ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে হলুদের চাঁদর বেছানো ফসলের মাঠ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে মাঠে হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষা ফুল। দূর থেকে সরিষার ক্ষেতগুলো দেখে মনে হয়, কে যেন হলুদ চাদর বিছিয়ে রেখেছে। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

এদিকে, ফসলের মাঠে ফোটা ফলগুলো রোদ ঝলমল আলোয় প্রকৃতির মাঝে অপরূপ সৌর্ন্দযের শোভা ছড়াচ্ছে। তেমনি সরিষার হলুদ রাজ্য দেখতে ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। একই সঙ্গে শীতের কুয়াশাকে উপেক্ষা করে চাষীরা সরিষা ক্ষেতের যত্ন নিচ্ছেন।
সরিষা চাষীরা জানান, গত বছর আশানুরূপ দাম পাওয়ায় এবং কৃষি বিভাগ সরিষা চাষে প্রণোদনা দেওয়ায় চলতি মৌসুমে কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের তরুন কৃষক সম্রাট বলেন, গত বছর ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছিল ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। ফলন পেয়েছিলেন ১২ মণ হারে। প্রতি মণ সরিষা ৩ হাজার দরে ৩৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন।

তিনি আরও বলনে, গত বছর সরিষা চাষে আশানুরূপ লাভ হওয়ায় এবার ২ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আশা করছি এবারও ভালো ফলন ও ভালো দাম পাবো।

গাজীপুরের জুয়েল জানান, এবার তিনি ১ বিঘা জমিতে রবি সরিষার আবাদ করেছেন। তার জমিতে আগাম সরিষার ফুলে ভরে গেছে। তিনি আশা করছেন প্রতি বছরের মতো এবারও ভালো ফলনের।

তিনি আরও বলেন, আগে অনেক কৃষক সরিষা চাষ করতেন। আশানুরূপ দাম না পাওয়ায় তারা চাষ কমিয়ে দিয়েছিলেন। বাজারদর ৩ হাজার টাকার বেশি থাকলে কৃষকেরা সরিষা চাষে আরও বেশি উৎসাহী হবেন বলে মন্তব্য করেন এ কৃষক।
বলরামপুর গ্রামের কৃষক শান্ত বলেন, গত বছর ১০ কাঠা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম। এবার ১ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করছি, গত বছর সরিষার ফলন ভালো ছিল, দামও ভালো পেয়েছিলাম। এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৬-৭ মণ হারে সরিষা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন, সরিষা ৩ মাস মেয়াদি ফসল। কম খরচ ও কম পরিশ্রমে সরিষা চাষ করতে পারেন কৃষকেরা। বর্তমানে সরিষা চাষ কৃষকের কাছে লাভজনক ফসলে পরিণত হয়েছে। গত বছর সরিষার আশানুরূপ ফলন ও দাম পাওয়ায় কৃষকেরা উৎসাহী হয়েছেন। সরিষা চাষ একদিকে যেমন মাটির উর্বরতা বাড়ায়, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করে।

তিনি আরও জানান, আশা করছি কৃষকরা সরিষার ভালো ফলনে লাভবান হবেন। এখানকার উৎপাদিত সরিষার তেল দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণেও বড় ভূমিকা রাখবে।




ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে পাকিস্তানি ব্যাটারের উদ্ভট প্রস্তাব

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সম্প্রতি উভয় দেশের জন্য একটি হাইব্রিড মডেল অনুমোদন করেছে। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনের জন্য একটি অদ্ভুত প্রস্তাব দিয়েছেন।

আইসিসি জানিয়েছে, ২০২৪-২৭ সাল পর্যন্ত আইসিসি ইভেন্টে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। এর মূল কারণ হলো ভারতীয় দল পাকিস্তানে সফর করতে রাজি নয়।

ইউটিউবে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আহমেদ শেহজাদ আইসিসির নতুন মডেলের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের জন্য এটি খুবই হতাশাজনক। ২০২১ সালে সব বোর্ড চুক্তি করেছিল যে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে। এখন আইসিসি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। আমার মনে হয়, আমরা একটি বড় সুযোগ হারিয়েছি। ভারতীয় দল আর কখনো পাকিস্তানে আসবে না। এটাই সত্যি মেনে নেওয়া উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একটি পডকাস্টে বলেছিলাম, সীমান্তে একটি স্টেডিয়াম তৈরি করা যেতে পারে। একপাশে পাকিস্তানের গেট, আরেক পাশে ভারতের গেট। খেলোয়াড়রা নিজ নিজ গেট দিয়ে প্রবেশ করবে এবং খেলবে। তবে এমন পরিস্থিতিতেও সমস্যা থেকেই যাবে। কারণ, ভারতের খেলোয়াড়দের পাকিস্তানের দিক দিয়ে আসার জন্য ভিসার প্রয়োজন হবে, যা তারা পাবে না।’

পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, ২০১৭ সালের ফাইনালে ভারতকে পরাজিত করেছিল। দুই দল এ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে পাকিস্তান তিনবার জিতেছে। সর্বশেষ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। সেই ম্যাচে ভারত ৬ রানে জয়লাভ করে এবং শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতে নেয়।

শেহজাদের প্রস্তাব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। তবে সীমান্তের দুই পক্ষের মধ্যকার কূটনৈতিক জটিলতা এমন উদ্ভট পরিকল্পনাকেও অবাস্তব করে তুলছে।

সূত্র: কালবেলা




ঝিনাইদহে দুস্থ নারীদের মাঝে বিনামূল্যে গরুর বাছুর বিতরণ

ঝিনাইদহে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়াতে দুস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারদের মাঝে বিনামূল্যে বকনা গরুর বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল সকালে সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঝিনাইদহের যৌথ অগ্রসরমান সৃজক সংস্থা (জাগো)।

জাগো’র নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুল শরীফ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জিল্লুর রহমান এনডিসি।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল বারী, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সালমা খাতুন,  জাগোর নির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম, প্রকল্প সমন্বয়ক এস এম নাজির আরেফিনসহ অন্যান্যরা।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামের ৫ জন নারীর মাঝে গরুর বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়। এর আগে গাভী পালনের উপর ওই নারীদের ১ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদাণ করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদাণ করেন সদর প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: তারেক হাসান মুসা।




মুড়ি খেলে কমবে ওজন

জলখাবার হিসেবে মুড়ি খেতে সবাই পছন্দ করেন। বিশেষ করে ডায়াবেটিসের রোগীদের কাছে মুড়ি খুব জনপ্রিয়। সকাল-বিকালের নাশতায় সেহজ উপায় হিসেবে তারা মুড়িকেই বেছে নেন। তবে মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি মুড়িতে কতটা পুষ্টিগুণ রয়েছে, সে সম্পর্কে জানেন না অনেকেই।

মুড়ি সম্পর্কে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েছেন জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শিমু আক্তার। চলুন জেনে নেই-

ওজন কমাতে: যারা ওজনের ব্যাপারে সচেতন, তাদের জন্য মুড়ি একটি ভালো খাবার হতে পারে। কারণ, মুড়ি কম ক্যালরি এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার। ১৫ গ্রাম মুড়িতে মাত্র ৫৪ ক্যালরি আছে। শুধু তা–ই নয়, প্রচুর ফাইবার থাকার কারণে মুড়ি খেলে অনেক সময় পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। মুড়িতে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংক আছে।

গ্যাসের সমস্যায়: বিভিন্ন খাবার খাওয়ার কারণে অনেক সময় বুক জ্বালাপোড়াসহ গ্যাসের সমস্যা হয়। মুড়ি সেসব ক্ষেত্রে ভালো সমাধান হতে পারে। বিশেষ করে মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খেলে গ্যাসের সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: মুড়িতে প্রচুর ফাইবার আছে। সুতরাং যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, তাদের জন্য মুড়ি খুব উপকারী।

হাড় শক্ত করে: মুড়িতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অল্প পরিমাণ ‘ভিটামিন ডি’ বিদ্যমান, যা হাড় শক্ত করতে খুবই প্রয়োজনীয়।

ত্বকের যত্নে: বয়সের ছাপ নিয়ে কমবেশি সবাই চিন্তিত হয়। এ ক্ষেত্রে একটি উত্তম সমাধান হতে পারে মুড়ি। কারণ, মুড়িতে রয়েছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যার প্রভাবে আল্ট্রাভায়োলেটের কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা সহজেই রোধ করা যায়।

