চুয়াডাঙ্গার ঝাঝরি গ্রামে পুকুরের চারিধারে জিআই তারে বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে কৃষক হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে লিজ গ্রহীতা আব্বাস আলী ও আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় নিহত চাঁন মিয়ার পিতা ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে আব্বাস ও জলিল আত্নগোপন করেছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। একটি সূত্র জানিয়েছে প্রভাবশালী আব্দুল জলিল বিষয়টি অর্থ দিয়ে ধামাচাপা দেবার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। তবে গ্রামবাসি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি অব্যাহত রেখেছে।
দর্শনা কেরুজ চিনিকলের আওতাধীন ঝাঝারি কৃষি খামারের ২টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন কোটালী গ্রামের মৃত হারুন মেম্বরের ছেলে প্রবাবশালী ঠিকাদার আব্দুল জলিল ও ঝাঝরি গ্রামের রজব আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত কারবারি আব্বাস আলী।
লিজ গ্রহীতারা পুকুরের মাছ চুরি ও বণ্য প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পুকুরের চারিধারে জিআই তার দিয়ে বেড়া দিয়েছেন।
গ্রামবাসি জানায়, মাছ রক্ষা করার অযুহাতে লিজ গ্রহীতারা ওই জিআই তারে বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে রাখে। প্রায় সময় ওই তারের বিদ্যুত সংযোগ দিয়ে বণ্যপ্রাণী হত্যা করে থাকে তারা।
গত রোববার সকাল সাড়ে টার দিকে ঝাঝরি গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে এক সন্তানের জনক কৃষক চাঁন মিয়া (২৫) মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। ঘাস কাটার একপর্যায় চাঁন মিয়ার পানির পিপাশা লাগলে। সে পুকুরের পাড়ে মোটরপাম্প থেকে পানি পান করতে যায়। একপর্যায় চাঁন মিয়ে বিদ্যুত সংযোগের ওই তারে হাত পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলেই মারা যায়।
এঘটনায় পরের দিন চাঁন মিয়ার পিতা সাহেব আলী বাদি হয়ে জিআই তারে বিদ্যুৎ সংযোগকারি পুকুরের লিজ গ্রহীতা এলাকার প্রভাবশালী ঠিকাদার আব্দুল জলিল ও ঝাঝরি গ্রামের চিহ্নিত মাদককারবারি আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অবস্থা বেগতিক বুঝে জলিল ও আব্বাস গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলে জানাগেছে। এ হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা দর্শনা থানার এসআই অনুজ কুমার বলেন, নিহত চাঁন মিয়ার পিতা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৪ (ক) ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে গ্রামের একটি সূত্র জানিয়ে প্রভাবশালী ঠিকাদার আব্দুল জলিল বিষয়টি অর্থ দিয়ে মিমাংশা করার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ মিমাংশা করার দায়িত্ব নিয়ে গোপনে বাদি পক্ষকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন বলে জোর গুঞ্জণ শোনা যাচ্ছে।
তবে গ্রামবাসিদের জোরদাবি চাঁন মিয়া হত্যার বিষয়টি সঠিক তদন্ত পূর্বক পুলিশ যেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থ গ্রহণ করেন।