দেশের বাজারে কোপাইলট চ্যাটবটযুক্ত নতুন ল্যাপটপ

দেশের বাজারে মাইক্রোসফটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবটযুক্ত নতুন কোপাইলট প্লাস ল্যাপটপ এনেছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি। ‘লেনোভো ইয়োগা স্লিম ৭আই’ মডেলের ল্যাপটপটিতে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন এক্স এলিট এক্স১ই-৭৮-১০০ প্রসেসর থাকায় সহজেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি উন্নত গ্রাফিকসের গেম খেলা যায়। ল্যাপটপটির দাম ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৪.৫ ইঞ্চি স্পর্শনির্ভর পর্দার ল্যাপটপটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সহজে বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি একসঙ্গে একাধিক সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়। শুধু তা–ই নয়, পর্দার রিফ্রেশ রেট ৯০ হার্টজ হওয়ায় উন্নত মানের ছবি ও ভিডিও দেখা যায় ল্যাপটপটিতে।

৩২ গিগাবাইট র‍্যামযুক্ত ল্যাপটপটির ধারণক্ষমতা ১ টেরাবাইট। ডলবি অ্যাটমোস অপটিমাইজড প্রযুক্তির একাধিক স্টেরিও স্পিকারযুক্ত ল্যাপটপটিতে ৪টি মাইক্রোফোনও রয়েছে। ব্লুটুথ ৫.৪ এবং ওয়াইফাই ৭ প্রযুক্তি সমর্থন করা ল্যাপটপটিতে ৬৫ ওয়াটের ইউএসবি টাইপ সি অ্যাডাপ্টর থাকায় দ্রুত চার্জ করা যায়। ফলে চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

সূত্র: প্রথমআলো




গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের নয়া কমিটি

গাংনী উপজেলা প্রেসক্লাবের ২০২৫-২০২৬ বছরের জন্য জুলফিকার আলী কানন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া প্রেসক্লাবের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সাধারণ সস্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মিয়াদুল ইসলাম।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি যথাক্রমে মাসুদ পারভেজ ও লিটন মাহমুদ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম কবি, কোষাধ্যক্ষ- আসাদুল্লাহ আল গালিব, সাংগঠনিক সম্পাদক রহিদুল ইসলাম রাসেল, দপ্তর সম্পাদক এজাজ উদ্দিন ছোটন, প্রচার সম্পাদক রকিবুল ইসলাম রকি, নির্বাহী সদস্য এমএ লিংকন, এমএন পাভেল, আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, সাহাজুল ইসলাম সাজু ও বদরুজ্জামান।

বছরের শুরুতেই ৬ জন নতুন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এরা হলেন, আক্তারুজ্জামান, সাঈদ হাসান, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম, ফিরোজ আহমেদ পলাশ, মাহাবুল ইসলাম।




অফিসার পদে নিয়োগ দিবে ইসলামী ব্যাংক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। সিনিয়র অফিসার অথবা অফিসার (এমআইএস ডেভেলপার) পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের নাম : ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

পদের নাম : সিনিয়র অফিসার/অফিসার (এমআইএস ডেভেলপার) পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ০৪ বছর

বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩৬/৩৮ বছর

কর্মস্থল : দেশের যেকোনো স্থানে

বেতন : ব্যাংকের নিয়মিত বেতন স্কেলে

আবেদন শুরুর তারিখ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ সময় : ১০ জানুয়ারি ২০২৫

শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতকোত্তর/সমমান অথবা ৪ বছরের স্নাতক ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অন্যান্য সুবিধা : ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে  এখানে  ক্লিক করুন।
সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার ২ এজেন্ট আটক

অনলাইন জুয়ার এজেন্ট চ্যানেল পরিচালনার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মেহেরপুর জেলা পুলিশ। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট তাদের গ্রেপ্তার করে।