যাদের সতর্ক হতে হবে
ডায়াবেটিসের রোগী: অনেক ডায়াবেটিসের রোগীর কাছে নাশতা হিসেবে মুড়ি খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না মুড়িতে বেশ শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট আছে। মুড়ির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি ও মুড়ি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। তবে প্রচুর ফাইবার থাকায় এবং ক্যালরি কম থাকায় মুড়ি নাশতা হিসেবে অল্প পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। ব্রাউন মুড়ি বা লাল চালের মুড়ি অপেক্ষাকৃত ভালো।

কিডনিজনিত সমস্যা: ডায়াবেটিসের রোগীদের মতো যারা দীর্ঘদিন কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত, তারাও মুড়ি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ, মুড়িতে প্রচুর পরিমাণ সোডিয়াম আছে, যা কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের রোগী: মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকায় রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। এ কারণে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে ও যারা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন, তারা মুড়ি খাওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।

বাজারের মুড়িতে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান, যেমন আর্সেনিক, ইউরিয়া মেশানো থাকে, যা নানান স্বাস্থ্য সমস্যাসহ রোগীর মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ায় কৃষি বিপণন আইন বিধি এবং নীতির সংবেদনশীলতা বিষয়ক কর্মশালা

কুষ্টিয়ায় কৃষি বিপণন আইন, বিধি এবং নীতির সংবেদনশীলতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া শহরের দিশা টাওয়ারের অডিটোরিয়ামে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং ফিড ফিউচার পলিসি লিঙ্ক এগ্রিকালচারাল পলিসি একটিভিটি এর সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বাজার ও সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু জাফর মোল্লা ও দেশ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের সত্বাধিকারী এম এ খালেক।

কর্মশালায় কৃষি বিপণন নীতি প্রণয়নের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয় বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষক উন্নয়নে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অধিকাংশ উদ্যোগে কৃষি উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। যার ফলে কিছু উৎপাদনে আমরা আজ ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছি।

টেকসই উৎপাদনের সফলতা নির্ভর করে দক্ষ কার্যকর বিপণন ব্যবস্থার উপর। কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের প্রকৃত মূল্যায়ন করে কৃষিকে একটি নিশ্চিত লাভজনক বাণিজ্যিক কর্মে রুপান্তর করতে পারলেই কেবল কৃষকের প্রকৃত উন্নয়ন হবে এবং একটি দীর্ঘ মেয়াদি স্থিতিশীল অর্থনীতির নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী বিপণন অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী হিসেবে কৃষি বিপণন তথ্য ব্যবস্থাপনা, কৃষি পণ্যের মূল্য নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কৃষি পণ্যের গুণগত মান নির্ধারণ ও পরিবীক্ষণ, কৃষিভিত্তিক সংগঠন ব্যবস্থাপনা, কৃষি পণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, কৃষি পণ্যের মূল্য সহায়তা প্রদান, বাজার অবকাঠামো নির্মাণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ সহায়তাসহ বিপণন সংক্রান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আরোও অনেক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। উক্ত আইন বিধি ও কার্যাবলী সম বাস্তবায়নে একটা কার্যকর কৃষি বিপণন নীতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

বর্তমানে একদিকে কৃষক ন্যায্য মূল্য হতে বঞ্চিত হচ্ছে, এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা অস্বাভাবিক মুনাফা করছে অন্যদিকে সাধারণ ভোক্তা অধিক মূল্যে কৃষি পণ্য ক্রয় করছে এবং বিপণন সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ তুলছে। ফলে কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি সুপরিকল্পিত বিপণন নীতি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। প্রণীত জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি ২০২৩ সকলের সহযোগিতায় যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করলে কৃষক অন্যতম মূল্য সহায়তা পাবে, কৃষি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া যাবে, বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন হবে, কৃষিতে নারীর ক্ষমতায়ন হবে, তরুণ-তরুণীরা কৃষি উদ্যোক্তা হয়ে উঠবে, একটি সুসংজ্ঞায়িত সাপ্লাই চেন উন্নয়ন সম্ভব হবে, কৃষি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে, কৃষিতে নারী উদ্যোক্তা বাড়বে, গ্রাম ও শহরের অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস পাবে এবং কৃষি ব্যবসায় দায়িত্বশীলতা আসবে। সর্বোপরি কৃষি বিপণন ব্যবস্থায় গতিশীলতা আসবে এবং কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রদানের মাধ্যমে একটি টেকসই কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। কর্মশালায় বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যবসায়ী, খাজানগরের চালকল মিল মালিকগণ, কৃষি সেক্টরের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

