প্রেম করে বিয়ে করেন সৌমিক নাজিফা (শুপ্তি) ও ওলিয়ার রহমান লিয়ন। দাম্পত্য জীবনের ১০ মাস পর এখন স্ত্রীর দেয়া ধর্ষণ মামলা কাধে নিয়ে ঘুরছেন ওই স্বামী। সে কোটচাঁদপুর বাজে বামনদহ পালপাড়ার শুকুর আলীর ছেলে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী ওলিয়ার রহমান (লিয়ন) বলেন, বিয়ের আগে আমার সঙ্গে ৬/৭ মাস সম্পর্ক ছিল সুপ্তির। সেটা ওর পিতা জানতে পেরে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় আমরা এক সাথে তাঁর মামার বাড়ি সলেমানপুর রবিউল ইসলামের বাড়িতে যায়। এরপর আব্দুল কাদের হুজুরকে ডেকে এনে হাতে হাত দিয়ে কবুল পড়িয়ে দেন। এরপর থেকে আমরা দীর্ঘ ১০ মাস যবাৎ দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছি।
তবে মাঝে মধ্যে আমার স্ত্রী সঙ্গে একটু ঝামেলা হতো। এটা নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন খারাপ আচরণ করতো আমার ও আমার পরিবারের মানুষদের সঙ্গে। সে কারণে আমি আইন মোতাবেক তাঁর খোরপোশের টাকা দিয়ে তালাক দিই। এতে করে তারা আমাকে কোন রকম আটকাতে না পেরে, তারা আমার নামে ধর্ষন মামলা দিয়েছেন।
অন্যদিকে মেয়ের পিতা ফিরোজ হোসেন বলেন, তারা সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তবে আমি প্রথম থেকেই ওই বিয়ের বিরোধিতা করে আসছিলাম। তবে বিয়ের বেশ কিছু দিন পর জানতে পারলাম,ওলিয়ার মেয়েকে মারধর সহ শারিরীক ভাবে নির্যাতন করেন। আর তারা যে বিয়ে করেছেন, এর কোন কাগজপত্র এখনও দেখাতে পারেনি। এ কারণে তাঁর নামে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে।
খোরপোষের টাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ওরা নিজেরা টাকা পাঠিয়ে, নিজেরাই রিসিভ করেছেন। এখন তারা মিথ্যা কথা বলছেন। আমি কোন টাকা রিসিভ করি নাই।
প্রতিবেশী শাকিল হোসেন বলেন, আগে থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে, তারা বিয়ে করেন। পরে সলেমানপুর মেয়ের মামা রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে মেয়ে তুলে দেন। ওইদিন কাজী দিয়ে বিয়ে হয়েছিল কিনা জানিনা। তবে হুজুর ডেকে দোয়া অনুষ্ঠান করেছিল।
হুজুর আব্দুল কাদের বলেন, ঘটনা তো এক বছর আগের। মেয়ের মামা রবিউল ইসলামের ছেলে আমার কাছে পড়েন। হঠাৎ করে মসজিদে এসে বলেন আমার ভাগ্নির কাবিন করে বিয়ে হয়ে গেছে। আপনি ছেলেকে নিয়ে আসেন একটু দোয়া করে দিবেন। সে কথা মোতাবেক আমি গিয়েছিলাম। এরপর আমি দোয়া করে চলে আসি। তবে কাবিন কোথায় করেছে, কিভাবে করেছেন আমি জানিনা।
ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও তাঁর পরিবার।