৪০ বছরের ভোগ দখল করা জমি হঠাৎ অবৈধ দখল নিতে প্রকৃত মালিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে একটি চক্র। ধইঞ্চা কাটার অভিযোগা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে ওই চক্রটি।
তারা সাংবাদিক সম্মেলন করে জমির মালিককে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালিয়েছে। ঘটনাটি গাংনী উপজেলার নলগাড়ি মাঠে ঘটেছে।
এনিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে জমির উপর সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন জমির মালিক হেলাল উদ্দীন মাস্টার। এসময় তেরাইল, জোড়পুকুরিয়া ও দুলর্ভপুর গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে জমির মালিক হেলাল উদ্দীন বলেন, ১০১৫ দাগে আমার দাদার নামে ক্রয়সূত্রে ৫৫ শতক জমি রয়েছে। আমার দাদা জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আহমেদ আলী, আবুল হোসেন, ইসমাইল হোসেন ও তাদের উত্তরসরিদের কাছ থেকে কেনেন। দীর্ঘ ৪০ বছর এই জমি আমরা ভোগ দখল করে আসছি। অথচ, পট পরিবর্তনের সাথে সাথে একটি দু:স্কৃতিকারীর দাবী করছে এই জমি তাদের।
প্রায় ৪০ বছর যাবৎ আমার দাদার ওয়ারিশ আমার বাবা ও চাচারা ভোগ দখল করে আসছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ওই জমিতে সবুজ সার তৈরী করতে আমরা ধইঞ্চা বুনেছিলাম। কয়েকদিন আগে সেটা কেটে জমিতেই পচান দিয়েছি। আমরা কিছুদিনের মধ্যেই ধান লাগাবো। এর মধ্যে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে জিয়াউল হক, সেন্টু, জাহাঙ্গীর ও লাল্টু বলছে এই জমি আমাদের।
অথচ, বিগত ৪০ বছরের মধ্যে কোনোদিন তারা বলেনি এই জমি তাদের। আমরা এই জমিতে ধইঞ্চা বুনেছি ধান লাগাবো বলে। অথচ, এখন তারা বলছে ধইঞ্চা তারাই লাগিয়েছে, আমরা রাতের আধারে কেটে দিয়েছি। মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে আমরাই ধইঞ্চা কেটেছি এজন্য আমাদের দৃষ্টান্তমুলক দাবী জানাচ্ছেন। আমার পৈত্রিক জমিতে অবৈধভাবে কয়েকজন সাংবাদিক এনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুই বিঘা জমির ধইঞ্চা ক্ষেত কর্তনের অভিযোগ তুলেছেন। জমিটি তার দাবি করে দুই বিঘা জমির ধইঞ্চা আমরা কেটে দিয়েছি বলে দাবী করেন। যা মিথ্যা ও সাজানো নাটক। এই মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
তবে, বেশ কয়েকজন পার্শ্ববতি জমির মালিক বলেন, আমরা ৩৫/৪০ বছর যাবৎ এই জমিটি হেলাল মাস্টার ও তাদের বাপ চাচাদের আবাদ করতে দেখেছি। তবে, তারা বলেন, জিয়াউল, লাল্টুসহ অন্যান্যরা এই জমির পাশের ১০১৩ দাগ ৭ শতক জমি পাবে। অথচ, তারা পুরো ৫৫ শতক জমি দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং হেলাল মাস্টারদের বিরুদ্ধে ধইঞ্চা কাটার মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী কৃষক হেলাল উদ্দীন অভিযোগ করেন, তেরাইল মৌজার আরএস খতিয়ান ১৫৭৫, দাগ নম্বর ১০১৩ দাগভুক্ত ৭ শতক জমি তার দাদা বাদল শেখের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে। কিন্তু ধইঞ্চার জমিটি ১০১৫ দাগে আমার বাবা ও চাচার জমি ৫৫ শতক। দীর্ঘদিন ধরে তারা আমরা এই জমি ভোগদখল করে আসছি। জমিটি নিয়ে বর্তমানে আদালতে একটি দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে।
এবিষয় নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসে শালিস বৈঠক করেছেন। এনিয়ে মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, “এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”