গাংনীতে পিএসকেএস এর উদ্যোগে মাঠ দিবস

মেহেরপুরে গাংনীর বেসরকারি সংস্থা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যান সমিতির অধীনে সংগঠিত সংস্থার সমন্বিত কৃষি ইউনিটের মৎস্য খাতের আওতায় চাইনিজ কার্প মাছ চাষের” উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গাংনীর জালশুকা গ্রামে ” মাঠ দিবস”অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পিএসকেএস এর উপ-পরিচালক মোঃ কামরুল আলম, গাংনী শাখা ম্যানেজার,পিএসকেএস এর মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ইকরামুল হাসান ও সহকরী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ খালেদ কবির সহ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে উত্তম ব্যবস্থাপনায় মাছ চাষ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।




বিএনপি কর্মী হত্যা: কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি কারাগারে

কুষ্টিয়ায় বিএনপির কর্মী সুজন মালিথাকে গুলি করে হত্যার মামলার প্রধান আসামি কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া সদর আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উপপুলিশ কমিশনার তানভীর আরাফাত সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর উপজেলায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, সাবেক এসপি তানভীর আরাফাত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা রয়েছে। কীভাবে, কোথা থেকে, কখন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর নিহত সুজনের রাজনৈতিক বড় ভাই সুজন হোসেন (৪২) বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মোট ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০-১২ জনকে।

নিহত সুজন মালিথা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টাকিমারা গ্রামের ইসমাইল মালিথার ছেলে। মামলার বাদী সুজন হোসেন কুষ্টিয়া শহরের মিললাইন এলাকার লালন শাহ সড়কের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

মামলার বাদী সুজন হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেন, ‘আমার দলীয় ছোট ভাই বিএনপির সহযোদ্ধা সুজন মালিথা নিয়মিত বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে নেতাকর্মীদের উৎসাহ প্রদান করতো। যার কারণে আসামিদের কাছে সুজন মালিথা শত্রু হিসেবে পরিণত হয়। আসামিরা আমার দলীয় ছোট ভাইকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে থাকে।

তারই জের ধরে আমার দলীয় ছোট ভাই সুজন মালিথা বিএনপির প্রোগ্রাম শেষ করে রাতে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করলে ২০১৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটে আসামিরা সবাই মিলে তার বাসায় প্রবেশ করে এবং তাকে জোরপূর্বক বাসা থেকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়।

পরবর্তীতে আমিসহ সুজন মালিথার পরিবারের লোকজন তাকে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পারি যে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উল্লিখিত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আমার দলীয় ছোট ভাই সুজন মালিথাকে বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিটে কুষ্টিয়া মডেল থানাধীন মোল্লাতেঘরিয়া পূর্ব ক্যানালের পাড়ে গুলি করে হত্যা করে।

অতঃপর আমিসহ সুজন মালিথার পরিবারের লোকজন আসামিদের কাছে উপস্থিত হয়ে সুজন মালিথাকে হত্যার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো সদুত্তর না দিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দেয়।

পরবর্তীতে একাধিকবার উক্ত ঘটনার বিষয়ে মামলা করার চেষ্টা করলে আসামিরা আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। ঘটনার বিষয়ে এলাকার অনেকেই অবগত আছেন। এমতাবস্থায় ঘটনার বিষয়ে সুজন মালিথার পরিবারসহ দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে থানায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়।’

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপি কর্মী সুজন হত্যা মামলায় তানভীর আরাফাতকে গ্রেফতার করে কুষ্টিয়ায় আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে এসএম তানভীর আরাফাত কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। ২০২০ সাল পর্যন্ত কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।




মেহেরপুরে বিএনপির মিছিল সমাবেশ ও প্রচারপত্র বিলি

তারেক জিয়ার নির্দেশ “সবার আগে বাংলাদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মেহেরপুরে বিএনপির মিছিল, সমাবেশ ও প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও মেহেরপুরে-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে প্রচারপত্র বিলি করা হয়।

এর আগে মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেসে মাসুদ অরুন বক্তব্য রাখেন। এসময় মেহেরপুর জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

পরে মাসুদ অরুণের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু করে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরে মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা হাবিব ইকবাল, আব্দুস সামাদ, সাবেক ছাত্রনেতা আহমেদ রাজিব খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজির, তৌফিক এলাহীসহ বিএনপি নেতা কর্মী মিছিল ও প্রচার পত্র বিলিতে অংশগ্রহণ নেন।