আটক দুজন হলেন মেহেরপুরের গোপালপুর গ্রামের আশিক ও স্বপন। তাদের কাছ থেকে অনলাইন জুয়া সাইট মোস্ট বেটের সাব এজেন্ট চ্যানেল উদ্ধার করা হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে আশিক ও স্বপনকে কোটিপতিদের গ্রাম বলে খ্যাত কোমরপুরের ঈদগাহ তলা পাড়ার একটি সেলুন (চুল কাটার দোকান) থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আশিক পুলিশ সদস্য।

বিস্তারিত আসছে…




ধুঁকে চলা সরকারি শিশু হাসপাতাল ও একজন ডাক্তার জামিলের গল্প…….

শহর থেকে একটু দূরে একটা হাসপাতাল। হাসপাতাল চত্বরে নানান বয়সী উদ্বিগ্ন মানুষের ভিড়। বেশির ভাগ মানুষের চেহারায় দারিদ্র্যের চিহ্ন স্পষ্ট থাকলেও তাঁরা আশাহত নয়। ভিড় করা মানুষেরা তাঁদের শিশু সন্তানদের নিয়ে এসেছেন এখানে।

মাত্র তিনজন চিকিৎসক মানুষের এই আশার কারণ। আর এই তিনজনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একেবারে সামনে থেকে যেই মানুষটি সে এলাকায় ডাক্তার জামিল নামেই পরিচিত। ভালো নাম ডাক্তার আলী হাসান ফরিদ।

যতোটা আশা নিয়ে মানুষ এখানে আসে আর যতোটা খুশী নিয়ে তাঁরা ফেরত যায়, এই হাসপাতালের সামর্থ্য মোটেও তেমন নয়। শুরু থেকেই নানা সমস্যার মধ্যেও শিশুদের সেবা দিয়ে চলেছে ঝিনাইদহ জেলা শহরের ২৫ শয্যা সরকারি শিশু হাসপাতালটি।

বড়ো অদ্ভুত ভাবে চলে এই সরকারি হাসপাতালটি। অর্থের অভাবে হাসপাতাল চত্বরে আবাদ করা হয় কলা। আর সেই কলা বিক্রির টাকা ও কিছু মানুষের অনুদানে চলে এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। সরকারী উল্লেখযোগ্য কোন বরাদ্দ না থাকায় চিকিৎসা সেবায় প্রয়োজনীয় যে কোন জিনিস কিনতে হয় মানুষের অনুদানের টাকায়।

হাসপাতালটির নিজের স্বাস্থ্য ভালো নাহলেও প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে তিনশো থেকে সাড়ে তিনশো রুগী চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকে আর আন্তঃবিভাগে ৬০ জনের বেশি শিশু চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকে।

লোকবলের বড্ড অভাব এখানে। চিকিৎসকের পদ আছে ৫ টি। চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন ৩ জন। ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি), প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও স্টোরকিপারের পদ কাগজে থাকলেও সেখানে কোন লোক নেই। ২১ নার্স পদের বিপরীতে আছেন ১৭ জন নার্স কিন্তু এমএলএসএস, ওয়ার্ড বয়, আয়া, মালি, নিরাপত্তাপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কোন পদই নেই।

এই অবস্থা থেকে বের আসার জন্য এলাকার কিছু ব্যবসায়ী, কয়েকজন চিকিৎসক এবং ডাঃ আলী হাসান ফরিদ জামিলের একাধিক বন্ধুর সহায়তা করছেন। সেই সহায়তায় চলে শয্যা, যন্ত্রপাতি ও জনবল। ঝিনাইদহ পৌরসভা এবং জাহেদি ফাউন্ডেশন নিয়মিত সহায়তা করছেন এখানে। এ ছাড়া ১৫ জন হৃদয়বান ব্যক্তিও কিছু সহায়তা দেন। কিন্তু এসব দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অক্সিজেন ও ওষুধের যে চাহিদা তার অর্ধেকও পুরণ হয় না।

