ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় বজ্রপাতে মিরাজুল ইসলাম (২৫) ও অলিয়ার রহমান (৫০) নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মাঠে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন তারা।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর ১১টার দিকে সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম বিষয়খালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরাজুল ইসলাম গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম বিষয়খালী গ্রামের শাহাজ্জেল হোসেনের ছেলে। অপর নিহত অলিয়ার রহমান মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
একইদিনে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, সকালে মাঠে ধান বাঁধতে যান মিরাজুল। সকাল সাড়ে ১০টার পরে আকষ্মিক বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এসময় অন্যরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও বজ্রপাতের কবলে পড়েন মিরাজুল। পরে আহতাবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
অপর নিহত অলিয়ার রহমানের স্বজনরা জানান, সকালে মাঠে ধান গোছানোর কাজে বাড়ি থেকে বের হন অলিয়ার। বেলা ১১টার দিকে তুমুল বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এসময় মাঠে থাকাবস্থায় বজ্রপাতে আহত হন তিনি। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত খালিদ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন এবং তিনি বলেন, বজ্রপাতে নিহত দুই কৃষক হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যান।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বজ্রপাতের শিকার হয়ে দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। মরদেহ দুটি সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বজ্রপাতে দুই কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। জানাগেছে, মিরাজুল ঢাকায় একটি চাকরি করতো। দুই সপ্তাহ আগে সে সন্তানের বাবা হয়েছে। সেই কারণে কয়েকদিন আগে সে বাড়িতে আসে। তার মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
বজ্রপাতে নিহত দুইটি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নিকট ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী অনুদান প্রদান করেন।