
গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রুবেল হোসেনের (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ। তিনি কোটচাঁদপুর উপজেলার বড়বামনদহ গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। শনিবার সকালে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রুবেল হোসেন দীর্ঘ ছয় মাস ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। চিকিৎসার পেছনে তিনি তার সঞ্চয়ের সবটুকু ব্যয় করেন। এরপরও অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় শনিবার সকালে অসহ্য যন্ত্রণায় বাড়ির সবার অগোচরে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।
এ সময় তার পাশেই ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বাজতে থাকে। কল রিসিভ না হওয়ায় মোবাইলে বারবার কল আসছিল। কিছুক্ষণ পর তার ছেলে বিষয়টি টের পেয়ে ঘরে দৌড়ে গিয়ে দেখতে পায়, তার পিতা আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছেন। তখন সে চিৎকার করে কেঁদে উঠলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তার ঝুলন্ত লাশ নামান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠায়।
রুবেল হোসেন পেশায় দিনমজুর ছিলেন। এর আগে তিনি কোটচাঁদপুরের একটি ক্লিনিকে কিছুদিন নাইট গার্ড হিসেবে কাজ করতেন। তবে অসুস্থতার কারণে ওই কাজটি বন্ধ করে দেন।
কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার এনায়েত হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।