মজার ব্যাপার হলো এই হাসপাতালটি ২০০৫ সালের ৭ই মে তৈরীর প্রক্রিয়া শুরু হলেও ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালটি তার সেবা কার্যক্রম শুরু করে। উদ্বোধনের পর হাসপাতালে কোন সরঞ্জাম না থাকাই কনসালট্যান্ট আলী হাসান ফরিদ জামিল তাঁর বাসা থেকে ব্যক্তিগত কম্পিউটারে নিয়ে আসে। ওই কম্পিউটার হাসপাতালের কাজে ব্যবহার করে শুরু হয় শিশুদের চিকিৎসা ও মায়েদের পরামর্শ দেয়। জামিল ও টিমের আন্তরিক চেষ্টায় হাসপাতালটি এখন আশপাশের এলাকার মানুষের কাছে সুনাম অর্জন করা শুরু করে। কিন্তু ঢাল তলোয়ারের অভাব বারবার ই পিছিয়ে দিচ্ছে হাসপাতালটিকে।

আপনি হাসপাতালে গেলে প্রথমেই দেখবেন বড় একটি প্রবেশ গেট। ভিতরে প্রবেশ করলে চারিপাশে নানা ধরণের ফুলের বাগান। এর সামনে লাল ইটের দোতলা ভবন। হাসপাতাল চত্বরটি খুবই পরিপাটি করে সাজানো। ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে শয্যা পাতা আছে। শয্যাগুলোর গায়ে লেখা, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সেগুলো দান করেছেন। কিন্তু এভাবে চালানো ডাক্তার জামিল ও তাঁর টিমের জন্য দিনে দিনে কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে। এই হাসপাতালের খরচ চলে অনুদান ও হাসপাতালের পড়ে থাকা তিন বিঘার মতো জমিতে কলা চাষ করা টাকায়। এই কলা বিক্রি করে গত বছর আশি হাজার টাকার অক্সিজেন কেনা হয়েছে। এ বছরও তাই করতে হবে। এছাড়া হাসপাতালে রাতের নিরাপত্তার জন্য লাইট ও অন্যান্য জিনিসপত্র কলা বিক্রির টাকা দিয়েই কিনতে হয়। এছাড়া ওষুধ, অক্সিজেন এ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে হয় অনুদানের টাকায়। জনবল ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য সিভিল সার্জন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখায় অনেকবার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি।প্রতিবছরই ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে আবেদন যায় কিন্তু সমাধান সেই অনুদান ও কলা বিক্রির টাকার উপরেই নির্ভর করতে হয়। অথচ এখানে পার্শ্ববর্তী মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা থেকে রুগী আসে চিকিৎসা নিতে।

এ যেন নুন আনতে পান্তা ফুরানো এক স্বপ্নের গল্প। এই মুহুর্তে এই হাসপাতালের জন্য প্রায় তিনলক্ষ টাকা দরকার শুধু অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনার জন্য। কিভাবে আসবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু এতো অনিশ্চয়তার পরও ডাক্তার জামিল ও তাঁর টিম এই যুদ্ধে হারতে চাইনা। ওঁরা বিশ্বাস করে কেউ না কেউ একদিন ঠিকই এগিয়ে আসবে আর তাঁর ছোঁয়া পেয়ে তরতরিয়ে চলবে চিকিৎসাসেবা।

লেখক: উন্নয়নগবেষক




‘বায়োস্কোপ স্টার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন খালেদ হোসেন

১২তম ‘বায়োস্কোপ স্টার অ্যাওয়ার্ডে-২০২৪’-এর শ্রেষ্ঠ মডেল হিসেবে ভূষিত হলেন খালেদ হোসেন চৌধুরী। বায়োস্কোপ সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলায় জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে তাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।