গাংনীতে এবার ব্যবসায়ীর দোকানে সামনে বো*মা

বোমা বিস্ফোরণের একদিন পর এবার গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামে এক ব্যবসায়ীর দোাকানের সামনে থেকে দুটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের দয়েরপাড়া এলাকার রতন আলীর মুদি দোকানের দরজায় ঝোলানো অবস্থায় হাতবোমা দুটি উদ্ধার করেন পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, রতন আলীর দোকানের সামনে মশারির জালের ব্যাগের মধ্যে লাল কসটেপ মোড়ানো হাতবোমা দুটি দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পরে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমা দু’টি উদ্ধার করেন। এ ধরনের ঘটনায় গ্রামের মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

রতন আলীর বাবা আশরাফুল ইসলাম জানান, ফজরের নামাজ শেষ করে দোকান খুলতে গিয়ে দেখি দোকানের দরজার সাথে একটি মশারির ব্যাগের মধ্যে দুটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু রয়েছে। বিষয়টি দ্রুত পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে বোমা সাদৃশ্য বস্তু দু’টি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় আমরা পরিবারের সকলে আতঙ্কে রয়েছি।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বানী ইসরাইল জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম গিয়ে বোমা দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে।




মেহেরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বোনকে হ*ত্যা*র অভিযোগ

মেহেরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তসলিমা খাতুন (৫০) নামের এক মহিলাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ভাইদের বিরুদ্ধে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবীল গ্রামের কবরস্থানের পাশের একটি ডোবা থেকে তসলিমা খাতুনের ক্ষত—বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।

নিহত তসলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ড বাগানপাড়া এলাকার আব্দুল হান্নানের স্ত্রী। তিনি তার বাবার বাড়ি চাঁদবীলে বসবাস করতেন।

নিহত তসলিমার স্বামী আব্দুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, পিতা মাতার সম্পত্তির ১২ বিঘা জমির মধ্যে মাত্র সাড়ে ১০ কাঠা জমি তার স্ত্রীক মৌখিকভাবে দেওয়া হয়েছে। বাকি জমির ভাগ চাওয়ায় তসলিমার ভাই আব্দুল বারেক, মন্টু আলী, লাল্টু হোসেন, আব্দুল হক, কান্টু হোসেন মিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা শেষে কবরস্থানের ফেলে রেখে পালিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

প্রতিবেশী আলেয়া খাতুন জানান, তসলিমা খাতুনের স্বামীর বাড়ি চুয়াডাঙ্গায় হলেও ৩/৪ বছর আগে তারা বাবা মৃত বরকত আলীর বাড়ি চাঁদবীলে চলে আসেন। তারপর থেকে তিনি পরিবার নিয়ে এখানেই বসবাস করছিলেন।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাইদের হাতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের মুল রহস্য উন্মেচিত হবে।

এদিকে, তসলিমা খাতুনের ক্ষত—বিক্ষত মরদেহ উদ্ধারের পরপরই তার ভাইদের পরিবারের সবাই আত্মগোপনে রয়েছেন।




চুয়াডাঙ্গায় ১৪টি স্বর্ণের বার সহ দর্শনার ৩ চোরাচালানীন আটক করেছে বিজিবি

চুয়াডাঙ্গায় ১৪টি স্বর্ণের বার সহ ৩ জন পাচারকারীকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি’র জওয়ানরা। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
চুয়াডাঙ্গাস্থ ৬ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান পিবিজিএম, পিএসসি এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে জানান, একদল চোরাকারবারী কর্তৃক চুয়াডাঙ্গা শহরে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হবে মর্মে প্রাপ্ত বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ বিকাল সাড়ে চারটার দিকে তিনি চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় বিজিবি টহলদল ট্রেন থেকে নামা কয়েকজনকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখলে তাদেরকে গতিরোধ করে।

পরবর্তীতে উক্ত ব্যাক্তিরা সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহল দল তাদেরকে ধাওয়া করে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। বিজিবি সশস্ত্র টহল দল কর্তৃক আটককৃত ৩ জন হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা পৌরসভাধীন শ্যামপুর গ্ৰামের মমিন মিয়ার ছেলে জাকিরুল ইসলাম (২৮) ও রাজিবুল ইসলাম (২৫), এবং একই গ্ৰামের মজিবুর রহমানের ছেলে সোলায়মান হোসেন (২২)।

এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাদের কাছে লুকায়িত স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম (১৩৯.৭৫ ভরি) ওজনের ১৪টি স্বর্ণের বার এবং ৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে নায়েক মোঃ জিয়াউর রহমান, পিবিজিএম বাদী হয়ে আটক চোরাকারবারীদের চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এছাড়া জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করা হয়েছে