পলিসি এক্টিভিটি টিমের সিনিয়র ম্যানেজার মো: আশিক বিল্লাহ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশন পরিবেশন করেন সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম।




উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নামানো হচ্ছে ‘পুষ্পা-২’

মুক্তির পর থেকেই নতুন নতুন দৃষ্টান্ত গড়েছে আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা-২: দ্য রুল’। প্রথম দিন থেকে বক্স অফিসে আলোড়ন ফেলেছে এ সিনেমা। কয়েকটি ভাষায় এ সিনেমা দারুণ ব্যবসা করেছে। তবে সাফল্যের পাশাপাশি সিনেমাটির পিছু ছাড়ছে না বিতর্কও।

জানা গেছে, উত্তর ভারতের প্রেক্ষাগৃহ থেকে নাকি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এ সিনেমাটি। সুকুমার নির্মিত এ সিনেমা নিয়ে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মন্তব্য করেন চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ মনোবালা বিজয়াবালন।

তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘শুক্রবার উত্তর ভারতের পিভিআর, আইনক্স প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে “পুষ্পা ২: দ্য রুল”।’ মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে তার সেই পোস্ট। তার কিছুক্ষণ পরেই আবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার দাবি ফিরিয়ে নেন চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ। তিনি লেখেন, ‘একটি সমস্যা হয়েছিল। তবে তার সমাধান হয়েছে। এক এক করে প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হচ্ছে ছবি।’

সারাবিশ্বে আল্লু অর্জুন অভিনীত এ সিনেমা ১৫০৮ কোটি রুপির ব্যবসা করেছে। সিনেমাটি মুক্তির আগে থেকেই অনুরাগীদের তুমুল আগ্রহ ছিল। করোনা মহামারির সময় মুক্তি পেয়েছিল ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’। সেই সময় মানুষকে প্রেক্ষাগৃহে ফিরিয়েছিল আল্লু অর্জুন ও রাশমিকা মান্দানার এ সিনেমা। তাই সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব নিয়েও প্রথম থেকেই ব্যাপক উত্তেজনা দেখা গেছে।

তবে বিতর্ক ছেড়ে যায়নি পুষ্পাকে। গত ৪ ডিসেম্বর হায়দারাবাদের সন্ধ্যা প্রেক্ষাগৃহে ছিল এ সিনেমা প্রদর্শন। উপস্থিত ছিলেন আল্লুও। উপচেপড়া ভিড়ে সেদিন পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক নারীর। এ নিয়ে দক্ষিণী তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়, ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন আল্লু। তবে সেই দিনই তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দেয় তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে সাদ পন্থীদের কার্যক্রম স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের দাবিতে মানববন্ধন

তুরাগ পাড়ে ইজতেমার ময়দানে হামলার প্রতিবাদে মেহেরপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর ৭ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টা থেকে মেহেরপুরের কোর্ট মোড়ে ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ শতাধিক লোক মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মেহেরপুর জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মানববন্ধন কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, মেহেরপুর জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা ও জেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান সহ জুবায়ের পন্থীদের ব্যানারে মেহেরপুরের বিভিন্ন স্তরের ওলামায়ে কেরাম ও দাওয়াতে তাবলীগের সাথীগণ।

মানববন্ধন থেকে বক্তারা সাদপন্থী সমর্থক কর্তৃক টঙ্গি ময়দানে হামলা চালিয়ে মুসল্লিদের হত্যা ও রক্তাক্ত করার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ভারতের মাওলানা সাদ বিভিন্ন সময় ভুল বয়ানের মাধ্যমে মুসল্লিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছেন। তারা মসজিদ দখল করাসহ একের পর এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। তারা পরিকল্পিতভাবে টঙ্গী ময়দানে দেশীয় অস্ত্রসহ ঘুমন্ত সাথীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এতে চারজন শহিদ হওয়া সহ অসংখ্য সাথী আহত হয়েছেন, অনেকেই এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। অনেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