মডেল খালেদ হোসেন চৌধুরীর হাতে শ্রেষ্ট মডেলের সম্মানসূচক স্মারক পুরস্কারটি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক সংস্কৃতিজন পীরজাদা শহীদুল হারুন ও প্রধান অতিথি বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন প্রফেসর ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী, সভাপতিত্ব করেন শফিকুর রহমান।

খালেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আমি কখনো পুরস্কারের আশায় কাজ করি না। ভালোবাসা আর ভালো লাগা থেকে কাজ করি। আর তাতেই আমার আজকের এই সম্মাননা। আমাকে পুরস্কৃত করার জন্য উপস্থিত বিচারক মন্ডলীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ভালো কাজের মাধ্যমে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। উপস্থিত বিচারকমন্ডলী, সম্মানিত অতিথি ও বায়োস্কোপ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জেলা বিএনপি’র পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জেলা বিএনপি’র আয়োজনে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মাদ।

এছাড়াও এসময় জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খাঁন সাতু, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুমানা খাতুন, পিপি অ্যাডভোকেট আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনিসহ বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় নেতারা সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে তাদের সমর্থন কামনা করেন।




ব্রাদার্সের হাত ফসকে গেল বসুন্ধরা কিংস

ঢাকায় কিংস অ্যারেনায় বড় অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছিল ব্রাদার্স। একটুর জন্য বেঁচে গেছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে বসুন্ধরা কিংস ও ব্রাদার্স ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। প্রথমার্ধেই ব্রাদার্স ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। কিংস শত চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারছিল না। একের পর এক মিস হচ্ছিল। ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পর যোগ হয় ৮ মিনিট। ৯৭ মিনিটে গোল পায় বসুন্ধরা কিংস। মহা বাঁচা বেঁচে যায় কিংস। নিশ্চিত হার থেকে রক্ষা পায় চ্যাম্পিয়নরা।

মোহামেডান, আবাহনীর পর কাল যদি হারতো কিংসকে হ্যাটট্রিক হারের মুখ দেখতে হতো। সেখান থেকে বেঁচে গেছে। আফসোসে বুক ফেটে যাচ্ছে ব্রাদার্সের । গত মৌসুমে রেলিগেশন হওয়া ব্রাদার্স এবার একের পর এক চমক দিচ্ছে। এবার বসুন্ধরার মাঠে বসুন্ধরাকে গলা চেপে ধরে ছিল ব্রাদার্স। সেখান থেকে রক্ষা পেয়ে যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছে। ৩৯ মিনিটে গোল পায় ব্রাদার্স। খেলার বিপরীতে ব্রাদার্সের কৌশিক বড়ুরার অসাধারণ ক্রসের বলটা কিংসের বক্সের ওপর সেনেগালের ফুটবলার শিক সেনে বুকে রিসিভ করে বাঁ দিকে টার্ন করেই ডান পায়ে শট করলে কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ কিছুই চোখেই দেখেননি, বল জালে জড়িয়ে যায় ১-০।

পিছিয়ে গিয়ে বসুন্ধরা কিংসের রাকিব, মিগুয়েল, ফাহিম, সোহেল রানা, তপু বর্মনরা মরিয়া হয়েও গোল শোধ করতে পারছিলেন না। কিংসের নিজেদের মাঠে শততম ম্যাচের দিনে হেরে যাওয়ার লজ্জা ঢাকার জন্য কিংসের ফুটবলারদের চেষ্টার কমতি ছিল না। শিক সেনে লিগে চার করেছেন। ব্রাদার্সকে টানছেন এই ফুটবলার। কিংস গোল শোধ করতে পারছিল না, অন্যদিকে দুর্ভাগ্য ব্রাদার্সেরও। শেষ মুহূর্তে এতো বড় দলের বিপক্ষে গোল ধরে রাখার লড়াইটা ঠিকঠাক মতো করতে পারছিলেন না খেলোয়াড়রা।