দামুড়হুদার হেমায়েতপুর নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণঃ এলাকাবাসীর ক্ষোভ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় দামুড়হুদা উপজেলার তিন জায়গায় ফ্লাট সোলিংয়ের রাস্তা কাজ চলছে।অতি নিম্মমানের ইট দিয়ে কাজ করায় এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১ টার দিকে জনগণের চাপে চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী বকুল আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে আপাতত কাজটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। নির্দেশ অমান্য করেই চলছে নিম্মমানের ইট দিয়ে রাস্তা তৈরি কাজ।

এলাকাবাসী থেকে জানাযায়, হেমায়েতপুর গ্রামের ভৈরবের পাশের রাস্তা দিয়ে মাঠের সকল ফসল ঘরে তোলে গ্রামের চাষিরা। বর্ষার সময় কাদার জন্য এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে না পারায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ফ্লাট সোলিংয়ের কাজ শুরু হয়। কাজের প্রথম থেকেই নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ শুরু করে।গ্রামবাসীর চাপেও কোন কাজ হয়নি কাজ ঠিকিই চালিয়ে যচ্ছে কারো কোন তোয়াক্কা না করে।

এই নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করাই এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চাপাক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
রাস্তাটি ভালোমানের ইট দিয়ে তৈরি হবে এমনটিই আশা করেন এলাকার সাধারণ মানুষের। তাই দুরুত্ব নিম্মমানের ইট তুলে ভালোমানের ইট দিয়ে রাস্তা যাতে তৈরি হয় তার সুব্যবস্থা করবেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমটাই দাবি এলাকাবাসির।

হেমায়েতপুর গ্রামের একজন কৃষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন,কাঁচা রাস্তায় ভালো ছিল, এমন ইট দিয়ে রাস্তা করার মানেই হয় না।একেবারে নিম্মমানের ইট। এ ইট একেবারেই নষ্ট। ভালো মানের ইট দিয়ে রাস্তা না হলে সাধারণ মানুষ মানবে না।

উল্লেখ্য থাকে যে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত ৩৮ হাজার ৭ শত ৪ ফুট রাস্তাটি নির্মাণের জন্য টেন্ডার পাই কুষ্টিয়ার সৈকত এন্টারপ্রাইজ। কুষ্টিয়ার সৈকত এন্টারপ্রাইজ রাস্তার কাজ নির্মাণ করার জন দায়িত্ব দেন চুয়াডাঙ্গার নাসির মোল্লার। এখন রাস্তা নির্মাণ কাজের দেখভাল করছেন নাসির মোল্লার ছেলে আরিফ শুভ।

আরিফ শুভ বলেন আমরা টাকা দিচ্ছি ১ নং ইটের।ইট তো নিম্নমানের হবার কথা না।কেন এমন হচ্ছে বিষয়টি আমি দেখছি।

চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী বকুল আহমেদ বলেন, দামুড়হুদা হেয়ামতপুর তিন জায়গায় কাজ হচ্ছে। নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার অভিযোগ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে কাজটি আপাতত বন্ধ রেখেছি।




কোটচাঁদপুরের সেই সড়কটি নিজ অর্থায়নে নির্মান করে দিলেন সুবল ও সুকেশ

মেহেরপুর থেকে প্রকাশিত মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর কোটচাঁদপুরের সেই সড়কটি নিজ অর্থায়নে নির্মান করে দিলেন সুবল ও সুকেশ হালদার। আজ বুধবার (২৫-১২-২৪) তারিখে সড়কটির কাজ করে দেন তারা।

জানা যায় কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর হালদার পাড়া। ওই পাড়ায় বসবাস করেন ২০ টি পরিবার। যাদের চলাচলের কোন রাস্তা ছিল না। ওই পরিবারগুলো মানুষের বাড়ির উপর দিয়ে চলাচল করতেন। এরপর গেল ০৭/০৬/২০২৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদের অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-৩ (২য় সংশোধিত) বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কোটচাঁদপুরের অধীনে সড়কটি নির্মিত হয়। সেই সড়কটি দিয়ে ওই এলাকার ২০ পরিবারের মানুষ যাতায়াত করে আসছিলেন।

