
মেহেরপুরে গাংনীর ভাটপাড়া গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় বিএনপি সমর্থক জিয়ারুল চৌধুরী ও জামায়াতের ৪ কর্মি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত জামায়াত কর্মীরা হলেন, সোহরাব হোসেন, তার ছেলে শিশির, রবিউল ইসলাম রুবেল, আলাউদ্দিন বাবলু। আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ভাটপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে গাংনী উপজেলা জামায়াত। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মো: রবিউল ইসলাম।
এসময় জামায়াত মনোনীত প্রার্থী নাজমুল হুদা, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, পৌর জামায়াতের আমীর আহসানুল হক, পৌর জামায়াতের রাজনৈতিক সেক্রেটারি জিল্লুর রহমান, গাংনী উপজেলা জামায়াতের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সচিব শফিকুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা যুববিভাগের সভাপতি আবু সায়েম ও পৌর জামায়াতের আইন সম্পাদক আলমগীর হোসেন।
উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, রবিবার সকালে বিএনপি কর্মী জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে হামলা চালায়। এতে জামায়াতের চার স্থানীয় কর্মী আহত হন। আহতরা হলেন, সোহরাব হোসেন, তার ছেলে শিশির, রবিউল ইসলাম রুবেল, আলাউদ্দিন বাবলু। আহতদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের বিচারের দাবী জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার সকাল ৯ টার দিকে জামায়াতের ইউনিট বায়তুল মাল বিষয়ক সম্পাদক সোহরাব হোসেনের মুদি দোকানে কয়েকজন মহিলা জামায়াত কর্মী ইয়ানতের টাকা দেয়ার জন্য যায়। এসময় জান্নাত কেনা বেচা নিয়ে কথা হয়। পরে স্থানীয় বিএনপি কর্মি জামাল হোসেনের সাথে সোহরাব হোসেন ও শিশিরের কথা কাটাকাটি, ধাক্কাধাক্কি হলে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে।
পরে বিষয়টি নিয়ে আবার ভাটপাড়া বাজারে রবিউল ইসলামের ওষুধের দোকানে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপি ও জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।