শেষ বাঁশি বাজার আগে ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক মিগুয়েলের ক্রসের বলটা ব্রাদার্সের ছোট বক্সে অপেক্ষায় থাকা মজিবর রহমান জনির দিকে ছুটে এলে জনি মাথা লাগিয়ে গোলে পরিণত করেন, ১-১। নিশ্চিত হার বাঁচিয়ে দেন। ব্রাদার্সের কপালে হাত। ব্রাদার্সের ফুটবলারদের দাবি অফসাইডে দাঁড়িয়ে গোল করেছেন জনি। খেলোয়াড়রা রেফারি আনিসুর রহমানের কাছে প্রতিবাদ করেছেন, সহকারী রেফারি ইকবাল আলমের কাছে গিয়েও প্রতিবাদ করেছেন। ক্ষিপ্ত হয়ে খেলা শেষে ব্রাদার্সের একজন স্টাফ মাঠে ঢুকলে রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখান। সেরা খেলোয়াড় পুরস্কার পেয়েছেন ব্রাদার্সের গোলরক্ষক আশরাফুল।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষীরা দিশেহারা

মেহেরপর একটি সবজি খ্যাত জেলা। এ জেলার চাষিরা সারা বছরই বিভিন্ন সবজির আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। জেলার মানুষের অর্থকরী ফসল বিভিন্ন সবজি। এবছরেও ব্যাপক পরিমাণে সবজির চাষ হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি হয়। কিন্তু বর্তমানে সবজির বাজার দর খুবই কম। উৎপাদিত সবজির কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলার চাষিরা। পরিবহন ও শ্রমিক খরচের টাকাও উঠছেনা সবজি বিক্রি করে।

ক্রেতা কম থাকায় অধিকাংশ সবজিই নষ্ট হচ্ছে জমিতে। এতে ভালো নেই সবজি চাষি ও বিক্রেতারা। চাষিরা বলছেন, বাজারেও দাম নেই,পাইকারি ব্যবসায়ীরাও আসছেনা। জমিতে নস্ট হচ্ছে বাঁধাকপি ও ফুলকপি।

কৃষি বিভাগ বলছেন, একই সাথে মেহেরপুরসহ সারা দেশের শীতকালের সবজি উঠতে শুরু করেছে তাই এমন দরপতন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে জেলায় এবছর ফুলকপির আবাদ হয়েছে ১ হাজার ১২০ হেক্টর, বাঁধাকপির আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬০ হেক্টর

এর মধ্যে গাংনী উপজেলায় বিভিন্ন মাঠে ১৬০ হেক্টর ফুলকপি এবং ১৫৫ হেক্টর বাঁধাকপির আবাদ হয়েছে।

মেহেরপুর জেলার সদর বাজারসহ বেশকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে বাঁধাকপি, ফুলকপির ভরা মৌসুম। মাঠে রয়েছে চিচিংগা, করল্লা, টম্যাটো, বেগুন, ঢেঁড়স, আলু, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়াসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি । কিন্তু সবজির তুলনায় ক্রেতা কম। এতে অধিকাংশ কাঁচামাল নষ্ট হয়ে লোকসানে রয়েছেন বিক্রেতারা। গাংনী বাজারের কয়েকজন সবজি বিক্রেতা জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা করতে হচ্ছে। বাজারে সবজির দামও কমেছে, ক্রেতার সংখ্যাও কমেছে। এতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসসয়ীহ চাষিদের।

গাংনীর সাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষিরা জানান, একবিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করতে খরচ হয়েতে ২৫ হাজার টাকা। সাথে রয়েছে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ।

এখন এক বিঘা জমির ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এতে ট্রাক ভাড়া ও শ্রমিক খরচের টাকা হচ্ছনা। আগামীতে সবজি চাষ করবেননা বলেই হতাশা ব্যক্ত করেন চাষিরা।

