দামুড়হুদায় শীতের আগাম প্রস্তুতি! লেপ-তোষকের দোকানে ভিড় 

শীত নিরাময় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দারা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ প্রস্তুতি নিতে উপজেলার লেপ-তোষকের দোকান গুলোতে ভীড় জমতে লক্ষ্য করা গেছে। ভীড়কে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে কারিগর সহ দোকান মালিকদেরকে।

দামুড়হুদা,উপজেলার প্রায় সকল লেপ- তোষকের দোকানে ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকতে দেখা গেছে কমবেশি।কেউ যাচ্ছে ওর্ডার দিতে, আবার কেউ যাচ্ছেন নিদিষ্ট একটা মাপ দিয়ে কেমন মজুরি পড়বে জানতে। অবশ্য এবছরে অন্যআন্য মালামালের সাথে সাথে বেড়েছে লেপ তোষক তৈরির ব্যবহারের পন্য সামগ্রি।সেজন্য লেপের কাপড়, ফোম, মজুরির দামটাও একটু বেশি বলে বিক্রতা সহ ক্রেতাদের দাবি।

উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কাঁঠাল তলা বাজারের লেপ ব্যবসায়ী আলী আজগার জানান, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে  এ পেশায় নিয়োজিত। এবার শীতে দোকানে প্রচুর পরিমাণে মানুষের ভিড় হচ্ছে, কিন্তু দাম একটু বেশি হাওয়ায় কাস্টমার ফিরে যাচ্ছে।

গত বারের তুলনায় এবার মালা মালের দাম বেশি,যে তুলা কিনতাম ১২০ টাকা কেজি সেই তুলা কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি,আর যে কাপড় কিনতাম ৩০ টাকা গজ, এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা গজ,সুকলা কিনতাম ২০ কেজির ব্যাল্ট ৪০০ টাকা এখন কিনতে হচ্ছে ৭০০ টাকায়। তিনি আরো বলেন, কারিগরদের আগে লেপ প্রতি হাজিরা দিতে হতো ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, এবছরে দিতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।

কারিগর করিম হোসেন বলেন, আমি ১০ রকমের লেপ তোষক তৈরি করতে পারি। সিঙ্গেল লেপ বিক্রি করছি সর্বনিম্ন ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ডাবল লেপ ১৫০০/৩০০০ টাকা। কিন্তু জিনিসের দাম একটু বেশি হাওয়ায় গতবারের তুলনায় এবার একটু বেচাকেনা কম হচ্ছে।

জয়রামপুর গ্রামের ডালিম হোসেন বলেন, আমি তিন টা লেপ তোষক অর্ডার দেওয়ার জন্য দোকানে গিয়ে ছিলাম কিন্তু এবারে দাম অনেক বেশি বলছে, দোকানদার বলছে আমরা কি করিবো যেমন দামে জিনিস পত্র কিনছি তেমন দামে বিক্রি করছি। তিনি আরো বলেন গত বছরে যে তোষক কিনে ছিলাম ১.৫০০ টাকায় এবার কিনতে হচ্ছে ২.৫০০ থেকে ৩.০০০ টাকায়।




মুজিবনগরে সু-প্রতিবেশী মহিলা সমবায় সমিতি লিঃ ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভা

“সমবায়ে গড়ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ ” এই স্লোগান কে সামনে রেখে মুজিবনগরে সুপ্রতিবেশী মহিলা সমবায় সমিতি লি: ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর বল্লভপুর প্রজেক্টর অফিস এবং সু-প্রতিবেশী মহিলা সমবায় অফিস প্রাঙ্গনে বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানে সু প্রতিবেশী মহিলা সমবায় সমিতি এর সভাপতি রেহেনা খাতুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল ইসলাম।

সু-প্রতিবেশী মহিলা সমবায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাবানা খাতুন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক, জেলা উপসহকারী নিবন্ধকক এনামুল হক, উপজেলা সহকারী পরিদর্শক শাহিনুজ্জামান, গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রিফাত আল মাহমুদ, সমবায় সমিতির কো- অপারেটিভ অফিসার রিয়াজউদ্দিন, গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর ফেসিলেটর মেহেদী হাসান, সমবায় সমিতির সম্পাদক আঞ্জুয়ারা খাতুন।

বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত সমবায় সমিতির ১৫৭৩ জন সদস্য মধ্য এবং চলতি অর্থবছরের ১৪৫৮ জন সদস্যদের মাঝে বার্ষিকী হিসাব-নিকাশ লাভ লোকসান তুলে ধরেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ নাসিমা খাতুন।




গাংনীতে ফেনসিডিলসহ স্কুল শিক্ষক আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে ১৫ বোতল ফেনসিডিলসহ স্বপন আলী নামের এক স্কুল শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে গাংনীর বামন্দী ইউনিয়নে নিশিপুর সড়কে তাকে আটক করা হয়। এসময় শিক্ষক স্বপন আলীর মোটরসাইকেল তল্লাশী করে ১৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃত স্বপন আলী ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কাজীপুর গ্রামের মৃত নবীর উদ্দিনের ছেলে।

গাংনী থানা পুলিশের এএসআই কালাম বলেন, বামন্দী নিশিপুর এলাকায় ফেনসিডিল পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিশিপুর এলাকা থেকে ফেনসিডিলসহ তাকে আটক করা হয়। এসময় ১৫ বোতল ফেনসিডিল ও পাচার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ বাণী ইসরাইল আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃত স্বপন আলীকে মাদক মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।




মুজিবনগরে শিক্ষা উপকরণ বিতরণের উদ্বোধন

মুজিবনগরে গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর আয়োজনে গুডনেইবারর্স এর স্পন্সর প্রাপ্ত শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরনের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় গুডনেইবারস বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গনে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপকরণ বিতরণের শুভ উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক, জেলা উপসহকারী নিবন্ধকক এনামুল হক, উপজেলা সহকারী পরিদর্শক শাহিনুজ্জামান, গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রিফাত আল মাহমুদ, সু- প্রতিবেশী মহিলা সমবায় সমিতির কো- অপারেটিভ অফিসার রিয়াজউদ্দিন, গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর ফেসিলেটর মেহেদী হাসান, সু- প্রতিবেশী মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি রেহেনা খাতুন।

গুডনেইবার মেহেরপুর সিডিপি উপজেলার সুবিধাভোগী ১২১০ জন শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা পাঁচটি কলম পাঁচটি একটি প্লাস্টিকের বুক সেলফ ২ লিটার সয়াবিন তেল ২ কেজি আটা এবং এক কেজি মসুর ডাল প্রদান করা হবে।




রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন

একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে পাপিয়ার মৃত্যু হয়।

সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্বামী সারোয়ার এ আলম। এসময তিনি বলেন, পাপিয়া আর আমাদের মাঝে নেই। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার দিকে চিকিৎসক তার লাইফ সাপোর্ট খুলে মৃত ঘোষণা করেছেন। ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে জানাজা করে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।

পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালে ২১ নভেম্বর। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সাল থেকে বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।

১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারতে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান। তার আগে তিনি ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে গানের দীক্ষা নেন।

তার প্রথম অডিও অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। অ্যালবামটির নামও ছিল শিল্পীর নামেই, ‘পাপিয়া সারোয়ার’। তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘আকাশপানে হাত বাড়ালাম’ প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে।

দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পাপিয়া সারোয়ার পেয়েছেন। তার ব্যতিক্রমী কণ্ঠ, গায়কির প্রশংসা ছিল সংগীতাঙ্গনে। আধুনিক গানেও আছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাই রে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।

পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক। পাপিয়া সারোয়ার জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন একসময়।

১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদায় ট্রান্সফরমার চুরির মামলায় আটক ১

দামুড়হুদায় ট্রান্সফরমার চুরির মামলায় আজগর আলী নামে ১ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের হুদাপাড়া গ্রামবাসী তাকে আটক করে।

পরবর্তীতে আটকের বিষয়টি দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীরকে জানানো হলে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি ইনচার্জ এস আই নিয়ামুল তাকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের হুদাপাড়া গ্রাম থেকে আটক করে দামুড়হুদা মডেল থানায় নিয়ে আসে।

