
মেহেরপুরে সাম্প্রতিক সময়ে সবজির দামে অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। আড়ত থেকে খুচরা বাজারে পৌঁছাতে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, খরচ ও পরিবহন ভাড়াই দাম বৃদ্ধির মূল কারণ।
মেহেরপুর প্রতিদিনের সাপ্তাহিক অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে মেহেরপুর পাইকারি ও খুচরা বাজার পরিদর্শন করে জানা যায়, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে সবজি আসতে দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, তারও বেশি বেড়ে যায়।
আলু পাইকারি বাজারে ১৬ টাকা থেকে খুচরা বাজারে ২০ টাকা, পেয়াজ পাইকারি বাজারে ৯০-৯৫ টাকা থাকলেও তা খুচরা বাজারে হয়ে যায় ১১০ টাকা, রসুন পাইকারি বাজারে ৬০ টাকা থেকে খুচরা বাজারে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামরিচ পাইকারী বাজারে ৬০-৬৫ টাকা থাকলেও খুচরা বাজারে এসে হয়ে যায় ৯৫-১০০ টাকা, যা প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। আদা পাইকারি বাজারে ১৬০ টা থাকলেও তা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।
সবজির মধ্যে, বেগুন পাইকারি বাজারে ৫০ টাকা খুচরা বাজারে ৬০ টাকা, পটল পাইকারি বাজারে ১৫ খুচরা বাজারে ৩০ টাকা, ঢ়েড়স পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা খুচরা বাজারে ৪০ টাকা, শাক পাইকারি বাজারে ২৫ টাকা খুচরা বাজারে ৪০ টাকা, করলা পাইকারি বাজারে ১৫-২০ টাকা থাকলেও খুচরা বাজারে ৩০টাকা, শশা পাইকারি বাজারে ৫০-৭০ টাকা খুচরা বাজারে ৭০ -৯০ টাকা, পেপে পাইকারি বাজারে ১৫ টাকা খুচরা বাজারে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম পাইকারি বাজারে ৫০ টাকা খুচরা বাজারে ৬০ টাকা, ফুলকপি পাইকারি বাজারে খুচরা বাজারে ৪০-৪৫ টাকা, বাঁধাকপি পাইকারি বাজারে ৩০-৩৫ টাকা খুচরা বাজারে ৫০ টাকা, মূলা পাইকারি বাজারে ১৫-২০ টাকা খুচরা বাজারে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো পাইকারি বাজারে ১০০টাকা খুচরা বাজারে ১৪০ টাকা, গাজর পাইকারি বাজারে ১৪০ খুচরা বাজারে ১৬০ টাকা।
সবজি বিক্রেতারা বলেন, আমরা আড়ত থেকে যে দামে পাই তার সাথে পরিবহন খরচ, দোকান ভাড়া, শ্রমিক মজুরি সঙ্গে বাজারে প্রতিযোগিতা সব মিলিয়ে খুচরায় না বাড়ালে টিকে থাকা মুশকিল।
মুরগীর বাজরে ব্রয়লার মুরগী ১৮০ টাকা, সোনালী মুরগী ২৮০ এবং লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে রুই ৩০০, তেলাপিয়া ১৬০, পাঙাস ১৬০, সিলভার ২০০, চিংড়ি ৮০০-৯০০, জিওল ২৩০, কৈই ২০০, ইলিশ ৪৫০-১০০০ টাকা।
ছাগলের মাংস ১১০০ টাকায় এবং গরুর মাংস সর্বদা ৭৫০ টাকায় অপরিবর্তিত।
তহ বাজারের সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফি বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি কাচাঁবাজার আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ন্যায্য মূল্যে ক্রেতার কাছে কাচামাল পৌঁছা দিতে। প্রতিটা সবজি ব্যবসায়িকে বলা আছে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত লাভ করে বিক্রি করতে।
কাঁচামরিচের দাম হাতবদলে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায় কেন? এমন প্রশ্ন করাই উত্তরে তিনি বলেন, কাঁচামরিচ আজ সাকালে ৬০-৬৫ টাকা ছিলো আড়তে। এই দামে কিনে তারা সর্বোচ্চ ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারে। কারণ সারাদিনে কাঁচা মরিচ বিক্রি খুব কম হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি বাজার পরিদর্শন করে দেখবো কারা কেমন দামে কেনা-বেচা করছে।