ফুলকপি চাষি সাহারবাটি গ্রামের ইদ্রিস আলী,রুহুল আমীন,জহুরুল ইসলাম,সামিউল আলম জানান,অনেক আশা নিয়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপির আবাদ করেছিলাম। ফলনও হয়েছে ভাল। মাঠজুড়ে শুধু কপির জমি দেখা যায়। একেকটি কপির ওজন হয়েছে দেড় থেকে দুই কেজি। এখনও বিক্রি করতে পারিনি। জমিতে অনেক ফুল ফুটে নস্ট হয়ে যাচ্ছে। কোনো উপাই না পেয়ে বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাজারে ৪/৫ টাকা পিচ বিক্রি করতে হচ্ছে। ঢাকা, চট্রোগ্রাম, সিলেট ও বরিশালে পাঠিয়েও কোনমতে ট্রাক ভাড়া হচছে। ঘর থেকে শ্রমিক খরচ দিতে হচ্ছে। সার ও কীটনাশকের দোকান থেকে ধার দেনা করে আবাদ করছি। বিক্রির পর দেনা পরিশোধ করবো। কিন্তুু সে আশায় ভাটা পড়েছে। অনেক টাকা দেনা পরিশোধ করতে হলে সমিতি থেকে ঋন করতে হবে।

কাথুলী গ্রামের সোলাইমান হোসেন বলেন,বাঁধাকপি কয়েক সপ্তাহ রাখা গেলেও ফুলকপি বিক্রির উপযোগী হওয়ার সাথে সাথে বিক্রি করতে হয়।তা নাহলে ফুল ফুটে গেলে বিক্রির অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আমার এক বিঘা জমির ফুলকপির বিক্রি করতে না পারায় জমিতে নস্ট হচ্ছে।

সদর উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামের বাঁধাকপি চাষি পারভেজ বলেন, আমার দুই বিঘা জমির বাঁধাকপি বিক্রির উপযোগী হয়েছে। স্থানীয় বাজারে ক্রেতা নেই। পরিবহন খরচ না হওয়ায় বাইরের বাজারেও পাঠাতে পারছিনা। অনেক কপি পাখিতে ঠুকরিয়ে নস্ট করছে। সব খরচ ও শ্রম সবই বৃথা।

পাইকারি ব্যবসসয়ী আবুল বাসরা,আঙ্গুর আলী ও জিয়াউল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথম প্রথম চাহিদা অনুমান করে প্রতিবিঘা জমির বাঁধাকপি ৬০ হাজার ও ফুলকপি ৭০ হাজার টাকায় কিনে রেখেছি। এখন আর বিক্রি করতে পারছিনা। ঢাকা,সিলেট,চট্রোগ্রাম, বরিশালে পাঠানো হলেও চালান ঘুরছেনা।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃঞ্ষ হালদার বলেন, প্রতিবছর এ মৌসুমে মেহেরপুরে ব্যাপক ভাবে বাঁধাকপি ও ফুলকপির আবাদ হয়। হঠাৎ দরপতন হয়েছে। তবে আমরা বিভিন্ন জেলায় যোগাযোগ করছি সবজি বিক্রির জন্য।




দামুড়হুদায় সৌদিয়ান রিসোর্টের শুভ উদ্বোধন

দর্শনা চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাশে ডুগডুগি হাটের নিকটবর্তী স্থানে সৌদিয়ান নামে একটি রিসোর্টের শুভ উদ্বোধন হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকাল ৫টায় এ রিসোর্টের উদ্বোধন করেন রিসোর্টের মালিক মতিয়ার রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরান তেলোয়াত করেন, কেরুজ জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মাওঃ শামসুজ্জোহা আজাদী।

এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়ার সহ-সভাপতি ও প্রধান সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাবু তরফদার, দর্শনা কেরুজ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, হাজী জাহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক মশিউর রহমান, মাহবুবুল আলম খোকন, ইবকাল হোসেন, শরীফ উদ্দিন, নাহারুল ইসলাম মাষ্টার, লুৎফর রহমান, কুড়ালগাছী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ ও আব্দুল খালেক প্রমুখ।