আটককৃত এজাহার নামীয় ১ নং আসামি হল কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে আজগর আলী (৩৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের আলিহিম মন্ডলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫১), বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানাধীন শিবনগর মৌজাস্থ সেজোতলার মাঠ, শিবনগর হতে ০৬ (ছয়) টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের মধ্যে থাকা তামার কয়েল সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ, মূল্য আনুমানিক ৪,০৫,০০০/- (চার লক্ষ পাঁচ হাজার) টাকা চুরি করার অপরাধ উল্লেখ করে এজহার নামীয় ধৃত ১। নং আসামি আজগর আলীসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি এজহার দায়ের করেন।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর বলেন ট্রান্সফরমার চুরির মামলায় এজাহার নামীয় ১ নং আসামি আজগর আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে আগামীকাল বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।




দর্শনায় যৌথ বাহিনীর হাতে ফেনসিডিল ব্যবসায়ী ও ডাকাত শাহাবুল গ্রেফতার

দর্শনার ফেনসিডিল ব্যবসার গড-ফাদার ও দুঃধর্ষ ডাকাত শাহাবুল হোসেন যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে। দর্শনা মেমনগর বাগদী পাড়ার গোলজার হোসেনের ছেলে চোরাচালান, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের হুতা শাহবুল ইসলাম (৪৩) কে যৌথবাহিনী আটক করেছে।

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে দর্শনা থানায় সোর্পদ করেছেন। শাহাবুলের বিরুদ্ধে দর্শনা ও দামুড়হুদা মডেল থানায় ১০টি মামলা রয়েছে বলে দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর জানান।

কি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দর্শনা পরানপুর গ্রামের জহিরউদ্দীন জোয়াদ্দারের ছেলে রবিউল ইসলামের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে জানান দর্শনা থানার অফিসার্স ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর।




কোটচাঁদপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

মুল ধারার বিএনপি বাদ দিয়ে বিএনপি করা যাবে না। তাই, ঐক্যবদ্ধ থেকে নিজেদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে কোটচাঁদপুর উপজেলা ও পৌর কৃষক দলের আয়োজনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের (৪৪) তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে ৭৫ পর্যন্ত শেখ মুজিব বাংলাদেশে নির্বিচারে রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যা করেছিল। অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল রক্ষীবাহিনী। শেখ হাসিনাও তার বাবার মতো মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় চিরদিন থাকার দুঃস্বপ্ন দেখেছিল। শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৬ বছরে কয়েক হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা-গুম করেছে।

জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ স্মরণ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভেবেছিল তার কখনো পতন হবে না। দেশের লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে বেগমপাড়া বানিয়েছে শেখ হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, হাসিনা দেশটাকে ধ্বংস করে একদিন পালাবে। আজ হাসিনা ঠিকই পালিয়ে গেছে। সভাপতিত্ব করেন কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিঃ মোমিনুর রহমান মোমিন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদ আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর রশিদ, পৌর বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা টিপু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান খান মুকুল, সদস্য সচিব মাহফুজ আলম মামুন, পৌর যুব দলের আহ্বায়ক ফয়েজ আহমেদ তুফান, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব বাবু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সিদ্দিক, সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক কৃষিবীদ ফিরোজ উদ্দিন মানিক, সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম। এ সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষক দল, শ্রমিকদল সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ গঠনের লক্ষ্যে মুজিবনগরে সভা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরের পর্যটন মোটেলের হলরুমে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) গঠন শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি আয়োজন করা হয় দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার ইনিশিয়েটিভ (MIPS) প্রকল্পের অধীনে। মুজিবনগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সম্প্রীতিপূর্ণ আচরণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ গঠনের লক্ষ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাবদার আলী। সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন মো. ওয়াজেদ আলি খান। সভাটি সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো. আশরাফুজ্জামান।

সভায় পিএফজি গঠনের প্রয়োজনীয়তা, গঠনতন্ত্র এবং কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা হয়। এই বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেন দি হাঙ্গার প্রজেক্টের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস.এম. রাজু জবেদ।