এরপর গেল ১৮/১১/২০২৪ ইং তারিখে সুবল হালদার বাদি হয়ে গোপাল হালদারের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারায় ঝিনাইদহ বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটা মোকাদ্দামা দায়ের করেন। ওই একই ঘটনায় গোপাল হালদারের বিরুদ্ধে আরো দুইটি ১৪৪/১৪৫ ধারায় মোকাদ্দামা দায়ের করেন সুবোল হালদার ।

এ সব করেই চুপ থাকেননি তারা। গেল ০৯/১২/২০২৪ ইং তারিখ মধ্যরাতে সুবল ও সুকেশ হালদার তাদের লোকজন দিয়ে জোরপূর্বক সড়কের প্রবেশ মুখে দেওয়াল নির্মান করেন।

এ ছাড়া ওই সড়কের পাশেই ফেলে রাখেন কিছু ইট। এতে করে চলাচলের রাস্তায় সমস্যা সৃষ্টি হয় ওই পরিবারগুলোর মানুষের।
বিষয়টি নিয়ে গেল ১৮ তারিখে অনলাইন পোটাল একুশে সংবাদে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে শুরু সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দৌড় ঝাপ। এরপর চলে অনেক দেন দরবার। শালিশ হয় কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদে। ওই শালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী (২৫-১২-২২৪)

তারিখে সুবল হালদার ও সুকেশ হালদার সড়কের উপরের সেই দেওয়াল ভেঙ্গে নিজ অর্থায়নে নির্মান করে দিলেন সড়কটি। এতে করে আবারও যাতায়াতের সুবিধা ফিরে পেলেন ওই এলাকার পরিবারগুলো।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,সড়কটি নির্মান করে ছিলেন উপজেলা বিআরডিপি বিভাগ। ওই সময় উভয়ের সম্সতিতে সড়কটি করা হয়। সম্প্রতি মামা ভাগ্নের মধ্যে দ্বন্দ হওয়ায় ভাগ্নে সুবল ও সুকেশ হালদার সড়কের ইট তুলে তাদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে মামা গোপাল হালদার বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। এ ছাড়া ওই ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশিত হয়।

এরপর বিষয়টি নিয়ে শালিশ হয় এলাঙ্গী পরিষদে। ওই শালিশে সিদ্ধান্ত হয় সড়কটি পূর্ন নির্মান করে দিবেন তারা। সে অনুযায়ী তারা সড়কটি করে দিয়েছেন বলে আমি জানতে পেরেছি।




কোটচাঁদপুর বিএনপি থেকে দুই নেতাকে অব্যহতি প্রদান

কোটচাঁদপুরে বিএনপি থেকে দুই নেতাকে অব্যহতি দিয়েছেন দলটি। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ,দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপ সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় প্রিজন ক্লাবের এক সভা থেকে ওই দুই জনকে অব্যহতি দেয়া হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,কোটচাঁদপুরে বিএনপির থেকে দুই নেতাকে অব্যহতি দিয়েছেন দলটি। যার মধ্যে রয়েছেন কোটচাঁদপুর পৌর বিএনপির ২ নাম্বার ওয়ার্ডের প্রচার সম্পাদক আকরাম হোসেন ও পৌর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মোমিনুর রহমান হীরা।

ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ,দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপ সহ একাধিক অভিযোগে রয়েছে। এরপেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে তাদের নিয়ে কোটচাঁদপুর প্রিজন ক্লাবে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদেরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোটচাঁদপুর পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সোলাইমান হোসেন (দুলু)। তিনি বলেন,তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এরপেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয় প্রিজন ক্লাবে। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোমিনুর রহমান হীরা ও আকরাম হোসেন-কে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

ওই সভায় কোটচাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র এস কে এম সালাহউদ্দিন বুলবুল সিডল,সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সহ দলের একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই নেতা।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র এস কে এম সালাহউদ্দিন বুলবুল সিডল বলেন,ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ ছিল। এরপেক্ষিতে তাদেরকে দল অব্যহতি দেয়া হয়েছে। তবে সেটা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের নির্দেশক্রমে করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।




খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের সাথে গাংনী উপজেলা বিএনপির সম্পাদকের শুভেচ্ছা বিনিময়

খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু।

বড়দিন উপলক্ষে আজ বুধবার বিকালে তিনি গাংনী উপজেলার নিত্যানন্দপুর, পাকুড়িয়া, জুগিন্দা গ্রামের খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় তিনি নিত্যনন্দপুর গ্রামে শুভ বড়দিনের উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপি মেলা পরিদর্শন করেন।

এসময় তার সাথে ছিলেন গাংনী পৌর বিএনপির ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হােসেনসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।