এসময় বাংলাদেশের মাটিতে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ করাসহ হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে বক্তারা আরও বলেন, ‘তাবলিগের সাথীরা সন্ত্রাসী নয়, সন্ত্রাসী হলে সাদপন্থীদের ওপর হামলা করে বাড়িঘর ধ্বংস করা দিতে পারতো, কিন্তু আমরা এসবে বিশ্বাসী নই। অনতিবিলম্বে জঙ্গি গোষ্ঠীর এজেন্ট ভারতের দালাল সাদ পন্থীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতারের দাবীও জানান তারা।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তাবলীগ জামাতের জুবায়ের পন্থী গ্রুপের নির্বাচিত কিছু সদস্য প্রধান উপদেষ্টা বরাবর তাদের ৭ দফা দাবী সম্বলিত স্মারকলিপিটি মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের কাছে হস্তান্তর করেন।




হোয়াটসঅ্যাপেও চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সুযোগ

এখন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা সরাসরি ওপেনএআইয়ের চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সেবা নিতে পারবেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) থেকেই এ সুবিধা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে, প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেট।

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের জন্য কেবল ফোনের কনট্যাক্টসে ১ (৮০০) চ্যাটজিপিটি বা ১ (৮০০) ২৪২-৮৪৮৭ নম্বরটি সংযুক্ত করতে হবে। এরপর মেটার জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ থেকে সরাসরি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলা যাবে।

তবে এ ফিচারে শুধুমাত্র চ্যাটজিপিটির টেক্সট ইনপুট সুবিধা পাওয়া যাবে। উন্নত ভয়েস মোড কিংবা ভিজুয়াল ইনপুট ফিচার এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে, চ্যাটজিপিটির জিরো ওয়ান মিনি মডেলের সব সুবিধা এই ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে।

অ্যাকাউন্ট ছাড়াই যেখানে চ্যাটজিপিটির চ্যাটবট রয়েছে, সেখানে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেও এটি ব্যবহার করা যাবে। ওপেনএআই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের প্রমাণীকরণের নতুন উপায় নিয়ে কাজ করছে। তবে ফিচারটি সবার জন্য কবে থেকে উন্মুক্ত হবে, সে বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনও সময় উল্লেখ করা হয়নি।

এনগ্যাজেট আরও জানিয়েছে, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি চ্যাটজিপিটি হটলাইন চালু করেছে ওপেনএআই। ওই নম্বরটিও ১ (৮০০) চ্যাটজিপিটি। এটি স্মার্টফোন কিংবা পুরোনো ফ্লিপ ফোনেও ব্যবহারযোগ্য হতে পারে।

ওপেনএআইয়ের চিফ প্রোডাক্ট অফিসার কেভিন ওয়েইল জানিয়েছেন, ‘আমরা ওপেনএআইকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছি মাত্র।’ সম্প্রতি ‘১২ ডেইজ অফ ওপেনএআই’ লাইভস্ট্রিম চলাকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওয়েইল আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির হ্যাক উইক আয়োজন থেকেই এ ফিচারগুলো তৈরি হয়েছে। চ্যাটজিপিটির এ নতুন সুবিধা প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য বড় ধরনের অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

মেহেরপুরের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের হালদার পাড়ায় এই কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই উদ্যোগে অংশ নেন এবং এলাকার দরিদ্র ও শীতার্ত মানুষদের হাতে কম্বল তুলে দেন।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, প্রতিবছর শীত মৌসুমে তারা গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এসময় পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওবায়দুল্লাহ সেন্টু, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনা, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিম খান, পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি মীর বকুল, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি বাবু সাবের, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব পৌর নওশেল আহমেদ রনি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এম এ মাবুদ, মোহাম্মদ সোহেল, মিলন আলীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বিএনপির এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান।




মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের গণসংযোগ

মেহেরপুর জেলা বিএনপির নব নির্বাচিত সদস্য সচিব এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদের নেতৃত্বে শ্যামপুর ইউনিয়নে একটি গণসংযোগ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩ টার দিকে কুতুবপুর ইউনিয়নের তেরোঘরিয়া গ্রামের এ গণসংযোগ কার্যক্রম শুরু করেন তারা। পরে শোলমারি ও রুদ্রনগর গ্রামে এ গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

নেতৃত্বস্থানীয়দের সাথে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা গণসংযোগে অংশ নেন এবং জেলা বিএনপির নব নির্বাচিত সদস্য সচিব এডভোকেট কামরুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদকে ফুলের শুভেচ্ছা দেন।
এসময় জেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খাঁন ছাতু, ওমর ফারুক লিটন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা, সদর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিবুজ্জামান স্বপ্নন, জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক এডভোকেট নজরুল ইসলাম, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনিসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।