সভায় উপস্থিত উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহিনুজ্জামান, যুবদল সভাপতি মো. আবুল হাসান, জেলা মহিলা জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য নুরজাহান খাতুন আনজিরা, মহিলা ইউপি মেম্বার আফরোজা রোজ, যুবদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মিলন, এপিপি এডভোকেট সেলিম গাজী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন প্রতিনিধি মো. খাইরুল বাশার, পেশ ইমাম হাফেজ মো. মতিয়ার রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, মুজিবনগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুন্সি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজ, খ্রিষ্টান প্রতিনিধি মারিও সুশিত মন্ডল, সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি শ্যামল কুমার, দলিত প্রতিনিধি মানু দাশ, শিক্ষক মুন্সি মো. মোকাদ্দেস হোসেন। এছাড়াও, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষাবিদ, এবং সুশীল সমাজের আরও প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় সবার সম্মতিক্রমে পিএফজি কো-অর্ডিনেটর নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট সমাজ কর্মী মো: ওয়াজেদ আলি খান। পিস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নির্বাচিত হন বিএনপির যুবদলের সভাপতি মো: আবুল হাসান, ইউপি মেম্বার আফরোজা রোজ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মো: খাইরুল বাশার এবং শিক্ষক মুন্সি মো: মোকাদ্দেস হোসেন।

সভায় উপস্থিত সকল প্রতিনিধি রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং জাতিগত সহিংসতা নিরসনে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। পিএফজি কমিটির মাধ্যমে মুজিবনগরের সাধারণ মানুষের সাথে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

সভা শেষে সভাপতি মো. সাবদার আলী সবাইকে সম্প্রীতির মুজিবনগর গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতায় শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন সম্ভব। এই সভা মুজিবনগরের শান্তি স্থাপনে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।




শীতে ব্রণ বেড়ে গেলে কী করবেন

শীতকালে ত্বকে দেখা দেয় নানা ধরনের সমস্যা। বিশেষ করে শীতে ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল কম নিঃসৃত হওয়ায় ব্রণ বেড়ে যায়। তাই ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শীতে বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

শীতকালে ব্রণ কমানোর জন্য কিছু কার্যকরী টিপস জানিয়েছেন বিউটিএক্সাপার্ট পন্নি খান। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে।

১. ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে-

শীতকালে ত্বক পরিষ্কার রাখতে হালকা, পিএইচ-ব্যালেন্সড ক্লিনজার ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয় না এবং ব্রণ বাড়ার সম্ভাবনাও কমে।

২. ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার-

শীতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলে ত্বক অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন করে, যা ব্রণের সৃষ্টি করতে পারে। একটি হালকা, অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন যাতে ত্বক আর্দ্র থাকে এবং ব্রণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

শীতে ত্বকের যত্নে ময়েশ্চাইজার
৩. তেলযুক্ত প্রসাধনী থেকে দূরে থাকতে হবে-

শীতে ত্বকে অতিরিক্ত তেলযুক্ত পণ্য ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত তেল ত্বকের পোর বন্ধ করে দেয় এবং ব্রণ সৃষ্টি করে। তেলের বদলে জলভিত্তিক বা অয়েল-ফ্রি প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।

৪. আর্দ্রতা বজায় রাখুন-

শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার কারণে ব্রণ বেড়ে যায়। এজন্য ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখা জরুরি। একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে শুষ্কতা কমবে এবং ত্বক আর্দ্র থাকবে।

৫. সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পানি পান

শীতে অনেকেই পানি কম পান করেন, কিন্তু শরীর ও ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। এছাড়া, পুষ্টিকর খাবার যেমন তাজা ফল, শাকসবজি এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্য ত্বক সুস্থ রাখে এবং ব্রণ কমায়।

শীতে ত্বক সুস্থ রাখতে পানি পান করতে হবে
৬. ডাক্তারি পরামর্শ নিন-

ব্রণ যদি বেশি হয়ে থাকে এবং বাড়তে থাকে, তাহলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। চিকিৎসক প্রয়োজনে সঠিক ক্রিম বা মেডিকেল ট্রিটমেন্ট সাজেস্ট করতে পারেন যা শীতকালে ব্রণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক