালীর কাঞ্চনপুর ও নগর সাঁওতা এলাকার মোতালেব ও ওয়াসেল রাইস মিলের অবস্থাও অনেকটা একই রকম। মিল বন্ধ দীর্ঘদিন। তবুও বরাদ্দের তালিকায় তাদের মিলের নাম।

কীভাবে এবং কেনই বা অস্তিত্বহীন মিলের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয় চালের? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো মিলের নামে চালের বরাদ্দ দেওয়ার আগে ওই সমস্ত মিল বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য কিনা সে বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয় বরাদ্দ। কিন্তু খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা দায়সারা প্রতিবেদনে বন্ধ এবং অস্তিত্বহীন মিলের নামেও বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। বিনিময়ে এসব মিলারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন পান। যার পরিমাণও কম নয়। কয়েক কোটি টাকা।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আল ওয়াজিউর রহমান নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানান, অস্তিত্বহীন মিলের নাম বরাদ্দের তালিকায় নেই। যেসব মিল বন্ধ রয়েছে, সেসব মিলের সঙ্গে চুক্তি করা হয়নি। তবে এর বাইরেও কোনো মিলের অসঙ্গতি থাকলে ওসব মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরমধ্যে বেশকিছু মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন এই খাদ্য কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতা ও কুষ্টিয়া দেশ অ্যাগ্রো ফুডের স্বত্বাধিকারী এমএ খালেক জানান, সরকার কোনো মিলের সঙ্গে চুক্তি করার আগে মিলগুলো চাল সরবরাহের যোগ্য কিনা তা যাচাই-বাছাই করে থাকে। যদি সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে এমন অনিয়ম হওয়ার কথা নয়।

কুষ্টিয়া জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান জানান, চাল বরাদ্দের সঙ্গে আমাদের সংগঠন জড়িত নয়। তবে কেউ যদি এমন অনিয়মে জড়িত থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

সচেতন নাগরিক কমিটি কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু জানান, বছরের পর বছর অস্তিত্বহীন মিলের নামে চালের বরাদ্দের অভিযোগ শুনে আসছি কুষ্টিয়া খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট মিল মালিক এবং খাদ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

চলতি আমন মৌসুমে জেলার প্রায় দুই শতাধিক মিলারের কাছে ৪৭ টাকা কেজি দরে প্রায় ১৯ হাজার মেট্রিক টন চাল কেনার চুক্তিবদ্ধ হয়েছে কুষ্টিয়া খাদ্য বিভাগ।