মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারাবাটি গ্রামের সেলিম ও মামুনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল, ফসল তসরুপাত ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলেছেন চৌগাছা গ্রামের ভুক্তভোগী রনি গমেজ ও কৃষক বরকত আলী। এ বিষয়ে বুধবার (৪ জুন) সকালে সাহারবাটি মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী রনি গমেজ তার বক্তব্যে বলেন, সাহারবাটি মৌজায় আমাদের খাস খতিয়ানভুক্ত কিছু জমি রয়েছে। যা সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত করে আমার বাবা বীমল গমেজ ক্রয় করে। সেই সুত্রে আমাদের আরএস রেকর্ড, এসএ রেকর্ড এবং দলিল রয়েছে। যার বলে আমরা এই জমিতে দীর্ঘ বছর চাষাবাদ করি। জরুরী ভিত্তিতে টাকার প্রয়োজন হওয়ায় সাহারবাটী গ্রামের বরকত আলীর কাছে বাৎসরিক চুক্তিতে বন্দক রাখি। বরকত আলী জমিতে বাঁধাকপি চাষ করে চারা রোপন করেন।
কিন্তু সাহারবাটী গ্রামের সেলিম ও মামুন জোরপূর্বক ফসল নস্ট করে চাষ করে ফসল তছরুপ করেছে এবং ক্ষমতার দাপটে জমি দখল নেয়ার চেস্টা করছে। আমরা দুর্বল সংখ্যালঘু তাই আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
২০১১ সালে তাদের নামে একটি ভুয়া নামখারিজ করে। সেই নামখারিজ আমরা বাতিলের আবেদন করলে, নামখারিজটি বাতিল হয়ে যায়। এবং গত দুই মাস আগে জমিটি আমাদের হোল্ডিংয়ে ফেরত যায়। সেই হিসেবে আমরা আবারো জমিতে আসি এবং এক বছরের জন্য জমিটি ১লাখ টাকায় কৃষক বরকতকে চাষাবাদের জন্য বর্গা দিই। কৃষক বরকত ৪৩ দিন আগে জমিতে কফির চাষ শুরু করে। কিন্তু সেলিম ও মামুনরা গতকাল সমস্ত জমির কফি তসরুপাত করে এবং জমিতে ট্রাক্টর ঢুকিয়ে চাষ করে। এতে কৃষক বরকত ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক বরকত আলী জানান, আমি মহুরীর মাধ্যমে কাগজ পাতি দেখে, এক বছরের জন্য দেড় বিঘা জমি ১ লাখ টাকায় বর্গা নিই। এবং জমিটি তহশীলদার জাকির হোসেন আমাকে মেপে ঠিক করে দিয়ে যায়। কিন্তু সেলিম ও মামুনরা আমার ৪৩ দিন আগে লাগানো সমস্ত কপি তসরুপাত করে। এতে আমার প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া তারা আমাকে জমিতে না আসার জন্য হুমকি প্রদান করে। জমিতে গেলে আমাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রনি গমেজ ন্যায্যতার ভিত্তিতে তাদের জমির দোখল বুঝে পেতে এবং ভুক্তভোগী কৃষক তার ফসলের ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রসাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।